17/10/2022
২৮ বছরের টগবগে যুবক রবিউল। খাবার সময় হঠাৎ Convulsion শুরু হয়। Severe metabolic acidosis নিয়ে আমাদের কাছে আসে near arrest কন্ডিশনে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে পরদিন পেসেন্টের জ্ঞান ফিরে আসে এবং লাইফ সাপোর্ট থেকে বের হয়ে আসে। পেসেন্টের একটা স্ট্রোকের হিস্ট্রি ছিল এবং পরীক্ষা নিরিক্ষায় নতুন করে কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। পেসেন্ট স্ট্যাবল থাকায় আমরা কেবিনে শিফট করে দেই।
কয়েকদিন পর সিভিয়ার শ্বাসকষ্ট নিয়ে সে কেবিন থেকে আইসিইউতে ফিরে আসে এবং সেকেন্ড টাইম লাইফ সাপোর্ট লেগে যায়। কিডনির কন্ডিশন এতই খারাপ হয়ে যায় যে সাথে সাথে ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। সাথে নিউমোনিয়া পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। Salim স্যারের নেতৃত্বে আমার টিমের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং আল্লাহর রহমত ও কুদরতে বরিউল সেকেন্ড টাইম লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে আসে। কিডনির কন্ডিশনও ইমপ্রুফ করতে থাকে। আমরা আবার তাকে কেবিনে শিফট করে দেই।
আজ সকালে ডিউটিতে গিয়ে দেখি ডক্টরস রুমে পাঁচ প্যাকেট মিষ্টি। আজ রবিউল হাসপাতাল থেকে বাসায় যাচ্ছে। হাস্যজ্বল রবিউলকে দেখে খুব ভাল লাগল। স্মৃতি হিসাবে ছবিটা রেখে দিলাম।
আইসিইউ কে মৃত্যুপুরী বলি৷ তবে এখানে হরহামেশাই রহমানের কুদরতের বহিঃপ্রকাশ ঘটে৷ আমার দীর্ঘ আইসিইউ জীবনে মৃত্যুর মিছিল যেমন দেখেছি, তেমনই দেখেছি জীবনের জয়যাত্রা। মেঘ কেটে গেলে সূর্য যেমন হেসে উঠে তেমনই মৃত্যুর দুয়ার থেকে হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে দেখি রবিউলদের। এইসব ঘটনাগুলোই মৃত্যুপুরীতে দাঁড়িয়ে জীবনের জন্য যুদ্ধ করার প্রণোদনা হিসাবে কাজ করে৷
আলহামদুলিল্লাহ।