Dr. Tojbir uddin

Dr. Tojbir uddin MBBS,
FCPS (Medicine) - Final part
PGT (Dhaka medical college)
Registrar,
Department of Medicine,
BBMH, USTC

"রোজা রাখা অবস্থায় প্র‍য়োজনে ডায়েবেটিস মাপা যাবে এবং ইনসুলিন নেওয়া যাবে"ঘটনা-১রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন নে...
08/03/2025

"রোজা রাখা অবস্থায় প্র‍য়োজনে ডায়েবেটিস মাপা যাবে এবং ইনসুলিন নেওয়া যাবে"

ঘটনা-১
রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন নেয়। সে ভোর যাতে সেহেরি খাবার আগে ইনসুলিন নেয়। রোজার আগে যে যেই পরিমান ইনসুলিন রাতে নিতো সেই পরিমান ইনসুলিনই নিলো। এরপর দেখা গেলো ৬-৭ টার দিকে করে তার পুরো শরীর ঘাম দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। রোগি অস্থিরতা করতাছিলো। রোগীর বাসায় তার ছেলে তার ডায়েবেটিস মাপতে চেয়েছিলো, কিন্তু রোগী ডায়েবেটিস মাপতে দিবে না। কারন রোগীর ধারণা ছিলো ডায়াবেটিস মাপলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। তারপর রোগীকে হাসপাতালে আনার জন্য এম্বুলেন্স ডাকা হলো। হাসপাতালে আনতে আনতে রোগী আবোলতাবোল কথা বলছিলো। এবং আমরা যখন রোগীকে পাই তখন তার কোম জ্ঞান ছিলো না। আমরা তখন তার ডায়বেটিস পরিক্ষা করে দেখলাম, তার ডায়বেটিস হয়ে আছে ১.৪ mmol/L। আমরা সাথে সাথে রোগীর রক্তনালীতে গ্লুকোজ স্যালাইন দিলাম।তার কিছুক্ষনের মধ্যে রোগীর জ্ঞান ফিরে এলো।
তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এই জিনিসটা জানা খুবই জরুরী, কারন শরীরের গ্লুকোজ কমে যাওয়াটা একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সি। এর কারনে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
নিচে এই ব্যাপারে বিজ্ঞ আলেমদের অভিমত দেওয়া হলো

02/03/2025

রোগীরা রমজানে কিভাবে চিকিৎসা নিবেন :
সে বিষয়ে আমাদের সকলের জানা থাকা উচিৎ৷৷..
অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবেনা। তবে ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

• স্যালাইন, গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক কিছু শিরাপথে নেওয়া যাবে না। এগুলো ছাড়া যেকোনো ওষুধ ইনজেকশন হিসেবে নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

• যেকোনো ধরণের চোখ, নাক ও কানের ড্রপ, ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে। ওষুধ মুখে চলে আসলে তা না গিলে কুলি করে বাহিরে ফেলতে হবে। হার্টের রুগীর ব্যথা উঠলে নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট বা স্প্রে জিহ্বার নিচে ব্যবহার করা যাবে।

• রোজা রেখে কেউ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে, সে চাইলেই রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারবে। এই জন্য তাকে কাফফারা (একটানা ৬০ টি রোজা) দিতে হবেনা। তবে পরে অবশ্যই রমজান শেষে যেকোনো সময় এটি কাজা আদায় করে নিতে
হবে।

• গর্ভবতী এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায় এমন মা'দের জন্য রোজা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে যে রোজাগুলো বাদ যাবে, পরবর্তীতে যখন তার জন্য সহজ হবে এবং বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা থাকবেনা, তখন কাজা আদায় করে নিতে হবে।
মেয়েদের পিরিয়ডের রক্ত বের না হওয়া পর্যন্ত রোজা ভঙ্গ হবেনা। পিরিয়ড শুরুর পর রোজা রাখা এবং নামাজ পড়া যাবেনা। যে রোজাগুলো মিস যাবে, রমজান শেষে সেগুলো কাজা আদায় করতে হবে। তবে নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।

• পায়খানার রাস্তায় কিংবা যোনিপথে ট্যাবলেট, সাপোজিটরি ব্যবহার করা যাবে। প্রসাবের রাস্তায় ক্যাথেটার করলে রোযা নষ্ট হয় না ৷

• রোযা রেখে দাঁত উঠানো যাবে।

• ল্যাব পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোজা নষ্ট হবেনা।

• সুস্থ সবল ব্যক্তির রক্ত দান করলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে রক্তদাতা দুর্বল অনুভব করলে রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারেন। এই জন্য কাফফারা দিতে হবে না, পরে শুধু একটি রোজা কাজা করলেই হবে ।

• ইনসুলিন নিলেও রোজা ভঙ্গ হবেনা। কিন্তু ইনসুলিন নেওয়ার পর যেহেতু খাবার খেতে হয়, তাই রোজা থাকাকালীন অবস্থায় নেওয়া খুব রিস্কের হয়ে দাড়ায়। তাই এটার সকালের ডোজ হিসেবে ইফতার এবং রাতের ডোজ সেহেরির সময় এডজাস্ট করে নিতে হবে।

• যোনিপথে বা পায়খানার রাস্তায় কোন পরীক্ষা যেমন PV, DRE, এন্ডোস্কোপ করলে রোযা নষ্ট হয় না।

• অনিচ্ছাকৃতভাবে যেমন আহত হয়ে কিংবা নাক দিয়ে রক্ত পড়লে রোজা নষ্ট হবেনা৷

রেফারেন্সঃ
9th Fiqh Medical Seminar, Morocco. (সারা বিশ্ব থেকে নামকরা আলেমগন ও মুসলিম চিকিৎসকগন মরক্কোর এই সেমিনারে সবাই একমত হয়ে এই ফতোয়া দেন)

14/01/2025

ভয় নয়, সচেতনতাই পারে আমাদেরকে HMPV virus থেকে রক্ষা করতে পারে।

10/11/2024

বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের প্রথম হার্ট এটাক হওয়ার বয়স সাধারণত ৫১/৫২ বছর। অথচ ইউরোপ-এমেরিকায় সাধারণত এটি ৬৫ বছরের আশাপাশে গিয়ে হয়।

হার্টের রোগীদের জন্য কিছু নিয়মাবলি -

১. সাধারণ মানুষ তো বটেই হার্টের রোগীরাও ডিম খেতে পারবে। কুসুমসহই খাবে। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন, কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট। দুটোই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী ও প্রয়োজনীয়। দিনে ১টি ডিম খাওয়া যেতেই পারে।

২. হার্টের রোগীরা দুধ খেতে পারবে। দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে উপরে জমা সরটুকু না খেয়ে শুধু দুধটুকু খাবে।

৩. হার্টের রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খাওয়া যাবে। তবে অল্প পরিমাণে খেতে বলা হয়। ২-৩ টুকরো। চর্বির অংশটুকু ফেলে দিয়ে। ঝোল যতোটা সম্ভব কম খেতে হবে। অনেকে বলে থাকে, আমি মাংস খাই না, শুধু মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি খাই। এটা বরং আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ ফ্যাটগুলো ঝোলেই জমা হয়।

৪. হার্টের রোগীদের ভয়ঙ্কর শত্রু লবণ। যতোটা সম্ভব কম লবণ খেতে হবে। রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করতে হবে। পাতে আলাদা করে লবণ খাবার অভ্যেস পরিহার করতে হবে। যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে যেমন : চিপস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাঁচা লবণ, পাকা লবণ, ভাজা লবণ, টালা লবণ--সব লবণই ক্ষতিকর।

৫. চিনিকে বলা হয় হোয়াইট পয়জন। এটি যতো কম খাওয়া যাবে ততোই মঙ্গল। অতিরিক্ত ভাত খাবার প্রবণতা কমাতে হবে। এগুলো ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে।

৬। ধূমপান ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই। ধূমপান ছাড়ার দুই বছরের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।

৭. এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে।
-তার মানে হচ্ছে কেউ যদি ৩০ মিনিট করে হাঁটে, তবে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটতে হবে।
-১ দিন পরপর হাঁটলে ৫০ মিনিট করে হাঁটতে হবে।
-একসাথে টানা দুদিন বা ৪৮ ঘণ্টা হাঁটা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।
- একনাগাড়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট না হাঁটলে সাধারণত সেটাতে কোনো উপকার হয় না।

একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটা শুরু করার সাথে সাথেই খুব জোরে হাঁটা শুরু না করতে বলা হয়ে থাকে। কেউ যদি ৩০ মিনিট হাঁটে, তাহলে প্রথম ৫-৭ মিনিট ওয়ার্ম আপ করে নেবে, তারপরের ১৫-২০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটবে, আবার তারপরের ৫-৭ মিনিট ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে নিয়ে আসবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরকে এডজাস্ট হবার সময় না দিয়ে সাথেসাথেই হাঁটা শুরু করা যাবে না। এতে হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। সকালের চেয়ে বিকেল/সন্ধ্যায় হাঁটাকে অনেক গবেষণা বেশি উপকারী হিসেবে বিবেচনা করে।

৮. রাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা--এই সময়টুকুতে হার্ট এটাক ও স্ট্রোক হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

৯. বুকে তীব্র ব্যথা, কিংবা এমন বুকে চাপ যেন বুকের ওপর একটা পাথর বসে আছে, ব্যথা/চাপ কিছুতেই কমে না, ব্যথা ছড়িয়ে যাচ্ছে চোয়ালে, গলায়, বাহুতে, পিঠে, পেটের উপরিভাগে। প্রচণ্ড ঘাম দিচ্ছে শরীর। খুব বমি বমি ভাব।শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আগে বুকে ব্যথা উঠলে বিশ্রাম নিলে বা জিহবার নিচে স্প্রে দিলে কমে যেতো আজ কিছুতেই কমছে না। মনে হচ্ছে মারাই যাবে। এগুলো সবই হার্ট এটাকের লক্ষণ।

এমন লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম কাজটিই হবে, যতো দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গিয়ে একটি ইসিজি করা। এর-ওর সঙ্গে নানা পরামর্শ করে সময়ক্ষেপণ করা, মনে হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে এই ভেবে শুয়ে থাকা, এমনকি চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে গিয়েও সময় নষ্ট করা উচিত না। সরাসরি ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে।

১০. টাইম ইজ মাসেল। হার্ট এটাক হবার পর যতো সময় যায়, ততো হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। যতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততোই সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে এবং কম্পলিকেশান্সের সম্ভাবনা কমে। দেরি করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে অনেকক্ষেত্রেই ভালো চিকিৎসা অপশনের সুযোগ কমে আসে। যেমন: প্রাইমারি পিসিআই বা থ্রম্বোলাইটিক বারো ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলে সাধারণভাবে দেওয়া যায় না। সময়মতো আসতে পারলে সর্বাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে ক্যাথ ল্যাবে রোগীকে নিয়ে ব্লক থাকলে রিং স্থাপন করে ফেলা। বাংলাদেশের খুব কম হসপিটালেই এটি সম্ভব। সেক্ষেত্রে থ্রম্বোলাইটিকস-ই প্রধান চিকিৎসা হয়ে ওঠে। টেনেকটিপ্লেজ সেক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে রোগীর সামর্থ্য থাকলে। উন্নত বিশ্বে নানা কারণে স্ট্রেপটোকাইনেজ এখন আর ব্যবহৃত হয় না।

১০. হার্টের রোগ থেকে বাঁচতে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, ডিজলিপিডেমিয়া (অতিরিক্ত কোলেস্টেরল) ও ওবেসিটির যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে।

14/10/2024
কখন আপনি মনে করবেন যে আপনার নিকট কেউ Stroke করেছে????যদি নিচের এগুলোর মধ্যে কোনটা আপনার রোগীর ক্ষেত্রে থাকে, তখনি আপনাকে...
14/10/2024

কখন আপনি মনে করবেন যে আপনার নিকট কেউ Stroke করেছে????যদি নিচের এগুলোর মধ্যে কোনটা আপনার রোগীর ক্ষেত্রে থাকে, তখনি আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারন Ischaemic stroke এ যদি ৪.৫ ঘন্টার মধ্যে কোন রোগীকে Thrombolysis করা যায় তাহলে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে।
"তাই বলা যায়, Stroke করলে ভয় নয়, দ্রুত চিকিৎসায় Stroke ভালো হয়"

Angiogram এবং Angioplasty,  যা কিনা আমরা অনেকে রিং পরানো বুঝাই। রিং পরালে কতো লাগতে পারে এইসব সম্বলিত তথ্যাদি এইখানে আপন...
13/10/2024

Angiogram এবং Angioplasty, যা কিনা আমরা অনেকে রিং পরানো বুঝাই। রিং পরালে কতো লাগতে পারে এইসব সম্বলিত তথ্যাদি এইখানে আপনারা পাবেন

24/08/2024

নোয়াখালীর বেশীর ভাগ জায়গাতে পানি উঠছে, পানি এতোটাই বেশী যে কোন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে আসাটা অনেকটা অসম্ভব। এই অবস্থাতে যেকোন রকমের স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যেকোন সময়ে
01324-404017

10/07/2024

আমরা অনেকেই যষ্ঠিমধু অনেক পছন্দ করি। যা কিনা আমরা সর্দি, কাঁশির সময় অনেক বেশি ব্যাবহার করি। কিন্তু আপনি জানেন কি?
যষ্ঠিমধু খেলে কিন্তু আপনার প্রেশার বেড়ে যেতে পারে।

কারন যষ্ঠিমধু আমাদের শরীরের 11beta HSD নামে একটা এইজাইমকে কাজ করতে দেয় না। যার ফলে আপনার শরীরের Cortisol হরমোন Mineralocorticoid হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বেশী বেশী লবণ ধরে রেখে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা করতে পারে।

তাই যারা প্রেশারের রোগী তারা এই সর্দি, কাঁশির সময় যষ্ঠিমধু এড়িয়ে চলাই ভালো।

Dr. Tojbir uddin
MBBS, Fcps final part (Medicine)
Registrar, Department of Medicine,
BBMH

Address

Chatkhil, Noakhali
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Tojbir uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category