15/03/2025
👨⚕️ ❗বিশেষ সতর্কতামূলক পোস্ট❗
⭕ খেলনা কিংবা ঘড়িতে থাকা ছোট গোলাকৃতির ব্যাটারি (বাটন ব্যাটারি) শিশুদের জন্য চরম বিপজ্জনক একটি বস্তু। বাটন ব্যাটারি গিলে ফেলার ঘটনা একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। ছোট শিশু তার প্রিয় খেলনা কিংবা নতুন কোন জিনিস কৌতূহলবশত মুখে নিয়ে পরখ করতে চায়, যার ফলে অন্ননালীতে এই বিপজ্জনক ব্যাটারি আটকে যাবার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
🤔 বাটন ব্যাটারি গিলে ফেললে কি অসুবিধা হবে?
⭕ অনেক ছোট আকারের ব্যাটারি অন্ননালী অতিক্রম করে পাকস্থলীতে চলে যেতে পারে, তবে ২০ মিলিমিটার বা তারও অধিক ব্যাসের ব্যাটারি অন্ননালীতে আটকে যায়। আটকে যাওয়া এই ব্যাটারির ইলেক্ট্রিক কারেন্ট অন্ননালীর নরম মিউকাস আবারণীকে গলিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ অন্ননালী ছিদ্র হয়ে যাওয়া, শ্বাসনালী ছিদ্র হয়ে Tracheo-oesophageal ফিস্টুলা সৃষ্টি, অন্ননালী সংকুচিত হয়ে খাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি মারাত্মক জটিলতা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এই জটিলতা খুব দ্রুত, অনেক ক্ষেত্রে মাত্র এক-দুইঘন্টা সময়ের মধ্যেই ঘটতে পারে।
শিশুটি বাটন ব্যাটারি না খেয়ে যদি সেটা তার কান বা নাকে প্রবেশ করায় সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে।
🤔 সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে কারা?
⭕ সকল শিশুর ক্ষেত্রে এধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ৬ মাস হতে ৩ বছর বয়সী শিশুরা। গবেষণায় দেখা যায় অন্ননালীতে foreign body আটকে যাওয়ার দূর্ঘটনাকবলিত প্রায় ৮০ ভাগ শিশুই এই বয়সী।
🤔 কি ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ?
🔹খেলনা ভেঙ্গে সহজেই এই ব্যাটারি বের করে আনা যায়, এমন কোন খেলনা ভুলক্রমেও আপনার শিশুকে দিবেন না।
🔹ক্ষুদ্র অংশ সহজেই আলাদা করা যায়, ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এমন খেলনা পরিহার করুন।
🔹ছোট বস্তু গিলে ফেলার সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে আপনার শিশুটিকে সময় নিয়ে শেখান।
🤔 কোন শিশু দূর্ঘটনাবশত বাটন ব্যাটারি গিলে ফেললে কি করবেন?
⭕ যত দ্রুত সম্ভব কালক্ষেপণ না করে, নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক একটি ইমার্জেন্সি চেষ্ট এক্স-রে করুন। অন্ননালীতে আটকে যাওয়া বাটন ব্যাটারি শনাক্ত হলে টারশিয়ারি পর্যায়ের হাসপাতাল (যেমন: মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)-এর ইমার্জেন্সিতে অথবা ইমার্জেন্সি এন্ডোসকোপির ফ্যাসিলিটি আছে এমন কোন নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যান।
ধন্যবাদ।
©Dr. A. N. RAKIB
Healthy Horizons Bangladesh
#স্বাস্থ্যসচেতনতা