Prof. Dr. Qazi Mushtaq Hussain

Prof. Dr. Qazi Mushtaq Hussain Cancer Specialist
MBBS, (DMC), M. Phil (BSMMU)
Higher Training at Tata Memorial Cancer Hospital, Mumbai, India
St. Luke

স্বনামধন্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেন, প্রতিদিন ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি ...
27/11/2025

স্বনামধন্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেন, প্রতিদিন ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখছেন।

🩺 অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন: 10664

05/11/2025

নভেম্বর মাস - ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা মাস-----

বর্তমানে বিশ্বে প্রধান ক্যান্সার এই ফুসফুসের ক্যান্সার এবং ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর সংখ্যায়ও এটি সবচেয়ে বেশী। সাধারনত বয়স্কদের মধ্যে অর্থাৎ গড়ে ৭০ বৎসর বয়সে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী হলেও অল্প বয়সেও হতে পারে। উত্তর আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপ এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব বেশী হলেও পৃথিবীর সব অঞ্চলেই এই রোগ দেখা যায়। ধূমপান এই রোগের প্রধান কারণ। যারা নিজেরা ধূমপান করেন এবং যারা ধুমপায়ীর কাছাকাছি থেকে পরোক্ষ ভাবে ধূমপান করেন প্রত্যেকেই ঝুকিতে রয়েছেন। এছাড়া যারা এসবেষ্টস বা এ জাতীয় ডাস্ট তৈরীকারী কল কারখানায় কাজ করেন বা বিভিন্ন খনিতে কাজ করেন বা রেডন নামের ভারি গ্যাসের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকেন বা পরিবেশ দূষনের শিকার তারা প্রত্যেকেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকিতে রয়েছেন। তবে অন্যান্য ক্যান্সারের মত কোন কারন ছাড়াই এ রোগ হতে পারে।
সাধারণত কাশি , কাশির সাথে রক্ত যাওয়া, শ্বাস কষ্ট বা বুকে ব্যাথা এ রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে সেই অঙ্গে লক্ষন দেখা দেয়। যেমন জন্ডিস , বা অল্প আঘাতেই পা বা হাত ভেঙ্গে যেতে পারে; মাথা ব্যাথা, চোখে দেখতে অসুবিধা বা বমি হতে পারে। এছাড়াও শরীরে অনেক রকম লক্ষন দেখা দিতে পারে। যদি জ্বর কাশি বা উপরের কোন সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে সাথে সাথেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এই রোগ নির্নয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষা করতে হয়। প্রধানত সিরিঞ্জের সাহায্যে ফুসফুস থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা করে এই ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরন নির্নয় করা হয়। বিভিন্ন ধরণের ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষন এবং চিকিৎসার মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। এজন্য এই টিস্যু ডায়াগনোসিস খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এছাড়া রক্ত পরীক্ষা এবং রোগটি শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা দেখার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে হয়। এভাবে কিছু পরীক্ষার সাহায্যে নির্নয় করা হয় রোগের বিস্তার বা স্টেজ। অর্থাৎ এটি কি ফুসফুসের মধ্যেই আছে নাকি এর বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। কেননা এই স্টেজ এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসা। একেবারেই যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সার্জারী করেই এই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে ৫ বছর বেচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় ৭০ শতাংশ। আর যদি আরেকটু বিস্তৃত হয় তাহলে আগে কেমোথেরাপি দিয়ে টিউমারটিকে ছোট করে নিতে হয় এবং তার পড়ে সার্জারী এবং রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। এ সব ক্ষেত্রে ৫ বছর বেচে থাকার সম্ভাবনা কমে ৫০ থেকে ৩০ ভাগে নেমে আসে। আর যদি শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে চিকিৎসার পদ্ধতিটাই অন্যরকম হয়ে যায়। তখন ভালোহয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে ১৫ ভাগে নেমে আসে। দেখা যায় এই অবস্থায় রোগী চিকিৎসা নেবার মত সবল থাকেন না। চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ্য করতে না পেরে বরং আরও অসুস্থ হয়ে পরতে পারেন। তাই এই স্টেজে রোগীকে উপশম কারী বা কষ্ট কমানোর জন্য চিকিৎসা দেয়া হয়, যাকে প্যালিয়েটিভ চিকিৎসা বলা হয়। এভাবে চিকিৎসা নেবার পর রোগীকে নিয়ম মত ফলো আপ করতে হবে, যেন রোগটি আবার ফিরে আসার সাথে সাথেই নির্নয় করা যায় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়া যায়। বর্তমানে নতুন নতুন অনেক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং নিত্য নতুন ওষুধ আসছে ফলে আশা করা যায় অদুর ভবিষ্যতে আমরা এই মারন ব্যাধিকে জয় করতে পারবো। তাই এর আগেই আমাদের অবশ্য সতর্ক থাকতে হবে এবং এই রোগ থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা করতে হবে। আর তার প্রধান উপায় হলো ধুমপান না করা এবং অন্যকে এ থেকে বিরত রাখা। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী ধুমপান কমিয়ে ফেলার কারনে পশ্চিমা দেশগুলোতে ফুসফুস ক্যান্সার এর প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। তাই সবাই মিলে ধূমপান বর্জনের আন্দোলন গড়ে তুলুন। মনে রাখতে হবে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যায়বহুল এবং দীর্ঘ মেয়াদী। চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে গেলেও আবার তা ফিরে আসতে পারে। পরিবার সমাজ এবং দেশের অর্থনীতিতে এর বিরাট রকমের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তাই প্রধান কারন ধূমপান বর্জনই সহজ। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।

https://www.youtube.com/watch?v=Kdqw2fIh5NA
09/04/2025

https://www.youtube.com/watch?v=Kdqw2fIh5NA

প্রতি বছর ৭ এপ্রিল "বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস" পালন করা হয়। এ বছরের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “Healthy...

04/02/2025

ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে: অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেন

https://www.facebook.com/share/r/15anfZjHs5/

#ক্যান্সার

04/02/2025

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২৫.

01/02/2025



ক্যান্সার বার্তা
অধ্যাপক ডাঃ কাজী মুশতাক হোসেন
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, রেডিওথেরাপী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
সাবেক পরিচালক, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং হাসপাতাল।

ক্যান্সার প্রতিরোধে ৭ টি টিপস-
ক্যান্সারএকটি জটিল ও দুরারোগ্য রোগ। চিকিৎসা ব্যয়বহুল বলে অনেকেই চিকিৎসা করাতে পারেননা। তাই এর প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে পারলে সবার উপকার হয়। ব্যাপারটা যত কঠিন মনে হয়েছিল আসলে ততটা কঠিন নয়। জীবন যাপন পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন এবং নিয়মিত স্ক্রীনিং করলে প্রথমত প্রতিরোধ এবং দ্বিতীয়ত প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। প্রতিরোধ করা নিয়ে নানা রকম কথা থাকলেও বিভ্রান্ত না হয়ে জীবন যাপন পদ্ধতির সামান্য পরিবর্তন করে নিজেই এর উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারবেন। মাত্র ৭ টি বিষয়ে লক্ষ্য করে দেখতে পারেন এর উপকারিতা।
১। তামাক বর্জন করুন- সিগারেটবা বিড়ি অর্থাৎ ধূমপান বর্জন করুন। যেকোন প্রকারের ধূমপান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান করলে ফুসফুস, মুত্রথলি, কিডনি এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। চিবিয়ে খাওয়া তামাক যেমন গুল, খৈনি, জর্দা, ইত্যাদি মুখের ও গলার ক্যান্সারের কারন। তাই এই বিষ বর্জন করে আপনি অনেক গুলো ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তামাক বর্জন করা কোন কঠিন কাজ নয় , আপনার সদিচ্ছাই যথেষ্ট। প্রয়োজনে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেন।
২। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন- বাজার থেকে ভাল ভাল জিনিষ কিনে আনলেন কিন্তু সব খাবার কি স্বাস্থ্যসম্মত? খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হলে কান্সার ছাড়াও অন্য অনেক অসুখ থেকে রেহাই পাবেন। যেমন
প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি এবং দানাদার শস্য ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনাকে সাহায্য করবে।
তেল জাতীয় খাবার কম করে খাবেন। বিশেষ করে এনিমাল ফ্যাট যেমন গরু বা খাশির মাংশ, এগুলতে যদিও ক্যালরি বেশি কিন্তু এতে ওজন বৃদ্ধি পায় ফলে হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগের সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যদি আপনি মদ্যপানে অভ্যস্ত হন তাহলে তা একেবারেই নিম্নে কমিয়ে আনুন। কেননা মদ পানে স্তন কান্সার সহ অন্ত্র, কিডনি, লিভার এবং ফুসফুস এর ক্যান্সার হতে পারে।
৩। আপনার ওজন ঠিক রাখুন অর্থাৎ আপনার বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী যে ওজন থাকা উচিত সেই ওজন মেইনটেন করুন। এজন্য পরিমান মত খাদ্য গ্রহনের পাশাপাশি ব্যায়াম করুন বা হাটা হাটি করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করুন। বেশি ওজন স্তন কান্সার এবং কিডনি, প্রস্টেট গ্ল্যান্ড, ফুসফুস এর ক্যান্সার করে।
৪। সূর্য রশ্মি থেকে দূরে থাকুন- বিশেষ করে দুপুরের রোদ অর্থাৎ বেলা ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যতটা পাড়েন ছায়াতে থাকুন, এসময় সূর্যের আলোর তীব্রতা সবচেয়ে বেশী থাকে। রোদে গেলে ছাতা, সানগ্লাস ব্যাবহার করুন। ফুলহাতা ঢিলা জামা পড়ুন। সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন প্রয়োজন মত এবং বাড়ে বাড়ে। সূর্যস্নান পরিহার করুন।
৫। প্রতিশোধক টিকা গ্রহন করুন- বর্তমানে কতগুলো ক্যান্সারকে যৌনবাহিত রোগ বলা হয়। কিছুকিছু ভাইরাস এর টিকা গ্রহন আপনাকে ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। যেমন হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিন লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যারা যৌনবাহিত রোগের ঝুকিতে আছেন তাদের অবশ্যই এই টিকা নেয়া উচিত। এছাড়া হিউমান প্যাপিলমা ভাইরাস টিকা গ্রহন করলে জরায়ু ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই টিকা বর্তমানে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।

৬। ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ পরিবর্তন করুন–কিছু কিছু আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে বাঁচতে পারা যায়। যেমন নিরাপদ যৌন জীবন যাপন আপনাকে অনেক গুলো ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে যেমন জরায়ু মুখের , পায়ুপথের এবং মুখের ক্যান্সার। যারা বহুগামি তাদের কনডম ব্যবহার এবং ভাক্সিন গ্রহন জরুরী। কিন্তু এই অভ্যাস পরিবর্তন করলে নিরাপদ থাকা সম্ভব। এছাড়া একই সূচ এর সাহায্যে অনেকের ইনজেকশন গ্রহন ক্যান্সার এবং এইডস এর মত রোগ সংক্রমণ করে। যারা মাদকাসক্ত তারা এইসব রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

৭। শুরুতেই রোগ নির্ণয়ের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিন- আমরা যাকে বলি স্ক্রীনিং। অর্থাৎ নিজে নিজে এবং চিকিৎসকের সাহায্যে স্তন পরীক্ষা বা ত্বক, অন্ত্র বা কলোন, প্রস্টেট এবং জরায়ুমুখ পরীক্ষা করার মাধ্যমে এই স্থান গুলোর ক্যান্সার সহজেই বা সূচনাতেই শনাক্ত করা যায়। আর সূচনাতে ধরা পড়লে এই ক্যান্সার গুলোর নিরাময় করা যায়।
দেখা যাচ্ছে সামান্য কিছু ব্যপারে সতর্ক হলে বা পদক্ষেপ নিলে ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার কে প্রতিরোধ করা যায়। উন্নতদেশ সমুহে এই স্ক্রিনিং ব্যাপারটা ব্যাপক ভাবে চালু হয়ে গেছে। আমরা একটু সচেতন হলে আমাদের দেশেও এটা চালু করা সম্ভব। আমাদের সচেতনতা আমাদের রক্ষা করতে পারে। সচেতন হন, সুস্থ্য থাকুন।

Happy New Year 2025
31/12/2024

Happy New Year 2025

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিভিন্ন টেস্ট কেন করা হয়?
21/12/2024

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিভিন্ন টেস্ট কেন করা হয়?

26/11/2024

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফুসফুস ক্যানসারের কারণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা

অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেন
সাবেক পরিচালক, জাতীয় ক্যানসার গবেষনা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল I
সিনিয়র কনসালটেন্ট, ক্লিনিক্যাল ও রেডিয়েশন অনকোলজি I
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার

Address

26 Green Road
Dhaka
1205

Opening Hours

Monday 10:00 - 17:00
Tuesday 10:00 - 17:00
Wednesday 10:00 - 17:00
Saturday 10:00 - 17:00
Sunday 10:00 - 17:00

Telephone

+8801722439251

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prof. Dr. Qazi Mushtaq Hussain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Prof. Dr. Qazi Mushtaq Hussain:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category