30/06/2025
কার্ডিও ব্যায়াম কী?
কার্ডিও ব্যায়াম হলো এমন শারীরিক কার্যকলাপ যা আপনার হৃদস্পন্দন (heart rate) ও শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে আপনার হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও সঞ্চালন ব্যবস্থাকে (cardiovascular system) সক্রিয় রাখে।
উদাহরণ: দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফানো, নাচ, brisk walking ইত্যাদি।
⸻
🌟 কার্ডিও ব্যায়ামের গুরুত্ব
১️⃣ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
কার্ডিও ব্যায়াম নিয়মিত করলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
২️⃣ ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
দীর্ঘ সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ার কারণে ফুসফুস বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে শেখে। ফলে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অসুবিধা কমে।
৩️⃣ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
কার্ডিও ব্যায়াম প্রচুর ক্যালোরি পোড়ায়, যা ওজন কমাতে বা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।
৪️⃣ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
কার্ডিও ব্যায়াম থেকে এন্ডরফিন (সুখ হরমোন) নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ডিপ্রেশন কমায়। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ে।
৫️⃣ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্ডিও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
৬️⃣ শক্তি ও সহনশক্তি বাড়ায়
নিয়মিত কার্ডিও ব্যায়ামে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয় না। দৈনন্দিন কাজ সহজে করা যায়।
৭️⃣ ঘুমের মান উন্নত করে
কার্ডিও ব্যায়াম করলে গভীর ও নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম হতে সহায়ক হয়।
⸻
⚠️ সতর্কতা
✅ কার্ডিও শুরু করার আগে আপনার ফিটনেস লেভেল বুঝে পরিকল্পনা করুন।
✅ উচ্চরক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের রোগ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যায় ভোগলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
✅ ওয়ার্ম-আপ ও কুল-ডাউন করা জরুরি।
⸻
🚶 কার্ডিও কতক্ষণ করা উচিত?
👉 সাধারণ সুস্থ ব্যক্তির জন্য
প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতা কার্ডিও (যেমন brisk walking)
অথবা
৭৫ মিনিট উচ্চ-তীব্রতা কার্ডিও (যেমন দৌড়ানো, সাঁতার কাটা)
👉 ওজন কমাতে চাইলে
সপ্তাহে ৩০০ মিনিট পর্যন্ত মাঝারি তীব্রতার কার্ডিও করা উপকারী।