
07/07/2025
বিবাহ আইন
বিয়েকে পাত্র - পাত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক চুক্তি তথা দেওয়ানী চুক্তি বলা হয় । এই চুক্তির বলে নারী - পুরুষ বৈধ দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ হয় । একে অপরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয় ।পারিবারিক আইন অনুসারে বিয়ের জন্য নিম্নে বর্ণিত শর্তগুলো পালন করা আবশ্যিক -
১) প্রস্তাব - সম্মতি- - বর - কনের স্বাধীন সম্মতি থাকতে হবে । অর্থাৎ সম্মতির কথাটি স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে হবে । কাজী ও সাক্ষীগণ নিজ কানে সম্মতির বিষয়টি শুনবেন ।
২) বয়স - ১৯২৯ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের বয়স ১৮ ও ছেলের বয়স ২১ হতে হবে ।
৩) সাক্ষী - দুইজন সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষী থাকতে হবে
৪) দেনমোহর - প্রতিটি মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর থাকতে হবে । মোহরানা স্ত্রীর অধিকার।
৫) রেজিস্ট্রেশন - আইনের বিধানমতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার লিখিত ডকুমেন্টের নাম রেজিস্ট্রেশন । রেজিস্ট্রেশনের কাজটি যার দফতরে সাধিত হয় আইন অনুসারে তার নাম নিকাহ রেজিস্টার। রেজিস্ট্রেশন বিয়ের প্রামাণ্য দলিল । মুসলিম বিবাহ ও তালাক ( নিবন্ধীকরণ ) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রত্যেকটি বিয়ে অবশ্যই এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করতে হবে । যদি কোন মৌলানা বা হুজুর দ্বারা বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় তবে বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বিয়েটি রেজিস্ট্রি করাতে হবে। বিয়ে রেজিস্ট্রি করার দায়িত্ব স্বামীর উপর।
কোর্ট ম্যারেজ
হলফনামায় পক্ষদ্বয়ের ছবি ও পরিচয়সহ সম্মতির বর্ণনা থাকে । মানে হলো তারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক । হলফনামাটি সম্পাদিত হওয়া মাত্র একটি মূল্যবান দলিলে পরিণত হয় । মূলত অপহরণসহ বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার হাত থেকে রেহাই পেতে এই হলফনামা সহায়ক হয় । অনেক ক্ষেত্রে ছেলে - মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক পারিবারিকভাবে স্বীকৃত হয় না । মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় । এমনো দেখা গেছে প্রেমিক যুগল ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দেওয়া হয়েছে । পরবর্তীতে মেয়েকে ফিরিয়ে এনে তাকে ইমোশনালি ব্ল্যাক মেইল করে ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মিথ্যে সাক্ষ্য দিইয়ে জেল খাটানো হয়েছে বা পালিয়ে বিয়ে করে ফেললেও পরবর্তীতে মেয়েকে দিয়ে মিথ্যে সাক্ষ্য দেওয়ার চেষ্টা করানো হয় যে, ছেলেটি সম্মতি ব্যতিরেকে জোর করে তাকে বিয়ে করেছে । এসব পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে সম্মতির ঘোষণা সম্বলিত এফিডেভিট অত্যন্ত কার্যকর ।
কিন্তু মনে রাখতে হবে সম্মতির ঘোষণা সম্বলিত এফিডেভিট মানে পূর্ণাঙ্গ বিয়ে নয় । এফিডেভিট করার পর কাজীর কাছে বিবাহ নিবন্ধন করা না হলে তা বৈধ বিয়ের শর্ত পূরণ করে না । বিয়ে প্রমাণ করার ক্ষেত্রে কাজীর কাছে নিবন্ধিত কাবিননামা বিয়ের মূল দলিল ।
বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।আমাদের ঠিকানা হলো:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কাজী অফিস শাখারী বাজার, ঢাকা জজকোর্ট জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে, ঢাকা ।হোয়াটসঅ্যাপ/ইমু/ মোবাইলঃ 01868-355310
#কাজী_অফিস_ঢাকা_জজকোর্ট
#কাজীঅফিসশাখারীবাজারঢাক
#কাজীঅফিসেবিয়েকরতেকতটাকালাগে
#কোর্টম্যারিজকরতেকীকীলাগে
#কাজীঅফিসেরমোবাইলনাম্বার
#কাজীঅফিসঢাকা
#কোর্টেরমাধ্যমেতালাকাদেওয়ারনিয়ম
#কাজিঅফিসেবিয়েকরারনিয়ম
#কোর্টম্যারিজখরচ
#কাজীঅফিসেবিয়েকরলেকিকিলাগে
#কাজী_অফিস_ঢাকা_জজকোর্ট