Hijama Session

Hijama Session Cupping Therapy

আল্লাহ মানবদেহে এমন বিস্ময়কর ব্যবস্থা তৈরি করে রেখেছেন যে যখন যন্ত্রণা, অস্বাভাবিকতা কিংবা অস্বস্তি অনুভূত হয় তখন কোনো ঔ...
24/11/2023

আল্লাহ মানবদেহে এমন বিস্ময়কর ব্যবস্থা তৈরি করে রেখেছেন যে যখন যন্ত্রণা, অস্বাভাবিকতা কিংবা অস্বস্তি অনুভূত হয় তখন কোনো ঔষধ ছাড়াই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া সম্ভব। যখন অসুখ হয়,শরীরে কোনো অংশ পীড়াগ্রস্ত হয় অথবা অকালে বার্ধক্যের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে তখন লোকে এমন কিছু আরোগ্যকর ঔষধ পাওয়ার তাড়না অনুভব করে যা চটজলদি সব সারিয়ে দিবে। বর্তমানে সমস্ত রোগের মেডিকেল ড্রাগ এবং ট্রিটমেন্ট আছে। মানুষের মাথায় ঢুকানো হয়েছে যে উপসর্গ (Symptoms) সাপ্রেস করতে পারলেই সুস্থ হওয়া যাবে। মেডিকেল ইন্ডাস্ট্রি রোগব্যাধি সারানো প্রক্রিয়ার গভীরে না গিয়ে শুধু সিম্পটম ভিত্তিক ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে। আজ একটিও পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষের দেখা পাওয়া যাবে না হয়তো। লোকেদের বিশ্বাস একটা বয়স পার হলে নানান অসুখবিসুখ হওয়াই স্বাভাবিক। আপনি যদি রোগাপটকা ধরনের, কোনোকারণে দীর্ঘকাল যাবৎ অসুস্থ কিংবা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে সুন্দর স্বাস্থ্য ফিরে আসার প্রক্রিয়া ম্যাজিকের মতো ঘটে যাবে না। বারবার অসুস্থ হচ্ছেন আর ঔষধ খেয়ে কিছুকাল সুস্থ থাকছেন ব্যাপারটা এরকম নয়। স্বাস্থ্যের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সৃজনশক্তি, পেশা, সম্পর্ক, আবেগ, সুখ ইত্যাদি। বহু বছরের অবহেলা, অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম না করা ইত্যাদির কুফল ও প্রভাব কয়েকটা ভিটামিন বড়ি, সদ্য বাজারে আসা ড্রাগ, সার্জারি অপারেশন এসব দিয়ে কি সমাধান হবে? জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার চাবিকাঠি স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া। অসুখ করলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, নিয়মিত চেকআপের জন্য ডাক্তার লাগবে, ঔষধ খেলেই সব ঠিক এসব ভ্রান্ত ধারণা জনমানসে গেড়ে বসেছে। অস্থিরতা অনুভব করা শারীরিক ও মানসিক ব্যাধির অন্যতম পরিচিত কারণ। অনেকে একে স্ট্রেস বলে। ভয় দেহের জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন ট্রিগার করে। হতাশা ইমিউন সিস্টেমকে বিকল করে ফেলতে পারে। মানুষ বিশ্বাস করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগব্যাধি বাড়বে এবং এটাই স্বাভাবিক। রোগ ও বার্ধক্য মানবদেহের জেনেটিক ডিজাইনের অংশ নয়। পর্যাপ্ত প্রমাণ সহকারে দেখানো যাবে যে রোগ ও বার্ধক্য হচ্ছে মনে ভীত নেতিবাচক ভাব ও আবেগ আর দেহে মাত্রাতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ জমে যাওয়ার সম্মিলিত ফলাফল। অসংখ্য ধরনের প্রোটিন যেগুলো জিন ও কোষ গঠন করে এরা ২-১০ দিনের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। রেডিওআইসোটোপ গবেষণা থেকে জানা গেছে ৯৮ ভাগ অণু যেগুলো দেহ গঠন করেছে এরা এক বছরের মধ্যে আর আগের জায়গায় থাকে না। এই নবায়ন প্রক্রিয়া দেহের প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে (রক্ত,পেশি,চর্বি,হাড়,স্নায়ু,ব্রেইন ম্যাটার ইত্যাদি) সংঘটিত হয়। কোষগুলো অবিরত প্রতিস্থাপনের ফলে কয়েক মাস কিংবা বছর অন্তর অন্তর দেহ নতুনত্ব পায়। আধুনিক স্টাডি ও প্র‍্যাক্টিস মানবস্বাস্থ্যের উপর মন, অনুভূতি এবং আবেগের প্রভাব অস্বীকার করে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা আপাদমস্তক অসুখ সারানোর বদলে সত্যিকার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ধ্বংস করে ক্রনিক ডিজিজ এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। স্বাস্থ্য ও জীবনীশক্তির স্থিরাবস্থা অর্জনের পথযাত্রায় রোগের চিকিৎসা একটা ছোট বিষয়। তারপরও প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় এটাই মূল ফোকাস থাকে। স্বাস্থ্যপূর্ণ দেহ ও মনের ঘনিষ্ঠ সংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠাই সত্যিকার আরোগ্যলাভের উপায়। ঘরের অন্ধকার দূর করার জন্য বাতির সুইচ চাপতে হবে। অন্ধকার এমনি এমনি দূর হবে না। এখানে অন্ধকার নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। বরং বাতি না জ্বালতে পারাটাই সমস্যা। বাতি জ্বেলে দিলেই অন্ধকার দূর হবে তৎক্ষনাৎ। তেমনি দেহ ও মনে জীবন রক্ষাকারী প্রভাব তৈরির ক্রিয়া রোগব্যাধি দূর করে। শেষ কথা এটাই, সুস্বাস্থ্য একটা অবাস্তব স্বপ্ন রয়ে যায় যখন কেবলমাত্র রোগ সারানোই প্রধান লক্ষ্য থাকে। ভালো থাকায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার জন্য অসুস্থতাকে দোষারোপ করা এবং এমনভাবে ট্রিটমেন্ট করা যেন রোগ কোনো মারাত্মক শত্রু, এগুলোই আজকালকার স্বাস্থ্য সংকটের ভিত্তি।
মৌলিক প্রাকৃতিক নিয়ম হচ্ছে, শক্তি (Energy) চিন্তার (Thoughts) সাথে চলে। যদি অসুখ আপনার মনোযোগের বিন্দু হয় অথবা সত্য ও প্রসঙ্গের বিন্দু হয় তাহলে আপনি অসুস্থ হয়েই থাকতে যাচ্ছেন কারণ অসুখে নেগেটিভ এনার্জি মাথাচাড়া দেয়। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় ৯০ ভাগেরও বেশি অসুখ স্বভাবতই ক্রনিক ডিজিজ। এসবের জন্য কোনো সফল চিকিৎসা সহজলভ্য নয়। অন্তত গতানুগতিক চিকিৎসাব্যবস্থায় নেই। সফলভাবে ক্রনিক ডিজিজ সারানোয় অক্ষম মডার্ন মেডিক্যাল সিস্টেম জনগণের মাথায় ঢুকিয়েছে যে, আমাদের রোগের উপসর্গগুলো থেকে মুক্তি পেতে হবে যদি সুস্থ হতে চাই। আসলে ভারসাম্যহীন দেহ/মনের আরোগ্যলাভের জন্য সুখানুভব (Happiness) জরুরি। হাসিখুশি, ভালোবাসাময়, প্রেমময়, সরলপ্রাণ মানুষ অসুখবিসুখে আক্রান্ত হয় কম। অসুখী লোকেরা স্বাস্থ্যবান হয় না এবং স্বাস্থ্যহীন লোকেরা অসুখী থাকে। দেহ খাদ্য,পানীয় এবং বাতাস ব্যবহার করে টিকে থাকে। চিন্তা, অনুভূতি ও আবেগগুলোর প্রত্যেকটিই দেহ,মন ও আত্মার বিশাল পরিবর্তন সাধনের ক্ষমতা রাখে। জার্মানির প্রফেসর অব মেডিসিন ডক্টর রাইক গিয়ার্ড হমার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, প্রত্যেক শারীরিক অসুস্থতা (যেমন- ক্যান্সার) ট্রিগার হয় কিংবা বেড়ে যায় রোগীর জীবনের অমীমাংসিত সংঘাত দ্বারা। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, ব্রেইন সেলের মতোই স্কিন,লিভার,হার্ট,ইমিউন সেলগুলো চিন্তা,আবেগপূর্ণতা এবং সিদ্ধান্ত তৈরিতে সক্ষম। এড্রেনাল গ্রন্থি এড্রেনালিন ও কর্টিসল হরমোন দুটি নিঃসরণ ট্রিগার করে জীবন যখন ঝুঁকি বা বিপদের সম্মুখীন হয়। নিয়মিত স্ট্রেসড থাকলে হজমপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, সারাদেহে বেশ ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকে মনে করে শুধু এড্রেনাল গ্রন্থি এড্রেনালিন নিঃসরণ ঘটায়। কিন্তু না! প্রতিটি কোষই স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন করে। দেহের কোষগুলো বস্তু থেকে তরঙ্গের (Frequency) আগমন শনাক্ত করতে পারে এবং পরিক্ষা করতে পারে তারা উপকারী নাকি ক্ষতিকর। থাইমাস গ্রন্থি T-সেল (White blood cell) সক্রিয়করণ নিয়ন্ত্রণ করে। T-সেলগুলো ক্যান্সার সেল ও আক্রমণকারী ক্ষতিকর এজেন্টদের চিহ্নিত করে দূর করে। ডিহাইড্রেশন, অস্বাস্থ্যকর খাবার, দুঃসংবাদ, স্ট্রেস ইত্যাদির কারণে থাইমাস গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন দেহ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ও অন্যান্য অসুখ প্রতিরোধে দূর্বল হয়ে যায়। রেডিও, টেলিভিশন, স্মার্টফোন, সংবাদপত্র, জাংকফুড, আর্টিফিশিয়াল ফুড এন্ড বেভারেজেস, ইনডোর আউটডোর দূষণ, নেতিবাচক মানুষজন ইত্যাদির প্রভাব থাইমাস গ্রন্থির উপর পড়ে। ভীতিকর, অমানবিক দৃশ্য দেখা, হতাশা কষ্টের গান শোনা এসব থাইমাসের উপর কুপ্রভাব ফেলে। আপনি ইতিবাচকভাবে থাইমাস এবং পুরো দেহকে শক্তিশালী ও রিচার্জ করতে পারেন ভালো মানবিক কাজকর্ম করে, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে এবং প্রকৃতির মাঝে সময় ব্যয় করে। যদি কোনোকিছু আপনাকে খুশি করে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার দেহে সুখানুভবের হরমোনগুলো ট্রিগার করবে। যদি দেহে আরোগ্যলাভের সাড়া (Healing response) অনুপস্থিত থাকে তবে সর্বাধুনিক মেডিকেল টেকনোলজি বা এক্সপেরিয়েন্সের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। প্লাসিবো হিলিং এর মেকানিক্সটা রোগীর দৃঢ় বিশ্বাসের মাঝে অবস্থিত যে, একটা ড্রাগ, একটা অপারেশন কিংবা একটা ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রাম সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তার পেইন দূর করবে অথবা অসুখ সারিয়ে তুলবে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি যেসব ড্রাগস তৈরি করছে সেগুলো শরীর নিজেই প্রত্যেকটা ড্রাগ/ড্রাগ উপাদান ম্যানুফ্যাকচার করে নিজে থেকে সেরে উঠতে সক্ষম। সিন্থেটিক ড্রাগস কোনোমতে কাজ করে কারণ কোষে রিসেপ্টর থাকে ড্রাগ কেমিক্যালের জন্য। এর মানে মানবদেহ নিজেই এসব কেমিক্যাল প্রস্তুত করতে সক্ষম তা না হলে কোষের রিসেপ্টর থাকতো না। ফার্মাসিউটিক্যাল ড্রাগস অনেক ব্যয়বহুল,অনির্দিষ্ট,অনেক কম কার্যকরী এবং বহু ক্ষতিকর সাইড ইফেক্ট যুক্ত। ৩৫-৪৫ ভাগ প্রেস্ক্রিপশনই রোগের প্রতিকারে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়। চূড়ান্ত কথা হচ্ছে বেশিরভাগ ইতিবাচক ফলাফল সরাসরি শরীরের নিজস্ব হিলিং রেসপন্স বা প্লাসিবো ইফেক্ট দ্বারা সংঘটিত হয়, মেডিকেল ট্রিটমেন্ট দিয়ে না। ডাক্তারের সান্নিধ্যই অনেক সময় মেডিসিনের কাজ করে। মডার্ন হাইটেক মেডিসিন ক্রনিক ডিজিজে প্রয়োগ করা যাবে না। অবশ্যই মেডিকেল ব্যবস্থা অপরিহার্য যখন হঠাৎ কোনো অঙ্গে জটিলতা দেখা দেয়, ইঞ্জুরি, আশঙ্কাজনক ইনফেকশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বর্তমানে বেশিরভাগ অসুখ সহজাতভাবেই ক্রনিক ধরনের। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ,স্কেরোসিস,রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস,ডায়াবেটিস,ডিপ্রেশন,ক্যান্সার (একিউট থেকে ক্রনিক রুপান্তর হলে) ইত্যাদি। যখন আমরা প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করি তখন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ থাকে। অসুস্থতা অপ্রাকৃতিক। তাই এর আবির্ভাব ঘটে দেহ যখন জমে পড়া ক্ষতিকর বস্তু ও তরল বের করে দিতে বা প্রশমিত করতে চেষ্টা করে। পুনরায় স্বাস্থ্য ফিরে পাবার জন্য দেহকে বিষ বের করায় সহায়তা করা প্রয়োজন। পুষ্টিকর স্বাভাবিক ডায়েট ও একটা প্রাকৃতিক হেলথকেয়ার প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য ঠিক করার সাথে সাথে আবার অসুস্থ হওয়াও রোধ করবে। বিষ (Toxins) দেহের ভেতরে উৎপন্ন হয় পাশাপাশি বাইরে থেকে প্রবেশ করে। কেমিক্যাল, ফুড এডিটিভ,দূষক,মেটাবলিক বর্জ্য,ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপন্ন পয়জন ইত্যাদি হচ্ছে বিষ। যখন বিষ সহ্যক্ষমতার সীমায় পৌছায় তখন এই ঘটনা ব্যাথা বা অন্য ধরনের অস্বস্তির মাধ্যমে সিগন্যাল দেয় এবং দেহের এলিমিনেশন সিস্টেম (যেমন- স্কিন,শ্বসনতন্ত্র,লিভার,বৃহদান্ত্র,কিডনি), লিম্ফেটিক সিস্টেম এবং ইমিউন সিস্টেমকে প্রতিরক্ষা ক্রিয়ায় উদ্দীপিত করে। অনেক সময় অসুখের (Toxin crisis) সিম্পটমগুলো প্রশমিত হয়ে যায় তাতে মনে হয় যে সুস্থ হওয়া গেছে। একদম মূল থেকে সমস্যার কারণগুলো দূর না হলে আবার টক্সিন জমে টক্সিন ক্রিসিস সৃষ্টি হবে। এভাবে বারবার ঘটতে থাকলে ক্রমে আরোগ্যলাভের সম্ভাবনা হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে থাকে। একশ বছর আগে মানুষের মধ্যে এমন অহরহ ক্রনিক ডিজিজগুলো দেখা যেতো না। ডক্টর হেনরী লিন্ডলারের মতে প্রায় সকল ক্রনিক ডিজিজ সৃষ্টি হয় ড্রাগ পয়জনিং দ্বারা একিউট ডিজিজ সাপ্রেস করার ফলে। আরোগ্যলাভ (Healing) সর্বদা দেহে সংঘটিত হয় এবং দেহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। মেডিসিন এখানে বিশেষ খানিকটা ভূমিকা রাখে মাত্র। যদি দেহ নিজে থেকে না ঠিক হয় তবে মেডিসিন দিয়ে কিচ্ছু হবেনা। আপনি পুরোপুরি সেরে উঠেননি যতক্ষন না সমস্যার কারণগুলো সৃষ্টি বা মেইনটেইন করা থামাচ্ছেন। কারণ (Cause) ছাড়া কোনোকিছু ঘটেনা। অসুখের সিম্পটমগুলো থামিয়ে দিতে সফল হওয়া একদম ভালোকিছু নয়। এরফলে টক্সিক পদার্থগুলো দেহের আরো অভ্যন্তরে যেতে বাধ্য হয়। আপাতত সাপ্রেসিংয়ের ফলে জেনারেল সার্কুলেশন থেকে টক্সিন সরে গিয়ে দেহের সহ্যক্ষমতা সাময়িক উন্নতির দিকে যায়। সুস্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ ব্যতীতই শরীর আরো টক্সিন ধারণ করতে পারে তখন। ক্রমে সর্দিকাশি,জ্বর,ইনফেকশন এসব দেখা দিবে। অনেক সময় হঠাৎ বড় ধরনের টক্সিসিটি ওয়েভ সংঘটিত হতে পারে। হার্ট এটাক,স্ট্রোক এরকমই উদাহরণ। অথচ এমন কেসে ভুক্তভোগীরা দীর্ঘসময় ধরে পারফেক্টলি হেলদি স্টেজ পার করেছে। বর্তমানে ব্যবহৃত মেডিকেল ট্রিটমেন্ট কোনো ডিজিজের সিম্পটমগুলোকে এভাবে টার্গেট করে যেন এগুলোই ডিজিজ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফিস্টিকেটেড ডায়াগনস্টিক টুলস একটি অসুখের সিম্পটমস চমৎকারভাবে শনাক্ত করতে পারে। স্টমাক আলসার,আই ক্যাটারাক্ট,পিত্তপাথর,ইউরেটাসের টিউমার যেটাই হোক না কেন। ট্রিটমেন্ট তখন হয় সার্জারী নয়তো অর্গানটাই কেটে বাদ দেয়া। ট্রিটমেন্ট শেষে রোগী সেরে উঠার একরাশ তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফেরে। অসচেতন রোগীর আসল সমস্যাটাই নির্মূল না করার ফলে সে হয়ে গেছে একটা জীবন্ত টাইম বোম্ব। যেকোনো মুহূর্তে...! বাস্তবে ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস ৮০ ভাগ রোগেরই ক্যাজুয়াল ফ্যাক্টরগুলো চিহ্নিত করতে পারে না। অসুস্থতার মূল কারণ খুঁজে বের করা মেডিকেল ট্রেনিংয়ে প্রধান ফোকাস থাকে না। এথেকে মেডিকেল কেয়ারের বর্তমান সংকটের জন্য আমরা প্রফেশনালদের দোষারোপ কর‍তে পারিনা। অনেক রোগীই চায় ডাক্তার অসুখ(সিম্পটমস) সারানোর তেলেসমাতি ব্যবস্থাপত্র করে দিক। সম্পূর্ণ সুস্থ হবার ধৈর্য্য ও আকাঙ্ক্ষা তাদের থাকে না।
রোগজীবাণু কাউকে বিনাকারণে আক্রমণ করে না। ইনফেকশন মিথ হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসেরা সব অসুখের জন্য দায়ী। একইভাবে বলা যায়, মাছিরা সব ময়লা-আবর্জনা সৃষ্টি করে! ঠিক তো? সত্যিটা হচ্ছে যে মাইক্রোবস অসুখ সারাতে সাহায্য করে অথবা অন্তত এর তীব্রতা বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। ইনফেকশন শরীরের আত্মরক্ষার সবচেয়ে অসাধারণ একটি প্রক্রিয়া। জীবাণুরা আবর্জনা, দূষিত পদার্থ এবং দূর্বল,আহত,মৃত কোষগুলো (যা শরীর কোনোভাবে দূর করতে পারে না) ভেঙে ফেলে। ইমিউন সিস্টেম এই জীবাণুদের কাজ করার সময় উৎপন্ন টক্সিন দূর করার ব্যবস্থা করে। ইমিউন সিস্টেম এদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কাজ শেষে জীবাণুদের হটিয়ে দেয়। ডাক্তাররা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এন্টিবায়োটিক ড্রাগ দিয়ে দূর করার চেষ্টা করে। তাদের বিশ্বাস ইনফেকশনে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্ষতিকর। এই দৃষ্টিভঙ্গি খুব অসম্পূর্ণ এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক। রোগজীবাণু সহজাতভাবে দূর্বল অঙ্গ বা শরীরের আহত অংশে বাসা বাঁধে যখন দেহের নিজস্ব পরিষ্কারকরণ ও আরোগ্যকরণ ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা। সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবেই দেহের পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ অংশগুলো এড়িয়ে যায় কারণ সেখানে কিছু অনুকূল নেই। একারণে রোগজীবাণু একাই অসুখ সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। সরল সত্যটি এই ফ্যাক্ট দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ১০০ লোক একই কোল্ড বা ফ্লু ভাইরাসের মধ্যে উন্মুক্ত থাকে তখন তাদের মধ্যে অল্প কয়েক লোক সংক্রামিত হয় মাত্র। মডার্ন মেডিক্যাল রিসার্চ কখনো সত্যিকারভাবে খুঁজে বের করেনি কেন একটা মানুষের ইমিউন বিশেষ কোনো রোগজীবাণুতে আক্রান্ত হয়। জার্ম থিওরি, যার উপর ভিত্তি করে সমগ্র মেডিকেল সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত তা ফরাসি কেমিস্ট লুই পাস্তুর কর্তৃক ১৯ শতাব্দীর শেষ দিকে আবিষ্কার হয়েছিল। মৃত্যুশয্যায় পাস্তুর বুঝতে পারেন, মাইক্রোবস কোনো একটা অন্তর্নিহিত কারণ ছাড়া ইনফেকশন ঘটাতে পারে না। ১৮৮৩ সালে এন্টনি বিউচ্যাম্প জানান, অসুখের (Diseases) প্রাথমিক কারণ থাকে আমাদের মধ্যে,আমাদের শরীরের মধ্যে। দিনে ২৪ ঘন্টাই আমরা মাইক্রোবস জগতে উন্মুক্ত থাকি। মানবদেহে যত কোষ আছে তারচেয়েও বেশি আছে মাইক্রোওর্গানিজম। কিছু মাইক্রোওর্গানিজম খাবার হজমে সাহায্য করে এবং ভিটামিন বি১২ ম্যানুফ্যাকচার করে,অন্যরা বর্জ্য পদার্থ ভেঙে ফেলে। বিউচ্যাম্পের কাজ ব্যাখ্যা করে যে, যদি দেহের এসিড/এল্কালাইন (pH) ব্যালান্স এসিডিটির দিকে চলে যায় তাহলে শরীর ধ্বংসাত্মক জীবানুদের খাদ্য বেশি উৎপাদন করে এবং তাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিউচ্যাম্প তার এক্সপেরিমেন্টগুলোয় সকল মানুষের রক্ত ও কোষে প্লিওমরফিজম বা আদি মাইক্রোবের অস্তিত্ব রয়েছে এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হন। আদি নিরীহ মাইক্রোবস শক্তিশালী স্বাস্থ্যপূর্ণ এল্কালাইন পিএইচে বসবাস করে। পিএইচ হালকা এসিডিক এ পরিবর্তন হলে এরা নিজেদের ব্যাকটেরিয়ায় রুপান্তর করে। ব্যাকটেরিয়াগুলো ফানজাই হয়ে যায় যখন পিএইচ মাঝারি এসিডিক হয়। সবশেষে শক্তিশালী এসিডিক পিএইচে ফানজাই ভাইরাসে পরিণত হবে। এসিডিক মেটাবলিক বর্জ্য পদার্থ, মৃত কোষ, ব্লাড প্রোটিন এবং টক্সিন জমে আটকে পড়লে টিস্যু ও ফ্লুইডগুলোর পিএইচ ক্ষারত্ব থেকে অম্লত্বের দিকে চলে যায়। ফলাফল টক্সিসিটি ক্রিসিস! এইভাবে দেহ স্বাভাবিক এল্কালাইনড অবস্থায় ফিরে যাবার প্রচেষ্টা চালায়। মাইক্রোবস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যখন দেহে টক্সিনের মাত্রা অত্যাধিক থাকে। এর চিকিৎসা হলো টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ দেহ থেকে সরানো তথা পরিষ্কারকরণের ব্যবস্থা করা।
ড্রাগস কোনোদিনই রোগ সারায় না। উলটো প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে বাগড়া দেয় এবং দেহের ডেঞ্জার সিগন্যাল দাবিয়ে দেয়। সাংঘাতিক যন্ত্রণাময় অবস্থা ব্যতীত পেইনকিলার নেয়াই মূলত দেহের হিলিং ইন্টেলিজেন্স দমিয়ে দেয়া ও ধ্বংস করে ফেলা। অসুস্থতার সময় দেহের পেইন সিগন্যাল দরকার হয় যথাযথ ইমিউন রেসপন্স ট্রিগার করে টক্সিন দূর করা ও সর্বনাশ থেকে বাঁচানোর জন্য। পেইন নার্ভে যখন হিস্টামিন হরমোন অতিক্রম করে যায় তখন নার্ভ পেইন সিগন্যাল দেয়। ভাইরাল পার্টিকেল ও বিষাক্ত বস্তু তাড়িয়ে দেয় এবং অন্য হরমোনগুলোকে শরীরে পানি বন্টন নিয়ন্ত্রণে ডাইরেক্ট করে হিস্টামিন। কোনো স্থানে টক্সিন সৃষ্টি হলে সেখানে তীব্র পানিসংকট (Dehydration) দেখা দেয়। এতে ব্যাথার প্রাবল্য বাড়তে থাকে। টক্সিন ও ব্লাড প্রোটিন কোষের চারপাশের তরলে জমতে থাকে। এই তরল পদার্থ হলো ইন্টারস্টিশিয়াল ফ্লুইড বা কানেক্টিভ টিস্যু যা লিম্ফেটিক সিস্টেম থেকে নিঃসৃত হয়। যখন লিম্ফেটিক সিস্টেম হজমের গন্ডগোল বা অন্যান্য কারণে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারেনা তখন ব্লাড প্রোটিন ও টক্সিনের চলাচল প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। উচ্চমাত্রায় এসিডিক ও রিয়েক্টিভ প্রোটিন ও টক্সিন থেকে সুস্থ কোষদের বাঁচাতে তাৎক্ষণিকভাবে দেহ এসবকে জল দিয়ে ঘিরে রাখতে থাকে। ঐ অংশে স্বাভাবিক অক্সিজেনের অভাবে ব্যাথা শুরু হয়। ব্লাড প্রোটিন রক্তপ্রবাহ ছেড়ে কানেক্টিভ টিস্যুতে স্বাভাবিকভাবেই প্রবেশ করে। কিন্তু তৎক্ষনাৎ লিম্ফেটিক সিস্টেম দ্বারা এরা দূর না হলে মৃত্যুও হতে পারে। মানবদেহ জানে নিশ্চিতভাবে কোনটা বিপদ আর সেভাবেই কাজ করে। হিউম্যান ব্রেইনে উৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক পেইনকিলার এন্ডোরফিন উৎপন্ন হয় পেইন সহ্যকর রাখার জন্য। ইমিউন ও ক্লিনসিং রেসপন্সে কোনোরকম বিঘ্ন তৈরি করে না এন্ডরফিন। অন্যদিকে সিন্থেটিক পেইনকিলার দেহের এমন অবস্থা করে যেমনটা বাড়িতে বার্গলার এলার্ম সিস্টেম কেটে ফেললে হয়। পেইনকিলার ব্যাথাক্রান্ত স্থানে যেতে ব্লাড প্রোটিনের সাহায্য নেয়। কানেক্টিভ টিস্যুতে ব্লাড প্রোটিনের সাথে পেইনকিলার ড্রাগও আটকে পড়ে। তখন গুরুতর সাইড ইফেক্ট এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এভাবেই সর্বসাধারণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আর তারা চায় না এসব প্রকাশ পাক। যদি আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য ব্যাথাপূর্ণ অবস্থার জন্য Vioxx, Aleve, Celebrex, Aspirin এসব ড্রাগ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার জানা উচিৎ এগুলো নাটকীয়ভাবে হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। সামান্য পরিমাণ এস্পিরিনও ইন্টেস্টিনাল ব্লিডিং ঘটায়। তাই বেশি ব্যবহার করতে থাকলে ব্লাড লস হবে মারাত্মকভাবে। একইভাবে ইবুপ্রোফেন, এসিটামিনোফেনও অত্যন্ত স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ ড্রাগস।

উৎস: টাইমলেস সিক্রেটস অব হেলথ & রেজুভেনেশন, এন্ড্রিয়াস মরিজ

🔷🔰হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়:✅মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা (Migraine)✅দূষিত রক্ত পরিষ্কার...
07/08/2023

🔷🔰হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়:
✅মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা (Migraine)
✅দূষিত রক্ত পরিষ্কারকরণ (Purify Blood)
✅উচ্চরক্তচাপ (High Blood Pressure)
ঘুমের ব্যাঘাত (Insomnia)
✅স্মৃতিহীনতা (Parkinson's disease)
✅অস্থি সন্ধির ব্যাথা/গেটে বাত/বাতের ব্যথা (Arthritis/Rheumatism)
✅জয়েন্টের ব্যথা (Gout Pain)
✅পিঠে বা সারা শরীরের (Backache/scabies)
✅হাঁটু ব্যথা (Knee Pain)
✅পায়ের তালুর ব্যথা(Heel pain)
✅সায়াটিক ব্যথা (Sciatica)
✅মাথা ব্যথা (Head-ache)
✅ঘাড়ে ব্যাথা ও কাঁধে ব্যথা (Neck & Shoulder Pain)
✅কোমর ব্যাথা (Waist Pain)
✅মাংসপেশীর ব্যাথা (Muscles Spasm)
✅দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা (Adbominal Pain)
✅থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা (Thyroid Problem)
✅ত্বকের বর্জ্য নিষ্কাশন (Remove Toxin)
✅ বিভিন্নরকম চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
✅সাইনুসাইটিস (Sinuses problem)
✅এজমা/হাঁপানি (Asthma)
✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Low Immunity)
✅গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি esophageal varices (Gastric/Ulcer)
✅মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
✅দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases)
✅ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ
✅ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান
✅ চুল পড়া (Hair fall)
✅মানসিক সমস্যা (Psychological disorder)
✅কিডনির সমস্যা (Kidney Disease)
✅স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
✅কানের সমস্যা
✅লিভার ডিজিজ
✅হরমোনাল সমস্যা
✅ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার
✅ক্রনিক কফ/ফুসফুসের রোগ (Chronic Chugh/Lung Disease)
✅প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল’স পলসি প্রভৃতি)
✅অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
✅অর্শ্বরোগ (Piles)
✅ভগন্দর (Fistula, A**l Fissure)
✅দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য (Chroic Constipation)






• কাপিং এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? কাপিং কি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা?কাপিং হচ্ছে একটি সাইন্টিফিক বা বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধ...
29/07/2023

• কাপিং এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? কাপিং কি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা?

কাপিং হচ্ছে একটি সাইন্টিফিক বা বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি। কাপিং করার ফলে (Increase blood flow in human body organ) আমাদের শরীরে ব্লাড সার্কাস কে বৃদ্ধি করে। ব্লাড সার্কুলেশন বা রক্ত চলাচল বাড়লে আমাদের উপকার কি? শরীরের যখন ব্লাড সার্কুলেশন রক্ত চলাচল বাড়ে তখন শরীরে প্রত্যেকটা সেল বা কোষ বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পায়। এবং বেশি পরিমাণে নিউট্রিশন পাবে। অক্সিজেন ও নিউট্রিশন পরিমাণ বেশি পাবার কারণে শরীরের প্রত্যেকটা কোষ আরো বেশি পরিমাণে এনার্জি তৈরি করতে পারবে। যখন প্রচুর পরিমাণে এনার্জি তৈরি করতে পারবে তখন আমাদের প্রত্যেকটা সেল বা কোষ হেলদি হবে প্রাণবন্ধ হবে। আমাদের মানব দেহ 100 ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি। আমাদের প্রত্যেকটি কোষ যখন ভালো হয়ে যাবে তখন আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে।

• কাপিং কিভাবে কাজ করে? How to work cupping?

1. Pain gate control theory.
2. Pain modulation theory.
3. Reflex zone theory.
4. Immune system activation theory.
5. Lymphatic system clearance theory.
6. Nitric oxide release theory.
7. Detoxification.

20/05/2023



16/05/2023



"হিজামা : একটি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান"হিজামা বা কাপিং থেরাপি মূলত একটি প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। খ্রি:পূ: ২০০০ সালে চীনে...
15/05/2023

"হিজামা : একটি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান"

হিজামা বা কাপিং থেরাপি মূলত একটি প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। খ্রি:পূ: ২০০০ সালে চীনে ও খ্রি:পূ: ১৫৫০ সালে মিশরে এর প্রচলন পাওয়া যায়। মধ্যপ্রাচ্যেও এর রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস।

শরীরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাপ-জাতীয় বস্তু দিয়ে নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করে চোষণ প্রক্রিয়া (sucking action) দ্বারা কাপ বসানো এলাকায় টিস্যু তরল জমে, রক্তনালী ফেটে গিয়ে লাল হয়ে যায়, রক্ত বের হয়ে জমে যায় (dry cupping)। কখনও স্কালপেল দিয়ে সামান্য কাটা হয়, ফলে কাপের ভেতর নেগেটিভ প্রেসারে রক্ত এসে জমে। সর্বোচ্চ ১০০ মি.লি.-২০০ মি.লি. পর্যন্ত রক্ত বের করা হয়ে থাকে (wet cupping)।

বর্তমান বিশ্বের অসংখ্য বডিবিল্ডার, রেসলার, ক্রীড়াবিদ, কুস্তিগির ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা নিয়মিত হিজামা করান। অলিম্পিকের অসংখ্য ক্রীড়াবিদকেও নিয়মিত হিজামা করাতে দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন প্রকার ব্যথা থেকে শুরু করে নানা প্রকার রোগ সারাতে এটা কার্যকরী বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে উৎসাহিত হওয়ায় মুসলিমদের মধ্যেও এটি দিন দিন বিখ্যাত হচ্ছে। তবে শারীরিক উপকারিতা বা রোগ উপশমের চিন্তা ছাড়াও নবীজি (সাঃ) এর সুন্নাত বলেই মুসলিমরা হিজামা করায় বেশী।

অবশ্য পশ্চিমের হাতেগোনা কিছু গবেষকদের দেখা যায় এর বিরোধীতা করতে, ঢালাওভাবে এটিকে অপবিজ্ঞান-অবৈজ্ঞানিক-কুসংস্কার বলে প্রচার করতে। সেই সুবাদে আমাদের দেশেও কিছু লোককে অন্ধভাবে এই সুরে তাল মেলাতে দেখা যায়। এর সাইন্টিফিক উপকারিতা বিভিন্ন স্টাডিতে পাওয়া গেলেও কোন রিসার্চে স্বতঃসিদ্ধভাবে প্রমাণিত নয় সত্য, তবে তাদের প্রচারকৃত ন্যারেটিভের আদতে কোনো সত্যতা নেই, তাদের এই অপপ্রচারের আলাদা উদ্দেশ্য ও কারণ রয়েছে, বিস্তারিত অন্যদিন।

এখানে শুধু হিজামার উপকারিতা বা কাপিংয়ের সাইন্টিফিক বেনিফিটস নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে। বিভিন্ন রিসার্চ ও স্টাডির বিস্তারিত রেফারেন্স থাকছে সাথে, তাই বড় লেখা পড়ার ধৈর্য না থাকলে থাকলে শুধু চোখ বুলিয়ে যান।

১৯৫০ সালে চীনা ও রাশিয়ান গবেষকদের যৌথ রিসার্চে কাপিং-এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ায় এরপর পুরো চীনে এটা অফিসিয়াল চিকিৎসা পদ্ধতি (formal modality/ official therapeutic practice) হিসেবে গৃহীত হয়। মানে চীনে এটাই মেইনস্ট্রিম চিকিৎসা। ফলে পরবর্তীতে চীনে এর ওপর আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই বহু বিসার্চ হয়েছে, আরও ডেভলপ হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা মেডিকেল সায়েন্স কাপিং-কে এতকাল অপবিজ্ঞান, অপচিকিৎসা বলে এসেছে।

পশ্চিমা মেডিসিনের অন্ধ অনুসারী হিসেবে ৩য় বিশ্বের অনেক ডাক্তাররাও একে পাত্তা দেয়নি, এরপরও তুলনামূলক ভালো ফল পাওয়ার বদৌলতে ইউরোপ-আমেরিকা জুড়ে কাপিং থেরাপি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পশ্চিমা একাডেমিয়া একে কীভাবে দেখছে একটু আলোচনা করা যাক।


[এক]

বিখ্যাত জার্নাল PLos One-এ একটি রিভিউ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে (Cao, 2012)। ৬ টা ডেটাবেস থেকে ১৯৫৮-২০০৮ সালে করা ৫৫০ রিসার্চ পেপার পাওয়া যায়।

যার অধিকাংশ জানাচ্ছে— যেকোনো ব্যথা, হার্পিস ভাইরাসঘটিত নার্ড ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্টে কাপিং-এর সম্ভাব্য উপকারিতা রয়েছে। এই সবগুলোর ওপর ৫ টা সিস্টেমেটিক রিভিউ হয়েছে, যেই ৫ টা আবার রিভিউ করে Lee et al. জানিয়েছেন, এটা শুধু ব্যথা জাতীয় রোগে কার্যকর। তবে রিসার্চগুলো Cochrane risk of bias tool মোতাবেক (যা দিয়ে রিসার্চের নিরপেক্ষতা যাচাই করা) হয়। দুর্বল।

১ম পর্বের সমস্যা ৪' এর আলোচনা গুলো মনে করার চেষ্টা করুন। [*]

এনারা কেবল ১৯৯২-২০১০ সালের মাঝে হওয়া ১৩৫ টা রিসার্চ রিভিউ করলেন, যার ১৩৫-টাই চীনা ভাষায়। মানে পশ্চিমা বিশ্ব এটা নিয়ে গবেষণাই করে নাই, যা করেছে সব চীনারা। দেখা গেল ৫৬ টা অসুখকে কাপিং দ্বারা চিকিৎসা করা হয়েছে পেপারগুলোতে। ৬ টা অসুখ প্রধান— হার্পিস জোস্টার, মুখোর প্যারালাইসিস (Bell Palsy), কাশি-শ্বাসকষ্ট, ব্রন, কোমরে ডিস্ক প্রোল্যান্স, ঘাড়ের ব্যথা (spondylosis)।

তাঁরা বলছেন, ১৩৫ টার অধিকাংশই নিরপেক্ষতা যাচাইয়ে High risk of bias ক্যাটাগরির, বাকিগুলো unclear ক্যাটাগরির। একটাও Low risk ব্যাটাগরিতে পড়ে না। শেষে ওনারা বললেন, 'আমাদের রিভিউ অনুযায়ী তো কাপিং ওপরের অসুখগুলোয় কার্যকর, তবে স্পষ্ট তথ্যের জন্য আরও বেশি সাবজেক্টের ওপর আরও হাই-কোয়ালিটির গবেষণা দরকার। কেননা যেগুলোর ওপর আমরা রিভিউ করলাম, সেগুলো নিরপেক্ষ নয়।'

Harvard Health Blog-এ রিউম্যাটোলজিস্ট Robert H. Shmerling. MD. এর লেখাটা বেশ যুক্তিসংগত। PLos One-এ প্রকাশিত ২০১৫ সালের একটা রিভিউয়ের (Yuan, 2015) বরাতে তিনি বলেন, "কিছু প্রমান পাওয়া গেছে যে, ঘাড়ব্যথা ও কোমরব্যথাতে কাপিং দ্বারা উপকার পাওয়া গেছে, কিন্তু প্রমাণগুলো ফাইনাল সিদ্ধাস্ত্রে আসার জন্য খুব সীমিত।" কারণ হিসেবে তিনি জানান, "কাপিং নিয়ে হাই-কোয়ালিটি রিসার্চ সম্ভব হয়নি।"

▪ মেডিকেল সায়েন্সে হাই কোয়ালিটি রিসার্চ হলো double-blinded placebo controlled trials; যেখানে রোগী ও গবেষক কেউ-ই জানবে না যে, কাকে কী দেওয়া হলো— কোন রোগীকে আসল ওষুধ দেওয়া হয়েছে, আর কাকে ওষুধের মতো একটা 'কিছুই না’ (placebo) দেওয়া হয়েছে। ওষুধ নিয়ে পরীক্ষায় একটা ‘কিছুই না' বানানো সম্ভব, কিন্তু কাপিং এর সমতুল্য একটা 'কিছুই না' কীভাবে পাওয়া যাবে ?

• ব্যাথা জিনিসটা পরিমাপ করা কঠিন। আগে ব্যথা বেশি ছিল, এখন ব্যথা কম— এই মাপজোক কীভাবে হবে ?

কখনও কখনও placeba effect (ব্যথা কমার আশার কারণে ব্যথা কমে যাওয়া) খুব শক্তিশালী হয়। তো এখানে বাথা কাপিং এর কারণে কমলো, নাকি মানসিক কারণে কমলো— সেটা বোঝাও কঠিন।

▪ তবে, Shmerling সাহেব বলেন, আকুপাংচার যেমন ফেইক করে স্টাডি করা গেছে, কাপিং-এরও একটা ফেইক বের করা যাবে। আর যদি কাপিং আসলেই উপকারী হয়, তাহলে সেটা placebo effect-এর দরুন হয়েছে, নাকি কাপিং-এর নিজের কারণে হয়েছে, সেটা নগণ্য। উপকারী মানে উপকারী, ব্যস। কথা শেষ।

▪ কাপিং-বিশেষজ্ঞরা নানান অসুখে এই ঘেরাপি দিয়ে থাকেন। যেমন—

— শরীরের ব্যথা,

— চর্মরোগ,

— কোলেস্টেরল কমানো,

— মাইগ্রেন (আধকপালি ব্যথা),

— হাঁটু আর্থ্রাইটিস,

— রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে,

••• কোনো রিষ্ক আছে কি না, জবাবে Shmerling সাহেব বলেন :

"অধিকাংশ এক্সপার্ট একমত যে কাপিং নিরাপদ। আপনি যদি এক্কেবারে টায়টায় প্রমাণ চান চিকিৎসাটির ব্যাপারে, তাহলে আপনার কাপিং করানোর দরকার নেই। আর যদি মনে করেন, আপনি একটা ট্রাই নেবেন, একটা চিকিৎসা নিয়ে দেখবেন যেটা নিরাপদ এবং ব্যাথাজাতীয় ব্যারামে সন্ত্রানা আরাম প্রদান করবে, তাহলে আপনি করাতে পারেন।"

[দুই]

এইবার খুব প্লেইন হিসেবে আসেন। রক্ত তো অনেকেই দিয়েছেন। জেনে থাকবেন যে, রক্তদাতার শরীরের জন্য মাঝে মাঝে রক্তদান (blood donation) দারুণ উপকারী। এখন অব্দি রক্তদানের যে যে কল্যাণ জানা গেছে—

••• হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা :

২০১৯ সালের এক গবেষণায় ১,৬০,০০০ নারীর ডেটা দেখা হয়, যারা কমপক্ষে ১০ বছর ধরে রক্ত দিয়ে এসেছেন। রিসার্চে উপসংহার টানা হয়, দীর্ঘদিন বার বার রক্ত দিলে হার্ট-এট্যাক ও স্ট্রোক জাতীয় অসুখবিসুখ থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় (Peffer, 2019)।

ফিনল্যান্ডের গবেষকদের মতে, রক্তদাতার হার্ট-এট্যাক হবার আশঙ্কা ৮৮% কম, যারা দেয় না তাদের চেয়ে (Salonen, 1998)। রক্তদাতা ৩ ভাবে উপকৃত হন—

দেহে আয়রনের মাত্রা বেশি থাকা-টা হার্ট এট্যাকের (acute myocardial infarction) একটা রিস্ক ফ্যাক্টর, রক্ত দিলে তাত্ত্বিকভাবে এই আয়রনের মাত্রা কমে।

••• কিছু রিসার্চ জানাচ্ছে, রক্ত দিলে রক্তের প্রেসারও কমতে পারে। ২০১৫ সালে বিজ্ঞানীরা ২৯২ জন ডোনারের ব্লাডপ্রেসার পর্যবেক্ষণ করেন, যারা বছরের ১-৪ বার রক্ত দিয়ে থাকে। এদের অর্ধেকেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। প্রেসারের সমস্যা যাদের ছিল, তারা বেশ উন্নতি লক্ষ করল। যত বার রক্ত দিয়েছে, উন্নতি ততই স্পষ্ট হয়েছে (Kamhieh Milz, 2016) |

••• Dr. Gregory Sloop জানিয়েছেন, রক্ত দিলে রক্তের সান্দ্রতা (গাঢ়ত্ব) কমে। গাঢ় রক্ত হার্ট-এট্যাক, স্ট্রোক ইত্যাদির (cardiovascular disease) রিস্ক বাড়ায়। তিনি বছরে কমপক্ষে একবার রক্ত দেবার পরামর্শ দিয়েছেন।

••• ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা :

নিয়মিত রক্তদান দেহ থেকে যে অতিরিক্ত আয়রন বের করে ফেলে, সেটাকে ক্যান্সারেরও বিরাট ঝুঁকির জিনিস মনে করা হয়। অধিক আয়রন অধিক ফ্রী-রেডিক্যাল বা অক্সিডেন্ট তৈরি করে, যা ক্যান্সার সৃষ্টিতে মূল ভূমিকা রাখে (iron catalyzed free radical mediated oxidative stress) (Zacharski, 2008)।

রক্তদাতা লিভার, ফুসফুস, কোলন ও পাকস্থলীর ক্যান্সার থেকে তুলনামূলক নিরাপদ থাকেন (Gustaf, 2008)।

••• ২০০৭ সালে গবেষকেরা ১ মিলিয়ন রক্তদাতার ডেটা দেখেন। দেখা গেল, অসুখবিসুখে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৩০% কম, ক্যান্সারের আশঙ্কা ৪% কম। সিদ্ধান্তে এলেন, রক্তদাতারা গড় হারের চেয়ে বেশি সুস্বাস্থ্য উপভোগ করেন (Edgren, 2007) |

২০১৫ সালের এক স্টাডিতে একই ডেটা নতুন করে চেক করা হলো। অন্যান্য প্রভাবকগুলো সমন্বয় করে গবেষকগণ জানালেন, বছরে একবার রক্ত দিলে শারীরিক অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর রিস্ক গড়ে ৭.৫% কমে যায়। আরও এমন অসংখ্য বিষয় তুলে ধরা যাবে, যা সংক্ষিপ্ত পরিসরে বলা শেষ করা সম্ভব না।

এখানে উল্লেখ্য,

রক্ত দেবার সময় এক ব্যাগ মানে ৪০০ মি.লি. রক্ত দিই আমরা, আর ওয়েট কাপিং এও ১০০-৫০০ মি.লি. রক্ত টেনে নেওয়া হয়। দুটোই শিরার রক্ত (venous blood)। একই বেনিফিটগুলো কাপিং (হিজামা)-এ না পাবার কোনো কারণই নেই। তাই রক্ত দেবার দরুন রক্তদাতা যে যে উপকার পাবেন, কাপিং থেরাপিতেও রোগীর ঠিক সেই সেই উপকারই পাবেন আশা করা যায়।

এবার এপাশের গবেষণাগুলো দেখি কি বলতে চাচ্ছে।


[তিন]

বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই স্রেফ রিসার্চের সিদ্ধান্তগুলো বলে যাচ্ছি, বিস্তারিত আপনারা রিসার্চপেপার থেকেই বিস্তারিত পড়ে নিয়েন—

▪ নর্মাল শিরার রক্তের চেয়ে কাপিং-এ আসা রক্তে অক্সিডেন্টদের পরিমাণ অনেক বেশি (Suleyman, 2014) অর্থাৎ কাপিং দেহ থেকে ক্ষতিকর অক্সিডেন্ট সরিয়ে ফেলে, যা ক্যান্সার থেকে নিয়ে যত কঠিন কঠিন রোগের মূল কারণ। অর্থাৎ এখানে কাপিংটা উৎকৃষ্টমানের এন্টি-অক্সিডেন্ট প্রসেস হিসেবে কাজ করে।

▪ কাপিং এর ৩০ দিন পর শিরার রক্তে ভারী ধাতুর (Al, Zn, and Cad) মাত্রা ব্যাপক কমে গেছে (Nafisa, 2018)। ভারী ধাতু বেশি হারে অক্সিডেন্ট তৈরি করে অসুখ বানায়, আর বর্তমানে আমাদের মতো দূষিত পরিবেশে বসবাসকারী মানুষদের জন্য এই দিকটায় বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

▪ beta thalassemia major, hemochromatosis, sideroblastic anemia— রোগের কারণে দেহে iron overload হয়, কাপিং এই অতিরিক্ত আয়রন সরিয়ে নেয় (Salah, 2014)। এগুলিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য তাই আয়রন-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে হিজামা সহজ পথ্য হতে পারে। (পেপারটা অবশ্যই দেখবেন, পিয়ার রিভিউড।)

▪ হিজামা স্বাভাবিকভাবেই রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলটা (LDL) কমিয়ে আনে (Majid, 2004)। ফলে রক্তনালীতে চর্বি জমে (atherosclerosis) হার্ট এট্যাক ও স্ট্রোকজাতীয় অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়। total cholesterol 9% কমে যাওয়া এবং HDL cholesterol (ভালোটা) ৩% বেড়ে যাওয়া যদিও খুব বেশি না, তারপরও বিবেচনার দাবি রাখে। তাই রক্তে চর্বি জমা বা হাই-কোলেস্টরেলের রোগীরা এই সমস্যার সহজ সমাধানে হিজামার দ্বারস্থ হতেই পারেন।

▪ হিজামা নিদ্রাহীনতা দূর করে ঘুমের কোয়ালিটি বাড়ায় (Selma, 2015)। অর্থাৎ নিদ্রাহীনতার শারীরবৃত্তীয় কারণগুলোকে দমন ও ঘুম সংশ্লিষ্ট বায়োলজিক্যাল বিষয়গুলোতে হিজামা ইতিবাচক প্রভাব রাখে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।

ব্যথা-যন্ত্রণাঘটিত অসুখ উপশম করার প্রমাণও পাওয়া গেছে এই রিসার্চেই। সংক্ষেপে বলতে গেলে নিচের অসুখগুলোতেও কাপিং-এর কার্যকারিতা পাওয়া গেছে :

• lumbar discherniation,

• cervical spondylosis,

• brachialgia paraesthetica noc turna,

• persistent non-specific low back pain,

• fibrositis,

• fibromyalgia,

• chronic non-specific neck pain,

• chronic knee osteoarthritis,

• pain of dysmenorrhea,

• pain of acute gouty arthritis,

• neurological conditions as headache and migraine,

• acute trigeminal neuralgia..... ইত্যাদি !

বিস্তারিত জানতে মূল রিসার্চ পেপার পড়ে দেখুন।


[চার]

এটা নাইজেরিয়ার একটা কেস স্টাডি, রিসার্চ না।

বাকি সবকিছু নর্মাল একজন ৩২ বছরের পুরুষ ৭ বছর প্রটেকশন ছাড়া মিলন করেও সন্তান হচ্ছে না। হাসপাতালে তাকে বন্ধ্যা হিসেবে শনাক্তও করে দেওয়া হয়েছে। গবেষকরাও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা আবার করিয়ে অন্য কোনো অসুখ পাওয়া গেল না, মানে লোকটি primary infertility-র রোগী। তার বীর্য পরীক্ষা করে সবগুলো মানই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কম পাওয়া গেল।

এবার তাকে মাসে ২ বার হিজামা করানো হলো, তার স্ত্রীকে মাসে একবার—এভাবে দুই মাস। আশ্চর্যজনকভাবে দুইমাস পর বীর্যের সবগুলো প্যারামিটার স্বাভাবিক হয়ে গেল ! দ্রুতপতনের যে সমস্যা ছিল, সেটাতেও উন্নতি পাওয়া গেছে। তার স্ত্রীর hCG লেভেল স্বামীর হিজামার আগে ছিল নেগেটিভ, থেরাপির পর হলো পজেটিভ (৪৯.৫৭ mlU/ml), মানে তিনি মা হতে চললেন ! (Senol, 2019)

••• একইভাবে আরো কিছু স্টাডিতে কাপিংয়ের ফলে ফিমেল ইনফার্টিলিটি প্রবলেম বা বন্ধ্যা নারীদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে (Jun-Xiang, 2018)। প্রাইমারি ইনফার্টিলিটি বা সেকেন্ডারি ইনফার্টিলিটি থেকেও নিয়মিত একাধিক সেশন হিজামার মাধ্যমে প্রেগনেন্সি লাভেরও বেশ কিছু রেকর্ড রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাই-কোয়ালিটি রিসার্চের অভাবে শতভাগ সাইন্টিফিক্যালি স্বতঃসিদ্ধভাবে এখনো তা ব্যাখ্যাসহ প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে গবেষণা না করেই তো আর কাজ হয় না বা প্লাসিবোর কথা অন্ধভাবে বলা যায় না ! (Hassan, 2016)

তাই নারী-পুরুষ কেউ ইনফার্টিলিটি প্রবলেমে ভুগলে কাপিংয়ের সাহায্য নিতে পারেন অবশ্যই, সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা এখনো না থাকলে না থাকুক, কাজ হলেই হলো।

[পাঁচ]

হার্টের ফাংশন যেমন দেখা যায় ECG-তে, ব্রেইনের ফাংশন দেখা হয় EEG-তে (Electro-encephalogram)। এর একটা অংশ Beta wave, যা বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানোর কন্ট্রোল (cognitive processing and motor control) কেমন তা নির্দেশ করে। আর Gamma waves নির্দেশ করে বোঝা ও অনুভবের ক্ষমতা (perceptual and cognitive processes)। যদি beta ও gamma ওয়েভ বেশি পাওয়া যায়, তা ব্রেইনের সূক্ষ্ম উচ্চতর ক্ষমতা (higher mental functions) বেশি বোঝায়।

৪৯ জন পুরুষের ওপর নাইজেরিয়ার ফিজিওলজি ডিপার্টমেন্ট গবেষণা করে জানিয়েছে, কাপিং-এর ফলে beta ও gamma ওয়েভের স্পন্দন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাঁরা উপসংহার টেনেছেন, ব্রেইনের সামনের দিককে কাপিং সক্রিয় করে তুলেছে, যা সম্ভবত বিভিন্ন নিউরোকেমিক্যাল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। তাই বিভিন্ন মানসিক ও মস্তিষ্কের অসুখে এর কার্যকারিতা থাকতে পারে (Faruk, 2019)।

[ছয়]

• ব্যথা পরিমাপের একটা পদ্ধতি আছে নাম Visual A**logue Scale. মাইগ্রেনের (আধকপালি) বাথা কতটা তীব্র এবং জীবনকে ব্যাহত করছে, তা পরিমাপ করা হয় Migraine Disability Assessment (MIDAS) Test দিয়ে। তুর্কী ডাক্তারদের এক গবেষণায় এসেছে, ৩ মাসে ৩ বার যাদের কাপিং হয়েছে তাদের চেয়ে ১২ মাসে ১২ বার যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের এই দুই স্কোর উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি (Suleyman, 2019)।

সৌদি আরবের ডাক্তারদের এক রিসার্চেও একই ফল এসেছে (Abdullah Kaki, 2019)।

মনে রাখা দরকার, এসব ডাক্তাররা হোমিওপ্যাথি-ইউনানী বা কোনো অলটারনেটিভ মেডিসিনের ডাক্তার না, পশ্চিমা মেডিকেল সায়েন্সেরই ডাক্তার। তাছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণ-সংশ্লিষ্ট ব্যথা উপশমে কাপিং করার বিষয়টি সারা বিশ্বেই প্রচলিত।

[সাত]

ইরাকে ডাক্তাররা ৫০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন, সবাই ডায়বেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগী ছিল। হিজামার আগে আগে এবং হিজামার ৭২ ঘণ্টা পর তাদের ব্লাড স্যাম্পল নিয়ে প্যারামিটারগুলো দেখা হলো (Hesha, 2020)। নিচের রিডিং গুলো স্পষ্টত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে—

— cholesterol

— triglyceride

— low-density lipoprotein

— blood sugar level

— ferritin

— urea

— creatinine

— blood pressure

অর্থাৎ যারাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, হিজামা তাদের জন্য উৎকৃষ্ট চিকিৎসা হতে পারে। একইভাবে রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলেও হিজামা করানো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন উত্তম সমাধান হতে পারে।

ব্লাড প্রেসার আর ব্লাড সুগারের বিষয়টি মূলত লাইফস্টাইলের সাথে সম্পৃক্ত, তাই এই দুটোকে পার্মানেন্টলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল বদলানো প্রয়োজন, আর হঠাৎ খুব বেশি বেড়ে গিয়ে সমস্যা হলেই কেবল আলাদাভাবে এর জন্য হিজামা করার কথা আসে।


আমেরিকাতে ১৮শ ও ১৯শ শতকে এই থেরাপির প্রচলন ছিল ব্যাপক। পশ্চিমা মেডিসিনে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কাপিং থেরাপির অস্তিত্ব ছিল (Griffith, 1938 ) । এমনকি ডক্টর উইলিয়াম ওসলার ১৯৩১ সালে তাঁর বিখ্যাত মেডিসিন টেক্সটবুক The Principles and Practices of Medicine-এ pneumonia ও acute myelitis এর চিকিৎসা হিসেবে কাপিং রিকমেন্ড করেছেন।

এরপর কী এমন হলো যে, পশ্চিমা মেডিসিন একে কুসংস্কার বলে পরিত্যাগ করলো, বিপরীতে চীন একে ১৯৫০ থেকে অফিসিয়ালি গ্রহণ করে নিল, সেটা ভিন্ন আলাপ ! পুরোপুরি বুঝতে হলে অর্থনীতি, রাজনীতি সবকিছু সামনে নিয়ে সে আলাপে আসতে হবে। বিজ্ঞান বলি আর যাই বলি, বাস্তবে সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় পলিটিক্স দ্বারা ! আর বাস্তবতা হচ্ছে, এই ধরনের অল্টারনেটিভ মেডিসিন গুলো মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়লে তা বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে বড় মাল্টি-ট্রিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট বিজনেস বা ফার্মাসিটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিগুলোর অস্তিত্বের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে ! এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আর অস্তিত্ব রক্ষায় ক্যাপিটালিস্ট এই ইন্ডাস্ট্রিগুলো যেকোনো কিছু করতে রাজি, তাই কাপিংয়ের মত অল্টারনেটিভ মেডিসিন গুলো মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়লে এগুলোর বিপরীতে শতশত নতুন ভুয়া গবেষণা তৈরি করাও 'উনাদের' বাম হাতের কাজ !

তেমনি আরেকটি কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে— "বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি-প্রণীত যে ওষুধগুলো আমরা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাই-প্রেশার, থাইরয়েড ইত্যাদি অধিকাংশ এনসিডি ডিজিজের ক্ষেত্রে খাই, সেগুলো মূলত রোগ মুক্তির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় না, তৈরি করা হয় রোগকে নিয়ন্ত্রিত রাখার উদ্দেশ্যে...।" !!!

বুঝলে ভালো, না বুঝলে কি আর করার ! সেসব পলিটিক্সের গল্প হবে আরেকদিন, আজ এই পর্যন্তই থাক।

ভাবতে থাকুন, সতর্ক থাকুন। রোগমুক্ত-ওষুধমুক্ত সুস্থ জীবনযাপন করুন। হিজামা চাইলে করান, না করাইলে নাই। আল—বিদা।

— সমাপ্ত —


[*] পুরো আর্টিকেলটি মূলত ডাঃ শামসুল আরেফীন শক্তির 'কষ্টিপাথর' সিরিজের তৃতীয় বই "কাঠগড়া" থেকে নেওয়া। বইয়ের ভাষাকে সরলীকরণের সুবিধার্থে কিছু মূল লেখায় পরিমার্জন-পরিবর্ধনও করা হয়েছে, বললাম যদিও এখন আর এটাকে হুবুহু বইটির লেখা বলা যাচ্ছে না। আর উক্ত আর্টিকেলের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অধ্যায়গুলোর কথাই উপরের '*' চিহ্নিত লাইনে বলা হয়েছে।

Address

Mirpur
Dhaka
1216

Telephone

+8801755431534

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hijama Session posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Nearby clinics