https://www.facebook.com/110751383973861/

Dr. Nasren Nipa, Dhaka (2025)

01/08/2025

কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করলো, কেমন আছেন?
আমরা বেশিরভাগ সময় এই সহজ প্রশ্নের উত্তরে সবচেয়ে বেশি যে মিথ্যাটা বলি সেটা হলো, ভালো আছি।

এটা ভীষণ নিরাপদ ঝামেলামুক্ত একটি উত্তর। আপনি যেই মুহুর্তে বলবেন ভালো নাই, তৎক্ষনাৎ আরেকটা প্রশ্ন আসবে, কেন ভালো নাই ??

এই 'কেন' এর উত্তর আমাদের সবসময় জানা থাকেনা। এই 'ভালো নাই' টার ব্যাখ্যা আমরা জানি না বা জানতে চাইনা।

অনুভূতি কখনো ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। আবার এই অনুভুতি টুকুই কেউ কেউ চোখের দিকে তাকিয়ে কিভাবে যেন বুঝে ফেলে।

কি অদ্ভুত না ব্যাপারটা।

শুভ রাত্রি

01/08/2025

অনেকেই অভিযোগ করেন, হাত-পা সবসময় ব্যথা করে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শরীরে অস্থির ব্যথা, ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, কাজ করতে করতে মনে হয় শরীরটা ভেঙে যাচ্ছে।

এই ধরণের ব্যথাকে সাধারণ ক্লান্তি বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ এটা হতে পারে কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগের লক্ষণ। তাই সময়মতো চিকিৎসা, পুষ্টি ও বিশ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

🔍 হাত-পা ব্যথার কারণ সাধারনত -

১. ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি:

ভিটামিন D-এর ঘাটতি:
শরীরের হাড় ও পেশিকে দুর্বল করে দেয়, ফলে সবসময় হাত-পা ভারী লাগে, ব্যথা করে।

ভিটামিন B12 এর অভাব:
স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়। ঝিঁ ঝিঁ ধরা, অবশভাব বা ব্যথা হয়।

ক্যালসিয়াম ও আয়রন ঘাটতি:
হাড় দুর্বল হয়, পেশিতে ক্র্যাম্প বা ব্যথা হয়।

২. রক্তস্বল্পতা (Anemia):
রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, যার ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, হাত-পা ব্যথা হয়।

৩. Fibromyalgia:
একটি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার রোগ। পুরো শরীর, বিশেষ করে পিঠ, ঘাড়, হাত-পায়ে ব্যথা করে, ঘুমের সমস্যা হয় এবং মানসিক অবসাদ আসে।

৪. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের প্রদাহ:
অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট ফুলে যায়, ব্যথা করে ও শক্ত হয়ে যায়। হাত-পা ব্যথা তার বড় উপসর্গ।

৫. স্নায়ুর সমস্যা (Neuropathy):
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় স্নায়ু আক্রান্ত হয়। এর ফলে হাতে-পায়ে জ্বালাপোড়া, অবশভাব, ব্যথা হতে পারে।

৬. রাতের ঘুম ঠিক না হওয়া বা মানসিক চাপ:
ঘুমের ঘাটতি বা মানসিক চাপ সারা শরীরে পেশি টান, মাথাব্যথা, হাত-পা ব্যথা তৈরি করে।

৭. অতিরিক্ত মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার:
একভাবে বসে থাকা বা বারবার একই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার করলে repetitive strain injury হয়।

৮. হরমোনের সমস্যা (Thyroid dysfunction):
হাইপোথাইরয়েডিজমে শরীর ভারী লাগে, মাংসপেশি দুর্বল হয় ও ব্যথা করে।

🩺 হাত-পা ব্যথা হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

-সবসময় ব্যথা বা ভারী লাগা
-সহজেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া
-সন্ধ্যার দিকে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
-ঘুমের পরে ব্যথা না কমা
-সাথে শরীর ব্যথা, জ্বর বা ফুলে যাওয়া

📊 কোন কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হতে পারে তা চিকিৎসক উপসর্গ অনুযায়ী নির্দিষ্ট টেস্ট সাজেস্ট করবেন।

CBC (রক্তে শুন্যতা আছে কিনা)

Vitamin D, Vitamin B12

Thyroid function test

Blood sugar (ডায়াবেটিস আছে কিনা)

ESR, CRP (inflammation বোঝার জন্য)

Rheumatoid factor

Serum calcium & electrolytes

🧘‍♀️ প্রতিরোধের উপায় ও করণীয়:

✅ প্রতিদিন সকালে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করা
✅ রোদে বসে Vitamin D সংগ্রহ
✅ ভিটামিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
✅ নিয়মিত ঘুমানো ও মানসিক চাপ কমানো
✅ মোবাইল, ল্যাপটপে একনাগাড়ে না বসে বিরতি নেওয়া
✅ সপ্তাহে একদিন শরীরচর্চার জন্য সময় বের করা

🍽️ উপকারী খাবার:

দুধ, ডিম, কলা, বাদাম, পালং শাক, কাঁচা মরিচ, টক দই, রেড মিট, চিংড়ি, কলিজা, ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ সিরিয়াল ও ব্রেড, রোদে শুকানো মাছ বা সূর্যমুখীর বীজ

💊 কোন সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?

-হাত-পায়ের ব্যথা নিয়মিত বাড়লে
-পেশিতে দুর্বলতা বা অবশভাব
-ব্যাথার সাথে জ্বর, ওজন কমা, রাতে ঘাম হওয়া
-ব্যাথা ওষুধেও কমছে না

👉 সময়মতো সঠিক রোগ নির্ণয়ই সঠিক চিকিৎসার প্রথম ধাপ।

#হাত_পা_ব্যথা #হাড়_পেশি_ব্যথা

#রিউমাটয়েড_আর্থ্রাইটিস #স্বাস্থ্য_সচেতনতা
#হাত_পায়ে_ঝিঁঝিঁ
#পেশির_ব্যথা

01/08/2025

আপনি কি কখনো ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে পায়ের পেশিতে টান অনুভব করেছেন? পায়ের পাতায়, পায়ের পেছনের দিকে বা উরুতে এমন হঠাৎ শক্ত হয়ে যাওয়া এবং প্রচণ্ড ব্যথা, যা আপনাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলেছে এটাই হলো "নাইট লেগ ক্র্যাম্প" বা ঘুমের মাঝে পেশিতে টান ধরা।

এটি খুব সাধারণ সমস্যা হলেও অনেকেই এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে।

🧐 ঘুমের মধ্যে মাংস পেশীতে টান ধরা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:

✅ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটা: সারাদিন অনেক হাঁটাহাঁটি করলে রাতে পেশি ক্লান্ত হয়ে যায়।
✅ পানি ও ইলেকট্রোলাইট ঘাটতি: শরীরে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের ঘাটতি থাকলে এমন টান পড়তে পারে।
✅ গর্ভাবস্থা: গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে পেশিতে চাপ ও রক্ত চলাচলে পরিবর্তনের জন্য টান পড়তে পারে।
✅ বয়স: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশির নমনীয়তা কমে যায়।
✅ পেশি ব্যবহারজনিত ক্লান্তি: নতুন করে এক্সারসাইজ শুরু করলে, বা ভারি কাজ করলে পেশিতে চাপ পড়ে।
✅ ডিহাইড্রেশন বা পানি কম খাওয়া।
✅ কিছু ওষুধ: যেমন ডাইয়ুরেটিকস, স্ট্যাটিন, ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভস ইত্যাদি।
✅ ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যা: মাঝে মাঝে এসব রোগ থেকেও সমস্যা হতে পারে।

💡 এই সমস্যা থেকে প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়

✅ পানি পান করুন:

দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ডিহাইড্রেশন কমলে টান পড়ার সম্ভাবনাও কমে।

✅ স্ট্রেচিং বা হালকা ব্যায়াম:

ঘুমানোর আগে পায়ের হালকা স্ট্রেচিং করুন। বিশেষ করে ক্যাফ মাংসপেশি (calf muscle) স্ট্রেচিং করলে উপকার পাবেন।

✅ পায়ের ম্যাসাজ:

ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল ভালো হয়।

✅ পায়ের নিচে বালিশ দিন:

ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা সামান্য উঁচু রাখলে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।

✅ পুষ্টিকর খাবার খান:

পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, দুধ, বাদাম, কলিজা, ডিম, শাকসবজি খাওয়া উচিত।

✅ সঠিক জুতা পরুন:

দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে সঠিকভাবে সাপোর্ট দেয় এমন জুতা পরুন।

🆘 হঠাৎ টান ধরলে করণীয় কী?

🦶 পায়ের পেশি যেখানে টান ধরেছে, তা স্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন।
🦶 হালকা ম্যাসাজ করুন বা গরম পানির সেঁক দিন।
🦶 উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
🦶 পা মাটিতে রেখে সোজা করে বসে টান ধরার দিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকিয়ে স্ট্রেচ করুন।

🧑‍⚕️ কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

✔️ সপ্তাহে একাধিকবার টান ধরলে
✔️ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে
✔️ পায়ে দুর্বলতা, ঝিঝি, অসাড়ভাব থাকলে
✔️ আপনি যদি ডায়াবেটিস বা নার্ভের কোনো রোগে ভুগে থাকেন

এ ধরনের অবস্থায় দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্লাড টেস্ট বা ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন করে সঠিক কারণ নির্ধারণ করবেন।

#ঘুমেরসমস্যা #পায়ে_টান #পেশির_টান #পায়ের_ব্যথা #ঘুমের_মাঝে_ব্যথা

01/08/2025

🎉 Just completed level 3 and I'm so excited to continue growing as a creator on Facebook!

01/08/2025

ঘুম থেকে ওঠার পরপরই মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো বা ঝিমঝিম অনুভব অনেকের পরিচিত অভিজ্ঞতা। অনেকেই এটি সামান্য কিছু ভেবে এড়িয়ে যান, আবার কেউ কেউ ভয় পেয়ে যান—মাথায় টিউমার বা বড় কোনো অসুখ ভেবে। কিন্তু এর পেছনে থাকে বেশ কিছু সাধারণ কারণও, যেগুলো জেনে নিলে সহজেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো আর ঝিমঝিম করার পেছনের সম্ভাব্য কারণগুলো হলো :

১. ঘুমের ধরনে সমস্যা-

যারা উঁচু বালিশ ব্যবহার করেন বা পুরো শরীর সোজা না রেখে ঘুমান, তারা সকালে ঘাড় ও মাথায় চাপ অনুভব করেন।

দীর্ঘ সময় একভাবে ঘুমালে ব্রেইনে রক্তপ্রবাহ কিছুটা কমে গিয়ে মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।

২. রাতের খাবার না খাওয়া বা অনিয়মিত খাওয়া-

অনেকেই রাতে খুব কম খান বা একেবারে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

এতে রক্তে গ্লুকোজ কমে যায়। ফলে সকালে মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা দেখা দেয়।

৩. ডিহাইড্রেশন (পানি ঘাটতি)-

রাতে ঘুমানোর আগে যদি পর্যাপ্ত পানি না পান করা হয়, বা ঘাম বেশি হলে, সকালে শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়।

তখন মাথা ব্যথা, মাথা ভার লাগা, চোখে ঝাপসা দেখার মতো উপসর্গ হয়।

৪. স্লিপ অ্যাপনিয়া বা নিঃশ্বাসের ব্যাঘাত-

ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হলে (Sleep Apnea), সকালে ব্রেন ঠিকমতো অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে মাথা ব্যথা বা ঝিমঝিম লাগে।

যারা নাক ডেকে ঘুমান বা মোটা তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি হয়।

৫. লো ব্লাড প্রেসার (Hypotension)-

সকালে বিছানা থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরানো, চোখে অন্ধকার দেখা বা মাথা ব্যথা হতে পারে।

বিশেষ করে যাদের প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে কম, তাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।

৬. অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা-

রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে অক্সিজেন কম পৌঁছায় মস্তিষ্কে।

তখন ঘুম থেকে উঠে মাথা ঘোরানো, দুর্বলতা ও ঝিমঝিম অনুভূত হয়।

৭. মাইগ্রেন-

মাইগ্রেনের রোগীদের অনেক সময় সকালে ঘুম ভাঙার সময়েই প্রথম ব্যথা শুরু হয়।

এর সাথে থাকে আলো বা শব্দে অসহ্য লাগা, বমি ভাব।

৮. মেডিকেশন সাইড ইফেক্ট-

যেসব ওষুধ ঘুমের জন্য বা প্রেসার কমানোর জন্য খাওয়া হয়, সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাথা ভার, ঝিমঝিম, বা মাথা ঘুরাতে পারে।

৯. মানসিক চাপ, ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি-

মানসিক চাপ রাতে ঘুমের মান নষ্ট করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় সকালে ব্রেন ক্লাউডি লাগে।

তখন মাথা ঝিমঝিম ও ভার লাগা স্বাভাবিক।

১০. ব্রেইন টিউমার বা নিউরোলজিক্যাল সমস্যা (Rare but Possible)-

যদি এই উপসর্গের সাথে বমি, চোখে ডাবল দেখা, হাত-পা দুর্বলতা, ব্যালান্স নষ্ট হওয়া, অজ্ঞান হওয়া থাকে—তবে দ্রুত নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে।

🩺 যদি নিচের যেকোনোটি হয় তখন ডাক্তার দেখাবেন।

-প্রতিদিন সকালেই একই সমস্যা হয়।

-ব্যথা দিন দিন বাড়ে।

-চোখে ঝাপসা, ডাবল দেখছেন।

-সাথে বমি হচ্ছে বা চলাফেরায় অসুবিধা।

-পরিবারে স্ট্রোক বা ব্রেইন টিউমারের ইতিহাস আছে।

তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

🛡 করণীয়:

✅ ঘুমের সময় অভ্যাস পরিবর্তন:

বালিশ মাঝারি উচ্চতার ব্যবহার করুন।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান ও উঠুন।

✅ পর্যাপ্ত পানি পান:

রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করুন।

✅ হালকা খাবার:

ঘুমানোর আগে খালি পেটে ঘুমাবেন না।

✅ বিছানা থেকে উঠার সময় ধীরে উঠুন:

প্রথমে পাশে ঘুরে বসুন, তারপর ধীরে উঠে দাঁড়ান।

✅ প্রয়োজনে পরীক্ষা করান:

CBC, BP check, ECG, বা Thyroid পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

✅ রিল্যাক্সেশন:

মেডিটেশন, হালকা ব্যায়াম ও নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের কৌশল সাহায্য করতে পারে।

#মাথাব্যথা #মাথাঘোরানো #ঝিমঝিম #ঘুমেরসমস্যা #সকালেরঅসুস্থতা #স্লিপঅ্যাপনিয়া #লোপ্রেসার #ডিহাইড্রেশন #মাইগ্রেন #রক্তস্বল্পতা #সকালেরস্বাস্থ্য #বাংলাদেশি_ডাক্তার

31/07/2025

হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে অবহেলা করবেন না, এটি হতে পারে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। সময়মতো CPR দিলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ পৃথিবীজুড়ে মারা যাচ্ছেন একটি কারণেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। অনেকেই হৃদরোগ এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টকে এক জিনিস মনে করেন, কিন্তু দুটির মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট মানে হলো হৃদস্পন্দন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এর ফলে হৃদপিনড রক্ত পাম্প করতে পারে না যার ফলে মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছায় না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং চিকিৎসা না পেলে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু ঘটে।

অনেকেই মনে করেন হার্ট অ্যাটাক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট একই জিনিস। এটি ভুল ধারণা।

হার্টে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে, বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বমি হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি আছে, তবে তাৎক্ষণিক না।

হৃদয়ের ইলেকট্রিক সিস্টেম বন্ধ হলে, হঠাৎ অজ্ঞান, শ্বাস বন্ধ, পাল্স পাওয়া না গেলে কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়। এক্ষেত্রে যদি CPR না দেওয়া হয় তবে দ্রুত মৃত্যু হতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ সাধারনত -

১. Arrhythmia (হৃদস্পন্দনের অসামঞ্জস্য)
২. Coronary artery disease
৩. Heart failure বা cardiomyopathy
৪. Congenital heart disease
৫. Severe electrolyte imbalance (যেমন পটাশিয়াম বা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি)
৬. Severe blood loss বা trauma
৭. Drug overdose বা বিষক্রিয়া
৮. বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক শক

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে:

- আক্রান্ত ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান
- কোনো প্রতিক্রিয়া থাকবেনা
- পাল্স পাওয়া যাবে না
- শ্বাসপ্রশ্বাস চলবে না
-চোখের পাতা খোলা থাকতে পারে
-অনেকে অজ্ঞান হওয়ার আগে বুকের ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে এক মুহূর্তের দেরিও হতে পারে জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্য।

১. তাৎক্ষণিক CPR শুরু করুন:

হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে ১ মিনিটের মধ্যে CPR শুরু করলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা ২-৩ গুণ বেড়ে যায়।

বুকের মাঝখানে (sternum) ৫-৬ সেমি গভীরতায় ও প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার চেপে দিন।

বাচ্চাদের জন্য আলাদা কৌশল রয়েছে।

২. অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা হাসপাতালে নিয়ে যান:

CPR চালাতে চালাতে ৯৯৯ বা স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সেবা ডাকুন।

৩. AED (Automatic External Defibrillator) ব্যবহার করুন যদি থাকে:

এই যন্ত্র বিদ্যুৎ দিয়ে হার্টের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন?

-যাদের পূর্বে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে
-পরিবারে কেউ হৃদরোগ বা হঠাৎ মৃত্যু নিয়ে মারা গেছেন
-যাদের হাই BP, কোলেস্টেরল, বা ডায়াবেটিস আছে
-ধূমপায়ী, মাদকাসক্ত বা স্থূলকায় লোকজন
-যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না
-যাদের ইলেক্ট্রোলাইট ডিসব্যালেন্স বা হৃদপিনডে রিদম সমস্যা আছে

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

১. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
২. ECG / ECHO করান যদি পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকে
৩. রক্তচাপ, ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
৪. ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করুন
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করুন (প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা)
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
৭. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন — লবণ ও চর্বি কমান
৮. মানসিক চাপ কমান

আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের CPR সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা জরুরি। নিজে শিখুন, কারণ আপনি একদিন কারও জীবন বাঁচাতে পারেন। যদি ১ মিনিটের মধ্যে CPR দেওয়া যায়, তাহলে বাঁচার সম্ভাবনা ৭০% পর্যন্ত হতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট: একটি নীরব ঘাতক। সচেতন হোন, জীবন বাঁচান।

#হৃদরোগ #হৃদস্পন্দন #হঠাৎমৃত্যু #হার্টঅ্যাটাক #স্বাস্থ্যসচেতনতা #ডাক্তারপরামর্শ #বাংলাদেশ #জীবনবাঁচান

31/07/2025

স্টুডেন্টরা ব্যাচ ডে পালন করছে। শিক্ষকদের তাদের আনন্দের ভাগিদার করছে। কেক কাটছে। বাচচাগুলার শিক্ষকদের প্রতি সন্মান অটুট থাকুক।
আলহামদুলিল্লাহ

30/07/2025

গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে হাসিখুশি সময় কাটানোর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৫০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে। অন্যদিকে, বন্ধুহীন মানুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৯% বেশি।

আলহামদুলিল্লাহ ব্যক্তিগত জীবনে যেমন বন্ধু পেয়েছি, তেমনি স্কুল, কলেজ, মেডিকেল লাইফেও প্রিয় কিছু বন্ধু পেয়েছি। চাকরি জীবনে সহকর্মী রুপেও বন্ধু পেয়েছি। কেউ কেউ বিপদে পাশে থেকে হঠাৎ করে অপরিচিত থেকে এতটাই পরিচিত হয়ে গেছে যে আপনজনকেও হার মানায়।

Happy Friendship Day to all my followers.
ছবিতে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড গুলা।
আপনার গুলা কই??

30/07/2025

ডেঙ্গু জ্বর,বাঁচতে হলে জানতেই হবে
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত এডিস মশার কামড়ে সুস্থ মানুষের ডেঙ্গুজ্বর হয়ে থাকে।
বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা ও বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা এ মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক। তাই বর্ষার সময় এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
এই মশা সাধারণত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়।একজন মানুষের জীবদ্দশায় মোট চারবার তার ডেঙ্গু হতে পারে চার প্রজাতির ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়ে।
কারো তৃতীয়বার বা চতুর্থবার ডেঙ্গু হলো তার জটিলতার সম্ভাবনা তত বেশী।

ডেঙ্গুর উপসর্গঃ

- তীব্র জ্বর।(সাধারনত ১০২ ডিগ্রী বা এর উপরে হয়)।জ্বর সাধারণত ২-৫ দিন স্থায়ী হয়। ।
- মাথাব্যথা, চোখের কোঠরে ব্যথা, মাংসপেশি ও শিরায় ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দানা বা র‍্যাশ ওঠা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ।
- জ্বর সেরে যাওয়ার পর ২-৩ দিনকে ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড বলে। কারণ এ সময় রোগীর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- এই রোগ হলে রক্তক্ষরণ(দাঁতের মাড়ি,নাক দিয়ে রক্ত পড়লে,চামড়ার নিচে রক্তের দাগ দেখা গেলে ,বমি বা পায়খানার সাথে রক্ত গেলে বা
মেয়েদের মাসিকের সাথে বেশী রক্ত গেলে), পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায়, তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে।

ডেঙ্গু রোগীর জটিলতাঃ

-দাঁতের মাড়ি,পায়খানা,প্রস্রাব দিয়ে রক্ত গেলে,মেয়েদের মাসিকের সাথে অতিরিক্ত রক্ত গেলে,চামড়ার নিচে রক্ত ফোঁটা জমা হলে।
-শ্বাসকষ্ট শুরু হলে,পেট ফুলে গেলে।
-অতিরিক্ত বমি হলে, চোখ হলুদ হয়ে গেলে।
-মাথা ঘুরিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে
-প্রেসার অতিরিক্ত কমে গেলে বা কমে যাওয়া শুরু করলে।
-রক্তের সিবিসি পরীক্ষার মধ্যে প্লেটলেট কাউন্ট আগের চেয়ে কমতে শুরু করলে

চিকিৎসাঃ

- পূর্ণ বিশ্রাম
- বেশি করে প্রচুর পানি,তরল খাবার(স্যালাইন,ডাবের পানি,তাজা ফলের রস) এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে।
- জ্বর থাকলে দিনে সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হবে।
- কখনই এসপিরিন বা অন্য কোন ব্যথা নাশক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।
- জ্বর ভালো হলে তিন দিন প্লাটিলেট কাউন্ট ও হেমাটাক্রিট করিয়ে চিকিৎসকে দেখাতে হবে।
- কোন জটিলতা দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হবেন ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা ঃ

- এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায়।
- এদের ডিম ফোটার জন্য পানির প্রয়োজন হয় বলে শুকনো মৌসুমে এ মশা কমে যায়। তাই বাড়ি ও তার চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
- আপনার ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন জায়গায়, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যাক্ত গাড়ির চাকার টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র,
বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা/নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি শেল, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দ্রব্যাদি, বাড়ির পানি সংগ্রহের ট্যাংক,
ফুলের টব ও ফুলদানিতে জমে থাকা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে ।
- এতে জমে থাকা পানি তিন দিন পর পর অপসারণ করুন ।
-অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে।
- ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিস্কার করুন।
- দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
- মশার ঔষধ বা রিপিলেনট স্প্রে ব্যবহার করুন।

ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন।

30/07/2025

এই দুপুরবেলা কে চিনি ছাড়া রং চা খায়? 🙋‍♂️🙋‍♂️ আমি খাই। একটুপর অফিস থেকে বের হবো, মাস শেষ। বাজার করা লাগবে 🤦‍♀️
আবার ভাবছি গরম গরম সিঙ্গারা হাতে বৃষ্টি দেখতে দেখতে রিকশার হুর খুলে ভিজতে ভিজতে বাসায় যাব 🤷‍♀️ বাজার করতে সন্ধ্যায় যাব 💆‍♂️
কি করা যায়???
মাঝেমাঝে আমার কি মনে হয়, আমি যত বড় পজিশনেই থাকিনা কেন, আমার এই যে সাধারন হয়ে বাঁচতে পারা আর যখন যা মন চায় সাত পাঁচ না ভেবে করে ফেলা এই ব্যাপারটাই আমার ভালো থাকার এক মাত্র সিক্রেট।

Dr. Nasren Nipa

01/08/2025

01/08/2025

01/08/2025

01/08/2025

01/08/2025

31/07/2025

31/07/2025

30/07/2025

30/07/2025

30/07/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share