Jugolbondi.com

Jugolbondi.com The Bangladesh's No.1 Matchmaking Service

12/12/2024

আদর্শ স্বামীর ১০টি লক্ষণ

ভালো স্ত্রী সবাই চায়, কিন্তু কেউ কি ভালো স্বামী হতে চায়? স্বামী স্ত্রীর বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে সংসার সুন্দর হয়। তাই ভালো স্ত্রীর পাশাপাশি স্বামীকেও ভালো হতে হবে। সুদর্শন হওয়ার চেয়েও গুণবান ও দায়িত্বশীল হলে আদর্শ স্বামী হওয়া যায়। স্ত্রীর কাছে দায়িত্বশীল পুরুষরাই বেশি সম্মানিত হন। দেখতে সুদর্শন হলেই আদর্শ স্বামী হওয়া যায় না। তাঁর মধ্যে বিশেষ কিছু গুণও থাকা প্রয়োজন। জানতে চান সেগুলো কী? তাহলে নিচের পয়েন্টগুলো মনযোগ সহকারে পড়ুন প্লিজ।

১. একজন আদর্শ স্বামী শুধু সুন্দর কথাই বলেন না, তিনি সংসার জীবনের যেকোনো বিপদ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে জানেন। তিনি কখনো বিপদ দেখলে ভয় পান না এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।

২. তিনি তার নিজের জন্য রাতের খাবার তৈরি করতে জানেন। আজকালকার মেয়েরা কর্মজীবনে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন। এজন্য তারা এমন স্বামী আশা করেন যার জন্য অফিস থেকে ফিরেই তাকে রান্নাঘরে ঢুকতে হবে না। আর যে পুরুষ নিজের খাবারটা তৈরি করতে জানেন তাকে আদর্শ স্বামী না বলে উপায় আছে?

৩. ভুল মানুষেরই হয়। আদর্শ স্বামী হলে তিনি সবসময় আপনার ভুল না ধরে উল্টো আপনাকে সমর্থন করবেন। এমনকি আপনি যদি বড় ধরনের ভুলও করে ফেলেন তাহলেও তিনি আপনাকে সমর্থন করে যাবেন।

৪. আপনার জীবনের সবকিছু স্বামীর মনে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কোন বিষয়গুলোতে আপনার সমস্যা হয়, কিসে অসুস্থ হয়ে যান কিংবা কী পেলে খুশি হন এগুলো তার ঠিকই মনে থাকবে।

৫. তিনি শুধু সুদর্শনই হবেন না, জ্ঞানীও হবেন। দেখতে যতই সুন্দর হোক না কেন বুদ্ধি না থাকলে তার সঙ্গে সংসার করা খুবই কঠিন। আদর্শ স্বামী তিনিই যিনি মাথায় বুদ্ধিও রাখেন।

৬. আপনাকে কীভাবে চাঙ্গা করতে হয় এটা তিনি খুব ভালোভাবেই জানেন। যখন আপনার মন খারাপ থাকে কিংবা কোনো বিষয়ে বিরক্ত হন তখন এক নিমিষেই তিনি আপনার মন ভালো করে দেন।

৭. আদর্শ স্বামী খুব ভালো করেই জানেন যে কীভাবে আপস ও মধ্যস্থতা করতে হয়। তার যতই রাগ থাকুক না কেন ধৈর্য ধরে মধ্যস্থতা করতে তিনি একবারও পিছপা হন না।

৮. ছেলেরা সংসারের ঝামেলা বাইরে বয়ে বেড়াতে চান না। কিন্তু আদর্শ স্বামী বাসা থেকে বের হলেও সংসারের সমস্যাগুলো মাথায় রাখেন।

৯. স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো হওয়া উচিত। আদর্শ স্বামী স্ত্রীর মত বা সিদ্ধান্তকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে থাকেন এবং সেটা বুঝে কাজ করারও চেষ্টা করেন।

১০. ঘরের যাবতীয় কাজে আদর্শ স্বামী তাঁর স্ত্রীকে সাহায্য করেন। এই কাজ করতে তাঁর কোনো ইগো সমস্যা কাজ করে না। কারণ তিনি এটা নিজেরই সংসার মনে করে থাকেন।

পরিশেষে একটা প্রবাদ মনে করিয়ে দিই, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে।’ প্রবাদটা ঠিক তবে এটাও সত্যি, যদি গুণবান পতি থাকে তাঁর সনে। অর্থাৎ শুধু একজনের গুণে একটা সংসার সুখের হয় না। স্বামীরও অবদান থাকতে হয়।

12/12/2024
09/12/2024

সংসারে সুখ শান্তি না আসার কিছু কারণ

১.স্বামী যদি স্ত্রীর কথায় উঠেবসে, স্ত্রী যা বলে স্বামী তাই ই করে।স্বামীর সিদ্ধান্ত, ইচ্ছার মৃত্যু হলে!

২.যার স্ত্রী বেহায়া, নির্লজ্জ, পরপুরুষের সামনে খোশগল্প করে।

৩.স্বামী যদি পর নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখে বা সময় পাস করে

৪.অন্য পুরুষের স্ত্রীর দিকে কুনজর দেওয়া

৫.নিজের স্বামীর তুলনায় অন্য পুরুষ কে বেশি যোগ্য মনে করা

৬.যে নারী সংসারে সর্বদা এটা চায় ওটা চায় বাইনা করে!

৭.নিজের স্বামীর দোষ না থাকলেও অবিশ্বাস করে

৮.স্ত্রীকে খুশি করার জন্য স্বামী যখন নিজের মায়ের চোখের পানি ঝরায় বিনা কারনে সে সংসারে কোন বরকত থাকেনা।

৯.উদাসীন সে অভিভাবক যে নিজের ছেলে মেয়ের বিয়ের বয়স হলেও বিয়ে দিতে রাজি না

১০.লজ্জাহীন নারীর কোন সৌন্দর্য কাজে আসেনা।

১১.পর পুরুষ কে দেখানোর জন্য সাজ সজ্জা কারি নারী

১২.যৌতুক নিয়ে বিয়ে এবং স্ত্রীর মোহর আদায় না করলে

১৩. স্ত্রী থাকা সত্বেও পর নারীর সাথে মিলন করলে, এরা বেশি হতভাগা!

১৪. স্ত্রীর রোজগারের উপর নির্ভরশীল পুরুষ

১৫. যে পুরুষ হয়েও নারীর মতো আচরণ এবং যে নারীর পুরুষের মতো স্বভাব সূলভ আচরণ সেখানে সুখ শান্তি চিরকাল অ ধরাই থেকে যায়।

04/12/2024

বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা রূপ। আমি বহু দ্বিনি ভাইকেও এই সংঘাতের চিপায় অসহায়ভাবে আটকে থাকতে দেখেছি। করণীয় কী?

সমাধান এতো সহজ নয় বিশেষ করে এই জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি প্রায়ই বলি, "হালাল খাবার না পেলে হারামে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমার বিয়ে করা দরকার।" এই টেন্ডেন্সি আপনাকে সাংসারিক জীবনে লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর বিয়ে করুন।"

প্রতিটা মেয়ের কিছু ব্যাসিক চাহিদা থাকে যেমন। উদাহরণস্বরূপ- আমার এমন একটা সংসার হবে যেখানে,

১. আমার একটা নিজের ঘর থাকবে, যা আমি স্বাধীনভাবে সাজিয়ে নিবো।
২. আমার নিজের একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। পাছে তেল, চিনি, নুন অপচয়ের খোঁটা দেয়ার কেউ থাকবে না।
৩. একটা প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না।
৪. স্বামীর কাছে যে কোনো ছোটোখাটো আবদার বড়সড় করে দাবী করে বসলে পাছে কেউ "ন্যাকামো" বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়বে না।
৫. স্বামীর সাথে একান্তে সময় কাটালে বাঁকা চোখে কেউ তাকিয়ে থাকবে না৷
৬. সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠাবে না৷
৭. প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে প্রতিদিন খাবার বেড়ে দেয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যেতে হবে না।
৮. শাশুড়ী ননদদের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশূল হতে হবে না।
৯. যেখানে আমাকে মূল্যবান নেয়ামত ভাবা হবে, কাজ করার যন্ত্র ভাবা হবে না।
১০. যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে, লাঞ্চিত করা হবে না।

ইত্যাদি ইত্যাদি, নানারকম স্বপ্নে তারা বিভোর। আর এগুলো তাদের হালাল যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে নসিহা করার অধীকার কারো নেই। অথচ খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েই তাদের এই মৌলিক চাহিদার কাছাকাছি পৌছতে পারে। বিশাল একটা অংশই হয় পুরোপুরি বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।

আপনাদের জানা আছে কিনা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক মেয়ে বিয়ে করতে ভয় পায়, এতোটাই ভয় পায় যে বিয়ের নাম শুনলেই তারা আতকে ওঠে। কারন সে তার মায়ের সাথে একটা লম্বা সময় তার বাবার বাড়ির পরিবার থেকে এমন কিছু ঘটতে দেখে যা সে প্রতিটা মুহূর্ত একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নভেবে ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সম্ভব হয় না।

01/12/2024

স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর কাজ হলো স্বামীর প্রতি খেয়াল রাখা তার যত্ন নেওয়া। আর এটি মোটেও সহজ কাজ নয়। যে নারী সংসারে তার দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত নয় সে কখনোই তা করতে সক্ষম হবে না।

ধরুন আপনি একটি চাকরি করবেন বলে ঠিক করেছেন এখন সেই চাকরি পেতে হলে আপনার অবশ্যই যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। সাথে ন্যূনতম দক্ষতাও দরকার। ঠিক এমনি করে একজন আদর্শ স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মন জয় করার জন্যও যোগ্যতার প্রয়োজন।

আশেপাশে একটু তাকালেই বোঝা যায়- দু'জন মানুষ একই ছাদের নিচে পাশাপাশি থেকেও কতটা দূরে। সবাই স্বামীর মন জয় করতে পারে না। স্বামীর মনে জায়গা পেতেও ন্যূনতম যোগ্যতা প্রয়োজন। আর তা মোটেও সার্টিফিকেটের যোগ্যতা নয়। এক্ষেত্রে একজন আদর্শ স্ত্রীই পারে তার স্বামীকে খারাপ কাজ থেকে দূরে সরিয়ে ভালো কাজের উৎসাহ দিতে তার স্বাস্থের প্রতি খেয়াল রাখতে। পুরুষকে একজন আদর্শ স্বামী কিংবা একজন আদর্শ বাবা হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে তার স্ত্রীর ভূমিকা অনন্য ।

সত্যিকার পুরুষ তাকেই বলা উচিত; যে নিজের পরিবারকে আগলে রাখে এবং সন্তানদের সঠিক পথে পরিচালনা করে। আর পুরুষের মাঝে এমন অসাধারণ পরিবর্তন আনার ক্ষমতা মহান আল্লাহ নারীকে দিয়েছেন। একজন নারীই পারে ভালোবাসা দিয়ে একজন পুরুষের স্বভাবে পরিবর্তন আনতে। তবে পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবারের দুঃখও কিন্তু তার হাতে। একজন নারী তার সংসারকে একটি স্বর্গে পরিণত করতে পারে আবার সে চাইলে তা জ্বলন্ত নরকও হতে পারে। সে তার স্বামীকে সাফল্যের শীর্ষে কিংবা দুর্ভাগ্যের চরম প্রান্তে ছুড়ে ফেলতে পারে। একজন ধৈর্যশীল বিনয়ী স্ত্রী সবচেয়ে নিকৃষ্ট পুরুষটিকেও বদলে দিয়ে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিতে পারে। নারীরা এক বিস্ময়কর ক্ষমতার অধিকারী হয়ে জন্মায়। কেননা- তার যা ইচ্ছে তা ই সে অর্জনকরতে সক্ষম।

স্বামীর সংসার সামলানো ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একে জিহাদ (আল্লাহর পথে পবিত্র যুদ্ধ) এর সমপর্যায়ে নেয়া হয়েছে। আরও বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে; জিহাদ বলতে মূলত ইসলামের অগ্রগতি রক্ষা ও সম্মানের জন্য সংগ্রামকে বোঝানো হয়; একে পবিত্র যুদ্ধও বলা যায়। এটি আল্লাহর নিকট সর্বোচ্চ ইবাদতগুলোর একটি। আর স্বামীর খেদমত তাকে সঠিক পথে আনা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই স্ত্রীর এমন কাজগুলোকে ইসলামে জিহাদের মর্যাদা দেয়া হয়।

28/11/2024

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে রয়েছে বিষদ বর্ণনা। সাধারণত বিয়েকে ইসলাম উৎসাহিত করে তথাপি অবস্থা ও পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তি করে এটি কোন কোন ব্যক্তির জন্য ফরজ হয়, কারও জন্য মুস্তাহাব, কারও জন্য শুধুই হালাল এমনকি কারও কারও জন্য হারামও হয়ে থাকে।

বিয়ে বা নিকাহ করা সুন্নত। কেহ বলেন মুস্তাহাব। তবে অবস্থা ভেদে বা শ্রেণিভেদে বিবাহ চার প্রকার। যথা-

১. ফরজ বা বাধ্যতামূলক।
২. মুস্তাহাব বা পছন্দনীয়।
৩. হালাল বা বৈধ।
৪. হারাম বা নিষিদ্ধ।

বিবাহ তখনই ফরজ বা বাধ্যতামূলক হয় যখন একজন ব্যক্তি (নারী ও পুরুষ) তীব্র যৌন চাহিদা অনুভব করে এবং তার দ্বারা ব্যভিচার ঘটে যাবার আশংকা থাকে। যেহেতু ব্যভিচার থেকে দূরে থাকা ফরজ এবং বিবাহই একমাত্র এই চাহিদা পূরণের বৈধ পন্থা, সেহেতু ঐ ব্যক্তির জন্য বিবাহ ফরজ। এক্ষেত্রে ফিকাহ শাস্ত্রের মূলনীতিটি হলো, “যদি একটি ফরজ কাজ অন্য একটি কাজ ব্যতীত আদায় সম্ভব না হয় তবে ঐ সহায়ক কাজটিও মূল ফরজের মতোই ফরজ হিসেবে গণ্য হবে।”

যদি কোন ব্যক্তির যৌন চাহিদা খুব তীব্র না হয় এবং তার দ্বারা ব্যভিচার সংঘটিত হবার সম্ভাবনা না থাকে কিন্তু বিবাহ করার সবরকম সামর্থ্য ও সুযোগ তার থাকে এমতাবস্থায় বিবাহ তার জন্য মুস্তাহাব বা পছন্দনীয় কাজ।

কারণ এটির দ্বারা সে রাসূল (স.) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতকে অনুসরণ করছে। একজন ব্যক্তির বিবাহ করার মতো ন্যূনতম অর্থনৈতিক সামর্থ্য যদি না থাকে (মোহরানা আদায় ও স্ত্রীর ভরণ-পোষণ স্বামীর জন্য ফরজ) এবং এভাবে সে যদি বিবাহের দায়িত্বসমূহ পালনে অসমর্থ হয় কিন্তু বিবাহের তীব্র প্রয়োজন অনুভব করে, সেক্ষেত্রে বিবাহ করা তার জন্য হালাল (Permitted) এই শর্তে যে- সে তার সামর্থ্য অনুযায়ী সৎপন্থায় উপার্জনের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং ভাবী স্ত্রীকে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দান করবে।

সত্য গোপন করা প্রেম প্রতারণার সামিল। আল্লাহ এরূপ অভাবী ব্যক্তিকে সাহায্য করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম সমাজের দায়িত্ব হলো ঐ ব্যক্তিকে আত্মনির্ভরশীল হবার পূর্ব পর্যন্ত সাহায্য করা।

কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, ব্যক্তিটি সৎভাবে উপার্জনের কোন পথই পাচ্ছে না এবং বৈবাহিক দায়িত্ব (অর্থনৈতিক) পালনের কোন উপায়ই তার সম্মুখে খোলা নেই, এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তিকে রোযা ও অন্যান্য সংযম সাধনের (Acts of sublimation) মাধ্যমে নিজেকে দমনের চেষ্টা চালাতে হবে।

যদি কোন ব্যক্তি মনে করে যে তার দ্বারা বিবাহের আবশ্যক (ফরজ) দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা সম্ভবপর নয় এবং তার ব্যভিচারে লিপ্ত হবার সম্ভাবনাও নেই, তখন ঐ ব্যক্তির জন্য বিবাহ হারাম বা নিষিদ্ধ।

শেখ সাদী (রহঃ) বলেছেন, "একজন দ্বীনহীন মহিলা বা পুরুষের সাথে জীবন-যাপন করার চেয়ে, একজন বিষধর সাপের সাথে থাকা উত্তম। তাতে হয়তো সাপ তোমার ইহকালীন জীবন ধ্বংস করে দিবে, কিন্তু দ্বীনহীন মহিলা বা পুরুষ তো তোমার ইহকালীন এবং পরকালীন উভয় জীবনকেই ধ্বংস করে দিবে।"

বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনো আইন বা জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা বা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন আমাদের কনসালট্যান্ট এর সাথে।

প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে পরিবর্তনের হাওয়া। শীত ইতোমধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে। শীতকাল তুলনামূলক আরামদায়ক হলেও এ সময়ে কিছ...
25/11/2024

প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে পরিবর্তনের হাওয়া। শীত ইতোমধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে। শীতকাল তুলনামূলক আরামদায়ক হলেও এ সময়ে কিছু বাড়তি রোগ দেখা দেয়, বিশেষত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জটিলতার হার বেশি। ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়ার আশঙ্কা এ সময়ে অনেক বেশি। শীতে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা ও ফ্লুর কারণে কাশি হয়। ঠান্ডা জ্বর সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস, লালা, হাঁচি-কাশি থেকে নিঃসরিত ভাইরাসের মাধ্যমে সর্দি-কাশির সংক্রমণ হয়।

ঠান্ডা জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে বাসায় কিছু নিয়ম মানলে ও ওষুধ সেবনেই সাধারণত ৪-৬ দিনের মধ্যে তা সেরে যায়। তবে উপসর্গ বেশি দিন দীর্ঘায়িত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। করোনা ও ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণগুলো আছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে। জ্বর হলে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক খান। মনে রাখবেন সাধারণ ফ্লুতে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। জ্বর কমানোর জন্য বাসার ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির সঙ্গে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে (সীমিত সময়ের জন্য) এবং সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধও খাওয়া যায়। ঘরোয়া পদ্ধতির মধ্যে জ্বর নিবারণে তোয়ালে দিয়ে শরীর মোছা, নিয়মিত ও সঠিক সময়ে গোসল, গোসল করতে না চাইলে কপাল ও ঘাড়ের ওপর ঠান্ডা পানিতে ভেজা নরম কাপড় রাখা (দীর্ঘক্ষণ নয়) এবং সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে আদা ও মসলা চা, মধু ও তুলসীপাতা বেশ উপকারী। এ ছাড়া ভিটামিনযুক্ত খাবার গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘদিন জ্বর, সর্দি-কাশি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শীতে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। যেমন ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার, কুসুম কুসুম গরম পানি পান, ধুলাবালু ও ধূমপান এড়িয়ে চলা, প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা, বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার, সঠিক সময়ে গোসল ও দ্রুত গোসল শেষ করা, ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, শীতে হাতে-পায়ে মোজা, মাথায় টুপি ও গলায় মাফলার ব্যবহার করা।

24/11/2024

পুরুষের ৪ বিয়ের সুন্নাত এটাত তো সবাই জানেন কিন্ত বাকিগুলা কী জানেন...? না জানলে জেনে নিন...

ইসলামী শরিয়তে পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু এটি কিছুতেই শর্তহীন নয়। বরং ভরণপোষণ, আবাসন ও শয্যাযাপনের ক্ষেত্রে শতভাগ সমতাবিধান নিশ্চিত করা না গেলে একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ বৈধ নয়। তবে হ্যাঁ, স্ত্রী বা নারীদের ক্ষেত্রে এই অবকাশ রয়েছে যে তিনি আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ইদ্দত শেষে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারবেন।

পুরুষের ৪ বিয়ের সুন্নাত এটাত তো সবাই জানেন কিন্ত বাকিগৃুলা কী জানেন...? না জানলে জেনে নিন...

১.বয়স্ক নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।

২.ডিভোর্সী নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।

৩. বিধবা নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।

৪.স্ত্রীর সাথে রান্না করার কাজে, পরিষ্কারের কাজে তথা
ধোয়া-মোছার কাজে সহায়তা করা সুন্নাত।

৫.ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্ত্রীকে মুখে খাবার তুলে খাওয়ানো সুন্নাত।

৬.স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করা সুন্নাত।

৭. স্ত্রীর ভুল ক্ষমা করা সুন্নাত।

৪.স্ত্রীর জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা সুন্নাত।

৯. স্ত্রীর অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করা এবং তাকে যখন প্রয়োজন হয় সান্ত্বনা দেওয়া সুন্নাত।

১০.স্ত্রীর সাথে গল্প করা ও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সুন্নাত।

১১.স্ত্রীর কোলে আবদ্ধ হওয়া সুন্নাত।

১২.স্ত্রীকে সুন্দর নাম নিয়ে ডাকা সুন্নাত।

১৩. পরিবারের ব্যক্তিগত সদস্য এবং বন্ধুদের কাছে তার ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ না করা সুন্নাত।

১৪. স্ত্রীর পিতা- মাতাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা সুন্নাত।

১৫.স্ত্রীর এটো খাবার খাওয়া সুন্নাত।

১৬.স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গানো সুন্নাত।

১৭.স্ত্রীর কোলে শুয়ে কোরআন তিলাওয়াত করা সুন্নাত।

১৮.স্ত্রীকে সালাম দেওয়া সুন্নাত।

অনেক পুরুষই আছেন, যারা এগুলোর একটা সুন্নাতও পালন করতে রাজি হন না কিন্তু ৪ বিয়ের সুন্নাতটা পালন করতে তারা সদা প্রস্তত। বাকিগুলা জেনে তারপরে ৪ টা বিয়ে করা উচিত। সব স্ত্রীকে সঠিক ও সমান অধিকার না দিলে কিয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। আসুন স্ত্রীর অধিকারগৃুলা ভালোভাবে আদায় করি, তাহলে
দুনিয়াটা জান্নাত হবে পরকালটাতেও রবের সান্নিধ্য পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক, আমিন।

21/11/2024

যে ২৪ ধরণের নারীকে বিয়ে করা ইসলামে নিষিদ্ধ
বিয়ে-শাদি মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা, নারী-পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই একে অপরের পরিপূরক। নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। মানব ইতিহাসে সভ্য সমাজে বিয়ে ও পরিবারের গুরুত্ব কখনো কমেনি; বরং আধুনিক সমাজে অধঃপতন থেকে রক্ষা পেতে পরিবার ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জোর দাবি উঠেছে।
বস্তুত, জীবনে বিয়ে-শাদির গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর হযরত হাওয়া (আ.)-কে তার জীবনসাথিরূপে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান।

তবে সবারই মনে রাখা উচিত, নেককার ঈমানদার স্ত্রী সব সময় স্বামীর অনুগত ও উপকারি হয়। তারা দুনিয়ায় জীবনে স্বামীর জন্য যেমন উপকারি তেমনি পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের জন্যও হয় সহায়তাকারী। এ কারণেই বিয়ের সময় নারী নির্বাচনে সতর্ক থাকার উপদেশ দিয়েছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

বিয়ে আদর্শ পরিবার গঠন, জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তি মানসিক প্রশান্তি ও বংশ বৃদ্ধির প্রধান উপকরণ। তবে বিয়ে যেহেতু শরিয়তের নিয়ম ও বিধি— তাই এক্ষেত্রে শরিয়তের নিয়ম অবশ্যই মান্য করতে হয়। শরিয়ত যেসব নিয়ম-বিধি নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেগুলো অনুসরণ না করলে বিয়ে বৈধ হয় না।

💠💠 চলুন জেনে নেয়া যাক, যে ২৪ ধরণের নারীকে বিয়ে করা হারাম-

১. আপন মা, বাবা ও দাদা-নানার স্ত্রীরা এবং তাদের কামভাব নিয়ে স্পর্শকৃত নারী। এরূপ ঊর্ধ্বতন সব দাদা-নানার স্ত্রীরা।

২. মেয়ে এবং ছেলে ও মেয়ের ঘরের সব নাতনি।

৩. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ফুফু।

৪. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় খালা।

৫. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় বোন ও তাদের সন্তানাদি।

৬. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ভ্রাতৃকন্যা ও তাদের সন্তানাদি।

৭. দুধমাতা, তার মাতা, দাদি, নানি—এমনিভাবে ওপরের সব নারী।

৮. স্ত্রীর মেয়ে, যদি স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকে।

৯. পুত্রবধূ, আপন ছেলের হোক বা দুধছেলের হোক।

১০. আপন শাশুড়ি, দাদিশাশুড়ি, নানিশাশুড়ি এবং ওপরে যারা রয়েছে।

১১. দুই বোন একত্রীকরণ, এমনিভাবে ফুফু ও তার ভাতৃকন্যা, খালা ও তার ভাগ্নিকন্যাকে একসঙ্গে বিয়ের মধ্যে রাখা।

১২. উল্লিখিত রক্ত সম্পর্কের কারণে যারা হারাম হয়েছে, দুধ সম্পর্কের কারণেও তারা সবাই হারাম হয়।

১৩. যে মেয়ে অপরের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। এছাড়াও অন্য সব নারীকে বিয়ে করা হালাল। (দেখুন : সুরা নিসা, আয়াত : ২৩-২৪)

🔷 বংশগত সম্পর্কে যারা হারাম:
১৪. আপন জননীদের বিয়ে করা হারাম। এখানে দাদি, নানি সবার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য।

১৫. স্বীয় ঔরসজাত কন্যাকে বিয়ে করা হারাম। এখানে পৌত্রী, প্রপৌত্রী, দৌহিত্রী, প্রদৌহিত্রী তাদেরও বিয়ে করা হারাম।

১৬. সহোদরা ভগ্নিকে বিয়ে করা হারাম। এমনইভাবে বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী ভগ্নিকেও বিয়ে করা হারাম।

১৭. পিতার সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী বোনকে (ফুফুকে) বিয়ে করা হারাম।

১৮. আপন জননীর সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী বোনকে (খালা) বিবাহ করা হারাম।

১৯. ভ্রাতুষ্পুত্রীর সঙ্গেও বিয়ে হারাম, আপন হোক, বৈমাত্রীয় হোক।

২০. বোনের কন্যা, অর্থাৎ ভাগ্নিকে বিয়ে করা হারাম। চাই সে বোন সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী যেকোনো ধরণের বোনই হোক না কেন, তাদের কন্যাদের বিবাহ করা ভাইয়ের জন্য বৈধ নয়।

🔷 বৈবাহিক সম্পর্কে যারা হারাম:
২১. স্ত্রীদের মাতাগণ (শাশুড়ি) স্বামীর জন্য হারাম। এতে স্ত্রীদের নানি, দাদি সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য।

২২. নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহের পর সহবাস করার শর্তে ওই স্ত্রীর অন্য স্বামীর ঔরসজাত কন্যাকে বিবাহ করা হারাম।

২৩. পুত্রবধূকে বিয়ে করা হারাম। পুত্র শব্দের ব্যাপকতার কারণে পৌত্র ও দৌহিত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করা যাবে না।

২৪. দুই বোনকে বিবাহের মাধ্যমে একত্র করা অবৈধ, সহোদর বোন হোক কিংবা বৈমাত্রেয়ী বা বৈপিত্রেয়ী হোক, বংশের দিক থেকে হোক বা দুধের দিক থেকে হোক- এ বিধান সবার জন্য প্রযোজ্য। তবে এক বোনের চূড়ান্ত তালাক ও ইদ্দত পালনের পর কিংবা মৃত্যু হলে অন্য বোনকে বিবাহ করা জায়েজ।

Address

House-9, Road/17/B, Sector-12, Uttara
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jugolbondi.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Jugolbondi.com:

Share