12/04/2025
"সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসেবা স্টার্টআপ আন্তর্জাতিক মঞ্চে"
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেডের দৃশ্যমানতাঃ
বাংলাদেশে এই প্রথম, সাংবাদিকদের গড়া স্বাস্থ্যসেবা স্টার্টআপ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি কেড়েছে
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ দেশের প্রথম সাংবাদিক-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যসেবা স্টার্টআপ প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেড আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেদের কার্যক্রম তুলে ধরে আলোচনায় আসে। বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে মিডিয়া ও স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশি উদ্ভাবনের এক সাহসী দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে আসে প্রতিষ্ঠানটির নাম।
স্বাস্থ্যসেবায় তথ্যনির্ভরতা ও সাংবাদিকতার আদর্শকে একত্র করে গঠিত প্রেস হেলথ কেয়ার ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা ও সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা মনে করেন, স্বাস্থ্যকে গণমাধ্যমের শক্তি দিয়ে মানুষের হাতের নাগালে আনা সম্ভব।
প্রেস হেলথ কেয়ারের নির্বাহী পরিচালক বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য শুধু সেবা দেওয়া নয়—আমরা মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা, বিশ্বাস আর উদ্যোগ তৈরির চেষ্টা করছি। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি আর তথ্যনিষ্ঠতা দিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে বিশ্বাসযোগ্যতার নতুন মানদণ্ডে নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, প্রতিটি মানুষ নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে জানুক, ভাবুক, আর সিদ্ধান্ত নিক—তথ্যের আলোয়।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেন,
“বাংলাদেশে এই প্রথম, সাংবাদিকরা নিজেরাই একটি স্বাস্থ্যসেবা স্টার্টআপ গড়ে তুলেছে। এটা শুধু স্বপ্ন নয়, এটা দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, স্বাস্থ্য খাতের স্বচ্ছতা, মানবিকতা আর প্রযুক্তিনির্ভরতা—এই তিনটির ওপর ভর করেই দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখা সম্ভব। প্রেস হেলথ কেয়ার শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটা একটা আন্দোলন।”
সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন,
“তরুণ উদ্যোক্তা, সামাজিক ব্যবসা এবং প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছি।”
প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আরও বলেন, “মিডিয়া এখন আর কেবল তথ্য সরবরাহকারী নয়, বরং দেশের সম্ভাবনা, উদ্যোগ এবং অর্জনকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার শক্তিশালী মাধ্যম। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর মতো একজন চিন্তানায়কের উপস্থিতি আমাদের এই পথচলায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ স্বাস্থ্যসেবা ও মিডিয়া খাতে এমন এক যুগপৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতের সামাজিক উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।