Omar Ruqyah & Hijama Support

Omar Ruqyah & Hijama Support জিন, জাদু, বদনজর ও ওয়াসওয়াসার মতো প্যারানরমাল সমস্যার ইসলামসম্মত চিকিৎসা পেতে যোগাযোগ করুন.
(2)

23/10/2025

সব সময় শুকরিয়া আদায় করুন আল্লাহর নিয়ামতের, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ বৃদ্ধি করে দিবেন।

21/10/2025

দোয়া:

اَصْبَحْنَا وَاَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ اَسْاَلُكَ خَيْرَ هٰذَا الْيَوْمِ فَتْحَهٗ، وَنَصْرَهٗ، وَنُوْرَهٗ، وَبَرَكَتَهٗ، وَهُدَاهٗ، وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيْهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهٗ

বাংলা উচ্চারণ:

আসবাহ্‌না ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরা হাযাল ইয়াওমি ফাতহাহু, ওয়া নাসরাহু, ওয়া নূরাহু, ওয়া বারাকাতাহু, ওয়া হুদাহু,
ওয়া আউযু বিকা মিন শার্রি মা ফীহি, ওয়া শার্রি মা বাআদাহু।

অর্থ:

“আমরা সকাল করেছি, এবং সব রাজত্ব সকাল করেছে আল্লাহ্‌, জগতসমূহের রবের জন্য।
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি এই দিনের কল্যাণ —
তার বিজয়, তার সাহায্য, তার নূর, তার বরকত ও তার হিদায়াত।
আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এই দিনের অকল্যাণ থেকে এবং এর পরের অকল্যাণ থেকেও।”

📚 সূত্র (Source):

সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 2723

মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং 2443

হিসনুল মুসলিম (Fortress of the Muslim) - অধ্যায়: সকালে ও সন্ধ্যায় পাঠ করার দোয়া

💡 ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব:

1. "اَصْبَحْنَا وَاَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلّٰهِ" —
মানে, আমরা নতুন এক সকালে প্রবেশ করেছি, আর সৃষ্টির সবকিছুই আল্লাহর কর্তৃত্বের অধীনে।

➤ এটি আল্লাহর মালিকানা ও কুদরতের স্বীকৃতি।

2. "اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ اَسْاَلُكَ خَيْرَ هٰذَا الْيَوْمِ" —
অর্থাৎ, আমি এই দিনের কল্যাণ চাই। এটি একটি সুন্দর ইতিবাচক সূচনা, যেখানে বান্দা দিনের শুরুতে আল্লাহর কাছে ভালো সময়, ভালো কাজ, ভালো রিজিক, ভালো ভাগ্য চায়।

3. "فَتْحَهٗ وَنَصْرَهٗ وَنُوْرَهٗ وَبَرَكَتَهٗ وَهُدَاهٗ" —
এগুলো পাঁচটি মহান অনুগ্রহ:

فتحه (ফাতহাহু): বিজয় বা নতুন সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত হওয়া

نصره (নাসরাহু): সাহায্য বা সমর্থন

نوره (নূরাহু): আলোকিততা, হৃদয়ের নূর ও ঈমানের জ্যোতি

بركته (বারাকাতাহু): বরকত, বৃদ্ধি ও কল্যাণ

هُدَاهُ (হুদাহু): সঠিক পথপ্রাপ্তি

11/10/2025

বর্তমানে রুকইয়াহ'তে একটা নিরব এবং ভয়ংকর ফেতনা হচ্ছে কবিরাজি ও তদবীর চিকিৎসা কে রুকইয়াহ'র নাম দিয়ে প্রচার করা। আর এটা করছে কিছু নামধারী হুজুর কবিরাজ।

পাত্রী দেখার সঠিক নিয়ম১. প্রথমে পাত্রীপক্ষ পাত্রকে দেখবে, পাত্র ও তার পরিবার সম্পর্কে জানবে। এরপর যদি তারা সামনে এগুতে ...
09/10/2025

পাত্রী দেখার সঠিক নিয়ম

১. প্রথমে পাত্রীপক্ষ পাত্রকে দেখবে, পাত্র ও তার পরিবার সম্পর্কে জানবে। এরপর যদি তারা সামনে এগুতে ইচ্ছুক হয়, তবেই তারা তাদের মেয়েকে দেখাবে। আমাদের সমাজে এই প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে ছেলেকে একের পর এক মেয়ে দেখানোর যে প্রচলন আছে, সেটা ক্ষতিকর ও শরিয়তের মেজাজবিরুদ্ধ।

২. পাত্রী দেখার বেলায় প্রথমে ছেলের মাহরাম কোনো নারী যেমন মা, বোন, খালা বা ফুফু গিয়ে পাত্রীকে দেখবেন। যা যা জানার, জানবেন। এরপর তার পছন্দ হলে তবেই পাত্র তাকে দেখবে। উল্লেখ্য, উক্ত মাহরাম নারী পাত্রীকে দেখার সময় বাহ্যিক ও প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর বাইরে অতিরিক্ত ও অশোভন কিছু দেখতে চাইবেন না। এটা অনুচিত এবং খুবই দৃষ্টিকটু।

৩. পাত্রী দেখতে গিয়ে ছেলে ব্যতীত অন্যকোনো পুরুষ তাকে দেখা হারাম। আমাদের সমাজে ছেলের বাবা, ভাই, দুলাভাই, মামা—এরাও পাত্রীকে দেখে। এটা খুবই জঘন্য একটা কাজ।

৪. অনেকে অতিরিক্ত লজ্জা বা বুজুর্গির কারণে বিয়ের আগে পাত্রীকে দেখে না। এটা ভালো নয়। অনেক সময় বিয়ের পরে এর জন্য পস্তাতে হয়।

৫. পাত্রী দেখতে গেলে ছেলে-মেয়েকে একাকী কথা বলতে বা দেখা করতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে পাত্রীর মাহরাম কোনো পুরুষের উপস্থিতিতে এমনটা করা যাবে। অথবা অন্তত ছোট কেউ হলেও থাকতে হবে সেখানে। বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেও ফোনে বা সরাসরি ছেলে-মেয়ের মাঝে মিষ্টি আলাপন নিষিদ্ধ। জরুরি কথা থাকলে সেটা কেবল বলা যাবে।

৬. কেবল পাত্রই পাত্রীকে দেখবে, তা নয়; বরং পাত্রীও পাত্রকে অন্তত একনজর দেখে নেবে। পাত্রের ব্যাপারে কিছু জানার থাকলে জেনে নেবে। এখানে অতিরিক্ত লজ্জা ক্ষতিকর।

30/09/2025

Abdur Rohman

আমার ফুফু মোটামুটি দীনের বুঝ আছে এবং আল্লাহ তাকে অনেক সম্পদ দিয়েছেন। উনি দেখলাম আমার পিতার কাছে ড. মালা আলি কুর্দিস্তানীর বাংলাদেশের সফর নিয়ে খুব এক্সাইটেড৷ জিজ্ঞেস করলাম, উনি কিভাবে এ লোক সম্পর্কে জানল?

বলল, ড. সাদিকুর রহমান আজহারীর ওয়াজ থেকে শুনেছেন। উনি নাকি তিব্বুন নববিয়া বা নবীর চিকিৎসা পদ্ধতি ফলো করে।

কিন্তু আমি কুরআন-হাদিস ও সাহাবীদের জীবনীতে যতটুকু পড়েছি তাতে এমন কোনো পদ্ধতি পাই নি, যে পদ্ধতি উনি ফলো করে থাকেন। আসলে, উনি উনার এ পদ্ধতিকে কারামত বা মু'জিজা বলে থাকে। এবং দলিল হিসেবে 'সুরা বুরুজ'-এর সেই ছেলের কথা বলে থাকে, যে আল্লাহর নামে মানুষদের সুস্থ করেছিল। কিন্তু আপনি যদি কারামত ও মু'জিজা নিয়ে সালাফদের সকল লেখা পড়েন, তাহলে বুঝবেন তার এ কাজকে কারামত কিংবা মু'জিজা বলা সম্ভব না।

সত্যি বলতে, মাঝে ডারতের একজন তান্ত্রিক এমন দাবি করেছিল এবং তিনি করে দেখিয়েছে। এর কিছু কিছু কাজ ভালো 'ফিজিওথেরাপি' ব্যক্তির দ্বারা সম্ভব। যেমনটি তান্ত্রিকের সামনে উপস্থিত ডাক্তাররা স্বীকার করেছিল। তা না হলে সেই হিন্দু তান্ত্রিকও দাবি করতে পারে যে,তার ঝাড়ফুঁকেও অলৌকিক ক্ষমতা আছে।

কুরআন ও সুন্নাত এবং সাহাবীদের জীবনীতে নবীর চিকিৎসা, রুকইয়া বলতে যা বুঝায়, তা ড. মালা আলি কুর্দিস্তানীর চিকিৎসা পদ্ধতিতে নেই। কেবল, কুরআনের আয়াত পড়লেই সেটা রুকইয়া হয়ে যায় না। কেউ কেউ উনাকে জাদুকর বলেছেন, তবে আমি এখনও তাহকিক করছি বিষয়টি নিয়ে।

তাই বলব, বিশ্বাস-আস্থা ভালো জিনিস, তবে কতটুকু বিশ্বাস রাখতে হবে সেটা কুরআন-সুন্নাহ ও সাহাবীদের জীবনী থেকে নেওয়া উচিত। আর উনি ভালো 'ফিজিওথেরাপি' দেন, তবে রুকইয়া করছেন এটা বলা যায় না।

23/09/2025

জাদু জিনিস ভাঙার নিয়ম (إبطال السحر):

মানুষকে বোঝানো এবং শিক্ষা দেওয়া জরুরি যে, জাদু পাওয়া গেলে কীভাবে তার সঙ্গে আচরণ করতে হবে। অনেকেই জাদু পাওয়া মাত্রই ভয় পান, এমনকি হাতে নিতে পর্যন্ত ভয় করেন। তাই শরীয়তসম্মত কিছু উপায় এখানে উল্লেখ করা হলো।

যদি জাদু পাওয়া যায়, করণীয় দুই অবস্থা:

প্রথম অবস্থা – অন্যকে দায়িত্ব দেওয়া:

আয়াতুল কুরসি ও মুআউযাতাইন (সুরা ফালাক ও সুরা নাস) পাঠ করে, “بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ...” দোয়া পড়ে জাদুটি নিয়ে কোনো সুন্নাহ অনুসারী রুকইয়াহ বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ আলেমের কাছে হস্তান্তর করা।

দ্বিতীয় অবস্থা – নিজে জাদু ভাঙা:

সাহস ও আল্লাহ্‌র ওপর ভরসা রেখে নিজেই জাদু ভাঙার কাজ করা।

এ কাজ করতে গিয়ে মনে রাখতে হবে, কেউ ক্ষতি করতে পারবে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া।

জাদু ভাঙার পদ্ধতি:

জাদু বিভিন্নভাবে তৈরি হতে পারে: লিখিত কাগজে, বাঁধা গিঁটে, তালায়, ছবিতে, বোতলে, মূর্তিতে, কিংবা মৃতদেহে।

প্রতিটি চিকিৎসকের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি থাকে, তবে সবই শরীয়তের সীমার ভেতর হলে বৈধ।

সাধারণ পদ্ধতি সমূহঃ

কুরআন তিলাওয়াত করা।

পানি বা অলিভ অয়েল (জয়তুন তেল)-এর ওপর আয়াত পড়ে তাতে জাদু রাখা।

জাদু পুড়িয়ে ফেলা।

কেটে-ফেটে টুকরো করা।

অ্যাসিড বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা।

জয়তুন তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা।

সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো:

পানি বা জয়তুন তেলের ওপর আয়াত পড়ে তাতে জাদু রাখা,

বিশেষ করে সুরা ফালাক-এর আয়াত: “وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ” বারবার পড়া।

ধাপে ধাপে জাদু ভাঙার নিয়ম:

একটি পাত্রে পানি নাও।

পানির ওপর আয়াতুল কুরসি, সুরা ফালাক, সুরা নাস, সুরা ফাতিহা, সূরা বাকারা-র শেষের আয়াত ইত্যাদি পড়ে ফুঁ দাও।

পাঠের সময় দৃঢ় নিয়্যত করো যে, আল্লাহ্‌ই জাদু নষ্ট করবেন।

জাদুটি পানিতে রেখে খোলো, কাটো, গলাও বা লেখাগুলো মুছে দাও।

শেষে জাদুটি কবর দাও বা ময়লায় ফেলে দাও, আর পানি বাইরে ঢেলে দাও।

ধাতব (তামা, রূপা, সোনা) বা পাথরে লেখা থাকলে তা পানিতে রেখে পরে ভেঙে ফেলো।

কোন আয়াতগুলো পড়া যায়?

সুরা ফাতিহা

আয়াতুল কুরসি (২:২৫৫)

সুরা বাকারা-র শেষের আয়াত (২:২৮৫-২৮৬)

সুরা ফালাক (১–৫)

সুরা নাস (১–৬)

সুরা ইখলাস (১–৪)

এছাড়া আরও কিছু আয়াত:

বাকারা ২:১০২, ২৫৫

আরাফ ১১৭ -১২২

ইউনূস ৮১-৮২

ত্বহা ৬৯

22/09/2025

যদি তারা অদৃশ্যের জ্ঞান দাবি করে, তবে তারা কুফর ও পথভ্রষ্টতার মধ্যে রয়েছে। ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, নবী ﷺ বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি কোনো আররাফ (ভবিষ্যদ্বক্তা/জ্যোতিষী)-এর কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবে, তার চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল হবে না।”

আর আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি কোনো আররাফ বা কাহিন (ভবিষ্যদ্বক্তা)-এর কাছে যাবে এবং তার কথা বিশ্বাস করবে, তবে সে মুহাম্মদ ﷺ এর ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, তার প্রতি কুফর করেছে।”
(এটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন এবং চার সুন্নানকার (তিরমিজি, নাসায়ী, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ) এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। আল-হাকিম এটিকে সহীহ বলেছেন।)

আর ইমরান ইবন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ

“আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় সেই ব্যক্তি, যে কুলক্ষণ গ্রহণ করে বা যার জন্য কুলক্ষণ নেওয়া হয়; যে জ্যোতিষবিদ্যা করে বা যার জন্য করা হয়; যে জাদু করে বা যার জন্য করা হয়। আর যে কাহিনের কাছে গিয়ে তার কথা বিশ্বাস করবে, সে নিশ্চয়ই মুহাম্মদ ﷺ এর ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, তার প্রতি কুফর করেছে।”
(এটি আল-বাজ্জার হাদীসের একটি ভালো সনদ সহ বর্ণনা করেছেন।)

21/09/2025

সম্প্রতি যেসব জাদুকর (মিথ্যাবাদী) ছদ্মবেশে চিকিৎসক সেজে জাদু বা ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে চিকিৎসা করার দাবি করছে— এবং যারা কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, আর সরল-সাধারণ অজ্ঞ মানুষদেরকে ঠকাচ্ছে— আমি আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের জন্য উপদেশের খাতিরে এ বিষয়ে স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেছি। কারণ এতে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বড় ধরনের বিপদ রয়েছে.

20/09/2025

জমজম পানি দ্বারা চিকিৎসা
১.

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন জমজম পানি সম্পর্কে:

“নিশ্চয়ই জমজম পানি বরকতময়; এটি খাদ্য এবং শেফা।”
(মুসলিম ৪/১৯২২; বাযযার, বায়হাকি, তাবরানি—সহীহ সনদসহ; মাজমাউজ-জাওয়ায়েদ ৩/২৮৬)।

২.

রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর হাদিস:

“জমজম পানি সেই উদ্দেশ্যের জন্য কার্যকর, যার জন্য পান করা হয়।”
(ইবনে মাজাহ; সহীহ ইবনে মাজাহ ২/১৮৩; ইরওয়াউল গলীল ৪/৩২০)।

৩.

রাসূল ﷺ–এর যুগে জমজম পানি বহন করে আনা হতো মশক ও পাত্রে, তা দিয়ে রোগীদের ওপর ঢালা হতো এবং তাদের পান করানো হতো।
(তিরমিজি, বায়হাকি ৫/২০৫; সহীহুত-তিরমিজি ১/২৮৪)।

ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন:
“আমি এবং অন্যরা জমজম পানি দ্বারা আরোগ্য লাভের নানা অভিজ্ঞতা করেছি। আমি একাধিক রোগের চিকিৎসায় জমজম ব্যবহার করেছি, আল্লাহর অনুমতিতে আরোগ্য লাভ করেছি।”
(আন-নিহায়া ফি গারীবিল হাদিস ১/১১১; জাদুল মাআদ ৪/৩৯৩)।

19/09/2025

মধু উপকারিতা
১.

আল্লাহ তাআলা মৌমাছির প্রসঙ্গে বলেন:

{তাদের পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় বের হয়, যাতে মানুষের জন্য শেফা রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।}
(সূরা আন-নাহল: ৬৯)।

২.

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“শেফা রয়েছে তিন জিনিসে:
কাপ দিয়ে রক্ত বের করা,
এক চুমুক মধু পান করা,
বা আগুন দিয়ে চিকিৎসা করা।
তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দ্বারা চিকিৎসা (কাউটারাইজেশন) থেকে নিষেধ করছি।”

18/09/2025

কালোজিরার উপকারিতা

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“কালোজিরার মধ্যে সব ধরনের রোগের জন্য শেফা আছে, মৃত্যু ছাড়া।”
(বুখারি ১০/১৩৪; মুসলিম ১৭৩৫)।

ইবনে শিহাব (রহ.) বলেন:
“এখানে ‘আস-সাম’ বলতে মৃত্যুকেই বোঝানো হয়েছে।”

কালোজিরা (শোনিজ) অগণিত উপকারিতার ভাণ্ডার।

রাসূল ﷺ–এর বাণী: “কালোজিরাতে সব রোগের জন্য শেফা আছে”—এর অর্থ হলো, যেসব রোগ নিরাময়ের উপযোগী, যেমন আল্লাহ তাআলার বাণী:

{তারা তাদের প্রভুর আদেশে সবকিছু ধ্বংস করে দিল}
(সূরা আল-আহকাফ: ২৫)

অর্থাৎ যা ধ্বংসযোগ্য, তার সবকিছু। একইভাবে কালোজিরার ক্ষেত্রে, যেসব রোগ নিরাময়যোগ্য।

17/09/2025

কুরআন দ্বারা চিকিৎসা

কুরআন হলো শেফা—

অন্তরের সন্দেহ, শিরক, কুফর ও কামনা-বাসনা থেকে মুক্তি,

সত্যকে জেনে তার উপর আমল করার হিদায়াত,

মুমিনদের জন্য রহমত ও সওয়াবের উৎস।

আল্লাহ বলেন:
{যে ব্যক্তি মৃত ছিল, আমরা তাকে জীবিত করলাম এবং তার জন্য আলো বানালাম, যাতে সে মানুষের মাঝে চলে; সে কি তার মতো, যে আঁধারে পড়ে আছে এবং সেখান থেকে বের হতে পারছে না?}
(সূরা আল-আন‘আম: ১২২)।

২. ঈমান, সৎকর্ম ও তওবা

হৃদয়কে সুস্থ রাখার জন্য তিনটি জিনিস অপরিহার্য:
১. ঈমান ও সৎকর্ম, যা হৃদয়ের শক্তি বজায় রাখে।
২. গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা।
৩. তওবা ও ইস্তিগফার, যা অন্তরকে পাপের ময়লা থেকে পরিষ্কার করে।

Address

Dhaka
1209

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Omar Ruqyah & Hijama Support posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram