https://www.facebook.com/113545471668141/

Healthroot, Dhaka (2025)

15/10/2025

🌍 World Food Day 2025
“Together for better food, better life, and a better planet.”

Healthroot aims to create a healthier, more sustainable world — where better food means a better future for all. 🌍🤝

14/10/2025

Anti-Inflammatory Foods: প্রদাহ নিরাময়ে সহজ খাদ্যাভ্যাস

প্রথমেই জানতে হবে Inflammation বা প্রদাহ কী?
ইনফ্ল্যামেশন হলো দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা আঘাত, সংক্রমণ বা ক্ষতিকর পদার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে। আমরা একে মানবদেহের "Alarm System" ও বলতে পারি। যখন শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দেয় (যেমন কেটে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, কিংবা স্ট্রেস), তখন আমাদের ইমিউন সিস্টেম এই প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং শরীরকে সুরক্ষা দেয়।

দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস প্রদাহের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। নিত্যদিনের তালিকায় থাকা কিছু খাদ্য প্রদাহজনিত অবস্থাকে ট্রিগার করতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও মারাত্মক করে তুলতে সক্ষম। তাই সুস্থ্য থাকতে হলে জানতে হবে কোন খাবারগুলো Anti-inflammatory( প্রদাহ-নিরামক)

Top Anti-Inflammatory Foods:
প্রাকৃতিকভাবেই Antioxidants, Vitamins, Minerals ও Healthy fat এ ভরপুর খাবার, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এগুলো দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে প্রদাহ কমে, শরীরের সুস্থতা বজায় থাকে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে।

Fatty Fish:
(Salmon, Tuna, Sardines)
এতে রয়েছে প্রচুর Omega-3, যা প্রদাহ কমায় এবং হার্ট ও ব্রেইন হেলথ্ ঠিক রাখে।

Leafy Greens:
(Spinach, kale)
Vitamins ও Antioxidants, প্রদাহ কমায়।

Berries:
(Blueberry, Strawberry, Raspberry)
Antioxidants, প্রদাহ নিরাময়।
Nuts & Seeds:
(Almonds, Flaxseeds, Chia seeds)
Healthy Fat ও Antioxidants, প্রদাহ কমায়।

Whole Grains:
(Oats, Quinoa, Brown Rice)
Rich in Fibers, প্রদাহ কমায়।

Fruits Rich in Vitamin C:
(Orange, Papaya, Kiwi)
Vitaminc C, প্রদাহ কমায়।

পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে কোন খাবারগুলো Pro-Inflammatory যা প্রদাহকে বাড়িয়ে দেয় (যেমন সাদা রুটি,সাদা চাল বা পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, রেড মিট ও প্রসেসড মিট- সসেজ, সালামি, কিংবা অতিরিক্ত আ্যলকোহল পান)।

ছোট ছোট পরিবর্তন, ফল ও শাকসবজি খাওয়া, ফাস্টফুড ও সুগার কমানো, খাদ্যতালিকায় হেলদি ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত রাখা, এই অভ্যাসগুলো প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।

Nuzhat Nuiree Tasnim
Content Writer, Healthroot

13/10/2025

Gut Health: আমাদের শরীরের নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র

আপনি কি জানেন? আমাদের অন্ত্রের ভেতর বাস করা ট্রিলিয়ন ক্ষুদ্র জীবাণু (gut microbiota) আমাদের হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এমনকি মুড ও ঘুম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্যই একে বলা হয় আমাদের শরীরের “নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র”।

Gut Health ভালো রাখার উপকারিতা
হজম শক্তি বৃদ্ধি – খাবার দ্রুত হজম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি – ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কম হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয় – স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন কমায়, মুড ভালো রাখে।
ত্বক ও চুল সুস্থ থাকে – গাট থেকে উৎপন্ন ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সুস্থ রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – ফ্যাট জমা কমায়, মেটাবলিজম ঠিক রাখে।

⚠ Gut Health খারাপ হওয়ার লক্ষণ
বারবার গ্যাস, ফাঁপা, বা পেট ব্যথা
কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
অতিরিক্ত ক্লান্তি বা ঘুম সমস্যা
মানসিক অস্থিরতা, ডিপ্রেশন বা মুড সুইং
ত্বকে ব্রণ বা একজিমার মতো সমস্যা

Gut Health উন্নত করার উপায়
1. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান – শাকসবজি, ফল, ডাল, আস্ত শস্য।
2. প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত করুন – দই, আচার, কেফির, রসুন, কলা, পেঁয়াজ।
3. ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড খাবার কমান।
4. প্রচুর পানি পান করুন (প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস)।
5. স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন – মেডিটেশন, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম।
6. অ্যান্টিবায়োটিক অযথা ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

গাট হেলথ শুধু হজমের সাথে সম্পর্কিত নয়, এটি আমাদের পুরো শরীর ও মনের সুস্থতার সাথে জড়িত। তাই প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক প্রশান্তি, এবং প্রাকৃতিক খাবারের গুরুত্ব দিতে হবে।

Samira Mahajabin
Content Writer

11/10/2025

💙 অপরাজিতা ফুলের চা – স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক পানীয় 💙

প্রকৃতির নীল সৌন্দর্য অপরাজিতা ফুল শুধু চোখের আরামই নয়, আমাদের শরীর ও মনে দেয় অসাধারণ উপকার। এই ফুল দিয়ে তৈরি হারবাল চা এখন জনপ্রিয় একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।

🌸 অপরাজিতা ফুলের চায়ের উপকারিতা:
মানসিক চাপ কমায় – স্নায়ু শান্ত রাখে, ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায় – মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ – শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্স করে, বার্ধক্যের গতি কমায়। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে – ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ত্বক ও চুলের জন্য ভালো – নিয়মিত পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও চুল মজবুত হয়। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

☕ কিভাবে খাবেন?
প্যানে ৪ কাপ পানি নিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে দুটো এলাচ, দুই টুকরো আদা, এক টুকরো দারুচিনি ও পাঁচটি অপরাজিতা ফুল দিয়ে দিন পানিতে। ফুলের নিচের সবুজ অংশ ফেলে তারপর দেবেন। ৫ থেকে ৬ মিনিট ফুটান। এরপর চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কাপে ঢেলে মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন। লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন খাওয়ার আগে। লেবুর রস মেশালে এই চা রঙ বদলে বেগুনি হয়ে যাবে।

✨ প্রতিদিন এক কাপ অপরাজিতা ফুলের চা হতে পারে সুস্থ ও সুন্দর জীবনের প্রাকৃতিক রহস্য।

Samira Mahajabin
Content Writer, Healthroot

#অপরাজিতা #চা #স্বাস্থ্যকর

11/10/2025

🥚 ডিম: উচ্চমানের প্রোটিন ও সমন্বিত পুষ্টির উৎস

ডিমকে অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে ডিমের পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্যগত ভূমিকা এবং হৃদরোগ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরা হলো।

ডিমকে প্রায়ই "মাল্টিভিটামিন" খাবার হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণত একটি মুরগির ডিমের ওজন ৪৫–৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। মানবদেহের বৃদ্ধি এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে ডিমের পুষ্টি উপাদান অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। কম খরচে সহজলভ্য এবং সুস্বাদু হওয়ায় ডিম দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূরীকরণে কার্যকর খাদ্য হিসেবে বিবেচিত।

ডিমের প্রোটিনের জৈবিক মান (Biological Value - BV) ১০০, যা প্রোটিন মান নির্ধারণে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

🍳 পুষ্টি উপাদান

একটি সম্পূর্ণ ডিমে থাকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যেমন —
ভিটামিন A, D, E, B12, ফলেট, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম।

ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যালবুমিন (Albumin), যা উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস — ডিমের মোট ওজনের প্রায় ৬০%।
ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন D, E, A, ফসফোলিপিড, কোলিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড।

ডিম শরীরের টিস্যু গঠন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
ডিমে থাকা কোলিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

❤️ হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল

ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮৬ মি.গ্রা. কোলেস্টেরল থাকে, তাই আগে ধারণা করা হতো এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
তবে আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যজনিত কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রধান কারণ নয়।

বরং স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাটই মূলত কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
American Heart Association (AHA, 2020) এবং Dietary Guidelines for Americans (2020–2025) অনুযায়ী,
সুস্থ ব্যক্তিরা প্রতিদিন একটি সম্পূর্ণ ডিম খেতে পারেন, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে না।

হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও সীমিত পরিমাণে ডিম খেতে পারেন, যদি তাদের খাদ্যতালিকা সুষম হয়,
স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফল অন্তর্ভুক্ত থাকে।
তবে গুরুতর ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ডিম খাওয়া উচিত।

🐔 দেশি না ফার্মের ডিম?

গবেষণায় দেখা যায়, দেশি মুরগির ডিম ও ফার্মের ডিমের মধ্যে পুষ্টিগত পার্থক্য খুবই সামান্য।
ডিমের ওজন যত বেশি, তত বেশি পুষ্টিগুণ থাকে।
তবে অর্গানিক বা ফ্রি-রেঞ্জ মুরগির ডিমে সামান্য বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকতে পারে, যা উপকারী।

ডিম হলো একটি সম্পূর্ণ, পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী খাবার।
এতে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শরীরের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
তবে সর্বদা সিদ্ধ বা পোচ করা ডিম খাওয়া উত্তম, কারণ এতে পুষ্টি সংরক্ষিত থাকে এবং ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি কমে।

✍️ লিখেছেন:
ইশরাৎ জাহান উম্মি
প্রাক্তন ট্রেইনিং ডায়টেশিয়ান, নিউট্রিশনিষ্ট
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

#ডিম #

10/10/2025

কোল্ড ড্রিঙ্কস: সতেজতার আড়ালে নীরব ক্ষতি ❌
গরমের দিনে কিংবা আড্ডায় কোল্ড ড্রিঙ্কস অনেকের প্রথম পছন্দ। শীতলতা, স্বাদ আর মুহূর্তের ফ্রেশ ফিল—এসবের জন্য আমরা হয়তো প্রতিদিনই ওগুলো বেছে নিই। কিন্তু জানো কি, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের ভেতর নীরব ক্ষতি করে চলেছে?

কোল্ড ড্রিঙ্কসের ক্ষতি
১. অতিরিক্ত চিনি
একটা বোতল কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে ১০–১২ চামচ চিনি! এতে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

২. ফাঁকা ক্যালোরি (Empty Calories)
কোল্ড ড্রিঙ্কসে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন—কিছুই নেই। শুধু চিনি আর ক্যালোরি। ফলে:
🔴 শরীরে শক্তি জমা হয় কিন্তু পুষ্টি মেলে না।
🔴 ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ও মনোযোগ কমে যায়।

৩. অ্যাসিডিক প্রভাব
কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড দাঁত ও হাড় দুর্বল করে। দাঁতের এনামেল ক্ষয়, ক্যাভিটি, মাড়ির সমস্যা বাড়ে। ক্যালসিয়াম শোষণ কমে গিয়ে হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৪. ক্যাফেইন আসক্তি
অনেক কোল্ড ড্রিঙ্কসে ক্যাফেইন থাকে।
নিয়মিত খেলে ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ ও হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।

✅ স্বাস্থ্যকর বিকল্প কী হতে পারে?

১. লেবুর শরবত – ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
২. ডাবের পানি – প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট, শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
৩. ফলের স্মুদি / ফ্রেশ জুস – প্রাকৃতিক মিষ্টি ও ফাইবার দেয়।
৪. ইনফিউজড ওয়াটার – পানিতে লেবু, শসা বা পুদিনা দিয়ে সতেজ স্বাদ পেতে পারো।

কোল্ড ড্রিঙ্কস হয়তো মুহূর্তের জন্য তৃষ্ণা মেটায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি করে। একটু সচেতনতা আর স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিলেই শরীর থাকবে সতেজ, আর মন থাকবে প্রফুল্ল।

⚠ মনে রেখো: “এক বোতল ঠান্ডা পানি–ই হতে পারে সেরা কোল্ড ড্রিঙ্ক।”

✍ Nouria Islam Ishad
Content Writer-Healthroot

#কোমলপানীয় #কোকাকোলা #মোজো #পেপসি

10/10/2025

🧠 "A healthy mind is the root of a healthy life . Take care, speak up, and stay kind to yourself."

07/10/2025

🫚 প্রাকৃতিক মশলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকে আমাদের রান্নাঘরে ব্যবহৃত বিভিন্ন মশলা শুধুমাত্র স্বাদ বাড়ায় না, বরং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। প্রতিটি মশলার রয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্য যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।

জেনে নিন কিছু প্রাকৃতিক মশলার স্বাস্থ্য উপকারিতা:-
১। লবঙ্গ (Cloves)
ব্যথানাশক, নাসা-ম্লানকারী, জীবাণুনাশক, পরজীবী নাশক, বিষ নিরোধক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ঘাম কমানো, অ্যান্টিসেপ্টিক, গ্যাস উপশমকারী, ডিওডোরেন্ট, হজম সমস্যার উপকারী, রুবেফাসিয়েন্ট, উদ্দীপক, পেটের জন্য সহায়ক।

২। ধনে (Coriander)
মূত্রনালীর সমস্যা (urethritis, cystitis, UTI), চর্মরোগ (urticaria, র‍্যাশ, পোড়া), গলা ব্যথা, বমি, হজম সমস্যা, নাক থেকে রক্ত, কাশি, অ্যালার্জি, হে ফিভার, মাথা ঘোরা, অ্যামেবিক ডাইসেন্টারি।

৩। দারচিনি (Cinnamon)
জ্বর কমানো, অ্যান্টিসেপ্টিক, স্ট্রিংজেন্ট, প্রদাহনাশক, গ্যাস উপশমকারী, ঘাম বৃদ্ধিকারক, ফাঙ্গিসাইডাল, উদ্দীপক, পেটের জন্য সহায়ক।পাউডার করা দারচিনি জল মাথা ব্যথা ও স্নায়ুব্যথা কমায়। আদার সাথে মিশিয়ে হজম ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা হয়।

৪। লংমরিচ/মরিচ (Chilli)
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।

৫। জিরা (Cumin)
আয়রনের ভালো উৎস, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
জিরা ভাজার জল ডাইসেন্টারিতে (পাচনতন্ত্রের সংক্রমণজনিত একটি রোগ)উপকারী।

৬। রসুন (Garlic)
কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধে উপকারী।
অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য আছে।

৭। আদা (Ginger)
হজম সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।
কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধে উপকারী।

৮। সরিষা (Mustard)
সরিষার তেল শরীরের মালিশ ও চুলের জন্য ভালো।
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের ভালো উৎস।

৯। হলুদ (Turmeric)
ত্বকের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
হলুদ গুঁড়া কেটে যাওয়া ক্ষত ও জখম সারাতে ব্যবহার করা যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

প্রাকৃতিক মশলাগুলো আমাদের রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারে এই মশলাগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার স্বাস্থ্য হবে আরও শক্তিশালী, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং দৈনন্দিন জীবন আরও সুস্থ ও আনন্দময় হবে।

05/10/2025

বীজজাতীয় খাবার: কিডনি রোগীদের জন্য কতটা উপযোগী বা ঝুঁকিপূর্ণ?

কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ; যা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত খনিজ উপাদান ফিল্টার করে বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন অনেক সাধারণ খাবারই শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বীজযুক্ত খাবার (যেমন ফলের বীজ, বাদাম, ডাল, শস্য ইত্যাদি) পুষ্টিতে ভরপুর হলেও, কিডনি রোগীদের জন্য সব সময় উপযোগী নাও হতে পারে।
বেশিরভাগ বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (ওমেগা-৩), ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যেমন- পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানগুলো সাধারণভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও, কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যেমন পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে, এমনকি হৃৎস্পন্দন বন্ধও হতে পারে। ফসফরাস জমে গিয়ে হাড় ক্ষয়, ত্বকের চুলকানি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত প্রোটিন রক্তে ইউরিয়া বাড়িয়ে দেয়; যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, সব বীজযুক্ত খাবারই কি কিডনি রোগীর জন্য অনুপযুক্ত? উত্তর হচ্ছে না, সব বীজযুক্ত খাবারই কিডনি রোগীর জন্য অনুপযুক্ত নয়। তবে কিডনি রোগীর অবস্থা (যেমন: কিডনির কার্যকারিতা কতটা কমেছে, ডায়ালাইসিসে আছে কিনা, পটাশিয়াম বা ফসফরাসের মাত্রা বেড়েছে কিনা) অনুযায়ী কিছু বীজযুক্ত খাবার সীমিত করতে হয় বা এড়িয়ে চলতে হয়।
উচ্চ পটাশিয়াম যুক্ত বীজযুক্ত খাবার যেমন পাকা কলা, বেল, খেজুর, বরবটি সেদ্ধ, মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ, বীটরুট, রসুন, কচু জাতীয় খাবার কিডনি রোগীকে এড়িয়ে চলতে হয়।

সব বীজজাতীয় খাবার কিডনি রোগীর জন্য ক্ষতিকর নয়। রোগীর কিডনির কার্যকারিতা, ডায়ালাইসিস প্রয়োজনীয়তা ও রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা অনুযায়ী খাদ্য নির্বাচন করতে হয়। তাই কোনো বীজজাতীয় খাবার গ্রহণ করা যাবে এবং কতটুকু পরিমাণে তা নির্ধারণ করবেন একজন প্রশিক্ষিত ডায়েটিশিয়ান বা নিউট্রিশনিস্ট।

লেখক:
ইশরাৎ জাহান উম্মি
ট্রেইনিং ডায়টেশিয়ান/নিউট্রিশনিস্ট
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল
এডভাইসর, হেলথরুট

#বীজ

05/10/2025

💚 Behind every enlightened mind, there stands a great teacher.
Today, we celebrate those who dedicate their lives to spreading knowledge and shaping futures.

Wishing all educators a very Happy Teachers’ Day!
– With respect and gratitude from Healthroot

04/10/2025

চিনি: আনন্দের স্বাদ নাকি রোগের সূত্রপাত?

চিনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। চা, কফি, মিষ্টি বা কোমল পানীয়—প্রায় প্রতিটি খাবারেই চিনি ব্যবহৃত হয়। পরিমিত পরিমাণে চিনি শরীরের জন্য শক্তির উৎস হলেও অতিরিক্ত চিনি দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে । আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস,স্থুলতা এবং যকৃতের সমস্যা তৈরি করতে পারে ।

প্রথমত, অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্থুলতা বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। চিনি থেকে পাওয়া ক্যালরি দ্রুত শরীরে জমা হয়, কিন্তু এটি দীর্ঘস্থায়ী পেটভরা অনুভূতি দেয় না। বিশেষ করে কোমল পানীয় ও মিষ্টিজাত খাবারে থাকা Fructose শরীরের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনকে প্রভাবিত করে, ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ে । এর ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং স্থুলতার সঙ্গে সম্পর্কিত নানা জটিলতা দেখা দেয় ।

দ্বিতীয়ত, চিনি শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে, যা টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত Fructose যকৃতে জমে চর্বি তৈরি করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় । একই সাথে এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে গাউট এবং কিডনি সমস্যা তৈরি করতে পারে ।

তৃতীয়ত, চিনি সেবন ও হৃদরোগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বেশি চিনি খাওয়া রক্তে ট্রাই‌গ্লিসারাইড এবং LDL কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা HDL কোলেস্টেরল কমায়। এর ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় ।

এছাড়াও, দীর্ঘদিন চিনি সেবন দাঁতের ক্ষয়, ত্বকের অকাল বার্ধক্য ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে । যদিও সীমিত মাত্রায় চিনি ক্ষতিকর নয়, নিয়মিত ও অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।

স্বাস্থ্যকর বিকল্প ও অতিরিক্ত সেবনের প্রভাব

অনেক মানুষ স্বাস্থ্যকর বিকল্প যেমন মধু, খেজুর, জাগরি, স্টিভিয়া বা নারকেল চিনি ব্যবহার করে। এগুলোতে কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই তুলনামূলকভাবে বেশি “প্রাকৃতিক” মনে হয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে এগুলোও ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, দাঁতের সমস্যা এবং এমনকি লিভারের উপর চাপ তৈরি করতে পারে । স্টিভিয়া বা অন্যান্য ক্যালোরি‑হীন বিকল্প অতিরিক্ত হলে হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা মিষ্টির প্রতি আসক্তি বাড়াতে পারে । তাই স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলেও মোডারেশন বা পরিমিতি বজায় রাখা জরুরি।

সবশেষে বলা যায়, চিনি সরাসরি চোখে পড়ার মতো ক্ষতি না করলেও ধীরে ধীরে শরীরে নানা জটিল রোগ তৈরি করে। স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের উচিত মিষ্টিজাত খাবার ও কোমল পানীয় সীমিত করা এবং প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ফলমূল থেকে শক্তি গ্রহণ করা। পরিমিত চিনি বা বিকল্প খাওয়া জীবনকে মিষ্টি রাখে, তবে অতিরিক্ত সেবন জীবনকে ক্ষতিকর করে তুলতে পারে ।

©Healthroot 2025 Copyright Reserved.

Marufa Jannat Munia
Content writer, Healthroot

03/10/2025

অ্যানথাক্স ; গবাদীপশুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ এক রোগ _ জেনে নিন বিস্তারিত_Healthroot

Healthroot

15/10/2025

14/10/2025

13/10/2025

11/10/2025

11/10/2025

10/10/2025

10/10/2025

07/10/2025

05/10/2025

05/10/2025

04/10/2025

03/10/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category