03/03/2025
"রােজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা"
ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে রোজা বা সিয়াম অবশ্য পালনীয় ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। প্রাপ্ত বয়স্ক সকল নারী-পুরুষের জন্য রােজা পালন করা ফরজ। ইসলামের হুকুম হিসেবে রোজার গুরুত অনেক বেশি ও সওয়াবের কাজ। মহান রব্বুল আল-আমিন নিজ হাতে একজন রোজাদারকে পুরষ্কৃত করবেন। একইভাবে কোন ব্যক্তি কোন অজুহাত ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে রােজা ছেড়ে দিলে তাকে পরকালে চরম শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা ইসলামের এই বিধি-নিষেধ গুলাে কম- বেশি সবাই অবহিত। আমার বক্তব্য ইসলামের আলোকে নয় ।
আমি আজ আপনাদের সাথে তুলে ধরতে চাই রােজার কোন সায়েন্টিফিক উপকারীতা আছে কি না? মহান রব্বুল আল-আমিন পরম দয়ালু ও মেহেরবান। ইসলামের আলােকে এর শারীরিক, মানসিক ও আত্বীক উপকরীতা রয়েছে এবং বিজ্ঞানিরাও গবেষণার মাধ্যমে এর শারীরিক, মানসিক ও আত্বীক উপকরীতার প্রমান পেয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে কেউ সঠিক নিয়মে সিয়াম পালন করলে তার তিনটি প্রধান উপকার হয়ঃ-
১, হার্ট বা হৃদপিন্ড সুস্থ থাকে অর্থ্যাৎ উচ্চ রক্তচাপ কমে, রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমে, হার্টের
কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এবং হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুকি কমে।
২. প্রদাহের জন্য দায়ী কেমিক্যাল মিডিয়েটর নিঃসরণ হ্রাস পায় ফলে অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ হয়, অন্ত্রের
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা হ্রাস ও প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে
অন্ত্রনালীর স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এছাড়া হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়, আইবিএস ও এসিড বিফ্লাক্স এর লক্ষণ
সমুহ কমে যায়।
৩. মস্তিষ্কে নতুন স্নায়ু কোস তৈরি হয়, স্ট্রেস প্রতিরোধ হয়, মুড স্বাভাবিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে মস্তিষ্কের কাজকে ত্বরান্বিত করে।
এছাড়াও রোজা রাখলে⤵️
🟢 মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়
🟢 রােগ-প্রতিরোধ বাড়ে
🟢 ক্যান্সারের ঝুকি কমে
🟢শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ কলা অটোফ্যাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূরীভূত হয়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে
কাজেই রােজা যেমন ইসলামের দিক থেকে উপকারী, একই ভাবে বৈজ্ঞানিক ভাবেও এর উপকারীতা প্রমানিত।
শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখা যায়।