Dr.Hafizur Rahman

Dr.Hafizur Rahman কিডনি রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল

07/06/2025
ঈদের ছুটির আমেজে এই জৈষ্ঠ মাসে আম সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি।তবে পরিমিত খেতে হবে।বেশি খেলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা ও দেখা দিতে ...
04/06/2025

ঈদের ছুটির আমেজে এই জৈষ্ঠ মাসে আম সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি।তবে পরিমিত খেতে হবে।বেশি খেলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা ও দেখা দিতে পারে।

আম পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল, তবে পরিমিতভাবে খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য সচেতন থাকা জরুরি। এছাড়া চেষ্টা করুন অপ্রাকৃতিকভাবে পাকানো আম এড়িয়ে চলতে।

✅ আমের উপকারিতা:

1. পুষ্টিগুণে ভরপুর:
আমে ভিটামিন A, C, E, ও B6, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

2. চোখের জন্য ভালো:
ভিটামিন A থাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং রাতকানা প্রতিরোধ করে।

3. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী:
আমে থাকা ভিটামিন C ত্বক উজ্জ্বল করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বক ও চুল ভালো রাখে।

4. হজম শক্তি বাড়ায়:
আমে থাকা এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।

5. ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে:
ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

6. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক:
আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন বিটা-ক্যারোটিন ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দেয়।

❌ আমের অপকারিতা:

1. চিনি ও ক্যালরি বেশি:
বেশি আম খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।

2. রক্তে চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে:
পাকা আমে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

3. অ্যালার্জি হতে পারে:
কারও কারও ক্ষেত্রে আম খেলে ত্বকে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে।

4. কৃত্রিমভাবে পাকানো আম ক্ষতিকর:
ক্যালসিয়াম কারবাইড দিয়ে পাকানো আমে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যহানিকর।

5. গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি বাড়াতে পারে:
অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাস বা পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডা:মু:হাফীজুর রহমান
সহকারী অধ্যাপক
মেডিসিন ও কিডনি বিশেষজ্ঞ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল

13/05/2025
তীব্র গরমে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে নিচের করণীয়গুলো মেনে চলা জরুরি:1. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পা...
11/05/2025

তীব্র গরমে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে নিচের করণীয়গুলো মেনে চলা জরুরি:

1. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়, তা পূরণ করতে ওআরএস বা লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি খেতে পারেন।

2. রোদ এড়িয়ে চলুন: সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে প্রচণ্ড রোদে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। বের হলে ছাতা, টুপি বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

3. হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন: সুতি ও হালকা রঙের কাপড় গরমে আরাম দেয় ও তাপ শোষণ কম করে।

4. পুষ্টিকর ও হালকা খাবার খান: ভাজা-পোড়া ও ভারী খাবার এড়িয়ে ফলমূল, শাকসবজি ও ঠাণ্ডা-তরল খাবার গ্রহণ করুন।

5. বারবার মুখ ধুয়ে নিন: বাইরে থেকে ফিরে এসে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং সম্ভব হলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন।

6. ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখুন: জানালা খোলা রাখুন বা পর্দা ব্যবহার করে সূর্যের তাপ রোধ করুন। ফ্যান বা এসির ব্যবহার করুন।

7. অসুস্থতা দেখা দিলে সতর্ক হোন: ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, জ্বর ইত্যাদি গরমজনিত অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এমন হলে দ্রুত বিশ্রাম নিন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা:মু:হাফীজুর রহমান
সহকারী অধ্যাপক
মেডিসিন ও কিডনি বিশেষজ্ঞ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল

প্রচণ্ড গরমে কিডনি রোগীদের জন্য সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি, কারণ গরমে ডিহাইড্রেশন ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা কিডনির ওপর...
10/05/2025

প্রচণ্ড গরমে কিডনি রোগীদের জন্য সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি, কারণ গরমে ডিহাইড্রেশন ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় দেওয়া হলো:

কিডনি রোগীদের করণীয় (প্রচণ্ড গরমে):

1. পর্যাপ্ত পানি পান করুন – তবে কিডনির অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পানি পান করতে হবে। যারা ডায়ালাইসিস করছেন বা যাদের তরল গ্রহণ সীমিত করা হয়েছে, তাদের অবশ্যই নিয়ন্ত্রিতভাবে পানি পান করতে হবে।

2. গরম এড়িয়ে চলুন – সরাসরি রোদে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়ানো ভালো।

3. হালকা ও ঢিলা পোশাক পরুন – হালকা রঙের সুতি কাপড় বেশি আরামদায়ক এবং তাপ কম শোষণ করে।

4. খাবারে সতর্কতা – অতিরিক্ত লবণ, প্রোটিন বা পটাশিয়ামযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন (যদি চিকিৎসক নিষেধ করে থাকেন)। তাজা ফলমূল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

5. ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখুন – প্রয়োজন হলে ওরস্যালাইন বা নির্ধারিত ইলেক্ট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন, তবে চিকিৎসকের নির্দেশে।

6. ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করুন – যেসব ওষুধ চিকিৎসক দিয়েছেন তা নিয়ম মেনে চালিয়ে যেতে হবে।

7. রক্তচাপ ও রক্তে ক্রিয়েটিনিন মনিটর করুন – প্রয়োজনে ঘন ঘন চেকআপ করুন।

8. কিছু উপসর্গ খেয়াল রাখুন – অতিরিক্ত ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, পা ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।

ডা:মু:হাফীজুর রহমান
সহকারী অধ্যাপক
মেডিসিন ও কিডনি বিশেষজ্ঞ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Hafizur Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Hafizur Rahman:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category