Crescent Health Service

Crescent Health Service মানুষ মানুষের জন্য।মানব সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। অধিকাংশ মানুষই সাধারণত অসুস্থ হওয়ার আগে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেন না। আবার অসুস্থ হওয়ার পরও যখন আমরা এদিক-সেদিক দৌড় ঝাঁপ শুরু করি। তখন অনেক সময়ই সঠিক নির্দেশনার অভাবে ভালো সেবা পাই না। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা যেন প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, অসুস্থ হলে আমরা যেন সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস টা পেতে পারি- সেজন্য বাংলাদেশের একদল তরুণ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার পেশাজীবী ছাত্র ছাত্রী আরো অন্যান্য সবাইকে নিয়ে আমরা গঠন করেছি Crescent Health Service একটি সুষ্ঠ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব এ প্লাটফর্মে। গড়ব আমাদের সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
মানুষ মানুষের জন্য।মানব সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য। � পেইজ এ পোস্ট সংক্রান্ত নীতিমালাঃ

১। জনস্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য প্রমোশান, স্বাস্থ্য সচেতনতা সহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব ধরণের পোস্ট নির্ভরযোগ্য সোর্স সহ করা যাবে।

২। যে কোন ধরণের স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা, স্বাস্থ্য পরামর্শ, স্বাস্থ্য তথ্য, ডাক্তার-হাসপাতাল রিলেটেড তথ্য এবং স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য এবং পরামর্শ জানতে চেয়ে পোস্ট করা যাবে।

৩। চিকিৎসা বিষয়ক জানতে চাওয়া পোস্টে শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড MBBS, BDS DMF চিকিৎসকরা কমেন্ট করতে পারবেন। অন্য কেউ কোন ধরণের চিকিৎসা বিষয়ক কমেন্ট করতে পারবেন না। চিকিৎসা সংক্রান্ত কমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক অবশ্যই নিজের নাম এবং পদবী উল্লেখ করবেন।

৪। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী প্রয়োজন যেমনঃ রক্তের প্রয়োজনে, জরুরী এম্বুলেন্স, ঔষুধ, ফার্মেসি বা এজাতীয় সব ধরণের জরুরী বিষয়ে পোস্ট করা যাবে।

৫। স্বাস্থ্য বিষয়ক জিজ্ঞাসা পোস্টে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে। রোগীর লিংগ, বয়স,বাচ্চাদের ওজন, বর্তমান উপসর্গের পর্যাপ্ত বিবরণ, পূর্বের রোগ এবং হসপিটাল ভর্তির ইতিহাস উল্লেখ করতে হবে।

৬। কোন পোস্টে বা কমেন্টে কোন ধরণের অশ্লীল শব্দ, অপমানসূচক শব্দ, আক্রমণাত্নক শব্দ, ইমোটিকন, সরাসরি বা আকারে ইংগিতে ব্যবহার করা যাবেনা। এক্ষেত্রে নিয়ম ভংগকারীকে সরাসরি পেইজ থেকে ব্যান করা হবে।

৭। যে কোন প্রয়োজনে যে কোন পোস্ট/কমেন্ট ডিলিট করার সব ক্ষমতা Crescent Health Service এডমিনরা সংরক্ষণ করেন।

৮। প্রয়োজন এবং সময়ের আলোকে পেইজ এর নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং পরিবর্ধনযোগ্য। এ সংক্রান্ত সব অথরিটি পেইজ এডমিনরা সংরক্ষণ করেন।




Admin- Crescent _Health Service

Nahidul Islam  ভাই আজ ২২তম বার বি+ রক্ত দান‌ করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ ।আল্লাহ তাআলা প্রথমে রোগী কে ও পরে নাহিদ ভাই কে সুস্...
26/07/2025

Nahidul Islam ভাই আজ ২২তম বার বি+ রক্ত দান‌ করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ ।আল্লাহ তাআলা প্রথমে রোগী কে ও পরে নাহিদ ভাই কে সুস্থতা দান করুন আমীন।

"স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচতে পারে একটি প্রান"

মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম আজ ১৪তম বার 🩸রক্তদান করলাম — একজন মা, তার দুটো কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে, যিনি ডায়ালাইসিসে জীবনযুদ...
26/07/2025

মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম আজ ১৪তম বার 🩸রক্তদান করলাম — একজন মা, তার দুটো কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে, যিনি ডায়ালাইসিসে জীবনযুদ্ধ করছেন, তার জন্য।
রক্তদান শুধু রক্ত নয়, এটি ভালোবাসা, মানবতা ও নতুন জীবনের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা ঐ "মা" কে দ্রুত সুস্থতা দান করুন আমিন।
চলেন, আমরা সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়াই — একটা ফোঁটা রক্ত, হতে পারে কারো জন্য নতুন ভোর।

"স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচতে পারে একটি প্রান"

যে কোন প্রয়োজনে Crescent Health Service আছে আপনার পাশে💙

নতুন দম্পতিদের জন্য প্রচলিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর ভালো-মন্দ:-দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বাংলাদেশ...
11/04/2025

নতুন দম্পতিদের জন্য প্রচলিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর ভালো-মন্দ:-

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে টিএফআর (টোটাল ফার্টিলিটি রেট) ছিল ৬ দশমিক ৯। অর্থাৎ ওই সময় বাংলাদেশের একজন মা গড়ে সাতটি সন্তান জন্ম দিতেন। বর্তমানে বাংলাদেশের টিএফআর ২ দশমিক ১। স্বাধীনতার সময় সক্ষম দম্পতিদের ৮ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করত, এখন সেই হার বেড়ে ৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে কন্ট্রাসেপটিভ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির জন্য।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে প্রাথমিকভাবে দুই ভাগে ভাগ করা হয়—অস্থায়ী আর স্থায়ী পদ্ধতি। জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রায় সব কটিই অস্থায়ী পদ্ধতি।

অস্থায়ী পদ্ধতি:
১. ব্যারিয়ার পদ্ধতি, যেমন কনডম, ডায়াফ্রাম
২. প্রাকৃতিক পদ্ধতি, যেমন মাসিকের হিসাব রেখে যৌনমিলন করা, শুক্রাণু যোনির বাইরে ফেলা
৩. স্টেরয়েড কন্ট্রাসেপটিভ, যেমন পিল, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট
৪. আইইউসিডি, যেমন কপার-টি

বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও বহুল ব্যবহৃত একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কনডম। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটি যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে। এর সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশ। মানে ২ শতাংশ ঝুঁকি থেকেই যায়। অনেক সময় এটি ফেটে যেতে পারে বা কারও কারও ক্ষেত্রে ল্যাটেক্সজনিত অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে। খাওয়ার পিল বর্তমানে ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কয়েক ধরনের পিল পাওয়া যায়। যেমন কম্বাইন্ড ওরাল পিল, মিনিপিল, ইমার্জেন্সি পিল।

বাজারে প্রচলিত পিলগুলোর সিংহভাগই কম্বাইন্ড পিল, যা ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামে দুটি হরমোনের মিশ্রণে তৈরি। এটি জন্মনিয়ন্ত্রণে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ সাফল্য দেয়। পিলগুলো ২৮টি ট্যাবলেটের একটি পাতায় পাওয়া যায়, যার মধ্যে ২১টি থাকে সক্রিয় পিল ও ৭টি নিষ্ক্রিয় আয়রন পিল। মাসিকের প্রথম দিন থেকে খাওয়া শুরু করতে হয় ও টানা ২১ দিন খেতে হয়। তবে প্রথম দিন খেতে ভুলে গেলে পঞ্চম দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন শুরু করা যায়। কেউ একদিন পিল খেতে ভুলে গেলে, তিনি পরদিন যখন মনে পড়বে তখনই খেয়ে নেবেন।

নারীরা যেসব ক্ষেত্রে এ পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
বয়স ৪০ বছরের বেশি, স্তন্যদানকারী নারী (সন্তানের বয়স ৬ মাস পর্যন্ত), অনির্ণীত যোনিপথের রক্তক্ষরণ, রক্তে অধিক কোলেস্টেরলের মাত্রা, রক্তনালির বা রক্ত জমাট বাঁধাজনিত রোগে আক্রান্ত, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস, ব্রেস্ট ক্যানসার, লিভারের রোগ, জন্ডিস বা ক্যানসার, আগে স্ট্রোক হয়েছে বা হার্টের রোগ আছে আর বড় কোনো অপারেশনের আগে—এসব ক্ষেত্রে নারীরা পিল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। অথবা পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বর্তমানে বাজারে তৃতীয় বা চতুর্থ জেনারেশনের পিল পাওয়া যায়। এগুলো রক্তের কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মাসিক নিয়মিতকরণসহ নারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় পিল ব্যবহার করা হয়।

মিনিপিল কেবল প্রোজেস্টেরন হরমোন নিঃসরণ করে, তাই এটি স্তন্যদানকালে দেওয়া যায়। ওসিপির মতোই এটি মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করতে হয়। ওসিপির তুলনায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। যেসব ক্ষেত্রে ওসিপি ব্যবহার করা যাবে না, সে ক্ষেত্রে এটি ভালো বিকল্প। অন্যদিকে ইমার্জেন্সি পিল ইস্ট্রোজেন হরমোন–নির্ভরশীল পিল। অরক্ষিত যৌনমিলন, কনডম ফেটে যাওয়া, ধর্ষণের শিকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি কার্যকর পিল। একটি ট্যাবলেট একবার বা ১২ ঘণ্টা অন্তর দুই ডোজে ব্যবহার করতে হয়। পিল অবশ্যই অরক্ষিত যৌনমিলনের পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

ইনজেকশন কন্ট্রাসেপটিভ প্রোজেস্টেরন–নির্ভর একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এটি পিলের মতোই প্রায় সমান কার্যকরী। প্রতি তিন মাসে একবার নিতে হয়। স্তন্যদান সময়েও এটি নেওয়া যায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। তবে অনেক সময় এটি অনিয়মিত রজঃস্রাবের জন্য দায়ী। সাময়িক সময়ের জন্য মাসিক বন্ধ থাকতে পারে।
ইমপ্ল্যান্ট আবার দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি তিন বছরের অধিক সময় প্রটেকশন দেয়। এটি মূলত হরমোনমিশ্রিত একটি ক্যাপসুল, যা বাঁ হাতের চামড়ার নিচে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এখান থেকে ধীরে ধীরে হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রটেকশন দেয়। এটির সাকসেস রেট ওসিপির মতোই, ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় শতভাগ।

কপার-টি ইংরেজি টি (T) আকৃতির কপার মিশ্রিত ছোট ডিভাইস। এটি জরায়ুর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। লম্বা সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন হলে বা স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ এর বিকল্প হিসেবে কপার-টি একটি চমৎকার পদ্ধতি। এটি প্রয়োগে কোনো অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। পাঁচ বছর পর এটি খুলে ফেলতে হয়। প্রয়োজনে পুনরায় নতুন কপার-টি ব্যবহার করতে হবে। মিরেনাও কপার-টির মতো টি (T) আকৃতির একটি দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি লিভোনরজেস্ট্রল–নির্ভর একটি হরমোনাল কন্ট্রাসেপটিভ ডিভাইস। এটিও পাঁচ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। সাকসেস রেট ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও নারীদের অনেক রোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে যেকোনো সময় এটি খুলে ফেলা যায়।

স্থায়ী পদ্ধতি হলো পুরুষ বা নারীকে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যাত্বকরণ। এটি অপারেশনের মাধ্যমে করা হয়। পুরুষের ক্ষেত্রে ভাস ডিভারেন্স বা শুক্রাণু বহনকারী নালিকে ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। নারীদের ক্ষেত্রে ফেলোপিয়ান টিউব বা ডিম্বাণু বহনকারী নালিকে অপারেশনের মাধ্যমে কেটে দেওয়া হয়। এটি সিজারিয়ান সেকশন বা জরায়ুর অন্য অপারেশনের সঙ্গে করা সম্ভব।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির আবিষ্কার আমাদের মতো অধিক জনসংখ্যার দেশের জন্য একটি আশীর্বাদ। বর্তমানে এক দশক ধরে বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের হার অনেকটাই একই রকম আছে, যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। সব সক্ষম দম্পতির উচিত যেকোনো একটি কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা।

লেখক: ডা.মো.মোবাশ্বীর হাসান।
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী, রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

"স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচতে পারে একটি প্রাণ" আলহামদুলিল্লাহ আজ ১১ তম বার রক্ত দান করলেন Crescent Health Service Blood Ba...
06/09/2024

"স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচতে পারে একটি প্রাণ"
আলহামদুলিল্লাহ আজ ১১ তম বার রক্ত দান করলেন Crescent Health Service Blood Bank🩸 এর CEO।
রক্তের গ্রুপ বি+
৬ সেপ্টেম্বর ২৪
Crescent Health Service Blood Bank🩸 রক্তের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন।
Crescent Health Service

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ কিনা সে ব্যাপারে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতীর ...
31/08/2024

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ কিনা সে ব্যাপারে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতীর প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাসে সহবাস করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে আশংকা করে থাকেন। তবে এই ধারণাটি সঠিক নয়।

আপনার গর্ভাবস্থা যদি স্বাভাবিক হয় এবং যদি নির্দিষ্ট কোন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য ডাক্তার আপনাকে সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ না দিয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য গর্ভাবস্থায় সহবাস করা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। এতে গর্ভের সন্তানের কোন ধরনের আঘাত পাওয়ার বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে গর্ভবতী অবস্থায় অনেকেরই সহবাসের ইচ্ছা কমে যায় বা ইচ্ছার পরিবর্তন হয়। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমনটা হলে আপনার সঙ্গীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। এই বিষয়ে আপনাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় সহবাস কি গর্ভের বাচ্চার কোনো ক্ষতি করে?
আপনার গর্ভাবস্থা যদি স্বাভাবিক ও জটিলতামুক্ত হয়, তাহলে কেবলমাত্র সহবাসের কারণে গর্ভপাত (Miscarriage) বা সময়ের আগে সন্তান প্রসব হওয়ার (Early Labour) কোন সম্ভাবনা নেই। তবে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে সহবাসের কারণে জরায়ুতে মৃদু সংকোচন অনুভব করতে পারেন।

এমনটা হলে আপনার জরায়ুর পেশীগুলো শক্ত হয়ে যাচ্ছে বা টান খাচ্ছে বলে মনে হবে। এ ধরনের সংকোচনকে ডাক্তারি ভাষায় “Braxton Hicks Contractions” বলা হয়। এতে আপনার কিছুটা অস্বস্তি বোধ হতে পারে, কিন্তু এটা সত্যিকার অর্থে প্রসব বেদনা নয়।

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে সহবাস ছাড়াও অন্যান্য কারণে, এমনকি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই মাঝে মাঝে এমনটা অনুভূত হতে পারে। এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই, এটি গর্ভাবস্থার একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এমনটা হলে আপনি কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিতে পারেন, অথবা অন্য কোন বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে রিল্যাক্সড থাকার চেষ্টা করতে পারেন। সাধারণত এসব মৃদু সংকোচন কিছুক্ষণ পরে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত?
গর্ভাবস্থায় কিছু ক্ষেত্রে সহবাস থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়, যেমন—

১.যদি গর্ভাবস্থায় কোন কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ভারী রক্তপাত হয়ে থাকে

২.যদি গর্ভবতীর জরায়ুমুখে (সারভিক্সে) কোন দুর্বলতা বা জটিলতা থাকে

৩.যদি পূর্বের প্রেগন্যান্সিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হয়ে থাকে

৪.যদি প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল নিচে থাকা—ডাক্তারি ভাষায় একে ’প্লাসেন্টা প্রিভিয়া’ বলে

৫.যদি প্রসবের আগে পানি ভাঙ্গে

৬.যদি একই সময়ে দুই বা তার বেশি (জমজ) সন্তান ধারণ করে থাকেন

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম

যদিও অধিকাংশ দম্পতির জন্য গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ, তবে সবসময় এটি সহজ নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের মত সহবাস করতে কোন সমস্যা হলে বিভিন্নভাবে পজিশন বা অবস্থান পরিবর্তন করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারটিই মুখ্য। তবে গর্ভাবস্থায় সহবাসের ফলে আপনি বা গর্ভের সন্তান যেন কোনোভাবে আঘাত না পান সে ব্যাপারে সবসময় সাবধান থাকা উচিত।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার সময় আপনার সঙ্গী উপরে অবস্থান করলে তা আপনার জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে, যেহেতু এসময় আপনার পেট আকারে বাড়তে থাকে আর সেই সাথে স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশে এসময় ব্যথাও অনুভব হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ আপনার শরীরের বেশি গভীরে গেলেও এসময় অস্বস্তির কারণ হতে পারে৷ তাই এসব সমস্যা এড়াতে যেকোনো একদিকে কাত হয়ে শুয়ে সহবাসের চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

এছাড়া আপনার সঙ্গীর পরিবর্তে আপনি উপরে অবস্থান করে বা আপনি সামনে আপনার সঙ্গী পেছনে অবস্থান করেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হাতে বা হাঁটুতে ভর দেয়ার সময় বালিশ বা কুশন ব্যবহার করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় সহবাস
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাসে সহবাস করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে আশংকা করে থাকেন। তবে এই ধারণাটি সঠিক নয়।
লিখেছেন ডা. ইমা ইসলাম ও ডা. সামিয়া আফরিন মেডিকেল রিভিউ করেছেন ডা. বিদিশা কুন্ডু

21/05/2023

Emergency!!

💁রোগীর সমস্যা: পায়ে ইনফেকশন হয়েছে।
🔴রক্তের গ্রুপ: এ নেগেটিভ ( A -)
💉রক্তের পরিমাণ: 2 ব্যাগ
⚖️️হিমোগ্লোবিন: ৮
📆রক্তদানের তারিখ: ২১/৫/২০২৩
⌚রক্তদানের সময়: দুপুরের আগে হলে খুব ভালো হয়।
🏥রক্তদানের স্থান: বারডেম হাসপাতাল, শাহবাগ।
☎যোগাযোগ :-০১৭১২৫২৬৮২৪

📌 "ফাইল ফুটেজ ২১"আলহামদুলিল্লাহ,আজ ৩ বছর শেষ হয়ে ৪র্থ বছরে পদার্পণ করবে ক্রিসেন্ট হেলথ্ সার্ভিস ফাউন্ডেশন।সামনের দিন গু...
10/05/2023

📌 "ফাইল ফুটেজ ২১"

আলহামদুলিল্লাহ,
আজ ৩ বছর শেষ হয়ে ৪র্থ বছরে পদার্পণ করবে ক্রিসেন্ট হেলথ্ সার্ভিস ফাউন্ডেশন।
সামনের দিন গুলোর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ও ভালোবাসা প্রানের সংগঠন Crescent Health Service ❤️

ছোট পরিসরে আমাদের এই সেবা মূলক সংগঠন Crescent Health Service ❤️ গত তিন বছর ধরে আমাদের কার্যক্রম চলতেছে। যারা গত ৩টি বছর ধরে এই সেবা মূলক সংগঠনের সাথে আছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো❤️কচ্ছপের মতো হাটি হাটি পা পা করে আমাদের ৩টি বছর অতিক্রম করলাম। এর মধ্যে আমরা গত ৩ বছরে মানুষ কে ১৩০০ + ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছি। আমরা অনলাইন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি প্রায় ২০০০ জন মানুষ কে। আমরা করোনা'র ক্রান্তি লগ্ন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ছোট ছোট পরিসরে ১৭০০ জন মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ❤️

"মানুষ মানুষের জন্য,
মানব সেবাই আমাদের মূল লক্ষ"

৩য় বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের আয়োজন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ 😊
দেখতে দেখতে আমাদের এই ছোট পরিসরের পরিবারের ৩ টি বছর সম্পন্ন হলো।
ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমেই এক সময় আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো ইনশাআল্লাহ❤
এই অল্প কিন্তু মুল্যবান সময়ে যারা আমাদের সাথে ছিলো সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা❤
ভবিষ্যতেও আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি 😊

- স্বাস্থ্য‌ই সকল সুখের মূল। একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। অধিকাংশ মানুষই সাধারণত অসুস্থ হওয়ার আগে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেন না। আবার অসুস্থ হওয়ার পরও যখন আমরা এদিক-সেদিক দৌড়-ঝাঁপ শুরু করি। তখন অনেক
সময়ই সঠিক নির্দেশনার অভাবে ভালো সেবা পাই না।
সু-স্বাস্থ্যের জন্য আমরা যেন প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, অসুস্থ হলে আমরা যেন সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস টা পেতে পারি- সেজন্য বাংলাদেশের একদল তরুণ ডাক্তার, সিনিয়র নার্স, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবী ছাত্র-ছাত্রী সহ আরো অন্যান্য সবাইকে নিয়ে আমরা গঠন করেছি Crescent Health Service একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব এ প্লাটফর্মে। গড়ব আমাদের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

📌 ক্রিসেন্ট হেলথ্ সার্ভিস পেইজ থেকে যে সেবা গুলো আপনি পাবেন 👇

🔸পেইজ ও গ্ৰুপে পোস্ট সংক্রান্ত নীতিমালাঃ-

১। জনস্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য প্রমোশান, স্বাস্থ্য সচেতনতা সহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব ধরণের পোস্ট নির্ভরযোগ্য সোর্স সহ করা যাবে।

২। যে কোন ধরণের স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা, স্বাস্থ্য পরামর্শ, স্বাস্থ্য তথ্য,ডাক্তার-হাসপাতাল রিলেটেড তথ্য এবং স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য এবং পরামর্শ জানতে চেয়ে পোস্ট করা যাবে।

৩। চিকিৎসা বিষয়ক জানতে চাওয়া পোস্টে শুধুমাত্র
রেজিস্টার্ড MBBS, BDS, DMF চিকিৎসকরা কমেন্ট করতে পারবেন। অন্য কেউ কোন ধরণের চিকিৎসা বিষয়ক কমেন্ট করতে পারবেন না। চিকিৎসা সংক্রান্ত কমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক অবশ্যই নিজের নাম এবং পদবী উল্লেখ করবেন।

৪। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী প্রয়োজন যেমনঃ রক্তের প্রয়োজনে,জরুরী এম্বুলেন্স, ঔষুধ, ফার্মেসি বা এজাতীয় সব ধরণের জরুরী বিষয়ে পোস্ট করা যাবে।

৫। স্বাস্থ্য বিষয়ক জিজ্ঞাসা পোস্টে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে। রোগীর লিঙ্গ, বয়স, বাচ্চাদের ওজন,বর্তমান উপসর্গের পর্যাপ্ত বিবরণ, পূর্বের রোগ এবং হসপিটাল ভর্তির ইতিহাস উল্লেখ করতে হবে।

৬। কোন পোস্টে বা কমেন্টে কোন ধরণের অশ্লীল শব্দ,
অপমানসূচক শব্দ, আক্রমণাত্নক শব্দ, ইমোটিকন, সরাসরি বা আকারে ইংগিতে ব্যবহার করা যাবেনা। এক্ষেত্রে নিয়ম ভংগকারীকে সরাসরি পেইজ থেকে ব্যান করা হবে।

৭। যে কোন প্রয়োজনে যে কোন পোস্ট/কমেন্ট ডিলিট করার সব ক্ষমতা Crescent Health Service এর এডমিনরা সংরক্ষণ করেন।

৮। প্রয়োজন এবং সময়ের আলোকে পেইজ এর নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং পরিবর্ধনযোগ্য। এ সংক্রান্ত সব অথরিটি পেইজ এডমিনরা সংরক্ষণ করেন।

Admin - Crescent Health Service
🏥 A concern of Crescent Health Service Foundation

📌 আমাদের বর্তমানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সমূহ :-

🏥 Crescent Health Service Blood Bank 🩸( ক্রিসেন্ট হেলথ সার্ভিস ফাউন্ডেশন এর সদস্যগণ সারা দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন)

🏢 Crescent Health Service ( টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন)

🏫 Crescent Japanise Language School ( বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদেরকে জাপানিজ ভাষা শিখিয়ে উন্নত পড়াশোনার জন্য জাপানে পাঠানোর জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে)

📌 আমাদের প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান সমূহ :-

🔸 Crescent Health Service Medical college and Hospital
🔸 Crescent Health Service retirement Homes
🔸 Crescent Health Service Central Mosque
🔸 Crescent Korean Language School
🔸 Crescent English Language School

'Allah


আলহামদুলিল্লাহ,আজ ৩ বছর শেষ হয়ে ৪র্থ বছরে পদার্পণ করবে ক্রিসেন্ট হেলথ্ সার্ভিস ফাউন্ডেশন।সামনের দিন গুলোর জন্য অনেক অনে...
10/05/2023

আলহামদুলিল্লাহ,
আজ ৩ বছর শেষ হয়ে ৪র্থ বছরে পদার্পণ করবে ক্রিসেন্ট হেলথ্ সার্ভিস ফাউন্ডেশন।
সামনের দিন গুলোর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ও ভালোবাসা প্রানের সংগঠন Crescent Health Service ❤️

ছোট পরিসরে আমাদের এই সেবা মূলক সংগঠন Crescent Health Service ❤️ গত তিন বছর ধরে আমাদের কার্যক্রম চলতেছে। যারা গত ৩টি বছর ধরে এই সেবা মূলক সংগঠনের সাথে আছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো❤️কচ্ছপের মতো হাটি হাটি পা পা করে আমাদের ৩টি বছর অতিক্রম করলাম। এর মধ্যে আমরা গত ৩ বছরে মানুষ কে ১৩০০ + ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছি। আমরা অনলাইন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি প্রায় ২০০০ জন মানুষ কে। আমরা করোনা'র ক্রান্তি লগ্ন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ছোট ছোট পরিসরে ১৭০০ জন মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ❤️

"মানুষ মানুষের জন্য,
মানব সেবাই আমাদের মূল লক্ষ"

৩য় বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের আয়োজন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ 😊
দেখতে দেখতে আমাদের এই ছোট পরিসরের পরিবারের ৩ টি বছর সম্পন্ন হলো।
ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমেই এক সময় আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো ইনশাআল্লাহ❤
এই অল্প কিন্তু মুল্যবান সময়ে যারা আমাদের সাথে ছিলো সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা❤
ভবিষ্যতেও আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি 😊

- স্বাস্থ্য‌ই সকল সুখের মূল। একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। অধিকাংশ মানুষই সাধারণত অসুস্থ হওয়ার আগে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেন না। আবার অসুস্থ হওয়ার পরও যখন আমরা এদিক-সেদিক দৌড়-ঝাঁপ শুরু করি। তখন অনেক
সময়ই সঠিক নির্দেশনার অভাবে ভালো সেবা পাই না।
সু-স্বাস্থ্যের জন্য আমরা যেন প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, অসুস্থ হলে আমরা যেন সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস টা পেতে পারি- সেজন্য বাংলাদেশের একদল তরুণ ডাক্তার, সিনিয়র নার্স, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবী ছাত্র-ছাত্রী সহ আরো অন্যান্য সবাইকে নিয়ে আমরা গঠন করেছি Crescent Health Service একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব এ প্লাটফর্মে। গড়ব আমাদের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

📌 ক্রিসেন্ট হেলথ্ সার্ভিস পেইজ থেকে যে সেবা গুলো আপনি পাবেন 👇

🔸পেইজ ও গ্ৰুপে পোস্ট সংক্রান্ত নীতিমালাঃ-

১। জনস্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য প্রমোশান, স্বাস্থ্য সচেতনতা সহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব ধরণের পোস্ট নির্ভরযোগ্য সোর্স সহ করা যাবে।

২। যে কোন ধরণের স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা, স্বাস্থ্য পরামর্শ, স্বাস্থ্য তথ্য,ডাক্তার-হাসপাতাল রিলেটেড তথ্য এবং স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য এবং পরামর্শ জানতে চেয়ে পোস্ট করা যাবে।

৩। চিকিৎসা বিষয়ক জানতে চাওয়া পোস্টে শুধুমাত্র
রেজিস্টার্ড MBBS, BDS, DMF চিকিৎসকরা কমেন্ট করতে পারবেন। অন্য কেউ কোন ধরণের চিকিৎসা বিষয়ক কমেন্ট করতে পারবেন না। চিকিৎসা সংক্রান্ত কমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক অবশ্যই নিজের নাম এবং পদবী উল্লেখ করবেন।

৪। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী প্রয়োজন যেমনঃ রক্তের প্রয়োজনে,জরুরী এম্বুলেন্স, ঔষুধ, ফার্মেসি বা এজাতীয় সব ধরণের জরুরী বিষয়ে পোস্ট করা যাবে।

৫। স্বাস্থ্য বিষয়ক জিজ্ঞাসা পোস্টে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে। রোগীর লিঙ্গ, বয়স, বাচ্চাদের ওজন,বর্তমান উপসর্গের পর্যাপ্ত বিবরণ, পূর্বের রোগ এবং হসপিটাল ভর্তির ইতিহাস উল্লেখ করতে হবে।

৬। কোন পোস্টে বা কমেন্টে কোন ধরণের অশ্লীল শব্দ,
অপমানসূচক শব্দ, আক্রমণাত্নক শব্দ, ইমোটিকন, সরাসরি বা আকারে ইংগিতে ব্যবহার করা যাবেনা। এক্ষেত্রে নিয়ম ভংগকারীকে সরাসরি পেইজ থেকে ব্যান করা হবে।

৭। যে কোন প্রয়োজনে যে কোন পোস্ট/কমেন্ট ডিলিট করার সব ক্ষমতা Crescent Health Service এর এডমিনরা সংরক্ষণ করেন।

৮। প্রয়োজন এবং সময়ের আলোকে পেইজ এর নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং পরিবর্ধনযোগ্য। এ সংক্রান্ত সব অথরিটি পেইজ এডমিনরা সংরক্ষণ করেন।

Admin - Crescent Health Service
🏥 A concern of Crescent Health Service Foundation

📌 আমাদের বর্তমানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সমূহ :-

🏥 Crescent Health Service Blood Bank 🩸( ক্রিসেন্ট হেলথ সার্ভিস ফাউন্ডেশন এর সদস্যগণ সারা দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন)

🏢 Crescent Health Service ( টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন)

🏫 Crescent Japanise Language School ( বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদেরকে জাপানিজ ভাষা শিখিয়ে উন্নত পড়াশোনার জন্য জাপানে পাঠানোর জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে)

📌 আমাদের প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান সমূহ :-

🔸 Crescent Health Service Medical college and Hospital
🔸 Crescent Health Service retirement Homes
🔸 Crescent Health Service Central Mosque
🔸 Crescent Korean Language School
🔸 Crescent English Language School

'Allah


🏥 জরুরী রক্তের প্রয়োজনে Crescent Health Service Blood Bank 🩸 আপনার পাশে..."স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ"আ...
09/05/2023

🏥 জরুরী রক্তের প্রয়োজনে Crescent Health Service Blood Bank 🩸 আপনার পাশে...

"স্বেচ্ছায় রক্তদান,
বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ"

আলহামদুলিল্লাহ ছোট পরিসরে আমাদের এই সেবা মূলক সংগঠন Crescent Health Service Blood Bank🩸 (A concern of Crescent Health Service Foundation)
গত তিন বছর ধরে আমাদের কার্যক্রম চলতেছে। যারা গত ৩টি বছর ধরে এই সেবা মূলক সংগঠনের সাথে আছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো❤️
হাটি হাটি পা পা করে আমাদের ৩টি বছর অতিক্রম করেছি। এর মধ্যে আমরা গত ৩ বছরে মানুষ কে ১৩০০'শ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছি।
মানবিকতার সবচেয়ে বড় নিদর্শন হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। বাংলাদেশের মতো একটি মধ্যম আয়ের দেশে এই সেবার গুরুত্বের শেষ নেই। কারণ আমাদের দেশে বছরে রক্তের চাহিদা থাকে প্রায় ৮-১০ লাখ ইউনিট। এই অবস্থায় কারো স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিষয়টি অতি তুচ্ছ নয়, বরং তা বীরত্বের পরিচায়ক। তাই কারো প্রাণের স্পন্দন টিকিয়ে রাখতে আমাদের সবারই উচিত স্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা।
বাংলাদেশে প্রতিবছর রোগীদের সার্জারি চিকিৎসা সেবার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। যারা রক্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত তাদেরও নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে প্রয়োজন হয় রক্তের। যেমন বাংলাদেশে ১৪ জনে ১ জন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতিবছর থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে প্রায় ১০ হাজার শিশু। এসব থ্যালাসেমিয়া রোগীর পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা, হিমোফিলিয়া ইত্যাদি রোগীর ক্ষেত্রে রক্তের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অপারেশন, অগ্নিদগ্ধ বা দুর্ঘটনাজনিত রোগীর ক্ষেত্রেও রক্তের প্রয়োজন দেখা দেয়।
পৃথিবীতে এখনো কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আর এ কারণেই মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করছে শুধুই স্বেচ্ছায় দান করা এক ব্যাগ রক্তের ওপর।
নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্তদানের অভ্যাসে একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে না বরং তা শরীরকে আরও সুস্থ করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্ত দান করলে শরীরের অস্থিমজ্জা নতুন রক্তকণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়।
রক্তদান শরীরে লোহিত কণিকার প্রাণশক্তি বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বৃদ্ধি করে। নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদ্‌রোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়।
তবে একজন পূর্ণবয়স্ক ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তি রক্ত দিতে সক্ষম বলে মনে করেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সিরাজুল ইসলাম স্যার। যদিও অনেক চিকিৎসক মনে করেন ৬০ বছর পর্যন্ত এ কাজে শামিল হওয়া যায়।
নারী ৪৫ এবং পুরুষ ৪৮ কেজি ওজনের বেশি হলেই তিনি রক্তদানের মতো মহৎ উদ্যোগে শামিল হতে পারবে।
বছরে ৪ মাস অন্তর অন্তর ৩ বার রক্তদানে রক্ত প্রাকৃতিকভাবে পরিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ পায়, যা নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোনো রোগ আছে কি না, তাও বিনা খরচে জানা যায় এই মহৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় রক্তের চাহিদা একেবারেই নগণ্য হলেও এখনো আমরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। রক্তের প্রয়োজন মেটাতে যেহেতু রক্তই দিতে হয়; সেহেতু ব্যাপক জনসচেতনতার মাধ্যমে স্বেচ্ছা রক্তদাতা বৃদ্ধিই রক্তের এ চাহিদা মেটাতে পারে। তাই আসুন স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজে সুরক্ষিত ও বিপদমুক্ত থাকি এবং অন্যের জীবন প্রদীপকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি।


16/02/2023
♦♦গর্ভাবস্থায় একটা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে কি কি থাকে ঃ♦ ১২ সপ্তাহের ভিতর ঃ    ১) Gestational Sac Diameter ------------...
20/12/2022

♦♦গর্ভাবস্থায় একটা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে কি কি থাকে ঃ

♦ ১২ সপ্তাহের ভিতর ঃ

১) Gestational Sac Diameter
------------------------------------------------
--গর্ভধারণের পর জরায়ুতে একটা স্যাক তৈরি হয়।(স্যাক মানে হচ্ছে একটা জায়গা বা থলে বা বাচ্চাদানী যেটা একটা পর্দা দিয়ে বেষ্টিত থাকে বাচ্চার চারপাশে)

--পিরিয়ড মিস হবার দেড় -দুইমাস পর যখন আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় তখন জরায়ুতে এই স্যাকের উপস্থিতি নিশ্চিত করে দেয় গর্ভধারণ হয়েছে যে। এটার মাপ নেয়া হয় গর্ভধারণের বয়স বের করতে।কোনো ক্ষেত্রে স্যাক এর গড় মাপ নেয়া হয় (Mean sac diameter, MSD)। ৮ সপ্তাহের দিকে বা তার পরেও যদি এই স্যাকের ভিতর বাচ্চার অংশ না দেখা যায় তাহলে এটাতে আর বাচ্চা ধারণের সম্ভাবনা থাকেনা, মিসড এবরশন/ব্লাইটেড ওভাম নামে ডায়াগনোসিস হয় এটা।

২) Crown Rump Length (CRL)
-------------------------------------------------
-- আর্লি প্রেগন্যান্সিতে, ১২ সপ্তাহের আগে বাচ্চার মাথা থেকে বাটক/কোমড় পর্যন্ত এই মাপ নেয়া হয় বাচ্চার বয়স, ডেলিভারি ডেইট বের করতে। এই মাপটা দিয়ে শুরুর দিকে সবচেয়ে একুরেট ডেলিভারি ডেইট বের করা যায়।

৩) Cardiac Activity
-------------------------------
--যদি জীবিত বাচ্চা থাকে তাহলে ৮ সপ্তাহের ভিতরে বাচ্চার হার্টবিট দেখা যায় এবং তা মাপা হয়। Fetal Heart Rate বা FHR হিসেবে প্রতিমিনিটে হার্টবিটের সংখ্যা লিখা থাকে রিপোর্টে ।

♦তিন মাসের পর (১২ সপ্তাহের পর)

১) Bi Parietal Diameter (BPD)
--বাচ্চার মাথার মাঝখান দিয়ে একপাশের প্যারাইটাল নামক হাড় থেকে আরেকপাশের প্যারাইটাল হাড় পর্যন্ত মাপ নেয়া হয় বাচ্চার বয়স, ডেলিভারি ডেইট বের করতে।

২)Femur length (FL)
--এটা বাচ্চার পায়ের ফিমার হাড়ের মাপ। এটা থেকেও বাচ্চার বয়স, ডেলিভারি ডেইট বের করা হয়।

৩)Abdominal Circumference (AC)
--বাচ্চার পেটের সার্কুলার একটা মাপ।

৪)Placenta /গর্ভফুল
--জরায়ুর ঠিক কোথায় গর্ভফুল অবস্থান করছে তা দেখা হয়। এটা সাধারণত জরায়ুর উপরের দিকে(Fundal), সামনে(Anterior) বা পিছনে(Posterior) থাকে ।কিন্তু এটা যদি জরায়ুর নিচের দিকে বেশি নেমে যায়(Low lying, Placenta previa) তাহলে রিস্কি ।
এছাড়া গর্ভফুলের/প্লাসেন্টার ম্যাচিউরিটির উপর ভিত্তি করে গ্রেডিং করা হয় Grade 0,1,2,3.

৫)Amniotic Fluid
--বাচ্চা জরায়ুতে যে পর্দার ভিতর আবেষ্টিত থাকে সেই পর্দার ভেতরটা পানি দিয়ে পূর্ণ থাকে। এই পানিকে
এমনিউটিক ফ্লুইড বলে। এই পানি বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখে, পুষ্টি যোগায়, বাচ্চার মুভমেন্টকে ইজি করে।
এটার পরিমাণ কমে গেলেও(Oligohydramnios) সমস্যা, অতিরিক্ত বেড়ে গেলেও(Polyhydramnios) সমস্যা। পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে লিখা হয় Adequate.

৬)বাচ্চার পজিশন/প্রেজেন্টেশন /lie
-- প্রেজেন্টেশন হচ্ছে জরায়ুর নিচের দিকে বাচ্চার শরীরের কোন অংশটা অবস্থান করছে তা। নরমাল প্রেজেন্টেশন হচ্ছে বাচ্চার মাথা জরায়ুর নিচের দিকে থাকবে, এটা লিখা থাকবে Cephalic presentation হিসেবে। আর যদি বাচ্চার পা জরায়ুর নিচের দিকে থাকে তাহলে সেটা Breech Presentation। ব্রিচ প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে বাচ্চা ডেলিভারির ডেইট কাছাকাছি চলে যাওয়ার আগে নিজে নিজেই ঘুরে ঠিক হয়ে যায় অনেকের ক্ষেত্রে। আর যদি না ঘুরে তাহলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না। Transverse lie/presentation হচ্ছে বাচ্চা জরায়ুতে আনুভূমিক ভাবে আছে মানে বাচ্চার মাথা,পা উপরে বা নিচের দিকে নাই।বাচ্চাটা জরায়ুতে মাঝবরাবর আপনার পেটের বাম/ডান সাইডে মাথা/পা দিয়ে সোজাসুজি আছে, লম্বালম্বিভাবে নাই। এটাও নরমাল পজিশন না। কিন্তু নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।

৬)এছাড়াও বাচ্চার ওজন,নড়াচড়া, শরীরের গঠন নরমাল কিনা, বাচ্চার গলার চারপাশে আমবিলিক্যাল কর্ড পেচিয়ে গেছে কিনা,কর্ড গলার কাছাকাছি আছে কিনা এসব সহ আরো কিছু জিনিস দেখা হয় বাচ্চা এবং মায়ের সবকিছু ঠিক আছে কিনা বুঝতে।

♦♦বি.দ্র ঃ বাচ্চা ছেলে না মেয়ে হবে এটা দেখার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়না। এটা রিপোর্টে লিখা বেআইনী। ধর্মীয়ভাবেও ঠিক না পেটে থাকতেই লিংগ জানা। অনেকে মেয়ে বাচ্চা হবে জানার পর এবরশন করে ফেলে, অনেকের সংসারে অশান্তি তৈরি হয়। উপরে রিপোর্টের যতগুলো বর্ণনা দিলাম তার কোনোটা থেকেই বের করা সম্ভব না বাচ্চার লিংগ কি। যারা হার্টবিট এর সংখ্যা দেখে, মায়ের লক্ষণ দেখে বলে দেয় কি বাচ্চা হবে এটা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন, আন্দাজ থেকে বলা। কোনো চিকিৎসক আপনাকে এসব বলবে না। শুধুমাত্র আল্ট্রাসাউন্ড করার সময় (৫ মাসের পর) চিকিৎসক যদি নিজে ইচ্ছে করে দেখতে চান রোগীর রিকুয়েষ্টে তাহলেই কেবল আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের মনিটরে খুঁজে বের করে দেখার চেষ্টা করেন সরাসরি লিংগ দেখা যাচ্ছে কিনা। কিন্তু এমনিউটিক ফ্লুইড কম থাকা, বাচ্চার নড়াচড়া, পা ভাজ করে রাখা সহ নানা কারনে সব সময় লিংগ স্পষ্ট ভাবে দেখা সম্ভব হয়না। তাই চেষ্টা করবেন এই বিষয়ে অতি আগ্রহী না হতে। সুস্থ্য একটা সন্তান যেনো সুস্থ্য স্বাভাবিক ভাবে জন্ম দিতে পারেন সেই প্রত্যাশাই করবেন সব সময়।

একটার পর একটা পর্নোগ্রাফি দেখেই চলছে রিদম। আমাকে দেখে ধড়ফড় করে ফোনটা লুকিয়ে ফেললো। আমি রিদমের কাছে গিয়ে বসলাম। সে অসহায় ...
20/12/2022

একটার পর একটা পর্নোগ্রাফি দেখেই চলছে রিদম। আমাকে দেখে ধড়ফড় করে ফোনটা লুকিয়ে ফেললো। আমি রিদমের কাছে গিয়ে বসলাম। সে অসহায় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

- আবার তুই পর্ন ভিডিও দেখা শুরু করেছিস? তুই না আমার কাছে প্রতিজ্ঞা করলি, আর কখনো দেখবি না!
- আমি যে পারছি না দোস্ত, নেশা হয়ে গেছে।
- হায় আফসোস! অথচ কিসে নেশা হওয়া উচিত ছিলো তোর, আর আজ কিসে নেশা হয়ে গেছে! উঠে বোস্।
রিদম একরাশ ক্লান্তি নিয়ে উঠে বসলো। সে আবারো হস্তমৈথুন করেছে । সপ্তাহে ৪-৫ বার করে। কখনো কখনো ৭-৮ বারও হয় আবার কোন সপ্তাহে ২-৩ বার। অষ্টম শ্রেণি থেকে ও হস্তমৈথুন করে আসছে।

রিদম বিষন্ন চোখে আমার দিকে তাকালো। ভীষণ মায়া হলো আমার, ছেলেটার চোখদুটি কি সুন্দর কিন্তু কি জঘন্য পাপে লিপ্ত!
- কিভাবে ছেড়ে থাকা সম্ভব! আমি তো বারবার একই ভুল করছি দোস্ত! যখন উত্তেজিত হয়ে যাই তখন আর কিচ্ছু ভালো লাগে না আমার। নেট চালু করেই পর্ন সাইটে চলে যাই। আমার দ্বারা সম্ভব না দোস্ত। আমি পর্ন ছাড়তে পারবো না।

- আচ্ছা ছাড়িস না। কিন্তু এই পর্নোগ্রাফি ধীরে ধীরে তোকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটাও তো একটু ভাব। এটার বিষাক্ত ছোবল জীবনকে কতোটা অশান্তি আর অস্থিরতায় ভরিয়ে দেবে সেটাও একটু ভাব। একটা সময় আসবে যখন না পারবি কাউকে বলতে, না পারবি সইতে। আচ্ছা সেটাও বাদ দে। নিজের শরীরের কথাই চিন্তা কর, এটা শরীরের জন্য কতোটা ক্ষতিকর সেটা কি জানিস? তুই বিজ্ঞানমনস্ক একজন মানুষ, বায়োলজির স্টুডেন্ট, সেহেতু বিজ্ঞান এ ব্যাপারে কি বলে সেটাও তো একটু জানা উচিত নাকি?
- আচ্ছা। বল।

- বিজ্ঞান বলছে যখন কেউ পর্নোগ্রাফি দেখে তখন তার মস্তিষ্কে কিছু ডোপামিন রিলিজ হয়। এটা ঠিক সাইকেলের চাকার মতো, সাইকেলে যতো শক্তি প্রয়োগ করবি ততই যেমন চাকা গুলো ঘুরবে, ঠিক তেমনি যতই তুই পর্ন দেখবি ততই ডোপামিন রিলিজ হতে থাকবে। আনন্দ পাওয়ার জন্য মস্তিষ্কে এটা রিলিজ হতে থাকে। অধিক পর্নোগ্রাফি দেখার কারনে ধীরে ধীরে ডোপামিন রিলিজ হবার মাত্রা বাড়তে থাকে, একসময় তুই সফটকোর পর্ন দেখে আর মজা পাবি না। তুই ঝুকে পড়বি হার্ডকোর পর্নোগ্রাফির দিকে। মানে তোর এই সাইকেলে পোষাচ্ছে না, স্পীড বাড়াতে মোটর লাগাতে হবে! হার্ডকোরের মতো ভীষণ জঘন্য পর্নগুলো তখন তোর নিকট প্রিয় হয়ে উঠবে! বিয়ের পর ঠিক এভাবেই স্ত্রীর সাথেও যৌনসঙ্গম করতে চাইবি, কেনোনা এটা তোর মস্তিষ্কে গেথে গেছে। যার ফলাফল হবে ধর্ষনের থেকেও মারাত্মক, ফলে তোর প্রতি তোর স্ত্রীর যে শ্রদ্ধা- ভালোবাসাটুকু ছিল সেটা চলে যাবে, সে তোকে ঘৃণা করতে শুরু করবে। আর এভাবেই পর্নোগ্রাফির হাত ধরে চমৎকার ভাবে তোর সুন্দর সাজানো সংসারটা ধ্বংস হয়ে যাবে।

এরপর ধর, রাস্তায় কোনো মহিলার দিকে তাকাতে গেলি, পর্নস্টারের দেহের মধ্যে খুঁজে বেড়ানো ব্যাপারগুলো তোর র‍্যানডম সেই মহিলাদের মাঝেও খুঁজে বেড়াবে। বাদ যাবে না নিজের মা, বোনও। অবাক হলি? ভেবে দেখ নিজের মা, বোনকে নিয়ে এসব মনে হলে কতোটা খারাপ লাগবে তোর!

শুধু তাই না, এটা একটা ভয়ংকর নেশাও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মাদকসেবনের ফলে মস্তিস্কে যে হরমোন নিঃসৃত হয়ে আনন্দের অনুভূতি দেয়, পর্ন দেখলেও ঐ একই হরমোন একইভাবে কাজ করে। মাদকসেবনের ফলে ডোপামিন, অক্সিটোসিন প্রভৃতি হরমোন নিঃসরিত হয়ে মস্তিস্কে একটি পথ (pathway) তৈরি করে, যে পথে নিয়মিত হরমোন নিঃসরণের প্রয়োজন দেখা দেয়, যা ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত করে তোলে। পর্ন দেখলেও ঐ একই হরমোন রিলিজ হয়। পর্ন-আসক্ত ও মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে দেখা গেছে, তাদের মস্তিষ্কের গঠন হুবহু এক। তাই পর্নও একধরনের মাদক। এটা হিরোইন, গাঁজা, ইয়াবা, কোকেন, আফিম, ফেনসিডিল থেকেও লক্ষ গুনে মারাত্মক। তোরও ঠিক এমন নেশাই হতে চলছে।

- বলিস কি! তাহলে আমি গাঁজাখোর থেকেও খারাপ পর্যায়ে আছি!
- তা তো অবশ্যই। শুধু তাই না, এবার হস্তমৈথুন করলে কি কি সমস্যায় পড়বি একটু শুনে নে..

১. অকাল বীর্যপাত বা Premature Ej*******on এর অন্যতম কারন হলো হস্তমৈথুন। হস্তমৈথুন করার সময় তুই যেমন চেষ্টা করিস কত তাড়াতাড়ি চুড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছা যায়, দেরি হলে ভালো লাগেনা। এমনটা হতে থাকলে মস্তিষ্ক দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার বিষয়টি গেঁথে নেবে, ফলে যৌনসঙ্গীর সাথে এমনটিই ঘটবে, দ্রুত বীর্যপাতের দরুন স্ত্রী অতৃপ্তই থেকে যাবে।

২. হস্তমৈথুনের কারনে Chronic Pe**le Lymphedema নামের ঘিনঘিনে একটি রোগে আক্রান্ত হবারও আশংকা থাকে। যার ফলে যৌনাঙ্গ কুৎসিত আকার ধারণ করে। (Springer Science+ Business Media New York 2013; Page 2)

৩. হস্তমৈথুন তোকে যৌনমিলনের জন্য অযোগ্য, অক্ষম বানিয়ে দিবে। মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় একে বলা হয় লিঙ্গত্থানজনিত সমস্যা বা Erectile Dysfunction (ED)। European Federation of Sexology এর প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেক বিষেষজ্ঞদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে হস্তমৈথুন লিঙ্গত্থানজনিত সমস্যার অন্যতম কারন।

৫. হস্তমৈথুনের ফলে মানবদেহে টেস্টোস্টোরনের (Testosterone) পরিমান কমে যায়। শরীরে যদি টেস্টোস্টোরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে যেগুলো হতে পারে -

ক. ক্লান্তিভাব
খ. বিষণ্ণতা
গ. দুর্বল স্মৃতিশক্তি
ঘ. মনোযোগ কমে যাওয়া
ঙ. অতিরিক্ত অস্থিরতা
চ. কম শারীরিক ক্ষমতা
ছ. আত্মনিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া
জ. পুরুষালি আচরন কমে যাওয়া
ঝ. আচরনে মিনমিনে ভাব আসা
ঞ. স্বাভাবিক যৌনক্রিয়াতে আগ্রহ না থাকা
ট. দ্রুত বীর্যপাত
ঠ. দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
ড. মেরুদণ্ডে ব্যাথা
ঢ. পেশি সুগঠিত না হওয়া
ণ. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া
ত. হাড় ক্ষয়ে যাওয়া
থ. চুল পড়ে যাওয়া

৬. স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে সন্তান ধারনের জন্য একজন পুরুষের ৪২ কোটি শুক্রাণু প্রয়োজন, ২০ কোটি কম হলে সন্তান হবে না। নিয়মিত হস্তমৈথুনের ফলে শুক্রাণু সংখ্যা কমতে থাকে। পরিশেষে সন্তানের জন্য যথেষ্ট শুক্রাণু তৈরি করতে অক্ষম হয়ে যায় শরীর।

৭. তাছাড়া হস্তমৈথুনের কারনে প্রষ্টেট (মূত্রথলির) ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

সবচেয়ে সাংঘাতিক ব্যাপার হলো যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়া। একটা গাঁজাখোরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করিস, একদিন গাঁজা না খেলে কি অবস্থা হয় তাদের, এটা যেহেতু গাঁজা থেকেও এটা বেশি নেশাকর সেহেতু এমন একটা সময় আসবে যখন প্রত্যহ হস্তমৈথুন করতে হবে তোকে। যৌনাঙ্গ বিশ্রী আকার ধারণ করার পরও বিরত থাকতে পারবি না, কারণ নেশা যখন চরম আকার ধারণ করে, তখন সেটি না করে থাকতে পারা ভীষণ যন্ত্রণার। এভাবে চলতে থাকলে একদিন আর বীর্য বের হবে না। রক্ত বের হওয়া শুরু করবে।

আমার নিজের দেখা একটা ঘটনা শোন, ক্লাস সেভেন থেকে প্রত্যহ হস্তমৈথুন করা এক ছেলে ৬ বছর পর ২০১৮ সালে মারা যায়, সে প্রত্যহ এটা করতো। তার যৌনাঙ্গের নার্ভ গুলো দূর্বল হয়ে পড়ে, ভেতরের নালি ফেটে যায়, অবশেষে রক্ত আসা শুরু করে। রক্ত পড়তে পড়তে শেষে মরেই গেলো।

- বলিস কি! এতোকিছু তো জানতাম না দোস্ত। শুনেই তো ভীষণ ভয় লাগছে আমার।
- এর থেকেও ভীষণ ভয়ের হলো একটি হাদিস শরিফের বর্ননা। শুনবি?
- হুম বল।

- " রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম, যার ওপরের অংশ ছিলো চাপা আর নিচের অংশ ছিলো প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল, ভেতরে নারী পুরুষরা চিৎকার করছিল। আগুনের শিখা ওপরে এলে তারা ওপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিল, সর্বদা তাদের এ অবস্থা চলছিল।

আমি জিবরাঈল (আঃ)কে জিজ্ঞাসা করলাম," এরা কারা"? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, "এরা হলো যিনাকারী নারী ও পুরুষ। " (সহিহ বুখারী:১৩৮৬)

হস্তমৈথুনও এক ধরনের জঘন্যতম যিনা। ভেবে দেখ, পারবি এক সেকেন্ড জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে? এই আগুন এতোটাই ভয়াবহ যে, এক সেকেন্ড না, এক মাইক্রো সেকেন্ড বা তার কম সময়ও পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি ব্যাক্তিটি যদি থেকে আসে তবে সে দুনিয়ায় সব সুখ শান্তি নিমিষেই ভুলে যাবে। সে বলবে- "আল্লাহর কসম সুখ শান্তি কি জিনিস আমি জানি না।" অথচ দুনিয়ায় আগুনই সহ্য হয়না আমাদের! জাহান্নামের আগুন থেকে কাউকে বের করে এনে যদি দুনিয়ার আগুনে রাখা হয় তবে শান্তিতে ঘুমাবে সে। ভেবে দেখ তাহলে! কতটা ভয়ানক সে আগুন। যদি তুই এমন আগুন সহ্য করতে পারিস তবে দেখ পর্ন। কর হস্তমৈথুন।

রিদম অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লো। আমি মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বললাম। এতোদিন সে এটা নিয়ে তেমন চিন্তিত ছিলো না। অথচ কতো সিরিয়াস একটা বিষয়!

- না দোস্ত। আমি তাহলে ফিরে আসবো৷ একদিকে শরীরের ক্ষতি আরেকদিকে পরকালের ভয়ংকর আযাব! আমাকে ফিরে আসতেই হবে দোস্ত। কিন্তু কিভাবে বেঁচে থাকবো পর্ন থেকে? হস্তমৈথুন থেকে?

- এসব থেকে ফিরতে যেসব পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে সেগুলো বলছি। তবে মনে রাখিস, এসব করার জন্য দৃঢ় সংকল্প করা চাই। এটাকে একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র মনে কর। তুই একজন যোদ্ধা, নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ করবি। কলিজা ফেটে যাক, ভিতরে তোলপাড় শুরু হোক, প্রচন্ড ঝড় উঠুক, তবুও পর্ন দেখবি না হস্তমৈথুন করবি না। এভাবে না দেখতে দেখতে একসময় সহজ হয়ে আসবে। না দেখাটাই অভ্যাস হয়ে যাবে। এসব দেখার আর কোনো ইচ্ছে জাগবে না। ঘৃণা হবে। তবেই তুই যুদ্ধে জিততে পারবি। মনে রাখিস, এই যুদ্ধে জিতলেই জান্নাত পেয়ে যাবি।

কেনোনা রাসুল( সঃ) বলেছেন-

" যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে, আমি তার জন্য বেহেশতের নিশ্চয়তা দেবো।"
- (বুখারী ও মুসলিম)

তুই কি সেই জান্নাত চাস না? যে জান্নাত জাফরান ফুলের সৌরভে মুখরিত, বিশাল বিশাল উঁচু উঁচু অট্টালিকা, ইটগুলো হবে সোনা রুপার, হাজারো আশ্চর্য নেয়মতে ভরপুর, যা কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। কল্পনাতে আসবেও না। দুনিয়াতে যেটুকু সুখ শান্তি আছে এগুলো তো কিছুই না, সামান্য নমুনা। অনন্ত যৌবন, চির সজিব এক প্রাণ নিয়ে ঝলমল করতে করতে হুরদের কাছে যাবি। সেই হুর এমন এক মেয়ে যাকে বানানো হয়েছে কার্পুরের উপাদান দ্বারা, তাতে মেশক ও জাফরানের সংমিশ্রণ দেয়া হয়েছে, তার উপর মুক্তা ও নূর জড়ানো হয়েছে, যদি সে সমুদ্রের লবনাক্ত পানিতে সেই মেয়ে মুখের লালা ফেলে, তবে সমুদ্রের পানি মিঠা হয়ে যাবে। যদি তার হাতের কব্জি সূর্যের সম্মুখে ধরা হয়, তবে সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে। যদি সে অন্ধকারে এসে উপস্থিত হয় সমস্ত ঘর আলোকিত হয়ে যাবে এবং ঝলমল করে উঠবে। যদি সে তার সাজসজ্জা সহকারে পৃথিবীতে এসে পড়ে, তবে সারা জাহান ঘ্রাণে মোহিত হয়ে যাবে, উজ্জল হয়ে যাবে। সে মেশক ও জাফরানের বাগিচায় লালিতপালিত হয়েছে। ইয়াকুত ও মারজানের শাখাসমূহে খেলেছে। সেই অপূর্ব চিরকুমারী মেয়ের সাথে মিলন ঘটবে জান্নাতে। দুনিয়ায় কখনো যে আশা মিটেনি সেখানে তা পূরণ হবে।

তোকে সেই জান্নাতের জন্য যুদ্ধে নামতে হবে দোস্ত । নফসের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। এটাকেই সবচেয়ে বড় জিহাদ বলা হয়েছে। সেই জান্নাতের তামান্না নিয়ে, হাতে আল্লাহ প্রেমের তরবারী নিয়ে একের পর এক সাফ করে দে সমস্ত শত্রুদের।

১. মেয়ে দেখা বন্ধ করে দে। সেটা হতে পারে বাস্তবে দেখা বা ছবিতে দেখা অথবা ভিডিও, টিকটক ইত্যাদিতে দেখা। কুদৃষ্টিকে শয়তানের অব্যর্থ তীর বলা হয়েছে। কুদৃষ্টি থেকে শুরু হয় কুকল্পনা, এরপর হস্তমৈথুন।

২. ফেসবুকে মেয়েদের রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করবি না। বর্তমানে যারা আছে আনফ্রেন্ড করা শুরু করে দে। মনে রাখবি, এক পাপ অন্য পাপকে টেনে আনে। মেয়ের ছবি, স্টাটাস, রোমান্টিক গল্প, কবিতা ইত্যাদি দেখলে তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করবে। যাস্ট ফ্রেন্ড থেকে শুরু হয়ে তা হস্তমৈথুনে গিয়ে ঠেকবে।

৩. যদি হারাম রিলেশন থেকে থাকে, তবে ফিরে আয়। অনেক কষ্ট হয় জানি, কিন্তু ফিরে আসতেই হবে। মেয়ের সাথে কথা বলা, ভিডিও চ্যাটিং ইত্যাদি ছাড়তে না পারলে হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবি না।

৪. যেসব চ্যাটিং গ্রুপে ছেলে-মেয়েদের আড্ডা হয়, সেখান থেকে লিভ নে। এরা মজা করতে করতে ধীরে ধীরে ১৮+ কথাবার্তা বলতে শুরু করবে। এসব গ্রুপ হলো শয়তানের আখড়া।

৫. মাঝে মাঝে রোযা রাখবি৷ এটা নবী (সঃ) নির্দেশ দিয়েছেন। রোযা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে।

৬. খুসু-খুজু (ধ্যান খেয়াল) ওয়ালা নামাজ শুরু করে দে, আল্লাহ পাক বলেন- " নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে"। [২৯:৪৫]

৭. নিজের উপর শাস্তির বিধান কর। কুদৃষ্টি বা কোনো মেয়ের সাথে চ্যাটিং বা পর্ন সাইটে ঢোকা ইত্যাদি হয়ে গেলেই সাথে সাথে ১০ রাকাআত নামাজ শাস্তিস্বরূপ পড়ে নে। দেখবি এসব অনেক কমে গেছে।

৮. দৈনিক কমপক্ষে ২০ বার মৃত্যুর স্মরণ করবি। মৃত্যুর স্মরণ যতো বেশি করবি, গুনাহের হার ততই কমবে। মৃত্যু যখন অবধারিত, আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো যেখানে অবশ্যম্ভাবী, সেখানে গুনাহ করার কোনো মানেই হয় না।

৯. খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করবি। ভালো দ্বীনদার বন্ধুদের সাথে মিশবি। কথায় আছে সঙ্গ গুণে রঙ্গ ধরে। সোনার সাথে থাকতে থাকতে লোহার গায়েও একদিন সোনার ছটা লাগে!

১০. টেবিলের উপর ছোট্ট একটা কেলেন্ডার রেখে দে। সারাদিন হস্তমৈথুন আর পর্নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওই দিনের তারিখে টিক চিহ্ন দে। এই টিক চিহ্ন ওই দিনের যুদ্ধজয়ের টিকচিহ্ন। মাস শেষে উন্নতি কতদূর হলো দেখবি। ইনশাআল্লাহ এমন একদিন আসবে সেদিন আর কেলেন্ডার লাগবে না। প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত হবে যুদ্ধজয়ের দিন-রাত।

১১. "মুক্ত বাতাসের খোঁজে" বইটা কিনবি। আমার মনে হয় এই একটা বই-ই যথেষ্ট, কারণ তোর ভেতর মানার গুণ রয়েছে।
ব্যাস, আর কিছু লাগবে না। মাত্র ১১ টা কাজ। এতটুকু করতে পারলেই যথেষ্ট।

রিদমের চোখ খুশিতে চকচক করে উঠলো, মনে হচ্ছে এসব ওর জন্য খুব সহজ । কারণ ওর গালফ্রেন্ড নেই, ব্রেকাপ হয়ে গেছে। আমার সামনে প্রতিজ্ঞাও করেছিলো হারাম প্রেম কখনো করবে না। বাদবাকি কাজগুলো ওর জন্য ব্যাপার না। যার মাথায় গালফ্রেন্ড নামক বোঝাটি নেই, সে এই যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত তরবারী চালাতে পারে। তবে গালফ্রেন্ড নামক বোঝাটি উড়িয়ে দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া আরও অধীক বীরত্ব রাখে।

- আমি সব করবো দোস্ত। আমায় জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হবে, জান্নাত পেতে হবে আর শারিরীক সমস্যা থেকেও বাঁচতে হবে। এসব ভালো লাগে না আর। হস্তমৈথুন করার পর ইচ্ছে করে নিজেকে খুন করে ফেলি। বিতৃষ্ণা আর অশান্তিতে হৃদয় ঢুবে যায় ৷ এই নীললোহিত থেকে আমি বাঁচতে চাই দোস্ত।

- মাশাল্লাহ। তোর কথা শুনে ভাল্লাগছে। এটা থেকে বেঁচে থাকতে হলে প্রথমত তোকে তওবা করে ফিরে আসতে হবে। এটা প্রথম কাজ। একটাবার চেয়ে দেখনা সেই মহান রবের ধৈর্যশীলতার দিকে তাকিয়ে!

তুই কি দেখছিস না প্রতিটা দিন তোর গুনাহের পরেও কিভাবে তোকে আগলে রাখছেন তিনি! কখনো খাবার কেড়ে নেননি, কখনো পানি কেড়ে নেন নি, কখনো অক্সিজেন কেড়ে নেননি, যে হাত দিয়ে তুই হস্তমৈথুন করতি সে হাত প্যারালাইজড করে দেননি, যে চোখ দিয়ে যেনার গুনাহ করতি সে চোখ নষ্ট করে দেননি, যে অঙ্গ দিয়ে যেনার গুনাহ করতি সে অঙ্গ অচল করে দেননি। কোটি কোটি ভাইরাস, কোটি কোটি জীবণু থেকে প্রতিনিয়ত বাঁচিয়ে দিচ্ছেন তোকে। সকালে, দুপুরে, রাতে পর্ন ভিডিও দেখার পরেও প্রতিদিন সকালের নাশতা, লান্স, ডিনার সবকিছুর ব্যাবস্থা করে দিয়ে গেছেন।

সেই রবের দিকে ফিরবি না তুই?

- ফিরবো দোস্ত। অবশ্যই ফিরবো। কিন্তু তিনি কি আমার মতো এতোবড় জঘন্যকে ক্ষমা করবেন?

- এটা কি বললি তুই! তোর পাপ কি রবের ক্ষমাশীলতার থেকে বেশি হয়ে গেলো! তবে মনে রাখ, সেই পাক জাতের কসম যার হাতে আমার প্রাণ তোর গুনাহ দিয়ে যদি সারা আসমান জমিনও ভরে যায়, তবে সেটা তার ক্ষমাশীলতার সামনে সামান্য মশা-মাছিও না। তুই যদি একবার খালেছ তওবা করতে পারিস, তোর গুনাহ যদি সমুদ্রের ফেনা পরিমানও হয় তবুও সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা করে দিবেন তিনি। এতটাই গফুরুর রহিম আমাদের রব! তুই কি জানিস, সেই মহান আল্লাহ পাক তোর ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন!

আশ্চর্য হয়ে গেলো রিদম।
- আমার মতো নাফরমানের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন!

- হ্যাঁ দোস্ত, তিনি যে অপেক্ষায় আছেন এটা তো তিনি নিজেই বলেছেন। আমাদের অশ্লীলতা, যেনা ব্যাভিচার, হাজারো রকমের পাপাচার ইত্যাদি দেখে " সমুদ্র প্রতিদিন আল্লাহর কাছে অনুমতি চায়, হে আল্লাহ আপনি অনুমতি দিন আমি এই জাতির উপর উপচে পড়ে এদের ভাসিয়ে নিয়ে যাই, জমিন বলতে থাকে হে আল্লাহ আপনি আমায় অনুমতি দিন এই বেহায়া জাতিকে আমার ভিতর গিলে ফেলি, এই মিথ্যুক বদমাশ জাতিকে ধ্বংস করে দেই, ফেরেশতারা বলতে থাকে ইয়া আল্লাহ আপনি আমাদের অনুমতি দিন আমরা এদের সাফ করে দেই, আল্লাহ পাক তখন বলেন - যাও যাও নিজের কাজ করো এরা আমার বান্দা। এটা আমার আর আমার বান্দার বিষয়, যদি তোমার বান্দা হয় তবে মেরে ফেলো আর যদি আমার বান্দা হয় তবে অবশ্যই আমি তার জন্য অপেক্ষা করবো।" [মুসনদে আহমদ এর রেওয়ায়ত ]

তিনি তো এতটাই গফুরুর রহিম যে, এক পতিতা মহিলাকে পর্যন্ত ক্ষমা করে দিয়েছেন একটা কুকুরকে সামান্য পানি পান করানোর কারণে , তাহলে তোকে তিনি কেনো ক্ষমা করবেন না? তিনি তো ক্ষমা করার জন্যই অপেক্ষায় আছেন।

রিদম মাথা নিচু করে চোখ মুছলো। কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে তার। নিজের উপর প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে। কি এক আশ্চর্যের কথা! যেই আল্লাহ পাককে এতো জঘন্যতম গুনাহ করে অসন্তুষ্ট করেছি, সেই আল্লাহ পাক আমার মতো এতোবড় নালায়েক নাফরমানের উপর বিন্দু মাত্র প্রতিশোধ না নিয়ে বরং অপেক্ষা করছেন! ভাবতে লাগলো রিদম। কতোই না সু-মহান সেই আল্লাহ পাক! হায়! তার দিকে না ফিরে আমি এ কোথায় যাচ্ছি!

- একটা জিনিস চিন্তা কর দোস্ত। ধর, দুপুরে তুই মুরগীর রোস্ট দিয়ে দুই প্লেট বিরিয়ানি খাইলি। পেট ভরে খাইলি। এটাই কি শেষ? তোকে আর খেতে হবে না? আর ক্ষিধে লাগবে না? রাত হলে ঠিকই আবার ক্ষিধে লাগবে তোর। আবারও পেট ভরে খেতে হবে তোকে। ঠিক হস্তমৈথুনের ব্যাপারটাও এরকম, এখন তুই হস্তমৈথুন করলি, পর্ন দেখলি, এটাই কি শেষ? চাহিদা মিটে গেলো? আর করতে হবে না? কিছু সময় পর আবারও তো উত্তেজনা আসবে তোর। তাই বারবার করাটা কোনো সমাধান না দোস্ত। বরং কিভাবে না করে থাকা যায় সেটাই ভাবতে হবে তোকে।

আমি জানি প্রথম প্রথম ভীষণ কষ্ট হবে তোর। হাতের কাছে এন্ড্রয়েড ফোন। অন্ধকার রাত, আশেপাশে কেউ নেই। একা রুমে তুই। ফোর-জি নেট! পর্ণ সাইটে ঢুকলি, ক্লিক করা মাত্র ২ সেকেন্ডের ব্যাপার। নেমে আসবে লক্ষ লক্ষ পর্ন ভিডিও। কেউ দেখছে না তোকে, আমি দেখছি না, তোর বাবা-মা, ভাই-বোন দেখছে না, কেউই দেখছে না। তুই নিশ্চিন্ত মনে কম্বল মুড়ি দিয়ে ভিডিও অন করলি! অথচ ঠিক সেই মুহুর্তেও একজন তোকে দেখছে। যার দৃষ্টি থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। আল্লাহ পাক তখনো তোর দিকে তাকিয়ে আছেন। ভেবে দেখ একবার, আল্লাহ পাক তোর দিকে চেয়ে আছেন, আর তুই হস্তমৈথুন করবি!

- না দোস্ত! ইশ কতো হাজার বার যে করেছি, আর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন! হায়! লজ্জায় মাথা কাটা যায়না কেনো আমার!
রিদম মাথা নিচু করে নিজের প্রতি প্রচন্ড আক্ষেপ নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমি বাহবা দিলাম!
- এই লজ্জা থাকাটা ভীষণ দরকার দোস্ত। লজ্জা ইমানের বিশেষ শাখা।
- আমি এসব বাদ দিতে চাই দোস্ত। সত্যি বাদ দিতে চাই।
- আমি জানি, পারবি তুই ইং শা আল্লাহ। তবে এটা থেকে বেঁচে থাকতে একটু কষ্ট হবে । কোনো কিছু পেতে গেলে কষ্ট তো করতেই হয় তাই না? তুই আল্লাহকে পেতে চাস, জান্নাত পেতে চাই, জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাস, এই কষ্টটুকু মানিয়ে নিতে হবে তোকে। উত্তেজনায় হৃদয় তোলপাড় হওয়া সত্বেও তুই পর্ন দেখছিস না, হস্তমৈথুনও করছিস না। ফলে ভীষণ কষ্টে হৃদয় ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে তোর। কিন্তু তুই কি জানিস? আল্লাহ পাক এই ভগ্নহৃদয় কে কতটা ভালোবাসেন?

স্রেফ ইবাদত তো ফেরেশতারাও করে। বরং তারা মানুষ থেকেও বেশি করে। ইবাদতে মগ্ন ফেরেশতারা যে, যে অবস্থায় আছে তারা সেই অবস্থায় কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। কেউ রুকু অবস্থায়, কেউ সেজদা অবস্থায় লক্ষ লক্ষ বছর আছে তো আছেই। তো মানুষেকে আল্লাহ পাক কেনো সৃষ্টি করলেন ? মানুষেকে আল্লাহ পাক আলাদা একটা ক্ষমতা দিয়েছেন যা ফেরেশতাদের দেন নি। সেটা হলো গুনাহ করার ক্ষমতা। গুনাহ না করে থাকাটাই মানুষের জন্য অনেক বড় একটা ইবাদত। আর মানুষ ক্ষমতা থাকা সত্বেও যখন গুনাহ করে না, গুনাহের মজাটা না নেয়, তখন সে কষ্ট পায়। হৃদয় ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। সেই হৃদয়েকে আল্লাহ পাক ভীষণ পছন্দ করেন। হাজারো কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণা সহ্য করে প্রেমিকার কাছে গেলে একজন প্রেমিকা কতোটা খুশিতে আপ্লুত হয় সেটা তো জানিসই। তো আল্লাহ পাকের জন্য কষ্ট সহ্য করলে তিনি কেনো খুশি হবেন না? কেয়ামতের দিন এসব হৃদয় নূরে ঝলমল করতে থাকবে, যারা আল্লাহর জন্য নিজের নফসকে দমন করেছে। সামান্য হারাম মজা ত্যাগের কারণে এর বদলায় তারা চিরো সুখের মালিক আল্লাহকে পেয়ে গেছে! এটা তো লাভেই লাভ!

কতো চমৎকার ভাবেই না খাজা আজীজুল হাসান মাজযুব (রহ:) বলেছেন -

"হামনে লিয়া হ্যায় দারদে দিল
খো কে বাহার জিন্দেগী
এক গুলে তারকে ওয়াস্তে
হামনে চামন লুটা দিয়া"

অর্থাৎ, "আমি এই বাইরের চাকচিক্যময় দুনিয়ার (হারাম মজাকে) বিসর্জন দিতে গিয়ে আঘাতে আঘাতে আমার হৃদয়কে জর্জরিত করেছি,
একটি তাজা ফুলকে পাওয়ার জন্য একটি পূর্ণ বাগানই আমি উজাড় করে দিয়েছি!"

জানিস, আগে আমারও হস্তমৈথুনের ইচ্ছে জাগতো। একটাবার পর্ন সাইটে ঢোকার জন্য ভীষণ উত্তেজনায় ছটফটিয়ে উঠতো ভিতরটা। এই যন্ত্রণা এই ব্যাথা ভরা বুক নিয়ে তখন আল্লাহর কাছে হাত তুলে বলতাম-

হে আমার রব, দেখেননা আমার ভীষণ ইচ্ছে করছে পর্ন দেখতে, হস্তমৈথুন করতে। অথচ কি সাংঘাতিক ব্যাপার, আমি দূর্বল জীর্ণ শীর্ণ, অসুস্থ থাকলে এই উত্তেজনা তো আসতোই না বরং মেডিকেলের কোনো এক বেডে শুয়ে থাকতাম , অথচ তুমি আমায় দূর্বল করোনি, জীর্ণ শীর্ণ করোনি। স্বাস্থ্যবান করেছো। প্রতিদিন এতো এতো নিয়ামতে ভরিয়ে রেখেছো, খাওয়াচ্ছো, সুস্থ রাখছো, যার কারনেই না শক্তি পাচ্ছি! তোমার দেওয়া শক্তি নিয়ে কিভাবে তোমাকে অসন্তুষ্ট করবো আমার রব? তুমি তো আমায় কুকুর, শূকরও বানাতে পারতে বানাও নি, মানুষ বানিয়েছো, তুমি তো তোমায় অটিস্টিক বানাতে পারতে তাও বানাওনি, সুস্থ-সবল ভাবে বড় করেছো। সেখানে আমি কিভাবে এই কাজ করবো? এতো বড়ো অকৃতজ্ঞ আমি হতে পারবো না আমার রব। তোমায় অসন্তুষ্ট করা যাবে না। জীবন যায় যাক, কলিজা ফেটে যাক তবুও তোমায় অসন্তুষ্ট করবো না, কক্ষনও না। তুমি আমার এই যন্ত্রণা, এই উত্তেজনা দূর করে দাও! আমায় হালাল মজা দিয়ে দাও। আমি যে এ ব্যাপারে দূর্বল, গুনাহ করতে ভালোবাসি।

তখন আমার চোখ দিয়ে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে থাকে। ভীষণ কান্না চলে আসে। হৃদয়ের অস্থিরতা দূর হয়ে যায়, কেমন জানি মধুর এক অনুভূতি জেগে ওঠে, সত্যিকারের এক আশ্চর্য স্নিগ্ধ ভুবন ভেসে ওঠে, এক প্রেমময় রাজত্ব, যে রাজত্ব স্রষ্টা ও সৃষ্টির একান্ত প্রেমের রাজত্ব, কথপোকথনের অপূর্ব এক স্বাদ হৃদয়কে আকুল করে তোলে। এক প্রেমময় বসন্ত আমায় ঘিরে নেয় আমি অনুভব করতে থাকি আমার কষ্ট ভরা হৃদয়ের জখমের উপর আল্লাহ পাক স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন।

রিদম অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। জানিনা ওর মনের ভেতর এখন কি চিন্তা খেলা করছে। হঠাৎ আমার হাত চেপে ধরে কাঁদতে লাগলো রিদম।

- সেই অনুভূতির মজাটা কি গুনাহের মজা থেকেও বেশি দোস্ত ?
ওর এই প্রশ্ন শুনে নিজেও কেঁদে ফেললাম আমি। কি জবাব দিবো এই প্রশ্নের! কিসের সাথে কিসের তুলনা! কোথায় গুনাহের মজা আর কোথায় আল্লাহ প্রেমের মজা! নারকেলের ছাল চিবিয়ে কেউ যেনো জিজ্ঞেস করেছে- নারকেলের ছাল থেকেও কি ভিতরটা বেশি মিষ্টি? যেখানে হারাম মজাকে নগদ পাপের সাজা বলা হয়েছে! আর আল্লাহ প্রেম? হায়! কেউ যদি বুঝতো আল্লাহর জন্য গুনাহকে কোরবানি করে দেওয়ার মজা যে কতোখানি, কেউ যদি বুঝতো আল্লাহর জন্য হৃদয়ের রক্তক্ষরনের মজা যে কতোখানি, কেউ যদি বুঝতো আল্লাহর জন্য নিজের নফসের উপর ছুরি চালানোর কি স্বাদ! তাহলে সে গুনাহ করার কথা কখনো কল্পনাও করতে পারতো না, সব সময় সেই মহান প্রেমময় সত্তার ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে থাকতো, যার কাছ থেকে প্রতিটা মুহুর্তে প্রশান্তির এক দরিয়া প্রবাহিত হতে থাকে তার প্রিয় বান্দাদের হৃদয়ে, অবিরত ছাকিনা বর্ষিত হতে থাকে প্রশান্ত অন্তরের উপর, সেই হৃদয়কে তো আল্লাহ পাক সিংহাসন বানিয়ে ফেলেন!

আমি চোখ মুছে, রিদমের হাত ধরে বললাম।
- আল্লাহর কসম করে বলছি দোস্ত, সকল সৌন্দর্য, সকল সুখ, সকল শান্তি, সকল আরাম যার থেকে উৎসরিত সেই মহান রবের জন্য গুনাহ ত্যাগ করার মজা জান্নাতে গেলেও পাবি না, তার জন্য কান্না করার মজা জান্নাতে গেলেও পাবি না, কোটি কোটি বৎসর বেঁচে থাকবি সেখানে এক ফোঁটা চোখের পানি বের চাইবি বের হবে না, দুনিয়ায় তার জন্য কান্না করার যে মজা তা না আছে টাকায়, না আছে অট্টালিকায়, না আছে মেয়ে দেখায়, প্রেম করায়, পর্ন দেখায়, না আছে হস্তমৈথুনে। তার জন্য কান্না কর। তার জন্য জজবা কোরবান করে দে, নিজের নফসের উপর ছুরি চালিয়ে দে, এই লজ্জত, এই মজা তো জান্নাতেও মিলবে না। জান্নাতে খাওয়ার মজা পাবি, হুরের সাথে মেলামেশার মজা পাবি, কোটি কোটি বৎসর যুবক থাকার মজা পাবি কিন্তু তার জন্য কান্না রোনাজারি, ছটফট করার মজা পাবি না!

রিদম শার্টের হাতা দিয়ে চোখে মুছলো।
- আমি তওবা করেছি দোস্ত। তুই এসব না বললে কখনো জানতামই না। আজ আমার চোখ খুলে গেছে। আমি বুঝে গেছি হারামে কোনো শান্তিই নেই। তুই হস্তমৈথুন না করে থাকতে পারলে আমি কেনো পারবো না! আমি এই অশান্তি বিতৃষ্ণা থেকে বাঁচতে চাই দোস্ত! আল্লাহকে পেতে চাই। আল্লাহ পাকের প্রেমে হৃদয় রাঙাতে চাই। এই গান্ধা, নোংরা জঘন্য পাপ ছেড়ে দিয়ে মহাপবিত্র সেই সত্তার ভালোবাসায় মোহিত হতে চাই।

"হে আল্লাহ আমিও তওবা করেছি, আমি আর কখনো পর্ন ভিডিও দেখবো না। এই দেখো সব কিছু ডিলিট দিচ্ছি, সব পর্ন ভিডিও ডিলিট করছি, হে আমার রব, আমি মেয়েদের সাথে আর চ্যাটিং করবো না, সবাইকে আনফ্রেন্ড করে দিবো, গ্রুপ গুলো থেকে লিভ নিবো, দৃষ্টিকে হেফাজত করবো। আমায় ক্ষমা করে দাও আমার রব। তুমি ক্ষমা না করলে আর কার কাছে যাবো বলো? কে আছে এই আসমান জমিনের দ্বিতীয় কোনো সত্তা! আমার এতো গুনাহের পরও তুমি আমায় আগলে রেখেছো, ধ্বংস করে দাওনি। আজও আমায় কাছে টেনে নাও... হে আমার রব..কাছে টানবে না? আমি ভীষণ নোংরা বলে... "

রিদম ভেউভেউ করে কাঁদতে লাগলো। কিছুতেই কান্না থামাতে পারছে না ও। এমন সময় এশার আজান দিলো। রিদম চোখ মুছে উঠে দাঁড়ালো।

- নামাজ পড়তে যেতে হবে দোস্ত। তুই একটু ওয়েট কর, আমি গোসল করে আসছি।

রিদম ওয়াশরুমে গোসলের জন্য ঢুকলো। আমি ওর বিছানা গোছাতে লাগলাম। নিজের অজান্তেই এক ফোঁটা চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো। আল্লাহ পাক এভাবেই তার বান্দাকে আপন বানিয়ে নেন, তিনি যাকে ইচ্ছে হেদায়েত দান করেন। তিনি মহাক্ষমাশীল, মহা প্রতাপশালী।

সাহায্যকারী বই :
১. মুক্ত বাতাসের খোঁজে,
২. ফাজায়েলে সাদাকত,
৩. ফাজায়েলে আমল,
৪. আকাশের ওপারে আকাশ

Address

740/C West Kazipara, Mirpur, Dhaka_1216
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Crescent Health Service posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Crescent Health Service:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram