Ehtesham Shahid

Ehtesham Shahid I work as an intern doctor at Dhaka Medical College and Hospital. I do photography and occasionally write and make videos on different topics.

11/09/2024

লিখেছেন ডা. রিয়াদ শরীফ:

'রোগীটি যখন খারাপ হলো তখন ডা. সজীব দৌড়ে আসলেন।
তখন,যেভাবে একজন ডাক্তার আসেন ঠিক সেভাবেই আসলেন। পালস চেক করলেন সিপিআর শুরু করলেন,,এক সাইকেল, দুই সাইকেল, তিন সাইকেল।
তারপর একটু থামলেন। এর মধ্যে দেখলাম সিস্টার কি যেন দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই এড্রেনালিন,,তারপর আবার এক, দুই, তিন করে আরো তিন সাইকেল, মোট ছয় সাইকেল। নাহ, কোন গল্প করছি না,সিসি টিভির ফুটেজ দেখে বলছি,,,কি প্রাণান্তকর চেষ্টা!!

এ ব্যাপারটার সাথে আমি বেশ পরিচিত,, আমরা যারা সিসিইউ বা আইসিইউতে কাজ করি তারা এমনটা মাঝে মাঝে ফেস করি। তখন আমরা এমনই করি,,সিপিয়ার দেই, ডিসি শক দেই,,শুধু আমরা না, পুরো দুনিয়ার তাবৎ ডাক্তাররাই এটাই করে থাকে,,কেউ ফিরে, কেউ ফিরে না।

ডাক্তার সজীবের সেই রোগীটিও ফিরে নি,,এটাই নিয়তি।কারন আমারা কেউ ঈশ্বর নই,, অমরত্ব এর কোন দাওয়াই ডাক্তারদের কাছে নেই।
এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। রোগীর লোকজন এগিয়ে আসলেন,,,হয়তো ডা. সজীব ভেবেছিল, তাকে হয়তো বলবে,,ডাক্তার সাব আপনি অনেক চেস্টা করেছেন,,

কিন্তু তারা ডা. সজীবের কলার ধরে চড় মারে, থাপ্পড় মারে, ঘুষি মারে,,সজীব হয়তো ভেবেছিল,এবার মনে হয় ছেড়ে দিবে,,কিন্তু তারা ছাড়ে না,,মারতেই থাকে, মারতেই থাকে,,সজীবের কানের পর্দা ফেটে যায়,, কান দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে।

সজীব পড়ে যায়,,কিন্তু সেতো বাংলাদেশের ডাক্তার,,তেলাপোকার মতো,, তাই এবার ওরা পা দিয়ে সজীবের মুখটা পা দিয়ে মাড়াতে থাকে,,যেন থেতলে দিবে একটা তেলাপোকাকে,, সজীব তখনও ভাবছে এবার মনে হয় ছেড়ে দিবে,,আর যাই হোক সে মানুষ তো,,

কিন্তু ওরা থামে নি,,মারতে মারতে নিয়ে যায় নিচতলায় যেন সমস্ত মানুষের সামনে আরো পেটানো যায়,,,সিসিইউ তে সজীব এর ছোপ ছোপ রক্ত, সিড়িতে রক্ত,,আর কি লিখবো!!!

ছবি টা বা ভিডিও টা আমি আপ্লোড করেনি,,, ইচ্ছা করেই করেনি,,কারন সে যেভাবে হাসপাতালের ফ্লোরে অচেতন হয়ে পড়ে আছে যেন সে একটা চোর,একটা ডাকাত, একটা রেপিস্ট, নাকি একটা গিনগিনে সাপ,,কিম্বা ফুটপাতে দগদগে ঘা নিয়ে কেউ শুয়ে আছে ভিক্ষার থালা হাতে,,

এটাই কি আমাদের প্রাপ্য,,এর জন্যই কি আমরা সেবা দিব,,পরিবর্তন কি আসবে,,,মনে হয় না,,এর আগেও এভাবে মারা হয়েছে,হত্যা করা হয়েছে কিন্তু বিচার হয় নি,,কেন জানি মনে হয় সমাজের শিক্ষিত মানুষেরও একটা মৌন সম্মতি আছে,,,কথা বলার সময় এরা তবে, কিন্তু,অথবা, কিম্বা লাগিয়ে জাস্টিফাই করার চেস্টা করে,,,

আমি যখন ভিডিও টি দেখছিলাম, তখন মনে হয়ে ছিল, হে আল্লাহ তুমি সব অন্ধকার করে দাও,,আমার যেন সজীবকে দেখতে না হয়,,,কোনদিন যেন ওর সাথে আমার দেখা না হয়,,জানি না, সে সুস্থ হবে কি না,,যদি সুস্থ হয়ে সে আমাকে বা আপনাকে যদি প্রশ্ন করে, আমাকে এভাবে সাপের মতো পিটালো, আমার মাথার হাড্ডি ভেংগে দিল,আমার কানের পর্দা ফাটিয়ে আমাকে প্রতিবন্ধী করে দিল,,তুমি কি করেছিলে তখন,,বিচার করতে পেরেছিলে,,আমি বা আপনি তখন কি উত্তর দিব,,,
আহারে!!!'

❤️
11/07/2024

❤️

10/07/2024
Every setback is a setup for a comeback. Keep pushing, keep striving, and let your failures ignite your passion. 💪🔥     ...
09/07/2024

Every setback is a setup for a comeback. Keep pushing, keep striving, and let your failures ignite your passion. 💪🔥

দু:খজনক!
08/07/2024

দু:খজনক!

ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট - 🔸রোমের প্যান্থিয়নে অবস্থিত এই দরজাটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন, এটি নির্মিত হয়েছিল ১১৮-১২৬ খ্রিষ্ট...
08/07/2024

ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট -

🔸রোমের প্যান্থিয়নে অবস্থিত এই দরজাটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন, এটি নির্মিত হয়েছিল ১১৮-১২৬ খ্রিষ্টপূর্ব সালে, সম্রাট হ্যাড্রিয়ান আমলে। গেটটি দুটি ডানা নিয়ে গঠিত, প্রতিটি কঠিন ব্রোঞ্জের তৈরি, ওজন 8.5 টন, পরিমাপ 7.6 মিটার উচ্চ এবং 2.3 মিটার চওড়া। যদিও ডানা অত্যন্ত ভারী, তবুও এগুলি এতটাই ভারসাম্যপূর্ণ যে একজন একক ব্যক্তি সহজেই তাদের খুলতে এবং বন্ধ করতে পারে। এটি বিশ্বের কয়েকটি দরজার মধ্যে একটি যার তালা, প্রায় ২,০০০ বছর আগের ডেটিং, এখনও কাজ করে।

📸 ক্রেডিট মূল মালিকের
কার্টেসি – মার্ক হার্ড

18/04/2023

ঢাকার তাপমাত্রা এখন প্রতিদিন ই চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ উঠছে! শুনলাম এই সপ্তাহে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ (৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে) করার সম্ভাবনা রয়েছে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জেলায়।

এই তাপমাত্রায় দিনের পর দিন বাইরে থাকলে বা কাজ করলে হিট এক্সহশন বা হিট স্ট্রোক হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি! হিট স্ট্রোক একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সি এবং অতি দ্রুত স্পেসিয়ালাইজড মেডিকেল ফ্যাসিলিটি তে না নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি!

এই গরমে বেশিক্ষন বাইরে থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়! আমাদের শরীর খুব তাপমাত্রা সেনসিটিভ! তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে আমাদের বডি বিভিন্ন ভাবে তাপমাত্রা কমাতে কাজ শুরু করে দেয়! প্রধানতম পদ্ধতি হচ্ছে ঘাম তৈরী করে! যখন আমাদের বডির সারফেস থেকে ঘাম ইভাপোরেট হয়ে শুকায় - তা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে!

তবে এই ঘামের মাধ্যমে তাপমাত্রা কমানোর একটা লিমিটেশন আছে! হিউমিডিটি যদি ৭৫ % এর বেশি হয় তাহলে এই পদ্ধতি খুব একটা কাজ করে না!

আমি চেক করলাম - ঢাকার আজ হিউমিডিটি হচ্ছে ৭৮% !

আমরা যদি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করি - অতিরিক্ত গরমের কারণে কি কি সমস্যা গুলো হতে পারে তা হবে -

প্রথম ধাপে যা হয় তা হচ্ছে হিট ক্রাম্প! অতিরিক্ত ঘামের কারণে লবন ও পানির অভাব হয় এবং এর প্রভাবে মাসল ( বিশেষ করে পায়ের) মাসল ক্র্যাম্প (কামড়ানো) শুরু করে!

এর পর হচ্ছে এক্সহশন ! হিট এক্সহশন এক দফায় হিট এক্সপোজার এর কারণে না হয়ে অনেক দিনের কিউমিলিভ এফেক্ট এ হতেও পারে! যেমন আপনি পর পর তিন চারদিন দুতিন ঘন্টা করে বাইরে গরমে থাকলেন! তারপর পাঁচদিন এর দিন আপনার হিট এক্সহশন এর সিম্পটম শুরু হলো! যারা বয়স্ক, যারা অতিরিক্ত শুকনা বা ওবিজ, শিশু- প্রেগন্যান্ট, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে - এরাই বেশি ভালনারেবল!
হিট এক্সহশন এর লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, দুর্বলতা, মাথা ধরা, মাথা ব্যাথা, বমিবমি ভাব আর ফেইন্ট ভাব হওয়া ! থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখতে পারেন হিট এক্সহশন কনফার্ম করার জন্য! হিট এক্সহশন এর এক পর্যায়ে শ্বাস প্রশ্বাস ও হার্ট রেট দ্রুত হতে শুরু করবে!

কিভাবে চিকিৎসা করবেন হিট এক্সহশন!

প্রথম কাজ - ছায়ায় নিয়ে আসুন রুগীকে! রিহাইড্রেশন করুন! ওর-স্যালাইন সবচেয়ে ভালো! শুধু ঠান্ডা পানি হয়েও চলবে প্রথমে! আসে পাশে পুকুর থাকলে গলা পর্যন্ত পুকুরের পানিতে নামিয়ে দিন! পুকুর না থাকলে বাথটাবে শুইয়ে দিন এবং পানির মধ্যে কিছু বরফ ঢেলে দিন! তাও না থাকলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করিয়ে দিন তারপর টেবিল ফ্যান দিয়ে শরীর শুকিয়ে দিন - টেম্পারেচার না নামলে আবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে দিন এবং ম্যাক্স স্পিড টেবিল ফ্যান দিয়ে শরীর শুকিয়ে দিন!

মনে রাখতে হবে ঠান্ডা পানির রিহাইড্রেশন খুব জরুরি! তবে এটাও মনে রাখতে হবে শুধু পানি অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে! সে জন্য ওর-স্যালাইন উপকারী!

যদি হিট এক্সহশন এর ঠিকমতো চিকিৎসা করা না যায় - অথবা ডায়াগনোসিস করা না যায় - হিট স্ট্রোক হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি!

যদি দেখেন স্কিন শুকনা লাল হয়ে গিয়েছে; ঘাম হচ্ছে না - পালস হাই হয়ে গিয়েছে - রুগী উল্টা পাল্টা কথা বলছে অথবা কোন কথা বলছে না অথবা রুগী অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে - হিট স্ট্রোক সন্দেহ করুন! এর পরের ধাপে একের পর এক অর্গান ফেইল করা শুরু করবে! প্রথমে ব্রেইন এর নিউরোন গুলো ড্যামেজ হবে - এর পর আমাদের লিভার ও রক্রনালীর সেল গুলোর ড্যামেজ শুরু হবে! ইভেঞ্চুয়ালি সব অর্গান ই ফেইল করবে! রুগী এই অবস্থায় পৌঁছে গেলে উপরের স্টেপ গুলো তো নিতে হবেই - যত দ্রুত সম্ভব আইসিইউ আছে এমন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে!

তবে রুগীকে ঢাকা পাঠানোর নামে আরো দশ ঘন্টা গরমের মধ্যে ঢাকার পথে ট্রাফিক জামে ফেলে রাখার কোন মানে হয় না!
আপনার স্থানীয় ঔষধের দোকানের স্বত্বাধিকারীকে বলুন কিছু স্যালাইন এর ব্যাগ ফ্রিজে রেখে দিতে ( ডিপ ফ্রিজ নয়)! রুগীকে ওই ঠান্ডা স্যালাইন ইন্টারভিনাস দিতে পারলেও অনেক কাজ হবে!

তবে মূল লক্ষ্য টা হবে কেউই যাতে হিট এক্সহশন পর্যায়ে না যায়! ঘরের বাইরে যেতে হলে - সাথে বড় ঠান্ডা পানির ফ্লাস্ক বা বোতল রাখুন এবং কিছু পরপর পানি খেয়ে মুখ ভিজিয়ে রাখুন!
শিশুরা যারা বাইরে স্কুলে যায়. মাঠে দৌড়া দৌড়ি করে তাদের কে স্কুলে না পাঠানোই ভালো! স্কুলে তো আর এসি নেই! বেশি রিস্কি গরম পড়লে স্কুল বন্ধ করে দেয়াই ভালো! আমি শিউর না এখন দেশের স্কুল গুলো রোজার জন্য বন্ধ কিনা!
যত হালকা পাতলা খোলামেলা পোশাক পরা যায় তত ভালো! তবে আমাদের ধর্মীয় রক্ষণশীল সমাজে মহিলাদের জন্য এই এডভাইস টা তো প্র্যাকটিকাল না! ওনাদের এই সময়গুলোতে ঘরের বাইরে বের না হওয়াটাই সেফ! আরেকটা কথা মহিলারা কিন্তু ঘরের ভিতরে রান্না ঘরে একটা রিস্কি এনভায়রনমেন্ট আছেন! গরমের দিন রান্না ঘরের তাপমাত্রা অন্যান্য রুমের চেয়ে অনেক বেশি! এই ব্যাপারটাও অনুগ্রহ করে মাথায় রাখবেন!

©
রুমি আহমেদ খান

"Only when the last tree has died and the last river been poisoned and the last fish been caught will we realize we cann...
16/04/2023

"Only when the last tree has died and the last river been poisoned and the last fish been caught will we realize we cannot eat money.” - Nativ American Proverb

"যখন শেষ গাছটি কেটে ফেলা হবে, শেষ মাছটি খেয়ে ফেলা হবে, শেষ জলধারা বিষাক্ত হবে, তখন তুমি বুঝবে টাকা খাওয়া যায় না!" - নেটিভ আমেরিকান প্রবাদ।

© Tufan's Artbin

03/07/2022

সাম্প্রতিক কালে কিছু কিছু ঘটনায় দু'একটা টার্ম বেশ শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একটি হলো পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন। একজন গাইনী স্পেশালিষ্ট হিসেবে পোস্টপার্টাম পিরিয়ডটা আমাদের ডিল করতে হয়। অনেকেই আমাকে অনুরোধ করেছেন, এটা নিয়ে যেনো কিছু লিখি। মূল লেখায় যাওয়ার আগে, দুএকটা ঘটনা বলি।

ঘটনা এক.
হাসিখুশি এক মেয়ে। দারুন সুন্দর সাংসারিক বোঝাপড়া। স্বামী স্ত্রী দুজনেই খুব প্ল্যান করে, ডাক্তার দেখিয়ে বাচ্চা নিলেন। প্রথমবারের মতো বাবা মা হতে যাচ্ছে! সে কী উচ্ছ্বাস! বাচ্চা হওয়ার পর দেখা গেলো মেয়েটি বাচ্চাটিকে ছুঁয়েও দেখছে না, সারাক্ষণ হাপুসনয়ন কাঁদছে!

ঘটনা দুই.
কিছুদিন আগেই পত্রিকায় একটা নিউজ হয়েছিলো। একটা বাচ্চা মিসিং। দুদিন আগে মাত্র সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়। মা কেবিনে বাচ্চা নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। কেয়ারগিভার নানী একটু বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন বাচ্চা নাই। পরে বাচ্চাটিকে পাওয়া গেলো হাসপালের পাশেই অন্য এক বিল্ডিংয়ের ছাদে। মৃত। রক্তাক্ত। কেবিন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিলো। কে কাজটি করেছিল? প্রশ্ন রইল।

এতোক্ষণ আমরা যে দুটি ঘটনার কথা শুনলাম, দুটোই পোস্টপার্টাম সাইকিয়াট্রিক ডিসওর্ডারের কেইস। সাধারণত তিন ধরনের সাইকিয়াট্রি ডিসওর্ডার হয়ে থাকে।
এক. পোস্টপার্টাম ব্লু
দুই. পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন
তিন. পোস্টপার্টাম সাইকোসিস

পোস্টপার্টাম সাইকিয়াট্রিক ডিসওর্ডারস
কেনো হয়?
প্রেগন্যান্সিতে নানা ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন দেখা যায়। প্রেগন্যান্সি ওভার হয়ে যাওয়ার পর এই হরমোনগুলো উইথড্র হয়। হরমোনাল উইথড্রয়ালের জন্য নানা ধরনের সাইকিয়াট্রিক সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ও আছে -
ঃ পারিবারিক অশান্তি,
ঃ আনমেট এক্সপেক্টেশন,
ঃ অসুস্থ, ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চা জন্মদান,
ঃ আগে থেকেই বিদ্যমান মানসিক সমস্যা ইত্যাদি

পোস্টপার্টাম সাইকিয়াট্রিক ডিসওর্ডারস সম্বন্ধে বলার আগে চলুন পোস্টপার্টাম বলতে কি বুঝি সেটা জেনে আসি।

বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার পরের সময়টাকে আমরা পোস্ট পারটাম পিরিয়ড বলি। এই সময়ে শতকরা ৮৫ ভাগ নারী কিছু না কিছু সাইকিয়াট্রিক অসুখে ভোগে। এরমধ্যে শতকরা ১৫ ভাগ মারাত্মক হয়।

পোস্টপার্টাম ব্লুঃ
৫০- ৮০% নারী কমবেশি এই সমস্যায় ভুগে থাকে। ডেলিভারির চার থেকে পাঁচতম দিন ব্লুর পিক সময়। এটা তিনটার মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষতিকর। লক্ষ্মণ - খালিখালি কান্নাকাটি করা, মনখারাপ করে থাকা, বাচ্চাকে যত্ন না করা, ইরেটেটিং থাকা, না ঘুমানো ইত্যাদি। তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই দুই সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। তবে পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে বেশি জরুরি এক্ষেত্রে।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনঃ
সাধারণত ডেলিভারির দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ধরা পড়ে। উপরোক্ত উপসর্গের পাশাপাশি নিম্ন লিখিত উপসর্গগুলো দেখা যায় - ক্ষুধামন্দা, স্বাভাবিক কাজকর্মে অনীহা, কোনো কিছুতে আনন্দ খুঁজে না পাওয়া, আত্মহত্যার প্রবনতা ইত্যাদি। এদের পারিবারিক সহযোগিতা ছাড়াও প্রফেশনাল হেল্প মানে যথাযথ চিকিৎসা দরকার পড়ে।

পোস্টপার্টাম সাইকোসিসঃ
তিনটার মধ্যে এটা সবচেয়ে মারাত্মক। শতকরা ১-২ ভাগ নারী এটায় আক্রান্ত হয়। এদের উপরোক্ত উপসর্গের পাশাপাশি ডিল্যুশন, হেলুসিনেশন, সুইসাইড এবং ইনফ্যান্টিসাইড প্রবনতা থাকে। এদের অবশ্যই সাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নিতে হবে। বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার রিস্ক থাকে বিধায় বাচ্চাকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা সরিয়ে রাখতে হয়।

এখন বলেন কেমন বোধ করছেন? সত্যি করে বলেন তো, আমাদের মধ্যে কয়জন জানেন এমনটা যে হয়, হতে পারে? কয়জন জানে কোনোরকম চিকিৎসা ছাড়া শুধুমাত্র পারিবারিক সহযোগিতা সহমর্মিতায় শতকরা আশিভাগ ক্ষেত্রে সেরে উঠা সম্ভব। শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ ক্ষেত্রে প্রফেশনাল হেল্প লাগে। কাজেই আপনার পরিবারে নতুন মায়ের এমন সমস্যা দেখা দিলে ঢং না মনে করে একজন সাইকিয়াট্রি কনসালটেশন নেন আর মা হয়েছে বলে বাচ্চার সব কাজ তাকেই করতে হবে এই বস্তাপচা ধ্যানধারনা বাদ দেন।

দীর্ঘ নয়টা মাস বাচ্চাকে পেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, যখন তখন বমির স্রোতে গোটা পাকস্থলী উগরে দেওয়া, গর্ভকালীন নানা সমস্যায় পর্যদুস্ত হয়ে যেই না মা বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আনলো; ওমনি পড়লো হতচ্ছাড়া পোস্টপার্টাম ডিসওর্ডারের খপ্পরে! এইটা কোনো কথা! বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়েও কী কম হ্যাপা পোহাতে হয়! হয় পেট কাটো নাহয় জন্মপথ ছিড়ো! তাছাড়াও বাচ্চার টাইম টু টাইম যত্ন, যত্ন নিতে না পারলে নানা কটুকথার মধু বর্ষণ তো আছেই।

সব মিলিয়ে এক অবর্ণনীয় অবস্থা! নারী ভেসে যায় মানসিক বিপর্যয়ের প্রলয়ঙ্কারী সুনামিতে। জানো তো, সুনামি যখন আসে নারী কিন্তু একা ভাসে না, সাথে করে সবাইকে ভাসিয়েও নিয়ে যায় । যদি ভাসাতে না চাও, ভাসতে না চাও, এখনি তার হাতটা ধরো। বাচ্চার মা জননীটিকে বলো,

অনেক সয়েছো তুমি, বেড়েছে কেবল আমাদের ঋণ,
এবার মোদের দেবার পালা, বিশ্রামে তোমার কাটুক দিন।

©
ডা. ছাবিকুন নাহার

যে ওষুধগুলো নিষিদ্ধ হয়েছে - Tab. FinixTab. Rabe 20Tab. Rebeca 20 Tab. Acifix 20Tab. Paricel 20(Rabeprazole) Tab.Kontabএস...
16/05/2022

যে ওষুধগুলো নিষিদ্ধ হয়েছে -

Tab. Finix
Tab. Rabe 20
Tab. Rebeca 20
Tab. Acifix 20
Tab. Paricel 20
(Rabeprazole)

Tab.Kontab

এসব ওষুধের পরিবর্তে কোন ওষুধটি খাবেন সেইটা আপনার চিকিৎসক হতে জেনে নিন।

আপাতত চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব না হলে এগুলার পরিবর্তে Omeprazole / Esomaprazole খেতে পারেন।

বি.দ্রঃ গর্ভবতী মায়েরা Omeprazole খাবেন না।

Life is very much unpredictable.
14/05/2022

Life is very much unpredictable.

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ehtesham Shahid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ehtesham Shahid:

Share

Category