ROWSHON PHYSIOTHERAPY CENTER

ROWSHON PHYSIOTHERAPY CENTER এটি একটি আধুনিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার।আমাদের মুল লক্ষ ব্যথা এবং পঙ্গুত্ত মুক্ত জীবন গড়া।
www.therapybd.com

আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি একটি আধুনিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার। এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন ম্যানুয়াল টেকনিক এর মাধ্যমে দক্ষ ফিজিওথেরাপিষ্ট দ্বারা যত্নের সাথে রোগীদের সেবা দেয়া হয়।এখানে সব ধরণের ফিজিওথেরাপি রোগে আক্রান্ত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

25/04/2025

Patient with cervical pr*****ed disc,
giving his feedback about Rowhson Physiotherapy Center.

Rowshon Physiotherapy Center (RPC) is one of the best therapy centers, offering quality care through friendly, expert therapists and skilled assistant physiotherapists.

Book your appointment now

our website - https://therapybd.com/
call - 01911396748
email - shuvophysio@gmail.com

স্ট্রোক: কারণ, প্রভাব এবং ফিজিওথেরাপির ভূমিকা :স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ...
18/04/2025

স্ট্রোক: কারণ, প্রভাব এবং ফিজিওথেরাপির ভূমিকা :
স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হলে ঘটে। এটি আমাদের দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। স্ট্রোকের পর সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা না পেলে এটি শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক দিক থেকে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

স্ট্রোক কী এবং এটি কেন ঘটে?
স্ট্রোক মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে:

1. ইস্কেমিক স্ট্রোক (Ischemic Stroke): এটি সবচেয়ে সাধারণ স্ট্রোক, যেখানে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে ব্লকেজ তৈরি হয়, ফলে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না।

2. হেমোরেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic Stroke): এটি তখন ঘটে যখন মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো রক্তনালী ফেটে যায় এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

স্ট্রোকের প্রধান কারণসমূহ :
বাংলাদেশে স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধির পেছনে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে:

1. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension): এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ। আমাদের দেশে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতন নয় এবং এর নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করে না।

2. ডায়াবেটিস (Diabetes): নিয়ন্ত্রিত না হলে ডায়াবেটিস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

3. ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন: এগুলো রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

4. উচ্চ কোলেস্টেরল: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তনালীগুলোতে ফ্যাটি ডিপোজিট তৈরি করে, যা রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

5. অনিয়মিত জীবনযাপন: পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাব, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

বাংলাদেশে স্ট্রোকের প্রভাব :
বাংলাদেশে স্ট্রোকের প্রভাব ব্যাপক এবং বিপর্যয়কর হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, যেখানে চিকিৎসা সেবার অভাব রয়েছে, সেখানে স্ট্রোকের পর যথাযথ পুনর্বাসন পরিষেবা পাওয়া কঠিন। স্ট্রোকের ফলে অনেক রোগী চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, যেটি তাদের জীবনের মানকে মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেয়।

ফিজিওথেরাপি: স্ট্রোকের পরে পুনর্বাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় :
স্ট্রোকের পরে ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি না শুধুমাত্র শারীরিক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে, বরং মানসিক ও সামাজিক পুনর্বাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

1. মোটর স্কিল পুনরুদ্ধার: স্ট্রোকের ফলে শরীরের একপাশে বা পুরো শরীরে পক্ষাঘাত ঘটতে পারে। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে এই পেশিগুলোর ক্ষমতা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা যায়।

2. ভারসাম্য ও সমন্বয় (Balance and Coordination): ফিজিওথেরাপি ব্যালেন্স এবং সমন্বয় উন্নত করতে সহায়তা করে, যা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

3. মোবিলিটি উন্নতি: ফিজিওথেরাপি সেশনগুলোর মাধ্যমে হাঁটা, বসা, এবং ওঠা-নামার মতো কার্যক্রমগুলো ধীরে ধীরে পুনরায় শিখানো হয়।

4. নিউরোপ্লাস্টিসিটি (Neuroplasticity): ফিজিওথেরাপি নিউরোপ্লাস্টিসিটিকে উদ্দীপ্ত করে, যা মস্তিষ্কের সুস্থ অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কাজ নিতে সহায়তা করে।

5. মানসিক সাপোর্ট: স্ট্রোকের পরে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে নিয়মিত কাজ করা রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়।

বাংলাদেশে স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা ও চ্যালেঞ্জ :
বাংলাদেশে স্ট্রোকের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম যথেষ্ট উন্নত হলেও চ্যালেঞ্জ এখনও প্রচুর। বিশেষ করে, ফিজিওথেরাপি সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুলভ নয়। তবে, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্টের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

স্ট্রোক এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আমাদের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা। আর যদি স্ট্রোক হয়ে যায়, তবে যত দ্রুত সম্ভব ফিজিওথেরাপি শুরু করা উচিত। কারণ, সঠিক পুনর্বাসনই একজন স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীকে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে।

পায়ের গোড়ালির ব্যথা: ক্যালকেনিয়াস স্পার—কারণ, লক্ষণ এবং করণীয়আপনার কি কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গিয়ে পায়ের গোড়া...
12/03/2025

পায়ের গোড়ালির ব্যথা: ক্যালকেনিয়াস স্পার—কারণ, লক্ষণ এবং করণীয়

আপনার কি কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গিয়ে পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়েছে? কিংবা দিনের শেষে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর দাঁড়ালে আপনার গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করছেন? এই ব্যথা ক্যালকেনিয়াস স্পার বা হিল স্পার হতে পারে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল অসুবিধার কারণ হতে পারে। আসুন, এই সাধারণ অথচ দুর্বিষহ সমস্যাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ক্যালকেনিয়াস স্পার কী?
ক্যালকেনিয়াস স্পার হলো পায়ের গোড়ালির হাড়ের (ক্যালকেনিয়াম) নিচের দিকে হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি। এটি দেখতে ছোট কাঁটার মতো হয়, যা হাঁটার সময় বা পায়ের ওপর চাপ পড়লে ব্যথার সৃষ্টি করে। যদিও এই স্পার সাধারণত খুব ছোট হয়, তবে এটি পায়ের নরম টিস্যুতে জ্বালা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা হাঁটাহাঁটি বা দৈনন্দিন কাজকর্মকে কঠিন করে তোলে।

কেন হয় ক্যালকেনিয়াস স্পার?
ক্যালকেনিয়াস স্পার সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চাপ বা প্রেশারের কারণে হয়। এটি কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার কারণে ত্বরান্বিত হতে পারে:

1. প্লান্টার ফ্যাসাইটিস (Plantar Fasciitis): পায়ের নিচের অংশে একটি মোটা ব্যান্ড যা পায়ের আর্চ ধরে রাখে। এই ব্যান্ডের প্রদাহ দীর্ঘদিন থাকলে হিল স্পারের কারণ হতে পারে।

2. অতিরিক্ত ওজন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন পায়ের গোড়ালিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

3. প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়ার অতিরিক্ত টান: প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া টানতে টানতে হিলের সাথে যুক্ত জায়গায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্ষত তৈরি হয়, যা হাড়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

4. পায়ের অনুপযুক্ত জুতা: এমন জুতা যা পর্যাপ্ত আরাম দেয় না বা পায়ের সাপোর্ট করে না, তা হিল স্পার তৈরি করতে পারে।

লক্ষণ: কীভাবে বুঝবেন আপনার ক্যালকেনিয়াস স্পার হয়েছে?
ক্যালকেনিয়াস স্পারের প্রধান লক্ষণ হলো পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা, যা সাধারণত সকালে বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর প্রথম পদক্ষেপে বেশি অনুভূত হয়। এছাড়াও:

গোড়ালির নিচের অংশে তীব্র বা মৃদু ব্যথা।

হাঁটতে বা দৌড়াতে অসুবিধা হওয়া।

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হেঁটে চলতে গেলে ব্যথা বাড়তে পারে।

ক্যালকেনিয়াস স্পার থেকে মুক্তির উপায়
ক্যালকেনিয়াস স্পারের চিকিৎসা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যেতে পারে। এরমধ্যে কিছু ফিজিওথেরাপি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন রয়েছে যা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে:

1. স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেনথেনিং এক্সারসাইজ: প্লান্টার ফ্যাসিয়া এবং অ্যাকিলিস টেন্ডনের স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গোড়ালির পেশি এবং লিগামেন্ট শক্তিশালী করতে ব্যায়াম করা যেতে পারে।

2. অর্থোটিক্স এবং সাপোর্টিভ ফুটওয়্যার: পায়ের আর্চকে সাপোর্ট দেয় এমন অর্থোটিক্স বা জুতা ব্যবহার করে ক্যালকেনিয়াস স্পারের ওপর চাপ কমানো যায়।

3. ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে প্লান্টার ফ্যাসিয়ার মবিলিটি এবং পায়ের পেশি শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন থেরাপিউটিক ব্যায়াম এবং ম্যানুয়াল থেরাপি করা হয়।

4. হিট এবং কোল্ড থেরাপি: গোড়ালিতে বরফ প্রয়োগ করে প্রদাহ কমানো যেতে পারে, আবার তাপ প্রয়োগ করে পেশি শিথিল করা যায়।

5. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানো গেলে পায়ের গোড়ালির ওপর চাপ কমে, ফলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

বাংলাদেশে ক্যালকেনিয়াস স্পারের প্রভাব
বাংলাদেশে ক্যালকেনিয়াস স্পারের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, গ্রামাঞ্চলে এবং শহরাঞ্চলে অনেক মানুষই এই সমস্যায় ভুগছেন, কিন্তু প্রায়ই এটি সঠিকভাবে নির্ণয় বা চিকিৎসা করা হয় না। ফলে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা এবং অক্ষমতা সৃষ্টি হতে পারে, যা জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয়।

ক্যালকেনিয়াস স্পার প্রতিরোধের উপায়
ক্যালকেনিয়াস স্পার প্রতিরোধ করা কঠিন হলেও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এর ঝুঁকি কমানো যেতে পারে:

সঠিক সাপোর্টিভ ফুটওয়্যার ব্যবহার করুন।

নিয়মিত স্ট্রেচিং এবং পায়ের ব্যায়াম করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন।

ক্যালকেনিয়াস স্পার একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি আপনার জীবনে বিশাল অসুবিধার কারণ হতে পারে চমৎকার এবার মাসেল ইস্পাজন নিয়ে সুন্দর একটি আর্টিকেল লেখ যেখানে বাংলাদেশের প্রিভিলেন্সের দরকার নেই তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্টিকেল টি লাগবে.।।

সবাইকে জানাই রমজানুল মোবারাক🤍🫂
03/03/2025

সবাইকে জানাই রমজানুল মোবারাক🤍🫂

মাংসপেশির স্পাজম: চাকরিজীবীদের নীরব শত্রুআপনি কি দীর্ঘ সময় ধরে ডেস্কে বসে কাজ করেন? কিংবা কম্পিউটারের সামনে অনেকক্ষণ কা...
21/02/2025

মাংসপেশির স্পাজম: চাকরিজীবীদের নীরব শত্রু

আপনি কি দীর্ঘ সময় ধরে ডেস্কে বসে কাজ করেন? কিংবা কম্পিউটারের সামনে অনেকক্ষণ কাটান? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার মাংসপেশির স্পাজম (Muscle Spasm) বা টান লাগা একটি পরিচিত সমস্যা হতে পারে। আজকের ব্যস্ত চাকরিজীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মাংসপেশির স্পাজম যেন নীরব শত্রুর মতো আমাদের কর্মক্ষমতা এবং সুস্থতার ওপর আঘাত হানছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাংসপেশির স্পাজম কী, কেন হয়, এবং এটি থেকে মুক্তির উপায়।

মাংসপেশির স্পাজম কী?

মাংসপেশির স্পাজম হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে পেশির টিস্যুগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস সৃষ্টি হয়। এর ফলে পেশির ফাইবারগুলোতে মাইক্রো টিয়ার বা ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা ব্যথা, শক্ত হয়ে যাওয়া, এবং নড়াচড়ায় অসুবিধার সৃষ্টি করে। এই সমস্যা সাধারণত অতিরিক্ত বা অনিয়মিত পেশির ব্যবহার, দীর্ঘ সময় ধরে একভাবে বসে থাকা, বা অস্বাস্থ্যকর কাজের অভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে।

মাংসপেশির স্পাজম কেন হয়?
চাকরিজীবীদের মধ্যে মাংসপেশির স্পাজম হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

1. দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা: যারা অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডেস্কে বসে কাজ করেন, তাদের পিঠ, ঘাড়, এবং কাঁধের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে এই অঞ্চলে পেশির টান লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

2. অস্বাস্থ্যকর বসার ভঙ্গি: সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় না রেখে বসার কারণে পেশির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা স্পাজমের কারণ হতে পারে।

3. কম্পিউটার ব্যবহারের সময় ভুল উচ্চতা: চেয়ারের উচ্চতা, কম্পিউটারের মনিটর এবং কিবোর্ডের অবস্থান যদি সঠিক না হয়, তবে এটি কাঁধ ও ঘাড়ের পেশিতে টান সৃষ্টি করতে পারে।

4. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ: মানসিক চাপ শরীরের পেশিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং পেশির টান সৃষ্টি করতে পারে।

5. ব্যায়ামের অভাব: যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, তাদের পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং সহজেই স্পাজমের শিকার হতে পারে।

মাংসপেশির স্পাজমের লক্ষণ->
মাংসপেশির স্পাজমের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

- ব্যথা বা অসুবিধা অনুভব করা।
- পেশি শক্ত বা শক্ত হয়ে যাওয়া।
- নড়াচড়া করতে কষ্ট হওয়া।
- আক্রান্ত অঞ্চলে ফোলা বা ফুলে যাওয়া।
- আক্রান্ত স্থানে স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভব করা।

মাংসপেশির স্পাজমের সমাধান এবং প্রতিরোধ:

যদি আপনি মাংসপেশির স্পাজমের সমস্যায় ভুগছেন, তবে কিছু সাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি এটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করতে পারেন:

1. সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় রাখা: কাজ করার সময় সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় রাখুন। পিঠ সোজা করে বসুন, ঘাড় এবং কাঁধ শিথিল রাখুন, এবং মনিটর চোখের সমতলতায় রাখুন।

2. নিয়মিত বিরতি নিন: একটানা দীর্ঘ সময় বসে না থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর উঠে হাঁটাহাঁটি করুন, যাতে পেশিগুলো শিথিল থাকে।

3. স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম: নিয়মিত স্ট্রেচিং এবং হালকা ব্যায়াম মাংসপেশির শক্তি বাড়াতে এবং স্পাজম থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। বিশেষ করে ঘাড়, কাঁধ, এবং পিঠের জন্য নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ কার্যকর হতে পারে।

4. আবেদনযোগ্য হিট বা কোল্ড থেরাপি: স্পাজম হলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা প্যাক বা গরম পানির ব্যাগ প্রয়োগ করে ব্যথা এবং প্রদাহ কমানো যেতে পারে।

5. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মানসিক চাপ কমানোর জন্য রিল্যাক্সেশন টেকনিক যেমন ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন, এবং পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

6. ফিজিওথেরাপি: দীর্ঘমেয়াদী মাংসপেশির স্পাজম হলে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। তারা বিশেষ থেরাপিউটিক টেকনিক এবং এক্সারসাইজের মাধ্যমে আপনার স্পাজম নিরাময় করতে সহায়ক হতে পারেন।


মাংসপেশির স্পাজম চাকরিজীবীদের জন্য একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর সমস্যা। সঠিক সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। কাজের মাঝে নিয়মিত বিরতি, সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় রাখা, এবং পেশিগুলোর যত্ন নেওয়া আপনার কর্মক্ষমতা এবং জীবনযাত্রার মান বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার শরীরের যত্ন নেওয়া কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি একটি প্রয়োজনীয়তা।

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস: এক নীরব সমস্যা ও তার সমাধান:-আপনার কি কখনো কব্জি থেকে বুড়ো আঙুল পর্যন্ত ব্যথা অনুভূত হয়েছে...
07/01/2025

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস: এক নীরব সমস্যা ও তার সমাধান:-

আপনার কি কখনো কব্জি থেকে বুড়ো আঙুল পর্যন্ত ব্যথা অনুভূত হয়েছে? কিংবা কিছু তুলতে গেলে ব্যথা বেড়ে যায়? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এটি হতে পারে ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস। এই রোগটি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে বেশ জটিল করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যাদের পেশাগত কারণে হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার করতে হয়। চলুন, এই নীরব অথচ যন্ত্রণাদায়ক সমস্যাটি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানি।

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস কী?

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে কব্জি এবং বুড়ো আঙুলের গোড়ায় থাকা টেন্ডনগুলোর আশেপাশের টিস্যুতে (টেনোসাইনোভিয়াল শীথ) প্রদাহ দেখা দেয়। এই প্রদাহের ফলে টেন্ডনগুলোর চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। সাধারণত এই অবস্থাটি বেশি দেখা যায় তাদের মধ্যে, যারা হাত এবং কব্জির ওপর অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কাজ করেন।

কেন হয় ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস?

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিসের পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো:

অত্যধিক বা পুনরাবৃত্তিমূলক হাতের ব্যবহার: যেসব কাজ বারবার হাতের নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে চাপ সৃষ্টি করে, যেমন টাইপ করা, লেখা, বা ভারি জিনিস তোলা, সেগুলো এই অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়।

কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার: যারা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

শারীরিক আঘাত: হাত বা কব্জিতে আঘাত পেলে বা টান লাগলে টেন্ডনে প্রদাহ দেখা দিতে পারে, যা পরবর্তীতে ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিসে রূপ নিতে পারে।

হরমোনাল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থার পর বা মেনোপজের সময় মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, কারণ এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তন টেন্ডনের নমনীয়তায় প্রভাব ফেলে।

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিসের লক্ষণ:

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

বুড়ো আঙুলের গোড়া থেকে কব্জি পর্যন্ত ব্যথা।

ব্যথার পাশাপাশি ফোলাভাব বা ফুলে যাওয়া।

কিছু ধরার সময় বা বুড়ো আঙুল নড়ানোর সময় ব্যথা বেড়ে যাওয়া।

কব্জির নড়াচড়ায় অস্বস্তি এবং কঠোরতা।

হাতের ওপর চাপ দিলে বা কিছু তুলতে গেলে ব্যথা তীব্র হওয়া।

কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস নির্ণয়ের জন্য একটি সাধারণ পরীক্ষা হলো #ফিঙ্কেলস্টেইন_টেস্ট। এই টেস্টে রোগীকে তার বুড়ো আঙুল মুঠোর মধ্যে রাখার পর কব্জিকে ছোট আঙুলের দিকে বাঁকাতে বলা হয়। এই অবস্থায় ব্যথা হলে, তা ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিসের লক্ষণ হতে পারে।

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিসের চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনা :

এই অবস্থার চিকিৎসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় কাজ এবং চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করে:

হাতকে বিশ্রাম দিন: প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে হাতের ওপর চাপ কমানো এবং যতটা সম্ভব হাতকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত।

আইস প্যাক প্রয়োগ: ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে আইস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফিজিওথেরাপি: একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে নিয়মিত থেরাপি সেশন ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এর মধ্যে হালকা স্ট্রেচিং, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, এবং নির্দিষ্ট ম্যানুয়াল থেরাপি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

স্প্লিন্টিং: ক্ষতিগ্রস্ত অংশে চলাচল সীমাবদ্ধ করতে এবং প্রদাহ কমাতে স্প্লিন্ট ব্যবহার করা হতে পারে। এটি হাতকে স্থির রেখে নিরাময়ে সাহায্য করে।

ওষুধ: ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে কখনো কখনো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে।

ইনজেকশন থেরাপি : কখনো কখনো কোর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অস্ত্রোপচার: যদি উপরের পদ্ধতিগুলো কাজ না করে, তবে চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারেন। এটি সাধারণত শেষ বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ডি কুয়েরভেন টেনোসাইনোভাইটিস একটি সাধারণ কিন্তু উপেক্ষিত সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনা আপনার জীবনে এই সমস্যার প্রভাব কমাতে পারে। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকা এবং হাতের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ কমানোই এই সমস্যার প্রধান প্রতিরোধক।

মেনিস্কাস ইনজুরি: কারণ, লক্ষণ এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনরুদ্ধারমেনিস্কাস ইনজুরি হাঁটুর একধরনের ক্ষতি যা প্রায়শই খেলাধ...
02/01/2025

মেনিস্কাস ইনজুরি: কারণ, লক্ষণ এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনরুদ্ধার

মেনিস্কাস ইনজুরি হাঁটুর একধরনের ক্ষতি যা প্রায়শই খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দেখা যায়, বিশেষ করে যারা ফুটবল, বাস্কেটবল বা টেনিসের মতো স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত। তবে, যেকোনো বয়সের এবং কার্যকলাপের মানুষের মধ্যেই এই ইনজুরি হতে পারে, বিশেষ করে যখন হঠাৎ করে হাঁটুর মোচড়ানো হয় বা ভারী কাজ করা হয়। মেনিস্কাস ইনজুরির চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, যা কেবল ব্যথা উপশম করে না, বরং হাঁটুর কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করে।

মেনিস্কাস ইনজুরি: কী এবং কীভাবে হয়

মেনিস্কাস হলো হাঁটুর দুটি চর্বিযুক্ত কার্টিলেজের এক প্রকার, যা হাঁটুর জয়েন্টে বাফার হিসেবে কাজ করে এবং শকের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। হাঁটুর অতিরিক্ত মোচড়ানো বা আঘাতের ফলে মেনিস্কাস ছিঁড়ে যেতে পারে, যা মেনিস্কাস টিয়ার নামে পরিচিত। কিছু সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে:

আকস্মিক মোচড়ানো বা বাঁকানো: বিশেষ করে ফুটবল বা টেনিসের মতো স্পোর্টসের সময়।

ভারী কিছু ওঠানো বা বহন করা: দীর্ঘ সময় ধরে ভারী কাজ করার ফলে হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

বার্ধক্যজনিত ক্ষয়: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেনিস্কাস দুর্বল হয়ে যায় এবং ইনজুরির ঝুঁকি বাড়ে।

মেনিস্কাস ইনজুরির লক্ষণ

মেনিস্কাস ইনজুরির লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

হাঁটুর ব্যথা: হাঁটুর ভেতরের বা বাইরের অংশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে, বিশেষ করে হাঁটুর মুভমেন্টের সময়।

ফোলাভাব এবং শক্তভাব: ইনজুরির পরপরই হাঁটুতে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে এবং হাঁটু শক্ত হয়ে যেতে পারে।

মুভমেন্টে সীমাবদ্ধতা: হাঁটু পুরোপুরি বাঁকানো বা সোজা করতে কষ্ট হতে পারে।

লকড বা ক্লিকিং ফিলিং: হাঁটু মুভমেন্টের সময় আটকে যাওয়া বা ক্লিক করার অনুভূতি হতে পারে।

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনরুদ্ধার

মেনিস্কাস ইনজুরির চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্রুত সুস্থতা অর্জন সম্ভব। কিছু কার্যকর পদ্ধতি হলো:

ম্যাসেজ এবং ম্যানুয়াল থেরাপি: হাঁটুর পেশি ও টেন্ডনগুলোকে শিথিল করার জন্য ম্যানুয়াল থেরাপি এবং ম্যাসেজ থেরাপি কার্যকরী হতে পারে।

স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ: হাঁটুর পেশীগুলোর নমনীয়তা এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, সোজা পা উত্তোলন (SLR), হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ এবং কোয়াড্রিসেপ স্ট্রেন্থেনিং ব্যায়াম।

ইলেক্ট্রোথেরাপি: ইলেক্ট্রোথেরাপি যেমন TENS বা আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।

অ্যাক্টিভিটি মডিফিকেশন: ফিজিওথেরাপিস্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দৈনন্দিন কার্যক্রম সাময়িকভাবে পরিবর্তন করা উচিত যাতে হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।

সার্জারির প্রয়োজনীয়তা

কিছু ক্ষেত্রে, মেনিস্কাস টিয়ার গুরুতর হলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। তবে, সার্জারির পরও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্জারির পর ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে হাঁটুর মুভমেন্ট এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করা যায়।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

মেনিস্কাস ইনজুরি প্রতিরোধের জন্য কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা উচিত:

সঠিক ওয়ার্ম-আপ: যেকোনো স্পোর্টস বা ভারী কাজের আগে সঠিকভাবে ওয়ার্ম-আপ করা উচিত।

সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার: খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার সময় সঠিক টেকনিক এবং পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি।

অতিরিক্ত চাপ এড়ানো: হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা উচিত।

উপসংহার

মেনিস্কাস ইনজুরি একটি গুরুতর সমস্যা, যা সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় পরিণত হতে পারে। ফিজিওথেরাপি মেনিস্কাস ইনজুরির পুনরুদ্ধারে একটি কার্যকর পদ্ধতি। সঠিক ব্যায়াম, ম্যানুয়াল থেরাপি এবং ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ মেনে চললে দ্রুত সুস্থতা অর্জন সম্ভব। ইনজুরির পরপরই চিকিৎসা শুরু করলে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয় এবং পুনরায় ইনজুরির ঝুঁকি কমে।

রওশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পক্ষ থেকে সবাই কে জানাই ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক 🌙❤️
16/06/2024

রওশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পক্ষ থেকে সবাই কে জানাই ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা

ঈদ মোবারক 🌙❤️

ঘাড় ব্যথা উপশমে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর। কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে নিয়ম করে থেরাপি নিতে হবে। ফিজিওথেরাপিস্টর...
02/05/2024

ঘাড় ব্যথা উপশমে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর। কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে নিয়ম করে থেরাপি নিতে হবে। ফিজিওথেরাপিস্টরাই থেরাপির রুটিন তৈরি করে দিবেন। আর এই সময়ের মধ্যে কোন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে তা অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে।

01/05/2024

আমাদের রওশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার....

Life with Back Pain
22/04/2024

Life with Back Pain

Address

৬৮/৪, 60 ফিট রোড, কামাল সরণী, পীরেরবাগ, মিরপুর 2, ঢাকাdhaka
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 14:00 - 21:00
Tuesday 10:00 - 21:00
Wednesday 14:00 - 21:00
Thursday 15:00 - 21:00
Friday 16:00 - 21:00
Saturday 14:00 - 21:00
Sunday 10:00 - 21:00

Telephone

+8801911396748

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ROWSHON PHYSIOTHERAPY CENTER posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ROWSHON PHYSIOTHERAPY CENTER:

Share