Urologist & General Surgeon Dr Tajkera Sultana Chowdhury

Urologist & General Surgeon Dr Tajkera Sultana Chowdhury There are certain areas of a human body which is termed private specially women tends to hide any ki

 #পস্রাবের রাস্তায় যত সমস্যা।আমাদের মাঝে অনেকেরই প্রস্রাবজনিত নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। প্রস্রাবের সমস্যাগুলো হচ্ছে; যেম...
06/09/2025

#পস্রাবের রাস্তায় যত সমস্যা।
আমাদের মাঝে অনেকেরই প্রস্রাবজনিত নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। প্রস্রাবের সমস্যাগুলো হচ্ছে; যেমন প্রস্রাবে কষ্ট, জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা, প্রস্রাবকালীন ঝরা, বিছানায় প্রস্রাব ইত্যাদি। প্রত্যেক ধরনের সমস্যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আর চিকিৎসার পূর্বে অবশ্যই কারণ জানা দরকার, তা না হলে সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা হবে না।

মূত্রথলির সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনের কারণ হচ্ছে, মূত্রথলির প্রদাহ; যা কিনা ইনফেকশন, রেডিয়েশন, কেমিক্যাল প্রয়োগ, ক্যাথেটার প্রয়োগ করানো, পাথর জমা ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে। যদি মূত্রনালির মাংসগাত্রে টিউমার বিস্তার লাভ করে কিংবা সংলগ্ন অঙ্গ যেমন প্রস্টেটগ্রন্থি, মলনালি, জরায়ু ইত্যাদির টিউমারের বিস্তারের কারণে প্রস্রাবকালীন কষ্ট বেশি করে দেখা দিতে পারে। কারো হয়তো বার্ধক্যজনিত কারণে হচ্ছে, করো ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগব্যাধির কারণে রয়েছে আবার কারো হয়তো মানসিক সমস্যার কারণে অসুবিধা দেখা দিয়েছে।

* যখন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মূত্রথলিতে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়; বিশেষ করে মেয়েদের সৃষ্টি হয়। তখন মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। দেখা যাবে দিন ও রাতে সবসময়ই ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। দেখা যাবে দিন ও রাতে সমসময়ই ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে। সেই সাথে প্রস্রাব করাকালীন জ্বালাপোড়ার জন্য কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সাথে রক্তও আসতে পারে। অন্যদিকে পুরুষদের বেলায় তাদের প্রস্টেটগ্রন্থির প্রদাহ হলে অথবা মূত্রথলি প্রস্টেটগ্রন্থির প্রদাহ থাকে, তাহলে তলপেটে, কুঁচকিতে, মলদ্বারের আশপাশে, মলদ্বারে অ-কোষ ও পুরুষাঙ্গে হালকা মাত্রার ব্যথা আরো ব্যথার ন্যয় অনুভূতি দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা প্রস্রাব করাকালীন অথবা বীর্যস্খলনের সময় ছাড়া অন্য সময়েও দেখা দিতে পারে।

* মানসিক সমস্যার কারণে মূত্রথলির প্রদাহ মধ্যবয়স্ক ও বার্ধক্যে দেখা যায়। অনেক মহিলাই অভিযোগ করে থাকেন যে, তার তলপেটে অথবা যৌনাঙ্গে হালকা ব্যথা হচ্ছে, দিনের বেলায় ঘন ঘন প্রস্রাব হলেও রাত্রে প্রস্রাব আবার ঘন ঘন হচ্ছে না। প্রস্রাব পরীক্ষায় কোনো ইনফেকশন পাওয়া যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন যাবত থেকে থাকতে পারে; কিন্তু কোনো কারণ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ সমস্যাগুলোকে তাই মানসিক কারণ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
* যাদের প্রস্রাবকালীন জ্বালাপোড়া বা কষ্ট থাকে, তাদের চিকিৎসার পূর্বে ভালো করে পরীক্ষা করা উচিত; বিশেষ করে বর্তমান ছাড়াও পূর্বে কোনো প্রস্রাবের অসুবিধা ছিল কিনা মহিলাদের পেলভিক ফ্লোর এর পরীক্ষা এবং পুরুষদের বেলা প্রস্টেট পরীক্ষা অতীব জরুরি, তাছাড়া শারীরিক পরীক্ষা তো অবশ্যই করতে হবে। প্রস্রাব পরীক্ষা, প্রস্টেটগ্রন্থির নিঃসরণ পরীক্ষা এ ধরনের রোগীদের অবশ্যই করা উচিত। আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে রোগীর আনুষঙ্গিক উপসর্গের ওপর; যেমন রোগীর এ সমস্যা বারে বারে হয় কিনা, সাথে জ্বর থাকে কিনা ইত্যাদি। এগুলো প্রস্টেটগ্রন্থির তাৎক্ষণিক প্রদাহ হলে বেশি দেখা দেবে প্রস্রাবে ইনফেকশনের তুলনায় বার্ধক্য বয়সে রক্তে সিরাম এসিড ফসফেটেজ বেড়ে গেলে প্রস্টেটগ্রন্থির ক্যান্সার বেড়ে যেতে পারে। শারীরিক পরীক্ষার সময় বস্তি দেশে কিংবা মলদ্বারের টিউমার আছে কিনা বা ব্যথা, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যায় কিনা ইত্যাদিও দেখা দরকার। যদি শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত ও কারণ নির্ণয় কিংবা রোগ শনাক্ত করা না যায়, তাহলে প্রস্রাব ও প্রস্টেটগ্রন্থির নিঃসরণ কালচার করে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর উপস্থিতি নিশ্চিত করা উচিত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি দিয়ে মূত্রথলির, মূত্রনালির ইত্যাদির অবস্থাও স্বচক্ষে দেখে রোগের কারণ নির্ণয় করা যেতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এ সমস্যাগুলো মূত্র সংবহনতন্ত্রের যে কোনো অংশের প্রদাহ কারণেও হয়ে থাকে। যদি মারাত্মক ইনফেকশন হয়ে থাকে, তখন মূত্রথলিতে অল্প কিছু প্রস্রাব থাকলেও সবসময় প্রস্রাব করার ইচ্ছা বাড়বে। ঘন ঘন প্রস্রাব ও রাতে যদি প্রস্রাব হওয়ার কারণ হচ্ছে যথা মূত্রনালির ধারণ ক্ষমতা কমে যাবে বিভিন্ন রোগের কারণে অথবা মূত্রথলি সম্পূর্ণভাবে খালি না হয়ে থাকে ফলে মূত্রথলিতে বেশি পরিমাণ প্রস্রাব থেকে যাবে। রাত্রিকালীন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা হৃদরোগের কারণে কিডনির অকার্যকারিতায় ওষুধ ব্যবহারে শারীরিক হাত ও পা ইত্যাদি ফুলা কমাতে গিয়ে, রাতে বেশি করে পানি খাওয়া এলডোসটেরন নামক এক ধরনের হরমোনের রক্তে বেড়ে গেলে ইত্যাদ বহুবিদ কারণে রাত্রে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। এবার আসি ঘুমের মাঝে কেন অনেকে প্রস্রাব করে থাকে এ ব্যাপারে। আমাদের দেহের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশের স্নায়ুতন্ত্র বাচ্চাদের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তাই ২ বছর পর্যন্ত বিছানায় প্রস্রাব করা একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার। যেহেতু আড়াই বছরের মধ্যেই স্নায়ুতন্ত্রে পরিপক্বতা আসে না, তাই পায়খানা ও প্রস্রাব ধারণ করার ক্ষমতা মস্তিষ্ক থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
স্বাভাবিক অবস্থায় এ বয়সের পরে বিছানায় প্রস্রাব করার কথা নয়। তাই ৩ বছরের পরে বিছানায় প্রস্রাব করার কথা নয়। তবে ৩ বছরের পরও শতকরা ১০ ভাগ ক্ষেত্রে এ সমস্যা থাকতে পারে, যা কিনা বংশ কারণে দেরিতে মূত্রনালির নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যদি বেশিরভাগ বাচ্চার বয়ঃসন্ধির পূর্বেই এ সমস্যা আর থাকে না, তবে যাদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে; যেমন মূত্র সংবহনতন্ত্রের ইনফেকশন কোথাও কোনো বাধা রয়েছে তাদের প্রস্রাব উপচেপড়া এবং ঝরার সমস্যা থাকতে পারে। মূত্রথলির স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণে প্রস্রাব বেশি হতে পারে; যার ফলে মূত্রথলির ওভারলোডেও হতে পারে।
উপরোক্ত কারণগুলো যদি ৩ বছরের বেশি বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করে থাকে, তাহলে আবার বিবেচনায় আনতে হবে। তবে যাদের শারীরিক রোগ রয়েছে, তাদের শুধু রাত্রীকালীনই প্রস্রাবের সমস্যা থাকে না; দিবা ভাগে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাদের কোনো কারণ নেই, প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিলে সেটি মারাত্মক হিসেবে চিন্তা করতে হবে। বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিতে পারে। কোনো মারাত্মক ইনফেকশন, টিউমার, পাথর স্ট্রোক, রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া সমস্যা, মূত্রনালিতে আঘাত পাওয়া ইত্যাদি। যদি প্রস্রাবের প্রথম দিকে রক্ত আসে, তাহলে বুঝতে হবে মূত্রনালির সম্মুখের অংশে সমস্যা রয়েছে অথবা প্রস্টেটগ্রন্থির সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে রক্ত যদি প্রস্রাবের শেষ ভাগে দেখা দেয়, তাহলে মূত্রনালির পশ্চাৎ ভাগে সমস্যা রয়েছে বুঝতে হবে অথবা মূত্রথলির কোনায় রয়েছে। রক্ত যদি সমস্ত প্রস্রাবের মাঝে মিশে আসা শুরু করে তবে কিডনি মূত্রথলি অথবা কিডনিনালিতেও এরকম সমস্যা হতে পারে। পরিশেষে প্রস্রাবের যে কোনো সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন রোগে না ভুগে বিশেষ তত্ত্বাবধানে সঠিক চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #প্রসব জনিত ফিস্টুলা প্রতিস্থাপনের সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ সহরওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৬ষ্ঠ তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। এপয়নটমেনট নিতে ফোন করুন 01921503847 ও 01989997180 এই নম্বরে দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। চেম্বার লোকেশনঃ https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9






Medical Center

পেইজের পক্ষে থেকে প্রানঢালা অভিনন্দন আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের প্রথম ফিমেল ইউরোলজিস্ট ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী কে সহযোগ...
28/08/2025

পেইজের পক্ষে থেকে প্রানঢালা অভিনন্দন আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের প্রথম ফিমেল ইউরোলজিস্ট ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী কে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পাওয়া জন্য। মহান রাব্বুলআলামিন এর কাছে আপনার শারীরিক সুস্থতা কামনা করি।

"অনিচ্ছাকৃত মূত্রস্রাব একটি নিরাময় যোগ্য মেয়েলি সমস্যা ও তার সমাধান"এটি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স (Urinary incontinence) ন...
17/08/2025

"অনিচ্ছাকৃত মূত্রস্রাব একটি নিরাময় যোগ্য মেয়েলি সমস্যা ও তার সমাধান"
এটি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স (Urinary incontinence) নামেও পরিচিত। এ অবস্থায় ব্যক্তি মূত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। এমনকি সাধারণ হাঁচি বা কাশি দেওয়ার ফলেও হঠাৎ করে মূত্রত্যাগ করে ফেলে বা মূত্রত্যাগের চাপ অনুভব করে। এই সমস্যার কারণে দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের অস্বস্থিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে অভ্যাসগত বিভিন্ন পরিবর্তন ও চিকিৎসার সাহায্যে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
হাঁচলে বা কাশলে প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। প্রস্রাব পেলেই তাড়াতাড়ি টয়লেটে ছুটতে হয়। তা সত্ত্বেও মাঝে মাঝে কাপড় ভিজে যায়। অনেক মহিলাই এই বিরক্তিকর সমস্যার মুখোমুখি হন। পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি অন্তত কুড়ি শতাংশ মহিলাই ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স বা প্রস্রাব ধরে রাখার অক্ষমতায় ভোগেন। এ ভাবে বাঁচা সত্যিই দুর্বিসহ। বাইরে বেরনোই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটি যেহেতু কোনও মারণব্যাধি নয়, তাই চিকিৎসার গরজ অনেকেই করেন না। তাছাড়া ব্যাপারটা অস্বস্তিকর বলে অনেকেই ব্যাপারটা চেপেও রাখেন। কারও সঙ্গে এটা আলোচনাও করেন না। বয়স বাড়তে থাকলে মেনোপজের কাছাকাছি সময় এসে গেলে ইউরিন ধরে রাখার অক্ষমতা বাড়ে। তবে এই সমস্যা শুধু যে বয়স্কদের হয়, তা কিন্তু নয়।
কেন এ রকম হয়ঃ
নর্ম্যাল ডেলিভারি হলে এ রকম হতে পারে। তবে ভাববেন না, সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে এমনটা আর হবে না। যে মহিলার সন্তান হয়নি, তাঁরও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স দুই রকম। আর্জ ইনকন্টিনেন্স আর স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স। আর্জ ইনকন্টিনেন্স থাকলে পেশির দেওয়ালের সক্রিয়তা কমে যায়। তার জন্য প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সে শারীরিক কসরত করলেই প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। যেমন, হাসলে কাশলে এমনকি দৌড়ালেও ইউরিন বেরিয়ে আসতে পারে।
চিকিৎসাঃ
দিনে কত বার টয়লেটে যেতে হচ্ছে, রাতে ক’বার উঠতে হয়- এসবের ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। এর কার্যকরী চিকিৎসা হল মূত্রাশয় বা ব্লাডারের উপযুক্ত ট্রেনিং।
এতে দিনে কয় বার প্রস্রাব করলেন, তা নোট করতে বলা হয়। আর সবচেয়ে কম কত সময় প্রস্রাব না করে থাকতে পারেন তা-ও বলা হয়। এটা চিকিৎসার প্রথম অবস্থা। এর পর রোগীকে বলা হয়, চেষ্টা করুন বেগ এলেও কিছুক্ষণ প্রস্রাব না করে থাকতে। যিনি তিরিশ মিনিট প্রস্রাব ধরে রাখতে পারেন, তাঁকে বলা হয় ৩৫ মিনিটের আগে কোনও মতেই বাথরুম যাওয়া হবে না। কাপড় ভিজলেও না। নিষ্ঠুর শোনালেও এর উদ্দেশ্য আদতে মনের জোড় বাড়ানো। দুই-চার দিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। ৯০% মহিলারই আর কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না।
তবে ওষুধ প্রয়োগ করেও ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব। এই ধরনের সমস্যা হলে মানসিক ভারসাম্য অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। পারিবারিক ও কাজের ক্ষতি হয়। এ সব ক্ষেত্রে যোগাসন, সাইকোথেরাপি এবং হিপনোসিসও ভাল ফল দিতে পারে।
পেলভিক ফ্লোরের পেশির দুর্বলতার জন্যই যেহেতু এ রকম সমস্যা হতে পারে, তাই পেশির জোর বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে চেষ্টা করা হয় মূত্রথলি বা ব্লাডারের সাপোর্ট দেওয়া। পেলভিক ফ্লোরের এক্সারসাইজ শেখাবেন এক জন অভিজ্ঞ ফিজিয়োথেরাপিস্ট। যে পেশিগুলোর সংকোচন শেখানো হয়, সেগুলি আসলে মূত্র ত্যাগের মাঝখানে প্রয়োজনে মূত্রত্যাগ বন্ধ করতে পারে। অল্প স্বল্প ইউরিন ইনকন্টিনেন্স থাকলে তা সারাতে এই পেলভিক ফ্লোরের পেশির এক্সারসাইজের জুড়ি নেই। যতক্ষণ ব্যায়াম, তত ক্ষণ ভাল থাকবেন। বন্ধ করলেই পেশির টানটান ভাব কম। উপসর্গ আবার ফিরে আসবে।
তবে ব্যায়ামে সমাধান না হলে সার্জারির দরকার হয়। একই উদ্দেশ্য সাধন সম্ভব টেনশন ফ্রি ভ্যাজাইনাল টেপ-এ। এতে ভ্যাজাইনা দিয়ে একটি পাতলা টেপ প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। তা প্রস্বাবের থলি বা ব্লাডারকে ওপরের দিকে টেনে তোলে। যার ফলে হাঁচলে কাশলে বা কোনও রকম পেটে চাপ পড়লেও প্রস্রাবের থলির মধ্যে যে প্রেসার আছে, তা প্রস্রাবের রাস্তায় চলে আসতে পারে না। কারণ তাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এখন অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোলোজেন জাতীয় ইনজেকশন দিয়ে ইউরেথ্রার কোষ কলাকে সাপোর্ট দেওয়া হয়।
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স থাকলে কী করবেন?
সারা দিনে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা কমাতে হবে।
ক্রনিক কাশিতে ভুগলে সমস্যা বাড়ে। ফলে সেটা কমাতে হবে।
মোটা হয়ে যাওয়া ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্সের অন্যতম কারণ।
সবথেকে বড় কথা, এই সমস্যা তৈরি হলে তা চেপে না রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তাতেই সমস্যা মিটবে।
তাই যেসব মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা থাকে তারা নিজেদের মধ্যে চেপে না রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালেই আপনি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স রোগের চিকিৎসা নিতে পারেন। এজন্যে লজ্জার খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন এবং গোপন শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করুন।
নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








আপনি কি জানেন কিছু কিছু অসুখ যেমন  #প্রস্রাবে ইনফেকশন,  #জ্বালাপোড়া,  #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা,  #পস্রাবের সাথে ...
16/08/2025

আপনি কি জানেন কিছু কিছু অসুখ যেমন #প্রস্রাবে ইনফেকশন, #জ্বালাপোড়া, #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #পস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, #মুত্রথলির বা মূত্রনালীর পাথর শুধু কি ছেলেদের হয়? জী হাঁ ঠিক ধরেছেন অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ মা বোনেরাও কিন্তু একই ঝুঁকির আওতায়। উল্লেখিত বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম #মহিলা #ইউরোলজিস্ট

নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








ফেলে আসা সোনালী দিন গুলো ভাবছিলাম নিজের বিষয়ে অনেকদিন কিছু বলা হয় না দেখতে দেখতে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মজীবনের পঁচিশ ...
14/08/2025

ফেলে আসা সোনালী দিন গুলো
ভাবছিলাম নিজের বিষয়ে অনেকদিন কিছু বলা হয় না দেখতে দেখতে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মজীবনের পঁচিশ বছর পার করে আসলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রফেশনাল ডিগ্রী টাকে এমবিবিএস বলা হয় তবে বাংলাদেশে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে গেলে আরো কিছু অতিরিক্ত যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা তথা মন মানসিকতার ও পরিবর্তন হয়ে গেছে তবে এর জন্য একটি রেফারেল সিস্টেম তৈরি না হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ভাবে জনসাধারণের চাহিদা তারা সবচেয়ে বড় ডাক্তার যিনি যেই রোগের চিকিৎসা প্রদানের জন্য আছেন তার সাথে কনসাল্ট করবেন। সমস্যা হচ্ছে ডাক্তার যত পপুলার হবে তার রুগীর সংখ্যা বাড়বে ততটা রোগীর প্রতি প্রপার মনোযোগী হওয়া আর সম্ভব হয় উঠে না। সাধারণ জিপি প্রাক্টিস থেকে শুরু করে জটিল সব রোগে সবাই চায় সবচেয়ে সিনিয়র মোস্ট ডাক্তারের পরামর্শ নিতে।
আমার প্রথম প্রফেশনাল ডিগ্রীর পর জেনারেল সার্জারিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করলাম। যেহেতু উন্নত বিশ্বের সার্জারি ও মেডিসিন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার পরে যারা আরো বেশি দক্ষতা অর্জন করতে চায় তাদেরকে আরো বেশি ন্যারো ডিসিপ্লিন খুঁজতে নিতে হয় তাই আমিও নিজেকে এভাবে তৈরি করতে গিয়ে দেখলাম ইউরোলজিতে আগে কখনো কোনো মহিলা ডাক্তার উচ্চ ডিগ্রি নিতে আগ্রহ ছিল না তাই আমি ইউরোলজিতে আমার প্রফেশন সুইচ করার চিন্তা করি। এটা পরবর্তীতে আমার ইন্টার্ন শেষ হবার পরবর্তী ধাপগুলোতে যখন পোস্ট গ্রাজুয়েট পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য যে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের দরকার ছিল তখন একটা স্বল্পমেয়াদি এটাচমেন্ট ছিল বাংলাদেশের বিখ্যাত ইউরোলজিস্ট প্রফেসর আব্দুস সালাম আব্দুস সালাম আরে প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে।
ইউরোলজিতে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের এই যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। কেননা যেহেতু দীর্ঘ সময়ে এই ডিসিপ্লিনে কোন মহিলা বিশেষজ্ঞ তৈরি হয় নাই তাই আমার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি এত সহজ ছিল না। এই যাত্রায় যেমন ছিল একজন লিজেন্ডারি ইউরোলজি প্রফেসরের সাহায্য সহযোগিতা ও সমর্থন একইভাবে কোর্স লেভেলে এর বিপরীত টাও আমাকে সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক সময় মনে হতো উচ্চতর ডিগ্রিটা সম্ভবত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় থেকে অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে। এরই ফলশ্রুতিতে সব রকমের প্রস্তুতি ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও একটা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে অর্থাৎ বিভাগীয় প্রধান রিটারমেন্টে যাওয়ার পর আমার উচ্চতর ডিগ্রিটা হাসিল করতে পেরেছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আমার পথচলা কে সহজ দেয়ার জন্য। পরবর্তী বিষয়টা ছিল আরো ভয়ংকর যেহেতু আমার সার্জারি ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল তাই ইউরোলজি ডিসিপ্লিন এর প্রবিনদের সমর্থন পাওয়া অনেক কঠিন ছিল এবং হাতে কলমে কাজ শেখার সুযোগ প্রায় শূন্য ছিল। বাধ্য হয়ে নিজের প্রচেষ্টায় কোন রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেয়েও দেশের বাইরে স্বনামধন্য ইউরোলজিস্টদের সান্নিধ্যে থেকে স্বল্পমেয়াদী বেশ কিছু রেসিডেন্সির কোর্স এর মাধ্যমে ইউরোলজি বিষয়ে চিকিৎসা প্রদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার প্রয়োগের সুযোগ পাই। এই সুযোগ্য মূলত দুইভাবে এসেছে তা হচ্ছে স্বল্পমেয়াদি রেসিডেন্সি কোর্স আর অপরটি হচ্ছে বিভিন্ন ছোট ছোট কনফারেন্স লাইভ সার্জারি ডেমোনস্ট্রেশন এবং বিভিন্ন দেশে ওয়ার্কশপে যোগদানের মাধ্যমে।
আমার এই ক্ষুদ্র কর্মজীবনে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে অনেকগুলো জেলা ও বিভাগীয় শহরে এবং ঢাকার বড় বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার তথা বেসরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার সুযোগ হয়েছে। এপয়ন্টমেন্ট নিতে চাইলে রোগীদের প্রথম প্রশ্ন ডাক্তার ম্যাডাম কোন হাসপাতালে প্র্যাকটিস করে রোগীদের এই সাইকোলজি বুঝতে পেরে বেসরকারি পর্যায়ে যারা চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ করেন তারা হাসপাতাল তথা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের আকর্ষণ করে বিনিময়ে তাদের চাহিদা থাকে ওই চিকিৎসকের মাধ্যমে একটা পেশেন্ট এর কাছ থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা সেটা তার চিকিৎসার প্রয়োজন হোক বা না হোক যেহেতু তারা বিনিয়োগকারী তাদের একমাত্র চাহিদা দ্রুত বিনিয়োগ তুলে উচ্চ মাত্রায় প্রফিট করা সমস্যাটা হচ্ছে এই অনিয়ম টার দ্বায়বদ্ধতার বিষয় টি ব্যবসায়ীদের না হয়ে অযৌক্তিকভাবে ডাক্তারের উপরই ন্যস্ত হয়। এই সম্পূর্ণ কর্মজীবনে যতো প্রতিষ্ঠানে আমি আমার প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছি সবখানে আমার সাথে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট ছিল। কারণ প্রয়োজন ছাড়া আমি আজ পর্যন্ত কখনো অতিরিক্ত টেস্ট রিকমেন্ট করি নাই এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক যতটুকু ন্যূনতম পরীক্ষার দরকার যা না করলে মেডিকেল এথিক্সের পরিপন্থী হয়ে যেতে পারে ততটুকু অবশ্য পালন করি যার কারণে সেটা হোক ঢাকা ঢাকার বাইরে বড় বড় শহরে আজ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে আমি চেম্বার কন্টিনিউ করতে পারি নাই শুধুমাত্র এই কনফ্লিক্ট ওফ ইন্টারেষ্ট এর জন্য। দিনের শেষে চিকিৎসা প্রদান কিন্তু আমার একমাত্র পেশা। এই পর্যায়ে আসার জন্য স্কুল জীবন বারো বছর এমবিবিএস পাচ বছর ইন্টার্নশীপ এক বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য আড়াই বছর বিনা বেতনে প্রশিক্ষণ এরপর রেসিডেন্সি ট্রেনিং চার বছর সর্বমোট আনুমানিক পঁচিশ বছর পড়াশোনায় থাকতে হয়েছে।

ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








কিডনির রোগ দমনের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি কারন বিকল হওয়ার আগে আপনার কিডনি আর  কোন সুযোগই দিবে না। আমাদের দেহের বিভিন্ন গুরুত...
09/08/2025

কিডনির রোগ দমনের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি কারন বিকল হওয়ার আগে আপনার কিডনি আর কোন সুযোগই দিবে না।
আমাদের দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে কিডনি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। মূলত এটা আমাদের শরীরে একধরনের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে থাকে। এই মহা দরকারি জটিল যন্ত্র আমাদেরকে কোনো লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই স্থায়ী ভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে।
যার আসল কাজ আমাদের শরীরে একদিনে ২০০ লিটার রক্ত ছাঁকে, দেহ থেকে ২ লিটার টক্সিন নির্গত করা, শরীর থেকে বেঁচে যাওয়া পানি মূত্র হিসেবে নির্গত করা।
কিডনি আমাদের শরীরে হরমোন রিলিজ করে, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত উৎপাদন করে ও সুস্থ হাড় গঠনে সাহায্য করে। তাই কিডনিকে সবসময় ভালো রাখতে অবশ্যই আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ

প্রতিরোধ করবেন যেভাবে –
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। আবার যাঁরা খুব বেশি দৈহিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের প্রতিদিনের পানির চাহিদা আরও বেশি।
আর যাঁদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়, তাঁদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। কামরাঙা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার কিডনি ভালো আছে কি না তা জানার জন্য অন্তত একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।
এছাড়াও –
১। প্রতিদিন অবশ্যই ৭-৮ গ্লাস পানি খাবেন।
২। প্রস্রাব কখনোই চেপে রাখবেন না। এতে ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে।
৩। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
৪। আপনার বয়স চল্লিশ বছরের বেশি হয়ে গেলে নিয়মিত বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস ও ব্লাড প্রেশার চেক করান।
৫। ডায়বেটিস বা ব্লাড প্রেশার থাকলে তা নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
৬। বছরে দুই একবার প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করান।
৭। বাইরের বিভিন্ন ধরণের খাবার ও যেকোন কোমল পানীয় খাওয়া থাকে বিরত থাকুন। তথ্য সূত্র ইন্টারনেট।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








Medical Center

24/07/2025

The health-related advisory live program 'Sustho Thakun'

Dr. Tajkera Sultana Chowdhury
Assistant Professor
Urology Department
Shaheed Suhrawardy Medical College

Host: Dr. Bayzid Amin
Producer: Dipu Hazra

Stay tuned to watch the live show
Friday (25July, 2025) at 11:30 AM

স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি কমানোর কৌশল:বর্তমানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য ক্যান্সা...
19/07/2025

স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি কমানোর কৌশল:
বর্তমানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন অধিকাংশ নারীরা। এমনকি পুরুষরাও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। জরিপে দেখা যায় প্রতি ২৮ জন নারীর মধ্যে ১ জনের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে। রুখে দিতে হবে এই মারাত্মক রোগটিকে।
তবে আসুন জেনে নিন স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে কী কী স্বাস্থ্যবিধি ও সাবধানতা নিতে পারেন।

১. শারীরিক কাজকর্ম করুন: ক্যান্সার স্পেশালিষ্টদের মতে শারীরিক পরিশ্রম করলে স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা যায়। শারীরিক পরিশ্রম দেহের ফ্যাট কোষের সংখ্যা কমায়। ফ্যাটকোষগুলো ওএস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন নামক একপ্রকার হরমোন নিঃসরণ করে।
এই ফ্যাট কোষগুলো টিউমার হতে সহায়তা করে। তাই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে শারীরিক পরিশ্রমের বিকল্প নেই। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের শারীরিক পরিশ্রম স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবন কমায় ২০% পর্যন্ত।
২. এলকোহল জাতীয় পানীয় ত্যাগ করুন: অ্যালকোহল দেহে ক্যান্সারের কোষের জন্ম এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই মদ্যপানকে না বলুন। স্তন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৩. দেহের কলেস্টোরলের মাত্রা কমান: দেহের খারাপ কোলেস্টোরল স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কোলেস্টোরলের মাত্রা বেড়ে গেলে দেহে ইনভ্যাভাস ড্যাকটাল কারসিনোমিয়ার উৎপত্তি হয় যা স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাই কোলেস্টোরলের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন এবং কোলেস্টোরল যুক্ত খাদ্য থেকে দূরে থাকুন।
৪. সূর্যের আলোতে যান: প্রাকৃতিক উপাদান সব সময়েই আমাদের দেহের জন্য ভালো। ব্যতিক্রম নয় সূর্যের আলোও। সকালের সূর্যের আলো আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।
এতে করে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। গবেষণায় পাওয়া যায় ভিটামিন ডি স্তনের কোষে এক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধী হরমোনের তৈরি করে যা ক্যান্সারের কোষ গঠন প্রতিরোধ করে। তবে অবশ্যই সকাল ৯ টার পর থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। তথ্য সূত্র ইন্টারনেট।

ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সহরওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৬ষ্ঠ তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। এপয়নটমেনট নিতে ফোন করুন 01921503847 ও 01989997180 এই নম্বরে দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। চেম্বার লোকেশনঃ https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9






Medical Center

Herbal medicine  for UTI আমলকী ভিটামিন সি পূর্ণ ফল, এটি ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধিকে রোধ করে। UTI চিকিতসায় এটি কার্যকরী।এক কাপ...
10/07/2025

Herbal medicine for UTI
আমলকী ভিটামিন সি পূর্ণ ফল, এটি ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধিকে রোধ করে। UTI চিকিতসায় এটি কার্যকরী।
এক কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ও এক টেবিল চামচ হলুদ মেশাতে হবে। এই মিশ্রণকে পানিতে ফুটাতে হবে যতক্ষণ না অর্ধেক হয়। অবশিষ্ট অংশ দৈনিক ৩ বার খেতে হবে। ৩ থেকে ৫ দিন এটা করতে হবে।
এছাড়া পাশাপাশি লেবু, কমলা, কলা, পেয়ারা, তরমুজ, টমেটো পেঁপে, কিউই, রাস্পবেরি জাতীয় ভিটামিন সি পূর্ণ ফল খাওয়া যেতে পারে।
Herbal medicine 2:
আপেল সিডার ভিনেগার এ উৎকৃষ্ট enzyme, পটাশিয়াম ও প্রয়োজনীয় খনিজ আছে যেটা (uti) ইউরিনারী ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াকে বাড়তে দেয় না। আপেল সিডার ভিনেগার uti চিকিতসায় অনেকটা প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, সাথে লেবু রস এবং মধু মেশানো যাবে। ভালো করে মিশিয়ে এটা দিনে ২বার কিছুদিন খেলে উপকার হবে।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সহরওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৬ষ্ঠ তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। এপয়নটমেনট নিতে ফোন করুন 01921503847 ও 01989997180 এই নম্বরে দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। চেম্বার লোকেশনঃ https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9






Medical Center

শরীরের বর্জ্য বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম পস্রাব ও তার নানাবিধ সমস্যা।পস্রাব বিষয়ে প্রচলিত প্রায় সব ধরনের সমস্যা সমূহ...
25/05/2025

শরীরের বর্জ্য বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম পস্রাব ও তার নানাবিধ সমস্যা।পস্রাব বিষয়ে প্রচলিত প্রায় সব ধরনের সমস্যা সমূহের বিবরন পেশ করার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। যদি এ ধরনের কোন লক্ষণ আপনার মধ্যে খুঁজে পান অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করবেন আশা করি।
আমাদের মাঝে অনেকেরই প্রস্রাবজনিত নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। প্রস্রাবের সমস্যাগুলো হচ্ছে;
যেমন
প্রস্রাবে কষ্ট, জ্বালাপোড়া,
ঘন ঘন প্রস্রাব,
প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা,
প্রস্রাবকালীন ঝরা,
বিছানায় প্রস্রাব ইত্যাদি।
প্রত্যেক ধরনের সমস্যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আর চিকিৎসার পূর্বে অবশ্যই কারণ জানা দরকার, তা না হলে সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা হবে না।
প্রস্রাব ধারণের যে আধার রয়েছে, যাকে মূত্রথলি বলা হয়ে থাকে। কোনো কারণে যদি এর সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যায়, তখনই ঘন ঘন প্রস্রাব, ঘুমের মাঝে প্রস্রাব এবং দ্রুত প্রস্রাবের বেগ চাপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মূত্রথলির সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনের কারণ হচ্ছে, মূত্রথলির প্রদাহ; যা সাধারণত ইনফেকশন, রেডিয়েশন, কেমিক্যাল প্রয়োগ, ক্যাথেটার প্রয়োগ করানো, পাথর জমা ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে। যদি মূত্রনালির মাংসগাত্রে টিউমার বিস্তার লাভ করে কিংবা সংলগ্ন অঙ্গ যেমন প্রস্টেটগ্রন্থি, মলনালি, জরায়ু ইত্যাদির টিউমারের বিস্তারের কারণে প্রস্রাবকালীন কষ্ট বেশি করে দেখা দিতে পারে।
সমস্যাগুলো দুই ধরনের যেমন
বার্ধক্যজনিত কারণে,
বিভিন্ন রোগব্যাধির কারণে অথবা মানসিক সমস্যার কারণে।

* যখন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মূত্রথলিতে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়; বিশেষ করে মেয়েদের সৃষ্টি হয়। তখন মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। দেখা যাবে দিন ও রাতে সবসময়ই ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে ফলে দিন ও রাতে সমসময়ই ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে, সাথে প্রস্রাব করাকালীন জ্বালাপোড়ার জন্য কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সাথে রক্তও আসতে পারে।
পুরুষদের বেলায় তাদের প্রস্টেটগ্রন্থির প্রদাহ হলে প্রায় ক্ষেত্রে তলপেটে, কুঁচকিতে, মলদ্বারের আশপাশে, মলদ্বারে অ-কোষ ও পুরুষাঙ্গে হালকা মাত্রার ব্যথা আরো ব্যথার ন্যয় অনুভূতি দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা প্রস্রাব করাকালীন অথবা বীর্যস্খলনের সময় ছাড়া অন্য সময়েও দেখা দিতে পারে।

* মানসিক সমস্যার কারণে মূত্রথলির প্রদাহ মধ্যবয়স্ক ও বার্ধক্যে দেখা যায়। অনেক মহিলাই অভিযোগ করে থাকেন যে, তার তলপেটে অথবা যৌনাঙ্গে হালকা ব্যথা হচ্ছে, দিনের বেলায় ঘন ঘন প্রস্রাব হলেও রাত্রে প্রস্রাব আবার ঘন ঘন হচ্ছে না। প্রস্রাব পরীক্ষায় কোনো ইনফেকশন পাওয়া যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন যাবত থেকে থাকতে পারে; কিন্তু কোনো কারণ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ সমস্যাগুলোকে তাই মানসিক কারণ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
* যাদের প্রস্রাবকালীন জ্বালাপোড়া বা কষ্ট থাকে, তাদের চিকিৎসার পূর্বে ভালো করে পরীক্ষা করা উচিত; বিশেষ করে বর্তমান ছাড়াও পূর্বে কোনো প্রস্রাবের অসুবিধা ছিল কিনা মহিলাদের বস্তি দেশের(pelvic floor) পরীক্ষা এবং পুরুষদের বেলা প্রস্টেট পরীক্ষা অতীব জরুরি, তাছাড়া শারীরিক পরীক্ষা তো অবশ্যই করতে হবে। প্রস্রাব পরীক্ষা, প্রস্টেটগ্রন্থির নিঃসরণ পরীক্ষা এ ধরনের রোগীদের অবশ্যই করা উচিত। আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে রোগীর আনুষঙ্গিক উপসর্গের ওপর; যেমন রোগীর এ সমস্যা বারে বারে হয় কিনা, সাথে জ্বর থাকে কিনা ইত্যাদি। এগুলো প্রস্টেটগ্রন্থির তাৎক্ষণিক প্রদাহ হলে বেশি দেখা দেবে প্রস্রাবে ইনফেকশনের তুলনায় বার্ধক্য বয়সে রক্তে সিরাম এসিড ফসফেটেজ বেড়ে গেলে প্রস্টেটগ্রন্থির ক্যান্সার বেড়ে যেতে পারে। শারীরিক পরীক্ষার সময় বস্তি দেশে কিংবা মলদ্বারে টিউমার বা ব্যথা, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া ইত্যাদিও দেখা দরকার। যদি শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত ও কারণ নির্ণয় কিংবা রোগ শনাক্ত করা না যায়, তাহলে প্রস্রাব ও প্রস্টেটগ্রন্থির নিঃসরণ কালচার করে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর উপস্থিতি নিশ্চিত করা উচিত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি দিয়ে মূত্রথলির, মূত্রনালির ইত্যাদির অবস্থাও স্বচক্ষে দেখে রোগের কারণ নির্ণয় করা যেতে পারে।
আরো কিছু ধরনের সমস্যা যেমন -
* প্রস্রাব ধারণের অক্ষমতা এটা হতে পারে দেহের মূত্রনালি, মূত্রথলির ইত্যাদি অস্বাভাবিকতার কারণে কিংবা শারীরিক চাপ, ইনফেকশন, স্নায়ুযন্ত্রের রোগের কারণে অথবা মূত্রথলির সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায়, মূত্রথলি বেশি বিস্তৃত হওয়ার ফলে প্রস্রাব ঝরতে পারে। তাছাড়া মহিলাদের জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া, কিংবা পুরুষদের প্রস্টেটগ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে গেলে, দেহের বস্তি দেশ বা পেলিভিসে টিউমার কিংবা ইনফেকশন হলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ যা-ই হোক, সাধারণত অনৈচ্ছিকভাবে প্রতিবার ১৬০ মিলিমিটারের বেশি প্রস্রাব হয়ে থাকে। প্রচলিত কিছু ঔষধ ব্যবহার করে মূত্রথলির মাংসপেশির সংকোচন ক্ষমতা কমিয়ে আনা যাবে, ফলে প্রস্রাব করার সমস্যার উন্নতি ঘটতে পারে। মূত্রনালির ইনফেকশন, টিউমার অথবা মল জমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার আলাদাভাবে চিকিৎসা করাতে হবে।
* ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া: এ সমস্যাগুলো মূত্র সংবহনতন্ত্রের যে কোনো অংশের প্রদাহ কারণেও হয়ে থাকে। যদি মারাত্মক ইনফেকশন হয়ে থাকে, তখন মূত্রথলিতে অল্প কিছু প্রস্রাব থাকলেও সবসময় প্রস্রাব করার ইচ্ছা বাড়বে। ঘন ঘন প্রস্রাব ও রাতে যদি প্রস্রাব হওয়ার কারণ হচ্ছে যথা মূত্রনালির ধারণ ক্ষমতা কমে যাবে বিভিন্ন রোগের কারণে অথবা মূত্রথলি সম্পূর্ণভাবে খালি না হয়ে থাকে ফলে মূত্রথলিতে বেশি পরিমাণ প্রস্রাব থেকে যাবে। রাত্রিকালীন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা হৃদরোগের কারণে কিডনির অকার্যকারিতায় ওষুধ ব্যবহারে শারীরিক হাত ও পা ইত্যাদি ফুলা কমাতে গিয়ে, রাতে বেশি করে পানি খাওয়া এলডোসটেরন নামক এক ধরনের হরমোনের রক্তে বেড়ে গেলে ইত্যাদ বহুবিদ কারণে রাত্রে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। এবার আসি ঘুমের মাঝে কেন অনেকে প্রস্রাব করে থাকে এ ব্যাপারে। আমাদের দেহের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশের স্নায়ুতন্ত্র বাচ্চাদের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তাই ২ বছর পর্যন্ত বিছানায় প্রস্রাব করা একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার। যেহেতু আড়াই বছরের মধ্যেই স্নায়ুতন্ত্রে পরিপক্বতা আসে না, তাই পায়খানা ও প্রস্রাব ধারণ করার ক্ষমতা মস্তিষ্ক থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
স্বাভাবিক অবস্থায় এ বয়সের পরে বিছানায় প্রস্রাব করার কথা নয়। তাই ৩ বছরের পরে বিছানায় প্রস্রাব করার কথা নয়। তবে ৩ বছরের পরও শতকরা ১০ ভাগ ক্ষেত্রে এ সমস্যা থাকতে পারে, যা কিনা বংশ কারণে দেরিতে মূত্রনালির নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যদি বেশিরভাগ বাচ্চার বয়ঃসন্ধির পূর্বেই এ সমস্যা আর থাকে না, তবে যাদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে; যেমন মূত্র সংবহনতন্ত্রের ইনফেকশন কোথাও কোনো বাধা রয়েছে তাদের প্রস্রাব উপচেপড়া এবং ঝরার সমস্যা থাকতে পারে। মূত্রথলির স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণে প্রস্রাব বেশি হতে পারে; যার ফলে মূত্রথলির ওভারলোডেও হতে পারে।
উপরোক্ত কারণগুলো যদি ৩ বছরের বেশি বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করে থাকে, তাহলে আবার বিবেচনায় আনতে হবে। তবে যাদের শারীরিক রোগ রয়েছে, তাদের শুধু রাত্রীকালীনই প্রস্রাবের সমস্যা থাকে না; দিবা ভাগে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাদের কোনো কারণ নেই, তাদের জন্য টেবলেট মেলিপ্রামিন ব্যবহারের সাথে রক্ত যাওয়া : বিভিন্ন কারণে প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিলে সেটি মারাত্মক হিসেবে চিন্তা করতে হবে। বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিতে পারে।
কোনো মারাত্মক ইনফেকশন, টিউমার, পাথর স্ট্রোক, রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া সমস্যা, মূত্রনালিতে আঘাত পাওয়া ইত্যাদি। যদি প্রস্রাবের প্রথম দিকে রক্ত আসে, তাহলে বুঝতে হবে মূত্রনালির সম্মুখের অংশে সমস্যা রয়েছে অথবা প্রস্টেটগ্রন্থির সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে রক্ত যদি প্রস্রাবের শেষ ভাগে দেখা দেয়, তাহলে মূত্রনালির পশ্চাৎ ভাগে সমস্যা রয়েছে বুঝতে হবে অথবা মূত্রথলির কোনায় রয়েছে। রক্ত যদি সমস্ত প্রস্রাবের মাঝে মিশে আসা শুরু করে তবে কিডনি মূত্রথলি অথবা কিডনিনালিতেও এরকম সমস্যা হতে পারে। পরিশেষে প্রস্রাবের যে কোনো সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন রোগে না ভুগে বিশেষ তত্ত্বাবধানে সঠিক চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সহরওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৬ষ্ঠ তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। এপয়নটমেনট নিতে ফোন করুন 01921503847 ও 01989997180 এই নম্বরে দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। চেম্বার লোকেশনঃ https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9






Medical Center

Address

152/2-H, Eastern Dolan, 6th Floor, Panthapath
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Urologist & General Surgeon Dr Tajkera Sultana Chowdhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category