11/03/2024
আসসালামু আলাইকুম,
সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই ও বোনেরা।
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে। বছর পেরিয়ে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন এ মাসে যথাসম্ভব ইবাদত বন্দেগি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই প্রত্যেকের কাম্য। বেশি বেশি ইবাদত করার জন্য চাই সুস্থ দেহ, আর সুস্থ দেহ পাবার অন্যতম শর্ত হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহন। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে রমজানের আপনাদের খাদ্য তালিকায় যা রাখতে পারেনঃ
* প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। যা এ রমজানের মধ্যে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়টাতে পান করা প্রয়োজন।
* উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশী পরিমানে গ্রহণ করা ভালো।
* কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে বাদ না দিয়ে প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণে গ্রহণ করা দরকার।
* এ সময় বেশী বেশী পটাসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ দেহের জন্য অপরিহার্য।
* বাজার এখন নানান মৌসুমী ফলে ভরপুর। যত বেশী সম্ভব আমরা ফল খেতে পারি। ফল একদিকে শরীরের পানির চাহিদা মেটাবে, অন্যদিকে এর প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টিগুনও রয়েছে।
* দুধে অ্যালার্জি বা হজমের সমস্যা না হলে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পান করা যেতে পারে। দুধ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাধিক উপকারী।
* ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার যেমন ইসবগুল, তকমা, সালাদ এ সময়টাতে বেশি বেশি গ্রহণ করা দরকার।
যে খাদ্য বা অভ্যাসসমূহ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারেঃ
* ভাজাপোড়া খাবার সম্পূর্ন ভাবে বর্জন করাই শ্রেয়।
* এ সময়টাতে বা যে কোনো সময়ে বাইরের কেনা খাবার না খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত।
* ইফতার, রাতের খাবার বা সেহেরী সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি খেয়ে হাসফাস না করে, স্বাভাবিক পরিমাণে খাওয়াটাই উত্তম।
* কোল্ড ড্রিংকস, প্যাকেটজাত জুসের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি তাজা ফলের শরবত খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
* ফাস্টফুড সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
* এ সময়টাতে চা, কফি না খাওয়াই ভালো। তবে একান্তই খেলে তা ইফতার এবং রাতের খাবারের মাঝে খেতে হবে, কেননা চা, কফি শরীর থেকে পানি বের করে দিয়ে পানি শূন্যতা তৈরি করে।
এছাড়া যাদের নিয়মিত বিভিন্ন ওষুধ সেবন করতে হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণের সময়সূচি নির্ধারণ করে নেবেন।