ইউনানী আয়ুর্বেদা লিঃ

ইউনানী আয়ুর্বেদা লিঃ Unani Ayurveda Ltd. is an ancient method of medicine that has the potential to deepen the cure and c

01/05/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

প্রিয় আবুল খায়ের এর এই বিজ্ঞাপনের কথা কারো মনে আছে?—সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?* কি গো কবিরাজ, কি খো...
27/04/2023

প্রিয় আবুল খায়ের এর এই বিজ্ঞাপনের কথা কারো মনে আছে?

—সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?
* কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন?
-- আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?
*আছিলো, কাইট্টা ফালাইছে।
-- এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ?
* আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি।
-- আপনের গাছ?
* হ, টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।
-- গাছ লাগাইছিলো কে?
* আমার বাবায়।
-- আপনি কী লাগাইছেন?
-- আমি কী লাগাইছি?
* হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে...........
আবুল খায়েরের শেষ কথাটি ছিল: "এক একটা গাছ, এক একটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী।" জনস্বার্থে বিজ্ঞাপনটি আবারো প্রচার করা হোক।

কখন চা পান করবেন ?চা পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পরে। সকালেও এটি পান করতে পারেন, তবে খালি পেটে নয়।আর...
10/12/2022

কখন চা পান করবেন ?
চা পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পরে। সকালেও এটি পান করতে পারেন, তবে খালি পেটে নয়।
আর দুধ চা এড়িয়ে যান। কারণ এর থেকে কোনো পুষ্টিগুণ শরীর পায় না। তার চেয়ে ভেষজ বিভিন্ন চা যেমন- গ্রিন টি, তুলসি টি, লেমনগ্রাস টি ইত্যাদি।
ওয়ার্কআউটের আগে সাধারণত কফি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে আপনি আরও শক্তি পাবেন। আবার ব্ল্যাক কফি অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
ঘুম থেকে ওঠার খালি পেটে চা বা কফি পান না করে এক কাপ গরম পানিতে সামান্য লেবুর রস, এক চিমটি লবণ ও কালো মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন। এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে।

■  কিছু কথাসোনায় সোহাগা আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের আনাচে কানাচে, ঝোপ জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুক্তো মানিক। কিন্তু অতিব দ...
04/09/2022

■ কিছু কথা
সোনায় সোহাগা আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের আনাচে কানাচে, ঝোপ জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুক্তো মানিক। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় এই যে আমারা আজও সেই মুক্তো মানিক চিনতেই পারিনি। আমরা এগুলোকে পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যাই,তারপরও ভেবে দেখিনি, জেনেও দেখিনি কোন উপকারে আসবে কিনা। রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে,বনে বাগানে হাজারো উপকারী গাছপালা, লতাপাতা আছে যা আমাদের প্রাকৃতিক সুরক্ষার দেয় , পাশাপাশি অনেক সুবিধাও দিয়ে থাকে। আজ আপনাদের জানাবো এমনই এক উপকারী গাছের কথা।
■ রিফুজি লতা'র পরিচয়
বাংলা নাম রিফুজি লতা বা আসামি লতা। বৈজ্ঞানিক নাম Mikania micantha । আসামলতা, কইয়া লতা, বুচিলতা, তরুলতা, রিফুজি লতা, শঙ্খুনি লতা, ইত্যাদি নামে এটাকে ডাকা হয়। এই লতা অতি বৃদ্ধিপ্রবল, একবার বেড়ে উঠবার সুযোগ পেলে বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়ে, জড়িয়ে ধরে অন্য গাছের শাখা-প্রশাখা।
রিফুজি লতা বনে-জঙ্গলে, পতিত জমিতে বা পথের পাশে যেখানে ফোটে সে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হতেই থাকে। রিফুজি লতার কোন ধরনের যত্ন না নিলেও চলে,এটি একবার বেয়ে গেলে আর সহজে মরে না।
■ রিফুজি লতা'র ঔষধী গুনাগুন
* প্রসাবে জ্বলাপোড়ায় নিয়মিত পাতার রস খেলে সমস্যা কেটে যাবে।
* লিভারের যে কোন সমস্যায় এই পাতার রস অনেক উপকার করে।
* চোখ লাল হয়ে গেলে এই পাতার রস খেলে সমস্যা কেটে যাবে।
* পাকস্থলীর প্রদাহ হলে আদার সাথে তিনটি পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন।
* এই পাতার রস নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* শরীরের কাটা ছেঁড়ায় এ লতার পাতা পিষে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে তিন থেকে চার ঘন্টা বেধে রাখুন, জোড়া লেগে যাবে।
* বসন্ত বা হাম হয়েছে যাদের, তারা রিফুজি পাতা পিষে রস পানির সাথে মিশিয়ে পু্রো শরীর ধুয়ে ফেলুন।
* রক্ত দূষিত হলে ৭দিন প্রতি সকালে খালি পেটে আধা-কাপ পাতার রস এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খাবেন।
* পেটে গ্যাস, এসিডিটি হলেই আধা-কাপ রিফুজি পাতার রস খেয়ে নিন, সেরে যাবে।
* বিষাক্ত পোকা-মাকড় কাঁমড় দিলেই রিফুজি পাতার রস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, সেই সাথে পাতা পিষে লাগিয়ে রাখুন।
* চুলকানী, একজিমা, দাদ হলে এই পাতার রস দিয়ে ধুয়ে রস লাগাতে থাকেন দেখবেন সেরে যাবে।
* এই পাতার রস কাচা হলুদের সাথে মিশিয়ে শরীরে লাগালে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং শরীরে দাগ দুর হয়।
* মূখে মেসতা হলে হলুদের সাথে লেবুর রস ও এই পাতার রস মিশিয়ে লাগান সেরে যাবে।

⭕কুকুরে কামড়ালে বা আঁচড় দিলে কি করবেন?👇🔘সাধারণত পোষা প্রাণীরা তাদের মনিবকে কামড়ায় না। কিন্তু কখনো কখনো কুকুর বা বিড়াল তা...
21/08/2022

⭕কুকুরে কামড়ালে বা আঁচড় দিলে কি করবেন?👇

🔘সাধারণত পোষা প্রাণীরা তাদের মনিবকে কামড়ায় না। কিন্তু কখনো কখনো কুকুর বা বিড়াল তাদের যারা আদর করেন, খাওয়ান, কোলে নেন এবং সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হন তাদেরকেও আঁচড় দিতে পারে। এই ছোট খাট আঘাতগুলো অ্যালকোহল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করলেই ভালো হয়ে যায়। যদি দুর্ঘটনাবশত কুকুর কামড় দেয় এবং ত্বক ছিলে যায় এবং রক্ত বের হয় তাহলে ইনফেকশন হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।👇

👉১। প্রথমেই রক্তপাত বন্ধ করতে হবে।

👉২। কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করুন। কুকুরটি যদি কারো পোষা হয় তাহলে তার ঠিকানা নিয়ে রাখুন এবং তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলুন।

👉৩। পাঁচ মিনিট যাবৎ ক্ষতটি ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে কলের পানি ব্যবহার করাই ভালো। যদি কলের পানি সহজলভ্য না হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানটি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি বার বার পরিবর্তন করে দিন। এক্ষেত্রে গ্লাবস পড়ে নেয়া ভালো। এভাবে আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে ফেললে কুকুরের লালা সম্পূর্ণ দূর হবে।

👉৪। যদি কুকুরের কামড়ের ফলে হালকা কেটে যায় বা আঁচর লাগে তাহলে পরিষ্কার একটি কাপড় দিয়ে সরাসরি চাপ দিলে রক্তপাত বন্ধ হবে। সম্ভব হলে আক্রান্ত স্থানটি হার্টের চেয়ে উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন। এর ফলে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

👉৫। জীবাণুমুক্ত গজ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিন এবং ঐ দিনই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

👉৬। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৮ বছরে টিটেনাসের ইনজেকশন নিয়ে না থাকেন তাহলে দ্রুত টিকা নিতে হবে। যেকোন ধরণের কামড়ের ফলেই টিটেনাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

🔘উষ্ণ রক্তের প্রাণীর মধ্যে জলাতঙ্কের ভাইরাস আছে কিনা তা শুধু ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। যদিও কিছু লক্ষণ প্রাণীর মধ্যে জলাতঙ্কের সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে যেমন- 👇

-👉 বন্য পশু দৌড়াতে দৌড়াতে আপনার কাছে আসলে।

-👉 পশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকলে এবং তার জিভ ঝুলে থাকলে।

-👉 পশুটির শ্বাস নিতে সমস্যা হলে।

-👉 বন্য পশুটি হঠাৎ করে আপনার উপর ঝাপিয়ে পড়লে।

⭕প্রাথমিক অবস্থায় র‍্যাবিস চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু কিছু প্রাণী অন্যদের তুলনায় জলাতঙ্ক প্রবণ হয়। যদি কোন কুকুর, বাদুর, শেয়াল, ইঁদুর অথবা কাঠ বিড়ালি আপনার সামনে বা কাছাকাছি আসে তাহলে ধীরে ধীরে এদের সামনে থেকে সরে আসাটাই সবচেয়ে ভালো, যাতে প্রানিটি ভয় না পায় বা রেগে না যায়।

🔘কামড়ের তীব্রতা দেখেই ডাক্তার চিকিৎসার ধরণ নির্ধারণ করবেন যেমন- কামড়ের স্থানটি শুধু পরিষ্কার করলেই হবে নাকি টিকা বা ইনজেকশন ও দিতে হবে।👇

👉 হালকা আচরের ক্ষেত্রে টিকা নেয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়। কুকুরের কামড় যদি খুব বেশি মারাত্মক হয় তাহলে অ্যান্টি-র‍্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

👉 বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসক ক্ষতটি সেলাই করা এড়িয়ে যান যদিনা সেটি চেহারা বা কোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে হয়ে থাকে।

👉 যদি পোষা প্রাণী কামড় দিয়ে থাকে তাহলে টিকার ৩ টি ডোজ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ১ টি টীকা নিলে দ্বিতীয় টিকাটি নিতে হবে ৩ দিন পরে এবং তৃতীয় টিকাটি নিতে হবে ৭ দিন পরে।

👉 যদি পথের কোন ক্ষিপ্র কুকুর কামড় দেয় সেক্ষেত্রে ৫ বা ৭ টি ইনজেকশন নিতে হবে। টিকার তৃতীয় ডোজ নেয়ার ১ সপ্তাহ পরে নিতে হবে এই ইনজেকশন। ইমিউনিটিকে উন্নত করার জন্য এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি কমানোর জন্য এই ইনজেকশন দেয়া হয়।

🔘জলাতঙ্ক থেকে মুক্ত থাকার সঠিক উপায় হচ্ছে টিকা নেয়া এবং ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন নেয়া। যেহেতু জলাতঙ্ক ভাইরাসজনিত রোগ তাই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লোশন ব্যবহার করে কোন উপকার পাওয়া যায়না। ইনফেকশন যেন না বারে সেজন্য অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াও প্রয়োজন। যদি সময় মত চিকিৎসা করা না হয় তাহলে কুকুরের কামড়ের ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া জলাতঙ্ক নিরাময় করা যায়না। তাই উপসর্গের তীব্রতা বুঝা গুরুত্বপূর্ণ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে চিকিৎসককে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।

👉⭕নিয়মিত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।🔘🌻
👉⭕বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ পূর্বক ঔষধ সেবন করুন।🔘🌻

🌻লিখেছেন –
সাবেরা খাতুন

*সংগৃহীত

🌻💠"U" আকৃতির ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ এর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা💠👇👉🥦🔘🍀সম্মানিত সদস্য বৃন্দ, আজ আমরা জানবো সন...
12/08/2022

🌻💠"U" আকৃতির ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ এর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা💠👇

👉🥦🔘🍀সম্মানিত সদস্য বৃন্দ, আজ আমরা জানবো সন্তান জন্মের পর বুকের দুধ আসা বা পাওয়া নিয়ে যে সমস্ত জটিলতা ও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তার কিছু প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সমাধান সম্পর্কে। জনসচেতনতার স্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।🌿💠🌻👇

🔘☘️⭕সন্তান জন্মের পরে মায়ের দুধ আসতে দেরি করে! ৩ দিন লাগে! আবার যদি সিজারে হয় তাহলে তো কথাই নেই কমপক্ষে ৭দিন তো লাগবেই! ইত্যাদি কথা প্রচলিত এমনকি আমরা বিশ্বাসও করি। কিন্তু এসকল কথাই পরিপূর্ণ সঠিক নয়। মায়ের দুধ আসা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে মা আরামদায়কভাবে বসে অথবা শুয়ে স্তনের বোটার চার পাশের কালো অংশসহ শিশুর চোষার উপরে যাকে পজিশন ও এটাচমেন্ট বলে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না এই পদ্ধতি সঠিক হবে ততক্ষণ পর্যন্ত শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানো অসম্ভব। তাই শিশু জন্মের পর থেকে পজিশন ও এটাচমেন্ট সঠিক করে দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ বার মায়ের দুধ চোষাতে হবে। আর ছোট নবজাতকের এই পজিশন ও এটাচমেন্ট সঠিক করে দিলেও কিছুক্ষণ পর পর তা সরে যায় মায়ের হয়ত একটু নড়া বা কোলে নিয়ে আছে হাতটা একটু সরে যাওয়ার কারণে। যা একইভাবে মা ও শিশুর এই সঠিক পজিশন ও এটাচমেন্ট বজায় রাখা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষভাবে ডিজাইন করা (ইংরেজি ‘U’ আকৃতির) ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ অন্যতম সহায়ক হিসাবে কাজ করে। ব্রেস্টফিডিং পিলো ব্যবহারে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো আরামদায়ক হয় এবং মায়ের জন্য সুবিধাজনকও। এটি নার্সিং বালিশ হিসাবেও পরিচিত।☘️

💠🌿ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ ব্যবহারের সুবিধাঃ👇☘️

🍀👉১। বালিশটি ব্যবহারে মা ছোট শিশুকে আরামদায়ক উচ্চতায় ধরে রাখতে পারে ফলে শিশুর অবস্থান ও সংস্থাপন ঠিক রাখা সম্ভব হয়।🥦

🍀👉২। শিশুকে হাতের উপরে নিয়ে মা একটানা বেশি সময় ধরে দুধ খাওয়াতে পারে না মায়ের কষ্ট হয়, কিন্তু এই বালিশ ব্যবহারে অনায়াসে মা একসাথে ১-২ ঘন্টা কোন ক্লান্তি বা কষ্ট ছাড়া মায়ের দুধ খাওয়াতে পারে।🥦

🍀👉৩। সিজারের (অস্ত্রোপচার) মাধ্যমে প্রসবের ক্ষেত্রে মায়ের পুরোপুরি নিরাময়ে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় এই বালিশের ব্যবহার মায়ের সেলাইগুলির উপর চাপ রোধ করতে সহায়তা করে।🥦

🍀👉৪। জমজ শিশুদের ক্ষেত্রে ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ ব্যবহার করে একই সাথে দুইজন শিশুকেই মায়ের দুধ খাওয়ানো যায়।🥦

🍀👉৫। কিছু কিছু শিশুর দুধ খাওয়ার পরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়। এই বালিশে বিশেষ অবস্থানে শিশুকে নিয়ে খাওয়ালে তা শিশুর অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া এই বালিশ বারপিং বালিশ হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।🥦

🍀👉৬। ইংরেজি ‘U’ আকৃতির ব্রেস্টফিডিং বালিশকে দুগ্ধদানকালীন সময়ে এমনকি গর্ভাবস্থায়ও ভাল ব্যাক সাপোর্ট কুশন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।🥦

👉☘️⭕নিয়মিত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।🔘🌻
👉☘️⭕বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ পূর্বক ঔষধ সেবন করুন।🔘🌻

⭕🍀বিশেষ দ্রষ্টব্য:👇💠
🥦*বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন এর টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত🌿
🥦*এই পোস্টটি কোনো বিশেষ পণ্যের বিজ্ঞাপন নয়, বরং গর্ভবতী মায়েদের জন্য সচেতনতামূলক পোস্ট মাত্র🌿
⭕জনসচেতনতার স্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।⭕

(একটি বাস্তব ঘটনা)পাঁচ বছর আগে আমার একটা পরকীয়া ঘটনা ধরে আমি আর রিয়া আলাদা হয়ে যাই। শেষবার যখন রিয়ার সাথে কথা হয়েছিলো তখ...
12/08/2022

(একটি বাস্তব ঘটনা)
পাঁচ বছর আগে আমার একটা পরকীয়া ঘটনা ধরে আমি আর রিয়া আলাদা হয়ে যাই। শেষবার যখন রিয়ার সাথে কথা হয়েছিলো তখন সে বলেছিলো, "তোমার এমন চরিত্র নিয়ে তুমি কখনো সুখী হতে পারবেনা, ভালো থেকো!"
রিয়া একটু শ্যামলা বর্ণের ছিলো। আমাদের বিয়েটা বাবা, মা পছন্দ করে করিয়েছিলো। মেয়েটা শ্যামলা বর্ণের হওয়ায় আমি অনেক না করেছিলাম তারপরেও আমাদের বিয়েটা হয়েছিলো। বিয়ের কিছুদিন পর আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। সেটা নিয়ে পরিবারে অনেক অশান্তি। সে জন্য রিয়া গোপনে অনেক কান্না করতো। দুজনে দু পাশ হয়ে শুইলে তার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করার শব্দ আমার কানে আসে। কখনো জানতেও চাইনি তার কান্নার কারণ। এত কিছুর পরেও তার কোন অভিযোগ নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে রিয়া ঠিকই চা এনে দিবে। কতবার তার হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মেরেছি সেটার কোনো হিসাব নেই। বিয়ের পর কখনো আমার নিজের হাতে কাপড় নিতে হয়নি, আমি গোসল করতে ঢুকলেই সে কাপড় গুলো ওয়াশরুমের বাইরে সাজিয়ে রাখে। রিয়া আমাদের বাড়িতে আসার পর মা'কে কখনো রান্না ঘরে যেতে হয়নি। রিয়া যে এক বছর আমাদের বাসায় ছিলো তার মাঝে এক সপ্তাহও মনে হয় তার বাপের বাসায় যায়নি। পুরো বছরটা সে আমাকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করে। একটা সময় সে মানসিক অত্যচার সহ্য করতে না পেরে আমার কাছ থেকে আলাদা হতে চায়। আমি সেদিন হাসতে-হাসতে, নাচতে-নাচতে তাঁকে আলাদা করে দিই।

আজ পাঁচ বছর পূর্ণ হলো রিয়া আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আসলে চলে গেছে বললে ভুল হবে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। রিয়া চলে যাওয়ার দু বছর পর বাবা মারা যায়। রিয়া চলে যাওয়ার পর থেকে বাবা মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে একটা কথাও বলেনি। মারা যাওয়ার সময় আমি অফিসে ছিলাম এসে শুনলাম মারা যাওয়ার সময় বাবা তার একমাত্র ছেলেকে না খুঁজে ছেলের বউকে একবার দেখতে চেয়েছিলো। জীবনের প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছিলাম সেদিন।
আজ আমার মা মারা গেলো!! রিয়া যাওয়ার পর থেকে মা প্রয়োজনের বেশি আমার সাথে একটা কথাও বলতো না। "ভাত দিছি খেতে আয়।" এই কথাটা ছাড়া আর বেশি কিছু বলতো বলে আমার মনে পড়েনা। খুব বেশি কান্না পাচ্ছে যখন মায়ের আলমারিটা খুলে দেখলাম রিয়া যাওয়ার পর থেকে আমার দেওয়া একটা শাড়ীও মা পড়েনি। কখনো বলতো না আমার জন্য কিছু লাগবে বা লাগবেনা। তবুও আমি অনেক কিছুই এনে দিয়েছিলাম যেগুলো যেভাবে এনেছি সেভাবেই এখন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। আমার উপর এতটা অভিমান নিয়ে মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। মা মারা যাওয়ার সময় শুধু একটা কথাই বলেছে, "বাবা, তুই ছিলি আমাদের একমাত্র সন্তান তোর ভালোবাসায় কমতি হবে ভেবে আমরা দুইটা সন্তান নেইনি তারপরেও আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে রিয়াকে মেনে নিতে পারিস নি! তোর বাবা মারা যাওয়ার আগে প্রতি রাতে শুধু এই কথাটা বলেই কান্না করতো, মেয়েটা অনেক ভালো ছিল রে।"
আমার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো দুই থেকে তিন মাসের মতো এই দুই তিন মাস আমার কাছ থেকে মা, বাবা,রিয়া এবং পাঁচ পাঁচটা বছর কেড়ে নিলো। আজ বুঝতেছি ভালো থাকার মানেটা কি। কতো সুখি হতাম যদি বাবা মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে আগের মতো সব কথা বলতো! কতো সুখি হতাম মা যদি আগের মত আমার বন্ধুর মতো থাকতো!
কিন্তু বুঝতে পারতেছিনা আজ কেনো এসব ভাবতেছি সেই পাঁচ বছর আগে যদি ভাবতাম তাহলে আমার জীবনটা অনেক সুন্দর হতো। এখন পুরো একটা বাড়িতে আমি একা কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো সে উপায় ও নেই। নিজে নিজে কান্না করতেছি, নিজে নিজে চিল্লাতে চিল্লাতে আকাশ বাতাস ভারি করে ফেলতেছি কিন্তু সব কিছুই যেনো আমার থেকে বিমুখ হয়ে গেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু বললেই আকাশ যেনো উল্টো আমাকে বলতেছে সব কিছুর জন্য তুই দায়ী। আজ নিজেকে খুব বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে। রিয়ার চলে যাওয়ার সময় কথাটা যেনো আজ অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে গেলো।
আজ পাঁচ বছর পর রিয়ার নাম্বারে ফোন দিলাম। ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই কলটা রিসিভ করে ওপাশ থেকে একটা বাচ্চা বললো, "পাপ্পা-পাপ্পা তুমি কখন আতবে?"
বাচ্চাটার কথা শোনে আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেলো! মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছেনা।
দূর থেকে কেউ একজন বললো, "কে ফোন করেছে মা?"
কণ্ঠ শোনে বুঝতে পারলাম এটা রিয়া, মেয়েটা কতো সুখি হয়ে গেলো, বিয়ে করে বাচ্চা হলো। এখন খুব জেলাস ফিল হচ্ছে তার স্বামীর কথা ভেবে!!
ইচ্ছে করতেছে দৌড়ে গিয়ে রিয়াকে আমার কাছে নিয়ে আসি, জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করি। রাত দিন কান ধরে ক্ষমা চাই। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নই। সে এখন আরেকজনের বউ। তাছাড়া আমার মত খারাপ একটা মানুষকে কেনো সে জড়িয়ে ধরবে!
ওপাশ থেকে রিয়া বলতেছে, "দাও মা ফোনটা দাও, দেখি কে ফোন করেছে।"
এরপর আর কোনো কথা শুনতে পেলাম না। হয়তো আমার নাম্বার সে চিনতে পারছে তাই কোনো কথা বলতে চাচ্ছেনা। আমিও কেমন বোকা তার কাছ থেকে কথা আশা করতেছি। তার কণ্ঠ শুনতে পেয়েছি সেটাই তো অনেক। ফোনটা যদি তার কাছে থাকতো হয়তো তার কণ্ঠটাও শোনা হতো না। আমার মতো জঘন্য একজন মানুষের সাথে তার কথা বলা উচিৎ নই। এসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে দিলাম।

মায়ের সাথে সাথে আমার চোখ থেকে ঘুমও বিদায় নিলো। বালিশে মাথা রাখলেই চোখের দু কোণা দিয়ে অজস্র পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। মুছতে মুছতে ভাবতেছি,"শুধু কান্না নই এখন যদি মরেও যাই একটা লোকও নাই যে আমার জন্য দু ফোটা চোখের পানি ফেলবে।" আজ আমি এতই একা। একটা মূহুর্তের জন্যও ঐ পরকীয়ার সম্পর্ক টার ব্যাপারে ঘৃণা ছাড়া কিছু মাথায় আসতেছেনা। অথচ একটা সময় ছিলো রিয়ার প্রতি ঘৃণা আর পরকীয়ার প্রতি মায়া। আজ পরকীয়ার প্রতি ঘৃণা আর রিয়ার প্রতি মায়া। সময় কতো বড় শিক্ষক আজ তা শিখিয়ে দিয়ে গেল। আমাকে কেউ মারেনি কিন্তু সময়ের কাছে কী মার টাই না খেয়ে গেলাম!
খুব সকালে বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠলো, চমকে উঠলাম কারণ মা মারা যাওয়ার তিন দিন পর কেউ একজন বাড়ির কলিং বেলটা বাজালো!
দরজা খুলতেই আরো বেশি অবাক হলাম, দেখলাম রিয়া একটা বাচ্চা মেয়েকে কোলে নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারতেছিনা এমন সময় আমি কি করবো? আমার কি করা উচিৎ?

দরজা খুলতেই আরো বেশি অবাক হলাম, দেখলাম রিয়া একটা বাচ্চা মেয়েকে কোলে নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারতেছিনা এমন সময় আমি কি করবো? আমার কি করা উচিৎ?

মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। রিয়াও কথা বলতে ইতস্তত বোধ করতেছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে জিজ্ঞেস করলাম, "তুমি?"
রিয়া তার কোল থেকে বাচ্চা মেয়েটাকে নামিয়ে দিয়ে বললো, "মা এখানে দাঁড়াও তো। আমি আসবো সেটা আশা করোনি তাইনা?"
চোখের সামনে সেই পাঁচ বছর আগের রিয়াকে ই যেনো দেখতে পাচ্ছি। মেয়েটার ভেতরটা যতটা নরম বাহির টা ততোটা নরম না। সেই আগের মতো তার কথা বলার ধরণ। রিয়ার মেয়েটার বয়স চার থেকে সাড়ে চার বছরের মতো হবে। হয়তো এখান থেকে গিয়েই বিয়ে করে ফেলেছিলো। মেয়েটা দেখতে একদম তার মায়ের মতো হয়েছে। আমি কিছু না বলে তার আশপাশ দেখতেছিলাম! সে কি একা আসছে নাকি স্বামী নিয়ে আসছে। দেখলাম তার পেছনে একটা সুটকেস ছাড়া আর কিছু নেই। কাউকে দেখতে না পেয়ে বললাম, "একা আসছো?"
-কেনো অন্য কেউ আসার কথা নাকি? আচ্ছা আমরা কি বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলবো নাকি ভেতরে যাবো?
আমি আমতা আমতা করতে করতে বললাম, "আসো!"
ঘরের ভেতর ঢুকে সে তো আগুন, "কি অবস্থা করে রেখেছো ঘরটার, একটু গুছিয়েও তো রাখা যায়।" এই বলতে বলতে সে আমার রুম গোছাচ্ছে। আমি সোফায় বসে রিয়ার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম আর ভাবতেছি মেয়েটা কত সহজ-সরল, এমন একটা মেয়েকে আমি কতো কষ্ট দিয়েছি।
পাশ থেকে ওর বাচ্ছাটা আমার দিকে আঙ্গুল দিয়ে বার-বার বলতেছে, "মাম্মা, মাম্মা এতা কে? (মেয়েটার ভালো করে কথা ফোটেনি)
রিয়া চুপচাপ রুম গোছাতে থাকলো।
হঠাৎ খেয়াল করলাম তার হাতে আমাদের বিয়ের একটা ফটো, এটাই একমাত্র আমাদের বিয়ের স্মৃতি যেটা বিছানার পাশে ছিলো। রিয়ার চোখ দিয়ে নিরবে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। হয়তো বিয়ের কথা মনে পড়তেছে।
সাহস নিয়ে এক নিশ্বাসে বলে ফেললাম, "রিয়া তোমার স্বামী আসেনি? সে কেমন আছে? নিশ্চয় সে আমার মতো এত স্বার্থপর না তাইনা?
রিয়া চোখের পানি মুছতে মুছতে বলতেছে, " হ্যা সে-ও স্বার্থপর তাইতো তোমার সাথে পরকীয়া করতে চলে আসলাম। কি আমার সাথে পরকীয়া করবে?
রিয়া কি বললো সব কিছু আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো, হয়তো আমার ধারণা ই ঠিক সে বিয়ে করেছে। কিন্তু আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে আমাকে পরকীয়ার কথাটা ইগো দেখিয়ে বলছে। কারণ রিয়া এমন কোন মেয়ে না।
-"মানে"
-সুখ জিনিসটা আমার কপালে নেই মনে করেছিলাম, আমি বিশ্বাস করতাম তোমাকে নিয়ে সুখী হতে না পারা টা আমার ভাগ্যে লিখা আছে, বিধাতা হয়তো আমার কপালে সুখ রাখেননি। তবুও আমি এই বিছানার এক পাশে সারা জীবন পার করে দিতে চেয়েছিলাম। এত কিছুর পরও আমি নিজে কান্না করে আমার দুঃখ গুলো ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। যেদিন আমি রাগের বসে চলে যাবো বলছি আর তুমিও আমাকে আটকালেনা সেদিন মনে করেছিলাম আমার জীবনের শেষ দিন। কিন্তু আমার হায়াত ছিলো তাই বেঁচে গেছি। তোমার কি মনে আছে একদিন প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিলো? বিয়ের পর তুমি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলে শুধু মাত্র সেদিন। হয়তো তুমি অবচেতন মনে ছিলে। যায় হউক। সেই রাতের ফসল হচ্ছে আমার মেয়েটা। যেদিন এখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম সেদিন আমি আমাদের বাসায় যাইনি। গিয়েছিলাম সুইসাইড করতে। কিন্তু আমার মেয়েটা সুইসাইড করতে দেয়নি। আমার মনে হলো পেটের ভিতর থেকে সে বলতেছে, "মা আমি কোন অন্যায় করিনি আমাকে মেরো না!" এই সব ঘটনা আব্বা(শশুড়) জানতো। কিন্তু আমি বারন করেছিলাম তোমাকে কিছু বলতে, কারণ আমি চাইনি তুমি আমার প্রতি দয়া করো। আমি চেয়েছি তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমি চেয়েছি তোমার মাঝে অনুশোচনা বোধ সৃষ্টি হোক। আমার জীবনের কঠিন সময়ে তুমি স্বার্থপরের মতো আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলে। কিন্তু আমি পারিনি তোমার কঠিন সময়ে তোমাকে ছেড়ে থাকতে, কেনো জানো? অল্প দিনে বড্ড বেশী ভালোবেসে পেলেছিলাম। এই পাঁচ বছরে সব থেকে বেশী কষ্ট পাচ্ছিলাম তখন যখন মেয়েটা ওর পাপ্পা কোথায় জিজ্ঞেস করতো আর কথাটার আমি কোন জবাব দিতে পারতাম না। আমার ফোন যদি ওর হাতে থাকে যে কেউ কল দিলে ও পাপ্পা পাপ্পা বলে ডাকতে থাকে। একটা মেয়ের জীবনে সন্তানের কাছে তার পিতার পরিচয় দিতে না পারার মতো আর কোন কষ্ট নেই।
আমি নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারতেছিলাম না, মেয়েটা নিজের মধ্যে এতো কষ্ট লুকিয়ে রেখেছিলো?
রিয়া কথা গুলো বলে খাটের এক কোণায় বসে অবুঝ শিশুর মতো হু হু করে কান্না করতে করতে বলতেছে, "তুমি হয়তো ভাবতেছো তাহলে আজকে কেনো আসলাম, কারণ গতকাল তোমার ফোন পেয়ে বুঝেছিলাম তোমার মতো স্বার্থপর একটা মানুষ কখনো কোন কারণ ছাড়া ফোন দিবেনা। মা, বাবা দুজনের মৃত্যুর খবর আমি শুনেছি তারপরেও আমি তোমাকে দেখা দেইনি কারণ তোমার মধ্যে অনুশোচনা বোধ না আসলে কখনো ভালোবসার আসল অর্থটা তুমি বুঝতেনা।
মেয়েটাকে কোলে নিয়ে রিয়ার সামনে গিয়ে বললাম, "আমার মেয়েটার নাম কি রাখছো?"
সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তার চোখের পানি টপ-টপ করে নিচে পড়তেছে। আমি পাশে বসে ওকে জড়িয়ে ধরতে চাইলাম। কিন্তু সে এমন জেদ ধরে বসে আছে তাঁকে কোন ভাবেই ধরতে পারতেছিনা। খুব বেশী জোর করে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, "হুম আজকে বেশী করে কেঁদে নাও এরপর কখনো এই চোখে পানি আসতে দিবো না। ভালো কিভাবে বাসতে হয় সেটা তুমি আমাকে শিখিয়েছো। এখন ভালোবাসার পরীক্ষাটা আমি দিবো।

সমাপ্ত...

গল্প - ফিরে আসার গল্প

10/08/2022

Address

Sujapur, Savar, Dhaka
Dhaka
1340

Telephone

+8801838297745

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইউনানী আয়ুর্বেদা লিঃ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ইউনানী আয়ুর্বেদা লিঃ:

Share

Category