
23/08/2025
আগামীর বিশ্ব কতটা ভয়াবহ হবে জানেন?
মেডিকেলে আমাদের এক স্যার বলেছিলেন প্রিথিবীতে একটা সময় এমন আসবে যখন নন কমিউনিকেবল ডিজিজ এর চেয়ে কমিউনিকেবল ডিজিজে বেশি মানুষ মারা যাবে। এটা কোভিডেরও বহু আগের কথা। কোভিড তো চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়েই দিল কথাটার সত্যতা কতটুকু। নন কমিউনিকেবল মানে সেসব রোগ যা একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়না যেমন ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, হার্ট ডিজিজ ইত্যাদি। চিন্তা করুন মাঝে একটা দীর্ঘ সময় আমরা কি আরামেই না কাটিয়েছি! আমাদের শৈশবে ডেংগু, চিকুনগুনিয়া এ নামগুলির সাথেই পরিচিতি ছিলনা,।আর এখন এসব রোগে কি পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে😢 সামনে আরও ভয়াবহ দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। আমাদের দোষেই আর কিছুটা আল্লাহ তায়ালার নারাজিতে হয়তো সামনে এমন সব ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ আসবে যে এলাকার পর এলাকা উজাড় হয়ে যাবে😢 আমাদের দোষ কেন বললাম আসুন একটু বুঝি:
ইদানীং যে স্ক্যাবিস মহামারির রূপ নিয়েছে আর ফাংগাল ইনফেকশন যে ট্র্যাডিশনাল ট্রিটমেন্টে ঠিক হচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা বোধ করি বোঝেন। কারণ হচ্ছে ত্রিমাত্রিক। এক. রোগী ডাক্তারের কথা শোনেন না। দুই. ডাক্তার রোগীকে সময় নিয়ে বোঝান না। তিন. রোগী ডাক্তার পর্যন্ত পৌছানই না। প্রবলেম হল, পাশের বাসার ভাবি, দেবরের শালী, বা সোশ্যাল মিডিয়ার নিজের গ্রুপে ঢুকে প্রবলেম বললেন ব্যস, সবাই বিলাত ফেরত ডাক্তারের মত জ্ঞান দেয়া শুরু। ওই অর্ধেক ডায়াগনোসিস এর কোয়ার্টার ট্রিটমেন্ট নিয়ে ভাইরাস, ফাংগাস তো মরছেই না বরং তারা মিউটেশন করে নিজেদের এমনভাবে তৈরি করছে যে কোন মেডিসিনেই সে আর মরেনা মানে আপনি নিজের দোষে তাকে অপ্রতিরোধ্য বানিয়ে ফেলছেন🤦♀️ আমি সত্যিই ভীষণ চিন্তিত ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে। তারা কি চিকিৎসা পাবে নাকি আগে যে শুনতাম কলেরা হয়ে নাকি গ্রাম কে গ্রাম উজাড় হয়ে যেত সেরকম সিচুয়েশন ফেস করবে আমাদের সন্তানেরা😢