15/09/2025
সংগৃহীত কিনতু জানানো প্রয়োজন।কয়েকদিন আগে প্রেগন্যান্ট মহিলা এসেছিল এই বিড়ালের কামড় নিয়ে।
সংগৃহীত পোষট
সাম্প্রতিক ইমারজেন্সি রুমে ডিউটি চলাকালীন রেজিস্ট্রারে দেখলাম ১২ ঘণ্টায় ৬৫ জন Rabies Vaccine নিয়েছেন। এটা শুধুমাত্র একটি হাসপাতালের গত বার ঘণ্টার চিত্র।
এদের মধ্যে মাত্র একজন ছিল ইঁদুরের কামড়, একজন ছিল কুকুরের কামড়। আর বাকি সবাইকে হয় বিড়াল আচড় দিয়েছে না হয় কামড় মেরেছে।
এভাবে চলতে থাকলে কতৃপক্ষের এর পক্ষ থেকে জলাতঙ্কে ভ্যাকসিনের মত একটি অতি প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
রেবিস অর্থাৎ জলাতঙ্ক রোগ এমন একটি রোগ যার mortality 100 percent(মৃত্যুহার ১০০%).. Accidentally কুকুর-বিড়ালের কামড় খাওয়ার জন্য যাদের আসলেই ভ্যাকসিন দরকার ছিল, তারা এ জন্য ভুক্তভোগী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কুকুর-বিড়াল সহ সকল প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। কিন্তু আদিখ্যেতা করা বন্ধ করুন।
Momen Ali khan
বিড়াল পালতে গিয়ে ফ্যান্টাসি ভোগা:
আমাদের অনেকের মাঝে বিড়াল-কেন্দ্রীক কিছু ফ্যান্টাসি কাজ করে। এই যেমন অনেকেই মনে করে বিড়াল পালন করা সুন্নাহ। এটা মারাত্মক ভুল ধারণা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিড়াল পালন করেছেন বা পালন করতে বলেছেন মর্মে কোনো হাদীস তো দূরের কথা, কোনো আছারও পাওয়া যায় না।
বিড়াল সংক্রান্ত যেসব হাদীস পাওয়া যায় তা হলো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জনৈক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। (সহীহ বুখারী, ৩৪৮২, ৩৩১৮; সহীহ মুসলিম, ২২৪২)
ফাতহুল বারীর রচয়িতা হাফেজ ইবনু হাজার আসকালানী রহ. এই হাদীসের ব্যাখায় ইমাম কুরতুবী রহ. এর সূত্রে বর্ণনা করেন, বিড়ালকে খানাপিনা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি করা যাবে না এই শর্তে বিড়াল পালা জায়েয আছে। (ফাতহুল বারী, ৬/৪১২)
কিন্তু এই জায়েয কাজ করতে গিয়ে অনেকেই সময় অপচয়, অর্থ অপচয়, এমনকি ফরজও ত্যাগ করে ফেলেন! ফেসবুকে বিড়াল-কেন্দ্রীক বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে, সেখানে এর উদাহরণ পাবেন প্রচুর! কেউ কেউ বিড়ালের পেছনে মাসে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ফেলেন! সারাদিন বিড়াল নিয়ে মাতামাতি, বিড়ালকে সোনা-বাবু নাম দেয়া, ঘরের মহিলা নিজেকে বিড়ালের মা আর পুরুষকে বিড়ালের বাবা বলে পরিচয় দেয়া এগুলো সবই ফ্যান্টাসির অন্তর্ভুক্ত। এমনকি বিড়াল পালন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়ে বিচ্ছেদের মতো ঘটনাও দেখেছি। স্ত্রী সারাদিন বিড়াল নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং স্বামীকে সময় না দেয়ায় স্বামী বিড়াল পালতে নিষেধ করলে স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
সুতরাং, কারও যদি বিড়াল পালতে গিয়ে সময় ও অর্থ অপচয় হয়, ফরজ নামাজের কোনো খেয়াল না থাকে, তাহলে তার জন্য বিড়াল পালা জায়েয হবে না।
- তানজিল আরেফিন আদনান (হাফিঃ)