30/09/2025
সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একই-লিঙ্গের স্বাস্থ্যকর্মী বা টেকনিশিয়ান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবে, বিশেষত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, মহিলা সার্জন বা টেকনিশিয়ানের অভাব বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে টেলিমেডিসিন, মহিলা জেনারেল প্র্যাকটিশনারদের প্রশিক্ষণ, নার্স-স্কিলিং (task-shifting) এবং সর্বোপরি জরুরত ও রুখসার নীতিমালার প্রয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল ব্যবস্থায় এই চাহিদাগুলো অনেকাংশেই অর্থহীন কিন্তু শারিয়াহ নীতিমালায় এর প্রয়োগ অপরিহার্য।
▪️স্পিরিচুয়াল কেয়ার: স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলো মানসিক ও আত্মিক রেমেডি প্রদান। এ ধরনের সেবার জন্য যথাযথ স্পেস এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল ব্যবস্থা প্রায়ই ব্যর্থ। বিশেষত হো/মো/সে/ক্সু/য়ালিটি বা রুকইয়ারের মতো বিষয়গুলো সমাজের প্রচলিত মানদণ্ডে সহজে খাপ খায় না। ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে অনেকেই ভিন্ন পথে পা বাড়ান। অথচ এমন ইস্যুতেও শারিয়াহভিত্তিক সেবার মাধ্যমে উপযুক্ত ইসলামিক কাউন্সেলিং প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
▪️আর্কিটেকচার ও স্পেসিং: শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতালে ফিজিক্যাল ডিজাইন করা হয় বিশেষভাবে ইসলামিক নীতিমালা অনুযায়ী। এর মধ্যে রয়েছে নামাজের জন্য যথাযথ স্থান, ওজুর সুবিধা, পুরুষ ও মহিলা আলাদা কনসালটেশন রুম ও ওটি রুম, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের ড্রেস কোড সংরক্ষণ ইত্যাদি। এছাড়াও সার্ভিস লেয়ারে যোগ করা হয় ইবাদাহ-সহযোগী পরিষেবা— যেমন রমাদান রেমেডি ও গাইডলাইন, রোগীর খাদ্য হালাল সার্টিফায়েড, জানাযা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, কাউন্সেলিং ও ডকুমেন্টেশনের জন্য পৃথক ডেস্ক।
প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল ডিজাইনে ইসলামিক স্পেসের কিছু কাস্টমাইজেশন থাকতে পারে, তবে তা মূল নকশার অংশ নাও হতে পারে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর প্রায় সব হাসপাতালেই নামাজের স্থান থাকে, কিন্তু বাকি পরিষেবাগুলো প্রায়শই কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো ফতোয়া বোর্ডের অধীনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ থাকে না। অথচ মুসলিম রোগীদের জন্য ইসলামিক নীতিমালা অনুযায়ী হাসপাতালের আর্টিটেকচার তৈরি অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
• প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল বনাম পূর্ণাঙ্গ শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতাল।
পর্ব ০২: ক্লিনিকাল প্র্যাকটিস এবং কাঠামোগত পার্থক্য।