Dr.Si Tipu

Dr.Si Tipu Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr.Si Tipu, Doctor, Dhaka.

সুস্থ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা অনুসরণ করা প্রয়োজন। নিচে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক দিক থেকে সুস্থ থাকার জন...
26/07/2025

সুস্থ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা অনুসরণ করা প্রয়োজন। নিচে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক দিক থেকে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় বিষয়গুলো দেওয়া হলো:



🥗 ১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস:
• নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খাবার খান।
• শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য, প্রোটিন (ডাল, মাছ, মাংস, ডিম) ও স্বাস্থ্যকর চর্বি খান।
• চিনি, লবণ ও তেল কম খান।
• প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন (প্রায় ৮-১০ গ্লাস)।



🏃‍♂️ ২. নিয়মিত ব্যায়াম:
• সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং বা যেকোনো শারীরিক পরিশ্রম করুন।
• ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথা রোধে stretching ও যোগব্যায়াম করতে পারেন।



😴 ৩. ঘুমের রুটিন:
• প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
• ঘুমানোর আগে মোবাইল বা স্ক্রিন টাইম কমান।
• নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।



🧘‍♀️ ৪. মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা:
• প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫ মিনিট মেডিটেশন বা ধ্যান করুন।
• প্রয়োজন হলে বন্ধু, পরিবার বা কাউন্সেলরের সঙ্গে মনের কথা শেয়ার করুন।
• পজিটিভ চিন্তা করুন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।



🚭 ৫. খারাপ অভ্যাস ত্যাগ:
• ধূমপান, মদ্যপান ও মাদক সম্পূর্ণ পরিহার করুন।
• অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা junk food এ অভ্যস্ততা বাদ দিন।



🩺 ৬. স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
• বছরে অন্তত ১ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা (BP, sugar, cholesterol, liver, kidney) করান।
• যেকোনো অসুস্থতা উপেক্ষা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।



😃 ৭. সামাজিক সম্পর্ক:
• পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন।
• সাহায্য করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
• একাকীত্ব কমাতে সামাজিক বা ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করুন।

©Dr.Tipu

Omega-3 fatty acids আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি “essential fatty acid”, অর্থাৎ শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে...
25/07/2025

Omega-3 fatty acids আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি “essential fatty acid”, অর্থাৎ শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না — খাবারের মাধ্যমে নিতে হয়।

নিচে Omega-3-এর কিছু মূল ভূমিকা দেওয়া হলো:



🧠 ১. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখা
• Omega-3 বিশেষ করে DHA (Docosahexaenoic acid) মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ।
• এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মনোযোগ উন্নত করে এবং অবসাদ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে।



❤️ ২. হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে
• Omega-3 রক্তচাপ কমাতে, ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল কমাতে ও হৃদ্‌পিণ্ডের রিদম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
• এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়।



🦴 ৩. জয়েন্ট ও হাড়ের স্বাস্থ্য
• এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায়।
• হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।



👁 ৪. চোখের সুরক্ষা
• চোখের রেটিনার গঠন ও কাজের জন্য DHA প্রয়োজন।
• বয়সজনিত চোখের সমস্যা (macular degeneration) প্রতিরোধে সাহায্য করে।



🩸 ৫. রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ
• Omega-3 রক্তকে পাতলা রাখে, ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।



🤰 ৬. গর্ভাবস্থায় গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
• শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশে DHA প্রয়োজন।
• গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।



🧬 ৭. ইনফ্ল্যামেশন কমায়
• শরীরের ভেতরের সাইলেন্ট ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে যা বহু রোগের মূল কারণ।



🐟 Omega-3 পাওয়া যায় যেসব খাবারে:
• সামুদ্রিক মাছ (যেমন: সালমন, ম্যাকারেল, টুনা, সারডিন)
• আখরোট
• ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ)
• চিয়া সিড
• সয়াবিন অয়েল
• ডিম (Omega-3 enriched)

©Dr.Tipu

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (Fatty Liver Disease) হচ্ছে এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চর্বি (Fat) জমে যায়।...
25/07/2025

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (Fatty Liver Disease) হচ্ছে এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চর্বি (Fat) জমে যায়। এটি প্রথমে নিরীহ মনে হলেও, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে তা লিভার সিরোসিস, লিভার ফেইলিউর, এমনকি লিভার ক্যান্সার পর্যন্ত গড়াতে পারে।



🧠 ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কত ধরনের হয়?

1. Non-Alcoholic Fatty Liver Disease (NAFLD)

👉 এটি এমন লোকদের হয় যারা অ্যালকোহল খান না, কিন্তু লিভারে চর্বি জমে।
👉 সাধারণত যাদের আছে:
• মোটা শরীর
• টাইপ ২ ডায়াবেটিস
• উচ্চ কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড
• হাই ব্লাড প্রেসার

2. Alcoholic Fatty Liver Disease (AFLD)

👉 অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে লিভারে চর্বি জমে।



⚠️ ফ্যাটি লিভারের ধাপ (Stages)
1. Simple fatty liver (steatosis) – কেবল চর্বি জমে, কোনো প্রদাহ বা ক্ষতি নেই
2. Non-alcoholic steatohepatitis (NASH) – চর্বির পাশাপাশি প্রদাহও হয়
3. Fibrosis – লিভার টিস্যুতে ক্ষত সৃষ্টি হয়
4. Cirrhosis – লিভার স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঝুঁকি বাড়ে ক্যান্সার ও লিভার ফেলিওরের



🔍 লক্ষণ (Symptoms)

ফ্যাটি লিভার সাধারণত নিরব ঘাতক, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে:
• ডান পাশে পেটের ওপর ভার/ব্যথা
• ক্লান্তি বা দুর্বলতা
• হজমে সমস্যা
• লিভার এনজাইম (ALT, AST) বেড়ে যাওয়া রিপোর্টে ধরা পড়ে



🩺 ডায়াগনোসিস কিভাবে হয়?
• Liver Function Test (LFT): ALT/AST বেড়ে যায়
• Ultrasound Whole Abdomen: লিভারে চর্বি আছে কি না দেখা যায়
• FibroScan/Transient elastography: লিভারের fibrosis বা stiffness যাচাই
• Lipid Profile, HbA1C: কারণ জানার জন্য
• প্রয়োজনে লিভার বায়োপসি – সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য



✅ প্রতিকার ও চিকিৎসা (Treatment & Management)

1. ওজন কমানো
• ধীরে ধীরে ওজন কমান (সপ্তাহে ০.৫–১ কেজি)
• ১০% ওজন কমাতে পারলে লিভারের চর্বি কমে যায়

2. সঠিক খাদ্যাভ্যাস

খাবেন:
• শাকসবজি, ফল (কম মিষ্টি জাতীয়)
• Whole grain (ওটস, ব্রাউন রাইস)
• মাছ, ডিমের সাদা অংশ
• জলপাই তেল/মাসুর ডাল

এড়িয়ে চলবেন:
• চিনিযুক্ত খাবার, সফট ড্রিংক
• ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড
• বেশি ভাত, আলু
• লাল মাংস

3. নিয়মিত ব্যায়াম
• সপ্তাহে ৫ দিন, দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং, সাঁতার
• একটানা বসে থাকা বন্ধ করুন

4. ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
• ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখুন
• ওষুধ খেলে সময়মতো নিন

5. অ্যালকোহল সম্পূর্ণ বন্ধ করুন (যদি নেন)



💊 6. ওষুধ:

🚨 নিজে থেকে খাওয়া যাবে না, চিকিৎসকের পরামর্শে নিতে হবে।

⚠️ জটিলতা (যদি প্রতিকার না করেন)
• লিভার ফাইব্রোসিস → সিরোসিস → লিভার ফেলিওর
• লিভার ক্যান্সার
• ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
• হার্ট ডিজিজ

🛡️ ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের উপায়:

করণীয়:
-নিয়মিত হাঁটা
-ওজন নিয়ন্ত্রণ
-প্রচুর পানি পান
-পরিমিত খাদ্য
-শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করা

না করণীয়:

-অ্যালকোহল গ্রহণ করা
-অতিরিক্ত চিনি ও তেল খাওয়া গ্রহণ করা
-অলস জীবনযাপন করা
-হঠাৎ বেশি খাওয়া-দাওয়া বাড়িয়ে দাওয়া
-ফাস্টফুড ও প্রসেসড ফুড গ্রহণ করা

ফ্যাটি লিভার এক নীরব রোগ – সময়মতো ধরা পড়লে শুধুই জীবনধারা পাল্টে ভালো থাকা সম্ভব। ওষুধ নয়, আপনার প্রতিদিনের অভ্যাসই আসল চিকিৎসা।

©Dr.Tipu 🌺

অতিরিক্ত overthinking (অভারথিংকিং) হলে সেটা ধীরে ধীরে মানসিক ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, এবং decision-making-এ সমস্যা তৈরি করত...
24/07/2025

অতিরিক্ত overthinking (অভারথিংকিং) হলে সেটা ধীরে ধীরে মানসিক ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, এবং decision-making-এ সমস্যা তৈরি করতে পারে। নিচে কিছু ব্যবহারিক উপায় দেওয়া হলো যেগুলো সাহায্য করতে পারে:



🔹 ১. লেখে ফেলুন আপনার চিন্তাগুলো

আপনি যা ভাবছেন তা খাতায় লিখুন। এতে মাথা হালকা হয় এবং চিন্তাগুলোকে বিশ্লেষণ করা সহজ হয়।



🔹 ২. চিন্তা থামানোর পদ্ধতি (Thought-stopping technique)

মনের ভেতর অতিরিক্ত চিন্তা আসলে নিজেকে বলুন – “স্টপ!” বা “থেমে যাও!” – এটা বারবার প্র্যাকটিস করলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে এভাবে সাড়া দিতে শেখে।



🔹 ৩. সময় নির্ধারণ করুন চিন্তার জন্য

দিনের ১৫–২০ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করুন শুধু চিন্তার জন্য। বাকী সময় চিন্তাকে থামাতে চেষ্টা করুন।



🔹 ৪. শরীরচর্চা বা হাঁটাহাঁটি করুন

একটানা বসে থাকলে overthinking বাড়ে। হালকা হাঁটাহাঁটি বা শরীরচর্চা করলে মাথা পরিষ্কার হয় এবং মন শান্ত থাকে।



🔹 ৫. Deep Breathing ও মেডিটেশন করুন

• ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন
• ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন
• ৪ সেকেন্ডে ছেড়ে দিন
• ৫ মিনিট এভাবে করলে অনেক শান্তি পাবেন।



🔹 ৬. নিজেকে প্রশ্ন করুন:

“এই চিন্তাটা কি বাস্তব সমস্যা, নাকি শুধু ভয়?”
যদি বাস্তব সমস্যা হয়, সমাধানের পথে যান। যদি না হয়, তা হলে সেটাকে ছেড়ে দিন।



🔹 ৭. ডিজিটাল ডিটক্স করুন

মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া, অতিরিক্ত তথ্যগ্রহণ overthinking বাড়ায়। মাঝে মাঝে বিরতি নিন।



🔹 ৮. একজন কাউন্সেলর বা সাইকোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলুন

যদি overthinking আপনার ঘুম, খাওয়া, কাজে সমস্যা করে – তাহলে একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।



🔹 ৯. ছোট কাজের তালিকা তৈরি করুন (To-Do List)

অতিরিক্ত চিন্তার বদলে একেকটা ছোট কাজ লিখে একে একে শেষ করুন। এতে আপনার মন বাস্তব কাজে ব্যস্ত থাকবে।



🔹 ১০. নিজেকে ক্ষমা করুন

পুরোনো ভুল বা ভবিষ্যতের ভয় নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। বারবার নিজেকে বলুন:
“আমি যা পারি, সেটাই করছি – আর আমার চেষ্টা যথেষ্ট।”

©Dr.Tipu

প্রতিদিন একজন মানুষের কতটুকু পানি খাওয়া উচিত, তা নির্ভর করে বয়স, ওজন, আবহাওয়া, কাজের ধরন এবং শারীরিক অবস্থার উপর। তবে সা...
24/07/2025

প্রতিদিন একজন মানুষের কতটুকু পানি খাওয়া উচিত, তা নির্ভর করে বয়স, ওজন, আবহাওয়া, কাজের ধরন এবং শারীরিক অবস্থার উপর। তবে সাধারণভাবে নিচের গাইডলাইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত:



✅ সাধারণ নিয়ম (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য):

🔹 দৈনিক পানি প্রয়োজন = আপনার ওজন (কেজি) × ৩০ মিলি

🔸 উদাহরণ:
যদি আপনার ওজন হয় ৬০ কেজি, তাহলে:
👉 ৬০ × ৩০ = ১৮০০ মিলি = ১.৮ লিটার পানি/দিন (কমপক্ষে)



🔹 গড়ে (সাধারণ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য):
ব্যাক্তির ধরন দৈনিক পানি প্রয়োজন
নারীদের জন্য ২–২.৫ লিটার (৮–১০ গ্লাস)
পুরুষদের জন্য ২.৫–৩ লিটার (১০–১২ গ্লাস)

🧾 পানি বেশি প্রয়োজন হয় কখন:
• গরম বা ঘাম ঝরানো পরিবেশে কাজ করলে
• ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করলে
• জ্বর, ডায়রিয়া, বমি বা ইউরিনারি সমস্যা থাকলে
• গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানকালে



🚱 অতিরিক্ত পানি খেলে কি হয়?
• খুব বেশি পানি একসাথে খেলে hyponatremia (সোডিয়াম লেভেল কমে যায়)
• কিডনির উপর চাপ পড়ে
• মাথা ঘোরা, বমি ভাব হতে পারে



✅ কিছু সহজ নিয়ম:
1. সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস পানি
2. প্রতিবার খাবারের ৩০ মিনিট আগে ১ গ্লাস
3. ব্যায়ামের আগে/পরে পানি
4. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস (কম পরিমাণে)

© Dr.Tipu

প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে:⸻🧠 প্যানিক অ্যা...
23/07/2025

প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে:



🧠 প্যানিক অ্যাটাক চিনে নিন:

হঠাৎ করে ভয় লাগা, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাস নিতে কষ্ট, মাথা ঘোরা, ঘাম হওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া, অবসাদ বা “মরে যাচ্ছি” এমন অনুভব—এইগুলো প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ।



✅ করণীয়:

১. শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করুন (Breathing Exercise):
• নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস নিন (৪ সেকেন্ড)
• ২ সেকেন্ড ধরে রাখুন
• মুখ দিয়ে ধীরে ছাড়ুন (৬ সেকেন্ড)
• এটা ৫–১০ বার করুন

👉 এতে হার্ট রেট কমবে ও মস্তিষ্কে অক্সিজেন বাড়বে।



২. ৪-৭-৮ শ্বাস টেকনিক (অপশনাল):
• ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন
• ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন
• ৮ সেকেন্ডে শ্বাস ছাড়ুন



৩. গ্রাউন্ডিং টেকনিক (5-4-3-2-1 Method)

এটা মস্তিষ্ককে বর্তমান মুহূর্তে ফিরিয়ে আনে:
• ৫টি আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন
• ৪টি আপনি যা স্পর্শ করতে পারছেন
• ৩টি আপনি যা শুনতে পাচ্ছেন
• ২টি আপনি যা গন্ধ পাচ্ছেন
• ১টি আপনি যা স্বাদ পাচ্ছেন



৪. ভয় দূর করার জন্য নিজেকে বলুন:
• “আমি বিপদে নেই, এটা শুধু প্যানিক অ্যাটাক। এটা কেটে যাবে।”
• “আমি আগেও এটা সামলেছি, এবারও পারবো।”



৫. ঠান্ডা পানি মুখে দিন বা পানি খান:

পানিতে মুখ ধোয়া বা এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং নার্ভ শান্ত হয়।



৬. পরিবেশ বদলান:

যদি সম্ভব হয়, একটু হেঁটে আসুন বা হাওয়া লাগান।



🩺 চিকিৎসা লাগবে কখন?
• যদি ঘন ঘন প্যানিক অ্যাটাক হয় (সপ্তাহে ১-২ বার বা বেশি)
• যদি কাজ, পড়াশোনা বা ঘুমে প্রভাব ফেলে
• তাহলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো জরুরি। CBT (Cognitive Behavioral Therapy) ও কিছু ওষুধ (যেমন SSRI/benzodiazepine) কাজে আসে।



❗যা করবেন না:
• একা ঘরবন্দী হয়ে থাকবেন না
• কফি বা ধূমপান করবেন না (এগুলো অ্যাংজাইটি বাড়ায়)
• ভয়কে এড়িয়ে যাবেন না, বরং গ্রহণ করুন

21/07/2025

মাথায় রাখুন! ঢাকায়
আজকে যতটুকু ব্লাড প্রয়োজন!
আগামীকাল থেকে আরও ৩ গুন বেশী লাগবে!
কারণ প্লাটিলেট ব্লাড ৪ জন থেকে নিয়ে ১ ব্যাগ তৈরী হয়!

আগুনে পোড়া রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার আগ পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে জীবন বাঁচানো, ব্য...
21/07/2025

আগুনে পোড়া রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার আগ পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে জীবন বাঁচানো, ব্যথা কমানো এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিচে ধাপে ধাপে করণীয় দেওয়া হলো:



🔥 ১. প্রথমে আগুন বন্ধ করুন
• রোগীর গায়ে আগুন থাকলে জল ঢালুন, কম্বল দিয়ে আগুন ঢেকে দিন, বা গড়িয়ে ফেলুন (Stop, Drop, and Roll)।
• ইলেকট্রিক পোড়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ আগে বন্ধ করুন।



❄️ ২. জল দিয়ে ঠান্ডা করুন
• পোড়ার জায়গায় ২০ মিনিট পর্যন্ত ঠান্ডা পানি দিন।
• তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করবেন না — এতে টিস্যু আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।



🩹 ৩. পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন
• পোড়ার জায়গা নরম, পরিষ্কার ও ভেজা কাপড় বা গজ দিয়ে ঢেকে দিন।
• এতে ব্যথা কমবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে।



🚫 ৪. যা করবেন না
• কোনও ধরনের মলম, তেল, ঘি, টুথপেস্ট বা ডিম পোড়ার জায়গায় দিবেন না।
• ফোস্কা ফাটাবেন না — এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
• যদি পোড়া কাপড় শরীরে লেগে যায়, জোর করে খুলবেন না — কাপড়সহ ঢেকে রাখুন।



💊 ৫. ব্যথা বেশি হলে পেইন কিলার দিন
• যদি হাতের কাছে থাকে, তাহলে Paracetamol বা Ibuprofen দিতে পারেন।



🚑 ৬. দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান যদি…
• মুখ, হাত, পা, যৌনাঙ্গ বা বড় অংশে পোড়া হয়।
• শ্বাস নিতে কষ্ট হয় (ধোঁয়ার কারণে)।
• রোগী অচেতন বা অসংলগ্ন হয়ে পড়ে।
• শিশু, বৃদ্ধ বা গর্ভবতী নারী হয়।

© Dr.Tipu

21/07/2025

🚨 জরুরি বার্তা 🚨

- কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
- উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ
- কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল
- উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
- মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিট
- জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

রক্তদানে আগ্রহীরা দ্রুত এই হাসপাতাল গুলোতে চলে আসুন, প্রচুর রক্তের প্রয়োজন।

21/07/2025

উত্তরায় দুর্ঘটনায় হতাহত কারো আইসিইউ লাগলে "হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এন্ড হাসপাতালের আইইসিইউ'র সকল সেবা বিনা খরচে প্রদান করা হবে।
যোগাযোগ -
01971195225
09642121212

চুল পড়া (Hair fall) একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে—যেমন হরমোনাল ইমব্যালান্স, অপুষ্টি, স্ট্রেস, রোগ,...
20/07/2025

চুল পড়া (Hair fall) একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে—যেমন হরমোনাল ইমব্যালান্স, অপুষ্টি, স্ট্রেস, রোগ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া ইত্যাদি। নিচে কিছু কার্যকর করণীয় দেওয়া হলো:



🟢 ১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন

চুলের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পুষ্টি:
• প্রোটিন: ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল
• আয়রন: পালংশাক, কলিজা, বিট
• বায়োটিন (Vitamin B7): ডিমের কুসুম, বাদাম, শাকসবজি
• ভিটামিন D ও E: রোদ, বাদাম, তেল জাতীয় খাবার
• জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম: সীফুড, ডিম, বাদাম



🟢 ২. চুলের যত্ন নিন নিয়মিত
• সপ্তাহে ২–৩ বার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন
• সপ্তাহে ২ বার নারকেল তেল/অ্যালমন্ড তেল/ভিটামিন E তেল ম্যাসাজ করুন
• চুল ভেজা অবস্থায় আচড়াবেন না
• হিটিং টুল (স্ট্রেইনার/হেয়ার ড্রায়ার) এড়িয়ে চলুন



🟢 ৩. স্ট্রেস কমান
• স্ট্রেস/টেনশন থেকে Telogen effluvium নামে এক ধরনের হেয়ারলস হয়
• নিয়মিত ঘুম, মেডিটেশন, ব্যায়াম উপকারী



🟢 ৪. ওষুধ/চিকিৎসা

👉 প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই ডাক্তার দেখিয়ে ব্যবহার করা ভালো।



🟢 ৫. ঘরোয়া উপায় (সাপোর্ট হিসেবে)
• মেথি বাটা বা পেঁয়াজ রস চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন (সপ্তাহে ২ বার)
• অ্যালোভেরা জেলও উপকারী



🔴 কখন ডাক্তার দেখাবেন?
• হঠাৎ অনেক চুল পড়া শুরু হলে
• মাথায় টাক পড়া শুরু হলে
• স্ক্যাল্পে ইনফেকশন বা র‍্যাশ হলে
• মাসের পর মাস ভালো না হলে



চুল পড়া যদি দীর্ঘমেয়াদী হয়, তাহলে Dermatologist বা Skin Specialist এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

©Dr.Tipu

21/01/2025

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Si Tipu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category