BD Nutritionists Zone

BD Nutritionists Zone দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশন ও ফুডের ছাত্রদের নিয়ে তৈরি গ্রুপ better food, better nutrition এর পেজ।

স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সময়মতো চিকিৎসা না করলে জীবননাশও করতে পারে। চলুন, স্ট্রোক সম্পর্কে আরও বিস্তারি...
29/10/2024

স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সময়মতো চিকিৎসা না করলে জীবননাশও করতে পারে। চলুন, স্ট্রোক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ট্রোক কী?
স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। মস্তিষ্কের কোষগুলি স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য অক্সিজেন এবং পুষ্টির উপর নির্ভরশীল। যখন রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলি মারা যায় এবং এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।

স্ট্রোকের প্রকারভেদ
মূলত দুই ধরনের স্ট্রোক হয়:
* ইস্কেমিক স্ট্রোক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের স্ট্রোক। এই ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে কোনো রক্তের ক্লট বা অন্য কোনো পদার্থ জমে গিয়ে রক্তের প্রবাহ বন্ধ করে দেয়।
* হেমোর্যাজিক স্ট্রোক: এই ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

স্ট্রোকের লক্ষণ
স্ট্রোকের লক্ষণগুলি হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে এবং এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত দেখা যায়:
* মুখ বা শরীরের একপাশে অসাড়তা: হাসির সময় মুখ বাঁকা হওয়া, এক হাত বা পা উঁচু রাখতে না পারা
* বক্তৃতা বা বোঝার সমস্যা: কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া, অন্যের কথা না বোঝা
* দৃষ্টি সমস্যা: এক চোখে অন্ধকার দেখা, দ্বিপ্রতীক্ষা
* সুস্থতা হারানো: মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো
* শরীরের একপাশে দুর্বলতা
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে এক মিনিটও নষ্ট না করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্ট্রোকের কারণ

স্ট্রোকের অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
* উচ্চ রক্তচাপ: এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
* হৃদরোগ: হৃদরোগের কারণে রক্তের ক্লট তৈরি হতে পারে যা মস্তিষ্কে গিয়ে আটকে যেতে পারে।
* ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল রক্তনালীতে প্লাক জমতে পারে এবং রক্তের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
* ধূমপান: ধূমপান রক্তনালীকে সংকীর্ণ করে দেয় এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
* অতিরিক্ত মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: অনিয়মিত হৃদস্পন্দন রক্তের ক্লট তৈরি হতে পারে।
* মস্তিষ্কের রক্তনালীর অস্বাভাবিকতা: জন্মগত বা অর্জিত কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে।

স্ট্রোক প্রতিরোধ

স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য আপনি নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে পারেন:
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রক্তের শর্করা স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* কোলেস্টেরল কমানো: স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
* ধূমপান বন্ধ করা: ধূমপান স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি।
* স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ফল, শাকসবজি, পুরো শস্য, মাছ, বাদাম এবং বীজ খান।
* নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মধ্যম তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
* ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

* নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ: নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

মনে রাখবেন, স্ট্রোক একটি জরুরি অবস্থা। যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ স্ট্রোকের লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে দেরি না করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আপনার যদি স্ট্রোক সম্পর্কে আরও জানতে ইচ্ছা হয়, তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

স্ট্রোক প্রতিরোধে খাদ্য তালিকা:
কি খাবেন:
* ফল ও শাকসবজি: বিভিন্ন রঙের ফল ও শাকসবজি রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* পুরো শস্য: বাদাম, বীজ, ওটস, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি হৃদয় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* মাছ: স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস।
* পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: কলা, আঙ্গুর, টম্যাটো ইত্যাদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কি পরিহার করবেন:
* স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট: মাখন, গরুর চর্বি, বেকড পণ্য, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি রক্তনালীতে প্লাক জমতে পারে।
* সোডিয়াম: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্যান্ডি, চিপস ইত্যাদিতে অতিরিক্ত লবণ থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
* শুক্রাণু: লাল মাংস, অঙ্গরাজ, এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* শুধুমাত্র চিনি: মিষ্টি, সফট ড্রিঙ্কস, কেক ইত্যাদি রক্তের শর্করা স্তর বাড়াতে পারে।
* অতিরিক্ত অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

চিনি ও  #ক্যান্সার: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণচিনি কীভাবে ক্যান্সার কোষকে প্রভাবিত করতে পারে? * শক্তির উৎস: ক্যান্সার কোষগু...
27/10/2024

চিনি ও #ক্যান্সার: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
চিনি কীভাবে ক্যান্সার কোষকে প্রভাবিত করতে পারে?
* শক্তির উৎস: ক্যান্সার কোষগুলি স্বাভাবিক কোষের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এই দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তাদের অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। গ্লুকোজ বা চিনি এই শক্তির একটি প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সার কোষগুলি অন্যান্য কোষের তুলনায় গ্লুকোজকে আরও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারে, যার ফলে তাদের বৃদ্ধি আরও দ্রুত হয়।
* #ইনসুলিনের ভূমিকা: যখন আমরা চিনিযুক্ত খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর ইনসুলিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে। ইনসুলিন শরীরের কোষগুলিকে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, উচ্চ মাত্রার ইনসুলিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে পারে।
* দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও ক্যান্সার: অতিরিক্ত চিনি সেবন মধুমেহ, ওবেসিটি এবং হাইপারটেনশন মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এই রোগগুলি আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সাথে কোলন, লিভার এবং কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
* প্রদাহ: অতিরিক্ত চিনি শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। ক্রনিক প্রদাহ ক্যান্সারের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
চিনি ও ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে আরও কিছু বিষয়
* ক্যান্সারের ধরন: #চিনি সকল ধরনের ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত নয়। কিছু গবেষণায় নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের সাথে চিনির ব্যবহারের একটি স্পষ্ট সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
* অন্যান্য কারণ: ক্যান্সার হওয়ার পিছনে অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে, যেমন জিনগত কারণ, পরিবেশগত কারণ, ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন ইত্যাদি। চিনি শুধুমাত্র একটি কারণ হতে পারে।
* কৃত্রিম মিষ্টি: অনেকে চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করে থাকেন। কৃত্রিম মিষ্টি ও ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে এবং এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।

সুস্থ থাকার জন্য কি করবেন?

* চিনির পরিমাণ কমান: প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি, সফট ড্রিঙ্কস ইত্যাদির পরিমাণ কমান।
* ফল ও শাকসবজি খান: ফল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* পানি পান করুন: পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
* ডাক্তারের পরামর্শ নিন: কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন: চিনির সেবন কমানো ক্যান্সার প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, তবে এটি একমাত্র পদক্ষেপ নয়। সুস্থ জীবনযাপন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে দ্বিধা করবেন না।

Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনো রোগের চিকিৎসা বা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
©®AI

অস্টিওপোরোসিস এবং ম্যাগনেসিয়াম: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ-লেখার সারসংক্ষেপ:ম্যাগনেস গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ পদার্থ। ম্যাগন...
24/10/2024

অস্টিওপোরোসিস এবং ম্যাগনেসিয়াম: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ-
লেখার সারসংক্ষেপ:
ম্যাগনেস গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হাড়ের ঘনত্ব কম করে, হাড়ের ক্ষয় বাড়ায় এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ কম করে। ফলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অস্টিওপোরোসিস একটি রোগ যা হাড়কে দুর্বল করে এবং ভাঙার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমরা প্রায়ই ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি কে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের মূল খেলোয়াড় হিসেবে জানি। কিন্তু হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ম্যাগনেসিয়াম এর ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

কেন ম্যাগনেসিয়াম এত গুরুত্বপূর্ণ?
* হাড় গঠনে সক্রিয় ভূমিকা: ম্যাগনেসিয়াম শুধু হাড়ে ক্যালসিয়াম জমা করতে সাহায্য করে না, বরং হাড়ের ম্যাট্রিক্স গঠনেও সরাসরি অংশ নেয়। এটি কোলাজেন সংশ্লেষণে সাহায্য করে, যা হাড়ের শক্তি এবং নমনীয়তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
* হরমোন নিয়ন্ত্রণ: ম্যাগনেসিয়াম প্যারাথাইরয়েড হরমোন এবং ক্যালসিটোনিনের কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনগুলি হাড়ের ক্ষয় এবং গঠনের মধ্যে সুষমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* পেশির কার্যকলাপ: ম্যাগনেসিয়াম পেশির সংকোচনের জন্য প্রয়োজনীয়। শক্তিশালী পেশী হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং ভাঙার ঝুঁকি কমায়।
* স্নায়ুর স্বাস্থ্য: ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুর কার্যকলাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ুর সঠিক কার্যকলাপ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ম্যাগনেসিয়ামের অভাব কেন অস্টিওপোরোসিস ঘটায়?
* হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়: ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজে ভেঙে যায়।
* হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়: ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হাড়ের ক্ষয়ের হার বাড়িয়ে দেয়।
* ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায়: ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে শরীর ক্যালসিয়ামকে সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না। ফলে হাড়ের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
* হরমোনজনিত সমস্যা: ম্যাগনেসিয়ামের অভাব প্যারাথাইরয়েড হরমোন এবং ক্যালসিটোনিনের কাজকে প্রভাবিত করে। ফলে হাড়ের ক্ষয় এবং গঠনের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
* সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রোকলি,
* বাদাম: বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট
* বীজ: তিল, কুমড়ো বীজ, #চিয়া বীজ
* সম্পূর্ণ শস্য: বাদাম, #ওটস, ব্রাউন রাইস


কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
* যদি আপনার হাড়ের ব্যথা হয়।
* যদি আপনার হাড় ভেঙে যায়।
* যদি আপনার পেশিতে ক্রমাগত খিঁচুনি হয়।
* যদি আপনার #হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়।

#অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে আরও কিছু উপায়:
* নিয়মিত ব্যায়াম: ওজন বহনকারী ব্যায়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
* সুষম খাদ্য: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।
* সূর্যের আলো: সূর্যের আলো ভিটামিন ডি উৎপাদনে সাহায্য করে।
* ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সুস্থ হাড়ের জন্য সুষম জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টের বিভিন্ন ধরন

ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টগুলি বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। প্রতিটি ধরনের সাপ্লিমেন্টের শোষণ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আলাদা হতে পারে। কোন ধরনের সাপ্লিমেন্ট আপনার জন্য উপযুক্ত হবে তা নির্ধারণ করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

সাধারণত পাওয়া যায় এমন কিছু ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট:
* ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড: এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং সস্তা ধরনের ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট। তবে এটি শরীরে সবচেয়ে কম শোষিত হয়।

* ম্যাগনেসিয়াম সাইট্রেট: এটি অন্ত্রে সহজে শোষিত হয় এবং পেট খারাপের সম্ভাবনা কম।

* ম্যাগনেসিয়াম গ্লাইসিনেট: এটি সহজে শোষিত হয় এবং সাধারণত অন্যান্য ধরনের ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টের তুলনায় কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটায়।

* ম্যাগনেসিয়াম থ্রিওনাইন: এটিও সহজে শোষিত হয় এবং পেশির ক্রিয়া এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
* ম্যাগনেসিয়াম অ্যাসপার্টেট: এটি শক্তি উৎপাদন এবং পেশির কার্যকলাপের জন্য উপকারী।

কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত?
* শোষণ: যদি আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়াম শোষণের সমস্যা থাকে, তাহলে ম্যাগনেসিয়াম সিট্রেট, গ্লাইসিনেট বা থ্রিওনাইন আপনার জন্য ভালো হতে পারে।

* পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: যদি আপনি পেট খারাপের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে ম্যাগনেসিয়াম গ্লাইসিনেট বা থ্রিওনাইন আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

* বিশেষ চাহিদা: যদি আপনার পেশির ক্রিয়া বা স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য ম্যাগনেসিয়ামের প্রয়োজন হয়, তাহলে ম্যাগনেসিয়াম থ্রিওনাইন বা অ্যাসপার্টেট আপনার জন্য ভালো হতে পারে।

মনে রাখবেন:
* ডাক্তারের পরামর্শ: কোন ধরনের ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
* ডোজ: ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টের ডোজ ব্যক্তির ওজন, বয়স এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।
* পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টের কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল পেট খারাপ, #ডায়রিয়া এবং মাথা ঘোরা।
* অন্যান্য ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া: ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট কিছু ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। তাই অন্য কোন ওষুধ খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারকে জানান।

সর্বোত্তম ফলের জন্য:
* সুষম খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ #শাকসবজি, #বাদাম, বীজ, সম্পূর্ণ শস্য ইত্যাদি খান।
* জীবনযাত্রার পরিবর্তন: নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্ট্রেস কমান এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
#ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট আপনার জন্য উপকারী হতে পারে, তবে সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন।

আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করবেন না।
Probal Kumar Mondal

"Iodine and Its Impact on Fertility"থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের জন্য আয়োডিন জরুরি।এই হরমোন শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর বিকাশে গু...
18/09/2024

"Iodine and Its Impact on Fertility"
থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের জন্য আয়োডিন জরুরি।এই হরমোন শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভধারণ থেকে আরম্ভ করে সন্তানের দ্বিতীয় জন্মদিন পর্যন্ত আয়োডিন খুবই জরুরি একটি মিনারেল।
শিশুরা যদি অপর্যাপ্ত বা মাত্রাতিরিক্ত আয়োডিন গ্রহণ করে তবে উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যাবে থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিক আচরণ করে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাবের কারণে সিরাম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায় যা তার সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।এছাড়াও আয়োডিনের ঘাটতি শুক্রের উপাদান ক্যালসিয়াম,জিংক, ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে।আয়োডিনের অভাবে শুক্রের ঘনত্ব হ্রাস পায়। অন্যদিকে অধিক মাত্রায় আয়োডিন গ্রহণ করলে শুক্রের গুণগত মান কমে যায়।
গর্ভধারণের পূর্বে মহিলাদের আয়োডিনের মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি কারণ এটা ডিম্বাণুর পরিপক্কতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়া গর্ভধারণের আঠারো সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভস্থ শিশু মায়ের উপর আয়োডিনের জন্য নির্ভরশীল।
স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন 15OMCG আয়োডিন গ্রহণ করতে বলা হয়।গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের প্রতিদির 200mcg আয়োডিন খেতে বলা হয়।
#থাইরয়েড #আয়োডিন

13/08/2024

ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে হাড় গঠনে ম্যাগনেসিয়াম যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা গবেষণার মাধ্যমে
প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এছাড়াও স্বাভাবিক রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা থেকে শুরু করে মাইগ্রেনের মাথাব্যথা প্রতিরোধ করা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
হ্রাস করা সবকিছুতেই ম্যাগনেসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ।
মানবদেহে ম্যাগনেসিয়াম অন্যতম
প্রধান খনিজ হিসাবে বিবেচিত হয়। শরীরের প্রায় ৫০% থেকে ৬০% ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ভিতরে আটকে থাকে; বাকি অংশ নরম টিস্যু যেমন পেশীতে থাকে। রক্তে মাত্র ১% ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
মানুষের কঙ্কাল ম্যাগনেসিয়ামের আধার হিসেবে কাজ করে এবং রক্তে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ম্যাগনেসিয়াম হ্রাস পেতে আরম্ভ করে।

হৃদরোগে ম্যাগনেসিয়ামের প্রভাব;:
পূর্বে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধে ম্যাগনেসিয়াম খুব বেশী আলোচিত হয়নি কিন্তু বিগত দশক থেকে এই মিনারেলের উপর বেশী গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে দ্যা আমেরিতান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে একটা Meta analysis প্রকাশিত হয়, যার পর থেকে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সঙ্গে ম্যাগনেসিয়ামের সম্পক নিয়ে গবেষকগণ বেশী সচেতন হয়ে ওঠেন।
উক্ত বিশ্লেষণে ১৬ টি গবেষণা অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছিলো যেখানে ৩১৩,০০০ জনেরও অধিক ব্যক্তি অন্তভূর্ক্ত ছিলেন।ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে যাদের ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বেশী তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০% কম।[১]
২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের সাথে স্ট্রোক ও রক্তচাপের সম্পর্ক দেখানো হয়েছিলো।উক্ত গবেষণায় পাওয়া যায়,যেসব পুরুষের ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কম তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশী এবং তাদের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেশী ছিলো।[২]

উৎস:
ক্লোরোফিল থাকার কারণে পাতা সবুজ হয়,আবার ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধও হয় কারণ তা ক্লোরোফিলের কেন্দ্রীয় পরমাণু।আমাদের দেহের চতুর্থ সর্ব্বোচ্চ খনিজ লবণ হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম। দেহের ৫০% এর মত ম্যাগনেসিয়াম হাড়ে থাকে।বাকিগুলো বিভিন্ন কোষে, মাত্র ১% থাকে রক্তে। আমাদের দেহ সব সময়ই রক্তে ম্যাগনেসিয়াম লেভেল ঠিক রাখতে চেষ্টা করে।আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রে ম্যাগনেসিয়াম শোষিত হয় এবং কিডনি দিয়ে নিঃসৃত হয়।
হিমোগ্লোবিন আর ক্লোরোফিল এর গঠন একই রকম। এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের কেন্দ্রে আয়রণ থাকে, ক্লোরোফিলের কেন্দ্রে ম্যাগনেসিয়াম।
হিমোগ্লোবিনের আয়রনের চারপাশে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন থাকে।
ক্লোরোফিলের ম্যাগনেসিয়ামের চারপাশেও ঠিক সেগুলোই থাকে।
হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে এমন সাদৃশ্যের কারণে আমাদেন দেহ সহজেই ক্লোরোফিল ব্যবহার করতে পারে।
যেহেতু ক্লোরোফিলের কেন্দ্র ম্যাগনেসিয়াম থাকে তাই সবুজ পাতাকে ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস বলা হয়।ম্যাগনেসিয়াম আমাদের দেহের ৩০০ এর অধিক বিক্রিয়ার জন্যে প্রয়োজন।
হাড়,হৃদপিন্ড ইমিউনিটি সিস্টেম,স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম,রক্তের স্যুগার নিয়ন্ত্রণ,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ আরও অনেক কাজে ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেয়েদের জন্যে দিনে ৩২০ মিগ্রা ও ছেলেদের জন্যে ৪২০ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম দরকার।
একশ গ্রাম সবুজ শাকে ৭৯ মিগ্রা এর মত ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া সম্ভব।কিন্তু সবুজ শাক দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে বা অধিক তাপে রান্না করলে নষ্ট হয়ে যায়।
আমাদের দেশের অনেক মানুষই অনেক শাকসবজি খায় কিন্তু ভুল রান্না পদ্ধতির কারণে ক্লোরোফিল ধ্বংস করে ফেলে।
তাই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত বিভিন্ন রোগে ভোগে।

রেফারেন্স:
১.Del Gobbo LC, Imamura F, Wu JH, de Oliveira Otto MC, Chiuve SE, Mozaffarian D. Circulating and dietary magnesium and risk of cardiovascular disease: a systematic review and meta-analysis of prospective studies. Am J Clin Nutr. 2013;98(1):160-173.

২.Bain LK, Myint PK, Jennings A, et al. The relationship between dietary magnesium intake, stroke and its major risk factors, blood pressure and cholesterol, in the EPIC-Norfolk cohort. Int J Cardiol. 2015;196:108-114.

20/03/2024

বুদ্ধ একবার তার সঙ্গীদের একটা গল্প বলছেন কোনো জিনিস খাওয়া যাবে আর কোনো জিনিস খাওয়া যাবে না এটা বোঝাতে গিয়ে।
বুদ্ধ বলছেন, ধর একটা তরুণ দম্পতি তাদের দুই বছরের আদরের সন্তানকে নিয়ে একটা বিশাল মরুভূমি পার হতে চেষ্টা করছেন। কোনো না কোনো কারণে এই মরুভূমিটা পার হতেই হবে এই দম্পতিকে। তাদের কোনো একটা কমিটমেন্ট আছে। তো তাদের কাছে সামান্য যে খাদ্য ছিল সেই খাদ্য নিয়ে তারা এগিয়ে চলছে। কিছুদূর যাওয়ার পর তাদের খাবার শেষ হয়ে গেল।
তারা চিন্তা করে দেখলো এইভাবে তাদের পক্ষে মরুভূমি পার হওয়া সম্ভব হবে না। মরুভূমিটা পার হবার আগেই তারা মারা পড়বে। তখন তারা ভাবলো যদি তারা তাদের সন্তানকে হত্যা করে এবং তার মাংস খায় তাহলে হয়তো তারা মরুভূমিটা পার হয়ে তাদের কমিটমেন্ট ফুলফিল করতে পারবে।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে বুদ্ধের সঙ্গীরা খুব অস্বস্তি বোধ করতে থাকলো। মানে এরকম নৃশংস উদাহরণ দেওয়ার প্রয়োজনটা কী? অনেকে প্রশ্ন করে বসলেন, সন্তানকে হত্যা না করে একসাথে মরেও যেতে পারাও তো সমাধান হতে পারে। বুদ্ধ বললেন তোমরা এই গল্পটার আসল জায়গাটা মিস করছো। আগে আমি কথা শেষ করি।
উনি বললেন, ধরে নাও তারা তাদের আদরের সন্তানটাকে খেয়েই ফেললো সার্ভাইভ করার জন্য। তর্কের খাতিরে ধরেই নাও। আমার প্রশ্নটা হলো নিজের সন্তানের মাংস খাওয়ার সময় তারা কি সেই মাংসটাকে এঞ্জয় করতে পারবে? তারা কি বলতে পারবে তাদের সন্তানটা অনেক সুস্বাদু ছিল? পারবে কি?
সবার খুব বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলো, 'না'। এই খাদ্যের প্রশংসা বা অ-প্রশংসা কোনোটাই করা সম্ভব না।
বুদ্ধ বললেন সবরকম খাদ্যের ক্ষেত্রেই ঘটনাটা তাই। এই পুরো জগত কোনো না কোনোভাবে কানেক্টেড। সবাই আমাদের আত্মীয়। আমি যখন আমার নিজের সন্তানের মাংস খাই তখন আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারি না, কিন্তু গোরুর সন্তানের মাংস আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারি। কারণ আমি গোরুর সাথে নিজেকে কানেক্টটেড ফিল করি না। এটা শুধু গোরুর বেলাতেই হয় না। একটা তৃণের বেলাতেও একই ঘটনা ঘটে। আমি কষ্ট দিয়েই তার পাতাটা খাচ্ছি, চালটা খাচ্ছি। কেউ না কেউ কষ্ট পাচ্ছে।
ফাইনলাইন হলো জীবন নামের এই দীর্ঘ মরুভূমি পার হতে আমাদের অনেক প্রাণ হত্যা করতে হতে পারে। আমি তোমাদের কখনোই বলবো না- তুমি মাংস খাবে, নাকি মাছ খাবে, নাকি শাক-লতাপাতা খাবে। আমি শুধু বোঝাতে চাই তুমি যেটাই কনজিউম করছো সেটাই আরেকজনের সাফারিং-এর মধ্য দিয়ে আসছে, এই বিষয়টা শুধু মাথায় রেখো। খাবার জিনিসটাকে কখনো এঞ্জয় করো না। আরেকজনের সাফারিং এঞ্জয় করা উচিত নয়। খাবার খাও সার্ভাইভ করার জন্য। কোনোমতে টিকে থাকার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু। এর বেশি না, কমও না।

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BD Nutritionists Zone posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category