24/05/2025
হিজামা একটি ভূলে যাওয়া নববী চিকিৎসা
ঔষধের বিকল্প বিস্ময়কর ন্যাচারাল চিকিৎসা হচ্ছে হিজামা । হিজামা সত্যিকার অর্থে খুবই চমৎকার এবং ম্যাজিক এর কাজ করে। এটি নববী চিকিৎসা ব্যাবস্থা।
♦হিজামা কি?
হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,
হিজামা আরব বিশ্বেসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট স্থান থেকে সূঁচের মাধ্যমে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে (টেনে/চুষে) নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত বের করে আনা হয়।
হিজামার মাধ্যমে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় নার্ভগুলো একটিভ হয়,শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরির হয় সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।
ইহা আরামদায়ক,ঝামেলাহীন নিরাপদ ফলপ্রসূ চিকিৎসা।
♦ হিজামার দ্বারা যেসব রোগের চিকিৎসা করা হয়-
১। রক্ত দূষন।
২। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথাব্যাথা।
৩। মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যাথা।
৪। অস্তি সন্ধির ব্যাথা / গেটেবাত।
৫। উচ্চ রক্তচাপ।
৬। কোমর ব্যাথা।
৭। হাটু ব্যাথা।
৮। মাংস পেশীর ব্যাথা।
৯। ঘাড়ে ব্যাথা।
১০। শরিল ব্যাথা।
১১। শরিলের জয়েন্টে ব্যাথা।
১২। পিঠে ব্যথা।
১৩। পিঠের মেরুদন্ড ব্যথা।
১৪। স্পোর্টস ইনজুরী।
১৫। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি।
১৬। শরীরের অর্গান সমুহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।
১৭। অনিদ্রা
১৮। থাইরয়েড গ্রন্থীর সমস্যা।
১৯। হাঁপানি।
২০। হৃদরোগ।(শুরু অবস্থায়)
২১। মুটিয়ে যাওয়া।
২২। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমণ।
২৩। চর্মরোগ।
২৪। ডায়াবেটিস।
২৫। সাইনুসাইটিস।
২৬। চুল পড়া।
২৭। ব্রেইন ডিজেজ।
২৮। কোলেষ্টরেল।
২৯। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিস্কাসন।
৩০। মানসিক সমস্যা।
৩১। পারকিনসন্স ডিজিজ।
৩২। কিডনির সমস্যা।(শুরু অবস্থায়)
৩৩। লিভার ডিজিজ।
৩৪। অনিয়মিত মাসিক ওমেয়েদের অন্যান্য
সমস্যা।
৩৫। মাদকাসক্তি।
৩৬। প্যরালাইসিস।
৩৭। মাথা ঘোরা।
৩৮। পাইলস/অর্শ/গেজ
৩৯। হাতে পায়ে জ্বালাপুরা
৪০।ব্রণ
এবং আরো অনেক রোগের উপকার হয়।
♦★মাথায় হিজামা লাগানোর দ্বারা বিশেষভাবে কিছু রোগের উপকার হয় সেটা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হলঃ★♦
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘ মেয়াদী মাথাব্যথা এবং সাধারন মাথাব্যথা।
২। উচ্চ রক্তচাপ।
৩। রক্তদূষন।
৪। ঘুমের ব্যঘাত।
৫। স্মৃতি ভ্রষ্টতা।
৬। ঘাড়ে ব্যথা।
৭। হরমোনাল সমস্যা ।
৮। সাইনুসাইটিস।
৯। মানসিক সমস্যা।
১০। চুল পড়া।
১১। ব্রেইন ডিজিজ।
১২। প্যরালাইসিসের সমস্যা ইত্যাদি।
♦হিজামা সম্পর্কে কয়েকটা হাদিস:-
(১) রাসুল ( সা.) বলেছেন, “জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর: ৭৪৭০
(২) রাসুল ( সা.) বলেছেন, “আমি মেরাজের রাতে ফেরেশতাদের মাঝে.. যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩
(৩) রাসুল ( সা.) বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫
(৪) রাসূল সা. বলেছেন, “হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীস নম্বর: ২০৫৩
♦হিজামা' করার দ্বারা বিশেষ কিছু উপকারিতা:★
(১) শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
(২) মাথা ব্যথার জন্য বিশেষ উপকারী।
(৩) শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ/Toxin বের করে নিয়ে আসে,
(৪) শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হ্রাস করে,
(৫) ত্বক পরিষ্কার করে।
(৬) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
(৭) ঘুমের উন্নতি করে
(৮) শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
(৯) কিডনি ও লিভারকে পরিস্কার করে,
(১০) হৃদ রোগের ঝুকি কমায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে,
(১১) বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে ,
(১২) গ্যাস্ট্রিক দূর করে।
♦📌বিঃদ্রঃ-- হিজামা চিকিৎসার কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।
তাই হিজামা করুন, সুস্থ থাকুন,