Hazam.com

Hazam.com Home Service's

29/08/2023

বসে অপেক্ষা করি
কবে হবে কাল ফুটবে সকাল!🙁🌺

আরও গল্প পড়তে ফলো দিন মূল পেইজে।
25/07/2023

আরও গল্প পড়তে ফলো দিন মূল পেইজে।

গল্পঃ মানিয়ে নেওয়া
লেখাঃ ইশরাত জাহান সুপ্তি

'আমার মনে হয় আমি এখনো বিয়ের জন্য প্রস্তুত হই নি।'

হবু বউয়ের মুখে এই কথা শুনে আমি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই।আমি আকাশ।প্রাইভেট কোম্পানির একটি ভালো পোস্ট এ জব করি। বাবা মার জোরাজুরিতে তাদের পছন্দ করা এই মেয়েকেই আমি দেখতে যাই।মেয়ের নাম নিতু।অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।মেয়েকে দেখার পর পছন্দ না হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাই নি।সম্মতি পাওয়ার পর আমার একমাত্র মা সময় নষ্ট না করে হাতের আংটি খানা খুলে মেয়ের হাতে পরিয়ে দেয়।আর ফিরে আসার সময় আমার বেস্টু ফাহাদ একটা এভারেস্ট জয় করা হাসি দিয়ে আমার হাতে মেয়ের ফোন নাম্বার গুঁজে দেয়।
আর সেই নাম্বার থেকেই এইমাত্র এই কথাটি ভেসে আসল।
ভ্যাবাচ্যাকা ভাবটা সামলিয়ে আমি বললাম,'মানে?'

মেয়েটি বলল,
'মানে হল আমি হয়তো এখনও বিয়ের জন্য তৈরি না।কারণ এখনও আমি মাছের লেজটা খাওয়া শিখি নি।কলেজ আর রান্নাঘর একসাথে সামলানো শিখি নি।এখনও সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মায়ের হাতের পরোটা মুখে দিয়ে কলেজের জন্য বেড়িয়ে পড়ি।বিয়ে করার আগে নিজেকে প্রথম শ্বশুরবাড়ির রাধুঁনী হিসেবে তৈরি তো করে নেই!
জানেন! এখনও রোজার মাসে সেহরির সময় ঘুম ঘুম চোখে ঢুলতে ঢুলতে সবার শেষে গিয়ে টেবিলে বসি। যেখানে বিয়ের পর সবার আগে উঠে সবার জন্য সব আমাকেই তৈরি করতে হবে।এখনো একটু শরীর খারাপ লাগলে সারাদিন বিছানায় পরে থেকে বাবা মার আদরের ছায়ায় জড়িয়ে থাকি।যেখানে শ্বশুরবাড়ি যতই যা হোক,প্রতিদিন দায়িত্বের চাকায় ঘুরতেই হবে।এখনও প্রতিরাতে মাথায় মায়ের হাতের তেল মালিশ ছাড়া ঘুমই আসে না।যেখানে বিয়ের পরে নিজেকে ভুলে শ্বশুর বাড়ির সবার মন বোঝে চলাটাই হতে হবে প্রধান ধর্ম।এখনও মুখে নকল হাসি আনাটাই শিখতে পারি নি।কিন্তু বিয়ের পর যে ভালো না থেকেও ভালো আছি বলাটা পারতেই হবে।বিয়ের আগে,নিজেকে প্রথমে খোটা শোনার জন্য প্রস্তুত তো করে নেই।এখনকার মত না আবার মুখ ফসকে কিছু বলে ফেলি।
হেঁটে চলা থেকে শুরু করে বেঁচে থাকাটাও যে বাবা মা শিখিয়ে দিল বিয়ের পর সেই বাবা মাই যে আমায় কিছুই শিখায় নি কথাটা শোনার জন্য আগে নিজেকে শক্ত তো বানাতে হবে নাকি?কারণ মুখ বুজে সব সহ্য করাটাই তো আদর্শ বউয়ের
গুণ।এখনই কি করে বিয়ে করি বলেন তো?
আমি তো এখনও নিজেকে ভুলতেই শিখলাম না।এখনও যে ছোটো ছোটো স্বপ্নে বিভোর বাবার রাজকুমারীটা আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে।আগে থেকে যদি প্রস্তুত না থাকি তবে যে দায়িত্বের ভারে যখন হঠাৎ করে আকাশ থেকে মাটিতে পরে যাব তখন নিজেকে সামলাবো কি করে বলেন?'

মেয়েটি খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথাগুলো বলল।কিন্তু আমি যেনো স্তব্ধ হয়ে গেলাম এতগুলো তেতো বাস্তবতা একসাথে শুনে।কি বলব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।শুধু মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বরে বেরোলো,
'বিয়ে মানে কি এই?'

মেয়েটি একটু হেসে জবাব দিল,
'হ্যাঁ,মেয়েদের জন্য এই।বিয়ের জন্য মেয়েদের প্রস্তুত হতে হয়,আত্মসম্মানকে পঙ্গু করে,ন্যায়-অন্যায়বোধকে অসাঢ় করে দিয়ে।আর এটা কিন্তু আমার কথা না বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কথা।'

আমার গলা দিয়ে আবারো কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বেরোলো,
'তাহলে এখন?'

মেয়েটি বলল,'এখন দেখি কি করা যায়!'

মেয়েটি সম্ভবত কিছুই করতে পারে নি।কারন আমার সাথে তার বিয়েটা হয়েই যায়।

আজ আমাদের একমাত্র মেয়ের জন্মদিন।দেখতে দেখতে আমাদের মামুনিটার তিন বছর হয়ে গেল।বাসায় একটি ছোটখাটো আয়োজন করা হয়েছে।তখন থেকে ঘড়ি টা খুঁজে যাচ্ছি কিন্তু পাচ্ছি না।তাই নিতু কে ডাকতে গিয়ে হঠাৎ থমকে যাই ভেতরের কথা শুনে।নিতুর এক খালাতো ভাবি তাকে সেই বিয়েতেই দেখে ছিলাম।অাজ মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিতু দাওয়াত দিয়েছে।সেই ভাবিই নিতুকে জিগ্যেস করছে,

'কিরে নিতু,শ্বশুর বাড়িতে ঠিকঠাক মত মানিয়ে নিতে পেরেছিস তো?'

নিতু হেসে জবাব দিল,
'জানি না ভাবি।মাছের লেজটা এখনও আমায় প্রতিদিন খেতে হয় না।মাঝে মাঝে সে খায় আবার মাঝে মাঝে আমি খাই।যখন আমি খাই তখন সে আমায় কাটা বেছে দেয়।যখনই সময় পায় আমাকে রান্নাঘরে সাহায্য করে।সেহরির সময় আমার সাথে সেও আগে উঠে।মাঝে মাঝে তো দেখি আমার উঠার আগেই সব রেডি।ইফতারের সময় কাজ গুলো আমার সাথে ভাগ করে নেয়।অফিস থেকে ফেরার পর তার হাতে শরবতের গ্লাস দিলে আমার হাত টা টেনে আমাকেও তার পাশে বসিয়ে অর্ধেক খাইয়ে দিয়ে বলে,'সারাদিন কাজ তো তুমিও করেছো তাহলে যত্ন শুধু আমার একার কেনো?আসো তোমার মাথায় তেল মালিশ করে দেই।'
জানো মাঝে মাঝে মাথার উকুনও মেরে দেয়।প্রতিদিন রাতে আমাদের গল্পের আসর বসে রান্নাঘরের বেসিনের সামনে,দুজনে মিলে বাসনপত্র ধোয়া মোছা করতে করতে।প্রথম প্রথম আমি বাঁধা দিতাম।কিন্তু সে কি বলত জানো,'বিয়েটা যেহেতু আমরা দুজনে করেছি আর সংসার টাও যেহেতু আমাদের দুজনের তাহলে দায়িত্বের ভারটা তুমি একা নিবে কেনো?যেখানে তোমার সব সুখের ভাগটা আমাকে দিয়েছো সেখানে তোমার কষ্টের ভাগ থেকে আমাকে বঞ্চিত কর না নিতু।নিজেকে যে বড্ড স্বার্থপর মনে হবে!'
আমাকে যদি এখানে কেউ কিছু বলে আমি চুপ করেই
থাকি।কারণ আমাকে কিছু বলতে হয় না সে জবাব দিয়েই সবাইকে চুপ করিয়ে দেয়।তার ভয়ে আমাকে কেউ কিছু আর বলেও না।আর যদি কখনো এতটুকুও শরীর অসুস্থ হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই।সারাদিন অফিস বাদ দিয়ে আমার পাশে বসে থাকবে।ওঁ একদিন আমায় কি বলে জানো?
'নিতু,আমার কাছ থেকে কখনো কোনো কিছুর জন্য তোমায় অনুমতি চাইতে হবে না।তোমার যখন যা ইচ্ছা তুমি করবে।যেখানে যেতে ইচ্ছা যাবে।শুধু কোথাও গেলে আমাকে একটু জানিয়ে দিও নাহলে যে দুশ্চিন্তা হবে।'
আমার মুখে কখনো নকল হাসি আনতে হয় নি।কারণ এখনও আমার মুখে সবসময় আসল হাসিই লেগে থাকে,আগের চেয়েও বেশি।সে আমার নিজেকে আরো বেশি চিনতে শিখিয়েছে।
আমার সব স্বপ্নগুলো খুব যত্ন করে সে পূরণ করেছে।
তাই তো বলি শ্বশুরবাড়ি মানিয়ে নেওয়া মানেটা কি সেটা আমি এখনো বুঝতে পারি নি।আমার স্বামী আমায় ভালোবাসা মানে কি সেটা বুঝিয়েছে,মানিয়ে নেওয়া মানে কি সেটা বোঝায় নি।'

নিতুর কথাগুলো শুনে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিলো
তাই তারাতারি রুমে চলে আসলাম।যেদিন আমাদের বিয়ে হলো সেদিন বিদায়ের সময় দেখেছিলাম একজন বাবাকে তার কলিজা অন্যের হাতে দিয়ে দিতে।একজন মেয়েকে তার চিরচেনা সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ অচেনায় পারি দিতে।কতটা কষ্টের সেই অশ্রু!কতটা কষ্টের সেই মুহূর্ত!
যদি কোনো ছেলে সেই মুহূর্তটাকে অনুভব করতে পারে,তবে কখনো তার স্ত্রীকে মানিয়ে নিতে দেবে না।ওর চোখের পানি খুব বিঁধে ছিল এই বুকে।সেদিন নিতুর চোখের চাহনি ছিল খুবই অসহায়।শুধুমাত্র আমার ভরসাতেই তো ও ওর সবকিছু ছেড়ে
এসেছে।যদি সেই ভরসাই না রাখতে পারলাম তবে নিজেকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দেই কি করে!
সেদিন মনে মনে ঠিক করেছিলাম,বাবার রাজকুমারী টাকে এই ছোট্ট বুকের রাণী বানাবোই।শুধুমাত্র একটি মেয়েকে বিয়ে করে তার উপর অধিকার ফলালেই স্বামী হওয়া যায় না। মেয়েটির অশ্রুকে আপন করে,তার মুখের হাসি ফোটানোরও দায়িত্ব নিতে হয়।সাথে তার সুখের পাশাপাশি দুঃখের ভাগটাও নিয়ে তবেই না স্বামী হওয়া যায়।আর অধিকার মানে শিকল নয়।
আমাদের স্ত্রীরা যেই কষ্ট সহ্য করে আমাদের অস্তিত্বকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসে,আমরা স্বামীরা তার পরিবর্তে পুরো পৃথিবীটাকে তাদের পায়ে এনে দিলেও তো তা কম হয়ে যায়!
আর সেখানে এই পাগলী মেয়েগুলো এতটুকুতেই নাকি স্বর্গসুখ পায়!

একটু পরেই নিতু রুমে এসে হাসতে হাসতে বলল,দেখোনা সবাই নিচে কি বলছে,মেয়ে নাকি দেখতে দেখতে কিভাবে বড় হয়ে যাবে তা নাকি বুঝতেও পারব না।তাই এখনই শ্বাশুড়ি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে।কিন্তু আমি তো এখনও বিয়ের জন্যই প্রস্তুত হতে পারলাম না।'
আমি ওর নাক টেনে ভ্রু কুঁচকে বললাম,'মানে?'
নিতু বলল,'মানে আবার কি?সবসময় শুনে আসা বিয়ের পরের মানিয়ে নেওয়ার কিছুই তো হল না।তাই তো বিয়ের আগে কি শিখবো,বিয়ের পরেও মানিয়ে নেওয়া শিখতে পারলাম না।
আচ্ছা আমাদের মেয়েটা বিয়ের পরে কি করবে?'

আমি ওকে হাত দিয়ে আগলে কাছে টেনে বললাম,
'কি আবার!তোমার মতো মানিয়ে নিবে।'

নিতু আমার বুকে মাথা রেখে ঠোঁটে গভীর প্রশান্তির হাসি ফুটিয়ে বলল,হ্যাঁ!মানিয়ে নেবে,না চাইতেই পাওয়া অপরিসীম ভালোবাসায়।'

সমাপ্ত

24/07/2023

★★
এডমিন প্যানেল কে বলছি এই পেইজে আপনারা কেউ,
আমি না বলা পর্যন্ত কিছু পোষ্ট করবেন না, ধন্যবাদ।

- শুকুর মিয়া

পার্থেনিয়াম - 'The Silent Killer'        'পার্থেনিয়াম' সূর্যমুখী উপজাতির উদ্ভিদ যার জন্ম মেক্সিকোতে কিন্তু বর্তমানে বা...
24/07/2023

পার্থেনিয়াম - 'The Silent Killer'

'পার্থেনিয়াম' সূর্যমুখী উপজাতির উদ্ভিদ যার জন্ম মেক্সিকোতে কিন্তু বর্তমানে বাংলা তথা সারা ভারতের সর্বত্র ভয়ঙ্কর বিপদজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্থেনিয়াম গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ দেয়। পার্থেনিয়ামের একটি গাছ ৪ থেকে ২৫ হাজার বীজের জন্ম দিতে পারে। এই বীজ এতই ছোট যে সাধারণত গবাদি পশুর গোবর, গাড়ির চাকার বা জুতা-স্যান্ডেলের তলার কাদামাটি, সেচের জল ও বাতাসের সঙ্গে এর বিস্তার ঘটে।

পার্থেনিয়ামে রয়েছে Sesquiterpene Lactones নামক টক্সিন বা বিষ যা মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর। পার্থেনিয়াম আগাছা ফসলি জমিতে থাকলে ফসলের উৎপাদন প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমিয়ে দেয়। পার্থেনিয়াম আগাছাযুক্ত মাঠে গবাদি পশু চরানো হলে পশুর শরীর ফুলে যায়, তীব্র জ্বর, বদহজমসহ নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। পার্থেনিয়াম মানুষের হাতে-পায়ে লাগলে হাত-পা চুলকায়, লাল হয়ে যায় এবং পরে ত্বকের ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘনঘন জ্বর, অসহ্য মাথাব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে। ১০ মিটার দূর থেকে পার্থেনিয়ামের ফুলের রেণু মানুষের এলার্জি, হাঁপানি, চর্মরোগ, ব্রঙ্কাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। এই আগাছা ৭০ শতাংশ মানুষের চর্মরোগ, ৩০ শতাংশ মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ভারতের পুনেতে পার্থেনিয়ামজনিত বিষক্রিয়ায় এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন।

পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংস করার উপায় :

পার্থেনিয়াম গাছের গায়ে কেরোসিন স্প্রে করলে পার্থেনিয়াম খুব তাড়াতাড়ি মারা যায়। তবে এতে অনেক অসুবিধা আছে, যেমন- পদ্ধতিটি ব্যয়সাপেক্ষ, কেরোসিন জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে জল নষ্ট হবে।
তাই খুব কম খরচে এটি বিনাশ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ৪ থেকে ৫ লিটার জলে ১ কেজি নুন ভালো করে মিশিয়ে গাছের পাতায় ও গোড়াতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্প্রে করলে ২ দিনের মধ্যে পার্থেনিয়াম গাছ মারা যাবে।

সাবধানতা অবলম্বন :

১. পার্থেনিয়াম গাছে কোনো ভাবেই হাত দেবেন না এবং বাচ্চাদের দূরে রাখুন।

২. পার্থেনিয়াম সাফাই অভিযানে সবসময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে থাকবেন। এছাড়া ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট পরে থাকা ভালো।

৩. সাফাইয়ের পর জামাকাপড় ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন ও নিজে স্নান করে বাড়িতে ঢুকবেন।

আমাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়েই পার্থেনিয়াম এত দ্রুত বংশবিস্তার করছে। তাই সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা নিজেদের চারপাশ পার্থেনিয়াম মুক্ত রাখুন, এই বিষয়ে সচেতনতা ছড়ান ও নিজেরা সুস্থ থাকুন।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া

বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ ...
22/07/2023

বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা ’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল।

আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছাড়া ভালই দেখাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের নন্দিনীর মত’ নববধূ কাঁদ কাঁদ স্বরে বললে ‘প্যারা কে?’ আমি মুচকি হেসে বললাম ‘একটু আগে না তুমি বললে তোমার নাম প্যারা’ নববধূ এবার কেঁদেই দিবে। বলল ‘ইরা বলেছি ইরা। প্যারা না। আর আপনি কানে কম শুনেন নাকি?’ আমি বললাম ‘প্যারা ম্যাম আপনার পেঁচার কণ্ঠে একটা গান শুনান তো’ নববধূ শুধু পারছেনা আমাকে গলা টিপে ধরতে। বলল ‘পেঁচার কণ্ঠে গান শুনতে হবে কেন? আর আমি গান-টান পারিনা’ আমি খাটে বসলাম।

বসে বললাম ‘তো পারটা কি?’ নববধূ দাঁত ক্যালিয়ে বলল ‘আমি কলেজে বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। বেশ মারতে পারি মানুষকে দেখবেন?’ পাশের টেবিলের ভিতরে মশারি ছিল। আমি মশারি নিয়ে ইরার হাতে দিয়ে বললাম ‘মশারি টানাও ঘুমাব।’ ইরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল ‘সারা বাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজলেও মনে হয়না একটা মশা পাওয়া যাবে। আর আপনি মশারি টানাতে বলছেন। আপনার মাথায় যে সমস্যা আছে তা আগে জানতাম না। এতই যদি শখ থাকে তাহলে নিজে টানিয়ে ঘুমান।’ আমি বললাম ‘মশারি টানালেই হবেনা। আমার শরীর কেমন জানি করছে। হাত-পা টিপে দিতে হবে। তারপর কোলে নিয়ে ঘুমাতে হবে’ নববধূ স্বর করে বলল ‘আন্ডায় নিয়ে ঘুমাতে হবে হুহ। মগেরমুলুক নাকি যে যা বলবেন তাই করব?’ আমি মশারিটা টেবিলে রাখলাম।

রেখে বললাম ‘আরে বোকা মেয়ে বলে কি? স্বামীর সেবা ব্যাতীত জান্নাতে যাওয়া অসম্ভব। তুমি কি জান্নাতে যেতে চাওনা? আস আস তাড়াতাড়ি মশারি টানিয়ে আমার হাত-পা টিপে দাও।’ নববধূ আঙুল তুলে বলল ‘ওরে বাবা ভাল হাদিস শুনাতে পারেন তো আপনি। তো বাসর রাতে স্ত্রীদের অত্যাচার করা কোন হাদিসে আছে শুনি?’ আমি বললাম ‘মাফও চাই দোয়াও চাই। আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। মশারি আমিই টানিয়ে দিচ্ছি আপনি ঘুমান।’ বলে মশারি টানিয়ে দিলাম। একটা বালিশ নিয়ে ফ্লোরে রাখলাম। আমার ফোন, আমার হ্যাডফোন। রাত বাজে বারোটা। আমি হাত-পা ছেড়ে শুয়ে আছি। নববধূ শুয়ে পড়ল। কি মেয়েরে বাবা। আমার প্রতি একটু মায়াও হলনা।

একটু পর নববধূ উঠে বসল। রুমের লাইট জ্বালিয়ে বলল ‘উপরে আসেন’ আমি বললাম ‘আমার খাটে শোতে এলার্জি আছে আমি খাটে শোতে পারিনা’ নববধূ ঝাড়ি দিয়ে বলল ‘ঢঙ করবেন না। উপরে আসতে বলেছি উপরে আসেন।’ আমি বললাম ‘না গেলে উপরে কি করবেন?’ নববধূ রেগে বলল ‘তাহলে আর কি আপনার বাড়িতে আপনি খাটে ঘুমাবেন আমি ফ্লোরে।’ আমি বললাম ‘এখন আর আমার বাড়ি নেই। আমাদের বাড়ি।’ নববধূ বলল ‘এত বুঝেন আবার ঢঙ করে নিচে শুয়ে আছেন কেন?’ যা বাবা কথাতেও পটু। আদরের ফোনটা রেখে মশারির ভিতরে গিয়ে শুয়ে পরলাম। আমার কিরকম জানি ভয় হচ্ছে। বিয়ের প্রথম রাতেই এতটা করা ঠিক হয়নি বুঝতে পারলাম। এরকম বাসর রাত কয়জনের কপালেই বা থাকে।

ওমা একটু পর নববধূ আমার পায়ের কাছে! আমার পা টিপছে! আমি পা টেনে বললাম ‘এই মেয়ে কর কি?’ নববধূ বলল ‘কেন আপনার সেবা করছি।’ আমি বললাম ‘অনেক সেবা করছ আর করতে হবেনা। রাত তো আর কম হলনা এবার ঘুমাও শান্তিমতে। সারাদিন তো মানুষের চিল্লাচিল্লিতেই ছিলে’ নববধূ বলল ‘তাহলে কি এবার ঘুমাতে পারি স্যার?’ আমি বললাম ‘হুম আর হাত-পা টিপে দিতে পারনি বলে কি হয়েছে কোলে নিয়ে তো ঘুমাতে পার।’ নববধূ শুয়ে বলল ‘আপনার মুখে কিছুই বাধেনা না? এরকম পাগল আপনি। তার উপর আপনি যা মটু আল্লাহ।’ আমি বললাম ‘সেটাও তো ঠিক’ মাঝারাতে ঘুমালে সেই রকমের ঘুম হয়। কিন্তু সকালে উঠে দেখি আমার বুকে ইরা! কোলে করেই ঘুমিয়েছে! আমি বললাম ‘কি ব্যাপার এত মটু ছেলেকে কোলে নিলে যে?’ ইরা বলল ‘সমস্যা কি? আমারই তো বর।

বদলে গেছো দুঃখ নেইকতোটা বদলে গেছো জানার ইচ্ছে নেইআরো কতোটা বদলাবে তারও ধারনা নেইশুধু স্মরণে রেখো...অতীতকে কখনো ভুলতে নেই...
22/07/2023

বদলে গেছো দুঃখ নেই
কতোটা বদলে গেছো জানার ইচ্ছে নেই
আরো কতোটা বদলাবে তারও ধারনা নেই
শুধু স্মরণে রেখো...
অতীতকে কখনো ভুলতে নেই।

ভেবো না তোমার বদলে যাওয়া হবে আমার কষ্টের কারন
বদলে যাওয়া তো প্রকৃতিরই নিদর্ষন
বদলে যাওয়া মানেই আত্ম-উম্মচন
শুধু স্মরণে রেখো...
ভুলে যাওয়া মানে আত্ম-বিষর্জন।

বদলে যাও প্রকৃতির নিয়মে
যেমন ঘড়ির কাটায় বদলে যায় সময়
শুধু স্মরণে রেখো...
বদলে যাওয়া মানেই ভুলে যাওয়া নয়।

শান্তি কারোই নেইবিবাহিতরা ডিভোর্সের চিন্তায় ব্যস্ত, আর অবিবাহিতরাবিয়ের চিন্তায় মগ্ন, বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি বড় হওয়ার ...
21/07/2023

শান্তি কারোই নেই
বিবাহিতরা ডিভোর্সের চিন্তায় ব্যস্ত, আর অবিবাহিতরা
বিয়ের চিন্তায় মগ্ন, বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি বড় হওয়ার চিন্তা,

আর বড়দের শৈশবে ফিরে যাওয়ার আকুতি, চাকরিজীবীরা
কাজের চাপে চিন্তিত, আর বেকারদের চাকরি পাওয়ার চিন্তা,

গরিবদের বড়লোক হওয়ার চিন্তা, আর বড়লোক শান্তির খোঁজে ক্লান্ত, জনপ্রিয় ব্যক্তিরা লুকানোর ঠিকানা খোঁজে, আর সাধারণ জনপ্রিয় হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।

মাঝেমাঝে ভাবি দেয়ালের সাথে কথা বলা যায়না কেন? কিংবা বাতাসের সাথে?  মেঘটা বন্ধু হলে বেশ হত! কিছু কথা ওকে দিয়ে হালকা হতাম!...
21/07/2023

মাঝেমাঝে ভাবি দেয়ালের সাথে কথা বলা যায়না কেন? কিংবা বাতাসের সাথে? মেঘটা বন্ধু হলে বেশ হত! কিছু কথা ওকে দিয়ে হালকা হতাম! বিধাতা আমায় পাখি করে গড়লে না কেন? উড়ে উড়ে এই জমিয়ে রাখা কথা ফেরত দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী পাহাড়টা বুকে নিতাম! কিংবা বৃক্ষ করতে আমায়! ভীষণ আঘাত নিয়েও নীরব থাকা শিখে যেতাম! আচ্ছা, পাখিদেরও কি মাঝে মাঝে কথা বলতে ইচ্ছে করে? রাত্রি গভীর হলে বুকের ভেতর কথারা জ্যান্ত হয়ে এভাবেই ছটফট করে?

এই পৃথিবীতে এত কথা, এত শব্দ, এত ধ্বনি অথচ আমি কিনা একটা জীবন নিঃশব্দই কাটিয়ে দিলাম! শুধু একটা কথা বলা মানুষের অভাবে!

- মেঘলা তাসনিম

প্রিয় মানুষটা সামনেই।অথচ - ইচ্ছে হলেই তাকে ছোঁয়া যায় না। কেমন আছো পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করা যায় না। এরচে বি'চ্ছি'রি মুহুর্ত আ...
20/07/2023

প্রিয় মানুষটা সামনেই।
অথচ -
ইচ্ছে হলেই তাকে ছোঁয়া যায় না। কেমন আছো পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করা যায় না। এরচে বি'চ্ছি'রি মুহুর্ত আর কি হতে পারে?

_ নাবিলা তাসনিম

২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস। ২৬৬ বছর আগে এ দিনে পলাশীর আম বাগানে ইংরেজদের সঙ্গে এক যুদ্ধে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার...
23/06/2023

২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস।

২৬৬ বছর আগে এ দিনে পলাশীর আম বাগানে ইংরেজদের সঙ্গে এক যুদ্ধে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য। পরাজয়ের পর নবাবের বেদনাদায়ক মৃত্যু হলেও উপমহাদেশের মানুষ নবাবকে আজও শ্রদ্ধা জানায়। তার সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। ইতিহাসবিদ নিখিল নাথ রায়ের লেখা 'মুর্শিদাবাদ কাহিনী' থেকে জানা যায়, নবাবের সেনা বাহিনীর তুলনায় ইংরেজদের সেনা সংখ্যা ছিল অনেক কম। সেখানে বিশ্বাসঘাতকতা না হলে নবাবের বিজয় ছিল সুনিশ্চিত।

ষোল শতকের শেষের দিকে ওলন্দাজ, পর্তুগীজ ও ইংরেজদের প্রাচ্যে ব্যাপক বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। এক পর্যায়ে ইংরেজরা হয়ে যায় অগ্রগামী। এদিকে বাংলার সুবেদার-দিওয়ানরাও ইংরেজদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৭১৯ সালে মুর্শিদকুলী খাঁ বাংলার সুবেদার নিযুক্ত হন। তার মৃত্যুর পর ওই বছরই সুজাউদ্দিন খাঁ বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসন লাভ করেন। এই ধারাবাহিকতায় আলীবর্দী খাঁর পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজউদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে আসীন হন। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। তরুণ নবাবের সাথে ইংরেজদের বিভিন্ন কারণে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাজ সিংহাসনের জন্য লালায়িত ছিলেন সিরাজের পিতামহ আলীবর্দী খাঁর বিশ্বস্ত অনুচর মীর জাফর ও খালা ঘষেটি বেগম। ইংরেজদের সাথে তারা যোগাযোগ স্থাপন করে নবাবের বিরুদ্ধে নীলনকশা পাকাপোক্ত করে।

দিন যতই গড়াচ্ছিল এ ভূখন্ডের আকাশে ততই কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল কলকাতা পরিষদ নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করার পক্ষে প্রস্তাব পাস করে। এই প্রস্তাব কার্যকর করতে ইংরেজ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ রাজদরবারের অভিজাত সদস্য উমিচাঁদকে ‘এজেন্ট' নিযুক্ত করেন। এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের যে নায়ক মীর জাফর তা আঁচ করতে পেরে নবাব তাকে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে আব্দুল হাদীকে অভিষিক্ত করেন। কূটচালে পারদর্শী মীর জাফর পবিত্র কুরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করায় নবাবের মন গলে যায় এবং মীর জাফরকে প্রধান সেনাপতি পদে পুনর্বহাল করেন। সমসাময়িক ঐতিহাসিক বলেন, এই ভুল সিদ্ধান্তই নবাব সিরাজের জন্য ‘কাল' হয়ে দাঁড়ায়।

ইংরেজ কর্তৃক পূর্ণিয়ার শওকত জঙ্গকে সাহায্য করা, মীরজাফরের সিংহাসন লাভের বাসনা ও ইংরেজদের পুতুল নবাব বানানোর পরিকল্পনা, ঘষেটি বেগমের সাথে ইংরেজদের যোগাযোগ, নবাবের নিষেধ সত্ত্বেও ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার, কৃষ্ণ বল্লভকে কোর্ট উইলিয়ামে আশ্রয় দান প্রভৃতি কারণে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে সকাল সাড়ে ১০টায় ইংরেজ দের সাথে নবাবের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মীর মদন ও মোহন লালের বীরত্ব সত্ত্বেও জগৎশেঠ, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, ইয়ার লতিফ প্রমুখ কুচক্রী প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে নবাবের পরাজয় ঘটে। সেই সাথে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য পৌনে দু'শ বছরের জন্য অস্তমিত হয়।

ঐতিহাসিক মেলেসন পলাশীর প্রান্তরে সংঘর্ষকে ‘যুদ্ধ' বলতে নারাজ। তার মতে, ‘নবাবের পক্ষে ছিল ৫০ হাজার সৈন্য আর ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ৩ হাজার সৈন্য। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মীরজাফর, রায় দুর্লভ ও খাদেম হোসেনের অধীনে নবাব বাহিনীর একটি বিরাট অংশ পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত কোনো অংশগ্রহণই করেনি। এই কুচক্রীদের চক্রান্তে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিলো।' আরেক ঐতিহাসিক ড. রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘নবাব ষড়যন্ত্রকারীদের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর যদি মীর জাফরকে বন্দি করতেন, তবে অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারী ভয় পেয়ে যেতো এবং ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে পলাশীর যুদ্ধ হতো না।'

নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রায় লাখ সেনা নিয়ে ক্লাইভের স্বল্পসংখ্যক সেনার কাছে পরাজিত হন মীর জাফরের মোনাফেকীতে। অতি ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠরোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু আমাদের জন্য ট্রাজেডি এই যে, মীর জাফরেরা বার বার গোর থেকে উঠে আসে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচন্ড ক্ষমতালোভী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এ দেশকে ‘কলোনি' বানাবার স্বপ্নে বিভোর।

আল্লাহ যদি আমার আপনার ইবাদাত অনুপাতে রিযিক দিতেন, তবে–এই জগতে এক ঢোক পানিও আমার আপনার কপালে জুটত না! "তিনি অত্যন্ত দয়াময়...
10/06/2023

আল্লাহ যদি আমার আপনার ইবাদাত অনুপাতে রিযিক দিতেন, তবে–এই জগতে এক ঢোক পানিও আমার আপনার কপালে জুটত না!

"তিনি অত্যন্ত দয়াময় ও অসীম দয়ালু।"

যদি ফিরে পেতাম ছোট বেলাটা❤️😪মিনা কার্টুনের মিনারও আজ বিয়ে হয়ে গেছে সেও আজ ঘর-সংসার সামলাতে ব্যস্ত 😔• ডোরেমনের ব্যাটারি...
01/06/2023

যদি ফিরে পেতাম ছোট বেলাটা❤️😪

মিনা কার্টুনের মিনারও আজ বিয়ে হয়ে গেছে সেও আজ ঘর-সংসার সামলাতে ব্যস্ত 😔
• ডোরেমনের ব্যাটারি শেষ হওয়ার জন্য সে আজ অকেজো 🥹
• টম অ্যান্ড জেরির জেরি টাও আর আমাদের মাঝে নেই। আর টম ও এখন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছে।🥵
• মিস্টার বিন এখন ব্যস্ত হলিউড নিয়ে। 😒
• সিসিমপুরের ইকরি, সিকু, হালুম, টুকটুকিও আজ ভার্সিটিতে পড়ে।
• "ইত্যাদি" তেও আজ রসকস নেই।
• "Boost" কিনলে আজ ব্যাট ফ্রি দেয়না।
• চিপসের প্যাকেটের সাথেও আজ স্টিকার, খেলনা, সৈন্য ফ্রি দেয় না।
• নোকিয়া ফোনের সাপটাও আজ বুড়ো হতে হতে মৃত প্রায়। বাকি রইল কেবল ঈদ --• ঈদ আজকাল সবার জন্য হলেও ঈদের আনন্দ টা সবার মাঝে নেই।
• স্মৃতির পাতায় আজ ধূসর শৈশব
ছোটবেলায় ভাবতাম কবে বড় হবো। আজ বড়ো হয়ে ভাবছি,সেই ছোটবেলা টা যদি আরেকটি বার ফিরে পেতাম।🙂🍓

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hazam.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Hazam.com:

Share