10/10/2025
🕌 সুরা আল-বাকারা পাঠে জ্বীন বিতাড়িত হয় —
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ঘরে সূরা আল-বাকারা পাঠ করা হয়, সেই ঘর থেকে শয়তান (জ্বীন) পালিয়ে যায়।”
(সহীহ মুসলিম, হা/৭৮০)
🔹 অর্থাৎ, এই সূরা পাঠ জ্বীন-শয়তানের উপস্থিতি দূর করে এবং তাদের কষ্ট দেয়।
🔹 তবে এটি “বিতাড়িত” করে, “হত্যা” করে না।
🕋 রুকইয়া ও কুরআনি আমলের মাধ্যমে জ্বীন শরীর হতে বের হয়ে যায়
রাসূল ﷺ নিজে ও সাহাবাগণ রুকইয়া (কুরআন তেলাওয়াত ও দো’আর মাধ্যমে) ব্যবহার করতেন।
যেমনঃ এক সাহাবি সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করার মাধ্যমে চিকিৎসা দেন, রোগী আল্লাহর শিফা লাভ করে, রাসূল ﷺ তা অনুমোদন করেন।
(সহীহ বুখারী, হা/২১৫৬)
🔹 এটি প্রমাণ করে যে, কুরআন পাঠ ও রুকইয়ার মাধ্যমে জ্বীন শরীর থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
🔥 কিন্তু জ্বীন “হত্যা করা”, “জ্বালিয়ে দেয়া”, “বোতলে বন্দি করা” — এসবের কোনো দলিল নেই
কোনো সহীহ হাদীস বা সালাফদের বর্ণনায় এমন কাজের প্রমাণ পাওয়া যায় না।
বরং এসব দাবিদার অনেক সময় প্রতারণা, জাদু বা শিরকি আমল ব্যবহার করে থাকে।
🔸 আল্লাহ বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আমার বান্দাদের উপর তোমার (শয়তানের) কোনো কর্তৃত্ব নেই।”
(সূরা হিজর ১৫/৪২)
অতএব, বিশ্বাসী মানুষ কুরআন, যিকির ও দো’আর মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে — জ্বীনকে “মেরে ফেলা”র কোনো প্রয়োজন বা অনুমোদন নেই।
✅ সুরা বাকারাহ পাঠে জ্বীন কষ্ট পায় ও পালিয়ে যায় — সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
✅ রুকইয়া ও কুরআনি আমলে জ্বীন শরীর থেকে বের হতে পারে — প্রমাণিত।
✅ কিন্তু জ্বীন “হত্যা করা”, “জ্বালিয়ে দেয়া”, “বন্দি করা” — দলিলবিহীন ও প্রতারণামূলক কথা।
⸻
🏥 সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসার অনন্য প্রতিষ্ঠান
হিজামা এন্ড রুকইয়া ফাউন্ডেশন
🌐 www.HijamaRuqyahBD.com
যোগাযোগ: 01972-668345 (WhatsApp)
01715525747
01704992056