হিল্লা বিবাহ মিডিয়া

হিল্লা বিবাহ মিডিয়া Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from হিল্লা বিবাহ মিডিয়া, Marriage Therapist, Mohammedpur, Dhaka.

নিকাহে হালালা (হিল্লা বিবাহ মিডিয়া) পেইজে আপনাকে স্বাগতম, তিন তালাকের পরের বিষয় গুলো নিয়ে জানতে বা যে কোনো প্রশ্ন করতে আমাদের ইনবক্সে ম্যাসেজ করুন, আমাদের মিডিয়ার মধ্যে কোনো রকমের ইসলাম এর আইন ভঙ্গ করে কোনো কাজ করি না, তাই খারাপ মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন

খোলা তালাকের পর স্বামী-স্ত্রী যদি পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান এবং তালাকনামায় যদি তিন তালাকের উল্লেখ না থাকে; বরং এ...
20/03/2025

খোলা তালাকের পর স্বামী-স্ত্রী যদি পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান এবং তালাকনামায় যদি তিন তালাকের উল্লেখ না থাকে; বরং এক তালাক কিংবা দুই তালাকের উল্লেখ থাকে তাহলে নতুন মোহরের সঙ্গে নতুন করে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। (কিতাবুল ফাতাওয়া ৫/১২৯, ১৩০)
কেননা সংখ্যা উল্লেখ না থাকলে খোলা তালাকের কারণে এক তালাক বায়িন সাব্যস্ত হয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ جَعَلَ الْخُلْعَ تَطْلِيقَةً بَائِنَةً
ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ খোলাকে এক তালাকে বায়িন সাব্যস্ত করেছেন। (সুনানে দারাকুতনী ৪০২৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৮৪৪৮ আসসুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী ১৪৮৬৫)
আর যদি তালাকনামায় তিন তালাকের উল্লেখ থাকে তাহলে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পুনরায় একসাথে বসবাস করতে চাইলে স্ত্রীর ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর অন্যত্র তার বিয়ে হতে হবে এবং সে স্বামীর সাথে মিলন হওয়া অপরিহার্য। এরপর কোনো কারণে সে তালাক দিলে কিংবা তার মৃত্যু হলে ইদ্দত পালনের পর দু’জন পরস্পর সম্মত হলে নতুন করে নতুন মোহরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। (সূরা বাকারা-২৩০)
লেখক মুফতি আমির হামজা সিদ্দিকী শেরপুর।

02/03/2025

🌙 রমজান এসেছে রহমত ও বরকতের বার্তা নিয়ে!
আসুন, প্রথম দিন থেকেই বেশি বেশি ইবাদত করি, কুরআন তিলাওয়াত করি এবং আল্লাহর রহমত কামনা করি।

02/03/2025

❤️ সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান ❤️
রমজান শুধু সিয়াম সাধনার মাস নয়, এটি আমাদের আত্মশুদ্ধি ও সংযমের শিক্ষা দেয়। আসুন, মনের খারাপ দিকগুলো দূর করে আল্লাহর পথে নিজেকে উৎসর্গ করি। গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াই, সৎ পথে চলি, এবং ভালো কাজের মাধ্যমে জীবন আলোকিত করি।

📖 "রমজানের রোজা তোমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।" (সূরা বাকারা: ১৮৩)

02/03/2025

🌙 রমজানের শুভাগমন 🌙
আলহামদুলিল্লাহ! রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান আমাদের দ্বারে উপস্থিত। আসুন, এই পবিত্র মাসে আল্লাহর রহমত অর্জনে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করি। সংযম, ধৈর্য ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেই চারপাশে।

🤲 আল্লাহ আমাদের সকলের রোজা কবুল করুন।
✨ রমজানুল মোবারক!

মানুষের মাঝে সম্পর্ক এবং মাহরাম আত্মীয়তা তিন ধরনের হয়ে থাকে।১.নসব তথা বংশীয় সম্পর্ক।২.রেযা’আত তথা দুধ সম্পর্ক।৩.মুসাহারা...
25/02/2025

মানুষের মাঝে সম্পর্ক এবং মাহরাম আত্মীয়তা তিন ধরনের হয়ে থাকে।
১.নসব তথা বংশীয় সম্পর্ক।
২.রেযা’আত তথা দুধ সম্পর্ক।
৩.মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্ক।
বিবাহের মাধ্যমে যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে বলা হয় মুসাহারাত, যেমন শশুর-শাশুরী এবং তাদের
উর্ধতন-নিম্নতন অর্থাৎ তাদের পিতা-মাতা,এবং স্ত্রীর কন্যা/স্বামীর ছেলে ইত্যাদি। এই আত্মীয়দের সাথে সম্পৃক্ত হুরমত কে হুরমতে মুসাহারাত বলা হয়ে থাকে।
আল্লাহ তা’য়ালা বংশগত এবং বৈবাহিক উভয় প্রকারের আত্মীয়দের সম্মান করার হুকুম দিয়েছেন।
ইরশাদ ফরমান,
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُ نَسَبًا وَصِهْرًا [الفرقان: 54]
আর তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; তারপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। (সুরা ফুরকান ৫৪)
হুরমতে মুসাহারাতের এই চার সবব তথা কারণের কিছু আছে এমন যার ব্যাপারে সকল ইমামগণ একমত পোষন করেছেন, আর কিছুর ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
১.সহীহ বিবাহ; এরপর সর্বসম্মতিক্রমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যায়।
فحرمۃ المصاہرۃ تثبت بالعقدالصحیح بدون کلام(عبدالرحمن الجزیری ،الفقہ علی المذاہب الاربعۃ ،دارالکتب العلمیۃ ، بیروت ،طبع ثانی
২.সহবাস; সহীহ বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে হুরমত প্রমানিত হয়ে যায়,এবং ব্যভিচারের মাধ্যমে সহবাসের দ্বারাও হানাফি, হাম্বলী,এবং এক বর্ণানামতে ইমাম মালেকের নিকটও হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যায়। আর শাফেয়ী ও মালেকী মাযহাবের গ্রহণযোগ্য মতামত হলো ব্যভিচার দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হয় না।
ہو:ومناط التحریم عند الحنفیۃ و الحنابلۃ الوطء حلالا کان او حراما(الموسوعۃ الفقہیۃ الکویتیۃ،وزارۃ الأوقاف والشؤن الأسلامیۃ الکویت،۱۴۲۷،۳۶/۲۱۴)۔
৩-৪. স্পর্শ ও নজর; কামভাবের সাথে স্পর্শ এবং কামভাবের সাথে লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশ দেখার দ্বারা হানাফী মাযহাব অনুযায়ী হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যাবে।
تثبت حرمۃ المصاہرۃ بالزنا والمس والنظر بدون نکاح والملک وشبہتہ لان المس والنظرسبب داع الی الوطء فیقام مقامہ احتیاطا ( الفقہ الاسلامی و ادلتہ ۹/۶۶۳۰)
সহীহ বিবাহ,বা ফাসেদ এবং বাতিল বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যায়। তবে এর জন্য নিম্নোক্ত কয়েকটি শর্ত রয়েছে,
১.সহবাসকৃতা জিবীত হতে হবে।
২.সহবাসকৃতা কামভাবের অধিকারীনী হতে হবে,বা তার বয়স কমপক্ষে ৯ বছর হতে হবে। এবং বৃদ্ধা নারীগণও এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।
৩.এমনিভাবে পুরুষও বালেগ হতে হবে অথবা সাবালেগ হতে হবে। গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী তার বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে।
৪.সহবাস হতে হবে সামনের দিক দিয়ে, পিছন দিক দিয়ে নয়।
یشترط فی الوطء ثلاتۃ امور ،ان تکون الموطوء ۃحیۃ و ان تکون مشتہاۃ وہی من کان سنہا تسع سنین فاکثر و الشرط الثالث ان یکون الوطء فی القبل (عبدالرحمن الجزیری ،الفقہ علی المذاہب الاربعۃ ۴/۶۲)
স্পর্শের দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত..
শশুর তার ছেলের বউকে বা জামাই তার শাশুড়ী কে স্পর্শ করলে নিন্মের শর্ত গুলো পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত সাবেত হয়ে যাবে।
সে ক্ষেত্রে শশুরের ছেলের জন্য ছেলের বউ এবং জামাই এর জন্য শাশুড়ির মেয়ে হারাম হয়ে যাবে।
১–সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে মেয়েকে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين- ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)
২–স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
আর মহিলার উত্তেজনা হল মানসিকভাবে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া।
وفى رد المحتار- قوله (بش**ة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)
৩–স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- والعبرة للش**ة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بش**ة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الش**ة حال المس ، فلو مس بغير ش**ة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)
৪–স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بش**ة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
৫–মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে। {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}
৬–যদি স্পর্শকারী মহিলা হয়, আর উত্তেজনা হওয়ার দাবি করে, আর স্বামীর এ ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় যে, স্ত্রী সত্য বলছে, বা স্পর্শকারী পুরুষ হয় ও উত্তেজনার দাবি করে, তাহলেও তার সংবাদের উপর স্বামীর প্রবল ধারণা হয় যে, লোকটি সত্য বলছে, তাহলে নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে নতুবা নয়। কেননা স্ত্রী এ দাবি করার মাধ্যমে স্বামী থেকে বাঁচতে চাচ্ছে, তাই স্বামীর সত্যায়ন জরুরী, তাছাড়া যদি দুই জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয় যে, স্পর্শ করার সময় উত্তেজনা ছিল তাহলে স্বামীর সত্যায়নের কোন প্রয়োজন নেই। {ইমদাদুল ফাতওয়া-২/৩২০, হুরমতে মুসাহারাত-১৯}
এই নিয়মের ভিত্তিতে একটা মাসয়ালাঃ
আপন মেয়েকে বাবা যদি সাহওয়াতের সাথে স্পর্শ করে এবং তার উষ্ণতা অনুভব করে তাহলে মেয়ে মা (বউ) মেয়ের বাবার জন্য হারাম হয়ে যাবে। (আদ-দুররুল মুখতার 4/112,, ফাতাওয়া হিন্দিয়া 1/340; আল বাহরুর রায়েক 3/177)
দৃষ্টিপাতের দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত শর্তগুলো প্রযোজ্য হবে।
১- দৃষ্টিপাতটি হতে হবে মহিলা পুরুষের আর পুরুষ নারীর সরাসরি শরীরের দিকে। ছবি বা ভিডিও বা কারো অবয়বের পুতুল হলে হবে না।
২- দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে।
৩- দৃষ্টি নিবদ্ধের সময় শারিরিক উত্তেজনা অনুভূত হতে হবে। পরে বা আগে হলে হবে না।
৪- যার লজ্জাস্থান দেখছে সে জীবিত হতে হবে। মৃত হলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।
৫- দৃষ্টি নিবদ্ধের সাথে সাথেই বীর্যপাত না হতে হবে। বীর্যপাত হয়ে গেলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।
৬- মেয়ের বয়স কমপক্ষে ৯ বছর আর ছেলের বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে।
أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من ش**ةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)
أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲
(لا) تحرم (المنظور إلى فرجها الداخل) إذا رآه (من مرآة أو ماء) لأن المرئي مثاله (بالانعكاس) لا هو (هذا إذا كانت حية مشتهاة) ولو ماضيا (أما غيرها) يعني الميتة وصغيرة لم تشته (فلا) تثبت الحرمة بها أصلا كوطء دبر مطلقا وكما لو أفضاها لعدم تيقن كونه في الفرج ما لم تحبل منه بلا فرق بين زنا ونكاح.(رد المحتار-4/108-109
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بش**ة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
উপরোল্লিখিত ৬টি শর্ত পাওয়া গেলে দৃষ্টিপাতের দ্বারাও হুরমাতে মুসাহারাত তথা বৈবাহিক সম্পর্কের দরূন আজীবন বিবাহ হারাম হওয়ার নীতি কার্যকর হবে দৃষ্টিপাতকারী পুরুষ ও মহিলার মাঝে।
আর যদি কোনো একটি শর্ত না পাওয়া যায় তাহলে হুরমাতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। তবে তা কবীরা গুনাহ থেকে মুক্ত নয়।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Creadit By M***i Mahmudul Hasan Tuhin

30/01/2025

তিন তালাক ও হিলালা: ইসলামি বিধান ও সচেতনতা
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন, অনেক সময় দেখা যায়, এক দম্পতির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তিন তালাক হয়ে যায়, এরপর স্ত্রী ও স্বামী পুনরায় একসঙ্গে থাকতে চান। তবে ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, তিন তালাকের পর সরাসরি আগের স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহ সম্ভব নয়, বরং কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।

🔹 তিন তালাকের পর পুনরায় বিবাহের শর্ত:
১️⃣ স্ত্রীকে আগে বৈধভাবে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
2️⃣ নতুন স্বামীর সঙ্গে স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন যাপন করতে হবে।
3️⃣ যদি নতুন স্বামী স্বেচ্ছায় তালাক দেন বা মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে ইদ্দত শেষে পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহের সুযোগ তৈরি হয়।
4️⃣ পরিকল্পিত বা শুধুমাত্র পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহের উদ্দেশ্যে হিলালা করা সম্পূর্ণ হারাম ও নিষিদ্ধ।

✅ শরিয়তসম্মত হিলালা বিয়ের জন্য আমাদের ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।
📩 আমাদের পেজের ইনবক্সে নক দিন – হিল্লা বিবাহ মিডিয়া

⚠ সতর্কতা: হিলালা ইসলামের একটি সংবেদনশীল বিধান, তাই এটি সম্পূর্ণ শরিয়তসম্মতভাবে সম্পন্ন হওয়া আবশ্যক। কোনোরূপ প্রতারণা বা অবৈধ উপায় শরিয়ত গ্রহণযোগ্য মনে করে না। হিলালা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়লে অভিজ্ঞ ইসলামি আলেমদের পরামর্শ নিন।

Send a message to learn more

29/01/2025

তিন তালাকপ্রাপ্ত নারীর পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহ: ইসলামি আইনের আলোকে
১. তিন তালাক ও পুনর্বিবাহের ইসলামি বিধান
ইসলামি শরিয়তে যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করেন, তবে সেই স্ত্রী তার স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যান। এই অবস্থায়, পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহ সম্ভব নয়, যতক্ষণ না স্ত্রী বৈধভাবে অন্য একজন স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, এবং যদি কোনো কারণবশত সেই নতুন স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেন বা মারা যান, তাহলে ইদ্দত শেষ হওয়ার পর পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

২. হিলালা পদ্ধতি ও এর শর্তাবলী
যদি কোনো নারী তার পূর্ব স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চান, তবে ইসলামি আইন অনুসারে তাকে অবশ্যই বৈধভাবে অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে বিবাহ করতে হবে। এই বিবাহকে "তাহলীল" বা "হিলালা" বলা হয়। তবে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে:

নতুন বিবাহটি হতে হবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও প্রকৃত, শুধুমাত্র পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহের উদ্দেশ্যে কোনো কৌশল অবলম্বন করা যাবে না।
নতুন স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বিবাহ গ্রহণযোগ্য নয়।
যদি নতুন স্বামী স্বেচ্ছায় তালাক দেন বা মৃত্যুবরণ করেন, তবে ইদ্দত শেষ হওয়ার পর নারী তার পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন।
৩. জোরপূর্বক বা পরিকল্পিত হিলালা হারাম
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি পূর্ব স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহের জন্য পরিকল্পিতভাবে একজন ব্যক্তিকে সাময়িক স্বামী হিসেবে ব্যবহার করেন, যিনি তালাক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ইসলামি শরিয়তে এটি সম্পূর্ণ হারাম এবং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হিলালার জন্য বিবাহ করে, আর যে ব্যক্তি হিলালা করানোর উদ্দেশ্যে কাউকে বিবাহ দেয়, উভয়েই অভিশপ্ত।" (সুনান আবু দাউদ: ২০৭৬)

৪. সমাজে সচেতনতা ও সতর্কতা
বর্তমানে অনেক স্থানে হিলালা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা ও অনৈতিক কাজ করা হয়। এটি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার পরিপন্থী। তাই মুসলমানদের উচিত শরিয়তের সঠিক জ্ঞান অর্জন করা এবং এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা।

হালালা বিয়ের জন্য আমাদের হিল্লা বিবাহ মিডিয়া পেইজের ইনবক্সে ম্যাসেজ করুন

Send a message to learn more

তালাক সংক্রান্ত ভুল ধারণা তিনটি  পয়েন্টে  আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ১...তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই স্বেচ্ছায় বা  অ...
27/01/2025

তালাক সংক্রান্ত ভুল ধারণা তিনটি পয়েন্টে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
১...
তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়।
তাই স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় স্বীয় স্ত্রীকে মুখে তালাক বলুক বা লিখিত আকারে তালাক দিক, সর্বক্ষেত্রেই তালাক পতিত হয়ে যাবে। এবং অনেকে বলে স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য তালাক দিয়েছি/ দিলাম বলেছি। তার রাগ কমানোর জন্য বলেছি। সে ক্ষেত্রে হাদিসে কি বলে দেখেন.......
ن أبي هريرة:] ثلاثٌ جِدُّهنَّ جِدٌّ وَهَزلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلاقُ والنِّكاحُ والرَّجعةُ
ابن حجر العسقلاني (ت ٨٥٢)، الكافي الشاف ٣٧ • في إسناده ضعف • أخرجه أبو داود (٢١٩٤)، والترمذي (١١٨٤)،
وابن ماجه (٢٠٣٩)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে ইচ্চাকৃত বললেও এবং ঠাট্টাচ্ছলে বললেও যথার্থ বলে বিবেচিত হবেঃ বিয়ে, তালাক ও রাজআত (তালাক প্রত্যাহার)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১১৮৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
কিন্তু অনেকে একটা ভুল ধারণা করে বসে আছে। সেটা হলোঃ
তারা বলে, চাপের মুখে পড়ে বা রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হয় না। কিন্তু তাদের কথা বা ধারণা মারাত্মক ভুল ও ভ্রান্ত।
যদি তাদের কথা মেনে নেয়া হয় তাহলে বিষয়টা এমন হবে "" রাগের মাথায় বা ভুল করে বন্দুকের টিগারে চাপ দিয়ে কারো মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়ার কারণে মৃত্যু হলো। কিন্তু তাদের ভাষ্য মতে মৃত্যু হওয়ার কথা না। যেহেতু সে ভুলে বা রাগের মাথায় চাপ দিয়েছে।
কিন্তু বিষয় টা আসলেই মেনে নেয়ার যোগ্য? কেউ মানবে?
যদি তাই হয় তাহলে তালাকের ক্ষেত্রে এসে এমন ভাষ্য কেন?
সুতরাং এটা ভুল ধারণা।
তো ভাই যেভাবেই বলেন না কেন, আপনার সর্বনাশ আপনি নিজেই করেছেন। স্পষ্ট ভাবে তালাক হয়ে যাবে।
তাই আমাদের সবার উচিত বিয়ে তালাক এগুলাকে সিরিয়াস ইস্যু মনে করা। এবং খুব খুব সতর্কতা অবলম্বন করা।
তালাক যদি দিতেই হয় তাহলে ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২...
আমাদের সমাজে প্রচলিত পদ্ধতি হলোঃ
লিখিত তালাক দেয়ার পর গভমেন্ট রেজিষ্ট্রেশন অনুযায়ী তালাক ৯০ দিন পর্যন্ত ঝুলে থাকে।
সেই ক্ষেত্রে তিন তালাক (হোক বা দুই বা এক) দেয়ার পর ৯০ দিনের আগে তাদের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে পুনরায় স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক বহাল রাখা যায়।
তবে হ্যাঁ গভমেন্ট রেজিষ্ট্রেশন থেকে তখন বিবাহ দোহরানো যাবে যখন এক তালাক বা দুই তালাক দেয়া হয়েছে।
তিন তালাক দিয়ে ফেললে আর দোহরানো যাবে না। দেখেন এ ক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে? শরীয়তের হুকুম কি এই ক্ষেত্রে?
দেখেন এই বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহ কুরআনে বলেছে..
اَلطَّلَاقُ مَرَّتٰنِ۪ فَاِمۡسَاکٌۢ بِمَعۡرُوۡفٍ اَوۡ تَسۡرِیۡحٌۢ بِاِحۡسَانٍ ؕ وَ لَا یَحِلُّ لَکُمۡ اَنۡ تَاۡخُذُوۡا مِمَّاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ شَیۡئًا اِلَّاۤ اَنۡ یَّخَافَاۤ اَلَّا یُقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ ؕ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا یُقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ ۙ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَا فِیۡمَا افۡتَدَتۡ بِہٖ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ فَلَا تَعۡتَدُوۡہَا ۚ وَ مَنۡ یَّتَعَدَّ حُدُوۡدَ اللّٰہِ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۲۹﴾
তালাকে রজয়ী হলো দুবার পর্যন্ত। তারপর হয় নিয়ম অনুযায়ী রাখবে, না হয় সদয়োতার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেওয়া তোমাদের জন্য জায়েজ নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই এ ব্যাপারে ভয় করে যে তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতির নিয়ে নেয়, তাহলেও ভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ হবে না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে তারাই হলো জালেম।
فَاِنۡ طَلَّقَہَا فَلَا تَحِلُّ لَہٗ مِنۡۢ بَعۡدُ حَتّٰی تَنۡکِحَ زَوۡجًا غَیۡرَہٗ ؕ فَاِنۡ طَلَّقَہَا فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَاۤ اَنۡ یَّتَرَاجَعَاۤ اِنۡ ظَنَّاۤ اَنۡ یُّقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ ؕ وَ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ یُبَیِّنُہَا لِقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۳۰﴾
অতঃপর যদি সে তালাক প্রদান করে তাহলে এরপরে অন্য স্বামীর সাথে বিবাহিতা না হওয়া পর্যন্ত সে তার জন্য বৈধ হবেনা, অতঃপর সে তাকে তালাক প্রদান করলে যদি উভয়ে পরস্পর প্রত্যাবর্তিত হয় তাতে উভয়ের পক্ষে কোনই দোষ নেই, যদি আল্লাহর সীমারেখা বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। এবং এগুলিই আল্লাহর সীমাসমূহ, তিনি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এগুলি ব্যক্ত করে থাকেন।
মোট কথা, তালাক দিয়েছেন এখন রাস্তা মাপেন।সুতরাং যখন তালাক দিলাম বলে ফেলছেন তখনই সেটা কার্যকর হয়ে গেছে। সুতরাং আর সুযোগ নেই।
3
এখনো অনেকের ধারণা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে বিয়ে শুদ্ধ হয় না।
কিন্তু কুরআন হাদিসে বিষয় টা কিভাবে বলা আছে তারা জানেই না। এই সব কারণে গোনাহ করেই যাচ্ছে।

29/12/2024

একই বৈঠকে ৩ তালাক দিলে ৩ তালাকই পতিত হবে এবং এতে ৪ মাজহাবের ইমামগন একমত
একটি ৩ তালাকের মাসা আলা জানতে চাওয়া এক বোনের প্রশ্ন এমন ছিলো যে ২০১৮ সালে তার স্বামী তাকে ১ তালাক দেয় এবং সেটা আবার তারা মিমাংশা করে নেয় এখন যেহেতু সে ২ তালাকের অধিকার রাখে কিন্তু পরবর্তীতে তার স্বামী রাগের মাথায় ৩ তালাক প্রদান করে ফেলে এবং এক মুফতি সাহেবের নিকট এই বিষয়ে ফতুয়া চাইলে তিনি সহিহ ভাবেই ফতুয়া দেন এবং বলেন যে ৩ তালাক হয়ে গেছে কিন্তু আমি ইউটিউব থেকে জাকির নায়েকের লেকচার থেকে পাই যে এক সাথে ৩ তালাক দিলে ১ তালাক হয় এবং এটা ভেবে আমরা নতুন করে বিয়ে করে সংসার শুরু করি, কিন্তু কিছুদিন যাবত মনের মধ্যে ভয় কাজ করতেছে তাই জানতে চাচ্ছি যে আমাদের কতো তালাক হয়েছে

উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত বর্ণনা অনুযায়ী আপনাদের তিন তালাক হয়ে গেছে। এবিষয়ে চার মাযহাবের সকল ইমামগণ একমত।
কেননা এক বাক্যে বা এক বৈঠকে তিন তালাক দেয়া হারাম কিন্তু দিলে পতিত হয়ে যাবে।
তিন কখনোই এক হয় না। এটি হাস্যকর কথা ছাড়া আর কিছু নয়। তিন সর্বদাই তিন হয়।
কুরআনের পরিস্কার নির্দেশ-
الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ ۖ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ ۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٢:٢٢٩]
তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম। {সূরা বাকারা-২২৯}
এইতো গেল দুই তালাকের বিধান। এরপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তিন তালাক প্রদানের বিধান ঘোষণা করে ইরশাদ করেন-
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠]
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃꦣ2453; নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। {সূরা বাকারা-২৩০}
পবিত্র কুরআনের উক্ত আয়াতের দ্বারা পরিস্কার প্রমণিত হয় যে, তিন তালাক প্রদান করলে তিন তালাকই পতিত হবে। এক তালাক নয়।
তিন তালাক বললে এক তালাক পতিত হবার কথা একটি মুর্খতাসূলভ বক্তব্য ছাড়া আর কিছু নয়। যা পরিস্কার আয়াতের খেলাফ। আর রাসূল সাঃ থেকে এমন কোন হাদীস বর্ণিত হয়নি যে, কোন ব্যক্তি তিন তালাক প্রদান করছে, আর রাসূল সাঃ তাকে বলেছেন যে, এক্ষেত্রে তিন তালাক হয়নি বরং এক তালাক হয়েছে। এমন কোন ঘটনা না রাসূল সাঃ থেকে পাওয়া যায়, না সাহাবীদের থেকে পাওয়া যায়।
এটি সম্পূর্ণই একটি ভুল ফাতওয়া।

উত্তর প্রদান করেনঃ Tanvir Mosharraf হাফিঃ
প্রশ্ন এবং উত্তর সংগ্রহঃ ফতওয়া বিভাগ: জেনে নিন আপনার দ্বীনি জিজ্ঞাসা ও মাসায়েল

Send a message to learn more

03/12/2024

ঢাকার মধ্যে কোনো মাদ্রাসা ছাত্র আমার এই পেইজে জয়েন থাকলে আমাকে একটু ইনবক্সে নক করুন

Send a message to learn more

04/09/2024

অনেক সময় ইনবক্সে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ইদ্দত কাকে বলে, এমনকি অনেকে জানেই না যে তালাকের পরে ইদ্দত পালন করতে হয়
ইদ্দতের আভিধানিক অর্থ হলো গণনা করা। আর পরিভাষায় ইদ্দত বলা হয় : মহিলাদের ঐ সময় পর্যন্ত অন্যত্র বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা যা তার ইতোপূর্বের বিবাহের প্রভাব প্রকাশ যেমন অন্তসত্মা ইত্যাদি প্রকাশের সম্ভাবনা শেষ হবার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিস্তারিত বললে ইদ্দত বলা হয়, স্বামী যদি মহিলাকে তালাক দেয়, বা খোলা করে, কিংবা ঈলা ইত্যাদি করে বা কোনভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে, অথবা স্বামী মারা যায়, তাহলে এসব সূরতে কিছুদিনের জন্য নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রাখা। সেই সময়ের মধ্যে উক্ত ঘর থেকে জরুরত ছাড়া বের না হওয়া এবং অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়াকে ইদ্দত বলা হয়।
তালাক বা স্বামীর ইন্তেকাল যেভাবেই হোক বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ইদ্দত পালন করা মহিলাদের উপর আবশ্যক।
তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তিন হায়েজ পরিমাণ হলো ইদ্দত যদি হায়েজ আসে। আর যদি হায়েজ না আসে, তাহলে তিন মাস পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়।
আর যদি স্বামী মারা যায়, তাহলে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হয়।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে বা স্বামী ইন্তেকালের পর থেকেই ইদ্দতের সময়কাল শুরু হয়।

Send a message to learn more

Address

Mohammedpur
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হিল্লা বিবাহ মিডিয়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram