23/01/2024
আইবিএস।।
কখনো ডায়রিয়া, কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য। কখনো আমাশয় দেখা যায়। এছাড়া উদ্বায়ু, পেট ফাঁপা, পেট ভারবোধ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা লেগেই থাকে। এ রোগের জন্য মানসিক চাপকে অনেক সময় দায়ী করা হয়।
আইবিএস রোগীদের নির্দিষ্ট কোনো খাদ্য তালিকা নেই। তবে রোগীদের চিহ্নিত করতে হবে কী ধরনের খাবারে তাদের সমস্যা হচ্ছে। ঠিক সেসব খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। রোগীকে শক্ত ও ভাজা খাবার না খেয়ে নরম আঁশবিহীন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যদি তাদের ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স বা দুধে অসহনশীলতা থাকে, তাহলে দুধ ও দুধজাত খাবার বাদ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সয়ামিল্ক ও সয়াবিনের তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে। এ ধরনের রোগীদের ভালো থাকার জন্য peppermint oil কার্যকরী।
আইবিএসের রোগীরা কিছু নিয়ম মেনে চলবেন। যেমন-
* আঁশবিহীন সবজি ও ফল খেতে হবে।
* পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
* ভাত-চালের রুটি-আলু-নুড্লস খাওয়া যাবে।
* খেতে হবে মাছ-ডিম-মুগডাল।
* অতিরিক্ত চর্বি ও মিষ্টি বাদ দিতে হবে।
* ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে।
* প্রতিদিনের খাবারে কাঁচা পেঁপে থাকলে ভালো হয়।
* কড়া চা-কপি যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
* বাসি খাবার না খাওয়াই ভালো।
* রান্নার ধরন হবে ভাঁপানো, সিদ্ধ ও গ্রিল।
* সালাদ ড্রেসিং, মেয়ানেজ, পনির বাদ দিতে হবে।
* প্রোবায়টিক হিসাবে দই খেলে ভালো হয়।
* কাঁচা রসুন, পেঁয়াজ, শসা, মুলা এবং ঝালযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
* নিয়মিত ও প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেতে হবে।
* রাত জাগা বন্ধ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
* প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার, তামাক, জর্দা, সিগারেট বাদ দিতে হবে।
* কোমল পানীয় ও অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে।
* প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এতে হজমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে সমস্যা বাড়িয়ে দেবে।
* মানসিক চাপ পরিহার করতে হবে।
সুস্থ থাকুন সবাই।।