Dr.Husain Atlal Abduhu

Dr.Husain Atlal Abduhu General practitioner and health adviser, blogger.

Online discussions (WhatsApp)with patients, receiving payments online (Nagad) and deliver medicine to the patients

চীনে বর্তমানে কী হচ্ছে?উত্তর চীনে হাসপাতালগুলোতে শ্বাসতন্ত্রজনিত দেখা গিয়েছে,  যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত শিশুদের মধ...
05/01/2025

চীনে বর্তমানে কী হচ্ছে?
উত্তর চীনে হাসপাতালগুলোতে শ্বাসতন্ত্রজনিত দেখা গিয়েছে, যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত শিশুদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) নামের একটি ভাইরাস। তবে এটি নতুন কোনো রোগ নয়, বহু বছর ধরেই রয়েছে এবং সাধারণত সর্দি-কাশির মতো হালকা উপসর্গ সৃষ্টি করে। তবে, এই বছর এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি হওয়ায় চায়নার হাসপাতাল গুলোতে চাপ বাড়ছে, যার ফলে মানুষের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে । তাই এটি এখন শিরোনামে আসছে।
---
HMPV কী?
HMPV হলো এমন একটি ভাইরাস যা শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। বেশিরভাগ মানুষের কাছে এই উপসর্গটিকে ঠান্ডা জনিত সমস্যা মনে হয়।
সাধারণ উপসর্গগুলো হলো:
1. কাশি
2. জ্বর
3. নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ থাকা
4. খুব ক্লান্ত অনুভব করা
তবে, ছোট শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের জন্য এটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে এবং নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ভাইরাসের জন্য কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে হোমিওপ্যাথিতে অর্গানন অব মেডিসিনের ১০০-১০২ নং সূত্রানুসারে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়।
---
মানুষ কেন উদ্বিগ্ন?
চীনের হাসপাতালগুলোর ভিড়ের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের lingering (দীর্ঘস্থায়ী) জ্বর ও কাশির জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এটি একটি "নতুন মহামারী", তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়।

এটি সম্ভবত শীতকালীন সাধারণ রোগের সংমিশ্রণ, যেমন ফ্লু, RSV, এবং HMPV। শীতকালে যখন আবহাওয়া ঠান্ডা হয় এবং মানুষ ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটায়, তখন এসব রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়।

তবুও, চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে যাতে বড় কোনো হুমকি তৈরি না হয়।
---
আপনাকে কি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত?
যদি আপনি চীনে না থাকেন, তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। HMPV নতুন নয়, এবং এটি বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে না। তবে সবসময়ই ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত, বিশেষত ফ্লু মৌসুমে, যেমন:
- নিয়মিত হাত ধোয়া।
- ভিড়যুক্ত জায়গা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা।
- যদি আপনার বা আপনার শিশুর উচ্চ জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

বর্তমানে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা নয়। তবে নিরাপত্তার জন্য বিশেষজ্ঞরা এটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

ডা:হুসাইন আতলাল আব্দুহু
বি.এইচ.এম.এস (ঢা:বি:-ফার্মেসী অনুষদ)
ডি.এইচ.এম.এস (বি.এইচ.বি-বি.এইচ.এম.সি.এইচ)

08/10/2024

ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং সুস্থতা প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে। ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত হলে যেসব খাবার পরিহার করা উচিত:

১.মসলা ও তেলযুক্ত খাবার: অত্যধিক মসলাযুক্ত ও তেলসমৃদ্ধ খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং যকৃতের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা ডেংগুর সময় ক্ষতিকর।

২.প্রক্রিয়াজাত ও জাঙ্ক ফুড: এই ধরনের খাবারে পুষ্টির অভাব থাকে এবং এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে।

৩.কোল্ড ড্রিঙ্কস ও সোডা: ঠান্ডা পানীয় শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং ডেংগুর সময় তা ক্ষতিকর হতে পারে।
ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল: এগুলো শরীরের পানি শূন্যতা বাড়ায় এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে, যা ডেংগু রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৪.লাল মাংস ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার: ডেংগুর সময় লিভারের ওপর চাপ কমানোর জন্য হালকা খাবার খাওয়া উচিত, বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
এর পরিবর্তে পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস, সবজি এবং হালকা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, যাতে শরীর সহজেই তা হজম করতে পারে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।

08/10/2024

ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা জ্বর, শরীর ব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গ সৃষ্টি করে। ডেংগু রোগীর যত্নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:

১.শরীরের পানির পরিমাণ বজায় রাখা: ডেংগুর সময় শরীরে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) হতে পারে, তাই রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে হবে। লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস এবং ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় উপকারী হতে পারে।

২.পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো: সহজে হজম হয় এমন খাবার যেমন স্যুপ, ডাল, খিচুড়ি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত। তাজা ফল, সবজি, এবং হালকা প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত। রোগীকে তাজা কমলা বা পেঁপে দেওয়া উপকারী, কারণ এগুলো ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ।
বিস্রাম নিশ্চিত করা: পর্যাপ্ত বিশ্রাম রোগীকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। রোগীকে শারীরিক কার্যকলাপ কম করতে এবং বিশ্রাম নিতে উৎসাহিত করতে হবে।

৩.জ্বর এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা: ডেংগুর সময় তীব্র জ্বর এবং শরীর ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন দেওয়া উচিত নয়, কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪.তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: জ্বর নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীর শরীরে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন এবং প্রয়োজনে ঠান্ডা পানির প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫.চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা: রোগীর অবস্থার কোনো অবনতি হলে (যেমন রক্তপাত, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি, তীব্র পেট ব্যথা) দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্লাটিলেটের মাত্রা মনিটর করতে হতে পারে, তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ।

৬.মশার কামড় থেকে সুরক্ষা: ডেংগু মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই রোগীকে মশারি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন এবং মশার প্রতিরোধে ঘরে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিন।

সঠিক যত্নের মাধ্যমে ডেংগু রোগীকে দ্রুত সুস্থ করা সম্ভব, তবে জটিলতার ঝুঁকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ না নেওয়াই ভালো।

ডেংগু জ্বর সম্পর্কে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে, যা রোগ সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে এবং সঠিক চিকিৎসা প্রক্রি...
08/10/2024

ডেংগু জ্বর সম্পর্কে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে, যা রোগ সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে এবং সঠিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ ভ্রান্ত ধারণা এবং এর বাস্তবতা তুলে ধরা হলো:

১.ডেংগু শুধুমাত্র বর্ষাকালে হয়:
ভ্রান্ত ধারণা: অনেকেই মনে করেন, ডেংগু শুধুমাত্র বর্ষাকালেই হয়।
বাস্তবতা: বর্ষাকালে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেংগুর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়, তবে বছরের অন্য সময়েও ডেংগু হতে পারে। মশা যেকোনো সময় সক্রিয় হতে পারে, যদি তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকে।

২.সব ডেংগু জ্বরই প্রাণঘাতী:
ভ্রান্ত ধারণা: ডেংগু জ্বর মানেই মৃত্যু।
বাস্তবতা: ডেংগু প্রাণঘাতী হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। ডেংগুর মৃদু উপসর্গগুলো প্রাণঘাতী নয়, তবে জটিল ডেংগু বা ডেংগু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বিপজ্জনক হতে পারে।

৩.ডেংগু জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন:
ভ্রান্ত ধারণা: ডেংগু জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়।
বাস্তবতা: ডেংগু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই। অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের জন্য কার্যকর। ডেংগুতে মূলত তরল খাবার, বিশ্রাম, এবং জ্বর ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ওষুধই যথেষ্ট।

৪.একবার ডেংগু হলে আর কখনো ডেংগু হয় না:
ভ্রান্ত ধারণা: একবার ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত হলে, ভবিষ্যতে আর ডেংগু হবে না।
বাস্তবতা: ডেংগু ভাইরাসের চারটি ভিন্ন ভেরিয়েন্ট (সেরোটাইপ) আছে। একবার একটি সেরোটাইপে আক্রান্ত হলে, সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তবে অন্য সেরোটাইপে আবারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা আরও জটিল হতে পারে।

৫.পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেট বাড়ায়:
ভ্রান্ত ধারণা: পেঁপে পাতার রস খেলে ডেংগুতে প্লাটিলেট দ্রুত বাড়ে।
বাস্তবতা: পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেট বাড়ানোর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি একটি প্রচলিত ধারণা, তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো ভিত্তি নেই। প্লাটিলেটের মাত্রা বাড়াতে মূলত পর্যাপ্ত তরল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হয়।

৬.শুধু রাতের বেলায় মশার কামড়ে ডেংগু হয়:
ভ্রান্ত ধারণা: ডেংগু বাহক মশা (এডিস) কেবল রাতের বেলা কামড়ায়।
বাস্তবতা: এডিস মশা দিনের বেলায়, বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যায়, বেশি সক্রিয় থাকে এবং এই সময়েই বেশি কামড়ায়।

৭. ডেংগু জ্বর থেকে সেরে ওঠা খুবই ধীরগতির প্রক্রিয়া:
ভ্রান্ত ধারণা: ডেংগু থেকে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।
বাস্তবতা: ডেংগু থেকে সেরে ওঠার সময় নির্ভর করে রোগের তীব্রতার ওপর। মৃদু ডেংগুতে কয়েকদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হতে পারে, তবে জটিল ডেংগুর ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

ডেংগু জ্বর সম্পর্কে এই ভ্রান্ত ধারণাগুলো দূর করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মানুষ সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়।
ডা.হুসাইন আতলাল আব্দুহু
বি.এইচ.এম.এস (ঢা.বি.-ফার্মেসী অনুষদ)

ডেংগু জ্বরের জন্য সঠিক পথ্য অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে দেহের পানিশূন্যতা রোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং...
08/10/2024

ডেংগু জ্বরের জন্য সঠিক পথ্য অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে দেহের পানিশূন্যতা রোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং রোগের সময় দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব হয়। ডেংগু জ্বরের সময় সাধারণত নিচের ধরনের খাবার ও পথ্য দেওয়া হয়:

১.পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ: ডেংগু জ্বরের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি হলো দেহে পানির অভাব। তাই পানিশূন্যতা রোধে প্রচুর তরল গ্রহণ করা উচিত:
ক.পানি
খ.স্যালাইন ডাবের পানি
গ.ফলের রস (বিশেষ করে পেঁপে, কমলা, এবং আনারসের রস)।

২.পুষ্টিকর খাবার: দেহে শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে:
ক.সেদ্ধ বা ঝোল খাবার (যেমন স্যুপ, খিচুড়ি)
খ.সেদ্ধ ডিম
গ.নরম সেদ্ধ সবজি (যেমন কুমড়ো, শাক-সবজি)
ঘ.ফলমূল (বিশেষ করে পেঁপে এবং কমলা)।

৩.খাবারে প্রোটিন: দেহের ক্ষয় পূরণে এবং শক্তি বাড়াতে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন:
ক.মুরগির স্যুপ
খ.মাছ
গ.ডাল

৪.পেঁপে পাতা: অনেক সময় বলা হয় যে, পেঁপে পাতার রস ডেংগুর প্লাটিলেট কমে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে এটি বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি প্রমাণিত নয়, কিন্তু কিছু রোগী এটি ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন।

৫.ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তাই কমলা, আমলকি, আনারস ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে।

৬.ভারি ও তেল চর্বিযুক্ত খাবার এড়ানো: ডেংগু জ্বরের সময় হজমের সমস্যা হতে পারে, তাই তেল চর্বিযুক্ত এবং গুরুতর খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

৭.পর্যাপ্ত বিশ্রাম: খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডা.হুসাইন আতলাল আব্দুহু
বি.এইচ.এম.এস (ঢা.বি.- ফার্মেসী অনুষদ)

আরো পড়ুন:

ডেংগু জ্বর কি? এবং কি করনীয় : https://www.facebook.com/share/p/VnqmVJbzxc5UMx1Q/

ডেংগু জ্বরের পথ্য: https://www.facebook.com/share/p/2imNfdpxMNGc4WR3/

ডেংগু জ্বর সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা : https://www.facebook.com/share/p/NsB8GawujuiBPE7j/

ডেংগু জ্বরের যত্ন : https://www.facebook.com/share/p/vTBW5LfyMZS3AN59/

ডেংগু জ্বরে যে সমস্ত খাবার পরিহার করা উচিত : https://www.facebook.com/share/p/zGKeho1DQ2i6TeYZ/

করোনা ভ্যাকসিনের কারণে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে, যদিও এটি তুলনামূলকভাবে বিরল। অ্যালার্জি ...
23/09/2024

করোনা ভ্যাকসিনের কারণে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে, যদিও এটি তুলনামূলকভাবে বিরল। অ্যালার্জি মূলত শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার ফলাফল। ভ্যাকসিনের কোন উপাদান যদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়, তখন ইমিউন সিস্টেম এই উপাদানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।

অ্যালার্জির কারণসমূহ:
1. পলিথিলিন গ্লাইকোল (PEG): কিছু ভ্যাকসিনে এই রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা অ্যালার্জির অন্যতম কারণ হতে পারে।
2. পলিসোরবেট ৮০: এটি কিছু ভ্যাকসিনের স্ট্যাবিলাইজার হিসাবে ব্যবহার হয়, যা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
3. অন্যান্য উপাদান: ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত অন্য কিছু রাসায়নিক উপাদান বা প্রিজারভেটিভও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

অ্যালার্জির লক্ষণ:
1. চামড়ার র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি
2. শ্বাসকষ্ট
3. গলা চেপে আসা বা ফুলে যাওয়া
4. মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
5. অ্যানাফাইল্যাক্সিস: এটি একটি গুরুতর এবং জীবনঘাতী অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া যা দ্রুত চিকিৎসা না করলে বিপজ্জনক হতে পারে।

প্রতিকার:
1. অ্যানাফাইল্যাক্সিসের জন্য ইপিনেফ্রিন: যদি কারো অ্যানাফাইল্যাক্সিসের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে ইপিনেফ্রিন (Epinephrine) ইনজেকশন দিয়ে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

2. চিকিৎসা সহায়তা: কোনো অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে।

3. অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ: হালকা অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ার জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ কার্যকর হতে পারে। এটি চুলকানি, র‍্যাশ বা হালকা শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

4. ভবিষ্যতে সতর্কতা: যদি কারো ভ্যাকসিনের উপাদানের প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে চিকিৎসককে তা আগে থেকেই জানানো উচিত, যাতে বিকল্প ভ্যাকসিন বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

5. অ্যালার্জি টেস্ট: কেউ যদি আগে থেকেই বিভিন্ন ওষুধ বা কেমিকেলের প্রতি অ্যালার্জি অনুভব করেন, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো ভালো।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পর যদি অ্যালার্জির কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষত অ্যানাফাইল্যাক্সিসের ক্ষেত্রে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ শীতের ছুটিতে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট অ্যাটাকের কারনে মৃত্যুর বিষয়ে সতর্ক করেছেন৷ আমেরিকান হার্ট অ্...
28/12/2023

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ শীতের ছুটিতে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট অ্যাটাকের কারনে মৃত্যুর বিষয়ে সতর্ক করেছেন৷
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হার্ট অ্যাটাকে বেশি মানুষ মারা যায়।
ইউএসএফ-এর সহযোগী অধ্যাপক এবং উইমেনস হার্ট প্রোগ্রামের পরিচালক, ড. ড্যানিয়েলা ক্রৌসিলাট বলেন "আমরা বারবার গবেষণা করে দেখেছি যে, ছুটির মরসুমে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে(অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে শিতের সময়)" ৷
ক্রৌসিলাট আরো বলেন, "এমন সম্ভাবনা বয়স্ক ব্যাক্তিদের বেশি থাকে , যাদের ইতিমধ্যেই হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ রয়েছে৷ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ধূমপায়ীদের মধ্যে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।

31/03/2023

Address

94, Abul Hasnat Road
Dhaka
1100

Telephone

+8801990480433

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Husain Atlal Abduhu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Husain Atlal Abduhu:

Share

Category