Mirpur Club 94

Mirpur Club 94 ssc 1994

20/02/2025

9,397 signatures are still needed! on Against the Proposed Extension of Requirements for Permanent Residence and Citizenship

ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল!March 4প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রত্যেক ফরজ নামাজের শেষে কি...
08/05/2024

ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল!
March 4
প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রত্যেক ফরজ নামাজের শেষে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ওইগুলো পড়ে বা কাজে লাগায় সে কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। (সহীহ মুসলিম, ১২৩৭)
(১) রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)
(২) তারপর ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম’ – এটি পরতেন । (মুসলিম, ১২২১)
(৩) সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার)। আলহাদুলিল্লাহ্ (৩৩ বার)। আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার)।
(লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর) (১ বার)। এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।) (মুসলিম, ১২৪০)
(৪) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা। (নাসাঈ)
আয়াতুল কুরসীর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত-
শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। (মুসতাদরাকে হাকিম)
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ
يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم
উচ্চারণ:‬ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
‪অর্থ‬: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
(৫) ﺃﻟﻠﻬﻢ ﺃﺟﺮﻧﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ ‘আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার’ ৭ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
(৬) সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার করে, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।
(৭) দরুদ শরীফ ১০ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। কেয়ামতের দিন রাসূল (সা.) এর শাফা'আত লাভ করবে।
দরুদে ইব্রাহিমের আরবি, অর্থ, উচ্চারণ-
আরবি: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد
উচ্চারন: আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মাদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেওঁ ও আ’লা আলি মোহাম্মাদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।
(৮) ﺭﺿﻴﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺭﺑﺎ ﻭﺑﺎﻹﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻭﺑﻤﺤﻤﺪ ﻧﺒﻴﺎ (‘রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’) ৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।
(৯) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
«سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».(সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী) তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১)
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা সারা জাহানের সকল মুসলিম নর-নারীকে উক্ত আমলগুলো যথাযথ ভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
👇
সবার সাথে শেয়ার করুন কারণ!
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
► রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]

কিছু নিষিদ্ধ কাজ,যা আমরা প্রায়-সময় করে থাকি।March 6(১) উপুর হয়ে বুকের উপরে ভর দিয়েশোয়া নিষিদ্ধ,কারণ এইভাবে শয়তান শোয়...
08/05/2024

কিছু নিষিদ্ধ কাজ,যা আমরা প্রায়-সময় করে থাকি।
March 6
(১) উপুর হয়ে বুকের উপরে ভর দিয়ে
শোয়া নিষিদ্ধ,
কারণ এইভাবে শয়তান শোয়। সহীহ
বুখারী।
(২) বাম হাতে খাওয়া বা পান করা
নিষিদ্ধ,
কারণ বাঁ হাতে শয়তান খায়। রিয়াদুস
সালেহীন।
(৩) পশুর হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা
নিষিদ্ধ,
কারণ আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা
প্রাণীর হাড়গুলো যা মানুষেরা ফেলে
দেয়, তা
মুসলিম জিনদের খাবার। সহীহ বুখারী।
(৪) সন্ধ্যা সময় বাচ্চাদের বাইরে বের
হতে
দিতে রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন
এবং
ঘরের
দরজা জানালা বন্ধ রাখতে বলেছেন,
কারণ
তখন জিনেরা বাইরে বের হয়।
(৫) আযান দিলে শয়তান জিনেরা বায়ু
ছাড়তে
ছাড়তে লোকালয় থেকে পলায়ন করে।
আর
কুকুর ও গাধা শয়তান জিনদেরকে
দেখতে
পেলে চিৎকার করে। একারণে, অনেক
সময়
ইশা বা ফযরের আযান দিলে কুকুরেরা
চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। কারণ
তখন
কুকুরেরা আযান শুনে পলায়নরত
শয়তান
জিনদের দেখতে পায়। উল্লেখ্য, রাতের
বেলা কুকুর ও গাধার ডাক শুনলে
"আউযুবিল্লাহি....রাজীম" এই দুয়া পড়ে
শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।
সহীহ
বুখারী, হিসনুল মুসলিম।
(৬) মোরগ আল্লাহর রহমতের
ফেরেশতাদেরকে দেখতে পায়, একারণে
মোরগের ডাক শুনে "আল্লাহুম্মা ইন্নি
আস-
আসুকা মিং ফাযলিকা" এই দুয়া পড়ে
আল্লাহর
অনুগ্রহ চাইতে হয়। হিসনুল মুসলিম।
(৭) গোসলখানায় প্রসাব করা যাবে
না।।
________ আল হাদিস (ইবনে মাজাহঃ
৩০৪)
(৮) কেবলামুখি বা তার উল্টো হয়ে
প্রসাব, পায়খানা করা যাবে না।।
_________ সহিহ বুখারিঃ ৩৯৫
(৯) গুলি বা তীরের নিশানা
প্রশিহ্মণের
জন্য প্রাণী ব্যবহার
করা যাবে না।।
_________ মুসলিমঃ ৫১৬৭
(১০) মুশরিক বা অবিশ্বাসীদের কাউকে বিয়ে করা যাবে না। বিশেষ করে- স্বামী ছাড়া অন্য কারো জন্য স্ত্রীর সাজ-সজ্জা গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৩৩)
(১১) কারো গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো বা দৃষ্টি দেওয়া যাবে না। যদিও তাদের কাপড় পরা থাকে।’ (মুসলিম)
(১২) মুর্তি কেনা, বেঁচা, পাহারা
দেওয়া
হারাম।।
_________ আল কোরআন (মাইদাহঃ
৯০, ইবরাহীমঃ ৩৫)
(১৩) কারো মুখমণ্ডলে আঘাত
করা যাবে না।।
________ মুসলিমঃ ৬৮২১
(১৪) কাপড় পরিধাণ থাকা সত্তেও
কারো গোপন অঙ্গের জায়গার
দিকে দৃষ্টিপাত করা যাবে না।।
________ মুসলিম ৭৯৪
(১৫) আল্লাহ ব্যাতিত কারো নামে
কসম করা যাবে না। বাপ দাদার নাম,
কারো
হায়াত, মসজিদ বা কোরআন এর
নামে কসম করা, মাথায় নিয়ে
সত্যতা প্রকাশ করা যাবে না।।
__________ আবু দাউদ৩২৫০
নাসায়ীঃ ৩৭৭৮।
(১৬) কোন প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে
মারা যাবে না।।
_________ আবু দাউদ ২৬৭৭
(১৭) হাশরের দিন শেষ বিচারের পরে
আল্লাহ
জান্নাতীদেরকে জান্নাতে দেবেন
আর,
জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে
দেবেন।
তখন আল্লাহ জান্নাতী ও
জাহান্নামীদেরকে
ডাক দিয়ে বলবেন, তোমরা এই দিকে
দেখো। তখন জান্নাত ও জাহান্নামের
মাঝখানে একটা সাদা দুম্বাকে
দেখিয়ে
আল্লাহ বলবেন, এই দুম্বাটা হচ্ছে
মরণ।
তখন সেই দুম্বাকে জবাই করে ফেলা
হবে।
এইভাবে দুম্বারূপী মরণকে জবাই করে
আল্লাহ মৃত্যুকে হত্যা করে ফেলবেন।
তখন
তিনি বলবেন, আজকের পর থেকে আর
কোন
মরণ থাকবেনা। সুতরাং, যারা
জান্নাতে
যাবে তারা চিরকাল জান্নাতে আনন্দ-
উল্লাসের মাঝে থাকবে। আর যারা
জাহান্নামে যাবে তারা চিরকাল
আযাব-
গজব
আর দুঃখ-কষ্টের মাঝে থাকবে।
দুম্বারূপী
মৃত্যুকে হত্যা করে ফেলার এই ঘোষণার
কারণে জান্নাতীরা আরো বেশি
আনন্দিত
হবে, কারণ তাদের আনন্দের জীবন
কখনো
শেষ হবেনা। আর এই ঘোষণা
জাহান্নামীদের জন্যে আরো বড় বিপদ

দুঃখ নিয়ে আসবে। কারণ জাহান্নামে
যতই
আগুনে পুড়ুক বা যতই যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি
ভোগ করুক, তার ফলে কোনদিন তারা
মরবেনা। অনন্তকাল কঠিন শাস্তি
ভোগ
করতে থাকবে। সহীহ বুখারী, সহীহ
মুসলিম।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে উপরোক্ত
কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তৌফিক
দান করুন।

আল্লাহর ৯৯টি নামের অর্থসহ ফজিলত❤️"Timeline এ রেখে দিন"March 11اللهআল্লাহঅর্থ: আল্লাহফজিলত: প্রত্যহ ১০০০ বার এই নামের যিক...
08/05/2024

আল্লাহর ৯৯টি নামের অর্থসহ ফজিলত❤️"Timeline এ রেখে দিন"
March 11
الله
আল্লাহ
অর্থ: আল্লাহ
ফজিলত: প্রত্যহ ১০০০ বার এই নামের যিকির করলে ঈমান দৃঢ় ও মযবুত হয়।
الرحمن
আর রাহমান
অর্থ: পরম দয়ালু
ফজিলত: প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার পড়লে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার অন্তর থেকে সব ধরনের কঠোরতা ও অলসতা দূর হয়ে যাবে।
الرحيم
আর-রহী'ম
অর্থ: অতিশয়-মেহেরবান
ফজিলত: প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার করে পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্‌ পৃথিবীর সকল বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
الملك
আল-মালিক
অর্থ: সর্বকর্তৃত্বময়
ফজিলত: ফযরের নামাজের পর অধিকহারে পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে ধনবান করে দিবেন।
القدوس
আল-কুদ্দুস
অর্থ: নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
ফজিলত: প্রত্যহ শেষ রাতে (উয়া কুদ্দূসু) নামুটি ১০০০ বার পড়লে রোগ ব্যধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
السلام
আস-সালাম
অর্থ: নিরাপত্তা-দানকারী, শান্তি-দানকারী
ফজিলত: এই নামটি ১১৫ বার কোন রুগির উপর পরে ফু দিবে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থতা ও আরোগ্য দান করবেন।
المؤمن
আল-মু'মিন
অর্থ: নিরাপত্তা ও ঈমান দানকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি কোন ভয়-ভীতির সময় ৬৩০ বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি এ নামটি পাঠ করবে বা লিখে নিজের সাথে রাখবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা করবেন।
المهيمن
আল-মুহাইমিন
অর্থ: পরিপূর্ন রক্ষণাবেক্ষণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি গোসল করে ১১৫ বার এ নামটি পরবে, গোপন বিষয়াদি উপর অবগত হবে। সর্বদা পরলে সব বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।
العزيز
আল-আ'জীজ
অর্থ: পরাক্রমশালী, অপরাজেয়
ফজিলত: ৪০ দিন পর্যন্ত যে ব্যক্তি এ নামটি ৪০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সম্মানী ও অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দিবেন।
الجبار
আল-জাব্বার
অর্থ: দুর্নিবার
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতি দিন সকাল-বিকাল ২২৬ বার পড়লে যাবতীয় জুলুম থেকে মুক্তিপাবে।
المتكبر
আল-মুতাকাব্বিইর
অর্থ: নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
ফজিলত: এই নাম সর্বদা পড়লে মান সম্মান বৃদ্ধি পায় ও উন্নতি লাভ হয়।
الخالق
আল-খালিক্ব
অর্থ: সৃষ্টিকর্তা
ফজিলত: যে ব্যক্তি সাত দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ১০০ বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ সকল বিপদআপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
البارئ
আল-বারী
অর্থ: সঠিকভাবে সৃষ্টিকারী
ফজিলত: বন্ধ্যা নারী যদি সাতদিন রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করার পর (ইয়া বারী-উল মুছউইর) ২১ বার পাঠ করবে, তাহলে ইনশাআল্লাহ্‌ তার পুত্র সন্তান লাভ হবে।
المصور
আল-মুছউইর
অর্থ: আকৃতি-দানকারী
ফজিলত: বন্ধ্যা নারী যদি সাতদিন রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করার পর (ইয়া বারী-উল মুছউইর) ২১ বার পাঠ করবে, তাহলে ইনশাআল্লাহ্‌ তার পুত্র সন্তান লাভ হবে।
الغفار
আল-গফ্ফার
অর্থ: পরম ক্ষমাশীল
ফজিলত: জুম্মার নামাযের পর ১০০ বার পড়লে গুনাহ মাফ হয় ও অভাব দূর হয়।
القهار
আল-ক্বাহার
অর্থ: কঠোর
ফজিলত: ক্রমাগত আল্লাহ্‌র এই নাম পাঠ করলে, পার্থিব ভালবাসা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন এবং পরিবর্তে আল্লাহ্‌র ভালবাসা আপানার হৃদয়ে সহজাত হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্‌
الوهاب
আল-ওয়াহ্হাব
অর্থ: সবকিছু দানকারী
ফজিলত: চাশতের নামাযের পর সেজদায় গিয়ে ১০০ বার পড়লে অর্থ ও প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
الرزاق
আর-রজ্জাক্ব
অর্থ: রিযকদাতা
ফজিলত: ফজরের নামাযের পূবে এই নামের যিকির করলে রিযিক বৃদ্ধি পায়।
الفتاح
আল ফাত্তাহ
অর্থ: বিজয়দানকারী
ফজিলত: ফযরের নামাজের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭০ বার এই নাম পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার অন্তর ঈমানের জ্যোতি দ্বারা আলোকিত হবে।
العليم
আল-আ'লীম
অর্থ: সর্বজ্ঞ
ফজিলত: এ নাম সর্বদা পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধি পায় গুনাহ মাফ হয় ও মনের কপাট খুলে যায়।
القابض
আল-ক্ববিদ্ব'
অর্থ: সংকীর্ণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ৪০ দিন এই নামটি ৪ টুকরা রুটির উপর লিখে খাবে, তিনি ক্ষুদা, পিপাসা ও ব্যথা বেদনা থেকে রক্ষা পাবে।
الباسط
আল-বাসিত
অর্থ: প্রশস্তকারী
ফজিলত: প্রতিদিন নামাজের পর মুনাজাত করে ১০ বার আল্লাহ্‌র এই নাম পাঠ করেন, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে ধনী বনিয়ে দিবেন এবং কখন কার মুখাপেক্ষী হবে না।
الخافض
আল-খফিদ্বু
অর্থ: অবনতকারী
ফজিলত: প্রত্যহ ৫০০ বার এ নামের ‍পাঠ করলে আল্লাহ্‌ তায়ালা তার প্রয়োজন পূর্ণ করবেন ও সকল সমস্যা দূর করে দিবেন।
الرافع
আর-রফীই'
অর্থ: উন্নতকারী
ফজিলত: ১০০ বার পড়লে, আল্লাহ্‌ আপানকে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সমগ্র সৃষ্টির স্বাধীনতা প্রদান করা হবে। ইনশাআল্লাহ্‌
المعز
আল-মুই'জ্ব
অর্থ: সম্মান-দানকারী
ফজিলত: প্রতি সোমবার ও শুক্রুবার মাগরিব নামাজ পরে এই নাম্ ৪০ বার পড়লে মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ও সকলের নিকট সম্মানের পাত্র হয়।
المذل
আল-মুদ্বি'ল্লু
অর্থ: (অবিশ্বাসীদের) বেইজ্জতকারী
ফজিলত: নামাযের পর সেজদায় গিয়ে ৭৫ বার পড়ে দোয়া করলে শত্রুতা হতে মুক্তি পাওয়া যায় ।
السميع
আস্-সামিই'
অর্থ: সর্বশ্রোতা
ফজিলত: শুক্রুবার চাশতের পর ৫০০/১০০/৫০ বার পড়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
البصير
আল-বাছীর
অর্থ: সর্ববিষয়-দর্শনকারী
ফজিলত: জুম্মার নামাযের পর ১০০ বার পড়লে দৃষ্টিতে আলো ও অন্তরে জ্যোতি সৃষ্টি হবে।
الحكم
আল-হা'কাম
অর্থ: অটল বিচারক
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক হারে পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ তালা তার জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার খুলে দিবেন।
العدل
আল-আ'দল
অর্থ: পরিপূর্ণ-ন্যায়বিচারক
ফজিলত: শুক্রবার রাতে বিশ টুকরা রুটির উপর লিখে খেলে আল্লাহ্‌ তায়ালা সৃষ্টজীবকে তার অনুগত করে দিবেন।
اللطيف
আল-লাতীফ
অর্থ: সকল-গোপন-বিষয়ে-অবগত
ফজিলত: যে ব্যক্তি ১৩৩ বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার খাদ্যে বরকত হবে এবং তার সব কাজ সুন্দরভাবে পূর্ণ হবে।
الخبير
আল-খ'বীর
অর্থ: সকল ব্যাপারে জ্ঞাত
ফজিলত: ৭ দিন পর্যন্ত এ নাম পড়তে থাকলে গোপন তথ্য অবগত হওয়া যায়।
الحليم
আল-হা'লীম
অর্থ: অত্যন্ত ধৈর্যশীল
ফজিলত: যে ব্যক্তি এই নামটি কাগজে লিখে, পানিতে এটি ডুবিয়ে রেখে এবং সে পানি শস্য ক্ষেত্রে অথবা কোন জিনিসের উপর ছিটিয়ে দিবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তার ফসল নষ্ট করবেনা, বরং সংরক্ষন করবেন।
العظيم
আল-আ'জীম
অর্থ: সর্বোচ্চ-মর্যাদাশীল
ফজিলত: নিয়মিত এ নামের যিকির করলে তার মর্যাদা, সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ হবে।
الغفور
আল-গফুর
অর্থ: পরম ক্ষমাশীল
ফজিলত: অধিকহারে এই নাম পাঠ করলে, সব রোগবালাই, দুঃখ ও দুর্দশা অপসারণ করা হয়, আল্লাহ্‌র দোয়া তার সম্পদ এবং সন্তানাদির উপর পরবে। ইনশাআল্লাহ্‌
الشكور
আশ্-শাকুর
অর্থ: গুনগ্রাহী
ফজিলত: কোন ব্যক্তি যদি, আর্থিক, মানসিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক সমস্যার সম্মুখিন হন, ৪১ বার আল্লাহ্‌ এর এই নাম পাঠ করলে, আল্লাহ্‌ শীঘ্রই উদ্ধার প্রদান করবেন। ইনশাআল্লাহ্‌
العلي
আল-আ'লিইউ
অর্থ: উচ্চ-মর্যাদাশীল
ফজিলত: এ নাম সর্বদা পাঠ করলে ও লিখে সঙ্গে রাখলে ইনশাআল্লাহ্‌ মর্যাদার উচ্চতা, সচ্ছলতা ও উদ্দেশ্যে সফলতা লাভ করবে।
الكبير
আল-কাবিইর
অর্থ: সুমহান
ফজিলত: কোন ব্যক্তি কে যদি তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে ৭ দিন রোযা রেখে এবং প্রতি দিন এই নাম ১০০০ বার পাঠ করলে, আল্লাহ্‌ তার পদ কে সম্মান এবং মর্যাদা দিয়ে পুনরায় ফিরিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ্‌
الحفيظ
আল-হা'ফীজ
অর্থ: সংরক্ষণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক হারে পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রেখে দিবে, ইনশাআল্লাহ্‌ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদে থাকবে।
المقيت
আল-মুক্বীত
অর্থ: সকলের জীবনোপকরণ-দানকারী
ফজিলত: ৭ বার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সে পানি শিশুকে খাওয়ালে তার কান্না বন্ধ হয়।
الحسيب
আল-হাসীব
অর্থ: হিসাব-গ্রহণকারী
ফজিলত: কোন ব্যক্তি যদি কোন মানুষ বা কোন জিনিস কে ভয় পান, তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু আট দিনের জন্য রাতে ও সকালে ৭০ বার এবং ৭০ বার (হাসবিয়াল্লাহুল-সাসিবু) পাঠ করলে, আল্লাহ্‌ তার ভয় ও মন্দ জিনিসের বিরুদ্ধে সুরুক্ষা প্রদান করবে। ইনশাআল্লাহ্‌
الجليل
আল-জালীল
অর্থ: পরম মর্যাদার অধিকারী
ফজিলত: এই নামটি মেশক ও জাফরান দিয়ে লিখে নিজের কাছে রাখবে বা ধুয়ে খেলে, তার সম্মান, মহিমা এবং মর্যাদা দিবে। ইনশাআল্লাহ্‌
الكريم
আল-কারীম
অর্থ: সুমহান দাতা
ফজিলত: ঘুমানোর পূবে এ নামের যিকির করলে আলেম ও সৎ লোকের মর্যাদা লাভ হয়।
الرقيب
আর-রক্বীব
অর্থ: তত্ত্বাবধায়ক
ফজিলত: এই নাম ৭ বার প্রতিদিন পাঠ করলে এবং নিজের ও তার পরিবারের উপর ফুঁ দিলে, আল্লাহ্‌ ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে আপনাকে এবং আপনার সম্পদ রক্ষা করবেন। ইনশাআল্লাহ্‌
المجيب
আল-মুজীব
অর্থ: জবাব-দানকারী, কবুলকারী
ফজিলত: সর্বদা এই নাম পাঠ করলে আল্লাহ্‌ তায়ালা তার দোয়া কবুল করেন আর নামটি লিখে নিজের কাছে রাখলে সে বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।
الواسع
আল-ওয়াসি'
অর্থ: সর্ব-ব্যাপী, সর্বত্র-বিরাজমান
ফজিলত: অধিক পরিমাণে এ নামের যিকির করলে আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে প্রকাশ্য ও ভিতরগত অমুখাপেক্ষিতা ও বরকত দান করবে।
الحكيم
আল-হাকীম
অর্থ: পরম-প্রজ্ঞাময়
ফজিলত: ক্রমাগত এই নাম পাঠ করলে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞানের দ্বার খুলে দিবেন।
الودود
আল-ওয়াদুদ
অর্থ: (বান্দাদের প্রতি) সদয়
ফজিলত: ১০০ বার পড়ে খাদ্যে ফু দিয়ে স্বামী স্ত্রী থেলে তাদের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি হয়।
المجيد
আল-মাজীদ
অর্থ: সকল-মর্যাদার-অধিকারী
ফজিলত: প্রত্যহ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার পড়ে শরীরে ফু দিলে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
الباعث
আল-বাই'ছ'
অর্থ: পুনুরুজ্জীবিতকারী
ফজিলত: নিদ্রার পূর্বে বুকের উপর হাত রেখে ১০০০ বার পড়লে জ্ঞান ও হেকমত বৃদ্ধি পায়।
الشهيد
আশ্-শাহীদ
অর্থ: সর্বজ্ঞ-স্বাক্ষী
ফজিলত: এ নামের যিকির বেশী বেশী পড়লে অন্তরের খারাপ বাসনা দূর হয়।
الحق
আল-হা'ক্ব
অর্থ: পরম সত্য
ফজিলত: যদি, পরিবারের কোন সদস্য নিখোঁজ বা পলাতক বা জিনিসপত্র চুরি হয়ে থাকলে, চারকোণ বিশিষ্ট কাগজের চতুষ্কোণে নামটি লিখে সেহরীর সময় হাতের তালুর উপর রেখে আকাশের দিকে উঠিয়ে দোয়া করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ যে কোন ব্যক্তি অথবা জিনিস পাওয়া যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
الوكيل
আল-ওয়াকিল
অর্থ: পরম নির্ভরযোগ্য কর্ম-সম্পাদনকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি বিপদ আপদের সময় ভয়ে অধিক হারে এই নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
القوي
আল-ক্বউইউ
অর্থ: পরম-শক্তির-অধিকারী
ফজিলত: জুম্মার পর এ নামের যিকির করলে যুলুম থেকে বাচা যায়।
المتين
আল-মাতীন
অর্থ: সুদৃঢ়
ফজিলত: যে কোন ভদ্রমহিলা এর বুকের দুধের না থাকলে এক টুকরো কাগজের উপর আল্লাহ্‌ এর এই নাম লিখে পানিতে ডুবিয়ে রেখে তারপর এটি পান করলে তার বুকের মধ্যে দুধ আসবে ইনশাআল্লাহ্‌
الولي
আল-ওয়ালিইউ
অর্থ: অভিভাবক ও সাহায্যকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক হারে এই নামটি পড়বে সে সৃষ্ট জীবের গোপন তথ্য সম্পর্কে জানবে।
الحميد
আল-হা'মীদ
অর্থ: সকল প্রশংসার অধিকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ৪৫ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ৯৩ বার নির্জনতায় নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ সকল অসৎ স্বভাব দূর হয়ে যাবে এবং তার থেকে উত্তম কার্যাবলী প্রকাশ পাবে।
المحصي
আল-মুহছী
অর্থ: সকল সৃষ্টির ব্যপারে অবগত
ফজিলত: যে ব্যক্তি রুটির ২০ টি টুকরোর উপর প্রতিদিন ২০ বার এই নামটি পড়ে ফু দিবে এবং খাবে তাহলে ইনশাআল্লাহ্‌ সৃষ্টি জগত তার অনুগত হয়ে যাবে।
المبدئ
আল-মুব্দি'
অর্থ: প্রথমবার-সৃষ্টিকর্তা
ফজিলত: যে ব্যক্তি সেহরীর সময় গর্ভবতি নারীর পেটের উপর হাত রেখে ৯৯ বার এই নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌ না তার গর্ভপাত হবে, না সময়ের আগে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবে।
المعيد
আল-মুঈ'দ
অর্থ: পুনরায়-সৃষ্টিকর্তা
ফজিলত: কোন ব্যক্তি হারিয়ে গেলে যখন গৃহের সকল ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়বে তখন হারানো ব্যক্তিকে ফেরত আনার জন্য গৃহের ৪ কোণে ৭০ বার নামটি পড়বে, ইনশাআল্লাহ্‌ হারানো ব্যক্তি ৭ দিনের মধ্যে ফেরত আসবে অথবা তার কোন খবর পাওয়া যাবে।
المحيي
আল-মুহ'য়ী
অর্থ: জীবন-দানকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে সে অধিক হারে পাঠ করবে অথবা কোন রোগীর উপর ফু দিবে তাহলে ইনশাআল্লাহ্‌ সুস্থ হয়ে যাবে।
المميت
আল-মুমীত
অর্থ: মৃত্যু-দানকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি আত্মার নিয়ন্ত্রনে না থাকে সে শয়ন কালে বক্ষদেশে হাত রেখে এই নামটি পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। আল্লাহ্‌ চান তো তার নফস বাধ্য ও অনুগত হয়ে যাবে।
الحي
আল-হাইয়্যু
অর্থ: চিরঞ্জীব
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০০০ বার এই নামটি পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ্‌ সে কখনও অসুস্থ হবেনা।
القيوم
আল-ক্বাইয়্যুম
অর্থ: সমস্তকিছুর ধারক ও সংরক্ষণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি এই নামটি শেষ রাতে অধিকবার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্‌ মানুষের হৃদয়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
الواجد
আল-ওয়াজিদ
অর্থ: অফুরন্ত ভান্ডারের অধিকারী
ফজিলত: খাওয়ার সময় পড়লে ওই খাদ্য কলবের শক্তি ও নূর সৃষ্টির সহায়ক হবে।
الماجد
আল-মাজিদ
অর্থ: শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি নির্জনতায় এই নামটি অধিক পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার অন্তরের ভিতর আল্লাহ্‌ এর জ্যোতি প্রকাশ হতে শুরু করবে।
الواحد
আল-ওয়াহি'দ
অর্থ: এক ও অদ্বিতীয়
ফজিলত: প্রত্যহ ১০০০ বার পাঠ করলে মন থেকে ভয় ভীতি দূর হয়ে যাবে।।
الصمد
আছ্-ছমাদ
অর্থ: অমুখাপেক্ষী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ভোর রাতে অথবা কিছু রাত থাকতে সেজদায় মাথা রেখে ১১৫ অথবা ১২৫ বার এই নামটি পড়বে, তার বাহ্যিক ও ভিতরগত ভাবে সত্যবাদিতা লাভ হবে এবং কোন অত্যাচারি দ্বারা পিষ্ট হবেনা।
القادر
আল-ক্বদির
অর্থ: সর্বশক্তিমান
ফজিলত: যে ব্যক্তি ওজু করার সময় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধৌত করার সময় প্রতিটি জোড়ার উপর এই নামটি পড়বে, সে কখন জালিমের থাবায় আবদ্ধ হবেনা। কোন শত্রু তার উপর বিজয় লাভ করতে পারবেনা।
المقتدر
আল-মুক্ব্তাদির
অর্থ: নিরঙ্কুশ-সিদ্বান্তের-অধিকারী
ফজিলত: যদি কেউ এই নামটি সর্বদা পড়ে তবে তার উদাসীনতা স্মরনের দ্বারা পরিবর্তিত হবে। যে ব্যক্তি নিদ্রা থেকে উঠার পর ২০ বার এই নামটি পড়বে, তবে তার সব কাজ ঠিক এবং সমাধান হয়ে যাবে।
المقدم
আল-মুক্বদ্দিম
অর্থ: অগ্রসারক
ফজিলত: যে ব্যক্তি যুদ্ধের সময় অধিক হারে পরবে অথবা লিখে নিজের কাছে রাখবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে সামনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা দান করবেন এবং শত্রুদের থেকে নিরাপদ রাখবেন।
المؤخر
আল-মুয়াক্খির
অর্থ: অবকাশ দানকারী
ফজিলত: প্রতিদিন ১০০ বার আল্লাহ্‌ এর নাম পাঠ করলে, তিনি দুর্মূল্য এবং আল্লাহর প্রিয় হয়ে যাবেন । ইনশাআল্লাহ্‌
الأول
আল-আউয়াল
অর্থ: সর্বপ্রথম
ফজিলত: কোন ব্যক্তি পুত্র সন্তান এর ইচ্ছা পোষণ করলে, ৪০ দিনের জন্য ৪০ বার নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্‌ তার উদ্দেশ্য পুরন হবে।
الأخر
আল-আখির
অর্থ: অনন্ত, সর্বশেষ
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০০ বার পরবে, তার অন্তর থেকে আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কিছুর ভালবাসা দূর হয়ে যাবে।
الظاهر
আজ-জ'হির
অর্থ: সম্পূর্নরূপে-প্রকাশিত
ফজিলত: প্রত্যহ ইশরাক এর পর ৫০০ বার পড়লে চোখের দৃষ্টি শক্তি ও অন্তরে নূর লাভ হয় ।
الباطن
আল-বাত্বিন
অর্থ: দৃষ্টি হতে অদৃশ্য
ফজিলত: প্রত্যহ ৩৩ বার পড়লে গোপন রহস্য জানা যাবে। তার অন্তরে আল্লাহ্‌র ভালবাসা সৃষ্টি হবে।
الوالي
আল-ওয়ালি
অর্থ: সমস্ত-কিছুর-অনিভাব্ক
ফজিলত: এ নামের নিয়মিত যিকির করলে আল্লাহ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে ।
المتعالي
আল-মুতাআ'লি
অর্থ: সৃষ্টির গুনাবলীর উর্দ্ধে
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক বার পরবে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার সমস্যা দূর হবে।
البر
আল-বার্
অর্থ: পরম-উপকারী, অণুগ্রহশীল
ফজিলত: কোন ব্যক্তি ৭ বার আল্লাহ্‌র এই নাম পাঠ করে সন্তান জন্মের পর তার সন্তানের উপর ফুঁ দিলে, আল্লাহ্‌ বিপর্যয় থেকে তার সন্তান কে সুরক্ষা করবে। ইনশাআল্লাহ্‌
التواب
আত্-তাওয়াব
অর্থ: তাওবার তাওফিক দানকারী এবং কবুলকারী
ফজিলত: চাশতের নামাযের পর সেজদায় গিয়ে এ নামটি ৩০০ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার সত্য তওবা লাভ হবে। যে ব্যাক্তি এ নামটি বার বার পাঠ করবে, তার সকল কর্ম সহজ হবে। যদি কোন অত্যাচারীর উপর ফুঁ দেয়া হয় তবে ইনশাআল্লাহ্‌ তা থেকে মুক্তি লাভ হবে।
المنتقم
আল-মুনতাক্বিম
অর্থ: প্রতিশোধ-গ্রহণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ন্যায়ের উপর থাকে এবং শত্রু থেকে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা না থাকে, সে তিন জুম্মা পর্যন্ত অধিকহারে (ইয়া মুনতাক্বিমু) পড়বে, আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তার থেকে প্রতিশোধ নিয়ে নিবেন।
العفو
আল-আ'ফঊ
অর্থ: পরম-উদার
ফজিলত: যার প্রচুর গুনাহ আছে, সে লোকটি প্রতিনিয়ত এ নামটি পড়লে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
الرؤوف
আর-রউফ
অর্থ: পরম-স্নেহশীল
ফজিলত: যে ব্যক্তি দশবার দুরুদ শরীফ এবং দশবার এ নামটি পড়বে, তবে ইনশালাআল্লাহ তার ক্রোধ দূর হয়ে যাবে। অন্য রাগান্বিত ব্যাক্তির উপর ফুঁ দিলে তবে তার রাগ দূর হবে।
مالك الملك
মালিকুল-মুলক
অর্থ: সমগ্র জগতের বাদশাহ্
ফজিলত: যে ব্যক্তি (ইয়া মালিকাল মুলক) সর্বদা পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে লোকদের থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। সে কার মুখাপেক্ষী থাকবে না।
ذو الجلال والإكرام
যুল-জালালি-ওয়াল-ইকরাম
অর্থ: মহিমান্বিত ও দয়াবান সত্তা
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিকহারে পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মান এবং সৃষ্টজগত থেকে অমুখাপেক্ষীতা দান করবেন।
المقسط
আল-মুক্ব্সিত
অর্থ: হকদারের হক-আদায়কারী
ফজিলত: যে ব্যাক্তি এ নামটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়বে, শয়তানের আনিদিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি ৭ বার পড়ে তবে সে উদ্দেশ্য অর্জন হবে।
الجامع
আল-জামিই'
অর্থ: একত্রকারী, সমবেতকারী
ফজিলত: যার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধব বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, সে চাশতের সময় গোসল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ্‌র এই নাম ১০০ বার পাঠ করলে তার পরিবারের হারানো সদস্য শিগ্রই খুঁজে পাবেন। ইনশাআল্লাহ্
الغني
আল-গণিই'
অর্থ: অমুখাপেক্ষী ধনী
ফজিলত: যে ব্যাক্তি প্রতিদিন ৭০ বার এই নামটি পড়বে, আল্লাহ তাআলা তার অর্থ-সম্পদ বরকত দান করবেন। ইনশাল্লাল্লাহ সে কারো মুখাপেক্ষী হবে না।
المغني
আল-মুগণিই'
অর্থ: পরম-অভাবমোচনকারী
ফজিলত: যে ব্যাক্তি শুরু ও শেষে ১১ বার দুরুদ শরীফ পড়ে এগার শত এগার বার ওযীফার ন্যায় এ নামটি পড়বে, তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে বাহিরগত ও ভিতরগত ধনী করে দিবেন।
المانع
আল-মানিই'
অর্থ: অকল্যানরোধক
ফজিলত: যদি স্ত্রির সাথে ঝগড়া-বিবাদ অথবা তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে বিছানায় শোয়ার সময় ২০ বার এ নামটি পড়বে, ইনশাল্লাহ ঝগড়া-বিবাদ ও তিক্ততা দূর হয়ে যাবে এবং পরস্পর ভালবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে।
الضار
আয্-যর
অর্থ: ক্ষতিসাধনকারী
ফজিলত: সকাল সন্ধা এ নামের ‍যিকির করলে সকল ভাল কাজে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।
النافع
আন্-নাফিই'
অর্থ: কল্যাণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি কোন পরিচিত স্থানে পোঁছাবে এবং শুক্রবার রাতে যে ব্যক্তি নৌকা অথবা অন্য কোন যানবাহনে আরোহণের পর অধিকহারে পড়তে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্‌ ইচ্ছানুযায়ী কাজ হবে।
النور
আন্-নূর
অর্থ: পরম-আলো
ফজিলত: যে ব্যক্তি জুমার রাতে সাত বার সুরা নুর এবং এক হাজার বার এ নামটি পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্‌ তার অন্তর আল্লাহর জ্যোতি দারা আলকিত হয়ে যাবে।
الهادي
আল-হাদী
অর্থ: পথ-প্রদর্শক
ফজিলত: যে ব্যক্তি হাত উঠিয়ে আকাশ পানে মূখ করে এ নামটি অধিক হারে পড়বে, অবশেষে মুখমন্ডলে হাত মুছে নিবে, ইনশাআল্লাহ্‌ তার পূর্ণ হেদায়েত লাভ হবে, আর মারেফাত পন্থীদের মধ্যে অন্তভুক্ত হয়ে যাবে।
البديع
আল-বাদীই'
অর্থ: অতুলনীয়
ফজিলত: যে ব্যক্তি কোন দুশ্চিন্তা বিপদাপদ অথবা কোন সমস্যা সম্মুখে আসে, সে ১০০০ বার এ নামটি পড়বে ইনশাআল্লাহ্‌ সমস্যার সমাধান লাভ হবে।
الباقي
আল-বাক্বী
অর্থ: চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর
ফজিলত: জুম্মার রাতে যে ব্যক্তি এ নামটি ১০০ বার পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সব ধরনের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে নিরাপরাদ রাখবেন।
الوارث
আল-ওয়ারিস'
অর্থ: উত্তরাধিকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূর্যোদয়ের পূর্বক্ষণে ১০১ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্‌ সে যাবতীয় দুঃখ- বেদনা, চিন্তা- ভাবনা, কঠোরতা ও বিপদ থেকে মুক্তি থাকবে।
الرشيد
আর-রাশীদ
অর্থ: সঠিক পথ-প্রদর্শক
ফজিলত: যে ব্যক্তি নিজের কোন কাজ বা উদ্দেশ্য সমাধানের কোন তদবির বুঝে না আসে, মাগরিব ও এশার মাঝে সে (আর-রাশীদু) নামটি ১০০০ বার পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্‌ স্বপ্নে তদ্বির দেখা যাবে, অথবা অন্তরে ঢেলে দেয়া হবে।
الصبور
আস-সবুর
অর্থ: অত্যধিক ধৈর্যধারণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এ নামটি একশত বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্‌ সেদিন সে সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে ও বরকত লাভ হয়। শত্রু ও হিংসুকদের মুখ বন্ধ থাকবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুণবাচক আমলটি করার তাওফিক দান করুন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
► রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন♥️

৭০ টি ছোট আমল তবে পুরুস্কার অনেক বড় "Timeline এ রেখে দিন"March 31, 2023আমল : ১প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ। এ...
08/05/2024

৭০ টি ছোট আমল তবে পুরুস্কার অনেক বড় "Timeline এ রেখে দিন"
March 31, 2023
আমল : ১
প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ। এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।
আমল : ২
প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২।
আমল : ৩
প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮। সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩) ।
আমল : ৪
প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০।
আমল : ৫
রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। তবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫৬ ।
আমল : ৬
সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নং- ৫০৯১। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি' পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)
আমল : ৭
সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।
আমল : ৮
সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। নাসাই, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১।
আমল : ৯
বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। তিরমিজি, হাদিস নং- ৩৪২৮,৩৪২৯।
আমল : ১০
বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪৯৯, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৩১৬।
আমল : ১১
জামাতে ইমামের প্রথম তাকবীরের সাথে ৪০ দিন সলাত আদায় করুন এতে আপনি নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তিরমিজি, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৭৪৭, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৪০৪)।
আমল : ১২
প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি আল্লাহ তা’লার কাছে জিহাদকারির সমতুল্য হবেন। সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ৬০০৭।
আমল : ১৩
মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১- ৫ ওয়াক্ত সলাত ২- রমজানের সিয়াম, ৩- লযযাস্থানের হেফাজত, ৪- স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪১৬৩ ।
আমল : ১৪
মসজিদে ফজরের সলাত আদায় করে বসে দোয়া জিকির পাঠ করুণ এবং সূর্য উঠে গেলে ২ রাকাত ইশরাক সালাত আদায় করুণ এতে প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল ১ টি হজ্জ ও উমরার সওয়াব পাবেন। তিরমিজি, তারগিব হাদিস নং- ৪৬১।
আমল : ১৫
প্রতিটি ভালো কাজ ডান দিক দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা।
আমল : ১৬
ঘুম থেকে উঠে ঘুমের দুয়া পড়া।
আমল : ১৭
বাথরুমে যেতে দুয়া পড়ে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা, বের হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে বের হয়ে দুয়া পড়া। [বাথরুমে কোন দুয়া পড়া যাবে না]
আমল : ১৮
-ওযুর পূর্বে মিসওয়াক করার অভ্যাস করা। -ওযুর শুরুতে এবং শেষে হাদিসে বর্ণিত দুয়া পড়া।
আমল : ১৯
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে দুয়া পড়ে বের হওয়া এবং প্রবেশের সময়ও ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে সালাম দেয়া। যদিও ঘরে কেউ না থাকুক না কেন সালাম দেয়া সুন্নাহ, আল্লাহর হুকুম। যদি ঘরে কেউ নাকে তবে এই সালাম ঘরের ফিরিশতাদের জন্য।
আমল : ২০
মসজিদে ডান পা দিয়ে দরুদ ও দুয়া পড়ে ঢুকা এবং বাম পা দিয়ে দরুদ ও দুয়া পড়ে বের হওয়া।
আমল : ২১
রাস্তার ডানপাশে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। না পারলে ভিন্ন কথা।
আমল : ২২
-ফরজ সালাত শেষে হাদিসে বর্ণিত যিকির, দুয়ার আমল করা। -ফজর ও মাগরিবের পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া, তিন ক্বুল পড়ে শরীর দম করা, ইত্ত্যাদি হাদিসে বর্ণিত আমল করা।
আমল : ২৩
-আযানের জবাব দেয়া, আযানের পর হাদিসে বর্ণিত দুয়া পড়া। (হাত উত্তোলন না করে) -চলতে ফিরতে ছোট বড় সকলকে সালাম দেয়া। সালাম দিয়ে কথা শুরু ও শেষ করা। শুদ্ধভাবে সালাম দেয়া।
আমল : ২৪
জামা ও জুতা পরার সময় ডান দিক থেকে পরা এবং খুলার সময় বামদিকে আগে খুলা। সম্ভব হলে হাদিসে বর্ণিত দুয়া মুখস্থ করে আমলের অভ্যাস করা।
আমল : ২৫
পানি খাওয়ার সময় ৬টি সুন্নত ভালোভাবে মেনে খাওয়ার চেষ্টা করা।
আমল : ২৬
ভাত বা যেকোন খাবার খাওয়ার সময় সমতল জায়গায় বসে দস্তরখানা বিছিয়ে বিসমিল্লাহ বলে দুয়া পড়ে খাওয়া, কিছু পরে গেলে তুলে ধুয়ে খাওয়া, খাওয়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ্ পড়া।
আমল : ২৭
ঘুমানোর আগে সূরা মূলক তিলাওয়াত করা, তিন ক্বুল(ইখলাস,ফালাক্ব,নাস) পড়ে তিনবার শরীর দম করা, ঘুমের দুয়া পড়া, আয়াতুল কুরসী পড়া, সূরা কাফিরুন পড়ে ডান কাত হয়ে শোয়া।
আমল : ২৮
ঘুমের মাঝখানে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে উঠে বামপাশে তিনবার থু থু ফেলা এবং আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম পড়ে আল্লাহর কাছে শয়তানের হাত থেকে পানাহ চাওয়া।
আমল : ২৯আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা :-
‘‘কেউ যদি চায় যে তার মূলধন বৃদ্ধি করা হোক এবং বয়স দীর্ঘ করা হোক, তবে তাকে বল সে যেন আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’’ [বুখারী, মুসলিম]
আমল : ৩০
২টি পবিত্র হারামে (মক্কা ও মাদীনা) সলাত পড়া :-
‘‘আমার এই মাসজিদে সলাত পড়া অন্য কোথাও ১ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়েও উত্তম, শুধুমাত্র মাসজিদুল হারাম ছাড়া এবং মসজিদুল হারাম এ সলাত পড়া অন্য কোথাও একশ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়ে উত্তম।’’ [আহমাদ, ইব্ন মাজাহ]
আমল : ৩১
জামা’আতে সলাত পড়া :-
‘‘ জামা’আতে সলাত পড়া একাকী সলাত পড়ার চাইতে ২৭ গুন বেশী মর্যাদার।’’ [বুখারী, মুসলিম]
আমল : ৩২
ইশা এবং ফজর জামা’আতে পড়া :-
‘‘যে ব্যক্তি ইশার সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদাত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন পুরো রাত ইবাদাত করল।’’ [মুসলিম]
আমল : ৩৩
নফল সলাত বাসায় পড়া :-
‘‘ফরজ সলাত ছাড়া মানুষের সলাতের মধ্যে সেই সলাত উৎকৃষ্ট, যা সে ঘরে পড়ে।’’ [বুখারী , মুসলিম]
আমল : ৩৪
জুম’আহ র দিনের ইবাদাত গুলো পালন করা :-
‘‘যে জুমু’আহর দিনে গোসল করে , তারপর প্রথম খুৎবার পূর্বেই উপস্থিত থাকে, পায়ে হেটেঁ আসে, ইমামের কাছে বসে এবং মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনে ও কোন কথা না বলে -- তাহলে প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একবছর সলাত পড়া ও রোজা রাখার সমান সওয়াব পাবে।’’ (আহল-আস-সুনান) হজরত আউস ইবনে আউস আস্সাকাফি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, 'যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করবে, অতঃপর কোনো রকম যানবাহনে না চড়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যাবে, ইমামের নিকটবর্তী বসবে, চুপ থাকবে এবং অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকবে, তবে তার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রতি কদমে এক বছরের রোজা ও কিয়ামুল লাইলের সওয়াব লেখা হবে। (আবু দাউদ : ৩৪৫)
আমল : ৩৫
দোহার (ইশরাক) সলাত পড়া :-
‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন। [আত-তিরমিজি]
আমল : ৩৬
ইলমের জন্য মাসজিদে যাওয়া :-
‘‘যে দুনিয়াবি কোন কারন ছাড়া দ্বীনি ইলম শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মাসজিদে যায়, সে ঐ ব্যক্তির মত যে তার হজ্জ পূর্ণ করেছে।’’ [আত তাবারানী]
আমল : ৩৭
রমজানে ওমরাহ পালন করা :-
‘‘রমজানে ওমরাহ করা আমার সাথে হজ্জ করার সমান।’’ [বুখারী]
আমল : ৩৮
মসজিদে ফরজ সলাত আদায় করা :-
‘‘যে ব্যক্তি নিজের গৃহ থেকে পবিত্রতা অর্জন করে (অজু ও প্রয়োজনে গোসলও করে) আল্লাহর গৃহের মধ্য থেকে কোন একটি গৃহের দিকে যায়, আল্লাহর ফরজের মধ্য থেকে কোন একটি ফরজ আদায় করার উদ্দেশ্যে, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং অন্য পদক্ষেপটি তার একটি মর্যাদা উন্নত করে।’’ [মুসলিম]
আমল : ৩৯
জামা’আতে প্রথম সারিতে দাড়ানোর চেষ্টা করা :-
‘‘রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম সারির জন্য ৩ বার এবং দ্বিতীয় সারির জন্য ১ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।’’ [আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]
আমল : ৪০
মাদীনার মাসজিদুল কুবায় সলাত পড়া :-
‘‘যে ব্যক্তি ঘর থেকে নিজেকে পবিত্র করে, তারপর মাসজিদুল কু’বায় আসে এবং সলাত পড়ে, সে যেন ওমরাহর সওয়াব পেল।’’ [আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]
আমল : ৪১
আযানের জবাব দেয়া :-
‘‘যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তার পুনরাবৃত্তি করে যাও। যখন আযান শেষ হয় তখন (দোয়া )চাও, তোমাকে দেয়া হবে।’’ [আবু দাউদ, আন নাসাঈ]
আমল : ৪২
রমজানের এবং শাওয়ালের রোজা রাখা :-
‘‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলো, তারপর শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলো সে যেন এক বছর রোজা রাখলো।’’ [মুসলিম]
আমল : ৪৩
প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা :-
‘‘প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমান।’’ [বুখারী, মুসলিম]
আমল : ৪৪
রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারি করানো :-
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার (রোজাদার) সমান প্রতিদান পায়, কিন্তু এর ফলে রোজাদারের প্রতিদানের মধ্যে কোন কমতি হবে না।’’ [তিরমিজি, ইবন মাজাহ]
আমল : ৪৫
লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদাত করা :-
‘‘মর্যাদাপূর্ণ এ রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’’। [ক্বদর, ৯৭:৩]
আমল : ৪৬
জিহাদ :-
‘‘একজন ব্যক্তির আল্লাহর পথে জিহাদের সারিতে দাড়ানো, ৬০ বছর ইবাদাতের চেয়েও উত্তম।’’ [আল-হাকিম]
আমল : ৪৭
রিবাত (রাত জেগে ইবাদাত করা) :-
‘‘একদিন ও একরাত স্বদেশের (মুসলিম দেশের সীমান্ত, যেখানে শত্রুর হামলার আশংখা আছে) সীমান্ত পাহারা দেয়া এক মাস ধরে রোজা রাখা ও রাতে ইবাদাত করার চাইতে বেশী মূল্যবান। এ অবস্থায় যদি সে মারা যায় তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মারা যাবার পরও তা তার জন্য জারী থাকবে। তার রিযকও জারী থাকবে এবং কবরের পরীক্ষা থেকেও সে থাকবে সুরক্ষিত। য[মুসলিম]
আমল : ৪৮
যুল হিজ্জা এর প্রথম ১০ দিন বেশী বেশী ইবাদাত করা :-
‘‘এমন কোন দিন নেই যেদিনে কৃত আমল এসব দিন অর্থাৎ যুল হিজ্জা এর প্রথম ১০দিনের নেক আমলের মত আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়।’’ সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘ইয়া রসূলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকী) আমল ও কি নয়?’’ তিনি বললেন: ‘‘না, আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকী) আমলও নয়। তবে যে ব্যক্তি তাদের জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনটা নিয়েই আর ফিরে আসল না সে ছাড়া।’’ [বুখারী]
আমল : ৪৯
কুরআনের সূরা গুলো বার বার তিলাওয়াত করা :-
‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক তৃতীয়াংশ এবং ‘ক্বুল ইয়া আইযুহাল কাফিরুন’ কুরআনের চার ভাগের এক ভাগ।’’’ [আত তাবারানী]
আমল : ৫০
ইসতিগফার করা :-
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য ইসতিগফার করে, আলাহ প্রত্যেকের জন্য ১টি করে নেক আমল লিখে দেন।-রিয়াদুস সালেহিনম: ৫১
মানুষের প্রয়োজন পূরণ করা :-
‘‘ যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আলাহ তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেন। যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের কোন অসুবিধা (বিপদ) দূর করে দেয়, আলাহ এর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন তার কষ্ট ও বিপদের অংশ বিশেষ দূর করে দিবেন।’’
আমল : ৫২
যিকর :-
‘‘সুবহানালা-হি ওয়াল হামদু লিলা-হি, ওয়ালা ইলা-হা ইলালাহ-হু আলাহু আকবার’’ এই কালিমা গুলো বলা, সূর্য যে সমস্ত জিনিসের ওপর উদিত হয়, সেই সমুদয় জিনিসের অপেক্ষা অধিকতর প্রিয়।’ [মুসলিম]
আমল : ৫৩
‘‘আলাহ কি তোমাদের জন্য ইশার সলাত জামা’আতে পড়া হজ্জের সমান এবং ফজরের সলাত জামা’আতে পড়া ওমরাহর সমান করেন নি’’ এবং ‘‘যে ফরজ সলাত জামা’আতে পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তা হজ্জের সমান এবং যে নফল সলাত পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তার সওয়াব নফল ওমরাহর সমান।’’ (সহীহ আল জামি: ৬৪৩২)
আমল : ৫৪
‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আলাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।] [আত-তিরমিজি ‘‘সাহাবীরা বললেন, ‘‘ ইয়া রসূলুলাহ! ধনীরা তো আখিরাতে বেশী পুরস্কার পাবে, তারা হজ্জ আদায় করে, আমরা পারিনা, তারা জিহাদ করে এবং আমরা পারিনা। মুহাম্মাদ (সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম) বললেন, ‘‘আমি কি তোমাদের এ রকম কিছুর কথা বলব না, যদি তোমরা এটি শক্ত করে ধরে রাখ, তাহলে তোমরা তাদেও মত সওয়াব অর্জন করতে পারবে। তাহল প্রত্যেক সলাতের পর আলাহু আকবার ৩৪ বার, সুবহান আলাহ ৩৩ বার এবং আলহামদুলিলাহ ৩৩ বার বলা।’’
আমল : ৫৫
‘‘যখন কেউ তার ভাইয়ের জন্য দো’আ করে, তখন ফিরিশতারা বলেন,‘ আমিন, তোমার জন্যও তা।’’ [সাহীহ আল জামি: ২১৪৩] হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য), দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি। (মুসলিম)
আমল : ৫৬
অন্য হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, 'হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।' (বুখারি : ৬৪০৬)
আমল : ৫৭
সদকায়ে জারিয়াহ :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; কিন্তু তিনটি জিনিস বন্ধ হয় না- সদকায়ে জারিয়াহ, ওই ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়; সুসন্তান, যে তার মৃত বাবার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি : ১৩৭৬)
আমল : ৫৮
সুরা ইখলাছের ফজিলত :-
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমরা কি কেউ প্রতি রাতে কোরআন শরিফের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অক্ষম? তাহলে সে প্রতি রাতে সুরা ইখলাছ পড়বে। তাহলে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে।' (মুসনাদে আহমদ : ২৩৫৫৪)
আমল : ৫৯
গোপনে নফল পড়ার ফজিলত :-
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'জনসম্মুখের তুলনায় লুকিয়ে নফল নামাজ পড়ার মধ্যে ২৫ গুণ বেশি সওয়াব।
আমল : ৬০
মানুষের উপকার করার ফজিলত :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজনে কিছুক্ষণ সময় দেওয়া আমার কাছে এক মাস মসজিদে ইতেকাফ করার চেয়েও বেশি পছন্দনীয়।' (আল মু'জামুল কাবির : ১৩৬৪৬)
আমল : ৬১
আমলের নিয়তেও সওয়াব মেলে :-
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যদি কোনো ব্যক্তি রাতে শয়নকালে এই নিয়ত করে যে সে রাতে উঠে নামাজ পড়বে; কিন্তু প্রচণ্ড ঘুমের কারণে সকাল হয়ে যায়, তাহলে সে তার নিয়ত অনুযায়ী নামাজের সওয়াব পাবে। আর ঘুমটা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সদকাস্বরূপ হবে। (নাসায়ি : ১৭৮৭)
আমল : ৬২
রোগী দেখার ফজিলত :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি কোনো মুসলমান ভাইয়ের রোগের খোঁজখবর নেয়, আল্লাহ সত্তর হাজার ফেরেশতাকে তার মাগফিরাতের দোয়ায় নিযুক্ত করে দেন। সে দিনের যে সময়ই তা করবে, ফেরেশতারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে। আর রাতের যে সময়ই করবে, ফেরেশতারা ফজর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে।' (মুসনাদে আহমদ : ৯৫৫)
আমল : ৬৩
বিশুদ্ধ নিয়ত :-
নিয়ত অর্থ সংকল্প। এটি মনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি আমল। প্রত্যেক কাজ, তা দ্বীনী কাজ হোক কিংবা দুনিয়াবী, শুরুতেই নিয়তকে শুদ্ধ করা কর্তব্য। সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করার সংকল্পই হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। এই নিয়ত মুমিন বান্দার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রায় সকল কাজকেই নেকির কাজে পরিণত করতে পারে। হাদিসে আছে, হজরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করিম (সা.) কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই সব আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার নিয়ত সে করবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্যই হবে। আর যে দুনিয়া লাভের জন্য কিংবা কোনো নারীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত উক্ত বিষয়ের জন্যই হবে, যার জন্য সে হিজরত করেছিল। -সহিহ বোখারি, হাদিস- ১; সহিহ মুসলিম হাদিস- ১৯০৭
আমল : ৬৪
আবু যর রা: থেকে রেওয়ায়েত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)বলেছেনঃ-
তিন ব্যাক্তির সাথে রোজ কিয়ামতে আল্লাহ পাক কথা বলবেন না । তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। তাদের কে পবিত্র করবেন না । আর তদের জন্য রয়েছে ভীষন আযাব। রেওয়ায়েতকারী বলেন তিনি এ আয়াতটি তিনবার পড়লেন । আবু যর রা: বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সঃ), তারা কারা? তিনি বললেন, তারা হল: যে ব্যাক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ে , যে ব্যাক্তি দান করে খোটা দেয় এবং যে ব্যাক্তি মিথ্যা শপথ করে মাল বিক্রি করে। (মুসলিম-ঈমান পর্ব:১৯৫)
আমল : ৬৫
হজরত নবী করিম (সা.) বলেছেন, কোনো সৎ কাজকেই কখনো তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। যদিও তা হয় তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাত। -সহিহ মুসলিম কারণ এই ধরনের সহজ আমলের মধ্যেও অনেক সময় নিহিত থাকে অনেক প্রাপ্তি ও পুরষ্কার। হাদিস শরিফে এমন অনেক আমলের বর্ণনা পাওয়া যায়, যা করতে সহজ, কিন্তু এর বিশাল প্রাপ্তি ও পুরষ্কারের কথা নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন।
আমল : ৬৬
আন-নওয়াস বিন সাম’আন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “উত্তম চরিত্র হচ্ছে নেকী, আর গোনাহ্ তাকে বলে যা তোমার মনকে সংশয়ের মধ্যে ফেলে এবং তা লোকে জানুক তা তুমি অপছন্দ কর।”[মুসলিম: ২৫৫৩]
আমল : ৬৭
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন :-
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুত্বা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) যিক্র শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮১
আমল : ৬৮
রাসূল (সা:) বলেন.... "অন্ধকারের মধ্যে যাহারা মসজিদে বেশী বেশী যাতায়ত করে, কেয়ামতের দিনের জন্য তাহাদেরকে পূর্ণ নূরের সুসংবাদ শুনাও।" —(আল হাদীস
আমল : ৬৯
হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আ’নহু
( ﺃﺑﻰْ ﻫﺮﻳْﺮﺓ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ )
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, (যখন) কোন বান্দা অন্তরের এখলাসের সহিত, লা ইলাহা ইল্লাল্লহ বলে, তখন এই কালেমার জন্য নিশ্চিতরূপে আসমানের দরজাসমূহ খুলিয়া দেওয়া হয়। এমনকি এই কালেমা সোজা আরশ পর্যন্ত পৌঁছিয়া যায়। অর্থাৎ সাথে সাথেই কবুল হইয়া যায়। তবে শর্ত হইল, যদি এই কালেমা পাঠকারী কবীরা গুনাহ হইতে বাঁচিয়া থাকে। (তিরমিযী)
আমল : ৭০
ভালো কাজ মন্দ কাজকে মুছে দেয় :-
আবূ যার জুনদুব বিন জুনাদাহ্ এবং আবূ আব্দুর রহমান মু’আয বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত আছে, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের পর ভাল কাজ কর, যা তাকে মুছে দেবে; আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর।” [তিরমিযী: ১৯৮৭, এবং (তিরমিযী) বলেছেন যে, এটা হচ্ছে হাসান হাদীস। কোন কোন সংকলনে এটাকে সহীহ্ (হাসান) বলা হয়েছে।]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
► রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪

Address

Mirpur
Dhaka
1216

Telephone

+8801973599200

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mirpur Club 94 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category