JibonSathi.org

JibonSathi.org Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from JibonSathi.org, Marriage Therapist, Dhaka.

জীবনসাথী একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক মুসলিম ম্যাট্রিমনি প্লাটফর্ম। বিবাহের জন্য সিভি জমা দেওয়া এবং অন্যের সিভির অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করা সম্পূর্ণ ফ্রি। সাধারণ ও ইসলামিক দুইটি ভিন্ন ক্যাটেগরিতে বায়োডাটা জমা দেওয়া যায়। কখনো টাকা দিয়ে কানেকশন কিনতে হবে না। জীবনসাথী উন্মুক্ত প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগত।
বাংলাদেশী মুসলিম মেট্রিমনি ‌‌‍‍‌"জীবনসাথী" প্লাটফর্মটি বৈধভাবে, ইসলামী ভাবধারায়, সামাজিক রীতি-নীতির আলোকে বিবাহ বন্ধনকে সহজীকরণের লক্ষে গৃহীত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

পার্থিব জীবনকে সুখী সমৃদ্ধময় করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে পদার্পণের পূর্বে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত পছন্দসই জীবনসাথী নির্বাচনের বিকল্প কিছুই নেই। সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের নিমিত্বেই আমাদের পদচারণা।

এই প্লাটফর্মটি এমনই একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে বিবাহ উপযুক্ত এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক এরকম সকল ছেলে-মেয়ে উভয়ই তাদের ব্যক্তিগত পারিবারিক সকল তথ্যের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ফ্রি একটি জীবন বৃত্তান্ত সাবমিট করতে পারবে। যার মাধ্যমে অন্যরা সেটা দেখে উভয় "ফ্যামিলি টু ফ্যামিলি" যোগাযোগের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপে অগ্রসর হবে।

বর্তমানে প্রায়ই প্রচলিত বিবাহ বন্ধন সম্পন্নকরণে মিডলম্যান বা ঘটক নিয়োজিত থেকে যেই বিবাহ সম্পন্ন হয়ে থাকে; তার অনেক ক্ষেত্রেই অনেকে ধোকাবাজির স্বীকার হয়ে থাকে অনেক তথ্য গোপন রাখার কারণে। যা অনেক বড়ধরনের অন্যায়। পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে, তাদের অভিভাবক সম্পর্কে বিস্তর জানা-শোনা অনেকাংশেই সম্ভবপর হয়ে উঠে না। আবার ঘটকরা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে অনেক সময় অনেক কিছুই লুকিয়ে রেখে অন্যপক্ষকে প্রলোভিত করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে। যা পরবর্তীতে উভয় পরিবারের জন্যই কাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতিতে বিচ্ছেদের পথে পদচারণ করতে বাধ্য হয়। আর এর মূল কারণ হলো উভয় পক্ষ সম্পর্কে জানা-শোনার বিস্তর ব্যবধান।

এরকম অগণিত বিষয়াদি রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে জানা-শোনা, খোঁজ-খবর নেওয়ার সহজ মাধ্যম আমাদের এই উন্মুক্ত প্লাটফর্মটি। যেখানে আপনি না চাইতেই উভয় পক্ষের বিস্তারিত তথ্যের সমাহার অনায়সেই জানতে পারবেন। যেখানে থাকবে না কোন মিডলম্যান। প্রতারিত হওয়া, না-হওয়া সম্পূর্ণভাবে নিজেদের যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

06/06/2025
সময়ের সাথে সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিবর্তনও হয়েছে, অনুষ্ঠানের রকমও বেড়ে গেছে। ব্রাইডাল শাওয়ার, মেহেদি, হলুদ, মূল অনুষ্ঠান...
29/05/2025

সময়ের সাথে সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিবর্তনও হয়েছে, অনুষ্ঠানের রকমও বেড়ে গেছে। ব্রাইডাল শাওয়ার, মেহেদি, হলুদ, মূল অনুষ্ঠান ইত্যাদি একের পর এক চলতে থাকে।
আগের দিনে বিয়ের কনে চুপচাপ বসে থাকতো। এখন বিয়েতে কনেই ডিজে পার্টিতে লাফায়, হলুদের শাড়ি পরে হিন্দি গানের তালে তালে নাচতে থাকে। এসব ছবি, ভিডিও আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই শেয়ার করে।
ছেলে পক্ষের দিকেও একই অবস্থা। গান, নাচ, ডিজে পার্টি, প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং ও পোস্ট ওয়েডিং বিভিন্ন ফটোশ্যুট ছাড়া আজকাল বিয়ে কল্পনাই করা যায় না।
এবার একটা বিষয় কল্পনা করুন...!
জোহরের আযান দিল। কেউ নামাজ শুরু করল। কানে হেডফোন, উচ্চবিটের মিউজিক বাজছে। গান শুনছেন, আর গানের তালে তালে রুকু সিজদা দিয়ে নামাজ পরছেন।
কেমন হবে ব্যাপারটা?
আসলে কেউ এটা কখনোই করবেন না। কারণ, সবাই জানেন নামাজ একটা ইবাদত, যা আদায় করতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন আমাদের। নামাজের মত বিয়েও একটা ইবাদত। আল্লাহ বলেন, "তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে স্বচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।" (সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩২)
বিয়ে যদি আল্লাহর নির্দেশ ও ইবাদত না হত, কেউ আর বিয়ে করত না। সবাই লি-ভ টুগে-দার বা কো-হ্যাবিটেশন করত। কিংবা যখন যার সাথে ইচ্ছে থাকতো। শুধু ইসলাম না, সকল ধর্মেই বিয়ে তাদের ধর্মীয় বিধানের অংশ। ইবাদতকে ইবাদতের মত পালন করতে হয়। কিন্তু সেদিক না গিয়ে আমরা এটাকে উল্টোভাবে পালন করছি। মেয়ের দেনমোহর পরিশোধ না করে উল্টো মেয়ের পরিবারের কাছে থেকে যৌতুক দাবী করছি। যারা যৌতুক দাবী করেনা, তারাও মনে মনে আশা পোষণ করে থাকে মেয়ের পরিবার নিজে থেকে গহণা, ফার্নিচার, গিফট দিবে। না দিলে মন খারাপ করে, মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহারও করে।
বিয়ের ওয়ালিমা বা ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার দায়িত্ব ছেলে পক্ষের একার। মেয়ের পরিবারের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা ঐচ্ছিক। অথচ উল্টো মেয়ের বাড়িতে অর্ধ-হাজার লোক না নিয়ে গেলে ছেলে পক্ষের মান-সম্মান থাকে না।
• পুরুষদের জন্য স্বর্ণালংকার হা-রা-ম। অথচ যে ছেলেটি সারাজীবনে কখনো আংটি পরে নি, সেই ছেলেও বিয়ের সময় সোনার আংটি পরে থাকে। সোনার আংটি দিয়ে বরকে বরণ না করলে ছেলের পরিবার যেমন অসন্তুষ্ট হয়, মেয়ের পরিবারেরও মান-সম্মান নাকি থাকে না।
• স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হবে সম্পূর্ন ব্যক্তিগত। অথচ বিভিন্ন ফটোশ্যূটের নামে সবার কাছে আমরা নিজেরাই তা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।
বাকি জীবন একসাথে থাকার প্ল্যান করেই দাম্পত্য জীবন শুরু করা হয়। এই কাজে আল্লাহর রহমত একান্ত জরুরী।
বিয়ে যতটা না একটা সামাজিক অনুষ্ঠান, তার চেয়ে বেশি এটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটা একটা ইবাদত। ইবাদতকে ইবাদতের মত না পালন করলে, সেটার কোন গুরুত্ব থাকে না। এদিক আমাদের সবার একটু চিন্তা করা উচিত।

লেখা : ডা. তারাকি হাসান মেহেদী
সংগৃহীত

একজন লি'বি'য়ান যুবক, নাম তার আমের, সৌদি আরব যাচ্ছিল হজ করার জন্য।যেইমাত্র সে এয়ারপোর্টে পৌঁছালো, তার নাম নিয়ে নিরাপত্...
27/05/2025

একজন লি'বি'য়ান যুবক, নাম তার আমের, সৌদি আরব যাচ্ছিল হজ করার জন্য।

যেইমাত্র সে এয়ারপোর্টে পৌঁছালো, তার নাম নিয়ে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত একটি সমস্যা দেখা দিল।

নিরাপত্তা বাহি'নীর লোকেরা তাকে বলল:
“একটু অপেক্ষা করো, আমরা চেষ্টা করছি সমস্যাটা সমাধান করতে।”
এই সময়ে অন্য সব হাজিরা তাদের প্রক্রিয়া শেষ করে প্লেনে উঠে পড়ল, আর প্লেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

কিছুক্ষণ পর সমস্যা ঠিক হয়… কিন্তু পাইলট দরজা খুলতে রাজি হল না। প্লেন চলতে শুরু করল এবং আমেরকে ফেলে রেখে উড়ে গেল!

অফিসার তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল:
“মন খারাপ কোরো না, হয়তো এটা তোমার কপালে ছিল না।”
কিন্তু আমেরের ছিল অটল বিশ্বাস। সে উত্তর দিল:
“আমার নিয়ত হজের, ইনশাআল্লাহ আমি যাবোই।”

হঠাৎ… খবর এলো, প্লেনটিতে যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে এবং তা ফিরে আসছে!

প্লেন ফিরে এলো, মেরামত করা হলো… কিন্তু তাও পাইলট আমেরের জন্য দরজা খুলতে রাজি হল না।

অফিসার আবার বলল:
“হয়তো তোমার ভাগ্যে নেই।”

কিন্তু আমের ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, স্থির ও দৃঢ়চেতা।
সে বলল:
“আমার নিয়ত হজের, ইনশাআল্লাহ আমি যাবোই।”

প্লেন আবার উড়ে গেল… কিছুক্ষণ পর আরেকটি খবর এলো: প্লেনে আবারও সমস্যা হয়েছে!

এবার নিজেই পাইলট বললেন:
“আমি আর উড়ব না, যতক্ষণ না আমের প্লেনে ওঠে।”

শেষ পর্যন্ত… আমের প্লেনে উঠল, সৌদি এয়ারপোর্ট থেকে সে একটি ভিডিও করল —
তার আনন্দ ছিল বর্ণনার বাইরে!
“আল-কাহার” — এটি আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের একটি। এর অর্থ:
তিনি কারণগুলোকেও পরাস্ত করেন। আপনার জন্য সব নিয়ম ভেঙে দিতে পারেন, কেবল আপনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

তাই “কীভাবে”, “কখন” — এসব নিয়ে বেশি চিন্তা করো না…
যতক্ষণ তোমার বিশ্বাস থাকে যে আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান, বিশ্বাস করো… তিনি পরিস্থিতি উল্টে দেবেন, তোমার পথ সহজ করে দেবেন, এমনকি অসম্ভবকেও বাস্তবে রূপ দেবেন।
শর্ত একটাই: নিয়ত হোক পবিত্র, আর ঈমান হোক অটল।

[সংগ্রহীত]

জীবনসাথী(jibonsathi.org) একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক প্লাটফর্ম। এখানে বিবাহ উপযুক্ত পাত্র-পাত্রীর বায়োডাটা জমা দেওয়া এবং সরাসর...
23/05/2025

জীবনসাথী(jibonsathi.org) একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক প্লাটফর্ম। এখানে বিবাহ উপযুক্ত পাত্র-পাত্রীর বায়োডাটা জমা দেওয়া এবং সরাসরি অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করা আজীবনের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি থাকবে, ইং-শা-আল্লাহ্ ।

বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু দ্বীন-দ্বীন ম্যাচিং হলেই ব্যাপারটা ফর গ্যারেন্টেড হয় না যে সম্পর্ক টিকে যাবে।কিংবা উচ্চতা-বয়স-সৌন্দর...
22/05/2025

বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু দ্বীন-দ্বীন ম্যাচিং হলেই ব্যাপারটা ফর গ্যারেন্টেড হয় না যে সম্পর্ক টিকে যাবে।

কিংবা উচ্চতা-বয়স-সৌন্দর্য্য পারিবারিক কুফু, স্ট্যাটাস হ্যান ত্যান ইত্যাদি ম্যাচিং এর পাশাপাশি মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট যে ব্যাপার টা তা হলো "মেন্টালিটি ম্যাচ করা" - অর্থাৎ দুজনের চিন্তা ভাবনা এক ধরণের।

অনেক দ্বীনদার কাপল এরও ডিভোর্স হয়ে যায়। প্রথম শ্রেণীর সাহাবা গণেরও এমন হয়েছিল, উভয় পক্ষই দ্বীনদার, ডিভোর্স হয়ে গেছে। এর কারণ - জাস্ট ইট ডিড নট ওয়ার্ক।

এজন্য বিয়ের আগে কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে মেন্টালিটি বুঝে নেওয়া জরুরী। দেখা গেলো ভবিষ্যত সন্তানের ব্যাপারে একজনের স্বপ্ন মুজাহিদ/ আলেমা, আরেকজনের স্বপ্ন ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার।

- ভবিষ্যত সন্তানের ব্যাপারে কী স্বপ্ন?
- উম্মাহ কে নিয়ে কার কেমন প্ল্যান?
- দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ কার কতটুকু, কী কী হতেই হবে, কী কী না হলেও হবে। কীসের ছাড় দেওয়া যাবে, কিসে না।
- পাত্র কেমন বউ চায় যে বিয়ের পর বউ এই এই করুক, এই টাইপ হবে, পাত্রী কেমন বর চায় যে বিয়ের পর হাজবেন্ড এই এই করুক, এই টাইপ হবে এগুলোও মনের মধ্যে কথা জমিয়ে না রেখে জানিয়ে দিতে হবে।

না বলে ভেতর রেখে দিলে, পরে বিয়ের পর একটু একটু করে বুঝতে গেলে, চিনতে গেলে, প্রায় কাজে দুজনের থিংকিং আলাদা, এভাবে আসলে বেশি দূর আগানোও যায় না। মেন্টালিটি মিনিমাম যতটুকু ম্যাচ করার প্রয়োজন ততটুকু না করলে সম্পর্ক টিকানো কঠিন।

তাই এগুলো মাহরাম এর উপস্থিতিতে হোক, কিংবা মাহরাম কে দূরে রেখে , নিজেরা একটু দূরে বসে হোক (যদি কনফিডেন্টাল কোন কথা থাকে, যা মাহরামের সামনে বলা যাবে না) বা লিখিত আকারে যেভাবেই হোক, পরস্পরের জেনে নিতে হবে।

মেন্টালিটি যতটুকু ম্যাচিং করে, বাকিটা যদি এডজাস্ট করে নেওয়া যায় বলে মনে হয়, তাহলে আগালে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা টা অনেক খানিই কমে যায়।

আর এর পরও কিছু বিচ্ছেদ হবে। সেটা তকদীর।

আলহামদুলিল্লাহ্। জীবনসাথী প্ল্যাটফর্মের ৫ম বিবাহ বন্ধনের নবদম্পত্তি যুগলের বিস্তারিত বিবরণ পড়ুন!!জীবনসাথী প্লাটফর্মে কনে...
19/05/2025

আলহামদুলিল্লাহ্।
জীবনসাথী প্ল্যাটফর্মের ৫ম বিবাহ বন্ধনের নবদম্পত্তি যুগলের বিস্তারিত বিবরণ পড়ুন!!

জীবনসাথী প্লাটফর্মে কনের বায়োডাটা সাবমিট থাকায় বরপক্ষ জীবনসাথী প্লাটফর্মের মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে কনে পক্ষের অভিভাবকের সমীপে প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের নিরিখে উভয় পরিবারের সম্মতি সাপেক্ষে উভয়ের মধ্যে দাম্পত্য জীবনে পদার্পণের লক্ষ্যে, ইসলামী ভাবধারার আলোকে মুসলিম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবাহ নামক পবিত্রতম বন্ধনের আক্বদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

🌺🌺 নব দম্পত্তির বিবরণ 🌺🌺
🔷 ইযাব(প্রস্তাব) প্রদানকারী পক্ষ - বরপক্ষ।
🔷 বরের বায়োডাটা নং - ছিলো না।
🔷 কনের বায়োডাটা নং - 1758
🔷 বরের ঠিকানা - [প্রকাশে অনিচ্ছুক]
🔷 কনের ঠিকানা - মদন, নেত্রকোনা
🔷 বরের পড়াশোনা - [প্রকাশে অনিচ্ছুক]
🔷 কনের পড়াশোনা - স্নাতক
🔷 বরের পেশা - চাকরি
🔷 কনের পেশা - শিক্ষার্থী।

💚💚 সবাই নবদম্পতির জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন। মহান রব্বে কারীম যেন তাদের দাম্পত্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুখের আবেশে পরম শান্তির ফল্গুধারা আমরণ বহমান রাখেন। 💚💚

بَارَكَ اللهُ لَكَ وَ بَارَكَ عَلَيْكَ وَ جَمَعَ بَيْنَكُمَا فِيْ خَيْرٍ
উচ্চারণঃ- "বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকা আ'লাইকা, ওয়া জামায়া বাইনাকুমা ফিল খইর"
অর্থঃ- "আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তোমাদের উভয়ের প্রতি বরকত নাজিল করুন এবং তোমাদের কল্যাণের সঙ্গে একত্রে রাখুন।"
(তিরমিযী - ১০৯১, আবু দাউদ - ২১৩০)

🤲 মুসলিম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবাহ নামক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জীবনসাথী প্ল্যাটফর্ম নিঃস্বার্থ সেবা প্রদানে উত্তরোত্তর সফলতা নিয়ে প্রতিটি মুসলিম উম্মার দোরগোড়ায় যেন পৌঁছাতে পারে, সেজন্য সকলের কাছে দোয়ায় দরখাস্ত রইলো 🤲
জাঝাকুমুল্লাহু খাইর।

ফরয পরিমাণ ইলম না থাকলে কখনোই বিয়ে করা উচিত নয়! অনেকেই কুফু না মিলিয়ে বিয়ে করেন — সেটা হোক সম্পদের দিক থেকে, কিংবা দীনের...
15/05/2025

ফরয পরিমাণ ইলম না থাকলে কখনোই বিয়ে করা উচিত নয়!

অনেকেই কুফু না মিলিয়ে বিয়ে করেন — সেটা হোক সম্পদের দিক থেকে, কিংবা দীনের ইলমের দিক থেকে। অথচ একজন মানুষ যতটুকু ইলমের অধিকারী, তার সমপর্যায়ের কাউকে, বা তার চেয়ে একটু কম ইলমের অধিকারী মেয়েকে বিয়ে করাই শ্রেয়।

একজন হাফেজ ভাই সদ্য দ্বীনের পথে ফিরে আসা এক বোনকে বিয়ে করেছেন। এখন সেই বোন তার আদেশ-নিষেধ মানছেন না, এবং তিনি পর্দা করাই ইসলাম পালন বা ইসলাম শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ — এমন ভাবনা রাখেন। এর মূল কারণ, ফরয পরিমাণ ইলমের অভাব।

আসলে ফরয পরিমাণ ইলম না থাকলে কখনোই বিয়ে করা উচিত নয়। চলুন, সেই ফরয পরিমাণ ইলম কী কী হওয়া উচিত তা একটু বিস্তারিতভাবে জানি:

ফরযে আইন কী?

ফরযে আইন হলো এমন ইলম বা আমল, যা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ব্যক্তিগতভাবে ফরজ — মানে, এটি অন্য কেউ করে দিলে হবে না, নিজেকেই শিখতে ও পালন করতে হবে।

ফরযে আইন ইলম বলতে কী বোঝায়?

বিয়ে করার আগে একজন মুসলমানের জানা উচিত এমন কিছু ইলম আছে, যেগুলো তার ব্যক্তিগত জীবন, ইবাদত, আখলাক, ও পারিবারিক দায়িত্ব পালনের জন্য অপরিহার্য। এর মধ্যে রয়েছে:
১. আকীদা বা ঈমান – সঠিকভাবে তাওহীদ, রিসালাত, আখেরাত সম্পর্কে জানা।
২. তাহারা-মুজা, সালাত ও অন্যান্য ফরয ইবাদতের বিধান।
৩. হালাল ও হারাম সম্পর্কিত জ্ঞান।
৪. বিয়ের মাসায়েল – যেমন:
• মোহর নির্ধারণ
• স্ত্রীর অধিকার
• স্বামীর দায়িত্ব
• তালাক বা খোলা সম্পর্কিত শরয়ী বিধান
৫. আদর্শ পারিবারিক জীবন – কিভাবে শান্তিময় পরিবার গড়া যায় ইসলামি রীতিতে।

কেন ফরযে আইন ইলম ছাড়া বিয়ে করা উচিত নয়?
১. অজ্ঞতার কারণে অন্যায় করা হয় – স্বামী বা স্ত্রী কেউ কেউ না জেনে এমন কিছু করে বসে যা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হয়।
২. পারস্পরিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় – স্বামী স্ত্রীর হক বুঝে না, স্ত্রী স্বামীর দায়িত্ব জানে না।
৩. সংসারে অশান্তি বাড়ে – কারণ ইসলামি জ্ঞান ছাড়া ইমোশন ও সংস্কারের উপর ভিত্তি করে চললে ঝগড়া-বিবাদ লেগে যায়।
৪. ইবাদতের সঠিকতা হারায় – অনেকেই সংসার শুরু করার পরও নামায, পবিত্রতা, সন্তানের দায়িত্বের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকে।

ইসলামি আলেমদের মতামত:

ইমাম গাযযালী (রহ.) সহ বহু বড় আলেম বলেছেন:

যে অবস্থায় যে কাজ ফরয হয়, তা জানার পরিমাণ ইলম অর্জন করাও ফরয হয়ে যায়।

যেমন, ব্যবসা করলে ব্যবসার হালাল-হারাম শিখে নেয়া ফরয, তেমনি বিয়ে করলে বিয়ের মাসায়েল জানা ফরয।

তাহলে করণীয় কী?
১. বিয়ে করার আগে ফরযে আইন ইলম শিখে নেওয়া।
২. স্ত্রী ও স্বামীর উভয় পক্ষকে এই বিষয়ে সচেতন করা।
৩. আলেমদের কাছ থেকে মাসআলা-মাসায়েল জেনে নেওয়া।
৪. বিশ্বস্ত ইসলামি বই, লেকচার, কোর্সের মাধ্যমে ইলম অর্জন করা।

মুসলিম হিসেবে জীবনযাপনের জন্য ফরজে আইন অপরিহার্য। দ্বীনদার অর্থাৎ দ্বীনের বুঝ থাকা বা আসা মাত্রই প্রথম দায়িত্ব ফরজ পরিমাণ ইলম অর্জন করা। অবিবাহিত হলে বিবাহের আগে ফরযে আইন ইলম করা অপরিহার্য। অর্জনের পরই বিবাহের কথা ভাবা উচিত।

আবার, বিয়ের আগে বিয়ে নিয়ে, বিয়ের ফিকহ, দায়িত্ব, কর্তব্য, নারী-পুরুষের মনস্তত্ব, প্যারেন্টিং এসব নিয়েও পড়াশোনা করা উচিত। জীবনের যেকোনো পর্যায়ে যাওয়ার আগে তা নিয়ে জানাশোনা, প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা কর্তব্য।

বিয়েতে যেহেতু আরেকজন মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয় তাই এটা আরো সেন্সিটিভ বিষয়। সবার উচিত সচেতন থাকা যেন কোনোভাবেই জীবনসঙ্গীর উপর জুলুম না করা হয়ে যায়। এমনকি নিজে মাজলুম হলেও...

তাই সবার নিকট অনুরোধ কেউই ফরজে আইন ইলম এবং বিয়ের প্রস্তুতি ছাড়া বিয়ে করবেন না।

সংগৃহীত

**বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বর্জনীয় বিষয়সমূহ✍️ হীরার অলংকার উপহার✍️ শুধুমাত্র বিয়ের জন্য দামি পোশাক✍️ কার্ড ছাপায় অতিরিক্ত খরচ...
05/05/2025

**বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বর্জনীয় বিষয়সমূহ

✍️ হীরার অলংকার উপহার
✍️ শুধুমাত্র বিয়ের জন্য দামি পোশাক
✍️ কার্ড ছাপায় অতিরিক্ত খরচ
✍️ কার্ড না পাওয়ায় দাওয়াত বর্জন
✍️ বিলাসবহুল ভেন্যু
✍️ বিদেশ থেকে লোক দেখানো কেনাকাটা
✍️ বাড়তি ঝাল/লবণ দিয়ে বিরক্তিকর খাবার
✍️ খাবারের প্রতিযোগিতা ও ভিডিও করা
✍️ বাসররাতের জন্য হোটেল বুকিং
✍️ ডিজে, আতশবাজি
✍️ গেটধরা, জুতো লুকানো ইত্যাদি বাজে প্রথা
✍️ শরবত খাওয়ানোর সময় অপমানজনক আচরণ
✍️ পায়ে দুধ ডুবানো, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ানো

স্বামীর অন্য কো‌নো প্র‌য়োজন না থাক‌লেও শুধুমাত্র যৌনচা‌হিদা মেটানোর জন্য চার‌টি পর্যন্ত বি‌য়ে কর‌তে পা‌রে। কো‌নো ...
02/05/2025

স্বামীর অন্য কো‌নো প্র‌য়োজন না থাক‌লেও শুধুমাত্র যৌনচা‌হিদা মেটানোর জন্য চার‌টি পর্যন্ত বি‌য়ে কর‌তে পা‌রে। কো‌নো অসু‌বিধা নেই। বিবা‌হিত চার স্ত্রীই তার বৈধ ক্ষেত্র। এগু‌লো যৌনচা‌হিদা পূর‌ণের জন্য তা‌কে তিরস্কৃত করা যা‌বে না।

স্বামীর যৌনচা‌হিদা থাকার প‌রে প্রথম স্ত্রীর বাধার কার‌ণে স্বামী দ্বিতীয় বি‌য়ে কর‌তে না পা‌রে; আর এর পরিণ‌তি‌তে য‌দি স্বামীর কষ্ট হয় বা স্বামী হারামভা‌বে যৌনচা‌হিদা পূরণ করে; ত‌বে এ গোনাহর এক‌টি অংশ ওই স্ত্রী‌কে নি‌তে হ‌বে। এজন্য স্ত্রী বহুলাং‌শে দায়ী হ‌বে।

পুরু‌ষের জন্য একা‌ধিক বি‌য়ে করা এক‌টি জা‌য়িয বিষয়; স্বাভা‌বিক অবস্থায় ফরজ ওয়া‌জিব‌ কিছু নয়। এটা নিছকই তার শরীয়ত স্বীকৃত অ‌ধিকার। য‌দি স্ত্রীর মনরক্ষা‌র্থে প্র‌য়োজন থাকা স‌ত্ত্বেও স্বামী এ অ‌ধিকার ছে‌ড়ে দেয়, অর্থাৎ দ্বিতীয় বি‌য়ে করা থে‌কে বিরত থা‌কে, এবং নি‌জে‌কে সংযত রা‌খে; এজন্য সে সওয়াবপ্রাপ্ত হ‌বে। যেম‌নিভা‌বে সম্প‌দের ক্ষে‌ত্রে প্রাপ্য অ‌ধিকার ছে‌ড়ে দি‌লে সওয়াব হ‌য়ে থা‌কে।

এই মর্মে বিশ্বনবীর একাধিক ভাষ্য হচ্ছে,
"দয়াদ্র মানু‌ষের প্র‌তি দয়াবান‌ প্রভু দয়া ক‌রেন।" (আবু দাউদ : ৪৯৪১)

"যে আমার উম্ম‌তের প্র‌তি কোমল হ‌লো, আল্লাহ তার প্র‌তি কোমল আচরণ কর‌বেন।"

শরীয়ত যেমন স্বামী‌কে একা‌ধিক বি‌য়ের অনুম‌তি দি‌য়ে‌ছে, তেমনি একা‌ধিক স্ত্রী থাক‌লে তা‌দের ব্যাপা‌রে সমতা রক্ষা‌কে ফরয ক‌রে‌ছে। যে ব্য‌ক্তি উভ‌য়ের ভরণ‌পোষণ চালা‌নো ও তা‌দের মা‌ঝে সমতা রক্ষা কর‌তে ‌নি‌জে‌কে অক্ষম ম‌নে করে; তার জন্য একা‌ধিক বি‌য়ে করা জা‌য়িয নয়। সে এক‌টি‌তে ক্ষান্ত থাক‌বে। ইরশাদ হ‌য়ে‌ছে– "আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকেই বা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকেই গ্রহণ কর। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা বেশী।" (সূরা নিসা : আয়‌াত-৩)

হাদীস শরী‌ফে এ জন্য ক‌ঠিন ধম‌কি এ‌সেছে। নবী‌জি ব‌লে‌ছেন– ‌যে ব্য‌ক্তির দু‌টি স্ত্রী র‌য়ে‌ছে, আর সে তা‌দের মা‌ঝে সমতা রক্ষা ক‌রে‌নি; ‌কেয়াম‌তের ‌দিন তার দে‌হের এক‌টি অংশ নে‌মে থাক‌বে। (‌তির‌মিযী : ১১৪১, হাদীস‌টি সহীহ)

‌মোটকথা, স্বামীর দ্বিতীয় তৃতীয় বি‌য়ে করা শরীয়ত স্বীকৃত এক‌টি অ‌ধিকার। সামর্থ্য ও ন্যয়‌বিচার সা‌পেক্ষে স্বামী সে অ‌ধিকার কা‌জে লাগা‌তে পা‌রে। স্ত্রীর মন রক্ষা‌র্থে এ অ‌ধিকার প্র‌য়োগ না কর‌লে সে সাওয়াবপ্রাপ্ত হ‌বে। দ্বিতীয় বি‌য়ের অ‌ধিকার শরীয়ত স্বীকৃত কারণ ছাড়া অস্বীকার করা কুফরী।

**সামাজিক আচরণ ও সচেতনতা✍️ বিয়ে হচ্ছে না বলে কাউকে খোঁটা দিবেন না।✍️ বিয়ে বিলম্বিত হলে হতাশ হবেন না, আত্মসম্মানবোধ বজায় ...
01/05/2025

**সামাজিক আচরণ ও সচেতনতা

✍️ বিয়ে হচ্ছে না বলে কাউকে খোঁটা দিবেন না।

✍️ বিয়ে বিলম্বিত হলে হতাশ হবেন না, আত্মসম্মানবোধ বজায় রাখুন।

✍️ অবিবাহিত কাউকে বিব্রতকর প্রশ্ন করবেন না। পাত্র/পাত্রী থাকলে পরে জানান।

✍️ বর-কনের চেহারা, সাজসজ্জা বা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।

✍️ দাওয়াত না পেলেও রাগ না করে দোয়া করুন।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when JibonSathi.org posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to JibonSathi.org:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram