Dr. Ummey Habiba

Dr. Ummey Habiba আমরা বলিনি ভগবান মোরা মিছে এই মহাসুর,

03/06/2023

❍ তীব্র গরমে আমাদের করণীয়

হিমশীতল বা লু-হাওয়া, যে তাপমাত্রাই হোক না কেন, মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া তার নিজের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে নির্দিষ্ট রাখতে চায়।

অতিরিক্ত গরমের ফলে ত্বকের নিচের ধমনীগুলো খুলে যেতে থাকে, রক্তচাপ কমে যায় এবং হৃদপিণ্ডের কাজ বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সবখানে রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদপিণ্ডকে তখন দ্রুত পাম্প করতে হয়। এর ফলে শরীরে হালকা র‍্যাশ বা দানা দেখা দিতে পারে।

• সাথে দেখা দিতে পারে আরো কিছু উপসর্গ :
মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে পড়া, বমি ভাব, মাংসপেশিতে খিঁচ ধরা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ এবং মনে দ্বিধার ভাব হওয়া। তীব্র গরমের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে, হিটস্ট্রোক।

● হিটস্ট্রোক কী?
বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন, আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে, তাকে হিটস্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

● হিটস্ট্রোক এর লক্ষণ :

১. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া

২. গরমে অচেতন হয়ে যাওয়

৩. মাথা ঘোরা

৪. তীব্র মাথা ব্যথা

৫. ঘাম কমে যাওয়া

৬. ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া

৭. শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা

৮. বমি হওয়া

৯. হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

১০. শ্বাস কষ্ট

১১. মানসিক বিভ্রম

১২. খিঁচুনি

● হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা :

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করতে হবে, তা হলো:

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।

২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে দিতে হবে।

৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

● গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন :

১। পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২। বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩। শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করুন

৪। স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫। গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬। মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭। প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ

৮। সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০। চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়

❒ শেষ কথা :
অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি আর গরমের তীব্রতায় অস্থির না হয়ে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এহেন মসিবত থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির কর্তব্য।

কারণ,
রসূল ﷺ বলেছেন, গরমের প্রচণ্ডতা হচ্ছে, জাহান্নামের নিঃশ্বাস। (সহিহ বুখারী, হাদিস: ৫৩৩)।

Dr. Habiba Hafiz

23/10/2022

❒ কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা কী?

কনজাঙ্কটিভাইটিস হল কনজাঙ্কটিভার প্রদাহ বা ব্যথা, এটি হল আমাদের চোখের পাতার নিচে ঝিল্লির মতো পাতলা পর্দা যা চোখের সাদা অংশকে ও চক্ষুপল্লবের ভিতর ভাগকে ঢেকে রাখে । কনজাঙ্কটিভাইটিস মূলত ছোটো বাচ্চাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় আর তাদের থেকে এই রোগ অন্যদের চোখে ছড়ায়।

• কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের প্রধান লক্ষণ :

• সংক্রমিত চোখের সাদা অংশটি গোলাপি বা লালচে হয়ে ওঠা।
• চোখ দিয়ে জল পড়া।
• চোখে জ্বালা এবং চুলকানির ভাব।
• চোখে অতিরিক্ত পিঁচুটি আসা।
• চোখের পাতা ফুলে ওঠা ও কনজাঙ্কটিভা ফুলে ওঠা।
• চোখে অস্বস্তিবোধ হওয়া।
• চোখের ভিতরে যেন কিছু একটা রয়েছে বলে মনে হওয়া।
• চোখে দেখতে অসুবিধা হওয়া।
• আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা।
• সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় চোখের পাতায় চটচটে পদার্থ লেগে থাকা।

❍ কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রধান কারণসমূহ :

কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠার মূল কারণই হলো সংক্রমণ, অ্যালার্জি ও পরিবেশের যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী পদার্থগুলি।

সাধারণত স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ক্ল্যামাইডিয়া ও গোনোকক্কাসের মতো ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে সংক্রমণ হয়। সংক্রমণ পোকার মাধ্যমে, সংক্রমিত ব্যক্তির চোখ থেকে, আবার সংক্রমিত কসমেটিক বা প্রসাধনী দ্রব্য থেকেও ছড়ায়।
ফুলের রেণু, ধুলোর কণা, পশুপাখির লোম/পালক, দীর্ঘক্ষণ ধরে শক্ত বা নরম কন্ট্যাক্ট লেন্স একনাগাড়ে ব্যবহার করলে চোখের অ্যালার্জি হয়।
সাধারণত পরিবেশের যন্ত্রণা উৎপাদক কারণ হল দূষণ (ধোঁয়া, বাষ্প, প্রভৃতি), সুইমিং পুলের জলে থাকা ক্লোরিন ও বিষাক্ত রাসায়নিক।

❍ কনজাঙ্কটিভাইটিস নির্ণয় ও চিকিৎসা :

রোগীর চোখের রোগের পূর্বেকার ইতিহাস, লক্ষণ, উপসর্গ, চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে, চিকিৎসক (চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ) সিদ্ধান্তে আসেন যে, রোগীর কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে কি না। সংক্রমণের কারণে দেখার অসুবিধা হচ্ছে কি না, ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখেন এবং চোখের কনজাঙ্কটিভার অবস্থা, চোখের বাহ্যিক টিস্যু বা কলা ও চোখের ভিতরকার গঠনও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন চিকিৎসক।

সাধারণত, চোখ ওঠা রোগের সমস্যা সাধারণত প্রায় চার সপ্তাহ মতো থাকে। সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা চিকিৎসায় ঠিকমতো সাড়া না মেলে, তাহলে সোয়াব (চোখের পিঁচুটির নমুনা/ চোখের নির্গত বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ) সংগ্রহ করে পরীক্ষা অর্থাৎ টেস্ট করা হয়।

কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সংক্রমণের কারণ অনুযায়ী করা হয়। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দেন চিকিৎসক, ভাইরাস-ঘটিত সংক্রমণ সারতে তার নিজস্ব সময় লাগে। ঠান্ডা সেঁক ও আর্টিফিশিয়াল টিয়ার্স বা কৃত্রিম চোখের জল উপসর্গ অনুযায়ী উপশম দিতে সাহায্য করে। অ্যালার্জি ঘটিত কনজাঙ্কটিভাইটিসের জন্য অ্যান্টিহিস্টামিনস ও আই ড্রপ দেওয়া হয়। কনজাঙ্কটিভাইটিসের সময়ে কন্ট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহার পুরোপরি বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

❍ আপনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সংক্রমিত হওয়া থেকে নিম্নোক্ত উপায়গুলি দ্বারা বাঁচাতে পারেন:

• সংক্রমিত চোখ/চোখদুটি বেশি না ছোঁয়া।
• হাত ভালো করে ধোওয়া দরকার।
• নিজের তোয়ালে ও প্রসাধনী দ্রব্য অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়া।

❒ শেষকথা :
যেকোনো রোগই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। অতএব অসুস্থ হলে ভয় না পেয়ে আল্লাহর উপরে পূর্ণ তাওয়াক্কুল করুন। সবর করুন। তাঁর কাছে সুস্থতার জন্যে দুআ করুন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শিফা দানকারী। ঔষধ আর চিকিৎসকগন তো হচ্ছে কেবলমাত্র উসিলা ।

Dr. Habiba Hafiz

10/10/2020

❍ রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়

হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা শরীরের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে দেয়া। এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।

সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন। কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়। খাবারগুলো হলো :

১। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার: শরীরে iron ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ। হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে iron গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রনসমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, কচু, খেজুর, ইত্যাদি।

২। ভিটামিন সি: ভিটামিন সি-এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকলি, আঙ্গুর, আমলকী, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

৩। ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড এক প্রকার ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। লাল রক্তকণিকা তৈরিতে এটি প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, ব্রোকলিতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

৪। বিট: হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম।

৫। আপেল: দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরো নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।

৬। ডালিম: আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশসমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের জুস খান।

🔚 সবসময় ঔষধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান হতে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করবেন। অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

17/05/2020

পরকে বাঁচাতে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছে যারা ভাই,
ডাক্তার তারা আর কেহো নয়; নচিকেতা বুঝেনাই!

ডাঃ হাবিবা হাফিজ

Address

Dhaka

Telephone

+8801300773468

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Ummey Habiba posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Ummey Habiba:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category