Dr. Kanak Jyoti Mondal

Dr. Kanak Jyoti Mondal MBBS, BCS(Health), MS(Biotechnology and Genetic Engineering), MRCP(UK), FCPS(Medicine),MD(Cardiology)
(1)

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Anindya Bairagi, Md Monirul Islam Monirul, Bakers Moscow
17/08/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Anindya Bairagi, Md Monirul Islam Monirul, Bakers Moscow

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Easin Bepary, SK Sagor, Ibrahim MirMamber, Pranto Roy
06/08/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Easin Bepary, SK Sagor, Ibrahim MirMamber, Pranto Roy

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Muhammad Shopon Ibn Yeaqub, মোঃ রায়হান বিশ্বাস, Ramkrishn...
30/07/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Muhammad Shopon Ibn Yeaqub, মোঃ রায়হান বিশ্বাস, Ramkrishna Mondol Sajib, MD Jahangir, Mohajjem Hossain, Sanjit Datta Jeet, Mitu Raj, জাহিদ হোসেন, Yeanur Bagom, লিংকন হালদার

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Mehedi Hasan Srabon, Kushal Das Kush, AbiR HasaN ShohaG, M...
23/07/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Mehedi Hasan Srabon, Kushal Das Kush, AbiR HasaN ShohaG, Mohaiminul Islam Babu, Md Moim, Mostafa Molla

ফ্যাটি লিভার ও ডায়াবেটিস: A dangerous combination আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আবার অন্যদিকে ফ্যাটি লি...
20/07/2025

ফ্যাটি লিভার ও ডায়াবেটিস: A dangerous combination

আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আবার অন্যদিকে ফ্যাটি লিভার (যকৃতের চর্বি জমা) রোগটিও নীরবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু জানেন কি? এই দুইটি রোগ একসাথে থাকলে তা একে অপরকে খারাপ করে তোলে। ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভার একত্রে থাকলে হৃদরোগ, লিভার সিরোসিস, এমনকি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকিও দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়।

ফ্যাটি লিভার আসলে কী?
ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver Disease) বলতে বুঝায় যখন লিভারের কোষে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। এই চর্বি যদি লিভারের মোট ওজনের ৫% ছাড়িয়ে যায়, তখন একে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।

এটি দুই ধরনের হতে পারে:
NAFLD (Non-Alcoholic Fatty Liver Disease) – মদ্যপান ছাড়াই যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন।
AFLD (Alcoholic Fatty Liver Disease) – অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে যাদের লিভারে চর্বি জমে।

ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভার: পরিসংখ্যান কি বলে?
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের মধ্যে ৬০%–৭০% রোগীর লিভারে চর্বি জমে । অন্যদিকে, যাদের ফ্যাটি লিভার আছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৪০% রোগীর ডায়াবেটিস থাকে। এই দুইটি একসাথে থাকলে, সিরোসিস (লিভার শক্ত হয়ে যাওয়া) এবং লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩ গুণ বেড়ে যায়।

কীভাবে ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভার একে অপরকে খারাপ করে তোলে?
১. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (Insulin Resistance)
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মূল কারণ হলো ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। এটি লিভারের কোষকে রক্ত থেকে গ্লুকোজ গ্রহণে বাধা দেয়, ফলে লিভারে চিনি জমে এবং চর্বিও জমে। চিনি ও চর্বি জমে গেলে লিভার আর ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

২. ফ্যাট মেটাবলিজমের গোলমাল
ডায়াবেটিস থাকলে শরীরের ফ্যাট বার্নিং ক্ষমতা কমে যায়, ফলে অতিরিক্ত চর্বি লিভারে জমা হতে থাকে।

৩. প্রদাহ (Inflammation)
ডায়াবেটিস একটি প্রদাহজনিত রোগ। এই প্রদাহ লিভারকেও প্রভাবিত করে, যা NASH (Non-Alcoholic Steatohepatitis) তৈরি করে।

৪. অক্সিডেটিভ স্ট্রেস
ডায়াবেটিসে ফ্রি র‍্যাডিকেল বৃদ্ধি পায়, যা লিভার কোষ ধ্বংস করে দিতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয় – দুজনকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
১. ওজন কমান
শরীরের মোট ওজনের ৭%–১০% কমালেই লিভারের চর্বি ৩০–৪০% কমে যায়। প্রতি সপ্তাহে ০.৫–১ কেজি করে ওজন কমানো নিরাপদ।

২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন
যা খাবেন:
লাল চাল/হোল গ্রেইন
শাকসবজি ও রঙিন ফল
ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ (ইলিশ, তেলাপিয়া, স্যামন)
বাদাম, অলিভ অয়েল
চিনি ছাড়া গ্রিন টি

যা খাবেন না:
মিষ্টি, চিনি, মধু, সফট ড্রিংক
ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড
হোয়াইট ব্রেড, সাদা চাল, বিস্কুট
প্রসেসড ফুড (সসেজ, প্যাকেটজাত খাবার)

৩. প্রতিদিন একটানা ব্যায়াম করুন
হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার – সবই উপকারী
দিনে ৩০–৪৫ মিনিটের শরীরচর্চা করুন। টানা বসে থাকা এড়িয়ে চলুন।

৪. পানি পান করুন
প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে

৫. মানসিক চাপ কমান
স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভার দুটিই বাড়ায়
মেডিটেশন, প্রার্থনা, বিশ্রাম কাজে দেয়

ঝুঁকি বেশি কাদের?
৪০ বছরের বেশি বয়সী ডায়াবেটিস রোগী
যাদের HbA1c ৮ এর বেশি
যারা একেবারেই ব্যায়াম করেন না
ওজন যাদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি (BMI > 25)
যাদের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি
পরিবারে লিভার রোগের ইতিহাস আছে

ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভার একত্রে থাকলে তা শুধু একটি রোগ নয়, এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেহের বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে আশার কথা হলো, এই রোগ দুটি জীবনযাপন পরিবর্তন ও সচেতনতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

পোস্টটি শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনদেরও সচেতন করুন।

ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য আদর্শ ডায়েট প্ল্যান – সুস্থ লিভারের পথে প্রথম ধাপ!ফ্যাটি লিভার বলতে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে ...
19/07/2025

ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য আদর্শ ডায়েট প্ল্যান – সুস্থ লিভারের পথে প্রথম ধাপ!

ফ্যাটি লিভার বলতে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়া বোঝায়। এটা মূলত আমাদের জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার, বেশি চিনি ও চর্বি গ্রহণ, কম পরিশ্রম, এবং স্থূলতার কারণে হয়।

সুস্থ ডায়েট এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় – এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি ভালোও হয়ে যায়।

🍎 কোন খাবারগুলো খাবেন :
✅ সবজি ও ফলমূল:
ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি
শিম, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা
আপেল, কমলা, পেয়ারার মতো কম চিনিযুক্ত ফল
গাজর, বিটরুট, পালং শাক, কলমি শাক

✅ সম্পূর্ণ শস্য (Whole Grains):

লাল চাল, ওটস, ব্রাউন রাইস
Whole wheat bread, আটা
চিড়া (water-soaked), দই চিড়া

✅ উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার (Low-fat protein):

ডিমের সাদা অংশ
মুরগির বুকের মাংস (skinless)
মাছ – রুই, কাতলা, টুনা, সারডিন (Grilled or steamed)
ডাল, ছোলা, মুগ ডাল, মসুর ডাল
গ্রীক ইয়োগার্ট, লো-ফ্যাট দুধ

✅ ভাল ফ্যাট (Good Fats):

অলিভ অয়েল (Extra virgin)
বাদাম (অল্প পরিমাণে), যেমন: আখরোট, আমন্ড
ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড
ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ (সপ্তাহে ২ বার)

✅ পানীয়:

প্রচুর পানি
লেবু পানি (চিনি ছাড়া)
গ্রিন টি (প্রতিদিন ১–২ কাপ)
ডাবের পানি (অল্প পরিমাণে)

🚫 কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন (লিভারের জন্য ক্ষতিকর):
❌ অতিরিক্ত চিনি – মিষ্টি, কেক, বিস্কুট, কোমল পানীয়
❌ চিনি দেওয়া চা–কফি (চিনি ছাড়া খাওয়া অভ্যাস করুন)
❌ সাদা চাল, সাদা পাউরুটি
❌ প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed food) – চিপস, বার্গার, সসেজ
❌ ফাস্ট ফুড – পিজ্জা, ফ্রাইড চিকেন
❌ অতিরিক্ত লবণ – আচার, চিপস, ক্যানজাত খাবার
❌ ভাজা-পোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেল
❌ ট্রান্স ফ্যাট – মার্জারিন, বেকারি পণ্য
❌ রেড মিট (গরু-খাসির চর্বিযুক্ত মাংস)
❌ অ্যালকোহল – লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু

ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ একদিনের ডায়েট প্ল্যান
🌅 সকাল (সকাল ৭–৮ টা):
✅ ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি + ১/২টি লেবুর রস
✅ ৫–৭টি ভেজানো বাদাম (আখরোট বা আমন্ড)
✅ গ্রিন টি (চিনি ছাড়া)
👉 উপকার: ডিটক্সিফিকেশন শুরু হয়, লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে।

🍳 ব্রেকফাস্ট (সকাল ৮.৩০–৯.৩০):
বিকল্প ১:

১ কাপ ওটস (দুধ/জল দিয়ে রান্না)
১টা সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ
১টা পেঁপে বা আপেল

বিকল্প ২:
২টা লো-অয়েল সবজি দিয়ে তৈরি পরোটা (আটা দিয়ে)
১ বাটি টক দই
১ কাপ গ্রিন টি
👉 উপকার: দিন শুরু হয় হালকা ও লো GI খাবার দিয়ে, যা রক্তে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

🍇 সকালের স্ন্যাকস (১১–১১:৩০):
১টি পেয়ারার টুকরা
১ কাপ গ্রিন টি
অথবা ১ গ্লাস লেবু পানি (চিনি ছাড়া)
👉 উপকার: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্ষুধাও কমে।

🍛 দুপুরের খাবার (১–২ টা):
১ কাপ ব্রাউন রাইস/লাল চাল
১ বাটি মসুর ডাল বা মাছ (ভাপে/গ্রিল করা)
১ বাটি সবজি (পালং, করলা, লাউ)
১ প্লেট সালাদ (শসা, গাজর, বিটরুট)
১টা পেঁপে/কমলা/জাম্বুরা টুকরা
👉 উপকার: ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লিভার-বান্ধব প্রোটিন সরবরাহ করে।

☕ বিকেলের নাস্তা (৪–৫টা):
১ কাপ গ্রিন টি/ব্ল্যাক কফি (চিনি ছাড়া)
১টা সুজি/আটা দিয়ে তৈরি লো-অয়েল হালুয়া
অথবা ১ বাটি টক দই + ১ চামচ ফ্ল্যাক্স সিড
👉 উপকার: ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ওজন বাড়ে না।

🍲 রাতের খাবার (৭.৩০–৮.৩০ টা):
১ কাপ ওটস/চিড়া/লাল আটা রুটি
১ বাটি সেদ্ধ সবজি
১টা সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ অথবা গ্রিলড চিকেন
১ প্লেট সালাদ
👉 উপকার: হালকা খাবার রাতে লিভারের উপর চাপ কমায়।

🌙 ঘুমানোর আগে (১০টা):
১ গ্লাস হালকা গরম পানি
চাইলে ১ চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে
👉 উপকার: হজমে সহায়তা করে, লিভার পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।

✅ গুরুত্বপূর্ণ টিপস (Diet Tips for Fatty Liver):
🔹 খাবার সময় ঠিক রাখুন – অনিয়মিত খাওয়া লিভারের ক্ষতি করে
🔹 প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন
🔹 ধীরে ধীরে ওজন কমান, হঠাৎ ডায়েটিং করবেন না
🔹 সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট হাঁটুন
🔹 ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না
🔹 ফাস্ট ফুড, বাইরের খাবার সীমিত করুন
🔹 ঘরে তৈরি খাবার খান – প্রিজারভেটিভ, কেমিক্যাল মুক্ত

ফ্যাটি লিভারকে ভয় নয়, বরং জ্ঞান ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জয় করা সম্ভব।
প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তনই আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পারে সুস্থ লিভার, সুস্থ জীবন।

👉 আপনি যদি ফ্যাটি লিভারে ভোগেন বা ঝুঁকিপূর্ণ হন, তাহলে আজ থেকেই এই ডায়েট মেনে চলুন।
👉 পোস্টটি শেয়ার করুন – আপনার শেয়ার করা তথ্য হয়তো কারো জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে।

ফ্যাটি লিভার এবং উচ্চ কোলেস্টেরল – অদৃশ্য কিন্তু মারাত্মক এক বন্ধন!ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) এবং উচ্চ কোলেস্টেরল (High ...
18/07/2025

ফ্যাটি লিভার এবং উচ্চ কোলেস্টেরল – অদৃশ্য কিন্তু মারাত্মক এক বন্ধন!

ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) এবং উচ্চ কোলেস্টেরল (High Cholesterol) আমাদের শরীরে একসাথে silently ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে?
এই দুটো রোগ একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। অনেক সময় আপনি হয়তো ভাবছেন শুধু কোলেস্টেরল বাড়ছে, কিন্তু অজান্তেই লিভারে জমছে চর্বি—যার ফলাফল হতে পারে সিরোসিস, লিভার ফেইলিউর এমনকি লিভার ক্যান্সার!

ফ্যাটি লিভার কী?
ফ্যাটি লিভার অর্থ—লিভারের কোষে চর্বি (fat) জমে থাকা। যখন লিভারের মোট ওজনের ৫% বা তার বেশি অংশে চর্বি জমে, তখন তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।
এই রোগ সাধারণত দুই রকম হয়:
NAFLD (Non-Alcoholic Fatty Liver Disease): মদ্যপান না করেও ফ্যাটি লিভার হওয়া।
AFLD (Alcoholic Fatty Liver Disease): অতিরিক্ত অ্যালকোহলের কারণে।
NAFLD হল সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এমন লিভার সমস্যা। এটি প্রাথমিকভাবে কোনো লক্ষণ ছাড়াই শরীরে বাড়তে থাকে।

উচ্চ কোলেস্টেরল কী?
কোলেস্টেরল হলো একধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ যা আমাদের শরীরের কোষ ও হরমোন তৈরিতে প্রয়োজন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে তা রক্তনালিতে জমা হয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

কোলেস্টেরলের প্রকারভেদ:
LDL (Low-Density Lipoprotein): "খারাপ" কোলেস্টেরল – ধমনী বন্ধ করে।
HDL (High-Density Lipoprotein): "ভালো" কোলেস্টেরল – অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।
Triglycerides: অতিরিক্ত ক্যালোরি ও চিনি থেকে তৈরি চর্বি যা রক্তে থাকে।

ফ্যাটি লিভার ও উচ্চ কোলেস্টেরল সম্পর্কটা কি ?
১. উভয়ের মূল কারণ এক: অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া
খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রবেশ করলে, তা প্রথমে লিভারে জমা হয়। এই জমে থাকা চর্বিই তৈরি করে ফ্যাটি লিভার এবং সেই সঙ্গে রক্তে বাড়ে ট্রাইগ্লিসারাইড ও LDL কোলেস্টেরল।

২. ফ্যাটি লিভার বাড়ালে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়
লিভারই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
লিভার যদি চর্বিতে ভরে যায়, তবে তা ঠিকভাবে কোলেস্টেরল রেগুলেট করতে পারে না।

৩. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স উভয়ের মূল চালক
ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস রোগীদের লিভার বেশি ফ্যাট স্টোর করে এবং কোলেস্টেরলও বেশি উৎপাদন করে।

৪. লিভারে চর্বি জমে গেলে HDL (ভালো কোলেস্টেরল) কমে যায়
যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ফ্যাটি লিভারের জটিলতা বাড়ায়।

৫. ফ্যাটি লিভার কোলেস্টেরল উৎপাদন বাড়ায়
লিভার নিজেই শরীরের কোলেস্টেরলের ৮০% তৈরি করে।
চর্বিতে ভরপুর লিভার বেশি LDL তৈরি করে, যা ধমনীতে জমে যায়।

কাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?
যাদের নিচের condition গুলো রয়েছে, তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার ও উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি:
Obesity বা ওজন বেশি (বিশেষ করে পেটের মেদ)
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
উচ্চ রক্তচাপ
অলস জীবনযাপন (sedentary lifestyle)
অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
জেনেটিক ফ্যামিলি হিস্টোরি
অতিরিক্ত মদ্যপান
বয়স >৪০
ধূমপান ও অতিরিক্ত স্ট্রেস

বিপদ কোথায়?
যদি একসাথে ফ্যাটি লিভার ও উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে, তবে আপনি নিচের রোগগুলোর ঝুঁকিতে আছেন:
লিভার সিরোসিস
লিভার ক্যান্সার
হার্ট অ্যাটাক
স্ট্রোক
প্যানক্রিয়েটাইটিস
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
হাইপারটেনশন
এই দুটি সমস্যা মিলে Metabolic syndrome তৈরি করে, যা একটি ভয়ংকর ট্রায়ো—ফ্যাটি লিভার, উচ্চ কোলেস্টেরল, ও ডায়াবেটিস।

আপনি কী করতে পারেন?
১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
চিনি কমান: বিশেষ করে কোক, জুস, কেক, চকলেট
চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিন: লাল মাংস, ঘি, পনির, ফাস্ট ফুড
ফাইবার বাড়ান: শাকসবজি, ফল, লাল চাল, ওটস
ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খান: সামুদ্রিক মাছ, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড
গ্রিন টি ও লেবু পানি: লিভার ক্লিনজিংয়ে সাহায্য করে

২. ব্যায়াম করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা
সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন সক্রিয় থাকুন
সাইক্লিং, সাঁতার, জগিং করলে আরও ভালো

৩. ওষুধ:
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: Statin, Fenofibrate ইত্যাদি (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)
ফ্যাটি লিভারের জন্য ভিটামিন E বা Ursodeoxycholic acid প্রয়োজনে দেওয়া হতে পারে
কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল বন্ধ করুন
৫. পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

ফ্যাটি লিভার এবং উচ্চ কোলেস্টেরল—এরা একে অপরের বন্ধু নন, বরং একসাথে মিলে আপনার লিভার, হার্ট এবং মস্তিষ্ককে ধ্বংস করে দিতে পারে।
কিন্তু সময়মতো সচেতন হলে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

পোস্টটি শেয়ার করুন, যেন আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারও এই নীরব ঘাতকদের বিরুদ্ধে সচেতন হয়।

#স্বাস্থ্যপোস্ট #ডায়াবেটিস #হৃদরোগ #লিভার_সচেতনতা

ভুলে যাওয়ার রোগ- DementiaDementia এমন একটি জটিল অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়। এতে স্মৃতি,...
17/07/2025

ভুলে যাওয়ার রোগ- Dementia

Dementia এমন একটি জটিল অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়। এতে স্মৃতি, চিন্তাভাবনা, ভাষা, মনোযোগ এবং আচরণগত দক্ষতার অবনতি ঘটে। এটি শুধু রোগী নয়, পরিবার ও পরিচর্যাকারীদের জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫.৫ কোটি মানুষ dementia আক্রান্ত। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই সংখ্যাটি দ্রুত বাড়ছে, অথচ সচেতনতা ও সহায়তার পরিমাণ অনেক কম।
আপনার প্রিয়জনের জন্য কি করবেন?

১. রোগ সম্পর্কে নিজে জানুন
আপনার প্রিয়জন কী ধরনের ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন তা জেনে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ (যেমন: আলঝেইমার, ভাসকুলার, ফ্রন্টোটেম্পোরাল ইত্যাদি)। প্রতিটি ধরণের রোগের উপসর্গ, অগ্রগতি এবং চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে।

২. রোগী আর আগের মতো নেই—এটা মেনে নিন
রোগীর আচরণ পরিবর্তন হওয়া, ভুল কথা বলা বা সহজ কাজ ভুলে যাওয়া—সবকিছুই রোগের অংশ। এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।

৩. "স্মৃতি হারানো" মানে ব্যক্তিত্ব হারানো নয়
যদিও রোগী অতীত স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন, তবু তাদের আবেগবোধ, ভালোবাসা অনুভব করার ক্ষমতা অনেকটাই থাকে। ভালোবাসা, নিরাপত্তা আর স্নেহের ছোঁয়া এখনো তাদের জীবনে অনেক গুরুত্ব রাখে।

৪. একটি রুটিন তৈরি করুন
প্রতিদিনের কাজ যেমন—ঘুম, খাওয়া, হাঁটাহাঁটি, গোসল—সবকিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা রোগীর জন্য সহায়ক। নির্ধারিত রুটিন → মানসিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় → আচরণগত সমস্যা কমে

৫. Home environment নিরাপদ করুন
অতিরিক্ত জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন
পথঘাট পরিষ্কার রাখুন
ধারালো বস্তু দূরে রাখুন
দরজায় নাম ও প্রতীক বসান

৬. দৈনন্দিন কাজগুলো সহজ করুন
জামাকাপড় পছন্দ করার জন্য অপশন দিন
খাবার পরিবেশন করুন সহজভাবে
টুথব্রাশ, চিরুনি, কাপড় - সবকিছু নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন

৭. সহজ ভাষায় কথা বলুন
বড় বাক্য নয়, ছোট ছোট বাক্যে প্রশ্ন করুন। উদাহরণস্বরূপ:
❌ “তুমি আজকে খেয়েছো কিনা বলতে পারো?”
✅ “তুমি খেয়েছো?”

৮. চোখে চোখ রেখে কথা বলুন
চোখের যোগাযোগ রোগীকে আশ্বস্ত করে। নাম ধরে ডাকুন। মুখে হাসি রাখুন।

৯. অপ্রাসঙ্গিক কথা বললেও বিরক্ত হবেন না
তারা আজ যা বলছে, কাল হয়তো ভুলে যাবে। আপনি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে শান্তভাবে শুনে যান।

১০. রাগ বা সন্দেহ দেখা দিলে মাথা ঠান্ডা রাখুন
রোগীর সন্দেহ, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, বা অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার মতো আচরণ আসতে পারে। এসবকে রোগের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করুন।

১১. বিভ্রম বা ভুল বুঝলে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে যাবেন না
তারা যদি বলে “আমার মা এসেছিলেন”—যদিও তার মা বহু বছর আগে মারা গেছেন—তাকে শুধরে না দিয়ে বলুন, “তোমার মাকে তুমি খুব ভালোবাসতে, না?”

১২. হঠাৎ কান্নাকাটি বা উত্তেজনায় কী করবেন?
শান্ত সুরে কথা বলুন
গান চালিয়ে দিন
আলো কমিয়ে দিন
তার পছন্দের কিছু দেখান

১৩. ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করুন
রোগীরা অনেক কিছু ভুলে যান, কিন্তু আবেগ তারা মনে রাখতে পারেন। তাদের হাত ধরে বসুন, মাথায় হাত বুলিয়ে দিন, পুরনো ছবি দেখান।

১৪. পুরনো স্মৃতি ঝালিয়ে দিন (Reminiscence Therapy)
পারিবারিক ছবি দেখান
পছন্দের গান শুনান
গ্রাম, পাড়া বা স্কুলের গল্প করুন

এইসব জিনিস তাদের মধ্যে আনন্দ ও আত্মপরিচয়ের অনুভূতি ফিরিয়ে আনে।

১৫. ধর্মীয় চর্চা বা প্রার্থনায় সহায়তা করুন
ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রার্থনা বা মন্ত্র পাঠে তাদের মানসিক প্রশান্তি আসতে পারে।

১৬ . রোগী হারিয়ে গেলে?
জামায় নাম, ঠিকানা লিখে দিন
GPS ঘড়ি পরান
ছবি হাতে রাখুন

১৭. ডিমেনশিয়া রোগীর ঘুম সমস্যা?
রাতের আলো deem রাখুন
দিনে পর্যাপ্ত রোদে বসান
দুপুরের ঘুম কমান
রাতের হালকা খাবার দিন

ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত প্রিয়জনকে সহায়তা করা কঠিন, ক্লান্তিকর, কিন্তু একইসঙ্গে এক মানবিক দায়িত্ব। যতটুকু সম্ভব ভালোবাসা, ধৈর্য ও সম্মান দিয়ে পাশে থাকুন। আমরা রোগকে পুরোপুরি বদলাতে পারবো না, কিন্তু আমাদের ব্যবহার ও সহানুভূতি তাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলতে পারে।


Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Mahbub Ahmed, Bî Nöy, Rana Madber, Krish Joy, Shafi Kul, K...
16/07/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Mahbub Ahmed, Bî Nöy, Rana Madber, Krish Joy, Shafi Kul, Khadija Aktar, Abdullah B, Mushfika Rahman, মোহাম্মদ জাকির হোসেন

Anxiety : একটি অদৃশ্য যুদ্ধআজকের এই দ্রুতগতির জীবনে Anxiety  বা উদ্বেগ একটি common সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অনেকেই ...
15/07/2025

Anxiety : একটি অদৃশ্য যুদ্ধ

আজকের এই দ্রুতগতির জীবনে Anxiety বা উদ্বেগ একটি common সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অনেকেই নানা কারণে উদ্বিগ্ন বোধ করি—কাজের চাপ, সম্পর্কের টানাপোড়েন, আর্থিক অনিশ্চয়তা বা ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা। কিন্তু যখন এই উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে। Anxiety disorder শুধু মানসিক সমস্যা নয়, এটি শারীরিক স্বাস্থ্য, সামাজিক সম্পর্ক এবং কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

Anxiety এর প্রাদুর্ভব
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৬ কোটি মানুষ Anxiety disorder ভুগছে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩-৪ জন মানুষের জীবনে কোনো না কোনো সময় অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার দেখা দেয়। নারীদের মধ্যে অ্যাংজাইটির হার পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তরুণ প্রজন্ম (১৮-৩৫ বছর বয়সী) বেশি আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম, ক্যারিয়ারের চাপ এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অ্যাংজাইটির রোগী শনাক্ত হওয়ার হার বাড়ছে।

Anxiety কিভাবে হয়???
অ্যাংজাইটি শুধু মন থেকে আসে না, এর পেছনে জৈবিক কারণও কাজ করে। মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক এবং নিউরাল সার্কিটের ভারসাম্যহীনতা উদ্বেগ তৈরি করে:

১. নিউরোট্রান্সমিটারের অসামঞ্জস্যতা
সেরোটোনিন: এটি "ফিল-গুড" হরমোন নামে পরিচিত। সেরোটোনিনের মাত্রা কমে গেলে উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা বাড়ে।
গাবা (GABA): এটি মস্তিষ্কের একটি শান্তকারী রাসায়নিক। GABA-র কার্যকারিতা কমে গেলে মস্তিষ্ক অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উদ্বেগ তৈরি করে।
নোরেপিনেফ্রিন: এটি স্ট্রেস হরমোন, যা "ফাইট অর ফ্লাইট" প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী। এর মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদস্পন্দন বাড়ে ও паника অ্যাটাক হতে পারে।

২. অ্যামিগডালার অতিসক্রিয়তা
অ্যামিগডালা মস্তিষ্কের ভয় ও আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী অংশ। অ্যাংজাইটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অ্যামিগডালা সাধারণের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকে, ফলে তারা নিরাপদ পরিস্থিতিতেও ভয় পায়।

৩. জেনেটিক প্রভাব
যাদের পরিবারে অ্যাংজাইটি বা ডিপ্রেশন আছে, তাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কারণ
অ্যাংজাইটির পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে:
১. জৈবিক কারণ
মস্তিষ্কের রাসায়নিকের অসামঞ্জস্য
থাইরয়েড হরমোনের imbalance
দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক রোগ (ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা)

২. মনস্তাত্ত্বিক কারণ
ট্রমা বা শৈশবের খারাপ অভিজ্ঞতা
অতিরিক্ত স্ট্রেস বা চাপ
নেতিবাচক চিন্তাভাবনা

৩. পরিবেশগত কারণ
কাজের চাপ
আর্থিক সমস্যা
সম্পর্কের জটিলতা
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

৪. জীবনযাত্রার কারণ
অনিদ্রা
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ক্যাফেইন বা অ্যালকোহলের অতিরিক্ত সেবন

Anxiety এর লক্ষণ
শারীরিক লক্ষণ
দ্রুত হৃদস্পন্দন
ঘাম হওয়া
মাথা ঘোরা
শ্বাসকষ্ট
পেটে ব্যথা বা বমি বমি ভাব
কাঁপুনি

মানসিক লক্ষণ
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
মনোযোগের অভাব
বিরক্তি
ভয় বা আতঙ্ক
ঘুমের সমস্যা

আচরণগত লক্ষণ
সামাজিক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা
কাজে অনীহা
অস্থিরতা

ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অ্যাংজাইটির প্রভাব
১. ব্যক্তিগত জীবন
কর্মক্ষমতা হ্রাস: উদ্বেগের কারণে কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়, ফলে productivity কমে যায়।
শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি: দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ হার্ট ডিজিজ, হাই ব্লাড প্রেশার এবং পাচনতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া: Anxiety তে ভোগা রোগীরা নিজেদের অক্ষম মনে করেন, যা self-esteem কমিয়ে দেয়।

২. সামাজিক জীবন
পরিবার ও বন্ধুদের সাথে দূরত্ব: উদ্বেগের কারণে মানুষ সামাজিক মেলামেশা এড়িয়ে চলে, যা loneliness বাড়ায়।
বিয়ে ও সম্পর্কে সমস্যা: উদ্বেগের কারণে সঙ্গীর সাথে দ্বন্দ্ব বাড়ে, সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।
ক্যারিয়ারে বাধা: ইন্টারভিউ, পাবলিক স্পিকিং বা দলগত কাজে ভয় ক্যারিয়ার growth কমিয়ে দেয়।

কীভাবে Anxiety কাটিয়ে উঠবেন?
১. থেরাপি
কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT): নেতিবাচক চিন্তা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি সবচেয়ে কার্যকর। এক্সপোজার থেরাপি: ধীরে ধীরে ভয়ের মুখোমুখি হতে শেখা।

২. লাইফস্টাইল পরিবর্তন
নিয়মিত ব্যায়াম (Yoga, meditation)
পর্যাপ্ত ঘুম
ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কম গ্রহণ

৩. ওষুধ
সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শে SSRI বা বেনজোডায়াজেপিন নেওয়া যেতে পারে।

৪. সামাজিক সহায়তা
বন্ধু ও পরিবারের সাথে খোলামেলা কথা বলা।

Anxiety কোনো দুর্বলতার লক্ষণ নয়। এটি একটি মেডিকেল কন্ডিশন, যার সঠিক চিকিৎসা সম্ভব। যদি আপনি বা আপনার কাছের কেউ উদ্বেগে ভুগছেন, তাহলে আজই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

"উদ্বেগ আপনার ভবিষ্যৎকে নষ্ট করবে না, কিন্তু বর্তমানকে নষ্ট করতে পারে। তাই এখনই সাহায্য নিন।"

💙

কৃমির সংক্রমণ এবং Asthma এর মধ্যে সম্পর্কটা কি????কৃমির সংক্রমণ একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষত নিম্ন ও মধ্য আ...
14/07/2025

কৃমির সংক্রমণ এবং Asthma এর মধ্যে সম্পর্কটা কি????

কৃমির সংক্রমণ একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। WHO-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় 1.5 বিলিয়ন মানুষ মাটির মাধ্যমে সংক্রমিত হেলমিন্থ (Soil-Transmitted Helminths বা STH) দ্বারা আক্রান্ত, যেমন রাউন্ডওয়ার্ম (Ascaris lumbricoides), হুইপওয়ার্ম (Trichuris trichiura), এবং হুকওয়ার্ম (Ancylostoma duodenale ও Necator americanus)। এছাড়াও, শিস্টোসোমিয়াসিস, ফাইলেরিয়াসিস-এর মতো অন্যান্য কৃমিজনিত রোগও লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে।

হাঁপানির সাথে কৃমির সম্পর্ক:
গবেষণায় দেখা গেছে, কৃমির সংক্রমণ অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি করতে পারে।

1.কৃমির সংক্রমণ শরীরে Th2 dominant ইমিউন রেস্পন্স সৃষ্টি করে, যেখানে ইন্টারলিউকিন-4 (IL-4), IL-5, IL-13 এবং IgE অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি পায়। অ্যাজমাও একটি Th2-মিডিয়েটেড ডিজিজ, তাই কৃমির সংক্রমণ অ্যাজমার লক্ষণকে তীব্র করতে পারে।

2. Round worm মাস্ট সেলকে সক্রিয় করে, যা হিস্টামিন নিঃসরণ করে এবং শ্বাসনালির সংকোচন ঘটায়, ফলে অ্যাজমা অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে।

সমাধানের উপায়ঃ
নিয়মিত De-worming : WHO সুপারিশ মতে, এলবেনডাজোল বা মেবেন্ডাজোল-এর মতো ওষুধ দিয়ে বছরে ১-২ বার ডি-ওয়ার্মিং করা উচিত (বিশেষত স্কুলগামী শিশুদের)।

স্যানিটেশন উন্নত করা: সঠিক স্যানিটেশন, নিরাপদ পানি ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস কৃমির সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

Address

Chourangi
Dhaka
9201

Telephone

+8801735278899

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Kanak Jyoti Mondal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Kanak Jyoti Mondal:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram