Afia Unani Medical Centre

Afia Unani Medical Centre Specialist in Unani medicine and Public health

23/07/2025

#তাগূত

প্রশ্ন হলো, তাগূত কী? তাগূত হলোঃ আল্লাহর পরিবর্তে কিংবা আল্লাহর সাথে অংশীদার করে যার আনুগত্য তথা ইবাদাত করা হয় এবং যে এই আনুগত্য তথা ইবাদাতে সন্তুষ্ট থাকে, তাকে তাগূত বলে। তাগূত অর্থ সীমালংঘনকারী। তাগূত দৃশ্য-অদৃশ্য ব্যক্তি ও বস্তু উভয়ই হতে পারে। তাগূত হলো আল্লাহর অবাধ্য ও বিরোধী অপশক্তি। তাগূত ইসলামের বড় শত্রু। রসূলুল্লাহ এর দাওয়াত ও জিহাদের মূল লক্ষ্যই ছিলো তাগূত নির্মূল করা এবং তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা।

অসংখ্য প্রকারের তাগূত রয়েছে। বিশেষ কয়েক প্রকার তাগূত হলোঃ

১. #শয়তানঃ শয়তান বান্দাকে আল্লাহর পরিবর্তে নিজের এবং অন্যের আনুগত্য তথা ইবাদাতে লিপ্ত করে, তাই শয়তান হলো তাগূত।

২. #প্রবৃত্তিঃ প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা বান্দাকে আল্লাহর অবাধ্য করে। ফলে, বান্দা আল্লাহর পরিবর্তে নিজ প্রবৃত্তি-পূজায় লিপ্ত হয়। তাই প্রবৃত্তি হলো তাগূত।

৩. #শাসকঃ সেসমস্ত শাসক তাগূত, যারা আল্লাহর নাযিলকৃত শরী'আহ আইনের পরিবর্তে অন্য আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। আইন তথা বিধান দেয়া একমাত্র আল্লাহর এখতিয়ার। এটি লংঘন করে তারা নিজেরা আইন প্রণয়ন করার শিরকে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহর সাথে নিজেদেরকে শরীক তথা অংশীদার করে। প্রশাসন সেসব মানব রচিত আইন জনগণের উপর প্রয়োগ করে। যারা এসমস্ত আইন ও বিধানের আনুগত্য করে তারা সুস্পষ্ট শিরকে লিপ্ত। কেননা, এই আনুগত্য তথা ইবাদাতের মাধ্যমে তারা আল্লাহর সাথে শরীক তথা অংশীদার করে এবং তাদের শাসককে আইনপ্রণেতা তথা বিধানদাতা হিসেবে গ্রহণ করে।

৪. #বিচারকঃ সেসমস্ত বিচারক তাগূত, যারা আল্লাহর নাযিলকৃত শরী'আহ আইনের পরিবর্তে অন্য আইন দিয়ে বিচার-ফয়সালা করে। আদালতও একটি তাগূত। কেননা, এখানে আল্লাহর নাযিলকৃত শরী'আহ আইনের পরিবর্তে অন্য আইন দিয়ে বিচার-ফয়সালা চলে। আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দিয়ে বিচার-ফয়সালা না করা সুস্পষ্ট কুফরি। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন,আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দিয়ে যারা বিচার-ফয়সালা করে না, তারাই কাফির." [সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ৪৪]। আর এসকল মানবরচিত বিধান দ্বারা পরিচালিত আদালত ও বিচার-ফয়সালার দারস্থ হওয়া সুস্পষ্ট শিরক। মহান আল্লাহ বিচার-ফয়সালার জন্য তাগূতের নিকট যাওয়াকে হারাম করেছেন।

৫. #সংসদঃ সংসদ বা পার্লামেন্ট একটি তাগূত। কেননা, এখানে আল্লাহর আইন ও বিধানকে পরিবর্তন কিংবা পরিবর্ধন করে অথবা বাদ দিয়ে নতুন আইন তথা সংবিধান প্রণয়ন করা হয় যা সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কুরআনের সাথে কুফরি এবং মহান আল্লাহর সাথে শিরক। অতএব, মানব রচিত সংবিধানও একটি তাগূত। সংসদ হলো এমন একটি জায়গা যেখানে এর সদস্যরা সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আল্লাহর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। অধিকাংশ সংসদ সদস্যদের মতামত বা ভোটে আল্লাহর হারাম করা বিষয়কে হালাল করা হয় অর্থাৎ বৈধতা দেয়া হয়। এইভাবে তারা আল্লাহর আইন ও বিধানকে পরিবর্তন করে বড় শিরক ও কুফরিতে লিপ্ত হয়। আর যারা শিরক ও কুফরিতে লিপ্ত তারা মুশরিক ও কাফির।

৬. #সার্বভৌমত্বের_দাবিদারঃ সার্বভৌমত্বের দাবিদার ব্যক্তি বা শাসক হলো তাগূত। কেননা, সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া আর কারও সার্বভৌমত্ব নেই। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, "আসমান ও যমীনের সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহরই।" [সূরা আলে-ইমরান, আয়াতঃ ১৮০] একইভাবে, সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র আল্লাহ। শাসক কিংবা জনগণ কখনই সকল ক্ষমতার উৎস হতে পারে না। অথচ, কুফরী গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসির মুলকথা হলো 'শাসক কিংবা জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস'। যে কেউ আল্লাহ ব্যতীত অন্যের সার্বভৌমত্বের দাবিকে মেনে নিবে সে কাফির ও মুশরিক।

এছাড়াও অদৃশ্য কিংবা ভবিষ্যৎ জানার দাবিদার, মিথ্যা 'ইলাহ' দাবিদার, জাদুকর, পীর-মাজার, তাবিজ-কবচ, মূর্তি-ভাস্কর্য, বাপ-দাদার অন্ধ-অনুসরণ ইত্যাদি হলো তাগূত। ঈমানদার হওয়ার পূর্বশর্ত হলো তাগূতকে অস্বীকার করা।

' #কুফর_বিত্_ত্বগূত_তথা_তাগূতকে_অস্বীকার_করার_৩টি_উপায়

১. #অন্তর_দ্বারা - তাগূতকে অস্বীকার করাঃ এর অর্থ হলো, অন্তর থেকে তাগূতকে অবিশ্বাস করা, তাগূতের প্রতি আনুগত্য তথা ইবাদাতকে বর্জন করা এবং তাগূত ও তার অনুসারী কাফির, মুশরিক ও মুরতাদদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা। তাদের প্রতি চিরশত্রুতা ও ঘৃণা বজায় রাখা।

২. #জবান_দ্বারা - তাগূতকে অস্বীকার করাঃ এর অর্থ হলো, বক্তব্য দ্বারা তাগূতকে অস্বীকার করা, তাগূতের প্রতি আনুগত্য তথা ইবাদাত বর্জনের আহবান করা এবং তাগূত ও তার অনুসারীদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়া। তাদের বিরোধিতা করা এবং তাদের শিরক ও কুফরির ব্যাপারে মানুষদের সতর্ক করা।

৩. ্বারা_তাগূতকে_অস্বীকার_করাঃ এর অর্থ হলো, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা তাগূতকে অস্বীকার করা। সকল প্রকার আনুগত্য তথা ইবাদাত থেকে তাগূতকে বর্জন করা এবং তাগূত নির্মূলের জন্য সর্বাত্মক লড়াই অব্যাহত রাখা। এটি হলো তাগূতকে অস্বীকার করার চূড়ান্ত পদ্ধতি। জীবিত তাগূতকে কোন প্রকার উপকার না করা এবং তাগূত থেকে কোনভাবেই উপকৃত না হওয়া। তাগূত শাসকের আইন, বিধান ও শাসনকার্যকে বাতিল বলে গণ্য করা এবং তাগূত বিচারক ও আদালতের নিকট কোনো প্রকার বিচার নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকা। তাগূত ও তার অনুসারীদের নির্মূল করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর একত্ববাদ তথা তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, "যারা ঈমানদার তারা লড়াই করে আল্লাহর পথে, আর যারা কাফির (মুশরিক, মুরতাদ, মুনাফিক) তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।" [সূরা আন-নিসা, আয়াতঃ ৭৬]

21/07/2025

***আমি যতই গভীরভাবে হেলথকেয়ার সেক্টরে প্রবেশ করছি, ততই উপলব্ধি করছি—বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটি টিকসই নয়।

একটা শরীর, কিন্তু ৫০টা অঙ্গের জন্য ৫০ জন বিশেষজ্ঞ—এটা কোনো অর্জন না, এটা আমাদের সিস্টেমের একটা ত্রুটি। এই বিচ্ছিন্ন ও খণ্ডিত স্বাস্থ্যব্যবস্থাই দিনকে দিন খরচ বাড়াচ্ছে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিপর্যয় ডেকে আনছে (PMID 36622952)।

একটা সাধারণ উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে—

ধরা যাক আপনি একজন কার্ডিওলজিস্টের কাছে গেলেন। কিছু আর্টেরিয়াল প্লাক ধরা পড়ল, ক্যালসিয়াম স্কোর বেশি—উনি আপনাকে রক্ত পাতলা করার ওষুধ, স্ট্যাটিন, এবং হয়তো বিটা ব্লকার দিলেন।

সমস্যা সমাধান হলো মনে হচ্ছে।

কিন্তু কিছু মাস পর আপনার রক্তচাপ বেড়ে গেল, কিডনির কার্যকারিতা (eGFR) কমে গেল।

এবার আপনি গেলেন একজন নেফ্রোলজিস্টের কাছে। উনি কেবল কিডনির দিকটাই দেখলেন, হৃদপিণ্ড নয়। আরও কিছু ওষুধ যোগ হলো—ধরা যাক ACE ইনহিবিটার আর ডাইউরেটিক।

রক্তচাপ ঠিক হলো—সব ঠিকঠাক মনে হচ্ছে।

কিন্তু কিছুদিন পর আবার মস্তিষ্কে ঝিমঝিম ভাব, ঘুমের সমস্যা, অবসাদ শুরু হলো।

এবার আপনি গেলেন নিউরোলজিস্টের কাছে। আরও নতুন ওষুধের প্যাকেট হাতে পেলেন—মুড ঠিক রাখতে, ঘুম বাড়াতে, অবসাদ দূর করতে।

এইভাবেই চলতে থাকে…

আজকাল একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না যে মাত্র একটা ওষুধ খাচ্ছে।

পলিফার্মাসি এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। ভারতে প্রতিদিন ~৫-৭% রোগী শুধুমাত্র ওষুধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন (প্রায় ৪৫–৬০ লাখ রোগী প্রতি বছর) এবং প্রতি বছর আনুমানিক ~১–৪ লাখ মানুষ এই কারণেই মারা যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে এই সংখ্যাটা মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

একটা অঙ্গের সমস্যা কীভাবে বহু অঙ্গের সমস্যা হয়ে দাঁড়াল? ভেবে দেখুন একবার।

আমার সবচেয়ে বেশি বিস্ময় লাগে—আমরা এত বড় সমস্যাটাকে (polypharmacy) নিয়েই তেমন কোনো আলোচনা করি না। অথচ এটাই আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসংকটের একটি রূপ নিচ্ছে।

আমাদের এখনই silo-based system থেকে বেরিয়ে পুরো দেহকে একটা সমন্বিত ইউনিট হিসেবে দেখা দরকার।

আগে একজন চিকিৎসকের পক্ষে সবকিছুর উপর দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব ছিল না, কিন্তু এখন আর সেই সীমাবদ্ধতা নেই।
Copy.... Sadikul Islam

19/07/2025

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক জ্ঞান রাখেন কিন্তু পড়াতে জানেন না….

আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতাম। আমাকে সহ বলছি। মাইন্ড করবেন না কেউ!

কে বলেছে যে অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে ১ম, ২য়, ৩য় হলেই তিনি ভালো পড়াতে জানেন? খুব ভালো নেক্সট জেনারেশন-লিডার তৈরি করতে পারবেন? আমার দেখা মতে বাংলাদেশের ৯৫% বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রেজেন্টেশন স্কিল কোনো স্কেইলের মধ্যে নেই। প্রমাণ দিচ্ছি। যারা আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন আপনার সকল শিক্ষকের কথা মনে পড়ে? সবার পড়ানো ভালো লেগেছে? সবার ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছে হতো? সবার ক্লাস কি অবাক হয়ে দেখতেন। আপনার সকল শিক্ষককে অজান্তে ভালোবেসে ফেলেছিলেন? সব শিক্ষক কি সময় মতো ক্লাসে আসতো? অনেস্টি মেইনটেইন করে গ্রেইডিং করতো? সকল শিক্ষক কি আপনার ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীকে একচোখে দেখতেন? সকল শিক্ষক কি আপনাদের শাসন করতেন? (আমাদের এমবিএ ক্লাসে কানে ধরে দাড় করিয়ে রেখেছেন, অভিযোগ নয়, মনে পড়ে)। আমি জানি এই সব প্রশ্নের উত্তর আমার মতো বলবেন ‘না’, ’না’, ‘না’। এবার বলুন তো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক কি পড়াতে জানেন? জানা এবং শেখাতে পারা আলাদা বিষয়।

শাসনের কথা বলছি। আমি তখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে ঢুকেছি। একটি ছেলে খুবই বান্দর টাইপের। একটু পরপর ওয়াশরুমে যায়। আর ইনকোর্স পরীক্ষা মিস করে, ঠান্ডা লেগেই থাকে। গোয়েন্দা লাগালাম ওর পেছনে। রিপোর্ট দিলো, স্যার ও ওয়াশরুমে গিয়ে বার বার চুলে পানি দেয় চুল ঠিক করার জন্য। আমার খুব রাখ হলো। এটি খুব কস্টলি একটি বিশ্ববিদ্যালয়। খুব মানসম্মতও বটে। শাসন করতে ইচ্ছে হলো। আগে বুঝিয়েছি, কাজ হয়নি। সকল শিক্ষার্থীর সামনে ওকে কঠোর শাসালাম। এবং বললাম, ’সি মি আফটার ক্লাস’। ও আসলো। বললাম দরজা বন্ধ করো। দুজনে কথা বললাম। কাউন্সেলিং করলাম। স্বপ্ন বুনি দিলাম ওর মনের মধ্যে। ও প্রমিস করলো খুব ভালো করবে। দুজনে হ্যান্ডশেইক করলাম। ওর মনে হলো রিচার্জ হয়েছে। কেঁদে ফেলেসে ছেলেটি। পরের সিমিস্টারে ও ফার্স্ট হলো। ওর ওয়াদা রাখলো। রেজাল্টের পর আমাকে শ্রদ্ধায় জড়িয়ে ধরলো, বললো, “স্যার, আই লাভ ইউ”। আমি এরকম কিভাবে পারলাম? আমার ওই ২% সেরা শিক্ষকঃ ড. রিয়াজুর রহমান, ড. মুস্তফিজুর রহমান, শান্তি নারায়ন ঘোষ, প্রফেসর হামিদুর রহমান স্যারদের শাসন, ভালোবাসা, শিক্ষা থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে। কেন ভাই, এমন শিক্ষক সবাই না কেন? তাহলে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে হতে বলেছে? কেন দেশের ইয়ুথদের ভবিষ্যত নষ্ট করছেন আপনি?

আরেকটি ব্যাপার। একটু ইগো নিয়ে কথা বলবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকদের মধ্যে ইগো দেখেছি। শয়তানের চেয়েও ইগো বেশি। শিক্ষার্থীদের সাথে ভাব নেন। বলেন তার কত কিছু অর্জন। মনে হয় শিক্ষার্থীরাই হচ্ছে ইগো দেখানোর রাইট পিপল। মনে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিমেস্টারের কথা। আমরা ৪জন বন্ধু ডিন অনার্স মেরিট লিস্টে ছিলাম। আমার একজন স্যারকে গিয়ে বললাম, স্যার আমরা পারফেক্ট সিজিপিএ পেয়েছি। উত্তর এলো, তো আমি কি করবো? কান্না এসেছিল……… একই খবর আরেকজন স্যারকে (ইয়াং লেকচারার) দিলাম, বললেন, গ্রেইট। কী খাবা বলো। কফি খাওয়াচ্ছি, বস। কি বুঝলেন। কমেন্টের ঘরে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে লিখুন।

শিক্ষকদের লেকচার ডেলিভারি নিয়ে কিছু কথা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি, আমার অনেক বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছে। সত্যি বলছি ওদের অনেককে আমরা পাত্তাই দিতাম না। আতেল মার্কা ও মুখস্তবিদ্যায় পারদর্শী ছিল ওরা। প্রেজেন্টেশন স্কিল আমার টেসলের মতো প্রতিষ্ঠানের ছোট বাচ্চাদেরও ধারে-কাছে নেই ওরা। তবে হ্যাঁ, কিছু বন্ধুরা আছে ওরা সত্যি অনেক ভালো। সেরাদের সেরা। সবকিছুতে ভালো। ১% হবে আরকি। কেন ভাই, আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের তো সুন্দর প্রেজেন্টার কেন নয় সকল শিক্ষকগণ? তাহলে শিক্ষার্থীরা শিখবে কি করে? বেকার তো থাকবেই। বেকারত্বের মূল একটি কারণ, শিক্ষকদের মান নেই। শিক্ষকগণ আধুনিকতা থেকে অনেক দূরে। শাসন করছেন না। দায়সারা চাকরি করছেন। ভাই পারলে সেরা হন, না হয় ফোটেন। ডোন্ট বি আ হিপক্রিট।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বলতে শুনেছি, ”প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষকদের মান তলানিতে। কিছু শেখায় না। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষার্থী পাই না”। তাই নাকি? তা হলে প্রাইমারি ও হাই স্কুলের অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী কারা দিল? ওয়াট আ জোক!

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু কথা। এই বাংলাদেশে প্রাইমারিতে শিক্ষক হতে চাইলে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে? হয় না। ওয়াট এ সিস্টেম! UGC-র উচিত University Teachers' Training Institute (UTTI) লঞ্চ করা। মাস্টার্সের পর ২ বছর প্রশিক্ষণ নেবে, ডেমো ক্লাস হবে, রিসার্চ পেপার থাকবে নতুন জ্ঞান আবিষ্কার সহ, অনলি দেন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন। আরেকটি বিষয়! শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উচিত মাত্র ৫০০ জন বিদেশী শিক্ষককে উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেয়া। যাদের দেখে দেশের শিক্ষকগণ আধুনিক হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম ঢেলে সাজাতে হবে। ৫০% থিয়রি, ৫০% প্র্যাকটিক্যাল। অথবা গোল্লায় যেতে বেশি সময় লাগবে না। যে সাব্জেক্ট এর চাকরি নেই, ওই সাব্জেক্ট পড়ানো স্টপ করেন।

জানি না এগুলো কবে হবে। হবে কিনা। কে করবে। খুব কষ্ট হচ্ছে লাখ বেকারদের দেখে। প্রায় ৫০ লাখ! এদের তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণই পড়িয়েছেন? ভাব নেন কোত্থেকে? শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলাম ফালতু। ফালতু। ফালতু। করপোরেট সেক্টরে আমরা যা চাই আর বিশ্ববিদ্যালয় যা সাপলাই দেয়, অনেক গ্যাপ। অনেক।

মাত্র ৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে….
আগামী ৩0 বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে ১০ কোটি মানুষ বয়স্ক বা বৃদ্ধ হয়ে যাবে। ২০২৫ থেকেই এত মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন হবে কমপক্ষে 5 লক্ষ পারসনাল ফিটনেস কোচ।
কারণ এই ১০ কোটি মানুষ হার্ট এ্যাটাক, ডিমনেসিয়া, ইনসমনিয়া, ক্যান্সার, হাড়জনিত রোগ, শ্বাস কষ্ট, ডায়াবেটিস, কিডনি সংক্রান্ত রোগ, মেধ-ভুড়ি সংক্রান্ত রোগ, ব্লাড প্রেশারের মতো মারাত্মক রোগে ভুগবে।
৫ লক্ষ ফিটনেস কোচের প্রত্যেকে ২০০ জন বয়স্ক মানুষকে ফিটনেস কোচিং দিতে পারবে। একজন বয়স্ক মানুষ মাসে মাত্র 3০০০ টাকা অফার করলে একজন পারসনাল ফিটনেস কোচের মাসিক আয় দাড়াবে 6,00,000 টাকা।
এই খাতটি হবে বিশাল একটি কর্মসংস্থানের খাত। মাসে ৩০,০০০ কোটি টাকা এবং বছরে ৩,৬০,০০০ কোটি টাকার মহা এক কর্মক্ষেত্র।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত ফালতুসব সাবজেক্ট পড়ানো বাদ দিয়ে একটি কোর্স চালু করা যার নাম হবে Diploma in Personal Fitness Coaching – DPFC.
সুস্থ থাকুক পুরো বাংলাদেশ!
আগামী 5 বছরের মধ্যে বাংলাদেশে 5 কোটির শিক্ষার্থীর 60% অর্থাৎ 3 কোটি শিক্ষার্থী চাইবে না তথাকথিত স্কুলে পড়াশুনা করতে, ১৬ বছরে SSC পরীক্ষা দিতে, বস্তাপঁচা সাবজেক্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।
ওরা এত স্মাট হবে যে ১১/১২ বছরেই হাইস্কুল এবং ১৭ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করতে চাইবে।
অথবা ওরা বিশ্বের সফল ব্যক্তিদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তে চাইবে না। AI অথবা, পারসনাল কোচের হেল্প নিয়ে O or A লেভেলের মতো পরীক্ষা দিতে চাইবে এনিটাইম। 300,000 জন Personal Academic Coach এর বিশাল একটি কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে।
সুবিধামতো যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করবে এবং প্রাইমারি স্কুল থেকেই কাজ করা শুরু করবে। আমার মতে এমনই হওয়া উচিত। বর্তমানে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত ফালতুসব সাবজেক্ট পড়ানো বাদ দিয়ে একটি কোর্স চালু করা যার নাম হবে Diploma in Personal Academic Coaching – DPAC.
এই খাতটিও হবে বিশাল একটি কর্মসংস্থানের খাত। মাসে 9,০০০ কোটি টাকা এবং বছরে 1,08,০০০ কোটি টাকার মহা এক কর্মক্ষেত্র।
স্বল্প সময়ে অনেক বেশি শিখুক পুরো বাংলাদেশ!
COMMENT করে আপনার মতামত জানান সবাইকে। SHARE করে পড়ার সুযোগ করে দিন সকল বন্ধুদের।
Writer:
Muhammad Yeasir

নোট:
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। শেয়ার পড়ার সুযোগ করে দিন অন্য বন্ধুদের। অনেক শুকরিয়া।

04/07/2025

শিশুকে বই কখন থেকে দেওয়া উচিত –🤷‍♀️ নিউরোসায়েন্সের আলোকে ব্যাখ্যা:

নিউরোসায়েন্স বলছে, শিশুর ব্রেইন জন্মের পর থেকেই শেখার জন্য প্রস্তুত। জন্মের প্রথম ৩ বছর শিশু মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ নিউরাল কানেকশন তৈরি করে — এই সময়টা শিশু শেখে দেখে, শুনে, অনুভব করে, ছুঁয়ে। আর বই এই শেখার সবকিছু একসাথে এনে দেয়।

🧠 নিউরোসায়েন্স কী বলছে?🤷‍♀️

জন্মের পর শিশু প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ নিউরাল কানেকশন তৈরি করে।

📖 বইয়ের ছবি, রং, শব্দ, স্পর্শ এগুলো সব শিশুর ব্রেইনে সেন্সরি ইনপুট দেয়, যা ভাষা, আবেগ, মনোযোগ ও কল্পনাশক্তি গঠনে সাহায্য করে।

বই দেখানো শিশুদের ব্রেইনে ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোসেসিং এরিয়া বেশি সক্রিয় থাকে।

শিশুর মুখে শব্দ বের হওয়ার আগে সে হাজার হাজার শব্দ শুনে ও দেখে। তাই বই ভাষা উন্নয়নের অন্যতম শক্তিশালী উপায়।
বইয়ের উপকার আমি নিজে পেয়েছি সানায়ার ক্ষেত্রে, ৬মাস থেকেই বই, ওর বইয়ের কালেকশন অনেক বেশি, আর তার শব্দ ভান্ডারো তাই অনেকটাই সমৃদ্ধ।

🍼 শিশুকে বই কখন থেকে দেওয়া উচিত?

বয়স বইয়ের ধরন কেন উপকারী

০–৩ মাস 👉কনট্রাস্ট রঙের বই (কালো-সাদা, সাদা-লাল)
👉দৃষ্টিশক্তির উন্নয়ন, ফোকাস বাড়ায়।

৩–৬ মাস👉 সফট কাপড়ের বই, শব্দ করে এমন টেক্সচার বই
👉স্পর্শ, শব্দে সাড়া, হাতের সমন্বয়।

৬–১২ মাস 👉বড় ছবি, প্রাণীর বই, শব্দসহ বই(ইনটেলিজেন্স বুক) শব্দ-চিত্র সংযোগ,
👉 বাচ্চা শব্দ অনুকরণ শুরু করে।

১–২ বছর 👉বোর্ড বই, নাম শেখার বই, রাইম বই
👉শব্দভান্ডার গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে।

২–৩ বছর 👉ছোট গল্পের বই, প্রশ্ন-উত্তর টাইপ বই
👉 ভাষার কাঠামো শেখা, চিন্তা করা, গল্প বলার ক্ষমতা বাড়ে।

📘 শিশুর বই পড়ার উপকারিতা (বৈজ্ঞানিক ভিত্তি):

✅ ভাষা উন্নয়ন: শিশু যত শব্দ শোনে, মস্তিষ্ক তত বেশি কানেকশন তৈরি করে (Harvard Center on the Developing Child)।

✅ Parent-child bonding: বই পড়া সময় মস্তিষ্কে Oxytocin (ভালোবাসা হরমোন) বাড়ায়, সন্তান বাবা-মার কাছ থেকে কোয়ালিটি টাইম পায়।

✅ স্মৃতি ও মনোযোগ: বইয়ের মাধ্যমে Working memory ও Attention span বাড়ে।

✅কল্পনাশক্তি: ছবির বই শিশুকে নতুন চিন্তা করতে শেখায়।

✅ভবিষ্যৎ একাডেমিক সাফল্য: যেসব শিশু নিয়মিত বই দেখে ও পড়ে, তারা স্কুলে পড়ালেখায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকে।

🧩 বই দেখানোর কিছু টিপস:

শিশুর চোখের সামনে ধরে আলতো করে পৃষ্ঠা উল্টান

পড়ুন ধীরে, আবেগ দিয়ে, খুব মজা করে— যেমন করে গল্প বলা হয়

শিশুর প্রতিক্রিয়া দেখুন — সে তাকায়, হাসে, হাত দেয় = ভালোভাবে শিখছে

একই বই বারবার দেখানো দারুণ উপকারী — শিশু পরিচিত শব্দ শিখে ফেলে

যখনই সময় পান, বই নিয়ে বসে যান, এমনকি ঘুমানোর আগেও(গোল্ডেন আওয়ার একদম মিস করবেন না)

যা বোঝাতে চাচ্ছি 💁‍♀️

👉 শিশু যত ছোট, বই তত বড় ও রঙিন হওয়া উচিত
👉 বই শিশুর জন্য খেলার মতোই হওয়া উচিত,এমন না যে নিয়ম করে পড়তে হবে— কেবল দেখা, শোনা ও অনুভব করাই যথেষ্ট, এটা হবে তার একটা খেলার অংশ, খেলতে খেলতেই শিখবে।
👉 শিশুর সামনে বই থাকলে সে নিজেই বইয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তবে তাকে বই দিয়ে নিজে ফোন নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে, মোটেও চলবেনা।

➡️ জন্ম থেকেই বই দেওয়া যায়, তবে বইয়ের ধরন হবে বয়স উপযোগী। ৩ মাস থেকে শিশু বই চিনতে শুরু করে। নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, যত আগে বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করানো যায়, তত ভালো।
বিদ্র: এটা বলবেন না যে এতো অল্প বয়সে বই!, আমি কেবল ভালো দিকগুলো শেয়ার করলাম, মোবাইল বা বন্দুক এসব ভ*য়ানক জিনিস না দিয়ে যত পারেন বই দিন।
নিজে জানুন, জানান।

ধন্যবাদ
COLLECTED

03/07/2025

একজন ই/হু/দী ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্তা নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।

আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্তা নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,
وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ
অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২)
এই আয়াতটি একটি আধুনিক বিজ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের শুক্রাণুতে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে।
আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে।
অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
একজন গণিকা অনেক পুরুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয়ে সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন।
এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ
অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)

এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে।
দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ ​​পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে।

ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সতী।
والله ورسوله اعلم عزوجل وصل الله عليه وسلم
ইসলামে একজন মহিলার জন্য এক‌ই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন!
অবশেষে বিজ্ঞানও আল কুরআনের বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো।
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ

সংগৃহীত

01/07/2025

এই প্রথম কারো লেখা দেখে আমি totally spell bound হয়ে গেলাম। তাই share করলাম সংগৃহীত লেখা। লেখাটি পড়ে একবার হলেও মনে হবে "বাহ্!"

আমি নিজের লেখা post করি সব সময়। কিন্তু এই রকম একটা Important লেখা post করা থেকে নিজেকে আটকাতে পারলাম না।
লেখার Technic টা দেখবেন শুধু সামান্য জিনিসটা কি ভাবে বুঝিয়েছেন সমাজের দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে।

সংগৃহীত ----

★ কোলেস্টেরল —- আমাদের শরীর যদি একটা ছোট্ট শহর হয় তবে এই শহরের প্রধান সমাজবিরোধী হচ্ছে কোলেষ্টেরল,

★ ট্রাইগ্লিসারাইড —- কোলেস্টেরলের কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ থাকে, তবে একেবারে ডান হাতের মস্তান হচ্ছে — ট্রাইগ্লিসারাইড, এদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় মাস্তানি করে রাস্তা ব্লক করা , অর্থাৎ শহরকে অচল করার চেষ্টা করা ,

★ হৃৎপিন্ড হচ্ছে শরীর নামের শহরটির প্রাণকেন্দ্র বা মেন জায়গা। যেমন কলকাতার ধর্মতলা এলাকা, শহরের সব রাস্তাগুলি এসে মিশেছে এই হৃৎপিন্ড নামক প্রাণকেন্দ্রে ,

কিন্তু সমাজবিরোধীদের সংখ্যা বেশী হলে কি হয় আমরা সবাই জানি । এরা নিত্য নতুন হাঙ্গামা বাধিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রকে অর্থাৎ হৃৎপিন্ডকে অচল করে দিতে চায় ।
তাহলে আমাদের শরীর নামক শহরে কি পুলিশ নেই ? যারা মাস্তানদের ক্রসফায়ার করবে , তাদের ছত্রভঙ্গ করে জেলে‌ ভরবে ?

হ্যাঁ, আছে, পুলিশ থাকবে না এমন জায়গা আছে?

★ একজন কড়া পুলিস অফিসারের নাম –H D L, এই পুলিশ অফিসারটি পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানী করা মাস্তানদের রাস্তা থেকে ধরে এনে জেলে পাঠিয়ে দেয় ।

★ জেলের মধ্যে থাকে জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, তার নাম– লিভার বাবু, এই লিভার বাবু ট্রাইগ্লিসারাইড সমাজবিরোধীদের পিটিয়ে বাইল সল্ট বানায়, তারপর শহরের পয়োনিষ্কাশন পাইপ লাইনের মাধ্যমে পায়খানার সাথে শহর থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়,
শাস্তি পায় মাস্তানরা,

★ কিন্তু সরষের মধ্যে ভূত থাকে, কিছু নেতারা আবার এই সব মাস্তানদের হাতছাড়া করতে চায় না, ভোটের সময় তো কাজে লাগে এদের!

★ এইরকম একজন নেতার নাম—L D L, তিনি ক্ষমতার জোরে নানান কায়দাকানুন করে এই সব মাস্তানদের কোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আবার রাস্তায় নামিয়ে দেয়,

আবার মাস্তানদের মাতলামো আর বাঁদরামো আরম্ভ হয়, আবার রাস্তা ব্লক হয়, আবার পুরো শহরে জ্যাম লেগে যায়,

★ আবার সেই কড়া পুলিস অফিসার H D L বাবু পিস্তল উঁচিয়ে কিছু পুলিস নিয়ে দৌড়ে আসে।
কিন্তু তারা L D L নেতা, আর কোলেস্টেরল মাস্তানদের যৌথ শক্তির সাথে কখনও কখনও পেরে ওঠে না, বেশ কিছু পুলিশ মারাও পড়ে। পুলিশের সংখ্যা কমতে থাকে, কড়া অফিসার H D L ও এক সময় ম্রিয়মান হয়ে পড়ে, মাস্তানরা তখন আরও উল্লসিত হতে থাকে,

শহরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হতে থাকে,

শহরের প্রানকেন্দ্র হৃৎপিণ্ড ও অচল হয়ে পড়ে,

তাহলে উপায়?
উপায় হলো— মাস্তান মাফিয়াদের কমাতে কড়া পুলিশ অফিসার বাড়াতে হবে,

অনেক H D L , অর্থাৎ অনেক কড়া পুলিস অফিসার চাই,

এইসব কড়া পুলিশ অফিসার যত বাড়বে , ততই —

* মাস্তানরা, মানে– Cholesterol,
* মাস্তানের চামচেরা — মানে– Triglycerides ,
* দুষ্টু নেতা— মানে L D L রা কমতে থাকবে, ।

শরীর শহর আবার প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পাবে,

শহরের প্রানকেন্দ্র হার্ট আবার মাস্তানদের অবরোধ থেকে মুক্তি পাবে, হার্ট ব্লকও আর হবে না,

আর শহরের প্রানকেন্দ্র হার্ট সুস্থভাবে বাঁচা মানে শরীর শহরের সবাই সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে ।

তাহলে এই থিওরি অনুযায়ী দুষ্টদের দমন করে ভালো কড়া পুলিস অফিসারদের বহাল রাখতে হলে কি
করতে হবে?

পুরো শহরের সবাইকে এ্যাকটিভ হতে হবে, সবাইকে নড়াচড়া করতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করে ঘাম ঝরাতে হবে,

—- হাঁটতে হবে,
দিনের মধ্যে কিছুটা সময় বের করে পই পই করে দৌড়ানোর মতন করে হাঁটতে হবে,

হাতে হাত ধরে গল্প করতে করতে হাঁটা নয়,

জোরে জোরে দ্রুুতগতিতে কমপক্ষে আধঘন্টা হাঁটার শেষে সারা শরীর যেন ঘামে ভরে যায়!

” কদম কদম বাড়ায়ে যা ”
এই ছন্দের হাঁটা নয়!

তাহলেই শরীর নামক শহরের সবাই ঠিক থাকবে, কেউ ঝিমিয়ে পড়বে না,

শহরের প্রানকেন্দ্র হৃৎপিণ্ডও ঠিক থাকবে!

✍️ ডা. রবিন বর্মন (কলকাতা)

ভালো থাকবেন সবাই 🙏

23/06/2025

দেহের সব ক'টা সেল এ মাইটোকন্ড্রিয়া দেয়া হয়েছে। দেয়া হলোনা শুধু আরবিসিতে(Red blood cell)! কারণ, আরবিসি যদি একটা মাইটোকন্ড্রিয়ার মালিক হয়ে যেতো, তাহলে ফুসফুস থেকে যে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাঁকে প্রতিটি টিস্যুতে, গন্তব্যে যাবার আগেই সে নিজে এটা খরচ করে ফেলতো (কারণ, কারো কাছে যদি একটা মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, তবে সে এটার সাহায্যে অক্সিজেন পুড়িয়ে এটিপি অর্থাৎ শক্তি তৈরি করে ফেলতে পারবে। এটা হচ্ছে একধরণের ইঞ্জিনের মতো)। আমাদের টিস্যুগুলো তখন আর অক্সিজেন পেতোনা।

🔵তুমি কেমন ডিজাইনার? এত নির্ভূল আর যৌক্তিক তোমার ডিজাইনগুলো।

সেন্ট্রিয়োল দেয়া হল সবখানে। শুধু দেয়া হলোনা নিউরন আর গ্লিয়াল সেল এ। যদি আমাদের ব্রেইনের সেল গুলোতে সেন্ট্রিওল থাকতো, তাহলে এই সেন্ট্রিওল প্রতিটি কোষকে বিভাজিত করে নতুন কোষ তৈরী করে ফেলতো। ফলস্বরূপ, আমরা যা তথ্য সঞ্চয় করে রেখেছি আমাদের মেমোরিতে, সব এক প্রেসে কেল্লাফতে!! পাওনাদারের টাকা পাওনাদারও ভূলে যেতো দেওনাদারও ভূলে যেতো!😁

🔵তুমি কেমন ডিজাইনার? এতো যৌক্তিক তোমার ডিজাইন।

আমি যখন পোস্টেরিওর থোরাসিক ওয়ালের (বক্ষপিঞ্জরের পিঠের দিকের দিকের অংশ) ব্লাড সাপ্লাই ধরলাম, আমি জানতে পারলাম- এখানে ডিসেন্ডিং থোরাসিক এওর্টা মোটাদাগে সবাইকে সাপ্লাই দিচ্ছে। কিন্তু ২ মিনিটের একটা খটকা আমার লাগলো। কারণ আমি জানি, লেফট হার্ট থেকে এওর্টা বের হয়ে কার্ভ করে শেষে যখন ডিসেন্ড করতে শুরু করেছে, ততক্ষণে উপরের দু'টি রিবস (পাঁজর) মিস হয়ে গেছে। আবার এটাও ভাবলাম যে, কেউ তো দিয়েছে নিশ্চই। না হয় ব্লাড ছাড়া কিভাবে চলবে রিবস দু'টি। না, কেউ এসে দিয়েছে। জেনে গেলাম। 'কস্টোসারভাইকাল ট্রাঙ্ক' নামের একজন নেমে এসে ঠিকই দিয়েছে! যে 'সাবক্ল্যভিয়ান আর্টারি' তাঁরতাঁর চলে যাচ্ছিল, কি দরকার পড়লো ঐখানে দুটো ব্রাঞ্চ ছেড়ে দেবার!
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম এক মুহুর্তের জন্য! তখনকার অনুভুতি কি যে ছিলো, বলে বোঝাতে পারবোনা।

🔵তুমি কেমন ডিজাইনার? তোমার ডিজাইন এত জ্যামিতিক।

টেবিলের এক কোণায় একটি বই রেখে দিলে তিন থেকে চার দিন পর সেখানে ১ সেন্টিমিটার ধূলোর আস্তর পরে। অথচ প্রতিটা অবচেতন মনে টেনে নেয়া শ্বাসে আধা লিটারের মত বাতাস টেনে নিচ্ছি প্রতি মুহূর্তে। একটু জোরে টান দিলেতো এক লিটারই ঢুকে পড়ে। বাতাসে এত ধূলিকণা আর জীবাণু! তবু কি আশ্চর্য্য!! কেকের মত স্পঞ্জি আর সফট ফুসফুসটার কিছু হয়না। আস্তরও পড়েনা। পড়বে কি করে? পুরো ট্রাকিয়া আর নাসাল এয়ার ওয়ে জুড়ে রয়েছে সিলিয়ারি বিট! প্রাকৃতিক ঝাড়ুদার। প্রতিনিয়ত ঝাড়ুদিচ্ছে ধূলিকণাগুলোকে।

🔵তুমি এ কেমন ডিজাইনার? এত নির্ভূল, নিখুঁত আর যৌক্তিক তোমার ডিজাইন!

সুবহানাল্লাহ

"হে মানুষ সকল, তোমাদের কি এমন জিনিস যেটা তোমার রব থেকে তোমাকে গাফিল করে রেখেছে? অথচ তিনি তোমাকে কত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন আর সামঞ্জস্য করে দিয়েছেন।"
------সূরা ইনফিত্বার (৫-৬)
- কালেক্টেড

07/10/2024

Assalamu Alaikum owa Rahmatullah.... Books are not enough for making good personality, goal-oriented, self-driving, innovative, and pious human being. But an ideal instructor can do that. Dr. S.M.Raeesuddin (Vising faculty, Hamdard University Bangladesh) is a personality, is a character, is an instructor in my life like that. Alhamdulillah I am happy to get him as a Model of Duniya, Akhira and Unani Medicine . Insha Allah I will try heart to soul to follow your instructions to establish Unani System of Medicine in Bangladesh. Pray for us.

Dr. Md. Shohidul Islam
Lecturer,
Medicine Faculty
Hamdard University Bangladesh

10/09/2024
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ হিজামার মাধ্যমে চিকিৎসা সমূহঃ1. সাধারণ/আঘাতে ব্যথা2. মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন3. মৃগী/অন্যা...
10/09/2024

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ

হিজামার মাধ্যমে চিকিৎসা সমূহঃ
1. সাধারণ/আঘাতে ব্যথা
2. মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন
3. মৃগী/অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধি
4. আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য জয়েন্ট বা হাড়ের সমস্যা
5. টানা বা ব্যথা পেশী
6. উচ্চ রক্তচাপ
7. উচ্চ কলেস্টেরল
8. কোষ্ঠকাঠিন্য বা আইবিএস
9. হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্ট/ফুসফুসের সমস্যা
10. ত্বকের অবস্থা
11. এলার্জি
12. স্ট্রোক / পি অ্যারালাইসিস / numbness/post স্ট্রোক অক্ষমতা
13. অনিদ্রা, উদ্বেগ এবং বিষন্নতা
14. মাসিক ক্যাম্প, পিএমএস এবং বন্ধ্যাত্ব

নববী নির্দেশনার আলোকে হিজামা চিকিৎসা ব্যবস্থা :::

1. হযরত ইবনে আব্বাস রাযি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগমুক্তি রয়েছে।হিজামাতে, মধু পানে এবং আগুন দিয়ে দাগ দেওয়াতে, তবে আমার উম্মতকে আমি আগুন দিয়ে দাগ দিতে নিষেধ করছি।

২. হযরত জাবের রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তোমাদের ঔষষ সুমূহের কোনোটির মাঝে যদি রোগমুক্তি থাকে, তাহলে তা আছে হিজামা লাগানোর মধ্যে কিংবা মধুপানের মধ্যে অথবা আগুন দিয়ে ঝলসানোর মধ্যে। কিন্তু আগুন দিয়ে ঝলশানোর বা দাগ দেওয়া আমি পছন্দ করি না।
3. হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, তোমর যেসব জিনিস দিয়ে চিকিৎসা করো, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হলো হিজামা লাগানো এবং কুস্তল বাহইর (কুস্ত/মিঠা কুড়)। (সহিহ বুখারি, হাসিদ নং-৫৬৯৬)

4. হযরত জাবের রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি অসুস্থ সাহাবি মুকান্না রাযি.কে দেখতে গিয়ে বলেন, তুমি যতক্ষণ হিজামা লাগাবে না ততক্ষণ আমি এখান থেকে যাব না। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় হিজামাতে রোগমুক্তির উপায় ও রোগের শিফা রয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাসিদ নং-৫৬৯৭)

5. হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু ফাযারা সোত্রের এক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট প্রবেশ করলো। ক্রমে তখন তাঁকে এক হাজ্জাম হিজামা লাগাচ্ছিলো। তাই যথারীতি সে ব্লেড দিয়ে কাটা শুরু করলো। এসব দেখে আশ্চর্য হয়ে বেদুঈন বললো, হে আল্লাহর রা: সা: এটা কী? উত্তরে তিনি বলেন, এটা 'হিজামা'। আর এটাই মানুষের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২০০৯৬)

ডা. মো: শহিদুল ইসলাম
BUMS, MPH (HUB)।
Reg. 3230।
প্রভাষক, Hamdard University Bangladesh
Mob. 01830510131
AFIYA UNANI MEDICAL CENTRE
312 Dokkhshin Jatrabari, Kutubkhali, Boro Madrasah, Steel building, 1st Floor Dhaka

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীমআসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার কর, কেননা এতে মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের...
10/09/2024

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার কর, কেননা এতে মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের নিরাময় রয়েছে। মধুতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার। সুরা আন-নাহাল, (সহীহ বুখারী, ১০ খণ্ড হাদীস নং ১২১) রসূল (স.) বলেছেন, "মধুতে রয়েছে রোগ মুক্তি”। (সহীহ বুখারী হা. ৫৬৬০)

মধু, ঘি ও কালোজিরার তৈল-ব্যবহারে উপকারসমূহ:

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির জন্য: এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস, এক কাপ রং চায়ের সাথে এক চা চামচ কালোজিরার তৈল মিশিয়ে দিনে ৩ বার নিয়মিত পান করবেন যা স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি ও দুশ্চিন্তা দূর করবে- ইনশাআল্লাহ।

মাথা ব্যথার জন্য: সামান্য পরিমাণ কালো জিরার তৈল, মাথায় হালকা গরম ছেকসহ মালিশ করবেন এবং এক চা চামচ কালোজিরার তৈল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ পান করবেন। যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং মাথার উকুন দূর করবে- ইনশাআল্লাহ।

সর্দি ও জ্বরের জন্য: সকালে ও রাতে তর্জনী আঙ্গুলে কালোজিলার তৈল লাগিয়ে নাকে নিশ্বাস টানবেন। এক চা চামচ কালোজিরার তৈল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক তিনবার সেব্য। সামান্য পরিমাণ কালোজিরার তৈল মাথা ও ঘাড়ে

মালিশ করতে হবে। আল্লাহর রহমতে রোগ মুক্তি হবে- ইনশাআল্লাহ।

বাতের ব্যথার জন্য: আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে, তাতে এক চা চামচ কাঁচা হলুদের সাথে সমপরিমাণ কালো জিরার তৈল লাগিয়ে দিবেন। একই সাথে সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ২/৩ বার করে পান করলে ইনশাআল্লাহ উপকার হবে।

বিভিন্ন চর্ম রোগের জন্য: আক্রান্ত স্থান ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালো জিরার তৈল মিশিয়ে মালিশ করবেন। একই সাথে এক চামচ কালোজিরার তৈল ও দুই চামচ মধু মিশিয়ে এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক তিনবার করে সেবন করলে উপকার হবে- ইনশাআল্লাহ।

হার্টের বিভিন্ন সমস্যার জন্য: এক চা চামচ কালোজিরার তৈলসহ এক কাপ পাতলা করে দুধ দৈনিক ২ বার করে ৪/৫ সপ্তাহ পান করবেন। শুধু কালোজিরার তৈল বুকে মালিশ করবেন। আল্লাহ রোগ মুক্তি দিবেন- ইনশাআল্লাহ।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য: প্রতিদিন রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তৈল মালিশ করে সূর্যের তাপে আধাধণ্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তৈল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন পান করলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হবে- ইনশাআল্লাহ।

অর্শ রোগের জন্য: এক চা চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তিল চূর্ণ অথবা তিলের তৈল এক চা চামচ কালোজিরার তৈলসহ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং দিন ও রাতে পান করলে রোগ ভালো হবে- ইনশাআল্লাহ।

শ্বাস কষ্ট হাঁপানির জন্য: এক চা চামচ কালোজিরার তৈল, এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত পান করলে রোগ ভালো হবে- ইনশাআল্লাহ।

ডায়াবেটিসের জন্য: এক চা চামচ কালোজিরার তৈল, এক কাপ রং চা অথবা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২/৩ বার নিয়মিত সেব্য। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ফলপ্রসূ -আলহামদুলিল্লাহ

পুরুষত্বহীন ও দ্রুত বীর্যপাত রোগের জন্য: এক চা চামচ মাখন, এক চা চামচ জাইতুন

তৈল সমপরিমাণ কালোজিরার তৈল ও মধুসহ দৈনিক ৩ বার ৪/৫ সপ্তাহ অথবা সর্বদা ব্যবহার করলে আল্লাহর রহমতে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে- ইনশাআল্লাহ।

অনিয়মিত মাসিক স্রাব বা মেহ/প্রমেহ রোগের জন্য: এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা

সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক চা চামচ কালোজিরার তৈল মিশিয়ে দৈনিক।

৩ বার নিয়মিত পান করবে। আল্লাহ সুস্থ করবেন- ইনশাআল্লাহ।

দুগ্ধ দানকারী মাদের স্তনের দুধ বৃদ্ধির জন্য: এক চা চামচ কালো জিরার তৈল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত পান করবেন। আল্লাহ স্তনের দুধ বৃদ্ধ করবেন- ইনশাআল্লাহ।

ত্বকের আদ্রতার জন্য: শীতকালে ত্বকের আদ্রতার জন্য বডি লোশনের পরিবর্তে কালোজিরা ও জাইতুন তৈল এক সাথে মিশিয়ে সারা শরীরে মালিশ করুন। যা অত্যন্ত আর্দ্র ও লাবণ্যময় এবং চর্মরোগের ঝুঁকি কমাবে। বিশেষভাবে শিশুর ত্বকের জন্য এই পদ্ধতিতে সারা বছর ব্যবহার করা যায়। আল্লাহ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবেন- ইনশাআল্লাহ।

গ্যাস্টিক/আলসার আমাশয়ের জন্য: এক চামচ মেথি খালি পেটে প্রতিদিন একবার। এক

চা চামচ তৈল সমপরিমাণ মধু ও অর্ধ চামচ মেথির পাউডারসহ দিনে ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য। ইনশাআল্লাহ রোগ নিরাময় হবে।

জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার জন্য: এক গ্লাস ত্রিফলার রসের শরবত এবং কালোজিরার তৈল দিনে ৩ বার ৪/৫ সপ্তাহ পান করবেন। আল্লাহ লিভার ক্যানসারের হাত থেকে বাঁচাবেন।

বি.দ্র.-হাদীস অনুযায়ী কালোজিরায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে অতুলনীয়। কালোজিরার রস/তৈলের মধ্যেই বিদ্যমান। ফলে কালোজিরার তৈল ব্যবহার ও সেবন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি করে এবং রোগ মুক্ত রাখে। এটি রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন আদর্শ সহীহ হাদিস থেকে প্রমাণিত।

সতর্কতা: গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তৈল সেবন করা উচিত নয়। আল্লাহ আমাদের রোগ মুক্তি (শেফা) দান করুন- আমীন।

(খাঁটি মধু অনেক সময় জমে যায়)।

ডা. মো: শহিদুল ইসলাম
প্রভাষক
মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি
হামদর্দ ইউভার্সিটি বাংলাদেশ
চেম্বার, আফিয়া ইউনানি মেডিকাল সেন্টার
যাএাবাড়ী, ঢাকা।

Address

Kutubkhali
Dhaka
1204

Telephone

+8801830510131

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Afia Unani Medical Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Afia Unani Medical Centre:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram