04/06/2025
ঈদের ছুটির আমেজে এই জৈষ্ঠ মাসে আম সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি।তবে পরিমিত খেতে হবে।বেশি খেলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা ও দেখা দিতে পারে।
আম পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল, তবে পরিমিতভাবে খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য সচেতন থাকা জরুরি। এছাড়া চেষ্টা করুন অপ্রাকৃতিকভাবে পাকানো আম এড়িয়ে চলতে।
✅ আমের উপকারিতা:
1. পুষ্টিগুণে ভরপুর:
আমে ভিটামিন A, C, E, ও B6, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
2. চোখের জন্য ভালো:
ভিটামিন A থাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং রাতকানা প্রতিরোধ করে।
3. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী:
আমে থাকা ভিটামিন C ত্বক উজ্জ্বল করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
4. হজম শক্তি বাড়ায়:
আমে থাকা এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
5. ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে:
ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
6. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক:
আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন বিটা-ক্যারোটিন ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দেয়।
❌ আমের অপকারিতা:
1. চিনি ও ক্যালরি বেশি:
বেশি আম খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
2. রক্তে চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে:
পাকা আমে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
3. অ্যালার্জি হতে পারে:
কারও কারও ক্ষেত্রে আম খেলে ত্বকে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে।
4. কৃত্রিমভাবে পাকানো আম ক্ষতিকর:
ক্যালসিয়াম কারবাইড দিয়ে পাকানো আমে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যহানিকর।
5. গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি বাড়াতে পারে:
অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাস বা পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডা:মু:হাফীজুর রহমান
সহকারী অধ্যাপক
মেডিসিন ও কিডনি বিশেষজ্ঞ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল