Dr Arif’s ENT Solution

Dr Arif’s ENT Solution Dr Md Arifuzzaman
MBBS, FCPS (ENT), FACS
Assistant Professor,
Bangladesh Shishu Hospital & Institute.

My cute patient.. She is such an angel.👼
03/09/2024

My cute patient.. She is such an angel.👼

Another “Thank you” letter from my cute patient Fabiha. She underwent Adenotonsillectomy Operation 25 days back. I am bl...
10/06/2024

Another “Thank you” letter from my cute patient Fabiha. She underwent Adenotonsillectomy Operation 25 days back. I am blessed Alhamdulillah.

27/05/2024
কান পাকা রোগ ও এর সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতিকান পাকা রোগ আমাদের দেশে একটি সচরাচর বিরাজমান স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেই এই রোগটিকে খ...
14/11/2023

কান পাকা রোগ ও এর সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি

কান পাকা রোগ আমাদের দেশে একটি সচরাচর বিরাজমান স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেই এই রোগটিকে খুব সাধারণ মনে করে থাকেন এবং ঠিকমত চিকিৎসাও করান না। কিন্তু এই রোগের ঠিকমত চিকিৎসা না করালে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় রোগী মারাত্মক জটিলতা নিয়ে আমাদের কাছে এত দেরীতে আসে যে তখন সর্বপ্রকার চেষ্টা করেও রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব হয় না।

কানপাকা রোগ কি?

আমাদের কানের তিনটি অংশ আছে। যথা: বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ। মধ্যকর্ণের প্রদাহকেই আমরা সাধারনত কানপাকা রোগ বলে থাকি। কান দিয়ে পুঁজ পড়া ও কানে কম শোনা এ দুটি এই রোগের প্রধান উপসর্গ। কানপাকা রোগ দুই ধরণের হয়ে থাকে। একটি হল- সাধারণ বা নিরাপদ কানপাকা রোগ, যা সাধারণত কোনো মারাত্মক জটিলতা তৈরি করে না এবং এ ক্ষেত্রে সাধারণত দুর্গন্ধবিহীন, পাতলা পুঁজ কান থেকে বের হয়। অন্যটি হল, অনিরাপদ কান পাকা রোগ, যা জীবন হানিকর জটিলতা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে কানে দুর্গন্ধযুক্ত, ঘন পুঁজ কান থেকে বের হয় ও সেখানে সাধারণত কোলেস্টেটোমা উপস্থিত থাকে। কোলেস্টেটোমা এমন একটি জিনিস, যেটি কানের আশেপাশের হাড় এবং অন্যান্য নরম কোষকলাকে সহজেই ধ্বংস করে কানের প্রদাহ মস্তিষ্কের বাহিরে ও ভিতরে ছড়িয়ে দিতে পারে। ফলে অনিরাপদ কানপাকা রোগে মধ্যকর্ণের প্রদাহ ইহার অস্থি প্রাচীর ভেদ করে মধ্যকর্ণের সাথে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন- মস্তিষ্কের ঝিল্লী, মস্তিষ্ক, মস্তিষ্কের রক্তবাহী সাইনাস, ফেসিয়াল নার্ভ ও অন্তঃকর্ণ ইত্যাদিতে প্রদাহ সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে; যার পরিণতি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।

রোগ নির্ণয়:

কান পাকা রোগ শুধু রোগীর রোগ লক্ষণ, রোগীর কান পরীক্ষা ও প্রয়োজনে সামান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন কানের এক্সরে ইত্যাদি করেই নিণর্য় করা যায়। কান পরীক্ষা করলে সকল ক্ষেত্রেই কানের পর্দায় ছিদ্রের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়। অনিরাপদ কানপাকা রোগে কানের পর্দায় ছিদ্র ছাড়াও সাদা বলের মত কোলেস্টেটোমা দেখা যায়। অডিওমেট্রি পরীক্ষা করে রোগী কানের বধিরতার পরিমাপ করা হয়। কিন্তু রোগের মস্তিস্কের ভিতরের জটিলতা নির্ণয় করতে হলে উপরোক্ত রোগ লক্ষণের সাথে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান করতে হবে। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে রক্তের মধ্যে জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য রক্ত কালচার পরীক্ষাও করা লাগতে পারে।

চিকিৎসা:

সাধারণ বা নিরাপদ কানপাকা রোগে সাধারণ এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টামিন, কানে জীবাণুনাশক ড্রপ ব্যবহার করলেই অস্থায়ীভাবে কান থেকে পুঁজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছু উপদেশ, যেমন- কানে পানি না ঢোকানো, ডুব দিয়ে গোসল না করা, ময়লা কোন কিছু দিয়ে কান পরিষ্কার না করা ইত্যাদি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে কানের পর্দা জোড়া লেগে যেতে পারে। যদি তিন মাস অপেক্ষার পরেও কানের পর্দা জোড়া না লাগে, সেক্ষেত্রে আধুনিক অপারেশন করে কানের পর্দা জোড়া লাগানো হয়।

অনিরাপদ কানপাকা রোগে অবশ্যই অপারেশন করে কান থেকে রোগসমূহ পরিস্কার করতে হয়, যাতে উহা জটিলতা সমূহ তৈরি করতে না পারে। যদি কোনো রোগীর মস্তিস্কের বাইরে জটিলতা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হয় সেক্ষেত্রে রোগীকে এন্টিবায়োটিক দিতে হবে এবং রোগীর কানের আশেপাশে জমা পুঁজ বের করে দিতে হবে এবং প্রায় সাতদিন পর রোগীর কানে অপারেশন করে রোগ সমূহ পরিস্কার করে দিতে হবে। ফলে ভবিষ্যতে মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন জটিলতার সম্ভাবনা থাকবে না।

আর রোগীর মস্তিস্কের ভিতরে জটিলতা হলে রোগীকে প্রথম এন্টিবায়োটিক যেমন পেনিসিলিন, জেন্টামাইসিন অথবা সেফট্রিয়াক্সন ও সেই সাথে মেট্রোনিডাজল ইঞ্জেকশান দিতে হবে এবং নিউরোসার্জারীর চিকিৎসকগণের সহায়তা ও পরামর্শ নিয়ে রোগীর মস্তিষ্ক থেকে অপারেশন করে পুজ বের করে দিতে হবে। এর সাত থেকে দশদিন পর রোগীর কানে অপারেশন করে কানের কোনেস্টেটোমা সহ রোগসমূহ সম্পূর্ণরূপে পরিস্কার করে দিতে হবে।

কানপাকা রোগের জটিলতা সমূহঃ

এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারের পূর্বে এই রোগের মস্তিষ্কের আভ্যন্তরীণ জটিলতার জন্য প্রচুর রোগী অকালে মারা যেতো। কিন্তু এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর উন্নতবিশ্বে এর জটিলতা ও মৃত্যুর হার অনেক কমেছে, কিন্তু আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এখনো এই রোগের জটিলতার হার ও মৃত্যুর হার অনেক বেশী এবং জটিলতা বয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদেরই বেশী হয়। এই রোগজনিত জটিলতা ও মৃত্যুর হার যতই কমুক না কেন, এর জটিলতা জনিত মৃত্যুহার এখনো প্রায় শতকরা ১০ ভাগ। আমাদের দেশে এই রোগের বর্ধিত জটিলতার কারন গুলো হলো দারিদ্র, অপুষ্টি, জনসংখ্যা বিষ্ফোরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, অসম্পূর্ন অথবা ভুল চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব।

অনিরাপদ কান পাকা রোগের কারণে মস্তিষ্কের বাহিরে যে সমস্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে সেগুলি হল কানের পেছনে, সামনে ও উপরে পুঁজ জমে যাওয়া, অন্তঃকর্ণে প্রদাহ হওয়া এবং স্নায়ু অবশ হয়ে মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া। মস্তিষ্কের ভিতরে যে সমস্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে সেগুলি হল, মস্তিষ্কের ঝিল্লীতে প্রদাহ, মস্তিষ্কের প্রদাহ, মস্তিষ্কের ঝিল্লীর ভিতর এবং বাইরে পুঁজ জমা ও মস্তিষ্কের ভিতরের প্রেসার বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

উপরোক্ত জটিলতাগুলির মধ্যে মস্তিষ্কের ভেতরের জটিলতাগুলিই সবচেয়ে মারাত্মক ও জীবনের জন্য ঝুকিপূর্ণ। যে সমস্ত কারনে কান পাকা রোগের জটিলতার জন্য দায়ী সেগুলি হলো- প্রদাহের জীবাণুর আক্রমন ক্ষমতা, রোগীর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা, অপূর্ণ ও ভুল চিকিৎসা, এন্টিবায়োটিকের প্রতি জীবাণুর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, কোলেস্টেটোমার উপস্থিতি ইত্যাদি। কান পাকার জটিলতার লক্ষণগুলো হলো হঠাৎ কানে তীব্র ব্যথা, মাথা ব্যথা, জ্বর, বমি, খিচুনি, কানের পিছনে অথবা উপরিভাগে ফুলে যাওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ও মুখ বেকে যাওয়া ইত্যাদি।

প্রতিকার:

কান পাকার জটিলতা এড়াতে হলে কানপাকা রোগীকে প্রাথমিক অবস্থায়ই নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিয়মিত ঔষধ সেবন ও ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া কিছু নির্দেশ সব সময়ই পালন করতে হবে যেমন- কানে পানি না ঢোকানো, ডুব দিয়ে গোসল না করা, ময়লা কোন কিছু দিয়ে কান পরিষ্কার না করা। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কানের চিকিৎসক দেখানো উচিৎ। মনে রাখতে হবে জটিলতার চিকিৎসা করা থেকে জটিলতা হতে না দেয়া উত্তম।
(সংগৃহিত)

ডা: মো: আরিফুজ্জামান
এমবিবিএস, এফসিপিএস(ইএনটি), এফএসিএস (ইউএসএ),
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট, কানের মাইক্রোস্কপিক ও সাইনাস সার্জারীতে
উচ্চতর প্রশিক্ষন, কেকেআর, চেন্নাই।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি),
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
০১৭১৭০৭৮৪৯৬
চেম্বার :
১. ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিকস,মালিবাগ,ঢাকা। (রুম নং ২০৬ বিকাল ৫টা- সন্ধ্যা ৭টা)
২. এএমজেড হাসপাতাল, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা। (রুম নং ১৫০৭ সন্ধ্যা ৭.৩০- ৯টা)
৩. মা ও শিশু হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক কম্পলেক্স, মাইজদী, নোয়াখালী। (রুম নং ৪০১, শুক্রবার সকাল ১০- বিকাল ৫টা)

শীতকালে টনসিল এর প্রদাহ একটি জটিল সমস্যা।  অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন।  টনসিলাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে বে...
30/10/2023

শীতকালে টনসিল এর প্রদাহ একটি জটিল সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। টনসিলাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে যে একেবারেই হয় না, তা কিন্তু নয়।

টনসিল এক ধরনের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এতে কোনো ধরনের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। মানবদেহে গলার ভেতরে দুপাশে একজোড়া প্যালাটিন টনসিল থাকে, টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর ইনফেকশনকেই বুঝে থাকি।

টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায় :

টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয়ই দায়ী। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। এ ইনফেকশনের অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বারবার ঠান্ডা সর্দি লাগা, পুষ্টিহীনতা, পরিবেশ দূষণ, দেহে অপর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা; অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়ে আসক্তি ও আবহাওয়ার পরিবর্তন।
লক্ষণ
* টনসিলে গলাব্যথা এবং সঙ্গে খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে এবং শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকে।
* এ ক্ষেত্রে গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। সঙ্গে খাবার গ্রহণে অরুচি এবং বমির ভাব থাকতে পারে।
* গলার সঙ্গে কানের সম্পর্ক রয়েছে। তাই টনসিলের ইনফেকশনে কানে ব্যথা থাকবে এবং গায়ে ব্যথা হতে পারে।
* শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়।
* অনেক সময় মারাত্মক ইনফেকশনে মুখ খুলতে অসুবিধা হতে পারে।
এরকম সমস্যাকে তীব্র ইনফেকশন বা একিউট টলসিলাইটিস বলা হয়। চিকিৎসকের দেওয়া উপদেশ মেনে চললে এবং সঠিক সময়ে নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে টনসিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সাধারণত এন্টিবায়োটিক, মাউথওয়াশ, ব্যথার ওষুধ, এন্টিহিস্টামিন ও প্রচুর পরিমাণে পানি পানের উপদেশের মাধ্যমে টনসিলের ইনফেকশনের চিকিৎসা করা হয়। তবে কেউ যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ না করে এবং চিকিৎসকের উপদেশ মেনে না চলে তবে বারবার দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হয়ে থাকে, যাকে Chronic tonsillitis বলা হয়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে Chronic tonsillitis-কে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, তবে এই দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন যদি বছরে চার-পাঁচবার করে পরপর দুই বছর হয়, তবে অসুস্থ টনসিল
অপারেশন করিয়ে নেওয়াই শ্রেয় এবং স্থায়ী সমাধান।

দীর্ঘমেয়াদি টনসিলের ইনফেকশন থাকলে অপারেশন না করালে নিন্মুক্ত সমস্যা হতে পারে

* টনসিলের ইনফেকশন চারপাশে ছড়িয়ে টনসিলে পুঁজ জমে ফোড়া হতে পারে।

* টনসিল বড় হয়ে শ্বাস নেওয়ার পথ বন্ধ করে দিলে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এ ছাড়া বড় টনসিলের কারণে খাবার গিলতে গেলে কষ্ট হতে পারে।

* ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা থেকে কানে ইনফেকশন হতে পারে।

* রক্তের মাধ্যমে টনসিলের জীবাণু কিডনিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

* বয়স্কদের ক্ষেত্রে একদিকের টনসিল বড় থাকলে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ থাকলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তাই এ ধরনের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধের মাধ্যমে যদি সমাধান না হয়, তবে টনসিল অস্ত্রোপচার করানো ভালো এবং নিরাপদ। আমাদের দেশে প্রতিদিন নিয়মিত টনসিলের অস্ত্রোপচার হচ্ছে।

কখন টনসিলের অপারেশন করা যাবে না :

* টনসিলে তীব্র ইনফেকশন থাকলে অর্থাৎ জ্বর বা ব্যথা থাকা অবস্থায় অপারেশন করা যাবে না।

* তিন বছরের কম শিশুদের।

* এছাড়াও কারও রক্তে হিমেগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকলে/রক্তশূন্যতা থাকলে।

* হিমোফিলিয়া নামক রক্তরোগের ইতিহাস থাকলে।

* নারীদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায়।

আশার কথা, তীব্র ইনফেকশন প্রথমে হলে সে ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভালো ওষুধ সেবন, উপদেশমতো ঠান্ডা এড়িয়ে চললে, কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করলে এবং আদা-লেবু রং চা পান করলে অপারেশনের টেবিলে যাওয়া থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
(সংগৃহিত)

ডা: মো: আরিফুজ্জামান
এমবিবিএস, এফসিপিএস(ইএনটি), এফএসিএস (ইউএসএ),
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট, কানের মাইক্রোস্কপিক ও সাইনাস সার্জারীতে
উচ্চতর প্রশিক্ষন, কেকেআর, চেন্নাই।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি),
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
০১৭১৭০৭৮৪৯৬
চেম্বার :
১. ল্যাব এইড, মালিবাগ। (রুম নং ২০৬, বিকাল ৫টা- সন্ধ্যা ৭টা)
২. এএমজেড হাসপাতাল, উত্তর বাড্ডা। (রুম নং ১৫০৭, সন্ধ্যা ৭.৩০- ৯টা)
৩. মা ও শিশু হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, মাইজদী, নোয়াখালী (রুম নং ৪০১, প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা - সন্ধ্যা ৬টা)

এডিনয়েড কী, এর লক্ষণ ও চিকিৎসা:শীতকালে শিশুদের শর্দিজনিত নানা রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে গলা ও কানের সমস্যা বেড়ে যায় এই সময়...
05/10/2023

এডিনয়েড কী, এর লক্ষণ ও চিকিৎসা:
শীতকালে শিশুদের শর্দিজনিত নানা রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে গলা ও কানের সমস্যা বেড়ে যায় এই সময়ে।
যাদের ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে তাদের শিশুর নাকের পেছনে মাংস বেড়ে যেতে পারে। এমনটি হলে শিশুদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, নাক দিয়ে না নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। শব্দ করে শ্বাস নেয় এমনকি ঘুমের মধ্যে কখনও হঠাৎ দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, ঘনঘন সর্দি লাগার কারণে নাকের পেছনে এডিনয়েড নামক লসিকাগ্রন্থি বড় হয়ে যায়।

এডিনয়েড গ্রন্থি কী
নাকের পেছনে এডিনয়েড গ্রন্থি থাকে। এটি গঠনগত দিক থেকে টনসিলের মতো। এডিনয়েড বাইরে থেকে দেখা যায় না। কারণ আমাদের তালুর ওপরে এডিনয়েড থাকে। কাজেই এটা খালি চোখে দেখার কোনো উপায় নেই।
এডিনয়েড দেখতে হলে এক্স-রে করতে হবে বা বিশেষ ধরনের অ্যান্ড্রোস্কোপ (Nasoendoscope) আছে, সেগুলো দিয়ে দেখা যেতে পারে।

শিশুর ঘনঘন ঠান্ডা লাগার কারণে নাকের পেছনে এডিনয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যায়। যার কারণে নাকের মাংস বাড়ে।
এডিনয়েড গ্রন্থি বড় হলে যেসব সমস্যা হয়

১. শিশু মুখ হাঁ করে ঘুমায়। রাতে ঘুমের মধ্যে শব্দ হয় বা নাক ডাকে। এ সমস্যা বেশিমাত্রায় হলে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসতে পারে। যাকে চকিং বলে। ঘুমের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য দম বন্ধ থাকতে পারে। যাকে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া বলে।
২. শিশু ঘনঘন সর্দি-কাশিতে ভোগে। একবার সদি-কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না।
৩. সর্দি গলার পেছন থেকে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানে চলে যায়। ফলে কানে ঘনঘন ব্যথা, কানে ইনফেকশন, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া, কানের ভেতর পানি জমা, কানে কম শোনা বা গ্লুইয়ার সমস্যা হতে পারে।
৪. এডিনয়েডের কারণে ঘনঘন গলার ইনফেকশন, খুসখুসে কাশি, গলার স্বর বসে যাওয়া হতে পারে।
৫. শরীরের ভেতর অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য ঘুম ঘুম ভাব, পড়ালেখা ও স্কুলে অমনোযোগী হওয়া, বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। রাতে বিছানায় প্রস্রাবও করতে পারে।
এসব উপসর্গ দেখলে বুঝবেন শিশু এডিনয়েডের সমস্যায় ভুগছে।

এডিনয়েডের সঙ্গে কানের সম্পর্ক
কানের সঙ্গে উর্ধ্বশ্বাসনালীর সংযোগ রক্ষাকারী পথটিকে বলা হয় ইউস্টেসিয়ান টিউব। এর পাশেই থাকে এডিনয়েড। তাই এডিনয়েড বড় হলে ইউস্টেসিয়ান টিউবের পথটি রুদ্ধ হয়ে পড়তে পারে। ফলে মধ্যকর্ণে শ্লেষ্মা আবদ্ধ অবস্থায় জমে যেতে পারে, কানে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থাভেদে শিশু কানে কম শুনতে পারে। এডিনয়েড বড় হয়ে যাওয়ার কারণে শিশুর নাক বন্ধ থাকে। ফলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়।
এই মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার কারণে শিশুর খাবার গ্রহণে বিলম্ব কিংবা অসুবিধা হয়। এছাড়া শিশুর মুখের কোনা দিয়ে লালা পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকলে শিশুর উপরের পাটির সামনের দাঁত উঁচু হয়ে যায়, মাড়ি নরম হয়ে পড়ে, নাক চেপে যায়, সর্বোপরি চেহারায় একটা হাবাগোবা ভাব চলে আসে। সামগ্রিকভাবে এই উপসর্গসমূহের কারণে শিশুর চেহারায় যে পরিবর্তন সূচিত হয় তাকে বলা হয় ‘এডিনয়েড ফেসিস’।

চিকিৎসা
বাচ্চাদের এ সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এমন হলে বয়সভেদে এন্টি-হিস্টামিন, মন্টিলুকাস্ট, নাকের স্প্রে/ড্রপ এবং প্রয়োজনবোধে এন্টিবায়োটিক দিয়ে মেডিকেল চিকিৎসা করা হয়। সঙ্গে কানে শোনার পরীক্ষাও করে নিতে হয়।
কখন অস্ত্রোপচার করাবেন
অনেক সময় শিশুর বয়স ১২-১৪ বছর হলেও এডিনয়েড স্বাভাবিক হয় না। ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় না হলে শিশুর কষ্ট দীর্ঘতর হলে বিভিন্ন পরীক্ষার পর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে অপারেশনের মাধ্যমে এডিনয়েড ফেলে দিতে হয়, যা একটি নিরাপদ সার্জারি ।
টনসিলেকটমির মতোই এডিনয়েডেকটমিও একই প্রকৃতির অপারেশন। এ অপারেশনে চিকিৎসক নাসাপথের পেছনে থাকা এডিনয়েডটি কেটে বাদ দিয়ে দেন। ঘনঘন এডিনয়েডের সমস্যায় চিকিৎসক এ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এডিনয়েড যেহেতু পরবর্তীকালে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তাই এই অঙ্গ বাদ দিলে শিশুর কোনো সমস্যা হয় না।
১. যদি নাক প্রায়ই বন্ধ থাকে এবং এক্স-রে করে তার প্রমাণ পাওয়া যায় তবেই অস্ত্রোপচার করাতে হবে
২. এডিনয়েড বড় হয়ে যাওয়ার কারণে যদি মধ্যকর্ণে ইনফেকশন হয় এবং মধ্যকর্ণে তরল পদার্থ জমে আটকে থাকে
৩. যদি বারবার মধ্যকর্ণের ইনফেকশন হয়
৪. ঘুমের মধ্যে যদি শিশুর দম বন্ধ (স্লিপ এপনিয়া) অবস্থা হয়
অস্ত্রোপচারের উপকারিতা
অস্ত্রোপচারের পর শিশু ক্রমশ সুস্থ হয়ে ওঠে, শিশুর নাক বন্ধ অবস্থার উন্নতি হয়। এ সময়ে শিশুকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।
অ্যালার্জি থাকলে অপারেশনের পর শিশুকে অ্যালার্জির জন্য দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ দিতে হবে। অপারেশনের দুই-তিন দিনের মধ্যেই শিশু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শিশু সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

অস্ত্রোপচার না করালে যে ঝুঁকি
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শিশুর নাক বন্ধ থাকার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ বিঘ্নিত হয়। ফলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ কম হয়। এছাড়া শিশু ক্রমাগতভাবে কম শোনার কারণে ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে পড়ে, পড়াশোনায় খারাপ করে এবং শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়।
একপর্যায়ে শিশুর মধ্যকর্ণের ইনফেকশন জটিল হয়ে কানের পর্দা ফুটো করে দেয় এবং শিশু কানপাকা রোগের নিয়মিত রোগী হয়ে যায় অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী কানপাকা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
(সংগৃহিত)

ডা: মো: আরিফুজ্জামান
এমবিবিএস, এফসিপিএস(ইএনটি), এফএসিএস (ইউএসএ),
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট, কানের মাইক্রোস্কপিক ও সাইনাস সার্জারীতে
উচ্চতর প্রশিক্ষন, কেকেআর, চেন্নাই।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি),
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
০১৭১৭০৭৮৪৯৬
চেম্বার :
১. ল্যাব এইড, মালিবাগ। (রুম নং ২০৬, বিকাল ৫টা- সন্ধ্যা ৭টা)
২. এএমজেড হাসপাতাল, উত্তর বাড্ডা। (রুম নং ১৫০৭, সন্ধ্যা ৭.৩০- ৯টা)

গতকাল রাত এ চেম্বার থেকে বের হচ্ছি ঠিক তখনি এই ছোট্ট পরীটা চেম্বার এসে হাজির বাবা-মা এর সাথে। খেলতে গিয়ে মায়ের নুপুর থেক...
21/09/2023

গতকাল রাত এ চেম্বার থেকে বের হচ্ছি ঠিক তখনি এই ছোট্ট পরীটা চেম্বার এসে হাজির বাবা-মা এর সাথে। খেলতে গিয়ে মায়ের নুপুর থেকে ছোট্ট একটি ঝুমকা ভুলে নাকে ঢুকিয়ে ফেলেছে। এক্সরে তে দেখা যাচ্ছে কিন্তু নাকে হেডলাইট দিয়ে দেখলাম কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরীটা ভয় পেয়ে কান্না শুরু করে দিলো।
যাইহোক অবশেষে বের করে দিলাম ঝুমকা। পরীটাও খুশিমনে বিদায় জানালো আমাকে।
তবে সে কথা দিয়েছে এরকম ভুল আর কখনো করবে না।

বি.দ্র. : ছবি পরী এবং তার বাবার অনুমতি নিয়ে তুলা হয়েছে এবং পোস্টে ব্যবহার করা হয়েছে।

“ Anotia “ -  এনোশিয়াজন্মগত কানের ত্রুটি। গর্ভাবস্থায় ৫ম সপ্তাহের সময় যখন কান ভিন্ন ভিন্ন তরুনাস্থি থেকে তৈরী হয়, তখন জি...
18/09/2023

“ Anotia “ - এনোশিয়া
জন্মগত কানের ত্রুটি। গর্ভাবস্থায় ৫ম সপ্তাহের সময় যখন কান ভিন্ন ভিন্ন তরুনাস্থি থেকে তৈরী হয়, তখন জিনগত ত্রুটির কারনে সম্পুর্ন কান তৈরী না হলে জন্মের পর ছবির শিশুটির ন্যায় কান না থাকা রোগটি প্রকাশ্যে আসে।

এটির কারনে শিশুটির আক্রান্ত কানে না শোনা এবং সামাজিকভাবে বঞ্চনার শিকার হতে হয়। কানের যে ছিদ্র দিয়ে শব্দ প্রবেশ করে সেটিও থাকে না।

চিকিৎসা হচ্ছে বুকের পাজরের তরুনাস্থি থেকে নতুন কানের আকৃতি তৈরী করে দেয়া এবং বাহা নামে এক ধরনের কান এ শোনার যন্ত্র ব্যবহার করে শিশুটিকে শোনার ব্যবস্থা করে দেয়া।

আপনার অথবা আপনার আশেপাশের কোন শিশুর এই ধরনের সমস্যা থাকলে দ্রুত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট, শ্যামলীতে নাক,নাক,গলা বিভাগে আমার কাছে পরামর্শ নিতে পাঠাতে পারেন।

ডা: মো: আরিফুজ্জামান
এমবিবিএস, এফসিপিএস(ইএনটি), এফএসিএস (ইউএসএ),
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট, কানের মাইক্রোস্কপিক ও সাইনাস সার্জারীতে
উচ্চতর প্রশিক্ষন, কেকেআর, চেন্নাই।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি),
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
০১৭১৭০৭৮৪৯৬

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 17:00 - 19:00
19:30 - 21:30
Tuesday 05:00 - 19:00
19:30 - 21:30
Wednesday 17:00 - 19:00
19:30 - 21:30
Thursday 17:00 - 19:00
19:30 - 21:30
Friday 10:00 - 18:00
18:30 - 20:30
Saturday 17:00 - 19:00
19:30 - 21:30

Telephone

+8801717078496

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Arif’s ENT Solution posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Arif’s ENT Solution:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category