Phyco logy

Phyco logy Heal Your Soul

ব্রিটিশ আমলে দিল্লিতে প্রচুর বিষধর কোবরা ছিল। মানুষকে রক্ষা করতে সরকার ঘোষণা দিল:“যে মৃত কোবরা জমা দেবে, পুরস্কার পাবে।”...
26/09/2025

ব্রিটিশ আমলে দিল্লিতে প্রচুর বিষধর কোবরা ছিল। মানুষকে রক্ষা করতে সরকার ঘোষণা দিল:
“যে মৃত কোবরা জমা দেবে, পুরস্কার পাবে।”

প্রথমে পরিকল্পনাটা কাজ করল, অনেক সাপ মারা গেল।

কিন্তু এরপর ঘটল অদ্ভুত কাহিনি!

লোকজন টাকা রোজগারের জন্য বাসায় কোবরা পোষা শুরু করল, যেন পরে মেরে পুরস্কার পাওয়া যায়।

সরকার যখন এই চালাকি ধরে ফেলল, পুরস্কার বন্ধ করে দিল।

তখন সবাই কোবরা ছেড়ে দিল রাস্তায়—আর শহরে সাপের সংখ্যা হয়ে গেল আগের চেয়েও বেশি!

এই ঘটনাই আজকে আমরা বলি—“কোবরা ইফেক্ট”।

যে সমাধান সমস্যার সমাধান করে না, বরং সেটাকেই আরও ভয়ংকর করে তোলে।(Collected )

"চা বেচে অমুক দিনে ১০ হাজার কামাচ্ছে""বেগুনের খেত করে মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম""চাকরি ছেড়ে গোবর ছেনে কোটিপতি"এসব গল্প এখন অ...
14/06/2025

"চা বেচে অমুক দিনে ১০ হাজার কামাচ্ছে"
"বেগুনের খেত করে মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম"
"চাকরি ছেড়ে গোবর ছেনে কোটিপতি"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়।

তরুণদের জন্য পরামর্শ, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা — আমাদের বয়সী একজন — ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেল, এখন হাউমাউ করে মরছে।

আপনি যাই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি। রিকশাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে স্যালারি মাত্র ১৫ হাজার — ভিউ শিকারীরা আপনাকে এটুকুই বলবে।

এবার পরের হিসাবটা! ভাবুন, ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায় বা নিদেনপক্ষে আর একটু বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিক্যালি পসিবল? রোদ, বৃষ্টি তো আছেই, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই।

কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই।

আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো আগে ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে চা বেচবেন, চাকরির ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ৩০ বছর আপনি কাপ পিরিচ আর চুলা নিয়ে চা বানাতে রাজি আছেন কিনা।

লাইফস্টাইলের ব্যাপার তো আছেই। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিল না, তখন আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ি কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে গাড়ির ভূমিকা কি? গাড়ি চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন?

চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বি-টু-বি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে।

কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় বাদামের ঝুড়ি নিয়ে দাঁড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের ফুচকাওয়ালা, আইসক্রিম বিক্রেতা ইত্যাদি। ওই ফুচকাওয়ালার ওই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে তার সব মাল বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মতো তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশের মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই।

মনে রাখবেন, Your network is your net-worth. আর ওই সমস্ত পেশায় যে খুব বেশি ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। খবরের শিরোনামে লেখা "চাকরি ছেড়ে বেগুন চাষে লাখপতি", ভিতরে থাকে ১ বছরে আয় সর্বসাকুল্যে ৩ লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে মাত্র ২৫ হাজার টাকা কামায়, এটা নিয়ে আবার নিউজও হয়!

তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতি বছর মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এসব নিউজ করে। গত ৫ বছরে নিউজ তো কম দেখেননি, আইফোন হাতে চানাচুরওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে চটপটি বিক্রেতা, আরো কত কি! প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনও কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে?

কোনো কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়। আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্ল্যান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, চানাচুর বেচে ওই ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।

©unknown

“সবাই সফলতা দেখে। চাকরি পাওয়ার আগে সেই লড়াইটা কেউ দেখে না...”নির্ঘুম রাত, বইয়ের স্তূপ, বারবার হতাশ হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেল...
19/05/2025

“সবাই সফলতা দেখে। চাকরি পাওয়ার আগে সেই লড়াইটা কেউ দেখে না...”

নির্ঘুম রাত, বইয়ের স্তূপ, বারবার হতাশ হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মুহূর্তগুলো—এটাই একজন স্বপ্নবাজ তরুণ বা তরুণীর প্রতিদিনের গল্প।

চোখের নিচে কালি পড়ে, শরীরের চেয়ে মনটাই বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
তবুও থেমে যায় না কেউ, কারণ—এই লড়াইটা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য।

চাকরি পাওয়ার পর সবাই শুধুই সাফল্য দেখে। কেউ দেখে না এই অজস্র ‘না-পাওয়ার’ কষ্ট, চোখের পানি, একাকীত্ব আর হতাশার রাতগুলো।
এমনকি খুব কাছের মানুষগুলোও কখনো বুঝে না এই যন্ত্রণা।

যারা এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছেন, নিজের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন, আপনার এই স্ট্রাগল একদিন গল্প হবে, অনুপ্রেরণা হবে।

হাল ছাড়বেন না। আপনার সময় আসবেই।(Collected )
🤍

সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলেই বড় হয়েছি আমি। কারণ সেটাই আমাদের আসল কাজ—যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকা আর যেখানে যখন দরকার, সেখ...
06/03/2025

সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলেই বড় হয়েছি আমি। কারণ সেটাই আমাদের আসল কাজ—যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকা আর যেখানে যখন দরকার, সেখানে যুদ্ধ করা। প্লেইন এন্ড সিম্পল। দেশের মাটিতে হোক বা বিদেশে, ইউএন পিসকিপিং মিশনে, যুদ্ধ তো করতেই হয়েছে। কিন্তু একটা মজার ব্যাপার হলো, যুদ্ধ যতটা শারীরিক মনে হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি মানসিক।

এই মানসিক যুদ্ধের আসল ব্যাপারটা পুরোপুরি দেখলাম প্রাইভেট সেক্টরে এসে। যুদ্ধের যত স্ট্র্যাটেজি আছে, তার প্রায় সবকটাই এখানে কাজে লাগে। প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ, প্রতিদিন নতুন কৌশল। তখন মনে হলো, প্রাইভেট সেক্টরে আমাদের কোন যুদ্ধের বইটা পড়া দরকার?

The Art of War-এর সঙ্গে পরিচয় আমার "স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি এন্ড ট্যাকটিস" এ। প্রায় ২৫ বছর আগে। একদিন কারও মুখে একটা লাইন শুনলাম—“যুদ্ধ জেতা হয় আসলে যুদ্ধের আগেই।” কথাটা শুনে মাথায় বাজ পড়ার মতো হলো। এটা তো শুধু যুদ্ধের জন্য না, লাইফের সব ক্ষেত্রেই সত্যি! তখনই বইটা পড়া শুরু করলাম, ভেবে যে এটা পুরনো মিলিটারি স্ট্র্যাটেজির ওপর লেখা। কিন্তু যত পড়লাম, তত বুঝলাম, The Art of War শুধু যুদ্ধ নিয়ে না—এটা জীবন, সিদ্ধান্ত নেওয়া, লিডারশিপ আর কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের ওপর এক অসাধারণ গাইডলাইন।

বইটা থেকে কিছু দারুণ শিক্ষা পেয়েছি, যা যে-কেউ কাজে লাগাতে পারে—হোক সে টিম লিডার, একজন স্টুডেন্ট, বা নিজের জীবনের কঠিন সময় পার করছে। তার মধ্যে সাতটা বিষয় আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে:

১. যুদ্ধ জেতা হয় প্রস্তুতির সময়েই

সান জু বারবার একটা কথাই বলেছেন—“যুদ্ধের ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়।” মানে, প্রস্তুতি ছাড়া কিছুই সম্ভব না। আমি নিজেও অনেকবার ভাবতাম, “একটা ইন্টারভিউ, দেখা যাবে,” বা “এই ডিসকাশন সামলানো যাবে,” কিন্তু সান জু বলছেন—এভাবে কিছু হয় না। যে যত ভালো প্রস্তুতি নেয়, সে তত বেশি কন্ট্রোল রাখতে পারে। একবার আমার এক বস একই চিঠি ২১ বার ড্রাফ্ট করিয়েছিলেন। হয়তোবা এজন্যই এখন একটু আধটু লিখতে পারি।

২. সেরা যুদ্ধ হলো যেটা তোমাকে লড়তেই হয়নি

এটা শোনার পর আমার পুরো কনসেপ্ট বদলে গেল। এতদিন ভাবতাম, চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ে গেলে লড়াই করাই আসল শক্তি। কিন্তু সান জু বলছেন, “সেরা জেনারেল সেই, যে যুদ্ধ ছাড়াই জিতে যায়।” মানে, স্মার্টনেস, ডিপ্লোম্যাসি, আর স্ট্র্যাটেজি যদি ঠিক থাকে, তাহলে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ এড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এটা অফিস পলিটিক্স থেকে শুরু করে পার্সোনাল লাইফ, সবখানেই সত্যি। অফিসে যেকোনো পরিস্থিতি ঘটার আগেই সামাল দেওয়াটাই মুন্সিয়ানার লক্ষণ।

৩. নিজেকে জানো, প্রতিপক্ষকে জানো

সান জুর একটা বিখ্যাত উক্তি—“যদি তুমি নিজের আর শত্রুর শক্তি-দুর্বলতা জানো, তাহলে শত যুদ্ধেও হারবে না।” এটা আমার জীবনে অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে। অনেক সময় আমরা নিজেদের ক্যাপাবিলিটি বুঝতে পারি না, আবার প্রতিপক্ষ বা সমস্যার আসল চেহারাটাও ধরতে পারি না। অথচ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—নিজের সীমাবদ্ধতা আর শক্তি জানা, সাথে বিপক্ষের অবস্থান বোঝা। যেমন, স্বাতী ভাবে পৃথিবীর সবাই আমাকে ঠকায়। এটা আমার একটা সীমাবদ্ধতা।

৪. বিদ্যুৎ গতিতে পাল্টাও, পরিস্থিতির সাথে বদলাতে শেখো

সান জু বলেন, শক্ত লোহা হয়ে থাকার দরকার নেই, বরং হতে হবে পানির মতো—যেখানে বাধা আসবে, সেখান দিয়ে বয়ে যেতে হবে। অনেক সময় আমরা একটা প্ল্যানে এতটাই আটকে থাকি যে, পরিবর্তন দরকার হলেও মানতে পারি না। অথচ লাইফের আসল বিজয়ীরা তারাই, যারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। স্বাতীর ইভাল্যুয়েশন: আমি নাকি গিরগিটি!

৫. যখন শক্তিশালী, তখন দুর্বল দেখাও; যখন দুর্বল, তখন শক্তিশালী দেখাও

এটা বইয়ের চমৎকার স্মার্ট একটা শিক্ষা। অনেক সময় নিজেকে দুর্বল দেখানোই বেস্ট স্ট্র্যাটেজি—যাতে অন্যরা তোমাকে অবমূল্যায়ন করে, আর তোমার আসল পরিকল্পনা বুঝতে না পারে। আবার কখনো নিজেকে শক্তিশালী দেখানো দরকার, যাতে তোমার প্রতিপক্ষ ভয় পায়। এটা লিডারশিপ, নেগোশিয়েশন, এমনকি পার্সোনাল লাইফেও কাজে লাগে।

৬. ইমোশন কন্ট্রোল করতে না পারলে, তুমি হেরে গেছ

সান জু স্পষ্ট বলছেন—ক্রোধ, ভয় বা অহংকার যদি তোমার সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তুমি যুদ্ধের আগেই হেরে গেছ। এটা শুনে নিজের কিছু বাজে সিদ্ধান্তের কথা মনে পড়লো—যেগুলো ইমোশন দিয়ে চালিত হয়ে নিয়েছিলাম, আর পরে আফসোস করেছি। লাইফে একধাপ এগোতে হলে, ইমোশনকে বশে আনতেই হবে।

৭. লিডার একা কিছুই না, টিমই আসল শক্তি

শেষ যে শিক্ষাটা আমাকে সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে, সেটা হলো—একজন ভালো লিডার মানেই সে একা জিনিয়াস না, বরং সে এমন একজন, যে তার টিমের সেরাটা বের করে আনতে পারে। যদি কোনো টিম খারাপ পারফর্ম করে, তাহলে প্রথমে লিডারের দিকেই তাকানো উচিত। এটা শুধুমাত্র ওয়ার্কপ্লেস না, ফ্যামিলি বা ফ্রেন্ড সার্কেলেও সত্যি। আমার টিমের প্রতি আমার একটাই কথা, কাজের ক্রেডিট তোমার, আর সঠিক ইনটেনশন নিয়ে কাজটা করতে গিয়ে ঘাপলা হলে দায়-দায়িত্ব আমার।

এই সাতটা লেসন শুধু যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য না, লাইফের সব জায়গায় কাজে লাগানো যায়। যুদ্ধ মানেই শুধু আর্মস আম্যুনেশন নিয়ে নামা না, বরং স্ট্র্যাটেজি, ধৈর্য আর বুদ্ধিমত্তার খেলা। The Art of War আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে—কখন যুদ্ধ করতে হবে, আর কখন সেটা এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

তবে আমার বন্ধুদের মতামত হচ্ছে, সামরিক বাহিনীতে থাকার সময় আমার চেহারা, আচরণ, কার্যকলাপ ইত্যাদি সনাতন সামরিক স্টাইলে মিলতো না বলে যুদ্ধের আগেই ডিসেপশন বলয় নিয়ে সন্ধিহান থাকত তারা। স্বাতীরও একই ধারণা। এই ব্যাপারটা এখনো বের করতে পারিনি আমি। তাদের কথা, আমার চেহারার সাথে নাকি একশন মেলেনা। এটাই নাকি সবচেয়ে বড় ডিসেপশন।

(কমেন্টে অন্যান্য লেখা)
🤍

23/02/2025

আমি শয়নগৃহে, চারপায়ীর উপর বসিয়া, হুঁকা হাতে ঝিমাইতেছিলাম। একটু মিটমিট করিয়া ক্ষুদ্র আলো জ্বলিতেছে-দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে। আহার প্রস্তুত হয় নাই-এজন্য হুঁকা হাতে, নিমীলিতলোচনে আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম তবে ওয়াটার্লু জিতিতে পারিতাম কি না। এমত সময়ে একটি ক্ষুদ্র শব্দ হইল, ‘মেও’! (বিড়াল – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

কবি,লেখক, উপন্যাসিক অনেকেই বিড়ালকে নিয়ে অনেক কল্পিত কথোপকথন, তাদের চিন্তাচেতনা তুলে ধরেছেন তাদের লেখনীতে। আজকে সেই বিড়াল পালনের শারীরিক সুবিধা সম্পর্কে জানবো।

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়ালের কদর সবচেয়ে বেশি। বিড়াল শান্তশিষ্ট প্রাণী, তার মেজাজ-মর্জিও অন্যসব পোষা প্রাণী থেকে আলাদা। বিড়ালের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ যুগ যুগ ধরে অব্যাহত। ঠিক কবে থেকে বিড়ালকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখার প্রচলন শুরু হয়, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। প্রাক-ইসলামি যুগ থেকে শুরু করে নবী করিম (সা.)-এর জামানায় অনেকেই বিড়াল পুষতেন। অনেকেই বিড়াল পালন করতে যেমন আগ্রহী অনেকেই আবার নাক সিটকান। আসলে বিড়াল পালনের উপকারীতা কিন্তু অনেক।

◼️ বিড়াল স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কারণ বিড়াল পোষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমানো যায়। যারা বিড়াল পোষেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের থেকে ৩০ শতাংশ কম।

◼️ বিড়াল উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

◼️ বিড়াল এলার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। ২০০২ সালে ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউটের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, এক বছরের নিচের যেসব শিশু বিড়ালের প্রেমে মগ্ন থাকে, তাদের বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি হবার সম্ভাবনা কম।

◼️ বিড়াল মানসিক চাপ কমায় কারণ বিড়াল আপনার শরীরের কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কর্টিসল হল এক ধরণের রাসায়নিক- যা মানসিক চাপে থাকলে নির্গত হয়। এর মাত্রা যখন কম থাকবে তখন আপনি ভালো বোধ করবেন। অপেক্ষাকৃত কম চাপ বোধ করবেন।

◼️ বিড়ালের উপস্থিতিতে ঘুম ভালো হয়। মায়োক্লিনিক সেন্টার ফর স্লিপ মেডিসিন কর্তৃক ঘুমের সঙ্গী হিসেবে বিড়ালকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল পোষেন এমন ব্যক্তিদের ৪১ শতাংশ মনে করেন, বিড়ালের উপস্থিতিতে তাদের ভালো ঘুম হয়েছে। Science Bee

◼️ বিড়াল ব্যক্তির রাগ, উদ্বেগ কমায়।

◼️ বিড়ালের মিউ মিউ ডাক বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ধ্বনিগুলোর একটি, যা শরীরের পেশী ও অস্থির প্রদাহ নিরাময়ে থেরাপির মতো কাজ করে।

◼️ বিড়াল মুড ভালো রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। কখনো যদি খারাপ বোধ করেন, আপনার বিড়ালের সঙ্গে খেলা করুন। তার যত্ন নিন। এর মাধ্যমে আপনার শরীরে সেরোটোনিন নির্গত হবে। সেরোটোনিন হল এক ধরণের রাসায়নিক- যা উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে।

◼️ একাকিত্ব কোন পরিস্থিতিতেই ভালো নয়,বিড়াল আপনার একাকিত্ব দূর করতে পারে।

◼️ অটিস্টিক শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য বিড়াল খুবই কার্যকরী, বিড়াল সারাদিন তাদের সাথে খেলবে এতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব গবেষণায় এমন বিষয়ই উঠে এসেছে।

◼️ বাড়িতে ইঁদুর থাকলে বিভিন্ন খাবারের উপর জীবানু ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে,ফলে স্বাস্থ্যঝুকিতে পরতে হতে পারে। বিড়াল ঘরে থাকলে ইদুরের উপদ্রব কমে৷

◼️ বিড়াল শিশুদের সংক্রমণ সক্ষমতা বাড়ায় ফলে বড় হয়ে ইনফেকশন কম হয়।

পরিশেষে বিড়াল আপনার অবসর সময়ের খুব ভালো একজন বন্ধু ও সঙ্গী হতে পারে, যা আপনাকে আনন্দ ও প্রশান্তি এনে দেবে। যারা বিড়াল পালন করে তারা কম রোগে ভোগে অর্থাৎ তুলনামূলক বেশি সুস্থ থাকে। তবে বিড়াল পালনে যে অসুবিধা নেই এটা বললেও ভুল হবে। ভালো-মন্দ মিলিয়েই দুনিয়া। তাই বিড়াল পালন করবেন কী করবেন না দিন শেষে তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত!

লেখকঃ আনিকা আনতারা প্রধান | Team Science Bee

জীবনের কঠিন সময়গুলোতে নিজেকে গোপন রাখাই ভালো। নিজের দুঃখ কষ্ট কাউকে না দেখানোই উত্তম।জীবনে যদি কখনও খুব খারাপ সময় আসে, ত...
04/02/2025

জীবনের কঠিন সময়গুলোতে নিজেকে গোপন রাখাই ভালো। নিজের দুঃখ কষ্ট কাউকে না দেখানোই উত্তম।

জীবনে যদি কখনও খুব খারাপ সময় আসে, তাহলে নিজের দুঃখ কষ্টগুলো নিজের মাঝে এমন ভাবে আড়াল করে রেখো যেনো তোমার গা ঘেঁষে বসে থাকা মানুষটিও টের না পায় গোপনে তুমি ভেঙে গেছো খুব।

পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে মনের বন। আকস্মিক ঝড়ে, ঝরে গেছে জীবন বৃক্ষের সব কয়টি সবুজ পাতা। শক্ত হও। নিজেকে নিজেকে বুঝাও যে এত সামান্য বাতাসে ঝরে যেতে নেই, ভেঙে যেতে নেই অমন হাল্কা আঘাতে।

কান্না পেলে একা একা গোপনে কাঁদো, তবুও নিজের দুঃখের ক্ষতগুলো কাউকে দেখাতে যাবে না। মনে রেখো, যে নিজের জন্য আলো হতে পারে না, পৃথিবীর সমস্ত আলো মিলেও তাকে পথ দেখাতে পারে না।

জানোই তো মানুষ বড় নিষ্ঠুর ও নির্দ্বয়। ভেঙে যাওয়া মৌচাক দেখলে ঢিল মেরে আরও বেশী ভেঙে দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়।

লেখা: সংগৃহীত

02/02/2025

গাছের মত বড় মনের হও
তোমাকে ইট ছুঁড়লে, তুমি ফুল ছুঁড়ে দাও🥀🤍

02/02/2025

চলার পথেঃ

১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।

২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথাগুলো বলতে দ্বিধা করবেন না।

৩. কারো কাছে নিজের সিক্রেট শেয়ার করবেন না বা কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।

৪. অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসা করতে যাবেন না।

৫. পর্ণে আসক্ত হবেন না। এতে করে আপনি ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য সুন্দর জীবন হারাবেন।

৫. পরচর্চা করবেন না। যে ব্যক্তি আপনার সামনে অন্যের নিন্দা করে, সে নিশ্চিতভাবে অন্যের সামনে আপনার নিন্দা করে।

৬. গাধার সাথে তর্ক করতে যাবেন না। তর্কের শুরুতেই গাধা আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে, তারপর আপনাকে সবার সামনে অপদস্থ করবে।

৭. পরে করব ভেবে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। আপনি যদি তা করেন শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভাবনা কাজটি আপনি আর কখনোই করতে পারবেন না।

৮. 'না' বলতে ভয় পাবেন না।

৯. স্ত্রীর কারণে বাবা-মাকে বা বাবা মায়ের কারণে স্ত্রীকে অবহেলা করবেন না।

১০. সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাবেন না। এতে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব হারাবেন।

১১. ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই জীবনে ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে ভয় পাবেন না।

১২. স্মার্টফোনে আসক্ত হবেন না। গুগলে জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না।

১৩. মনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেরি করবেন না। কারণ, এই একটি কাজের বিলম্বের জন্য আপনি সারাজীবন পস্তাতে পারেন।

১৩. রিলেশনসিপে অসুখী হলে সেটা আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, ভেতরে অশান্তি সৃষ্টি করে তা জীবন থেকে দ্রুত মুছে ফেলুন।

১৪. আপনি কখনোই জানেন না যে আপনি স্বপ্নপূরণের ঠিক কতটা কাছাকাছি। তাই, কখনোই লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করবেন না। বেশিরভাগ মানুষ সাফল্য লাভের কাছাকাছি গিয়ে হাল ছেড়ে দেয়।

১৫. অকারণে শত্রু বাড়াবেন না।

১৬. কারো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলবেন না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন না।

১৭. বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে একান্ত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করবেন না। তার সাথে আপনার বিয়ে হবেই বা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইল করবে না এটা আপনি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না।

১৮. যে আপনার কথা শোনার জন্য প্রস্তুত নয়, তাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। সে ঠকবে, ভুল করবে, ধাক্কা খাবে; তারপর একসময় ঠিকই আপনার মূল্য বুঝতে পারবে।

১৯. নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবেন না। যেখানে আপনার সম্মান নেই সেখান থেকে এখনই নিজেকে গুটিয়ে নিন।

২০. টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে প্রিয়জনদের বঞ্চিত করবেন না।

২১. যেটা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আফসোস করবেন না।

#সম্রাট_শাহরিয়ার_দাদু_টিম_মধুদার_আপডেট
🤍

1. Never shake hand while sitting.2. Never talk bad about the food when you are the guest.3. Don't eat the last piece of...
01/02/2025

1. Never shake hand while sitting.

2. Never talk bad about the food when you are the guest.

3. Don't eat the last piece of something you didn't buy.

4. Protect who is behind you and respect who is beside you.

5. Never make the first offer in a negotiation.

6. Don't take credit for the work you didn't do.

7. Dress well, no matter what the occasion.

8. Speak honestly: say what you think and mean what you say.

9. Ask more than you answer.

10. Leave the profane language for the less educated.

11. Avoid placing your phone on the table when eating with someone.

12. Listen, smile and most of all make eye contact.

13. If you're not invited, don't ask to go.

14. Never be ashamed of where you come from.

15. Don't beg for a relationship.

🤍

**দ্য আলকেমিস্ট বই থেকে ১০টি শিক্ষা**  পাওলো কোয়েলহোর বিখ্যাত বই **"দ্য আলকেমিস্ট"** শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং জীবনের ...
30/01/2025

**দ্য আলকেমিস্ট বই থেকে ১০টি শিক্ষা**

পাওলো কোয়েলহোর বিখ্যাত বই **"দ্য আলকেমিস্ট"** শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং জীবনের গভীর শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার এক অনন্য সৃষ্টি। এটি আমাদের স্বপ্নকে অনুসরণ করার, জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার এবং আত্ম-উন্নতির পথ প্রদর্শন করে। নিচে বইটির গুরুত্বপূর্ণ দশটি শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

# # # ১. **নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করা**
জীবনে সফল হতে হলে অবশ্যই নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করতে হবে। বইয়ের প্রধান চরিত্র সান্তিয়াগো তার স্বপ্নপূরণে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবুও সে নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি। এতে বোঝা যায়, স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে বেরিয়ে আসা এবং সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া জীবনের আসল সাফল্যের চাবিকাঠি।

# # # ২. **হৃদয়ের কথা শোনা**
বইটি শেখায়, নিজের হৃদয়ের কথাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত। চলার পথে অন্যদের পরামর্শ মূল্যবান হতে পারে, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের মনের কথা শুনতে হবে। কারণ, নিজের হৃদয়ই জানে প্রকৃতপক্ষে কী চাই।

# # # ৩. **আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে বাস্তবতা মেলানো**
আধ্যাত্মিকতা ও বাস্তবতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে পারলে জীবনের অর্থ আরও গভীর হয়। বইটি মনে করিয়ে দেয়, পৃথিবীর অনেক বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে কারণ মানুষ নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছে এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে।

# # # ৪. **ভয়কে জয় করা**
ভয় মানুষের উন্নতির প্রধান বাধা। সান্তিয়াগোর যাত্রায় দেখা যায়, ভয়কে জয় করেই জীবনের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। ব্যর্থতার ভয়কে পিছনে ফেলে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বইটি খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করে।

# # # ৫. **অধ্যবসায়ের শক্তি**
সাফল্যের জন্য অধ্যবসায় অপরিহার্য। সান্তিয়াগোর অটল অধ্যবসায় ও ধৈর্য তাকে তার স্বপ্নের ধনভাণ্ডার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। জীবনে কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে হলে স্থির লক্ষ্য নিয়ে বারবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

# # # ৬. **ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া**
ভুল হওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়। বরং প্রতিটি ভুল শেখার একটি সুযোগ। সান্তিয়াগো তার ভুলগুলোকে শিক্ষায় পরিণত করে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে গেছে। বইটি শেখায়, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া স্বপ্নপূরণের পথে একটি বড় ধাপ।

# # # ৭. **সত্যকে গ্রহণ করা**
সত্য যত কঠিনই হোক, সেটিকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকা উচিত। বইটির ভাষায়, "সত্যিকারের কোনো কিছু কখনো হারিয়ে যায় না।" সত্যের মুখোমুখি হওয়া আমাদের জীবনের উন্নতিতে সাহায্য করে।

# # # ৮. **ভালোবাসার শক্তি**
ভালোবাসা শুধু আবেগ নয়, এটি স্বপ্নপূরণে প্রেরণা জোগাতে পারে। সান্তিয়াগো ও ফাতিমার ভালোবাসা তাদের স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। সঠিক মানুষের ভালোবাসা জীবনের বড় লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

# # # ৯. **বর্তমানে বাঁচা**
অনেক সময় আমরা ভবিষ্যতের চিন্তায় বর্তমানকে উপেক্ষা করি। অথচ সুখী হতে হলে বর্তমানকে উপভোগ করতে হবে। জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য বর্তমানের মুহূর্তগুলোতেই লুকিয়ে আছে।

# # # ১০. **জীবন একটি যাত্রা**
বইটি জীবনকে একটি চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করেছে। জীবনে পরিবেশ, চাওয়া-পাওয়া সবকিছু পরিবর্তন হবে, কিন্তু যাত্রা চলতে থাকবে। প্রতিটি মুহূর্তকেই মূল্য দেওয়া উচিত।

**উপসংহার:**
*"দ্য আলকেমিস্ট"* বইটি আমাদের জীবনের গভীর অর্থ বোঝায় এবং সাহস, অধ্যবসায়, ভালোবাসা ও স্বপ্নের গুরুত্বকে সামনে আনে। এটি শুধু একটি বই নয়, বরং জীবনের পথপ্রদর্শক।
collected
🤍

চায়না যাতে এআই নিয়ে আগাতে না পারে, সেজন্য চায়নাতে এআই তৈরির কম্পিউটার চিপসের যোগান বন্ধ রেখেছিল অ্যামেরিকা৷ নিজের সবচেয়ে...
28/01/2025

চায়না যাতে এআই নিয়ে আগাতে না পারে, সেজন্য চায়নাতে এআই তৈরির কম্পিউটার চিপসের যোগান বন্ধ রেখেছিল অ্যামেরিকা৷ নিজের সবচেয়ে বড় শত্রুকে আগামি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিটাতে পিছিয়ে রাখাই ছিল পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য।

চায়না বসে থাকেনি৷ সে তার কাছে যা ছিল এবং সে যা জানত, তা দিয়েই কাজে নেমে পড়েছে৷

ফলাফল শেষে দেখা গেল, স্বল্প যোগান আর অল্প অভিজ্ঞতা দিয়ে সে ডীপসিক (DeepSeek) নামে এমন এআই তৈরি করে ফেলেছে, যেটা অ্যামেরিকার এই যাবতকালে তৈরি সেরা এআই চ্যাটজিপিটির সমপর্যায়ের।

মানে, এক লাফে হিমালয়ের চূড়োয় উঠে যাওয়ার মতো ঘটনা৷ সিলিকন ভ্যালিতে পড়ে গেছে শোরগোল। বদলে যাচ্ছে এআই তৈরির খরচ, অভিজ্ঞতা আর প্রযুক্তির ভাড়াম্বর আলাপও।

উপসংহার হলো, আপনার দুনিয়া কারো জন্য থেমে থাকবে না। নিজে যা জানেন আর যেটুকু সামর্থ্য আছে সেটুকু দিয়েই কাজে লেগে পড়েন।
Just do what you can.(Collected)
🤍

হর্স থিওরি (Dead Horse Theory) সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন।এটা এমন  একটি ব্যাঙ্গাত্মক রূপক যা ব্যাখ্যা করে  কিছু ম...
25/01/2025

হর্স থিওরি (Dead Horse Theory) সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন।
এটা এমন একটি ব্যাঙ্গাত্মক রূপক যা ব্যাখ্যা করে কিছু মানুষ, প্রতিষ্ঠান বা জাতি এমন একটি সমস্যা নিয়ে কাজ করে। যেটি সম্পর্কে তারা জ্ঞাত। কিন্তু সত্য মেনে নেওয়ার পরিবর্তে তারা তা অস্বীকার করে এবং এর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।

যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনি একটি মরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আছেন তবে এর সহজ সমাধান হলো তার পিঠ থেকে নেমে যাওয়া।

কিন্তু সেটা না করে তারা আসলে কি করেঃ

১. তারা নতুন স্যাডল নিয়ে আসে ।
২. তারা ঘোড়ার জন্য খাবার নিয়ে আসে।
৩. তারা রাইডার পরিবর্তন করে।
৪. তারা ঘোড়ার যত্ন নেওয়া কর্মীকে বদল করে এবং তার পরিবর্তে নতুন কর্মী নিয়োগ করে।
৫. তারা ঘোড়ার গতি বাড়ানোর জন্য নানা রকমের সভার আয়োজন করে এবং বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়ার ব্যবস্থা করে।
৬. তারা মরা ঘোড়াটি অধ্যয়ন এবং বিশ্লেষণ করার জন্য কমিটি গঠন করে। এই কমিটি মাসব্যাপী কাজ করে এবং তারপর মরা ঘোড়ার সমাধানের জন্য প্রতিবেদন এবং পরামর্শ তৈরি করে।
৭. সরকারী অর্থ লোপাট করার জন্য নতুন বাজেট তৈরি করে।
৮. শেষমেশ কমিটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যা শুরু থেকেই তাদের জানা ছিল "ঘোড়াটি আসলে মরা।"
৯. তবে সমস্ত প্রচেষ্টা, সম্পদ এবং সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তারা মরা ঘোড়াটিকে এবার অন্য মরা ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করে। কেউ বলে এই ঘোড়াটি ভালো ছিলো। কেউ বলে ঐ ঘোড়াটি ভালো ছিলো।
১০. কোনটা ভালো ছিলো আর কোনটা খারাপ ছিলো এই নিয়ে টকশোতে দু দল বাক বিতণ্ডা করে আর সাধারণ মানুষ তা নিয়ে মাতামাতি করে।
১১. অবশেষে তারা "মরা" শব্দটি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে যাতে নিজেদের বোঝাতে পারে যে ঘোড়াটি এখনও জীবিত।

এই তত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা হলো- অনেক মানুষ বাস্তবতা জেনেও অস্বীকার করে এবং নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে অর্থ ও শক্তি দুটোই নষ্ট করে।

© Arif Mahmud
🤍

Address

Dhaka

Telephone

+8801626696404

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Phyco logy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram