
14/10/2024
PILSE - পাইলস্ (অর্শ /গেজ) কি? কেন হয়? এবং চিকিৎসা।
মলদ্বারের বাইরে বা ভেতরের চারিদিকের শিরা গুলি যদি কোন কারণবশত ফুলে ওঠে এবং প্রসারিত হয়ে মটর দানার মত হয়ে যায় তবে তাকে অর্শ বলে।
এই স্ফীত এবং প্রসারিত শিরাগুলোকে বলি বলে।
এ বলি কখনো একটি মাত্রা দেখা যায় আবার কখনো আংগুর ফলের ন্যায় গুচ্ছের মত দেখা যায়।
এই বলি দুই প্রকারের হতে পারে - অন্তর বলি এবং বর্হি বলি।
অন্তর বলি থেকে প্রায় স্রাব হয় কিন্তু বহির্বলি থেকে তেমন একটা রক্ত স্রাব হয় না।
বিভিন্ন কারনে অর্শ রোগ হতে পারে যেমন:
১। কোষ্ঠকাঠিন্য।
২। মলত্যাগে অতিরিক্ত কুন্থন।
৩। উত্তেজক ও উগ্রজাতীয় ওষুধ সেবন।
৪। অলস প্রকৃতির রোগী যারা বসে বসে দিন কাটায়, সর্বদা বসে কাজ করে।
৫। উগ্র মশলা যুক্ত বা তৈলাক্ত খাদ্য গ্রহন।
৬। লিভার সিরোসিস।
৭। অজীর্ন রোগ বা পরিপাক যন্তের বিকলতা।
৮। প্রস্টেট গ্রান্ডের বৃদ্ধি বা মূত্রনালীর পীড়ায় অতিরিক্ত কুন্থন দিয়ে মূত্রত্যাগ।
৯। পূর্ন গর্ভাবস্থায় জরায়ূর উপর চাপ।
১০। পুরাতন আমাশয় রোগ।
১১। বংশগত দোষ।
১২। কৃমি জনিত উপসর্গ।
অর্শ রোগের কিছু লক্ষন:
১। কখনো কখনো বলি গুলো চুলকায়, দপদপ করে এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। কাঁটা বিদ্ধের মত ব্যাথা ও যন্ত্রণা করে।
২। মলদ্বারের শিরাগুলোতে রক্ত জমাট হয়, মলদ্বারে নালী ঘা দেখা দেয় মলত্যাগের সাথে রক্ত স্রাব হয়।
৩। মলদ্বারের ভিতরে ভার বোধ এবং পায়খানার আগে, পরে, বা সময় বেদনা অনুভব। রোগী মনে করে কিছু একটা জিনিস মলদ্বারের ভিতর আটকে আছে।
৪। দুর্বলতা রক্তহীনতা হাত, পা, চোখের পাতায় রস আসে এবং মাথা ধরা উপসর্গ দেখা দেয়।
৫। মলদ্বারে ফোড়া, নালীঘা।
চিকিৎসা : লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনে এই রোগ আরোগ্য করা সম্ভব।
অর্শ রোগের সর্বাধিক ব্যবহৃত কিছু হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ -
Aesculas Hip
Arsenic Alb
Acid Nit
Medorrhinum
Nuv Vom
Sulphur
Millefolium
Hamamelis
Collinsonia
Acid Sulp
Acid Mur
Thuja
Baryta Carb
Calcarea Fluor
Magnesia Phos
Natrum sulph
লক্ষন অনুযায়ী প্রযোজ্য ঔষধ ও মাত্রা নিবার্চন করে সেবন করলে এবং কিছু পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা মেনে চললে এই রোগ থেকে আরগ্য লাভ করা সম্ভব।
ডাঃ ওমর আল আসাদ
বি,এইচ,এম,এস(DU)
আসাদ হোমিও হেলথকেয়ার
০১৮২৮৬২৯৬৪৫