
04/10/2024
শিশু পুষ্টি বিষয়ক কিছু কথা :
🚼আপনার শিশুকে জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে বুকের দুধ (শাল দুধ) পান করান। জন্মের পর একটি বাচ্চা ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত কোন কিছু না খেয়েও সার্ভাইব করতে পারে।তাই বুকের দুধের বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু খাওয়াতে তাড়াহুড়ো করবেন না।
➡️এতে মায়ের বুকের দুধের প্রতি বাচ্চার চাহিদা বাড়বে। মায়ের সাথে বন্ধন দৃঢ় হবে। অন্য কোন কেনা দুধ / আর্টিফিশিয়াল দুধ দেয়া হলে বাচ্চা কষ্ট করে মায়ের দুধ পান করতে চাইবে না আর। কারন মানুষ মাত্রই আরামপ্রিয়।
🚼 বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন কিছু খাওয়াবেন না।
➡️কারন প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চার গ্রোথ এবং ডেভলপমেন্ট এর জন্য যে পুষ্টি উপাদান দরকার বুকের দুধ থেকেই তা ১০০% মেটানো সম্ভব।বাচ্চার হজম শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
🚼 ৬ মাস বয়সের পর বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দিন। এই খাবার অবশ্যই পরিবারে রান্না করা বৈচিত্র্যপূর্ন খাবার হতে হবে। অর্থাৎ আপনি প্রতিদিন রান্না করে যা খান বাড়িতে সেই খাবারই দিতে হবে। এক খাবার প্রতিদিন দিবেন না। শুধু খিচুড়ি /সুজি খাওয়াবেন এই চিন্তা বাদ দিন।আপনি যেমন প্রতিদিন এক খাবার পছন্দ করবেন না বাচ্চাও প্রতিদিন এক খাবার পছন্দ করে না।তাই খাবারে বৈচিত্রতা আনতে হবে।
➡️খাবার তৈরিতে নিম্নোক্ত বিষয় খেয়াল করুন :
🟡লবন কম দিন।খাবার রান্নার শেষের দিকে লবন দিতে হবে।এতে লবনের আয়োডিন অক্ষুণ্ণ থাকে।
🔴চিনি কম দিন
🔵মসলা কম দিন
🟣তেল একটু বেশি দিন। তেল বাচ্চাদের কিছু ভিটামিন
বাড়াতে সাহায্য করে
🟢৬-৯ মাস বয়সী বাচ্চার খাবার হতে হবে ঘন, নরম, চটকানো।
🟤৯ মাসের পর বাচ্চার খাবার ছোট ছোট টুকরো করে খাওয়াতে হবে।
⚫৩ বেলা বাচ্চাকে ঘরে রান্না খাবার দেয়ার পাশাপাশি দিনে ১/২ বার পুষ্টিকর নাস্তা দিন।সেটি সহজলভ্য ফল / সুজি/পায়েস হতে পারে। ৯ মাস পর বাচ্চাকে গরুর দুধ খাওয়ানো যাবে তবে যতটুকু গরুর দুধ তার দ্বিগুন পানি মিশিয়ে পাতলা করে দিতে হবে।
🚼বুকের দুধ বাচ্চাকে ২ বছর পর্যন্ত দিতে হবে।