Yashfeen Hospital

Yashfeen Hospital Ensuring Shariah in Health Management.

Yashfeen Hospital is a distinguished healthcare institution dedicated to delivering high-quality, ethically grounded medical services. It strives to integrate modern medicine with Islamic ethical principles, offering comprehensive, compassionate care across a range of specialties. The hospital houses a specialized Psychiatry and Islamic Psychology Center, where conventional psychiatric treatments are harmonized with Islamic psychological methodologies. This center addresses mental health within a faith-based framework, combining clinical excellence with spiritual sensitivity. Yashfeen Hospital upholds the values of integrity, holistic healing, and patient-centered care, aiming to set a benchmark in Shariah-compliant healthcare services.

“জ্বীনের সাহায্য নিয়ে সমস্যা সমাধান করা জায়েজ আছে, ভাই। আল্লাহর নবী সুলাইমান আলাইহিস সালামও জ্বীনের সাহায্য নিয়েছিলেন! এ...
08/12/2025

“জ্বীনের সাহায্য নিয়ে সমস্যা সমাধান করা জায়েজ আছে, ভাই। আল্লাহর নবী সুলাইমান আলাইহিস সালামও জ্বীনের সাহায্য নিয়েছিলেন! এই কবিরাজ জ্বীনের সাহায্য নিয়ে তোমাকে সাহায্য করবেন। আমাদের এলাকায় অনেক মানুষ উনার মাধ্যমে সাহায্য পেয়েছেন।”

ফরিদ সাহেবের বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যবসায় লাগাতার অবনতি যাচ্ছে। কোনো ভাবেই কোনো উন্নতির দেখা মিলছে না।

বিষয়টি নিয়ে পেরেশান থাকতে থাকতে তার অন্যান্য পারিবারিক এবং সামাজিক সম্পর্কগুলোও এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। মোটকথা, সব মিলিয়ে খুবই হযবরল অবস্থা! একদিন একজন পুরনো দিনের বন্ধুর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে বন্ধুটি তাকে একজন কবিরাজের ঠিকানা দিয়ে উপরের কথগুলো বললেন।

এরপর ফরিদ সাহেব উনার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে ইকরামের সাথে আলোচনা করেন। ইকরাম ভার্সিটির পাশাপাশি অনলাইনে ইসলাম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা করছে মাশাআল্লাহ। ইকরাম বিষয়টি শুনার পরে বাবাকে বললেন-

"সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর বিষয়টি একমাত্র উনার জন্যই ইউনিক ছিল। আমাদের দেখা উচিত আমাদের নবীজি রসূলুল্লহ্ সলাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরামগন জ্বীনের সাহায্য নিয়েছিলেন কিনা কোনো বিষয়ে।

সুলাইমান আলাইহিস সালাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নিকট দু'আ করেছিলেন:

"হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয়ই আপনি বড়ই দানশীল।" (সুরা সাদ: ৩৫)

আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

একটি অবাধ্য জ্বীন একরাতে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ্‌ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে ধরলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম, যাতে তোমরা সবাই স্বচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলাইমান আলাইহিস সালাম-এর এ দু’আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে না জোটে- (সূরা সাদ: ৩৫)।

অতঃপর আমি জ্বীনটিকে ব্যর্থ এবং লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দিলাম। (সহিহ বুখারি: হাদিস ৩৪২৩)

এক্ষেত্রে আরও একটি হাদিস দেখতে পারি:

মি‘রাজ রজনীতে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি জ্বীন দেখতে পেলেন। তার হাতে আগুনের লেলিহান শিখা ছিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে দেখলে মনে হত যেন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিকে ছুটে আসছে। অতঃপর জিবরাঈল আলাইহিস সালাম প্রিয় নবীকে বললেন, আমি আপনাকে এমন কতকগুলো শব্দ শিক্ষা দিব কি যা পাঠ করলে এই জ্বীনের আগুন নিভে যাবে এবং সে উপুর হয়ে পড়ে যাবে? রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই শিক্ষা দিবেন। অতঃপর জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, পড়ুন:

أَعُوذُ بِوَجْهِ اللهِ الْكَرِيمِ وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ اللَّاتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنْ السَّمَاءِ وَشَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا وَشَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ وَشَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ

আমি আসমান হতে আগত ও আসমানের দিকে ধাবিত বস্তুর অমঙ্গল হতে, মাটিতে সৃষ্ট ও মাটি হতে বহির্গত বস্তুর অমঙ্গল হতে, রাত্র-দিনের বালা-মুসিবত হতে ও রাত্র-দিনের ঘটনাপ্রবাহ হতে- তবে উত্তম ঘটনা হতে নয়- হে দয়াময়! (আমি) আল্লাহ্‌র সম্মানিত সত্তার ও তার সেই পূর্ণ কালেমা সমূহের আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যা পুণ্যবান ও পাপী কেহই অতিক্রম করতে পারে না। (সহিহ আহমাদ: ১৫৪৯৮)

সুতরাং আমরা জ্বীনের কাছে সাহায্য চাইবোনা বরং তাদের ক্ষতি থেকে আল্লাহ পাকের কাছে আশ্রয় চাইবো।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর উপর জাদু এবং জ্বীনসাধনার অপবাদ নতুন কিছুনা। পূর্ববর্তী কিতাবধারীরাও এই অপবাদ দিত।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বিষয়টি পরিষ্কার করে কুরআনে বর্ণনা করেছেন

"এবং সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়ত্বানরা যা পাঠ করত, তারা তা অনুসরণ করত, মূলতঃ সুলাইমান কুফরী করেনি বরং শয়ত্বানরাই কুফুরী করেছিল, তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত এবং যা বাবিলের দু’জন ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর পৌঁছানো হয়েছিল এবং ফেরেশতাদ্বয় কাউকেও (তা) শিখাতো না যে পর্যন্ত না বলত, আমরা পরীক্ষা স্বরূপ, কাজেই তুমি কুফরী কর না, এতদসত্ত্বেও তারা উভয়ের নিকট হতে এমন জিনিস শিক্ষা করতো, যা দ্বারা তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতো, মূলতঃ তারা তাদের এ কাজ দ্বারা আল্লাহর বিনা হুকুমে কারও ক্ষতি করতে পারত না, বস্তুতঃ এরা এমন বিদ্যা শিখত, যদ্দ্বারা তাদের ক্ষতি সাধিত হত আর এদের কোন উপকার হত না এবং অবশ্যই তারা জানত যে, যে ব্যক্তি ঐ কাজ অবলম্বন করবে পরকালে তার কোনই অংশ থাকবে না, আর যার পরিবর্তে তারা স্বীয় আত্মাগুলোকে বিক্রয় করেছে, তা কতই না জঘন্য, যদি তারা জানত!" (সূরা আল বাকারাহ: ১০২)

সাধারনভাবে, জ্বীন কোনো বিশেষ স্বার্থ বা শয়তানি পরিকল্পনা ছাড়া কাউকে সাহায্য করে না।

যেখানে আমাদের রসূলুল্লহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায় কিরামগন কখনই জ্বীনদের সাহায্য কিংবা তাদের দিয়ে ঝাঁড়ফুক কিংবা তাবিজ কবজের বিষয়ে যাননি।

অনেক কবিরাজ মনে করেন উনারা জ্বীনদের অনুগত বানিয়ে কাজ করাচ্ছেন কিন্তু আসলে উনারাই শয়তানের অনুগত হয়ে যাচ্ছেন- এটা উনারা টের পাচ্ছেন না।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের শয়তানের আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন। এবং কুরআনে এই বিষয়ে এক ভয়াবহ সতর্কতা দিয়েছেন:

"যেদিন তাদের সবাইকে একত্রিত করা হবে, (সেদিন আল্লাহ বলবেন) হে জ্বীন সমাজ! তোমরা মানব সমাজের উপর খুব বাড়াবাড়ি করেছ। মানব সমাজের মধ্য থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা পরস্পরে পরস্পরের নিকট হতে লাভবান হয়েছি আর আমরা আমাদের নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে গেছি যা তুমি আমাদের জন্য নির্ধারিত করেছিলে। আল্লাহ বলবেন, জাহান্নামই হল তোমাদের বাসস্থান, তার মধ্যেই হবে তোমাদের চিরবাস, তবে আল্লাহ যদি অন্যরূপ ইচ্ছে করেন (তবে তাই হবে)। তোমার প্রতিপালক কুশলী এবং সর্বজ্ঞ।" (সূরা আনআম: ১২৮)

এবার ইকরাম থেমে তার পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“আব্বু, আমাদের জন্যে সবচেয়ে নিরাপদ এবং বরকতময় হল সবরের সাথে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এবং সালাফদের দেখানো পথ অনুসরণ করা।”

আমরাও পরিপূর্ণ ইয়াকিনসহ যেন বলি এবং আমল করি—

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

আমরা কেবল তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। (সূরা ফাতিহা: ৫)

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এক ধরনের বিশেষ কারণে ডাক্তার দেখাতে অনীহা বোধ করে। বিশেষ করে দেশীয় ডাক্তারদের ওপর ভরসা করতে ...
06/12/2025

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এক ধরনের বিশেষ কারণে ডাক্তার দেখাতে অনীহা বোধ করে। বিশেষ করে দেশীয় ডাক্তারদের ওপর ভরসা করতে পারে না খুব একটা!

দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষ কোনো সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে ফার্মেসি থেকে নিজের মতো করে ওষুধ কিনে খেতে থাকে। এরপর যখন কোনো রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করে, তখন হাসপাতালে ধরনা দেয়। এদিকে, রোগীদের ক্রিটিক্যাল অবস্থা ম্যানেজ করতে করতে ডাক্তারদেরও দম বের হয়ে যায়!

এবার সমস্যার মূলে হাত দেওয়া যাক।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালের এমন অবস্থা যে, লাইনের পর লাইন রোগীরা সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে আছে—হাসপাতালের ওয়েটিং রুম গিজগিজ করছে— অথচ এত রোগী সামলানোর জন্য ডিউটিতে থাকে মাত্র একজন বা দুইজন ডাক্তার!

এবার আপনিই ভেবে দেখুন— এক–দু’জন ডাক্তারের পক্ষে এক দিনে ৬০–৭০ জন রোগী দেখা, ডাক্তার কিংবা রোগী উভয়ের জন্য কতটা ন্যায়সঙ্গত?

একদিকে রোগীরা পর্যাপ্ত সময় পায় না, নিজেদের সমস্যা ঠিকঠাক বুঝিয়ে বলতে পারে না, যথাযথ সার্ভিসও পায় না; অন্যদিকে, এত রোগীর চাপ নিয়ে একজন বা দু’জন ডাক্তারের পক্ষে ঠান্ডা মাথায়, আচরণ ঠিক রেখে এবং মনোযোগ বজায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ভুল ডায়াগনোসিস বা ওষুধ ভুল প্রেসক্রাইব করার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার–নার্সসহ গোটা সিস্টেমের ওপর এক বিশাল চাপ তৈরি হয়। অন্যদিকে রোগীরাও অবহেলিত হয় এবং ভুল চিকিৎসার ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি শারঈ পর্দার সাধারণ বিধান—পুরুষ রোগীর পুরুষ ডাক্তার, নারী রোগীর নারী ডাক্তার—এসব নিশ্চিত হওয়া তো অনেক দূরের কথা!

আবার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায়—ওয়ার্ডে বেড না পেয়ে রোগী ও তার আত্মীয়রা ওয়ার্ড বা হাসপাতালের করিডোরে ফ্লোরে অবস্থান করছে! এতে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় বেডরেস্ট, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা ও উপযুক্ত চিকিৎসা পরিবেশ—কতটা নিশ্চিত হয়?

অধিকাংশ হাসপাতালে ডাক্তারের তুলনায় রোগীর সংখ্যাধিক্যের এই সুযোগটাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়।

অথচ ইসলাম আমাদের কী বলে?

“যে ব্যক্তি কোনো কাজের দায়িত্ব নেয়, অথচ সে কাজের উপযুক্ত লোক সংখ্যা না রাখে, সে লোকদের প্রতি অন্যায় করে।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮২৮)

আদর্শ শারঈ হাসপাতাল হলে পরিস্থিতি কেমন হত?

১) পুরো ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য হতো আল্লাহর সন্তুষ্টি।

আমানত রক্ষা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত থাকত। আল্লাহ বলেন—

“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন তোমাদের আমানতগুলো তাদের হকদারদের নিকট পৌঁছে দিতে।”
— [সূরা আন-নিসা ৪:৫৮]

২) রোগী–ডাক্তার অনুপাত হতো ভারসাম্যপূর্ণ।

প্রত্যেক রোগীর জন্য পর্যাপ্ত সময় নিশ্চিত করা হতো। ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হতো সহানুভূতিশীল ও ধৈর্যশীল। উভয় পক্ষের ওপর অকারণ মানসিক চাপ থাকত না। চিকিৎসাগত ভুলের ঝুঁকিও কমে যেত।

৩) হাসপাতালে যথাযথ পর্দা ব্যবস্থা থাকত,

নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক বিভাগ নিশ্চিত করা হতো।

এই গুরুতর সমস্যা সমাধানে তাই শারিয়াহ হাসপাতালের কোনো বিকল্প নেই।

১৯৬১ সালের একদিন, বিশ্বের বিখ্যাত লেখক ও নোবেলজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে নিজের জীবনের ইতি টানলেন।সাফল্যের শীর্ষে থাকা এই মানু...
04/12/2025

১৯৬১ সালের একদিন, বিশ্বের বিখ্যাত লেখক ও নোবেলজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে নিজের জীবনের ইতি টানলেন।

সাফল্যের শীর্ষে থাকা এই মানুষটি লিখেছিলেন “For Whom the Bell Tolls”- যে বইয়ে জীবন, মৃত্যু ও মানবিক যন্ত্রণা এত বাস্তবভাবে ফুটে উঠেছিল যে, পাঠকের জন্য কান্না আটকে রাখা কঠিন ছিল। তার লেখা বইয়ে তিনি বলেছিলেন: “Writing is easy. You just sit down at the typewriter and bleed.”

তিনি “bleed” বলতে বোঝাতে চেয়েছিলেন তার মনের রক্তক্ষরণ—যার নাম ডিপ্রেশন।

প্রতিভা, খ্যাতি, অর্থ সবকিছুই তার ছিল, কিন্তু এরপরও তার মানসিক শান্তির অভাব ছিলো। তার গল্প আমাদের শেখায়: "ডিপ্রেশন কারো প্রতি পক্ষপাত করে না।"

ডিপ্রেশন যে কারও জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে নীরবে, অদৃশ্যভাবে। হোক সে একজন প্রতিভাবান লেখক, শিক্ষক, কোনো মা কিংবা শিক্ষার্থী।

আজও পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ হেমিংওয়ের মতো নীরব যুদ্ধ করছে—যারা বাইরে হাসছে, কিন্তু ভিতরে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে।

কিন্তু আমাদের সমাজ এখনো বলে, “সবই মনের ব্যাপার”, “এটা এমন কিছু না, এতে এত মনোযোগ দেবার কি আছে! এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।”

ডিপ্রেশন একটি চিকিৎসাযোগ্য মানসিক রোগ। যার চিকিৎসা না করলে মানুষ ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস হারায়, চিন্তা ও অনুভূতির ভারে ডুবে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসা, কাউন্সেলিং, এবং সহানুভূতি—এই শব্দগুলো হতে পারে নতুন এক জীবনের প্রবেশদ্বার।

সুতরাং,
🔹 চিকিৎসা মানে দুর্বলতা নয়, বরং নিজের প্রতি দায়িত্ববোধ।
🔹 কথা বলা মানে অভিযোগ করা নয়, বরং নিজের ব্যথাকে প্রকাশের সাহস করা।
🔹 সহানুভূতি মানে করুণা নয়, বরং এক মানবিক বন্ধন যা অপরজনকে বাঁচাতে পারে।

আমাদের বুঝতে হবে ডিপ্রেশন মানে শেষ নয়, এটা কেবল বিচ্ছিন্ন এক অধ্যায়ের মত—যার পরেই শুরু হতে পারে নতুন জীবনের গল্প।

তাই যখন মনে হবে সব শেষ, মনে রাখবেন: যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আপনাকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষমতাও রাখেন।

অন্ধকার যতই গভীর হোক, আলো আসবেই। আর সেই আলোর দিকে এক পা এগোনোর নামই হলো নিজের মধ্যে আশার আলো জ্বালানোর চেষ্টায় রত থাকা।

আজ মেডিকেল জীবনের প্রথম ওয়ার্ড স্নেহার। মেডিসিন ওর সবচেয়ে প্রিয় সাবজেক্ট, আর শুরুটা হয়েছে মেডিসিন ওয়ার্ড দিয়েই।গত ফেইজে ...
02/12/2025

আজ মেডিকেল জীবনের প্রথম ওয়ার্ড স্নেহার। মেডিসিন ওর সবচেয়ে প্রিয় সাবজেক্ট, আর শুরুটা হয়েছে মেডিসিন ওয়ার্ড দিয়েই।

গত ফেইজে অনলাইনে ফিকহ অফ মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করেছে ও। এই তো, আজ থেকে অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ করার উপযুক্ত সুযোগ বটে!

ওয়ার্ডে গিয়ে দেখে ফাইনাল ইয়ারের অনেকগুলো ছেলেমেয়ে এক বেড ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের ব্যাচ টিচার হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত এক বয়স্ক মহিলা রোগীর উপর অ্যাবডোমেন এক্সামিনেশন দেখিয়ে দিচ্ছে। এরপর বাকিদের প্র্যাকটিস করার কথা বলে ম্যাম চলে যাওয়ার পর কয়েকজন পরীক্ষা করলো পরপর।

স্নেহার সবচেয়ে খারাপ লেগেছে এটা দেখে যে, প্র্যাকটিস করা শেষ হবার পরও সেখানে কেউ যথাযথভাবে রোগীর জামা ঠিক করে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করেনি। তার উপর একজনের পর আরেকজন খুবই রাফ হ্যান্ডে পরীক্ষা করছিল, যা বয়স্কা অসুস্থ সেই রোগীর জন্য অস্বস্তিকর ছিলও বটে।

আরও বড় বিষয়, একজন মহিলা রোগীর উপর পরীক্ষা করা হলে ওয়ার্ড থেকে পেশেন্টের প্রাইভেসি নিশ্চিত করার জন্য যে ব্যবস্থা থাকার কথা, সেটাও নাই। ওদের প্র্যাকটিস চলাকালীন আশেপাশের বিভিন্ন মানুষ কৌতূহলবশত বারবার তাকিয়ে দেখছিল, কী হচ্ছে ওখানে!

"আরে বাদ দে রে, আর যাই হোক সরকারি হাসপাতাল, কতটুকুই বা আশা রাখবি এর চাইতে", বলে স্নেহার দুশ্চিন্তাকে এক প্রকার ফুঁ মেরে উড়িয়ে দেয় ওর পাশে থাকা বান্ধবী আতশী।

ওর আরও কষ্ট লেগেছে পরীক্ষা করা শেষে ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফ্রি মিক্সিং, গল্প, হাসি-ঠাট্টা হতে দেখে। আরও দুঃখজনক, দাঁড়ি-টুপি পরা কিছু ভাই এবং শরঈ পর্দা করা কিছু বড় আপুরাও দিব্যি বিপরীত লিঙ্গের ব্যাচমেটদের সাথে সেখানে অনর্থক আলাপচারিতায় ব্যস্ত।

এদিকে ওদেরকে নিয়ে এক রোগীর উপর লিম্ফ নোড এক্সামিনেশন দেখিয়ে ম্যাম বাকিদের বলেছেন প্র্যাকটিস করতে। দুই-তিনজন প্র্যাকটিস করার পর স্নেহা পরীক্ষা করার জন্য অনুমতি চাইতে আসলে রোগী বলে ওঠে, "আপু! কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি? মনে হলো তোমাকে বললে তুমি হয়তো বুঝবা।"

"জ্বি বলুন ইন শা আল্লাহ।"

"আপু! আমি তো আসলে পর্দা করি, এখানে এতো পুরুষ মানুষের সামনে বারবার ওড়না সরিয়ে পরীক্ষা করাতে আমার ভালো লাগছে না! তুমিও তো পর্দা কর, আমাকে কোনোভাবে এখান থেকে সরিয়ে নিতে পারবা?"

চলবে...

"না, অন্তত আমার বেলায় আমি আমার রবের বিধানের অনিয়ম হতে দিতে পারিনা। যতটুকু আমার সাধ্যে আছে এর ব্যাপারে আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞ...
30/11/2025

"না, অন্তত আমার বেলায় আমি আমার রবের বিধানের অনিয়ম হতে দিতে পারিনা। যতটুকু আমার সাধ্যে আছে এর ব্যাপারে আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন! আল্লাহ, শুধু তোমার জন্য তোমারই এক বান্দীকে ইহসান করতে চাই, কবুল করো মালিক।"

ওয়ার্ডে আসার পর শুরুতেই এক প্রকার অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ায় মনটা দমে ছিলো স্নেহার।

মনের সাথে কিছুক্ষণ বোঝাপড়া করে সেই রোগীকে সেখান থেকে উঠতে বলে তার বেডের দিকে যেতে লাগে স্নেহা।

ছেলেদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠে, "কি ব্যাপার! আমরা তো এখনো পরীক্ষাই করলাম না, ও আবার উনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?"

"উনার খারাপ লাগছে, সম্ভব হলে অন্য পেশেন্ট ম্যানেজ করে দেখলে ভালো হয় বোধ হয়।" বলেই সেই পেশেন্ট নিয়ে কোনো প্রকারে ছুট দেয় স্নেহা। যাওয়ার আগে আতশীকে আস্তে করে ইশারা করে।

ফিমেল ওয়ার্ডের একদম কোনায় এক বেডে রোগীকে নিয়ে আসে স্নেহা। ওর পিছে পিছে আতশীসহ আরও কয়েকজন মেয়েরা আসে।

এরপর স্নেহা বলে, "এখানে তেমন কোনো পুরুষ মানুষ নাই যারা আপনাকে দেখতে পারবে। এরপরেও আমরা আপনাকে এমনভাবে পরীক্ষা করব যেন অন্য পাশে কেউ আপনাকে দেখতে না পারে। এবং আমরা খুবই আলতো হাতে আপনাকে পরীক্ষা করব ইনশাআল্লাহ। কোনো অসুবিধা হলে, ব্যথা পেলে কিন্তু অবশ্যই জানাবেন আমাদের।"

"আচ্ছা ঠিক আছে আপু", বলে খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো সেই রোগী।

যতজন মেয়ে ছিল, ওরা একদম ঘিরে দাঁড়ালো রোগীকে। এরপর আতশীকে ফিমেল ওয়ার্ডের মূল দরজা আর বিভিন্ন দিকে দাঁড়িয়ে দেখতে বলল, পরীক্ষা করার সময় কোনোভাবে রোগীর আওরাহ উন্মুক্ত হলে দেখা যায় কিনা। কোনো সুযোগই নেই দেখার, যাক ভালো!

এরপর একে একে প্রত্যেকটা মেয়ে পরীক্ষা করে ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসল ওয়ার্ড থেকে।

"স্নেহা তুই তো লেজেন্ড! তুই ওই পেশেন্টকে এভাবে নিয়ে না আসলে হয়তো আমরা মেয়েগুলো ঠিকঠাক ধীরে-সুস্থে পরীক্ষা করা শিখতেই পারতাম না! কিছু একটা দেখালে ব্যাচের একটার পর একটা ছেলে যেভাবে হুড়মুড় করে হামলে পড়ে, বাবা!" আতশীর উচ্ছ্বাস।

"স্রোতের বিরুদ্ধে হেঁটে চলা অনেক কঠিন রে! কত মানুষ সময়ের সাথে সাথে ভেসে যায় এই ফিতনার উত্তাল স্রোতে! নিজেকে নিয়েও ভয় আসে! বুঝলি আতশী, একটা শরীয়াহ হাসপাতাল থাকত যদি আমাদের, হয়তো এত দৌড়াদৌড়ি, পেরেশানি, দ্বীনদারিতা হারানোর দুশ্চিন্তা হয়তো থাকত না। কত কিছুই সহজ হতো তাই না বল? আমাদের ছোট থেকে বড় প্রত্যেকটা কাজের জন্য আল্লাহর ভয়, আখিরাতে জবাবদিহিতার ভয় থাকলে আমাদের অনেক সমস্যা কমে যেত!"

"সিস্টেম! আহারে সিস্টেম! আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বান্ধবী। আমাদের সত্যি এমন একটা সিস্টেম দরকার, যা তাকওয়ার উপর গড়ে উঠবে! প্রত্যেকটা মানুষ আল্লাহর বিধান মোতাবেক কাজ করতে বাধ্য থাকবে!" আতশীর মন্তব্য।

“আমি নাযিল করছি এমন কুরআন, যা মুমিনদের পক্ষে শিফা ও রহমত।” — সূরা আল-ইসরা: ৮২📌 রুকইয়াহ শারইয়্যাহ একটি নববী চিকিৎসা পদ্ধত...
28/11/2025

“আমি নাযিল করছি এমন কুরআন, যা মুমিনদের পক্ষে শিফা ও রহমত।” — সূরা আল-ইসরা: ৮২

📌 রুকইয়াহ শারইয়্যাহ একটি নববী চিকিৎসা পদ্ধতি — তা সুন্নাহেও স্পষ্ট।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “নজর লাগা সত্য। আর যদি কোন কিছু তাকদীরকে অতিক্রম করতে পারত, তবে তা বদনজরই হতো…” (সহীহ মুসলিম)

আরও এসেছে: আয়েশা (রা:) বলেন: “যে ব্যক্তি নজর লাগিয়েছে তাকে ওযু করতে বলা হতো, এবং সেই পানি নজর-লাগা ব্যক্তিকে গোসল করানো হতো।” (আবু দাউদ ৩৮৮০ – সহীহ)

📣এই সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতিই আপনি শিখতে পারবেন আমাদের ‘রুকইয়াহ শারইয়্যাহ কোর্স’-এ – ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও থাকছে 'রুকইয়াহ ফ্রম মেডিক্যাল পার্সপেক্টিভ'!

✨প্রথম দুইটি ক্লাস সকল বোনদের জন্য উন্মুক্ত!
প্রথম ক্লাসটি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

পরবর্তী ক্লাস:
📅 ২৯ নভেম্বর, শনিবার
⏰ সকাল ৯টা
📍 টেলিগ্রাম লাইভ

‼️কোর্সটি শুধুমাত্র বোনদের জন্য ‼️

নোট: রুকইয়াহ শারইয়্যাহ কোর্সের রেজিস্ট্রেশনের সময় ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, ইনশাআল্লাহ।

📣 এটাই শেষ সুযোগ— রুকইয়াহ শারইয়্যাহ কোর্সের ৬ষ্ঠ ব্যাচে যুক্ত হওয়ার জন্য!

আয়োজনে:
Amatullahs Era | Yashfeen Hospital

যারা এখনো গ্রুপে জয়েন করেননি, দ্রুত ইনবক্স করুন।

একটা বাগান, অনেক সবুজ আর রঙ বেরঙ্গের ফুলে সজ্জিত। দেখলে মনে হবে নিপুন ছোয়ায় সাজিয়েছে কেউ। কিন্তু বাগানটির মাটিতে যে পানি...
25/11/2025

একটা বাগান, অনেক সবুজ আর রঙ বেরঙ্গের ফুলে সজ্জিত। দেখলে মনে হবে নিপুন ছোয়ায় সাজিয়েছে কেউ। কিন্তু বাগানটির মাটিতে যে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এটা বোঝা যাচ্ছে না।

গাছগুলো তখনও প্রানবন্ত দেখাচ্ছে। এরপর মাটি শুকিয়ে যাওয়া শুরু করলো। আর তখন? ফুলগুলো ঝরে গেল, সবুজ গাছগুলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে একসময় শেষ জীবনীশক্তি টুকুও হারিয়ে ফেললো।

মানুষের মনও ঠিক তেমন। কখনো বাইরে থেকে কাউকে দেখা যায় হাসি-খুশি, সুন্দর কিন্তু ভেতরে দুঃখ, ভয়, ক্লান্তি জমা হতে থাকে। আর যতদিন ভিতরের অবস্থা অবহেলিত থাকে, ততই তা মাটির মতো শুকিয়ে যেতে থাকে। আর একসময় শক্তি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক সময়ে পরিচর্যা ও যত্নে যেমন বাগান আবার সজীবতা ফিরে পায়। তেমনি সঠিক সেবা এবং চিকিৎসায় মন ফিরে পায় সুস্থতা।

যেকোন বড় শারীরিক রোগের উপসর্গ দেখলে আমরা দ্রুততার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেই। কিন্তু মানসিক সমস্যাগুলোকে আমরা যথাসম্ভব এড়িয়ে যাই।

শারীরিক রোগের মতো বিভিন্ন মানসিক রোগও ধীরে ধীরে জটিল হতে পারে। বড় রোগগুলোর সাধারণত ছোট কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন: ঘুমের সমস্যা, অযথা ভয়, অস্বাভাবিক রাগ, একা থাকতে চাওয়া বা পড়াশোনা/ কাজে অমনোযোগ, মাইনর ডিপ্রেশন ইত্যাদি। এসব দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা করা হলে অনেক বড় মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়।

▪️স্কিজোফ্রেনিয়া
▪️বাইপোলার ডিসঅর্ডার
▪️অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার
▪️মেজর ডিপ্রেশন ডিসঅর্ডার
▪️পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার
▪️ডিমেনশিয়া

মানসিক রোগ শুধু নিজের জীবন নয়, পরিবার ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি আত্মহননের পথও বেছে নেয় অনেকে।

মানসিক রোগ এবং চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন। তবে এখনো মানসিক রোগের চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে সচেতনতার বদলে বেশিরভাগ সময়ই নিরুৎসাহিত করতে দেখা যায়। কিন্তু মানসিক রোগকে লুকানো বা ছোট করে দেখার কিছু নেই। শারীরিক রোগের মতো এই রোগও চিকিৎসাযোগ্য।

মানসিক রোগের জন্য চিকিৎসা নেওয়া দুর্বলতা নয়। বরং জীবনকে সুস্থ ও প্রানবন্ত করতে একটি সঠিক পদক্ষেপ।

দ্বীনের বুঝ নিয়ে যারা মেডিকেলে আসে, বা যাদের মেডিকেলে আসার পর দ্বীনের বুঝ হয়, তাদের বেশিরভাগই ডাক্তারি পেশায় থাকতে চায় ফ...
23/11/2025

দ্বীনের বুঝ নিয়ে যারা মেডিকেলে আসে, বা যাদের মেডিকেলে আসার পর দ্বীনের বুঝ হয়, তাদের বেশিরভাগই ডাক্তারি পেশায় থাকতে চায় ফরজে কিফায়া পূরণের লক্ষ্যে। কিন্তু আমাদের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় সেটা আসলে কতটুকু সম্ভবপর হয়ে উঠে, তা কি আমরা ভেবে দেখি?

ধরুন, একজন ফিমেল মেডিকেল স্টুডেন্ট, যিনি সার্জারিতে ক্যারিয়ার করতে চান। মহিলা রোগীদের আওরাহ বা পর্দা রক্ষার্থে তিনি ফরজে কিফায়া পালনের নিয়তে এই ডিপার্টমেন্টে আসলেন। কিন্তু নিজের পর্দা তিনি কতটুকু রক্ষা করতে পারবেন? ওটিতে যাওয়ার আগে কনুইয়ের ওপর পর্যন্ত ওয়াশ নিতে হয়, কিন্তু মহিলা সার্জনদের জন্য তো সেটার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে তার পর্দা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়।

আবার মহিলা রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ মহিলা সার্জন টিম — এমনটা তো আমাদের দেশে সাধারণত কোথাও দেখা যায় না। তাহলে অন্য একজন পুরুষ সার্জনের গা ঘেঁষেই তাকে সার্জারি করতে হবে। এক্ষেত্রে পর্দা রক্ষা রোগী ও ডাক্তার — উভয়ের জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জিং।

এটা শুধু একটি উদাহরণ মাত্র; প্রায় সব ডিপার্টমেন্টেই এমন অসামঞ্জস্য আছে, যার কারণে নিয়ত শুদ্ধ থাকার পরেও সেটাকে বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন হয়ে যায়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে অহরহ দেখা যায় — ওয়ার্ডভর্তি মানুষের সামনেই রোগীকে এক্সামিন করা হয়, আওরাহ উন্মুক্ত করা হয়! পুরুষ-মহিলা সবার ক্ষেত্রেই।

তাহলে সমাধান কী?

একটা শরিয়াভিত্তিক হাসপাতাল — যেখানে ইসলামের দেওয়া সুশৃঙ্খল নিয়মে এই সব সমস্যা সমাধান খুব সহজেই করা সম্ভব।

বাংলাদেশের প্রথম শারিয়াভিত্তিক হাসপাতাল হিসেবে ইয়াশফীন সেই লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করবে, ইনশাআল্লাহ।

একমনে বই পড়ছে হাফসা। বইয়ের গল্পে পুরোপুরি বুদ হয়ে আছে সে। একদম টানটান উত্তেজনা—একদিকে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী একটি দল...
21/11/2025

একমনে বই পড়ছে হাফসা। বইয়ের গল্পে পুরোপুরি বুদ হয়ে আছে সে। একদম টানটান উত্তেজনা—একদিকে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী একটি দল, অন্যদিকে তাদের পিছনে নাস্তিক অসভ্য একটি জাতি। ঠিক সেই সময়ই ফোনটা বেজে উঠলো। মনে মনে একটু বিরক্ত হলেও স্ক্রীনে চোখ রাখার পর বিরক্তি টা দূর হলো। মুখে হাসি ফুটলো।

"আসসালামু আলাইকুম, আম্মু"
"ওয়া আলাইকুমুসসালাম, আমি আম্মু না৷ তোমার ভাই। আপু, আমাকে একটু সাহায্য কর প্লিজ! আমি কিছুতেই আমার রাগ কমাতে পারছি না।"

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে থামলো সুহাইম। সুহাইম হাফসার ছোট ভাই। সে একটু তাড়াহুড়োপ্রবন। সে যে তার সমস্যা নিয়ে খুব সিরিয়াস তার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে। হাফসা তাই খুনশুটি না করে সরাসরি কাজের কথায় আগালো।

"আচ্ছা আচ্ছা, কিন্তু রাগ নিয়ে কথা বলতে গেলে একটা জিনিস আগে পরিষ্কার করা দরকার—রাগ নিজে সমস্যা না। এটা একটা ইমোশন। তবে সমস্যা হয় তখন যখন রাগ আমাদের পরিচালনা করে, আর আমরা নিয়ন্ত্রণ হারাই। তাই রাগ কমানো লক্ষ্য না করে বরং রাগকে সঠিকভাবে ম্যানেজ করা শিখতে হবে।"

"রাগকে ম্যানেজই বা করব কীভাবে" বলে সুহাইম।

"সবুর বাছা! রাগ ম্যানেজমেন্টের জন্য তো আধুনিক বিশ্বে অনেক গবেষণা, বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের রসুলুল্লাহ ﷺ অনেক আগেই রাগ নিয়ন্ত্রণের শক্তিশালী ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে গেছেন। যেখানে একজন মুসলিম রাগ নিয়ন্ত্রণ করার সাথে নাফসকে ট্রেইন করে এবং আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য আচরন করার চেষ্টা করে। যেমন—

▪️রাগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে থামা (Stop the impulse)

রসুল ﷺ বলেছেন: “তুমি ক্রোধান্বিত হলে নীরবতা অবলম্বন করো।” (১)

প্রথম ধাপ হলো ইমপালস কে থামিয়ে দেওয়া। নীরব থাকা মানে জিহ্বাকে রক্ষা করা। কারণ রাগে মানুষ কথা বলার মাধ্যমে গুনাহ করে।


▪️স্থান বা ভঙ্গি পরিবর্তন করা (Shift the state)

আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যখন কেউ রেগে যাবে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে যায়। এতে তার রাগ দূরীভূত হলে ভাল, নয়তো সে যেন শুয়ে যায়।’’(২)

এটার মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা খুব সরল। কারণ ভঙ্গি বদলালে শরীরের ফাইট-মোড ভেঙে যায়। এটা আমাদের বায়োলজির ওপর সরাসরি কাজ করে।

▪️ওযু করা (Cool the system)

রসুল ﷺ বলেছেন: “রাগ শয়তান থেকে, শয়তান আগুন থেকে। তাই তোমাদের কারো ওপর রাগ উঠলে সে ওযু করুক।”(৩)

রাগের সময় হার্ট রেট, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে। ঠান্ডা পানি স্নায়ুতন্ত্রের উত্তাপ কমায়, হার্ট রেট নিচে নামে। অর্থাৎ এটা এক ধরনের স্মার্ট নিউরোলজিক্যাল রিসেট।

▪️দু’আ করা (Spiritual pause)

রসুল ﷺ রাগের সময় এই দু’আ শিখিয়েছেন: “আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রজীম।”(৪)

রাগের সময় মন পুরোপুরি ঘটনার দিকে থাকে। দু'আ পড়ার মাধ্যমে মন অন্য দিকে সরে যায়। কগনিটিভ শিফট তৈরী হয়। এর মাধ্যমে আবেগের তীব্রতাও কমে যায়।

বোঝা গেল?"

"কত সুন্দর বিষয় নবীজী ﷺ আমাদের আগেই শিখিয়েছন? উনি এত ভালো কেন! আমি এখন থেকে এভাবেই চেষ্টা করব। লিখে পড়ার টেবিলে টাঙ্গিয়ে রাখব ইনশা'আল্লাহ।"

ভাইয়ের কথা শুনে হাফসা মুচকি হাসে। সাথে দরুদ পড়ে নেয়। আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করে এই পরিপূর্ণ দ্বীনের জন্য, রাসূল ﷺ এর উম্মত হিসেবে দুনিয়াতে পাঠানোর জন্য।

----

তথ্যসূত্র :
(১)মুসনাদ আহমদ ও সুনান আবু দাউদ
(২)সুনান আবু দাউদ ও মুসনাদ আহমদ
(৩)সুনান আবু দাউদ
(৪)সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম

আয়িশা সদ্য দ্বীন প্র্যাকটিসে সিরিয়াস হয়েছে মাশাআল্লাহ। ফরয আমল এখন তার জীবনের অংশ। এছাড়াও কুরআন ভালোভাবে শেখার প্রাণপণ চ...
19/11/2025

আয়িশা সদ্য দ্বীন প্র্যাকটিসে সিরিয়াস হয়েছে মাশাআল্লাহ।
ফরয আমল এখন তার জীবনের অংশ। এছাড়াও কুরআন ভালোভাবে শেখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে!

একদিন বিকেলে কুরআন পড়ছিল, হঠাৎ পাশের ঘর থেকে আম্মার কণ্ঠ শোনা গেল—

“ওই হুজুরটা নাকি বলে দিয়েছে আমার আত্মীয়কে তাবিজ করা হয়েছে! এমনকি ছোটবেলায় সে কী করত, সেটাও নাকি ঠিকঠাক জানিয়ে দিয়েছে! সুবহানাল্লাহ, কী কেরামতি!”

কথাটা শুনেই আয়িশার বুক ধক করে উঠল।
“কীভাবে কেউ এমনটা জানতে পারে?”
“এটা কি সত্যিই কেরামতি? নাকি অন্য কিছু?”

তার মনে সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠল কুরআনের আয়াত—

"তিনিই সকল গুপ্ত বিষয় জানেন। তিনি তাঁর গুপ্ত জ্ঞান সম্পর্কে কাউকে অবহিত করেন না। তিনি যাকে (এ কাজের জন্য) মনোনীত করেছেন সেই রাসূল ছাড়া। এরূপ ক্ষেত্রে তিনি সেই রাসূলের সামনে ও পেছনে কিছু প্রহরী নিযুক্ত করেন।" (সূরা আল-জ্বীন: ২৬–২৭)

আর মনে পড়ল সূরা আনআমের ২৭ নং আয়াতটা—

“যেদিন তারা জাহান্নামের সামনে দাঁড়াবে, তখন বলবে, আহা! যদি আমরা ফিরে যেতে পারতাম...”

আয়িশা বুঝে গেল, এই “গায়েব জানা” কথাগুলো আসলে ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক বিভ্রান্তি।

পরের দিন সকালে আয়িশা তার আক্বীদার উস্তাযার সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করল। উস্তাযা সব শুনে শান্ত কণ্ঠে বললেন—

“প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এক কারিন জ্বীন থাকে। সে তোমার পাশে থাকে, তোমার চিন্তা, অভ্যাস, কথা—সব জানে।

এখন কোনো যাদুকর বা গনক তার নিজের জ্বীনকে পাঠিয়ে তোমার এই কারিন জ্বীনকে প্রভাবিত করে। আল্লাহর অনুমতিতে কিছু তথ্য জেনে নেয়—তারপর যাদুকরকে জানায়।

তখন মানুষ অবাক হয়ে ভাবে, ‘হুজুর তো সব জেনে ফেলল!’
অথচ বাস্তবে এটা জ্বীনের কাজ — একেবারেই হারাম, অনেক সময় শিরক।”

উস্তাযা একটু থেমে আবার বললেন—“যখন আল্লাহ কোনো বিষয়ে ফয়সালা করেন, ফেরেশতারা তা একে অপরের মাঝে আলোচনা করেন। কিছু শয়তান জ্বীন আকাশের দিকে উঠে সেই কথা আড়ি পেতে শোনে। একটুখানি সত্য শোনে, তারপর শত শত মিথ্যা যোগ করে যাদুকরকে জানায়। মানুষ তখন ভাবে—ওরা গায়েব জানে! অথচ তারা কেবল একটি সত্যের সাথে শত মিথ্যা মিশিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।”

আয়িশার চোখ ছলছল করে উঠল! না বুঝে মানুষ কত বিভ্রান্তিকর বিষয়ে জড়িয়ে যায়! সুবহানাল্লাহ! সে বলে উঠল—

“হে আল্লাহ, আমাদের এইসব বিভ্রান্তি থেকে হিফাযত করুন।”

উস্তাযা আরও বললেন—

“গায়েবের খবর কেবল আল্লাহই জানেন,
আর চিকিৎসা চাইলে চাইবে তাঁর কালামে — রুকইয়াহ শারইয়্যাহর মাধ্যমে।”

সেদিন থেকেই আয়িশা নিজের মধ্যে এক নতুন প্রশান্তি অনুভব করল। সে প্রতিজ্ঞা করল, আর কোনো গনক, তাবিজওয়ালা বা জ্যোতিষীর কাছে যাবে না। তাঁর পরিবার এবং আশেপাশের মানুষদেরও এই ব্যাপারে সচেতন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

---

📖 গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা:
🔹 গায়েবের খবর কেবল আল্লাহই জানেন।
🔹 কারো কাছে নিজের ভবিষ্যত জানতে যাওয়া বড় গুনাহ।
🔹 জ্বীনদের সাহায্যে কাজ করা বা নেওয়া হারাম ও শিরক।
🔹 কুরআন ও রাসূল ﷺ এর দু’আ অনুসারে রুকইয়াহই প্রকৃত চিকিৎসা।

---

আসুন, আমরাও আয়িশার মতো দৃঢ় হই এবং একমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা রাখি। আর চিকিৎসা করি আল্লাহর কালামে — রুকইয়াহ শারইয়্যাহর মাধ্যমে।

ওয়া মা তাওফীক্বি ইল্লা বিল্লাহ।

পর্দা রক্ষা আর অন্যান্য অনেক বিষয়ের কথা চিন্তা করে সোহেল সাহেব তাঁর মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন এমন এক হাসপাতালে, যেখানে ইসলামি ...
17/11/2025

পর্দা রক্ষা আর অন্যান্য অনেক বিষয়ের কথা চিন্তা করে সোহেল সাহেব তাঁর মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন এমন এক হাসপাতালে, যেখানে ইসলামি ভাবধারা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর বিল, ওষুধ, আর টেস্টের খরচে অতিরিক্ত মূল্য দেখে তাঁর মাথায় হাত! সাধারণ বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে আর পার্থক্য থাকল কী? এর চেয়ে সরকারি হাসপাতালই কি ভালো ছিল না?

একই হাসপাতালে কাজ করেন ডা. ইউসুফ। ক্লিনিক্যালি খুবই দক্ষ ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে দ্বীনের হুকুম-আহকাম আর সুন্নাহমাফিক লিবাস বজায় রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাসের পর মাস পার হয়ে যায়, হাসপাতাল থেকে ঠিকমতো বেতনটাও পান না তিনি!

এর মধ্যে কয়েকদিন ধরে ঘুরঘুর করতে থাকা এক ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভের দেওয়া অফার গ্রহণ না করে তিনি সেই অনুযায়ী ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে থাকেন রোগীদের।

স্টুডেন্ট থাকাকালীন ফিকহ অফ মেডিসিন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন ডা. ইউসুফ। কিন্তু আল্লাহর জন্য মানবসেবা করার নিয়ত রাখা সত্ত্বেও পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতায় পড়ে এভাবে অর্জিত জ্ঞানের বিসর্জন হতে দেখা—এই সীমাহীন আক্ষেপ যেন তাঁকে ভেতর থেকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে!

পরিপূর্ণ শরিয়াহর মূলনীতি মেনে চলা হলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ তথা শরিয়াহর অন্যতম লক্ষ্যগুলোর একটি হচ্ছে ‘হিফজুল মাল’—অর্থাৎ সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ, যেখানে—

১) বিল, টেস্ট ও ওষুধের দাম স্বচ্ছভাবে প্রদর্শন করা হবে। কোনো রকম গোপন চার্জ, কমিশন বা অতিরিক্ত বিলিং থাকবে না।

২) দরিদ্র রোগীদের জন্য ওয়াকফ তহবিল বা যাকাত ফান্ড থাকবে, যাতে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে পারে।

৩) হাসপাতালের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ঋণ, ইনস্যুরেন্স ও বিনিয়োগ ইসলামি ব্যাংকিং কাঠামোতে পরিচালিত হবে। কনট্রাক্টগুলো শরিয়াহ–কমপ্লায়েন্ট হবে—যেমন মুদারাবা, মুশারাকা, ইজারা ইত্যাদি।

৪) ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের ন্যায্য ও সময়মতো বেতন প্রদান করা হবে। কোনো রকম বেতন কাটছাঁট, বঞ্চনা বা দেরি করা হবে না।

৫) ডাক্তার বা স্টাফ কেউ কমিশন, ঘুষ বা বোনাস পাবেন না কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বা ডায়াগনস্টিক ল্যাব থেকে। কারণ এটি ‘ঘুলুল’(বিশ্বাসঘাতকতা) হিসেবে গণ্য হয়, যা স্পষ্ট হারাম। এমন কোনো কাজের প্রমাণ পাওয়া গেলে হাসপাতালের শরিয়াহ বোর্ড যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৬) হাসপাতালের আয়ের নির্দিষ্ট অংশ ওয়াকফ বা চ্যারিটি কাজে ব্যবহার হবে। দরিদ্র, এতিম ও দুর্বল শ্রেণির মানুষ যেন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

Address

Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yashfeen Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Yashfeen Hospital:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category