Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly

Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly MBBS,BCS(Health) ,FCPS(Medicine). Consultant (Medicine). Medicine, Diabetes, Thyroid & Hormone specialist.

Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University, Dhaka
For appointment call: 01670903900
For Emergency WhatsApp: 01722055922

আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস এবারের  প্রতিপাদ্য বিষয় "আর্থ্রাইটিস চিকিৎসাযোগ্য , অবহেলা করবেন না l"আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন’ ...
12/10/2022

আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় "আর্থ্রাইটিস চিকিৎসাযোগ্য , অবহেলা করবেন না l"

আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন’ আটল্যান্টা’-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই সাত মিলিয়নের বেশি লোক এখন আরথ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বাত ও জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।

শরীরের জয়েন্টে ব্যথা আগে বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে দেখা গেলেও বর্তমানে এটি কম বয়সের মানুষের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নিজস্ব কিছু অবহেলার কারণেই বাড়তে থাকে এই রোগ।

জেনে নেই এই অসুখের লক্ষণগুলি-

 জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা দেখা দিবে।

 শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখাও কঠিন হয়ে যায়।

 শরীরের যে কোনও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

 ব্যাথার জায়গাটা অনেক সময় ফুলে যায়।

 ব্যাথার জায়গা লাল হয়ে যেতে পারে।

 ব্যথার জন্য হাঁটাচলা বা দৈনন্দিন কোনও কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

ব্যায়াম না করা, ওজন বেশি থাকা, হাই হিল জুতো পরা, ধূমপান করার কারনে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এমন কোনও লক্ষণ যদি আপনার শরীরেও দেখা দেয় তাহলে ঘরে বসে না থেকে দ্রুত রোগটির চিকিৎসা নিন। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন, তত দ্রুতই সমস্যা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা থাকবে।

যারা ঝুঁকিপূর্ণ

১. যাদের বয়স বেশি, যেমন বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২. ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ৪৫ পরবর্তী নারীদের এটি বেশি হয়।
৩. অস্থিসন্ধিতে যেকোনো ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন তাদের ঝুঁকি বেশি।
৪. যাদের ওজন বেশি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
৫. কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়।

আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর জন্য যা যা করবেন –

আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বাড়াবেন না। কারণ হাঁটুতে চাপ পড়তে পারে।
নিয়মিত শরীরের অঙ্গগুলি নাড়াচাড়া করুন। কাজকর্মের মধ্যে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
সময়মতো ঔষধ নিন তাহলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
সময় সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জলে স্নান না করাই ভালো। উষ্ণ হালকা গরম জলে স্নান করুন।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান।

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ মানসিক...
10/10/2022

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে l

মনের যত্ন না নেওয়া ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে। এর জন্য প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সুস্থ-সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা। হতাশা, বিষণ্নতা, অপ্রাপ্তি, একাকিত্ব-মানুষের মনোজগতে এসবের রয়েছে প্রচণ্ড প্রভাব। শুধু গুরুতর মানসিক রোগী নয়, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের নেয় না বেশিরভাগ মানুষ।

কিভাবে মানসিক রোগ সনাক্ত করবেন ? ( সংক্ষেপে)

মানসিক রোগ হলো মস্তিষ্কের একধরনের রোগ৷ এখানে আমি সংক্ষেপে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এগুলি থাকলেই মানসিক রোগ সেটা নয়, এর অনেক গুলি পর্যায় আছে, তার ওপর বিচার করতে হয় এটি মানসিক রোগ কিনা।
তবে এটা ঠিক, মানসিক রোগ খুব কষ্টদায়ক, এই রোগের রুগীর বেশির ভাগই নিজেদের সুস্থ্ ভাবে।
এ ধরনের অসুস্থতায় মানুষের আচার আচরণ, কথা-বার্তা, চিন্তা-ভাবনা অস্বাভাবিক হয়ে যায়৷
মানসিক রোগ দু ধরনের হতে পারে :-
১) মৃদু ধরনের মানসিক রোগ।
২) তীব্র ধরনের মানসিক রোগ।

মৃদু ধরনের মানসিক রোগের ক্ষেত্রে জীবনের স্বাভাবিক অনুভূতিগুলো (দুঃখবোধ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি) প্রকট আকার ধারণ করে৷
মানসিক রোগের ক্ষেত্রে যে সকল লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলো :-
✓ অহেতুক মানসিক অস্থিরতা।
✓ দুশ্চিন্তা-ভয়ভীতি, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা,
✓ একই চিন্তা বা কাজ বারবার করা ( শুচিবাই ),
✓ মানসিক অবসাদ,
✓ বিষন্নতা,
✓ অশান্তি,
✓ বিরক্তি,
✓ অসহায় বোধ, কাজে মন না বসা,
✓ স্মরণশক্তি কমে যাওয়া,
✓ অনিদ্রা, ক্ষুধামান্দ্য,
✓ সন্দেহ করা,
✓ আত্মহত্যার করার প্রবণতা বেড়ে যায় ইত্যাদি৷
এছাড়া শিশুদের (বড়দেরও দেখা যায়) ADHD, ADD, LEARNING DISABILITY ( প্রচন্ড চঞ্চল, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না, একজায়গায় স্থির থাকে না, রাগ, জেদ, পড়াশুনা ঠিক করে করতে সমস্যা, মনোযোগ কম, পড়াশুনা বুঝতে ( অঙ্ক ) পারে না, রিডিং পড়তে পারে না ভাল করে, বানান ভুল, পশুদের মারা ইত্যাদি।)
তীব্র ধরনের মানসিক রোগের ক্ষেত্রে আচার আচরণ, কথাবার্তা স্পষ্টভাবে অস্বাভাবিক হয় । ফলে আশেপাশের মানুষরা এটা বুঝতে পারে৷
এ ক্ষেত্রে যে সকল লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলো :-
✓ অহেতুক মারামারি, ভাঙচুর করা, গভীর রাতে বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া।
✓ আবোল-তাবোল বলা।
✓ সন্দেহ প্রবণতা।
✓ একা একা হাসা ও কথা বলা।
✓ নিজেকে বড় মনে করা।
✓ বেশি বেশি খরচ করা।
✓ স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি লোপ পাওয়া।
✓ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া।
✓ খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না করা ।
✓ নিজেকে নিজের আঘাত করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় l সংগৃহীত

বিশ্ব হার্ট দিবস 2022 এর থিম হল  ‘প্রতিটি হৃদয়ের জন্য       হৃদয় ব্যবহার করুন’. ‘প্রত্যেক হৃদয়ের জন্য হৃদয় ব্যবহার ক...
29/09/2022

বিশ্ব হার্ট দিবস 2022 এর থিম হল
‘প্রতিটি হৃদয়ের জন্য
হৃদয় ব্যবহার করুন’.

‘প্রত্যেক হৃদয়ের জন্য হৃদয় ব্যবহার করুন’ থিমে, “হৃদয় ব্যবহার করুন” এর অর্থ ভিন্নভাবে চিন্তা করা, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, সাহসের সাথে কাজ করা এবং অন্যদের সাহায্য করা। একইভাবে, “ফর এভরি হার্ট” এর মধ্যে “ফর” এর ব্যবহার জড়িত এবং ক্রিয়াকলাপ থেকে ফোকাসকে এই ধরনের কর্মের উত্তরাধিকারীর দিকে স্থানান্তরিত করে, প্রচারাভিযানের ব্যাপক প্রয়োগের অনুমতি দেয় এবং এটিকে আরও ব্যক্তিগত করে তোলে।

এই বিশ্ব হার্ট দিবসে, মানবতার জন্য ‘হার্ট’ ব্যবহার করুন, প্রকৃতির জন্য ‘হার্ট’ ব্যবহার করুন এবং আপনার জন্য ‘হার্ট’ ব্যবহার করুন l

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বিশ্বে ১.২৮ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুইতৃতীয়াংশ বাস করে বাংলাদেশসহ নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে।
অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োাজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

প্রতি দুই মিনিটে দেশে একজন মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। আর প্রতি ঘণ্টায় মারা যায় প্রায় ৩২ জন মানুষ। একদিনে এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭৬৯ জনে। যার সংখ্যা মাসে ২৩ হাজার ৮৩। হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়।

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে শীর্ষে। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল(পিএইচও) যা বাংলাদেশের ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত।

ট্রান্সফ্যাট ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় খাবার। এটি রক্তের ‘ভালো’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও ‘খারাপ’ কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে অতিরিক্ত মাত্রার কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বাংলাদেশে বছরে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন, যার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করা না হলে বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল এবং হার্ট বিট অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশঙ্কার বিষয় হলো সাম্প্রতিক সময়ে দেশে তরুণদের মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি এবং সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজন এ খাতে সরকারের বাজেট বাড়ানো।

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২      ‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’। বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায়...
27/09/2022

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২

‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’।

বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। বাংলাদেশেও বছরে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন জলাতঙ্কে। শুধু মানুষই নয়, প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশুও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে দেশে। রোগটি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতেই গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর র‌্যাবিস কন্ট্রোলের উদ্যোগে প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়।

জলাতঙ্ক যেভাবে ছড়ায়: কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বানর, বেঁজি, বাদুড় ইত্যাদি র্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং আক্রান্ত উল্লেখিত প্রাণি মানুষকে কামড়ালে মানুষের এ রোগ হয়। এসব আক্রান্ত প্রাণির মুখের লালায় র্যাবিস ভাইরাস থাকে। এ লালা পুরোনো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া ক্ষতের বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে এলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে।

জলাতঙ্কের লক্ষণ: সন্দেহজনক প্রাণি কামড়ানোর ৯ থেকে ৯০ দিনের মাঝে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। কারো শরীরে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উন্মত্ত বা পাগলামো আচরণ এবং মৌন আচরণ—এ দুই ধরনের আচরণ দেখা দিতে পারে।অস্বাভাবিক আচরণে আক্রান্ত ব্যক্তির কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গি হবে অস্বাভাবিক। সে উদ্দেশ্য ছাড়াই ছুটে বেড়াবে, ক্ষুধামন্দা হবে, বিকৃত আওয়াজ করবে, বিনা প্ররোচনায় অন্যকে কামড়াতে আসবে ইত্যাদি।

এছাড়া পানির পিপাসা খুব বেড়ে যাবে, তবে পানি খেতে পারবে না। পানি দেখলেই আতঙ্কিত হবে, ভয় পাবে। আলো-বাতাসের সংস্পর্শে এলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। খাবার খেতে খুবই কষ্ট হবে, খেতে পারবে না। শরীরে কাঁপুনি, মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হবে। কণ্ঠস্বর কর্কশ হতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা দেবে।

মৌন আচরণে আক্রান্ত স্থান একটু অবশ অবশ লাগবে। শরীর নিস্তেজ হয়ে ঝিমুনি আসতে পারে। মানুষের চোখের আড়ালে থাকা, শরীরে কাঁপুনি ও পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে।

সন্দেহজনক প্রাণি কামড় বা আঁচড় দিলে যা করবেন:

সন্দেহভাজন প্রাণি কামড়ানো বা আঁচড়ানোর সাথে সাথে ক্ষতস্থানটি ১০-২০ মিনিট ধরে সাবান বিশেষ করে কাপড় কাঁচা সাবান ও প্রবহমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ক্লোরহেক্সিডিন বা পোভিডোন আয়োডিন দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে ওয়াশ করতে হবে। এতে ৭০-৮০% জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়।

জীবাণুর সংস্পর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা:

ক্যাটাগরি ১: পশু যদি শুধু স্পর্শ করে বা অক্ষত চামড়ায় লেহন করে, তবে কিছু করতে হবে না।

ক্যাটাগরি ২: আঁচড়, রক্তপাতহীন ছুলে গেলে চামড়ার যত্ন নেওয়া এবং টিকা নিতে হবে।

ক্যাটাগরি ৩: চামড়া ভেদ করা কামড়, ছুলে যাওয়া চামড়া কিংবা দেহাভ্যন্তরে লেহন, মুখমণ্ডল বা পিঠে মেরুদণ্ডের কাছাকাছি আঁচড়, রক্তখেকো বাদুড়ের আঁচড়ে চামড়ার যত্ন, টিকা ও ইমিউনোগ্লোবিন ইনজেকশন নেওয়া লাগবে।

টিকার ধরন এবং ডোজ:

জলাতঙ্কের দুই ধরনের টিকা রয়েছে। একধরনের টিকা মাংসপেশিতে (শুধু বাহুতে) এবং অন্যটি চামড়ায় দিতে হয়। চামড়ায় দেওয়া টিকা বেশি কার্যকর, কম খরচ হলেও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে মাংসপেশির টিকাই বেশি প্রচলিত।

আগে কিংবা গত পাঁচ বছরে টিকা দেওয়া হয়নি, এমন ব্যক্তি বা শিশুর জন্য ডোজ: ০ (কামড় নয়, টিকা দেওয়ার দিন), ৩, ৭, ১৪দিন। আরেকটি সূচি হচ্ছে ০তম দিনে দুই বাহুতে ২টি টিকা এবং ৭ ও ২১তম দিনে ১টি করে টিকা।

* পশু আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।

* কোনো কারণে ইমিউনোগ্লোবিন পাওয়া না গেলে (ক্যাটাগরি ৩) ০তম দিনে দুই বাহুতে ২ টিকা নিতে হবে। ৩, ৭, ১৪ ও ২৮তম দিনে নিয়ে ডোজ পূর্ণ করতে হবে।

* পাঁচ বছরের মধ্যে টিকা নেওয়া থাকলে ০ ও তৃতীয় দিনে বুস্টার টিকা নিলেই হবে।

* ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কামড়ের আগেই টিকা—০ ও তৃতীয় দিন; এরপর আক্রান্ত হলে ০, ৭ ও ২১/২৮তম দিন।

* শুধু গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের পর যদি সেই প্রাণী পরবর্তী ১০ দিন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, তবে ১৪ ও ২৮তম দিনের টিকা না দিলেও হবে।

একটি কথা বলা উচিত, জলাতঙ্ক মস্তিষ্কের এমন একটি গুরুতর অসুখ, যেটা প্রতিরোধের জন্য কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না। অন্তঃসত্ত্বা, স্তন্যদানকারী মা, নবজাতক শিশু, অতিবয়স্ক ব্যক্তিও টিকা নিতে পারবেন। কোনো রকম সন্দেহ, প্রশ্ন থাকলেও অসুখের ভয়াবহতা বিবেচনা করে টিকা নিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে

ক্ষতস্থানে যা করা যাবে না: ক্ষতস্থানে কোনো স্যালাইন, বরফ, চিনি, লবণ ইত্যাদি ক্ষারক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। বাটিপড়া, পানপড়া, চিনিপড়া, মিছরিপড়া, ঝাড়ফুঁক ইত্যাদি জলাতঙ্কের হাত থেকে কাউকে বাঁচাতে পারে না। ক্ষতস্থান কখনোই অন্য কিছু দিয়ে কাটা, চোষণ করা বা ব্যান্ডেজ করা যাবে না। এতে বরং ইনফেকশন হতে পারে। ক্ষতস্থানে বরফ, ইলেকট্রিক শক দেওয়া যাবে না কিংবা হাত-পা বাঁধাও যাবে না। কোনো কবিরাজ বা ওঝার শরণাপন্ন হয়ে কোনো অবৈজ্ঞানিক কিংবা অপচিকিৎসা গ্রহণ করে সময় ক্ষেপণ করবেন না।

যেসব প্রাণির কামড়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই: ইঁদুর, খরগোশ, কাঠবিড়ালী, গুঁইসাপ ইত্যাদি কামড় দিলে র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে টিটেনাস ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষ অবস্থায় ভ্যাকসিন নিতে সমস্যা হবে কি: গর্ভাবস্থায়, মায়ের স্তন্যদানকালে, অন্য যেকোনো অসুস্থতায়, ছোট বাচ্চা বা বৃদ্ধ ব্যক্তি এরকম কোনো বিশেষ অবস্থায় জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নিতে কোনো সমস্যা নেই।

"সর্প দংশনে ওযা নয়,হাসপাতালেই চিকিৎসা হয় l"আজ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস llসাপের কামড়ে কী করবেন:* দ্রুত চিকিৎস...
19/09/2022

"সর্প দংশনে ওযা নয়,

হাসপাতালেই চিকিৎসা হয় l"

আজ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস ll

সাপের কামড়ে কী করবেন:

* দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন

* হাত বা পা ভাঙলে যেমন করে শক্ত কিছু দিয়ে কাপড় দিয়ে হলকা করে বাধা হয়, সেভাবে বাধুন।

* সাপে কাটা পেশী যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন, পেশীর নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে।

কী করবেন না:

* আতংকিত হওয়া যাবে না

* ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের অপেক্ষা করে কালক্ষেপণ করবেন না

* চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত না

* কোন মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না

* সাপে কাটা জায়গায় শক্ত করে বাঁধা, কারণ রক্ত জমে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।

আসুন জেনে নেই সর্প দংশন প্রতিরোধে করণীয় কী:

১. সর্প দংশন প্রতিরোধে করণীয় বাড়ির আশপাশের জঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. ঘুমানোর সময় অবশ্যই ভালো করে মশারি টাঙাতে হবে।
৩. রাতে বা অন্ধকারে হাঁটার সময় অবশ্যই টর্চ ব্যবহার করতে হবে।
৪. সাপে কাটলে রোগী ক্ষতস্থানটি সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
৫. সাপে কাটলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

কিডনির যত্ন নিন এখন থেকেই, সচেতন হোন এ সব বিষয়েকিডনির অসুখ ও তার চিকিৎসা নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা। সত্যিটা কী? বাঁচ...
13/09/2022

কিডনির যত্ন নিন এখন থেকেই, সচেতন হোন এ সব বিষয়ে

কিডনির অসুখ ও তার চিকিৎসা নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা। সত্যিটা কী? বাঁচতে হলে জানতে হবে..

প্রবাদে আছে, মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। কিডনি বা বৃক্কের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা প্রায় একই। দেখতে নেহাতই ছোট, কিন্তু তার কাজ শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় থাকতেই কিডনির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সারাদিনের পরে শহর বা গ্রামের জমা হওয়া জঞ্জাল ঠিক মতো সাফ না হলে, মানুষের পক্ষে সেখানে বসবাস করাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তেমনটাই ঘটে শরীরের ক্ষেত্রেও। দূষিত বা রেচন পদার্থ যদি শরীর থেকে বেরিয়ে না যায়, তা হলে তা জমতে থাকে অভ্যন্তরেই। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের বাকি সমস্ত অঙ্গ। তাই শরীরকে সার্বিক ভাবে সুস্থ রাখার জন্য কিডনি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা গুরুত্ব রয়েছে মস্তিষ্ক, হার্টের মতো অঙ্গগুলির।

কিডনির সমস্যা ও তার লক্ষণ

সাধারণত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ খারাপ হলে তার লক্ষণ হয় প্রকট। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলে আপাতদৃষ্টিতে কিছু বোঝা যায় না। শরীরে সামান্য অবসাদ হয়। ঘুম ঘুম ভাব, মনঃসংযোগের সমস্যা, খিদে নষ্ট, অল্প পা ফোলা, শরীরে রক্ত কমে যাওয়া... সবই দেখা যায়। কিন্তু সে সব পরিবর্তনই হয় খুব মৃদু। ফলে সহজে ধরা পড়ে না কিডনির অসুখ। আর যখন ধরা পড়ে, দেখা যায় অসুখটা গড়িয়ে গিয়েছে অনেক দূর। তাই কিডনির বৈকল্য বা খারাপ হওয়াকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বা ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলা হয়।

সমস্যার সূত্রপাত

কারও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে তার প্রভাব পড়ে কিডনিতেও। জন্মগত কিডনির সমস্যা, ছোটবেলায় নেফ্রাইটিস, পরিবারে কিডনির অসুখের ইতিহাস অথবা অন্য কোনও রোগের জন্য যদি দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খেতে হয়, তা হলেও কিডনির সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই নিয়মিত চেকআপের সময়ে কিডনির পরীক্ষা করাও জরুরি।

কিডনির নানা রোগ

কিডনির সমস্যা মানেই তা আর ভাল হবে না, এ ধারণা ঠিক নয়। ক্রনিক ডিজ়িজ়, স্টোন, গ্লোমেরিউলোনফ্রাইটিস, পলিসিস্টিক ডিজ়িজ়, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন... কিডনির সমস্যা নানা ধরনের। কিছু ক্ষেত্রে ঠিক মতো চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারে সেরে যায়। কখনও করতে হয় ডায়ালিসিস। এ ছাড়া অঙ্গ প্রতিস্থাপনও সমাধানের পথ। তবে সবটাই নির্ভর করে রোগীর অসুখের ধরনের উপরে।

প্রসঙ্গ ডায়ালাইসিস

কিডনি শুধু শরীর থেকে রেচন পদার্থই বার করে না, তার ভূমিকা আরও বেশি। রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, অ্যাসিডোসিস হয়ে রক্তে অ্যাসিডের মাত্রা অতিরিক্ত না বাড়া, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা... এ সবই করে কিডনি। কিডনির সমস্যায় প্রাথমিক ভাবে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চলে। আর ডায়ালিসিস করা হয় সেই পর্যায়ে, যখন কিডনির অসুখ একেবারে অন্তিম দশায় এসে পৌঁছেছে। চিকিৎসার ভাষায় যা ‘এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজ়িজ়’। সাধারণত যখন রোগীর দু’টি কিডনি শতকরা ১০-১৫ ভাগ বা তারও কম কাজ করে, তখনই শুরু হয় ডায়ালিসিস। ডায়ালিসিস মানে কখনওই কিডনি সারানো নয়। এই প্রক্রিয়ায় কিডনি খারাপই থাকে। ডায়ালিসিস শুধুমাত্র কৃত্রিম ভাবে কিডনির কাজ করায়। তা-ও কিডনির সব কাজ ডায়ালিসিস করতে পারে না। কিছু কিছু কাজ করে রোগীকে সচল রাখার চেষ্টা করে।

ডায়ালাইসিস ও পানি : অনেকেরই ধারণা আছে যে, বেশি পরিমাণে পানি খেলে কিডনি ভাল থাকে। এ ধারণাটি ভ্রান্ত। সব কিছুরই মাত্রা থাকা জরুরি। আপাতদৃষ্টিতে একজন সুস্থ মানুষ অতিরিক্ত জল খেলে তাঁর রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। যাকে বলা হয় হাইপোনেট্রিমিয়া। তাতে অনেক সময়ে মস্তিষ্ক বিকৃতির মতো গুরুতর লক্ষণও দেখা যেতে পারে। ডায়ালিসিস চললে জল কমিয়ে দেওয়া হবে বা পানি মেপে খেতে হবে কি না, সেটাও নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থার উপরে।’’

যে সমস্ত মানুষের কিডনির সমস্যা হয়, তার মধ্যে শতকরা ৭০-৮০ ভাগ মানুষের শরীরে পানি জমতে শুরু করে। পানি ক্রমাগত জমতে থাকলে তা প্রথম দিকে পা, চোখের পাতা, পরে বুকের মধ্যে, ফুসফুস, তার চারপাশের থলি, হার্ট ইত্যাদিতে জমে। ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শরীরে খুব বেশি জল জমে গেলে প্রাণসংশয়ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডায়ালিসিসের মাধ্যমে পানি বার করে দেওয়া হয়।

দু’টি ডায়ালিসিসের সিটিংয়ের মাঝে ‘ইন্টার ডায়ালিটিক ওয়েট গেন’ হয়। ধরা যাক, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডায়ালিসিস করার পরে রোগীর ওজন ৫০ কিলোগ্রাম। পরের বার যখন তিনি ডায়ালিসিস করতে আসছেন, দেখা গেল তাঁর ওজন বেড়ে হয়েছে ৫২ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ দু’টি সিটিংয়ের মাঝে ওজন বেড়েছে দু’কেজি। এই মাঝের সময়টায় তিনি বাড়তি জল খেয়েছেন দু’লিটার। তখন দ্বিতীয় সিটিংয়ে বাড়তি জল বার করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সতর্ক করা হয় রোগীকে। ইন্টার ডায়ালিটিক ওয়েট গেনের ক্ষেত্রে মাত্রাটা ছ’-সাত কিলো হলে অবশ্যই জল মেপে দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে জল পানের পরিমাণ কমানো হয়। এর পাশাপাশি আবার বাড়িয়ে দেওয়া হয় সিটিংয়ের সংখ্যা। দু’টি ডায়ালিসিসের মাঝের বিরতি বাড়ালে এবং জল জমতে থাকলে রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর দরকার হয়। তবে কার কত বার ডায়ালিসিস হবে, সেটা একান্তই নির্ভর করে রোগীর শারীরিক অবস্থার উপরে। এমন রোগীও আছেন, যাঁদের প্রত্যেক দিন ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, কমফর্টেবল ডায়ালিসিস ফ্রিকোয়েন্সি হল সপ্তাহে তিনটি করে।

ডায়ালিসিস মানেই কি আয়ু কমে আসছে?

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট রুল-বুক নেই। কোনও মানুষ ডায়ালিসিস করেও ১৪-১৫ বছর বা তার বেশি সুস্থ থাকতে পারেন। কারও ক্ষেত্রে সময়সীমা তত দিন নয়। তবে কমফর্টেবল ডায়ালিসিসে গড়ে সাড়ে তিন বছর থেকে পাঁচ বছর ভাল থাকেন রোগী।

কিডনি প্রতিস্থাপন

ডায়ালিসিস যেহেতু কখনওই আল্টিমেট ট্রিটমেন্ট নয়, তাই সমাধানের পথ হতে পারে ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা কিডনি প্রতিস্থাপন। সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সরাসরি রক্তের সম্পর্ক, অর্থাৎ মা-বাবা-ভাই-বোন-ছেলে-মেয়ে-স্বামী-স্ত্রী কিডনি দিতে পারেন রোগীকে। এটিই সুরক্ষিত এবং আইনসম্মত পথ। একটি মাত্র কিডনি থাকলেও কেউ সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন। মানুষের শরীরে দু’টি কিডনির একটিই যথেষ্ট। অন্যটি ডোনেট করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে সবচেয়ে জরুরি অর্গ্যান ডোনেশনের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানো l

ভাল থাকুক কিডনি

তা হলে কী ভাবে যত্ন নেবেন কিডনির?

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, রাস্তার খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত তেল-ফাস্ট ফুড বর্জন, নিয়মিত শারীরচর্চা করলে গোটা শরীরই ভাল থাকে। তার সঙ্গে সুস্থ থাকে কিডনিও।এ ছাড়া যখনই হাই-প্রেশার, ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা ধরা পড়ে, সেই সব রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি একেবারে প্রথম পর্যায় থেকেই জরুরি কিডনিরও দেখভাল।

কিডনি বিকল হতে সময় লাগে। তাই ফেলে না রেখে, অবহেলা না করে বার্ষিক পরীক্ষা করানো জরুরি। আর তার সঙ্গী হোক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। (সংগৃহীত)

তরুণ বয়সে হঠাৎ মৃত্যু!!       রক্তে চর্বির মাত্রা ঠিক আছে তো🤔🤔??আজ আমরা এমন একটি রোগ নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল ফ্যামিলিয...
03/09/2022

তরুণ বয়সে হঠাৎ মৃত্যু!!

রক্তে চর্বির মাত্রা ঠিক আছে তো🤔🤔??

আজ আমরা এমন একটি রোগ নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল ফ্যামিলিয়াল হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া(Familial Hypercholesterolemia), বাংলায় আমরা যাকে বলি বংশগতভাবে রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় খারাপ চর্বি জনিত রোগ l
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অতি অল্প বয়সে ই এলডিএল(LDL -C) নামক খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বিপদজনকভাবে বেশি থাকে l
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে LDL-C>১৯০ mg/dl এবং শিশুদের ক্ষেত্রে>160mg/dl .

এখন আসি এই খারাপ এলডিএল নামক কোলেস্টেরল রক্তে বিপদজনকভাবে বেশি থাকলে সমস্যা কোথায়???
বলা হয়ে থাকে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে বয়স ৫০ বছরের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স ৬০ বছরের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০% l হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া মানে আপনার বুকে ব্যথা থেকে শুরু করে হঠাৎ হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ll
রোগের লক্ষণ:

1. প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে খারাপ চর্বি এলডিএল এর মাত্রা >১৯০ mg/dl আর শিশুদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা >১৬০ mg/dl.
2. পরিবারে অল্প বয়সে( ৫৫ বছর বয়সের নিচে )হৃদ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকবে l
3. শরীরের চামড়া, ট্যান্ডন অথবা চোখের পাতার পাশে নডিউল থাকবে
4. চোখের কর্নিয়ার চারপাশে সাদা বলয় থাকতে পারে

আমেরিকায় এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রতি ২৫০ জন মানুষের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত এবং এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিক মানুষের চাইতে ২২ গুন বেশি l

যেহেতু এটি একটি বংশগত রোগ l তাই পরিবারে কেউ অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অথবা রক্তে খারাপ চর্বি এলডিএল এর মাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে বেশি থাকলে সতর্ক হওয়া অতীব জরুরী l

তাই আসুন পরিবারে কেউ অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অথবা কারো রক্তে খারাপ চর্বি এলডিএল এর মাত্রা বিপদজনকভাবে বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ll

সচেতন হই ,সুস্থ থাকি ll

শ্বাসনালিতে হঠাৎ খাবার আটকে গেলে করণীয় :শ্বাসনালিতে খাবার আটকে হতে পারে মৃত্যুও, জানুন করণীয়শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যাওয়...
02/09/2022

শ্বাসনালিতে হঠাৎ খাবার আটকে গেলে করণীয় :

শ্বাসনালিতে খাবার আটকে হতে পারে মৃত্যুও, জানুন করণীয়

শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে।

আর বিপদের মুহূর্তে রোগীর আশপাশের মানুষও বিচলিত হয়ে পড়েন, ফলে তখন ঠিক কী করণীয় তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। আর এ কারণে ওই রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব হয় না।

তবে কারও যদি শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যায় ও তাৎক্ষণিক তাকে পেছন থেকে ধরে দুহাত দিয়ে সজোরে বুকে চাপ দেওয়া যায় তাহলে হয়তো ওই ব্যক্তি বেঁচে যেতে পারেন।

আসলে শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যাকে বলা হয় এস্পিক্সিয়া। শ্বাসনালি একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক অক্সিজেনের অভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়।

এতে একজন মানুষের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এনেক্সিয়া। খাওয়ার সময় গলায় খাবার আটকে যাওয়ার বিষয়টিকে হেলাফেলায় নেওয়া উচিত নয়। এক কৌশল জানা থাকলে আপনিও এমন ঘটনায় কাউকে বাঁচাতে পারবেন।

খাবার হোক বা অন্য কিছু কারও শ্বাসনালিতে আটকে গেলে প্রথমেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হবে। কাশি, বুকের মধ্যে হাওয়ার শব্দ, বমি বমি ভাব, কথা বলতে না পারা, ঠোঁট নীল ও জ্ঞান হারানোর মতো সমস্যা হতে পারে। ৭-২ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু না করলে রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হতে পারে।

যে উপায়ে বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন

মার্কিন থোরাসিক সার্জন হেনরি জে হেইমলিচ ১৯৭৪ সালে গলায় খাবার আটকে গেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সম্পর্কে একটি উপায় জানিয়েছেন।

যে চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে রক্ষা করা যায়। ওই পদ্ধতিটির নাম হলো ‘হেইমলিচ ম্যানিউভার’।

খাবার আটকে গেলে পিঠে চাপড় মারলে তেমন কোনো কাজ হয় না। এর চেয়ে হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতিতে রোগীকে বিপদ থেকে বাঁচানো সম্ভব। এজন্য রোগীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরুন।

তার পেট ও পাঁজরের সংযোগস্থলে দুহাতে ধরে সজোরে ধাক্কা দিন। এতে আটকানো খাবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। এভাবে অনেকের প্রাণ বাঁচানো যায়।

শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গেলে অক্সিজেন চলাচল কমে যায়। এ সময় দ্রুত আটকে যাওয়া খাবারের টুকরো বের না করলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না।

কোনো মানুষকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখলে হেইমলিচ ম্যানেউভারের সাহায্যে তাকে সুস্থ করে তোলা যায়।

তবে এক বছরের শিশু বা গর্ভবতী নারীর ওপর কখনোই হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিতে হবে।
সংগৃহীত

বিনম্র শ্রদ্ধা
15/08/2022

বিনম্র শ্রদ্ধা

ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন :শতাব্দীর সেরা অগ্রগতি, কোটি শিশুর জীবন রক্ষা কবজ-ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি ...
03/08/2022

ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন :শতাব্দীর সেরা অগ্রগতি, কোটি শিশুর জীবন রক্ষা কবজ-

ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি চিকিৎসা উপকরণ খাওয়ার স্যালাইন। শুধু ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ নয়, গরমে ঘাম ঝরলে বা কায়িক পরিশ্রমের পর অনেকেই নিয়মিত স্যালাইন খান। দোকানিরা জানাচ্ছেন, গরম বাড়ছে। তাই তাদের বিক্রিও বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ডায়রিয়া। প্রতিবছর ৫ লাখ ২৫ হাজার শিশুর এতে মৃত্যু হচ্ছে। কারণ ডায়রিয়া হলে পায়খানার সঙ্গে পানি দ্রুত বের হয়ে যায়। ওআরএস সেই পানি প্রতিস্থাপন করে। এটি এ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে।

ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। আশির দশকে এ রোগে মৃত্যুর হার ছিল অধিক। এ মৃত্যুহার কমাতে স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফের সহায়তায় ১৯৭০ সালে খাবার স্যালাইন প্যাকেট উৎপাদন ও বিতরণ শুরু করে। পরে ১৯৯১ সালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধীনে খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু হয়।

গত শতকের ষাটের দশকে কলেরা গবেষণার জন্য রাজধানীর মহাখালীতে কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি (সিআরএল, বর্তমান আইসিডিডিআরবি) স্থাপন করা হয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা এখানে কাজ শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশি গবেষকরা।

১৯৬৮ সালে মাঠপর্যায়ে ওআরএসের কার্যকারিতা নিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় চাঁদপুর ও ঢাকায়। এর মূল গবেষক ছিলেন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ডেভিড আর লেনিন ও রিচার্ড এ ক্যাস। ওই গবেষণার সঙ্গে রিসার্চ ফেলো হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী রফিকুল ইসলাম ও মজিদ মোল্লা। তাদের গবেষণার ফলাফল নিয়ে ১৯৬৮ সালের আগস্টে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট-এ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, এই দ্রবণের উপাদানগুলো সস্তা ও সহজপ্রাপ্য। এরপর থেকে আইসিডিডিআরবির মহাখালীর কলেরা হাসপাতালে ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা দূর করতে ওআরএস ব্যবহার শুরু হয়।

তবে ওআরএস আবিষ্কার একক কোনও বিজ্ঞানীর কৃতত্বে হয়নি। গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা তৈরি হওয়ার অনেক অনেক দিন ধরে কাজ করা হয়েছে। অবশেষে চূড়ান্ত রূপটা এসেছে ১৯৬৭-৬৮ সালে। আর স্যালাইন প্যাকেটজাত করার কাজটি ১৯৮১ সাল থেকে শুরু প্রথম শুরু করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

প্রস্তুত প্রণালি

ওরস্যালাইনের প্যাকেট থাকলে তা বানানো খুবই সহজ। আধা লিটার পানিতে প্যাকেটের পুরোটাই ঢেলে নিন, ভালোভাবে নেড়ে নিলেই হলো।

বাড়িতে প্যাকেট না থাকলে আধা লিটার পানিতে এক মুঠো গুড় বা চিনি আর এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিয়েই কাজ চালাতে পারেন।

ডায়রিয়ায় স্যালাইন সেবনবিধি

প্রতিবার পাতলা পায়খানা হবার পরই স্যালাইন খেতে হবে এভাবে—

২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য প্রতিবার ১০ থেকে ২০ চামচ।

২ থেকে ১০ বছর বয়সীদের জন্য ১২৫ মিলিলিটার (আধা কাপ) থেকে ২৫০ মিলিলিটার (এক কাপ)।

১০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ২৫০ মিলিলিটার (এক কাপ) থেকে ৫০০ মিলিলিটার (দুই কাপ) করে

খেয়াল করুন

ওরস্যালাইন বানানোর পাত্র, দ্রবণ নাড়ার চামচ, রোগীকে খাওয়ানোর পাত্র—সবই হতে হবে পরিষ্কার।

ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করা যাবে। তবে ফুটানো পানি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর তা দিয়ে স্যালাইন তৈরি করতে হবে, গরম থাকতে থাকতে নয়।

অর্ধেক পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে ওরস্যালাইনের প্যাকেটের অর্ধেকটা দিয়ে তৈরি করা যাবে না, করলে লবণের মাত্রার তারতম্য হয়ে যাবে।

প্যাকেটের স্যালাইন তৈরির ১২ ঘণ্টার মধ্যে শেষ না হলে তা আর পান করানো যাবে না (ঘরে তৈরি স্যালাইনের ক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টা)।

স্যালাইন গরম করা যাবে না।

ওরস্যালাইনের বদলে চালের তৈরি স্যালাইনও (রাইস স্যালাইন) সেবন করা যেতে পারে। ২৫০ মিলিলিটার বা ১ পোয়া পানির জন্য উপযোগী প্যাকেটের রাইস স্যালাইন পাওয়া যায়।

মনে রাখতে হবে, একবার বানানোর পর ওই স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খেতে পারবেন। এর বেশিক্ষণ থাকলে তা পান করা উচিন নয়।

কারণ ১২ ঘণ্টা পর সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এই স্যালাইন খাওয়ালে শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

অনেকেরই ধারণা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের স্যালাইন খাওয়া উচিত নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যালাইন মূলত লবণের ঘাটতি পূরণ করার কাজে ভূমিকা রাখে। শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে লবণের ভারসাম্য রক্ষা করাটা খুবই জরুরি।

আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীর প্রচুর লবণ হারাই। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরও ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে। এতে লবণের আধিক্য হবে না বা রক্তচাপও বাড়বে না।

অন্যদিকে স্যালাইনে গ্লুকোজের পরিমাণ ২০ গ্রামের বেশি নয়। তাই ডায়রিয়ায় স্যালাইন খেলে ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে শর্করা বাড়বে- এমন ধারণা ঠিক নয়। (সংগৃহীত)

Address

Monowara Doctors Chamber & Consultation Centre , 233/2(Baganbari Road, Besides IFIC Bank Sub-branch)
Dhaka
1219

Telephone

+8801722055922

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly:

Share