26/07/2025
স্ট্রোক প্রতিরোধে শারীরিক ব্যায়াম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী উপায়। এটি শুধু স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় না, বরং সমগ্র স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। নিচে বিস্তারিতভাবে শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:
🧠 স্ট্রোক প্রতিরোধে শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্ব
1. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) স্ট্রোকের প্রধান কারণ। নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
2. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি। শারীরিক ব্যায়াম ইনসুলিন কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
3. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা স্ট্রোকের বড় কারণ। ব্যায়াম মেটাবলিজম বাড়ায় এবং শরীরের চর্বি কমিয়ে ঝুঁকি হ্রাস করে।
4. রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় (LDL কমায়, HDL বাড়ায়)
খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়িয়ে রক্তনালী সুস্থ রাখে।
5. মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
ব্যায়াম করলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত হয়, যা স্ট্রোক প্রতিরোধে কার্যকর।
6. মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ বা উদ্বেগও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ব্যায়াম মন ভালো রাখে ও স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) কমায়।
✅ কোন ধরনের ব্যায়াম ভালো?
ব্যায়ামের ধরনসময়উপকারিতাহাঁটা (Walking)দিনে ৩০ মিনিটসহজ ও কার্যকরজগিং / দৌড়সপ্তাহে ৩-৪ দিনহার্ট সুস্থ রাখেসাইক্লিংনিয়মিতপেশি ও কার্ডিও উপকারসাঁতারসপ্তাহে ২-৩ দিনপুরো শরীরের ব্যায়ামহালকা স্ট্রেচিং ও যোগব্যায়ামপ্রতিদিনরক্ত সঞ্চালন ও স্ট্রেস কমায়
🔔 পরামর্শ:
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করুন।
একটানা না পারলে ভাগ করে ১০-১০ মিনিট করেও করতে পারেন।
শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো, বিশেষ করে বয়স বা অন্য রোগ থাকলে।
সংক্ষিপ্ত বার্তা:
"স্ট্রোক প্রতিরোধে শারীরিক ব্যায়াম একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ ওষুধ। প্রতিদিনের হাঁটা, হালকা দৌড় বা স্ট্রেচিং আপনাকে শুধু স্ট্রোকই নয়, আরও অনেক রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে।"