12/05/2025
এডেনোমায়োসিস ও বন্ধ্যাত্ব : সমাধান কেন এত চ্যালেঞ্জিং ?
জরায়ুর ভিতরের আবরনী ( এন্ড্রোমেট্রিয়াম) ভেঙে প্রতি মাসে মাসিক হয় । এই আবরনীর অংশ ( এন্ড্রোমেট্রিয়াম )শরীরের যেখানেই থাকুক সেখানেই মাসিক হয়। তা যদি জরায়ুর মাংসপেশির মধ্যে ঢুকে যায় সেখানেও মাসিক হয় প্রতি মাসে। ফলে প্রতিক্রিয়ায় জরায়ু ফুলে যায় । একেই এডেনোমায়োসিস বলে।
কারণসমূহ :
অ্যাডেনোমায়োসিস রোগ সৃষ্টির কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে-
১. যাদের অনেক সন্তান প্রসব হয়েছে (নরমাল বা সিজারিয়ানের মাধ্যমে) অথবা ডি এন্ড সি হয়েছে , বয়স ৩৫ এর উপরে, তাদের এডেনোমায়োসিস দেখা যায়। জরায়ুর ভেতরের আবরণী ভেঙে তা জরায়ুর মাংসপেশিতে প্রতিস্থাপিত হয়ে এ সমস্যা হয়।
২. যাদের কোন সন্তান নেই বা বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় আছেন তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ ধারনা করা হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য থাকলে জরায়ুর আবরনী নিজে নিজে ভেঙ্গে যায়, অথবা এন্ড্রোমেট্রিয়াম নিজে নিজেই মাংসপেশিতে তৈরী হয়।
লক্ষনসমূহ :
•বেদনাযুক্ত ঋুতুস্রাব
•অতিরিক্ত ঋতুস্রাব
•দীর্ঘস্থায়ী তলপেটে ব্যথা
•সহবাসের সময় ব্যথা – এই অবস্থাকে ডিসপারেউনিয়া বলা হয়
•বন্ধ্যাত্ব
এডোনোমায়োসিস ও বন্ধ্যাত্ব :
বর্তমানে বন্ধ্যাত্ব রোগীদের প্রচুর এডেনোমায়োসিস নির্ণয় হচ্ছে।এতে যেহেতু জরায়ুর স্বাভাবিক ভৌত গঠনের পরিবর্তন হয় ও জরায়ু নড়াচড়া অস্বাভাবিক হয় , তাই শুক্রানুর স্বাভাবিক গতি ও ভ্রণ প্রতিস্থাপন ব্যহত হয়।এছাড়া বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যালের উপস্থিতি ও ভালো কেমিক্যালের অনুপস্থিতিতেও ভ্রণ প্রতিস্থাপন মারাত্মক ব্যহত হয়।তাই এডেনোমায়োসিস থাকলে সন্তান ধারন ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়। এমনকি আই ভি এফ করলেও অন্যদের চেয়ে সফলতার হার কম।
রোগ নির্ণয়:
TVS , SIS
MRI
Histopathology ( অপারেশনের পরে)
চিকিৎসা :
যাদের সন্তান দরকার নেই তাদের রোগের লক্ষণ কমানোর জন্য NSAIDs , হরমোন , হরমোনযুক্ত আই ইউ সিডি অথবা জরায়ু ফেলে দেয়া যেতে পারে — রোগী চাইলে বা লক্ষণ না কমলে।কিন্তু সন্তান চাইলে তখন চিকিৎসা দেয়া একটু জটিল।হালকা এডেনোমায়োসিস থাকলে অল্প চিকিৎসায় সন্তান লাভ করা সম্ভব। তীব্র এডেনোমায়োসিস থাকলে হরমোন ইনজেকশন দিয়ে এডেনোমায়োসিস কমিয়ে , HIFU করে বা অপারেশন করে আক্রান্ত অংশ ফেলে উচ্চতর বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে , যেমন IUI বা প্রয়োজনে IVF । সমস্যা হচ্ছে ইনজেকশন দিলে বা অপারেশন করে ও এডেনোমায়োসিস পুরোপুরিভাবে অপসারণ বেশিরভাগই সম্ভব হয় না ।
ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা
এফসিপিএস ( প্রজনন হরমোন ও বন্ধ্যাত্ব)
এফসিপিএস ( গাইনী ও অবস)
এমবিবিএস ( ডিএমসি)
কনসালট্যান্ট
বন্ধ্যাত্ব বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার
Lumina IVF & Infertility Care
লেভেল -১০, ফিরোজ টাওয়ার
১৫২, পান্থপথ, ঢাকা
+880 17 1143 3330
সোম, মংগল ও বৃহস্পতিবার
বিকাল ৫ টা থেকে ৯টা