13/12/2023
" সিজোফ্রেনিয়া" শব্দটি আপনি কখনো না কখনো শুনে থাকবেন। চলুন এই আনকমন ডিজিজ সম্পর্কে কিছু তথ্যা জেনে নেয়া যাক। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীর বাস্তব চিন্তা কমে গিয়ে বিভ্রম বেশি হয়। সে এমন কিছু শুনতে পায় বা দেখতে পায় যা আদৌ ঘটেনি। এটি মূলত সাইকোটিক ডিজঅর্ডার। এ ধরনের অসুখে আক্রান্ত রোগী কখনো মানতে চায় না যে সে অসুস্থ। সে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ দাবি করবে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে একা হতে থাকে। তাদের আচরণ আমূল বদলে যায়। নিজের চিন্তা, মন, ইচ্ছা কিংবা অনুভূতি কোনোকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কোনো কারণ ছাড়াই সে হাসতে কিংবা কাঁদতে পারে। কল্পনায় সে এক ভিন্ন জগৎ তৈরি করে নেয়। সেই কাল্পনিক জগৎ তার জীবনে প্রভাব ফেলে। সে নিজেকে সুপার ম্যান, স্পাইডারম্যান অনেক কিছুই ভাবতে থাকে। তবে সে কখনোই নিজের অসুস্থতার কথা বুঝতে চাইবে না। সে মনে করবে যা ঘটছে তাই স্বাভাবিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের রোগজনিত অক্ষমতার প্রথম ১০টি কারণের একটি সিজোফ্রেনিয়া। পৃথিবীতে প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যদি বলি, তাহলে ০.৬ শতাংশ, মানে এক হাজার জনের মধ্যে ছয় জন সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে।
‘মানসিক স্বাস্থ্য ব্যতিরেকে কোনো স্বাস্থ্য নেই’। আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য যত ভালোই হোক, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সে স্বাস্থ্য-সুখ উপভোগ করতে পারবেন না।
তাই আপনার মানষিক স্বাস্থের প্রতি যত্নবান হোন।