23/09/2025
জাদু জিনিস ভাঙার নিয়ম (إبطال السحر):
মানুষকে বোঝানো এবং শিক্ষা দেওয়া জরুরি যে, জাদু পাওয়া গেলে কীভাবে তার সঙ্গে আচরণ করতে হবে। অনেকেই জাদু পাওয়া মাত্রই ভয় পান, এমনকি হাতে নিতে পর্যন্ত ভয় করেন। তাই শরীয়তসম্মত কিছু উপায় এখানে উল্লেখ করা হলো।
যদি জাদু পাওয়া যায়, করণীয় দুই অবস্থা:
প্রথম অবস্থা – অন্যকে দায়িত্ব দেওয়া:
আয়াতুল কুরসি ও মুআউযাতাইন (সুরা ফালাক ও সুরা নাস) পাঠ করে, “بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ...” দোয়া পড়ে জাদুটি নিয়ে কোনো সুন্নাহ অনুসারী রুকইয়াহ বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ আলেমের কাছে হস্তান্তর করা।
দ্বিতীয় অবস্থা – নিজে জাদু ভাঙা:
সাহস ও আল্লাহ্র ওপর ভরসা রেখে নিজেই জাদু ভাঙার কাজ করা।
এ কাজ করতে গিয়ে মনে রাখতে হবে, কেউ ক্ষতি করতে পারবে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া।
জাদু ভাঙার পদ্ধতি:
জাদু বিভিন্নভাবে তৈরি হতে পারে: লিখিত কাগজে, বাঁধা গিঁটে, তালায়, ছবিতে, বোতলে, মূর্তিতে, কিংবা মৃতদেহে।
প্রতিটি চিকিৎসকের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি থাকে, তবে সবই শরীয়তের সীমার ভেতর হলে বৈধ।
সাধারণ পদ্ধতি সমূহঃ
কুরআন তিলাওয়াত করা।
পানি বা অলিভ অয়েল (জয়তুন তেল)-এর ওপর আয়াত পড়ে তাতে জাদু রাখা।
জাদু পুড়িয়ে ফেলা।
কেটে-ফেটে টুকরো করা।
অ্যাসিড বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা।
জয়তুন তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা।
সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো:
পানি বা জয়তুন তেলের ওপর আয়াত পড়ে তাতে জাদু রাখা,
বিশেষ করে সুরা ফালাক-এর আয়াত: “وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ” বারবার পড়া।
ধাপে ধাপে জাদু ভাঙার নিয়ম:
একটি পাত্রে পানি নাও।
পানির ওপর আয়াতুল কুরসি, সুরা ফালাক, সুরা নাস, সুরা ফাতিহা, সূরা বাকারা-র শেষের আয়াত ইত্যাদি পড়ে ফুঁ দাও।
পাঠের সময় দৃঢ় নিয়্যত করো যে, আল্লাহ্ই জাদু নষ্ট করবেন।
জাদুটি পানিতে রেখে খোলো, কাটো, গলাও বা লেখাগুলো মুছে দাও।
শেষে জাদুটি কবর দাও বা ময়লায় ফেলে দাও, আর পানি বাইরে ঢেলে দাও।
ধাতব (তামা, রূপা, সোনা) বা পাথরে লেখা থাকলে তা পানিতে রেখে পরে ভেঙে ফেলো।
কোন আয়াতগুলো পড়া যায়?
সুরা ফাতিহা
আয়াতুল কুরসি (২:২৫৫)
সুরা বাকারা-র শেষের আয়াত (২:২৮৫-২৮৬)
সুরা ফালাক (১–৫)
সুরা নাস (১–৬)
সুরা ইখলাস (১–৪)
এছাড়া আরও কিছু আয়াত:
বাকারা ২:১০২, ২৫৫
আরাফ ১১৭ -১২২
ইউনূস ৮১-৮২
ত্বহা ৬৯