‘বাংলাদেশে প্রতিবছর ৬৪ লাখ মানুষ চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দরিদ্র হয়ে পড়ে’ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের গবেষণা থেকে এই ভয়ংকর চিত্র বেড়িয়ে এসেছে। এমন তথ্য যখন বেড়িয়ে আসবে তখন আতঙ্ক আরো বাড়বে, বাড়বে এই জন্যই যে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে শারীরিক সচেতনার চরম অভাব রয়েছে, সেই সাথে চিকিৎসা বাণিজ্য বিস্তারে মানুষ মাঝে যে চকমক করা চিকিৎসা চোখের সামনে আসে, তা পরবর্তীতে মানুষকে চিকিৎসা বাণিজ্যে ফাঁদে পড়ে নি:শ্ব হওয়া ব্যতীত কোন উপায় থাকে না।
অথচ রাষ্ট্র জনগণের চিকিৎসার ভার নেওয়ার ওয়াদা করেছে সংবিধানে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন, যেখানে চিকিৎসকদের ন্যায়পরায়নতার চরম অভাব, নকল ঔষধে দেশ ডুবে আছে, টাউটদের দখলে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
আমরা ‘প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র’ বলছি আপনি সচেতন হউন, আপনার রোগের জন্য প্রাকৃতিক উপায়গুলো গ্রহন করুন, সুস্থতার জন্য খাদ্য বিষয়ে সঠিক ধারণ রাখুন।
মানুষের শরীরের নানান রোগ তার বেশীরভাগ হয় জীবনধারা ও খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে, বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপট আধুনিক সভ্যতা, নয়া কৃষি মানুষের খাদ্য যেমন সহজ প্রাপ্য করেছে তেমনি অধিক উৎপাদনের জন্য কৃষিকে নানান ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে অধিক মুনাফা নিশ্চিতকল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই কৃষি নিয়ে নানান বির্তক আছে, এর ভালমন্দ নিয়ে নানান গবেষণা হয়েছে কিন্তু মানুষের জন্য স্বাস্থকর খাদ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
যার পরিণতিতে পৃথিবীব্যাপী নানান রোগ নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকছে, মানুষের ঔষধ নির্ভশীলতা অনেক বেড়েছে। সেই সাথে ঔষধের অধিক প্রয়োগের দরুণ পার্শ্বপতিক্রিয়ায় জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র মনে করে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত এবং অসুখ হলে পার্শ্বপতিক্রিয়া বিহীন ঔষধই দিতে পারে মানুষের বেঁচে থাকার মূল স্বাদ। সেক্ষেত্রে পথ্য খাদ্য ও আকুপ্রেসারই মূল হাতিয়ার হতে পারে। যা মানুষের কাছে সহজ লভ্য এবং নিজেই তা করতে পারে এর জন্য কোন ডাক্তার, ডায়াগনসিস সেন্টার, ড্রাগ লাগেনা। মানুষ যদি জানতে পারে তার অসুখের কারণ কি এবং কি উপায়ে তার শারিরীক সুস্থ্যতা ফিরে পাবে তবেই মানুষ তার শক্তিকে মূল উৎপাদনে কাজ করতে পারবে। পৃথিবীতে মানুষের ক্ষয় কমবে।
আকুপ্রেসার এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা, শরীরে রোগ তৈরী হওয়ার সুচনাপর্বেই ধরা পরে। আমাদের শরীরে এমন কিছু রোগ বাঁধে যে রোগ শরীরে ৭০ থেকে ৮০% বৃদ্ধি না হলে কোন সিম্পটম বা উপসর্গ আসে না। আর যখন উপসর্গ বোঝা যায় তখন আর কোন চিকিৎসা করার সুযোগ থাকে না। অথচ আকুপ্রেসার এমন একটি পদ্ধতি যে, কোন রোগ তৈরি হওয়ার সূচনাপর্বেই নিজের হাতে চাপ দিলে টের পাওয়া যাবে যে, আপনার শরীরে কোন রোগ হতে চলেছে। আপনি তখন নিয়মিত আকুপ্রেসার করলে শরীরে রোগ বাঁধবেই না, এবং কোন ধরণের ঔষধ ছাড়া এবং কোন কষ্ট ছাড়া বিনা খরচে আপনি আপনার রোগটি সারতে পারবেন। প্রকৃতির এমন নিয়ামত আপনি কোন ঔষধে পাবেন না।
আকুপ্রেসার হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা, শরীর দৃশ্যমান অথচ তা চলে একটি অদৃশ্য শক্তি (জৈব বিদ্যুৎ) দ্বারা। আর আকুপ্রেসার হচ্ছে সেই অদৃশ্য শক্তি (জৈব বিদ্যুৎ) চালিত করে রোগ নিরাময় করে। যা নিখুঁত এবং পাশর্^প্রতিক্রিয়াহীন।
বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে ঘণবসতিপূর্ণ একটি দেশ, ১৬ কোটি মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরী থাকলেও কম জমিতে অধিক মুনাফার জন্য নানান বিষে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে দেশে কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, কোটি মানুষ ডায়েবেটিস, কোটি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত, সেই সাথে কিডনির জটিল সমস্যা, লিভার, ফুসফুস সহ নানান ধরণের ক্যান্সার ছেয়ে গেছে যার বেশীর কারণ খাদ্যে বিষ এবং অসচেতনতা।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার কারণে সকল মানুষের জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি, মানুষ অসুখ বিসুখে নানান ধরণের অপচিকিৎসা এবং মূল চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ার দরুণ মানুষের সুস্থ্যতা দেশে আজ গভীর সংকটে।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ব্যয় বহুল হওয়ার দরুণ নিম্ন আয়ের মানুষ চিকিৎসা নিতে পারেনা, মধ্যবিত্ত মানুষ চিকিৎসার ব্যয় মিটাতে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছে, এক গবেষণা দেখা গেছে দেশে প্রতি বছর মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে ৬৪ লাখ লোক নিঃশ্ব হয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে।
সরকারের অবকাঠামোগত অপ্রতুলতার কারণে মানুষ চাইলেও চিকিৎসা নিতে পারেনা যার দুরুন অপমৃত্যু বেড়েছে, বেড়েছে ভোগান্তী এবং অসচেতনার কারণে ছোট সমস্যাও বড় ও জটিল রূপ ধারণ করে, পরিনতিতে অপমৃত্যু। এক্ষেত্রে নারীরা বেশী ভূগছে।
সচেতনতার অভাব
আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনার অভাব রয়েছে, সেই সাথে খারাপ খাদ্যের বাহারি বিজ্ঞাপণে মানুষ স্বাস্থহানিকর খাদ্য গ্রহন করছে যার পরিণতিতে অসুস্থ্যতা আর অসুস্থ্য হলে অসচেতনার দরুন অপচিকিৎসা, নানান ভেজাল ঔষধ, সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেসার
প্রাকৃতিক চিকিৎসা মতে স্বজ্ঞানে বা অজ্ঞানে প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন করার পরিনাম হলো রোগ। তবে এসব প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ক্ষতিকর বা স্বাস্থের জন্য কোন হানিকর অবস্থা নয়। প্রাথমিকভাবে কেহ রোগে আক্রান্ত হলে সয়ংক্রিয়ভাবে দেহ নানাভাবে সঞ্চিত দূষিত টক্সিনমুক্ত করে দেহকে সুস্থ রাখে। মানুষের শরীর একটি নিখুঁদ যন্ত্র যা স্বয়ক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম। দেহ শক্তির উপাদানগুলি প্রকৃতি থেকে আহরণ করে, সেই উপাদনগুলি গ্রহনে কোন প্রকার ঘাটতি হয়ে থাকলে তখন শরীর পূর্ণমাত্রায় স্বয়ক্রিয়ভাবে চলতে বাধাগ্রস্থ হয়, ফলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সর্দি, কাশি, জ্বর, চর্মরোগ ও ডায়রিয়া দিয়েই শুরু হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে রোগ মনে করে পূর্ণ ড্রাগ বা ঔষধ দ্বারা নিরাময়ের চেষ্টা করলে রোগ সম্পূর্ণভাবে নির্মূলতো হয়না বরং এগুলো ধীরে ধীরে পুরাতন রোগ (ক্রনিক ডিজিজ) এ রূপান্তরিত হয়।
রোগ এর আরোগ্য একান্তই নির্ভর করে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। সয়ংক্রিয় পদ্ধতীতে দেহ নিজেই রোগ সাড়ায়। দূর্ঘটনায় হাঁড়গোর ভাঙ্গা ছাড়া প্রায় সবরোগেরই মূল কারণ একটি তা’হচ্ছে শরীরে জমে যাওয়া বিষ বা টক্সিন। এই জমে যাওয়া টক্সিনের কারণে শরীরে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়, তাকে রোগ মনে করে জমে থাকা টক্সিন পরিস্কার না করে উপসর্গের চিকিৎসা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে মানুষ। তাই রোগ সারাতে জীবানু ধ্বংসের ড্রাগ যেমন এন্ট্রিবায়টিক প্রয়োগ না করে দেহ সুদ্ধি করণ বা দেহ থেকে টক্সিন বেড় করে শরীর টক্সিনমুক্ত রাখলে শরীরে জীবানু ঢুকবেনা বা ঢুকলেও বেড় হয়ে যাবে।
প্রাকৃতিক চিকিৎসা মতে রোগ একটাই, রোগের কারণও একটাই এবং নিরাময়ের পথও একটাই। তা’হল রক্তে (এসিড) অম্লত্বা ও ঘণত্ব বেড়ে এর গতি মন্থর হয়ে যাওয়া এবং রক্তে অক্সিজেন কমে টক্সিড হয়ে যাওয়া। আর নিরাময়ের পথও একটিই তা’হল ডিটক্সিফিকেশেনের মাধ্যমে শরীরকে দূষিত টক্সিনমুক্ত করে রক্তের সাবলিল গতি ফিরিয়ে আনা। শরীরের অভ্যন্তরে অবস্থিত এসিড এবং এ্যালকালিন ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে শরীর কতটা সুস্থ।
গবেষণায় পরীক্ষিত যে, ক্যান্সার কোষ এসিডিক পরিবেশে প্রবল শক্তি নিয়ে বাড়তে থাকে, কিন্তু এ্যালকালিন পরিবেশে নির্জীব হয়ে যায় এবং বেশিদিন বাচতে পারেনা। রক্তে ঢ়ঐ মাত্রা যদি ৬.৮ থেকে ৭.৫ মধ্যে থাকে তাহলে শরীরের কোথাও ব্যথা অনুভব হয় না। যদি শরীরে ব্যথা থাকে তাহলে ব্যথা বিনাশকারী ঔষধ না খেয়ে রক্তের ঢ়ঐ এর দিকে নজর দিলে শরীরের ক্ষতি অনেকাংশে কমানো যাবে। এসিড এবং এ্যালকালিন খাদ্য তালিকা থেকে দৈনন্দিন খাদ্য নির্বাচন করতে হবে। দেহের জন্য উপযোগী খাদ্য অন্তত ৭০% এ্যালকালিন ৩০% এসিড খাদ্য খেতে হবে। শরীরে যে কোন পীড়া দেখা দিলে এসিডিক খাবার বাদ দিয়ে শুধু এ্যালকালিন খাবার খেতে হবে। এতে শরীরের অভ্যন্তরে গড়ে উঠা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনা আপনি সবরকমের রোগ সারিয়ে তুলবে।
যে রোগগুলি বিশেষ করে অষ্ট্রিও আথ্রার্টাইস, আথ্রার্টাইস, রিউমেইটেড আথ্রার্টাইস, আলসার, এলার্জি, ক্যান্সার, টিউমার, মাইগ্রেন, প্যারালাইসিস, ব্রংকাইটিস, কিডনি, মৃগিরোগ ও হৃদরোগ ঔষধে সারে না, উপশম হয় নিরাময় হয় না কিন্তু প্রাকৃতিক চিকিৎসায় নিরাময়যোগ্য ও নিরাময় হয়।
প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
১. প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র মনে করে মানুষের অসুখের মূল কারণ তার খাদ্যাভাস, যা তার নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক খাদ্য নির্ণয় করতে পারলে অসুখ থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
২. জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের বিশুদ্ধতার দিকে নজর দিলে অতি নগণ্য খরচে মানুষ সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
৩. প্রাকৃতিক চিকিৎসার অন্যতম হাতিয়ার আকুপ্রেসার, এই আকুপ্রেসার জানা থাকলে মানুষ খুব সহজেই তার নিজের অসুখ নিজেই দূর করতে পারবে।
৪. প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র মনে করে খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ঔষুধি খাবার যত বেশী গ্রহণ করা যাবে ততই মানুষ সুস্থ থাকবে।
৫. বিশুদ্ধ পানি পান শারীরিক সুস্থতার একটি বিশেষ দিক, সঠিক উপায়ে পানি পান, সঠিক পরিমাণে পানে পানে ১৭ টি পনিশূণ্যতা জণিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কোন ধরণের ঔষধ গ্রহণ ব্যতীত।
৬. জীবন ধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থতা আনার কৌশল জানা, আমাদের নগর জীবনধারা বেশীর ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্য বিরোধী, যা আমাদের ধীরে ধীরে অসুস্থ্যতার দিকে নিয়ে যায়, জীবন ধারা পরিবর্তন এবং ঘুম, চিন্তা, মনন, নির্মল প্রকৃতি মানুষের সুস্থ্যতার জন্য অতি আবশ্যক কিন্তু এই নগর জীবনে তা অপ্রতুল। তাই জীবন ধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থতা একটি বড় হাতিয়ার।
৭. পরিমিত আহার গ্রহণ সুস্থ্যতার আরেক দিক, আমাদের সমাজে পরিমিত খাওয়ার প্রবণতা হারিয়ে যাওয়ার দরুণ মানুষ মোটা হয়ে যাচ্ছে এবং অধিক ওজনের কারণে নানান রোগে ভুগছে। পরিমিত আহার গ্রহনের মানুষের মাঝে সচেতনা সৃষ্টি করাই অন্যতম কাজ।
৮. আধুনিক রোগ শনাক্ত করণ পদ্ধতিতে এমন কিছু রোগ আছে যা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ পরিপক্ক না হলে শরীরে কোন উপসর্গ দেখা দেয়না, আর যখন সেই রোগের উপসর্গ দেখা দেয় তখন আধুনিক চিকিৎসায় সাড়া যায়না, কিন্তু আকুপ্রেসার জানা থাকলে রোগ শুরু হওয়ার পারম্ভেই জানা যায়, তা ৫ ভাগ হলেই হাতের বিভিন্ন বিন্দুতে চাপ দিলেই টের পাওয়া যায়, তখন অল্প সময়ে কোন ধরনের ঔষধ ছাড়াই রোগ সাড়া সম্ভব হয়ে উঠে।
পারিবারিক বন্ধন শরীরিক সুস্থ্যতার বিশেষ দিক।
মানুষ তার পরিবারের সকলকে নিয়ে বসবাস করলে শারীরিক সুস্থ্যতা নিয়েই বেড়ে উঠবে, শিশুর চাহিদা অনুযায়ী মমতা দেয়া গেলে তার বেড়ে উঠা হয়ে উঠে নির্মল ও সুস্থ। তাই পারিবারিক বন্ধন একটি জরুরী বিষয়, বর্তমান সমাজে পারিবারিক বন্ধনের উপর সুনামী বয়ে গেছে, যা থেকে মুক্তি পেতে নতুন করে পারিবারিক বন্ধনের দিকে ছুটতে হবে। পারিবারিক বন্ধনের সকল উপাদানগুলো মানুষের মানসিক, শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, তাই পারিবারিক বন্ধন সুস্থতার জন্য বিশেষ একটা দিক।