27/09/2025
ওজন কমাতে সবসময় সুষম খাদ্য পরিকল্পনা করুন। শরীর সবচেয়ে ভালোভাবে গ্রহণ করে সুষম খাদ্য ব্যবস্থা। একেবারে কম খাবার খেয়ে বা অতিরিক্ত কম ক্যালরি নিয়ে ওজন কমালে শুরুতে হয়তো আপনি দ্রুত ফলাফল পেতে পারেন, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা টেকসই হয় না বা ধরে রাখাও সম্ভব হয় না। সমস্যাগুলোর মধ্যে দেখা যায়-
- মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। কারণ শরীর যখন বুঝতে পারে খুব কম ক্যালরি পাওয়া যাচ্ছে, তখন শক্তি বাঁচানোর বেশি চেষ্টা করে। ফলে মেটাবলিক রেট কমে যায়। ওজন কমানোর গতি প্রথমে দ্রুত হলেও পরে থেমে যায় অথবা একেবারে ধীর গতিতে হয়।
- মাংসপেশির শুধু যে ফ্যাট কমে তাই নয়, পেশির ভরও কমতে থাকে। অর্থাৎ আয়তন কমে যায়। এতে বেসাল মেটাবলিক রেট বা বিপাককার্য আরও কমে যায়। ভবিষ্যতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও কঠিন হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত কম ক্যালরি গ্রহণ করলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এমনকি প্রোটিন ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এতে দুর্বলতা, হরমোনাল সমস্যা, চুল পড়া, ত্বক ঝুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
- অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। বিশেষ করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন লেপটিন এবং গ্রেলিনের কার্যকারিতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে বারবার ক্ষুধা লাগে, খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
- সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, যতটা কষ্ট করে ওজন কমানো হলো তা অতি দ্রুতই আবার ফিরে আসে। শুধু তা-ই নয় অনেক সময় আগের চেয়ে ওজন বেশি হতে পারে।
- হঠাৎ করে যদি হার্ট অ্যাটাক টাইপের বড় কোন সমস্যা দেখা দেয়, যেখানে হয়তো তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে মেডিসিনের কার্যকারিতা ঠিকমত কাজ করে না। যার জন্য চিকিৎসা ঠিকমত করাও যায় না।
তাই স্থায়ী ফলাফলের জন্য সুষম খাদ্যের মাধ্যমে মাঝারি ক্যালরি গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এতে কোনো ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সুফল পাওয়া যায়। মনে রাখবেন এক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটিই হচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ। যার পরামর্শ মেনে কাংখিত লক্ষে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
সাক্ষাতের জন্য হেল্পলাইন 01912-013696
is Included-All People, All Places, All Ways