Tapus Munshi

Tapus Munshi Medical Tourism Expert since 2019. Passionate about connecting international patients with top-tier healthcare services.

Dedicated to providing seamless and affordable medical travel experiences. Let's embark on a journey to better health together! I'm a medical tourism expert, helping patients access world-class healthcare since 2019. Passionate about connecting people with top medical professionals and facilities worldwide. Let's make your health journey smooth and successful!

23/07/2025

বরফের দেশে এক অলৌকিক নীল জাদু

সিকিমের উত্তর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে এক অদ্ভুত নীলাভ হ্রদ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৮০০ ফুট ওপরে, এই হ্রদ যেন আকাশকে ছুঁয়ে থাকে।
কিন্তু এর নীলজলে লুকিয়ে আছে শতাব্দীর পুরনো এক অলৌকিক গল্প।

লোককথায় শোনা যায়, ৮ম শতকে এখানে এসেছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু প্যাডমসম্ভবা।
গভীর তপস্যার পর তাঁর আশীর্বাদে হ্রদের একাংশ চিরকাল বরফমুক্ত হয়ে থাকে।
সেই থেকেই স্থানীয় বৌদ্ধরা এই হ্রদকে পবিত্র বলে মানে।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়, আরেকটি কিংবদন্তিও শোনা যায়।
১৫১৬ সালে সিকিমে এসেছিলেন শিখ ধর্মের প্রথম গুরু, গুরু নানক দেবজী।
তীব্র শীতে স্থানীয়রা পানীয় জলের জন্য কষ্ট পাচ্ছিল।
গুরু নানক তাঁর লাঠি দিয়ে হ্রদের বরফ স্পর্শ করেন।
এবং বিস্ময়করভাবে বরফ গলে যায়, সেই অংশের জল আজও জমে না।
শিখ সম্প্রদায় তাই এই হ্রদকে গুরু নানকের পবিত্র আশীর্বাদের প্রতীক মনে করে।

বৌদ্ধ ও শিখ, দুই ধর্মের কিংবদন্তি একসাথে বাঁচিয়ে রেখেছে এই হ্রদের মহিমা।
কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে গুরুদ্বারা নির্মাণ নিয়ে কিছু বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সিকিম সরকার পরে ঘোষণা করে যে হ্রদটি প্রাচীন বৌদ্ধ ঐতিহ্যেরও অংশ।
আজও দুই ধর্মের মানুষ এই হ্রদকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করে।

গুরুদংমার হ্রদ শুধু প্রকৃতির বিস্ময় নয়, এটি দুই ধর্মের মিলনের এক আধ্যাত্মিক প্রতীক।
বরফে ঢাকা পাহাড়ের মধ্যে এই নীলজল যেন চুপচাপ বলছে—
বিশ্বাসের গল্প কখনও সময়ের সঙ্গে হারায় না।

তথ্যসূত্র:
Sikkim Govt. – Ecclesiastical Affairs Department

Wikipedia – Gurudongmar Lake

Times of India – Gurudongmar Lake Legend

#গুরুদংমারহ্রদ #সিকিমভ্রমণ #পর্যটনগল্প

#গুরুদংমারহ্রদ #সিকিমভ্রমণ #পর্যটনগল্প #ভ্রমণকাহিনী #পর্যটনস্পট #ট্রাভেলস্টোরি #হিমালয়যাত্রা #পর্যটনভারত #ভ্রমণতৃষ্ণা #ট্রাভেলবাংলা

22/07/2025

১১টি পাহাড়ের কোলের আঁচলে লুকিয়ে আছে আমাদের ছোট্ট গ্রাম – পাস্টিং।
প্রকৃতি যেন এখানে নিজের সমস্ত রঙ, সৌন্দর্য আর শান্তি একসাথে উজাড় করে দিয়েছে। দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া ভুটান আর চায়নার পাহাড়, ঝর্ণার মিষ্টি সুর, আর পাহাড়ি নদীর কলকল ধ্বনি – কী নেই এই ছোট্ট স্বর্গে?

যখন সন্ধ্যা নামে, পাস্টিং বদলে যায় স্বপ্নে।
চারদিকে নেমে আসে এক অদ্ভুত নীরবতা, পাখিদের কিচিরমিচির, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর ভুটান-চায়নার গ্রামগুলোর মিটিমিটি আলো একসাথে মিলেমিশে আপনার হৃদয়ে জাগাবে এক অদ্ভুত প্রশান্তি।

পাস্টিং থেকে শুরু হতে পারে আপনার সিল্করুটের গল্প।
বাবা হরভজন সিং মন্দির, থাম্বি ভিউ পয়েন্ট, অথবা পুরো সিল্করুটের জাদুকরী দৃশ্য—সবকিছুই এখানে থেকে ঘুরে দেখা সম্ভব। আর চাইলে কাটিয়ে দিতে পারেন ২-৪ রাত নিজের মতো, প্রকৃতির কাছাকাছি, অফবিট গ্রামজীবনের স্বাদ নিয়ে।

এখানে মিলবে ৪ বেলার সাদাসিধে অথচ হৃদয় ছোঁয়া খাবার:

সকালের জলখাবার: রুটি-সবজি / লুচি-সবজি / ম্যাগি + চা

দুপুরের খাবার: ভাত, ডাল, ভাজি, ডিম/চিকেন কারি, স্যালাড

বিকেলের জলখাবার: ভেজ পকোড়া + চা

রাতের খাবার: রুটি/ভাত, সবজি, চিকেন কারি

তাহলে আর দেরি কেন?
যদি আপনার মনে হয় কিছু সময় কাটাতে চান এই পাহাড়ি নীরবতায়, তাহলে যোগাযোগ করুন—
📱 WhatsApp: 091637 46574
📞 Call: 9163746574
🌐 Website: tourkeytravels.com

#পাস্টিং #পাহাড়েরডাক #ভুটানচায়না_ভিউ #পাহাড়েবাড়ি #ভ্রমণেরডায়েরি #পাহাড়িপথ

06/07/2025
My Pahari Dost...☺️
05/07/2025

My Pahari Dost...☺️

এক নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরু ❤️— ভালোবাসা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্বর বন্ধনে আবদ্ধ দুটো প্রাণ। খুব ভালো থেকো, খুব সুখে থেকো। ...
13/06/2025

এক নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরু ❤️— ভালোবাসা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্বর বন্ধনে আবদ্ধ দুটো প্রাণ। খুব ভালো থেকো, খুব সুখে থেকো। 🌸✨

সংযোগো হি জীবনস্য সাধনং সুখদুঃখয়োঃ।
দম্পত্য়োঃ প্রেমবন্ধনং চিরায়ু ভবিষ্যাত্।। ❤️

11/06/2025

মৃত শহর - ২৬ এপ্রিল, ১৯৮৬, রাত ১:২৩
সে রাতে ওরা কেউ জানত না, শহরের সময়টা সেখানে থেমে যাবে... চিরতরে।

প্রিপিয়াত শহরে রাত গভীর। জানালার বাইরে নিঃশব্দে বইছে ঠান্ডা বাতাস। শহরটা ঘুমিয়ে—শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্রে জেগে আছে কিছু কর্মী, কিছু হিসেব, কিছু পরীক্ষা।

একদিকে মা গরম দুধে চিনি মিশিয়ে দিচ্ছেন ছেলের জন্য।
অন্যদিকে বাবা একটু দূরে চেরনোবিল প্ল্যান্টে রাতের শিফটে।
বাচ্চাটা টেবিলে হোমওয়ার্ক করে হাই তুলছে।
ও জানে না—আর কখনও সে ঘুম থেকে উঠবে না।

ঠিক ১:২৩।

আকাশ কাঁপিয়ে এক বিষাক্ত বিস্ফোরণ।
চেরনোবিলের চতুর্থ রিঅ্যাক্টর ফেটে গেছে।

মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে রেডিয়েশন।
দেখা যায় না, শোনা যায় না।
কিন্তু ততক্ষণে শহরের বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে মৃত্যুর গন্ধ।

পরের সকাল।
সূর্য উঠেছে, কিন্তু শহর যেন বোবা।
আকাশে কোনো পাখি নেই।
বাচ্চারা স্কুলে যায়, মা-বাবারা কাজে।
তারা জানেই না—প্রতিটা শ্বাসে ঢুকছে বিষ।

সরকার কিছু বলে না।
কাউকে সতর্ক করে না।
কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাসছে, কেউ ছবিও তুলছে ফুজি ক্যামেরায়।
সেই ছবির ফ্রেমে ধরা পড়ে শেষবারের মতো জীবনের হাসি।

৩৬ ঘণ্টা পরে—
সরকার বলে,
“শহর খালি করতে হবে। মাত্র তিন দিনের জন্য। সবকিছু রেখে যান।”

লোকজন ভাবল, ঠিক আছে—তিন দিনেই ফিরব।
কেউ স্কুলব্যাগ রেখেই চলে যায়।
কেউ রান্নার হাঁড়ির ঢাকনা দিতেও ভুলে যায়।
এক মা শিশুর ফিডিং বোতল টেবিলেই ফেলে যায়।

তারা কেউ জানে না, তারা তাদের শহরকে শেষবারের মতো দেখছে।

তারপর...
চলে গেল সময়।
থেমে গেল ঘড়ি।
বেঁচে রইল শুধু দেয়ালে জমে থাকা ছাঁচ, পুতুলের চোখ, আর একটা শহর—যেখানে জীবনের চিহ্ন আছে, কিন্তু জীবন নেই।

আজ, এত বছর পরেও কেউ যদি প্রিপিয়াতে যায়—
দেখবে এক স্কুলঘর, যেখানে ব্ল্যাকবোর্ডে শেষ লেখা পড়ে আছে।
এক হাসপাতালে টেবিলের ওপর পড়ে আছে রোগীর ফাইল।
আর একটা রোলার কোস্টার—যেটা কখনও চালুই হয়নি।

কারণ তার উদ্বোধনের আগেই শহরটা ‘মৃত শহর’ হয়ে গেছে।

প্রিপিয়াত বেঁচে আছে... শুধু ইতিহাসে।
আর আমাদের মনে—যেখানে মানুষ ভুল করে, আর সময় তার শাস্তি দেয়।

#ভয়েরগল্প #বাস্তবভয়েরগল্প #পারমাণবিকবিপর্যয়

যার নাই সে বোঝে, টাকের মাঝে চুল খোঁজে 🥺কতবড় চুল কেটে ছাগলের লেজ বানাইছে 😏
07/06/2025

যার নাই সে বোঝে, টাকের মাঝে চুল খোঁজে 🥺
কতবড় চুল কেটে ছাগলের লেজ বানাইছে 😏

06/06/2025

আন্দিজ পর্বতের রহস্যময় গুহায় পাওয়া গিয়েছিল এক ঘুমন্ত কিশোরী…

১৯৯৯ সালে, আর্জেন্টিনার আন্দিজ পর্বতের ২২,০০০ ফুট উচ্চতায়, ভরশীতের এক সন্ধ্যায় তিনজন অভিযাত্রী হোঁচট খায় এক গুহার মুখে।
সামান্য এগোতেই তারা দেখে—বরফের নিচে কেউ একজন বসে আছে।

দেহটি ছিল এক ১৫ বছরের কিশোরীর, কুঁকড়ে থাকা ভঙ্গিমায়, চোখ বন্ধ, মুখে শান্ত এক অভিব্যক্তি।
দেখলে মনে হতো—কেউ তাকে সামান্য আগে ঘুম পাড়িয়েছে।

তকে দেখে মনে হয়েছিল কয়েক দিনের পুরনো কোনো মৃতদেহ, বাস্তবে তা ছিল ৫০০ বছর আগের ইনকা সভ্যতার এক মেয়ে শিশু

একটি ‘Capacocha’ নামের ধর্মীয় প্রথায়, তাকে জীবন্ত বলি দেওয়া হয়েছিল দেবতাদের সন্তুষ্ট করতে।

এই বলিদান ছিল “গর্বের” — অন্তত তাদের বিশ্বাসে।
কিন্তু মায়ের কোল ছেড়ে আসা সেই মেয়েটির দেহে ছিল ভয়, কষ্ট, ঠান্ডার যন্ত্রণা ও পরিত্যাগের ছাপ। মনে হচ্ছিলো সে সৃষ্টিকর্তার কাছে জানতে চাইছে ''কি ছিলো তাঁর এই জন্মের অপরাধ"

গবেষণায় জানা যায় তার পেটের ভেতরে পাওয়া গিয়েছিল কিছু কোকা পাতার চিহ্ন—যা ঘুম পাড়াতে ও ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হত।
জানানো হয়, মৃত্যুর কিছু সময় আগে মেয়েটিকে মাদকজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছিল—যাতে সে সহজে “নিয়ে যাওয়া যায়”।

তার নাম কেউ জানে না।
তার স্বপ্ন কী ছিল, কীসে সে ভয় পেত, কাকে জড়িয়ে ধরে সে শেষবার কেঁদেছিল—সবই হারিয়ে গেছে বরফের নিঃশ্বাসে।

কিন্তু সেই ছোট্ট মুখটা, বন্ধ চোখ, আর শরীর জড়ানো ছেঁড়া চাদর—আজও বলে,
“আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম… কেন আমায় একা রেখে যাওয়া হলো?”

আপনার কি মনে হয় এটাকি অন্যায় ছিলোনা তার পরিবার বা সমাজের? কমেন্টে জানান 🙏🙏

🖤 আজও সেই মৃতদেহ অক্ষত—পাহাড় জানে, যে যন্ত্রণা বলে প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই, সেটাই ইতিহাসে সবচেয়ে গভীরভাবে বেঁচে থাকে।

প্রজন্মকে ইতিহাসের কাছে নিয়ে যেতে পোস্টটি শেয়ার করুন প্লিজ 🙏


#ভ্রমণেরগল্প


#মর্মান্তিকভ্রমণ #অন্ধবিশ্বাসেরবলিদান

05/06/2025

যে মৃতদেহটার লিঙ্গ নিয়েই ভুল ছিল ৩০ বছরের বেশি সময়… সে আমাদের শিখিয়ে গেল, সত্য কতটা ধৈর্য ধরতে পারে!

১৯৫২ সাল।
জার্মানির শ্লেসভিগ-হোলস্টেইনে উইন্ডেবি নামের এক জলাভূমিতে মাটি কাটছিলেন স্থানীয় শ্রমিকরা।
হঠাৎই আবিষ্কার হলো এক আশ্চর্য দেহ—রঙিন, সংরক্ষিত, প্রায় অক্ষত মুখমণ্ডল, মাথায় উলের ফিতা, পাশে কাঠের টুকরো।
পুরো দেহটা এমনভাবে টিকে ছিল, যেন শত শত বছর ধরে প্রকৃতি নিজেই তাকে আগলে রেখেছে।

গবেষকরা ভাবলেন, এ নিশ্চয়ই কোনো কিশোরী—ধর্মীয় বলিদানের শিকার।
নাম দেওয়া হলো “উইন্ডেবি গার্ল”।

প্রেম, ষড়যন্ত্র, শাস্তি—রোমাঞ্চকর সব ব্যাখ্যা গড়ে উঠতে লাগল তার মৃত্যু নিয়ে।

কিন্তু…

৩০ বছরেরও বেশি সময় পর, ২০০৬ সালে, আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষা জানিয়ে দিল—
এটি আদতে ছিল এক ১৬ বছর বয়সী কিশোর।
হ্যাঁ, যাকে সবাই "গার্ল" ভেবেছিল, সে ছিল একজন ছেলে।

তার দাঁতে ছিল ফোঁড়া, হাড়ে ছিল অপুষ্টির চিহ্ন—"হারিস লাইন"।
মাথার এক পাশের চুল ছিল কামানো—প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল ধর্মীয় রীতি, পরে বোঝা যায়, এটি দেহ ক্ষয়ের প্রাকৃতিক ফল।

মৃত্যুর পর মুখের ওপর পড়ে থাকা উলের ফিতাকে শাস্তির প্রতীক ভাবা হয়েছিল,
কিন্তু আসলে তা ছিল জীবদ্দশায় ব্যবহৃত চুল বাঁধার ফিতা—যেটা কেবল সময়ের দোলায় মুখে এসে ঠেকেছিল।

আরেকটা রহস্য?
ঠিক পাশেই পাওয়া গিয়েছিল আরেকটি দেহ—যাকে বলা হয় "উইন্ডেবি টু"।
অনেকে ভেবেছিল তারা প্রেমিক-প্রেমিকা, আবার কেউ বলেছিল, ধর্মীয় বলিদানের যুগল।

কিন্তু বিজ্ঞান প্রতিটা ধোঁয়াশার জবাব দিয়ে দিল—
কোনও প্রেম, কোনও বলিদান নয়, বরং তারা ছিল পরস্পরের অজানা, একাকী মৃত্যুদের দুই প্রহরী।

📍আজ “উইন্ডেবি ওয়ান” এর দেহ সংরক্ষিত আছে জার্মানির শ্লেসভিগ শহরের ল্যান্ডেসমিউজিয়ামে।

একটা ভুল নাম, একটা গুঞ্জনময় গল্প—আর এক আধুনিক গবেষণার আঘাতে ভেঙে পড়ল গোটা ব্যাখ্যার দেয়াল।
তবু সেই দেহ আজও আমাদের চুপচাপ শিখিয়ে দেয়—
সত্য কখনো মরেনা। শুধু অপেক্ষা করে, কেউ তাকে খুঁজে পাক।

---


#উইন্ডেবি #ইতিহাসেররহস্য #প্রাচীনদেহ #বিজ্ঞানেরবিজয়

আগাম ঈদ মোবারক ❤️
04/06/2025

আগাম ঈদ মোবারক ❤️

Address

Dhaka

Telephone

+919163961066

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tapus Munshi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Tapus Munshi:

Share