Basor Rat 18+

Basor Rat 18+ বুকে চেপে রাখা কথা গুলো, কষ্ট গুলো
অনায়াসে শেয়ার করতে পারেন আমাদের সাথে.

আমরা সব কিছু গোপন রাখবো।

আমাকে ছাড়া এই মেয়ে এত সহজে মুভ অন করতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। আর এসবে তার কোন অনুশোচনাও নাই।By – “N***d R**a”G...
22/04/2025

আমাকে ছাড়া এই মেয়ে এত সহজে মুভ অন করতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। আর এসবে তার কোন অনুশোচনাও নাই।

By – “N***d R**a”
Gender- Male
Location- Unknown

আমি সহজ সরল ছেলে।জীবনে মেয়ে/প্রেম বলতে কিছু ছিল না। বাসায় বিয়ের কথা বলায় মায়ের সাথে মেয়ে দেখতে যাই। কিন্তু মেয়ের কথাবার্তা অসংলগ্ন লাগায় মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে সে ব্যাপারে জানতে চাই। কোন সদুত্তর না দিয়ে মেয়ের বাবা মেয়েকে দিয়ে ফোন করায়। যেহেতু আমি মেয়েদের সাথে কথাবার্তায় অভ্যস্ত না তাই প্রথম প্রথম এসব ভাল লাগেনি। তবে মেয়ে কথাবার্তায় যথেষ্ট চালু, সহজে যে কোন ছেলে বশে আনতে পারবে। তাই কিভাবে জানি আমিও ওর কথা বার্তার জালে ফেসে গেলাম।

এদিকে দুই বার মেয়ে পক্ষ না বলার পরও মেয়ে আমাকে ফোন করে ইমোশনাল ব্লাক মেইল করতো। ৩-৪ মাস আমাকে ধরে রাখছে।কিন্তু আমার ফ্যামিলি রাজি হয় না। শেষ পর্যন্ত আমি ফ্যামিলিকে রাজি করাই। যখনি ওকে বললাম আমার ফ্যামিলি রাজি তখনি মেয়ে আমার থেকে ১০ দিনের সময় নেয়। কিন্তু এই ১০ দিনের ভিতর সে আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলে।অথচ সে আমাকে বলতো আমি তোমার জন্য বিয়ে করছিনা।

এদিকে ওকে কথা দেয়ার পর আমি বিয়ের জন্য আর কোন মেয়ে খুজি নাই। কারন ও আমার প্রথম প্রেম আবার বিয়ে করার জন্য স্থির ছিলাম। আমি তার জন্য সব কিছু করতে রাজি ছিলাম। সে উচ্চবিলাসী ছিল। অথচ তার বিয়ে হয়ে গেছে সেটা আমি যখন অন্য জনের কাছ থেকে শুনি সে আমাকে বলে সে নাকি খাজা আজমীর শরীফে গিয়ে আমার জন্য দোয়া করেছে আমি যেন ভালো মেয়ে পাই!!

এই মেয়ে আমাকে ফোন দিত, আর আমি তার ফোন না ধরে পারতাম না। তার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলতো আমি যেন তার সাথে কথা বলি। আমি বলতাম আমি আকদের পর কথা বলব। অথচ তার বাবা ফাইনাল কথার দিন শুধু একটা বেটার অপশন আসাতে আমাদেরকে অপমান করে মানা করে দেয়। আমার মনের মধ্য কি যে চলছে আমি বুঝাতে পারব না।

আমি এক বুক সমুদ্র ভালোবেসেছিলাম এই মেয়েকে হালাল ভাবে পাওয়ার জন্য।গত ৩-৪ মাস সে আমাকে ব্যবহার করেছে। সে কান্না করতো আমি কল না ধরলে। অথচ ১০ দিনের ভিতর সে ছলনা দেখিয়ে দিল৷ এখন সে বলে সামনে উমরাহ করতে যাবে, আল্লাহর ঘরে যাবে৷ আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিব। সে নাকি কোন ভুল করে নাই !!

আমি কি পরিমাণ হতাশায় আছি তা বুঝাতে পারব না। জব,কাজ, খাওয়া সব কিছু থেকে মন উঠে গেছে। আমাকে ছাড়া এই মেয়ে এত সহজে মুভ অন করতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। আর এসবে তার কোন অনুশোচনাও নাই। সে তার স্বামীর সাথে খুব মজায় আছে। কিন্তু আমার জীবনটা যে সে অন্ধকার করে দিয়ে গেল …

22/04/2025

জামাইর কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে ততবারই আমার মা, বাপ, বোন আমাকে কুত্তার মতো দূরদূর করে

By - J******l M**a"
Gender- Female
Location- ****

খুব মানসিক কষ্ট নিয়ে পোস্টটা করতেছি। আপুদের বলবো মা বাপ কিংবা ভাই বোনকে টাকা পয়সা দিও সেটা ঠিক। কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে কখনো কাউকে বিশ্বাস কইরো না, টাকা পয়সা দিও না। কারন দুর্দিনে তারাই তোমাকে কুত্তার মতো দূরদূর করবে।

বিয়ের আগে জব করতাম৷ জবে থাকাকালীন তিন বছরে তিন লাখ টাকা দিয়েছি আমার বাবা, মা কে। আমার বাবা আমার চাচাদের জন্য প্রচুর টাকা ঋন করছিলো। জব এ থেকেও আমি এমনো দিন গেছে না খেয়ে কাটাইছি, দিনের পর দিন হোস্টেলে জাস্ট ডিম ভাজি খেয়ে কাটাইছি। মাছ কিনারও সাহস করতাম না। কারন ভাবতাম আমি আমার পরিবারকে টাকা দিয়ে হেল্প করবো। আমার পরিবারই আমার আপন।

এরপর বিয়ে হলো। আমার স্বামী দেনমোহরের সাত লাখ টাকা বিয়ের দিনই পরিশোধ করেছে। ঐ সাত লাখ টাকাও আমার বাবা খরচ করছে। এক টাকাও আমি পাই নি। আমার স্বামী এমনিতে টাকা পয়সা দিলেও তার স্বভাব ভালো না। খুব বেশি খুঁতখুঁতে। আমি তার বালতিতে গোসল করলে চিল্লাবে। তার কাপড়ে ধরলে বলবে ময়লা হয়ে গেছে। আর তার ভাবির কথাই শেষ কথা। কতদিন ভাবির কথায় আমাকে মারছে হিসাব নাই। উনার সাথে বিয়েটাও পারিবারিকভাবেই দিছে আমার পরিবার। এমন না যে আমার পছন্দে বিয়ে। তাও যতবারই বাবার বাড়ি আসলাম জামাইর কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে ততবারই আমার মা, বাপ, বোন আমাকে কুত্তার মতো দূরদূর করে। সারাক্ষণ আমার মা বোন দূরে গিয়ে কানাকানি করতে থাকে। আমার বোনের ডায়েরির একটা পেইজ আমি একটুখানি ছিড়ে একটা নাম্বার লিখেছিলাম। কেনো আমি তার ডায়েরির পেইজ ছিড়লাম এটা নিয়ে আমার মা বোন কত কথা যে শুনাইলো।

যতবার আসি আমার বোন একটা না একটা কিছু নিয়ে আমার সাথে ফুলে থাকবেই। কালকে রাতে কান্না করে বলছিলাম একটা দিনও তো ছোট বোনটাকে শাসন করলা না। আমি যে তোমাদের এতো লাখ লাখ টাকা দিলাম তোমরা তো জীবনেও স্বীকার করলা না। আমার মা বলে তুই যেমন তেমন ব্যাবহার করছে আমার মেয়ে। তুই জীবনেও এই বাড়িতে আর আসবি না। আমাকে বলে আমার মুখে নাকি পা ঢুকায় দিবে। আমি এমনিতেই অসুস্থ মানুষ। ওদের এসব ব্যাবহারে কান্না করতে করতে আমার জ্বর উঠে গেছে। হায়রে জীবন! ওরা আমার এতো টাকা ফিরত দেয়া তো দূরের কথা স্বীকারই করে না। এর আগেও কতবার আমার মা বাপ বলছে আমি যেনো এই বাড়িতে না আসি।

যতবার আসি নিজের টাকা দিয়ে নিজে খাই, ওদের খরচও আমি চালাই। ওয়াইফাই বিল থেকে শুরু করে বাসা ভাড়া, বাজার খরচ। অথচ আমাকেই বলে মুখে পা ঢুকায় দিবে। আমার কি স্বামীর কাছে চলে যাওয়া উচিত?

22/04/2025

আমিও অনেক বোরিং হয়ে যাচ্ছি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দ্বিতীয় মাসনা বিয়ে করতে।

By – “N***m U***h”
Gender-Male
Location-Narsingdi

আমি একজন প্রবাসী । আমি বিবাহিত - বৌ ছেলে মেয়ে আছে ।কিন্তু সমস্যা হলো বউ কে নিয়ে ।সে আমার বা আমার পরিবারের কারো সাথে ভালো ব্যাবহার করে না । আমার মাকে একবারে সহ্য করতে পারে না । আমার সাথে তুই তোকারি করে । তাকে টাকা পয়সা সোনা দানা কাপড় কোন কিছু কম দেই না ।যখন যা প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়া আগেই দিয়ে দেই । তারপরও অনেক ঝামেলা করে। তুচ্ছ কারনে বাচ্চাদের গালাগালি করে। অল্পতেই ঝামেলা বাধিয়ে ফেলে।তবে সব ঝামেলা শুরু হয় তার জন্যই ।

প্রতি বছর দেশে যাই কিন্তু তার সেই একই আচরন পাই। সে তার মা বোন ছাড়া কিচ্ছু বুজে না ।তারা যা বলবে তাই শুনবে ।তারা যা করতে বলবে তাই করবে। ইদানীং আমিও অনেক বোরিং হয়ে যাচ্ছি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দ্বিতীয় মাসনা বিয়ে করতে। এমন একটা মেয়ে চাই যে পর্দাশীল ।আমার ও মায়ের সেবাযত্ন করবে ,আমার কথা মতো চলবে ,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে , আমার সাথে সবসময় হাসিখুশি কথা বলবে - এমন একটা সুন্দর মনের মানুষ চাই ।

আমার ভিতরে কষ্টের আঘাত গুলো জমা হয়ে আছে । আমি প্রায়ই সপ্নে দেখি এমন সুন্দর একজন প্রিয় মানুষের যে সারাক্ষন সবাইকে আগলে রাখবে। আমার সিদ্ধান্ত কি ঠিক আছে? কেউ বাজে কমেন্ট করবেন না

Ex আজকে মেসেজ দিয়ে হঠাৎ এ কথা বললো, কিছু বুঝলাম না!🙂
04/09/2024

Ex আজকে মেসেজ দিয়ে হঠাৎ এ কথা বললো, কিছু বুঝলাম না!🙂

01/07/2024

আমার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ছাড়াও আমি আরেকটা খারাপ কাজের দিকে ধেয়ে যাচ্ছি।

By - " ত* হা*"
Gender- Male
Location- Unknown

আশা করি ভাল আছেন,,, এটা আমার ফেক আইডি,,,আমি প্রায় আজ দশ বছর যাবত আপনার পেজটা ফলো করতেছি। আরো সাত আট বছর আগে একটা পোস্ট করেছি যা আপনি পোস্ট করেছেন। তাতে পেজের সবাই এবং আপনি সুন্দর সমাধান দিয়েছেন। আজকে আর একটা নতুন সমস্যা আপনার সাথে শেয়ার করব। আশা করি আমার সমস্যাটি আপনি পোস্ট করবেন।

আমি বিয়ে করেছি আজকে প্রায় পাঁচ বছর চলতেছে। আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের সাংসারিক জীবন নিয়ে খুব শান্তিতে আছি। আমরা একসাথে সব সময় থাকি। আমার স্ত্রী ও খুব সুন্দর। দশ জন মেয়ে থাকলে তাকে ও গোনায় রাখতে হয়। তাছাড়া আমাদের স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কটাও ভালো।আমি নিজ থেকে বুঝতে পারি। তার চাহিদা আমি পূরণ করতে পারি।কিন্তু এখন মূল সমস্যাটা আপনাকে জানাতে চাই।আমার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ছাড়াও আমি আরেকটা খারাপ কাজের দিকে ধেয়ে যাচ্ছি। সমস্যাটা ইকোনমতে আমি ছাড়তে পারতেছি না, যা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সমস্যাটা হলো আমি যখন একা থাকি বা আমার স্ত্রী কোন সাংসারিক কাজকর্ম যখন ব্যস্ত থাকে,তখনই আমি মোবাইলে পর্নোগ্রাফি বা খারাপ জিনিস দেখতে থাকি। একপর্যায়ে আমি খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ি।আর তখনই আমার সেক্স করার খুব আগ্রহ জাগে। কিন্তু আমার স্ত্রী তো তখন সাংসারিক কাজকর্ম ব্যস্ত থাকে তাকে তখন বলতে পারিনা। যখন সে কাছে থাকে তখন তার সাথে সেক্স করি। কিন্তু স্ত্রী যখন ব্যস্ত থাকে তখন, ওই উত্তেজিত সময়ে আমি হস্তমৈথুন্য বা বিভিন্ন উপায়ে বীর্যস্থলন করি।

আমার মনে হয় স্ত্রীর সাথে মেলামেশার থেকে ও,এভাবে বীর্যস্থলন করে আমি খুব আনন্দ পাই। এই সমস্যাটা আমার স্ত্রীও জানে না। বলে রাখা ভালো আমার স্ত্রী আমাকে খুব সময় দেয়। তবুও আমি যখন একা থাকি এ সমস্যাটা আমাকে খুব জাগ্রত করে। আজকে প্রায় চার-পাঁচটা বছর এ সমস্যায় ভুগতেছি। কোন মতে অভ্যাসটা ছাড়তে পারতেছি না।বিয়ের আগেও কিন্তু আমার হস্তমৈথুন করার অভ্যাস ছিল। এখন আপনারা আমাকে একটা সুন্দর সমাধান দিবেন আশা করি। কেউ খারাপ কমেন্ট করবেন না প্লিজ।

24/05/2024

আমাকে সে কোথাও বিয়ে বসতে দিবে না, যেখানেই বিয়ে বসি দুইদিনও সংসার টিকতে দিবে না। ঐ পুরনো ছবি আর ভিডিওগুলো সবাইকে দেখাবে

By – “J******l M**a”
Gender-Female
Location: ****

নিজের জীবন নিয়ে বিপর্যস্ত আমি। একটা ভয় দিনরাত কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে আমাকে। ২০১৯ সালের ঘটনার রেশ আমাকে এই ২০২৪ সালেও পোহাতে হচ্ছে। হয়তো আজীবনই পোহাতে হবে। প্রথমেই বলে নেই কেউ গালিগালাজ করবেন না। কারন যারা গালিগালাজ করেন তাদেরও জীবনে কিছু না কিছু অতীত থাকে।

আমার একটা রিলেশন ছিলো ২০১৯ সালে। দুজনেই সরকারি জব করতাম, আমি কিছু সঙ্গত কারনে জবটা কন্টিনিউ করি নি। সে এখনো কর্মরত আছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সেক্টরে জব করতাম। সঙ্গত কারনেই পুরো ঠিকানা নাইবা বললাম। তো মূল ঘটনায় আসি৷ তাকে আমার শুরুতে একদম ভালো লাগতো না । কিন্তু তার নাছোড়বান্দা মনোভাব আর আমার প্রতি ভালোবাসা (পুরোটাই অভিনয় ছিল) দেখে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। যেহেতু বয়স কম ছিলো প্লাস জীবনের প্রথম প্রেম তাই বলতে পারেন আমি তার জন্য জীবনও বাজি রাখতে রাজি ছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত বিশ্বাস, আর অতিরিক্ত ভালোবাসা যেমন বিপদ ডেকে আনে তেমনি আমার ক্ষেত্রেও হলো তাই।
বাসর রাত-18+
তার জোরাজুরিতে এবং তার মন রাখতে গিয়ে তার সাথে আমার অনেক কিছুই হয়ে যায়।সে আমার সাথে তার কাটানো কিছু পার্সোনাল মোমেন্টে ভিডিওতে ধারন করে রাখে তাও পুরোপুরি আমার অজান্তে। একটা সময় আমি তার কলিগদের মাধ্যমে এবং বিশ্বস্ত কিছু সূত্রে জানতে পারি সে আমি ছাড়াও আরও বিভিন্ন মেয়ে এমনকি নিজের আপন চাচাতো বড় বোনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে চলেছে এবং সবকিছু আমি প্রমান সমেত পাই।

আমার তখন দিশেহারা অবস্থা। কিন্তু এতোটা প্রতারণা মেনে নেয়ার মতো শক্তি আর ছিলো না। তাই আমি তার সাথে সম্পর্ক শেষ করে দেই। সেইসাথে নিজের অতীতের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে তওবা করি এবং এখন মোটামুটি দ্বীনি জীবন মেইনটেইন করছি। কিন্তু আমার সেই এক্স আমাকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না৷ সেই ২০২০ সাল থেকে(রিলেশন ১ বছর ছিলো) এখন পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে আমাকে হুমকি, ব্ল্যাকমেইল করেই যাচ্ছে। আমি এসবে অতিষ্ঠ হয়ে তার নামে জিডিও করেছি থানায়।

এতোকিছুর পরেও লাস্ট পনের দিন আগেও সে আমার এক কাজিনকে কল দিয়ে বলেছে আমাকে সে কোথাও বিয়ে বসতে দিবে না, যেখানেই বিয়ে বসি দুইদিনও সংসার টিকতে দিবে না। ঐ পুরনো ছবি আর ভিডিওগুলো সবাইকে দেখাবে। অথচ সে বর্তমানে এক ছেলে সন্তানের জনক, তার বৌ আছে, বাচ্চা আছে। তাও আমার জীবনটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ইভেন সে এমনটাও বলতেছে যে সে রিয়েল আইডি দিয়ে কিছু ভাইরাল করবেনা কারন তার জবে প্রব্লেম হবে, তাকে পুলিশ ধরবে। সে ফেইক আইডি দিয়ে পাবলিশ করবে সব যাতে ধরা না পড়ে। আমার এমতাবস্থায় কি করা উচিত?

17/04/2024

ছোট বোনের জামাই এর এতো মোটা।বাসর রাত

আজ আমার স্ত্রীর মেয়ের বিয়ে। যতবারই মেয়ের শ্বাশুড়ীর সামনে যাচ্ছি, ততবারই আমার গলা শুকিয়ে হাত পা কেঁপেঁ কেঁপেঁ উঠছে। মুখ ম...
21/02/2024

আজ আমার স্ত্রীর মেয়ের বিয়ে। যতবারই মেয়ের শ্বাশুড়ীর সামনে যাচ্ছি, ততবারই আমার গলা শুকিয়ে হাত পা কেঁপেঁ কেঁপেঁ উঠছে। মুখ মলিন হয়ে যাচ্ছে। একবারও তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি না। অথচ এ চোখে চোখ রেখে কত সময় পার করে দিতাম।

আমার স্ত্রী রোকেয়া অনেক বার বলেছিল ছেলের বাসায় গিয়ে তার বাবা মা ভাইয়ের সাথে আলাপ পরিচয় হয়ে আসতে। আমি পাত্তা দেইনি। মেয়ের যেহেতু পছন্দ তাই বাসায় যাওয়ার ঝামেলায় আমি যাইনি। ওসব কিছু রোকেয়াই সামলিয়েছে।

রোকেয়া আমাকে মেয়ের শ্বাশুড়ীর (জয়া) কাছে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিল। জয়া খুব স্বাভাবিকভাবে আমায় সালাম দিয়ে, কেমন আছি জানতে চাইলো। আমার গলা মনে হলো কেউ চেপে ধরে রেখেছে। শত চেষ্টা করে গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছিল না। মাথা ঝাঁকালাম। কে যেন রোকেয়াকে ডাকলো। রোকেয়া চলে যাওয়ার পর বহু জড়তায় চোখ তুলে তার দিকে তাকালাম। জয়া অপলক আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।

- 'জানো জয়া, অনেক খুঁজেছিলাম তোমায়।'

- 'কোথায় খুঁজেছিলে আমায়!?'

- 'যেখানে যেখানে তোমার থাকার কথা ছিল। অমন করে হারিয়ে না গেলেও পারতে!'

জয়া বিস্ময়ের চোখে চেয়ে রইল।

যত সময় যাচ্ছে মনের ভেতর অজানা ভয়টা আরো বেশী জোরে লাফিয়ে উঠল। আচ্ছা যে ছেলেটার সাথে রাইসার বিয়ে হচ্ছে সে ছেলেটা আমার.......? না না তা হলে আমাকে দেখার পর জয়া কখনই এই বিয়ে হতে দিত না।তবে সে কোথায়?

- 'কি ব্যাপার আজ তোমার একমাত্র মেয়ের বিয়ে অথচ দেখে মনে হচ্ছে তুমি বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছ। তোমাকে নিয়ে আমি আর পারিনা।'
...রোকেয়ার কোন কথাই আমার কানে যাচ্ছিল না।জয়াকে যেহেতু পেয়েই গিয়েছি, ভেতরে শুধু একটাই বাসনা সবকিছু জানতে চাই। আর মেয়েকে নিয়ে আমার কোন টেনশন নেই। জয়া ওকে ঠিক আদরেই রাখবে।


জয়াকে একা পাওয়া গেল না। বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়ে গেল।
মেয়ে বিদায়ের সময় জয়ার দুচোখ দিয়ে অনবরত পানি গড়িয়ে পড়ছিল।

রোকেয়া বার বার জয়াকে আর জয়ার বরকে বললো, ‘বয়স কম ভুল হলে যেন বুঝিয়ে দেয়।’

জয়া বললো, ‘ভরসা রাখতে পারেন। আমি কারো ভরসা নষ্ট করি না।’

জয়ার কথাটা কেমন যেন বুকে খুঁচা খেলো। মনে হলো কথাটা আমাকেই বলেছে। জয়াতো জানে না! আমি তার বিশ্বাস ভালোবাসা ভরসা কিছুই নষ্ট করিনি। সময় সব উলট পালট করে দিয়েছিল। এখনও মনে হয় হাত বাড়ালেই সেই দিনগুলো ছোঁয়া যায়।


জয়া থাকতো রোকেয়া হলে আর আমি শহীদুল্লাহ্ হলে।
ভীষন ভালোবাসতাম একজন আরেকজনকে। আমি
মফস্বলের স্কুল মাষ্টারের ছেলে। জয়ার সাথে রিলেশন হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই সবসময় মাথায় কাজ করত জয়াকে আমার হারিয়ে ফেলতে হবে। আজ হোক কাল হোক।

জয়া প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে। তারা কখনই আমার মত মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিবে না। কিন্তু জয়া কথাটা মানতে চাইত না। সে বলত ও সব ম্যানেজ করে নিবে।

একদিন সন্ধ্যায় কলা ভবনের সামনের দিকটাকে হাত ধরে বসে ছিলাম দুজনই। আমি সেদিন সাহস করে বলে ফেলেছিলাম, "ভুলে যাও আমায়। তোমাকে আমার হতে দেওয়া হবে না কখনই। কেউ দিবে না।"

জয়া আমার কাঁধে মাথা রেখে বললো, "এই কাঁধে কারো মাথার ভার সইতে পারবে তুমি।"

- "এই বুকে কারো হাত সইতে পারবে তুমি।"

পলকেই জয়াহীন শূন্যতা অনুভব করতেই কেমন অবশ হয়ে আসল শরীরটা। কোনকিছু না ভেবে বুকের মধ্যে ঝাপটে ধরেছিলাম জয়াকে। তারপর সেদিন তাকে ভরসা দিয়েছিলাম কোনদিন ছেড়ে যাবো না। লাগে সবকিছু ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করবো।

তারপর থেকে দিন দিন সম্পর্ক আরো গভীর হতে লাগল।সময় যেতে যেতে মনের ভেতরে জয়াকে হারানোর ভয়টা কেটে গেল। মনে হচ্ছিল জয়াকে চিরদিনের জন্য পেয়ে গেছি।

বন্ধু আকিব তার বাসায় আমাদের বারো তেরোজনের দলটাকে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে পার্টির জন্য ডাকলো। সাড়ে বারোটার দিকে মোটামুটি সবাই চলে গেল।জয়ার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো, কারন এখন হলের গেট খুলবে না। তাছাড়া বর্তমান প্রভোস্ট একটু বেশীই বদমেজাজি।

আকিব ব্যাপারটা আচঁ করতে পেরে বললো, "আরে রাতের অর্ধেক সময়ত চলেই গেছে বাকি সময়টা এখানেই কাটিয়ে দে। জয়া আমার রুমে থাকবে আমি আর তুই বাবুর রুম শেয়ার করে নিবো।"

কোন উপায় না দেখে রাজী হলো জয়া। জয়া আর আমি ছাদে বসে ছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত। শীতের রাতে ঠান্ডায় দুজন জমে গিয়েছিলাম। শীতের রাতের আলাদা একটা রুপ আছে। সবকিছুকে কুয়াশা এমনভাবে ঢেকে রাখে।
মনে হয় পৃথিবীর সবকিছুকে কুয়াশা বুকে নিয়ে রেখেছে।
এমন পরিবেশে জয়াকর পেয়ে নিজেকে অনেক সম্পূর্ন লাগছে। শীতের হীম হীম হাওয়া গায়ে লাগতেই ভালো লাগাটা আরে বেড়ে গেল।

বাসায় ডুকে দেখলাম আকিব আর বাবু রীতিমত নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। জয়াকে রুমে দিয়ে 'গুড নাইট' বলে অনেক কষ্টে বের হতে যাচ্ছিলাম। জয়া হাত চেপে ধরলো চাপা স্বরে বললো, "ভয় লাগছে সকাল হতে আর দুই-তিন ঘন্টা এখানে বসে গল্প করে কাটিয়ে দেই।"

আমারও ওকে ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না। আমার সবসময়ই শীত বেশী লাগে। জয়া কম্বলটা এগিয়ে দিয়ে বললো, "এটার নীচে পা ডুকিয়ে বসো।"

আমি কিছুক্ষন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ জেগে দেখি জয়া একই রকমভাবে বসে আছে। বললাম, 'ঘুমাবে না।' বললো, 'মাথা ব্যাথা করছে।' ওর কাছে গিয়ে দেখি হাত পা সব বরফ ঠান্ডা হয়ে আছে।

তাড়াতাড়ি কম্বল দিয়ে বুকে চেপে ধরলাম। আমার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে উঠল। আমার ভারি নিঃশ্বাস বার কয়েক জয়ার মুখে লাগতেই জয়া আমায় আরো শক্ত করে চেপে ধরে ওর মুখ আমার বুকে ঘষতে লাগলো।

সমস্ত আত্মায় ভয়ংকর সুন্দর ভালো লাগা শিহরণ জেগে উঠলো। তারপর নিজের অজান্তেই শরীর একধাপ একধাপ
করে চূড়ান্ত ধাপে চলে গেলো। দুজনের একজনও শরীরকে বাঁধা দিলাম না। মনের ভেতর অপার্থিব এক উল্লাসের ধারা বয়ে গেল।

সকালবেলা আকিব অফিসে যাওয়ার জন্য দরজা নক করতেই দরফড়িয়ে উঠলাম, জয়াকে ডাকলাম। কিন্তু কোন সারা পেলাম না। আকিবের সাথে চোখ মিলাতে পারছিলাম না। ও কি বুঝলো জানি না। খুব স্বাভাবিকভাবে বললো, "চাইলে সারাদিন এখানে কাটিয়ে যেতে পারিস।"

আকিব আর বাবু চলে গেলে। জয়াকে ডাকলাম কেমন যেন লজ্জা লজ্জা ভাব লাগছিল। জয়া চোখ খুলে উঠে বসলো। খোলা এলোমেলো চুলে ওকে সাংঘাতিক সুন্দর লাগছিল। ওকে দেখলে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ও অদ্ভুত ভালো লাগার ঘোরে ডুবে আছে। অনেক জড়তা মিশিয়ে ওকে বললাম,

- 'সরি।'
- 'কেন?'
- 'কাল রাতের জন্য।'

অদ্ভুত সুন্দর এক হাসি দিয়ে বললো,
- 'দেখো তোমায় আমি অনেক আগেই মনে মনে বিয়ে করে ফেলেছি। সো নো সরি।'

জয়া আমায় বললো,
- 'চল আজ আমরা খাতা কলমে বিয়ে করে ফেলি।'

আমি বললাম
- 'সবই করে ফেলেছি। এইটা অন্তত বাবা মায়ের জন্য থাক না বাকি...আমি তাদের একমাত্র ছেলে। বিয়ে নিয়ে বাবা মায়ের অনেক আশা। বাবা মা সহ সবাইকে নিয়ে এসে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করবো তোমায়।'

দশটা পেরিয়ে গেছে তবুও সূরুজ মিয়া কুয়াশার চাদর ঠেলে বেরিয়ে আসতে পারছে না। রিক্সা চলতে শুরু করলো। মনে হয় শৈত প্রবাহ শুরু হয়েছে। রতন মামার চায়ের টংটাকে দুইহাত দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে না।

দোকানের সামনে নেমে গেলাম। ঠান্ডায় দুইহাত ঘষতে ঘষতে চা দিতে বললাম। রতন মামু চায়ে চিনি দিয়ে টুংটাং শব্দ করছে আর বলছে, "জয়া আপা আপনেগোর বিয়াতে কইলাম আমারে দাওয়াত দিবেন। আমি সেদিন স্পেশাল চা বানাইয়া নিয়া যাইমু আপনাগোর দুইজনের লাইগা।"

আমাকে অবাক করে জয়ন বলে উঠলো, "তাইলে আজকেই খাওয়ান।" রতন মামু জয়ার কথায় কৌতহলী দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলো, "বিয়া কি কইরা লাইছেন???"

"নারে মামু। এই কথা কয় আপনার স্পেশাল চা খাওয়ার ধান্ধায়।"

জয়াকে দেখে মনে হচ্ছিল গতরাত থেকে চলমান গোপন সুখের কথা পারলে সে চিৎকার করে বলে। চা শেষ করে জয়াকে হলে দিয়ে আসলাম। অনেক অসহায় মনে হচ্ছিল নিজেকে। জয়াকে ছেড়ে আসতে মন চাইছিল না। জয়া ভেজা চোখে তাকিয়ে ছিলো। কাছে গিয়ে বলেছিলাম, "আরে পাগলী আমরা বিকেলে আবার দেখা করবো।"

এর আগে কখনও জয়া এমন করেনি আমারও এত খারাপ লাগেনি কখনও। কারন দুজনে চাইলেই দেখা করতে পারতাম। সেদিনই জয়া আর আমার শেষ দেখা হয়েছিল। হয়তো মন নামক আজব জিনিষটা এই ব্যাপারটা ঠিকই টের পেয়েছিল।

ক্যাম্পাসে যেতে ইচ্ছে করছে না। হলের দিকে হাঁটা ধরলাম। সমস্ত শরীরে জয়ার মিষ্টি পরশ লেগে আছে। এই মেয়েটাকে এত ভালোবাসি কেন? জয়া পাশে না থাকলে বড্ড বেশী শূন্য শূন্য লাগে।

সেদিন রুমের দরজা খুলে দেখলাম একটা ভাঁজ করা কাগজ পরে আছে। কাগজে জামিলের লেখাটা পড়ে জানলাম আমার দুলাভাই ভোরবেলা মারা গিয়েছে।

জামিল আমাদের পাশের বাড়ির ছেলে। সদরঘাটে ওর একটা ফোনফ্যাক্সের দোকান আছে। জরুরী কিছু হলে বাবা ওর কাছে ফোন করে খবর দেত। খবরটা শুনে উম্মাদের মত ছুটে গিয়েছিলাম বাড়িতে। তারপর একের পর এর বিপদের সামনাসামনি হতে থাকলাম।

(চলবে)...

গল্পঃ অবৈধ সন্তান
পর্বঃ_০১
--------------
(সবাই শেয়ার করবেন গল্পটা, আপনাদের সাড়া পেলে পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট করবো, ধন্যবাদ)

সারা রাত শ্রাবণীর(আমার গার্লফ্রেন্ড) সাথে কথা বলার পর শেষ রাতের দিকে একটু ঘুমিয়েছি। কিন্তু সকাল সকাল দাদী ডাকতে লাগলো।আম...
02/02/2024

সারা রাত শ্রাবণীর(আমার গার্লফ্রেন্ড) সাথে কথা বলার পর শেষ রাতের দিকে একটু ঘুমিয়েছি। কিন্তু সকাল সকাল দাদী ডাকতে লাগলো।আমি ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দাদীকে বললাম,
-- ঐ বুড়ি,, সমস্যা কি তোর?? এত সকাল সকাল ডাকছিস কেন?
দাদী মুখ বাকিয়ে বললো,
~এত বেলা পর্যন্ত ঘুমাস কেন? তোর তো বউ নাই যে সারারাত লুডু খেলেছিস তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারছিস না।

আমি দাদীকে বললাম,
-- দাদী তোমার বাবা যেন কি করতো??
দাদী চেহারাটা মলিন করে বললো,
~ আমার বাপ অন্যের জমি বর্গা দিতো। ইসসস বাপজান আমাদের নিয়ে ভোর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি যে পরিশ্রম করতো

এইবার আমি দাদীকে বললাম,
~ বুড়ি,তোর বাপ ফকির ছিলো তাই তুই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠিস আর আমার বাপ বড়লোক তাই আমি ১২ টা বাজিয়ে ঘুম থেকে উঠবো। এখন আমার রুম থেকে যা, তা না হলে তোর সাথে লুডু খেলা শুরু করবো..

দাদী আমার কথা শুনে মুখ বাঁকিয়ে ভেংচি দিয়ে চলে গেলো....

ছোটবেলা থেকে আমি দাদীর কাছেই মানুষ হয়েছি। বাবা মা চাকরি করার কারণে আমায় তেমন সময় দিতে পারতো না। দাদী আমাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে।

দাদীর সাথে আমার সম্পর্কটা টম আর জেরির মত। সারাক্ষণ আমরা একজন আরেকজনের পিছনে লেগে থাকি। আমার বন্ধু বান্ধব মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যায় আমার আর দাদীর ১৮+ কথা বার্তা শুনে।

রাতে দাদীর রুমে ঢুকে দেখি দাদী খাটটা পরিষ্কার করছে। এই খাটে দাদা থাকতো। ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি দাদী এইখানে না ঘুমিয়ে নিচে ফ্লোরে ঘুমায়। আমি দাদীকে অনেক বলেছি,
হয় তুমি এই খাটে ঘুমাও না হয় অন্য খাটে। তুমি শুধু শুধু ফ্লোরে ঘুমাও কেন?

দাদী কিছু বলতো না শুধু মুচকি মুচকি হাসতো। তাই আজ দাদীকে খুব চেপে ধরলাম।
দাদীকে বললাম,
-- তোমাকে আজ বলতেই হবে তুমি খাটে ঘুমাও না কেন?

দাদী মুচকি হেসে বললো,
~ তোর দাদা খুব সৌখিন মানুষ ছিলো। তোর দাদা যতদিন বেঁচে ছিলো ততদিন এই খাটে আমার জায়গা হয় নি।
আমি বললাম,
-- দাদী, দাদা তো বেঁচে নেই তাহলে এখন খাটে ঘুমালে সমস্যা কি?
দাদী বললো,
~ তোর দাদা বেঁচে থাকতেই যেহেতু আমার খাটে জায়গা হয় নি তাহলে এখন আর খাটে শুয়ে মায়া বাড়াতে চাই না।

দাদীর কথা শুনে মনে হচ্ছিলো দাদীর মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে। তাই দুষ্টামি করে দাদীকে বললাম,
-- আচ্ছা বুড়ি, দাদা তো তোমাকে খাটেই জায়গা দিতো না তারপরেও তুমি ৩ সন্তানের মা হলে কিভাবে? এজন্যই তো বলি আমার ছোট চাচার চেহারার সাথে আমার ছোট দাদা রহিম মিয়ার এত মিল কেন। বুড়ি তুই তলে তলে টেম্পো চালাতি আর দাদা জানতে চাইলে তুই বলতি হরতাল...

দাদী আমার কথা শুনে রাগে জর্দার কৌটা আমার দিকে ছুড়ে মারলো। আর আমি হাসতে হাসতে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
|
|

বেলা ১০ টা এখন পর্যন্ত দাদী আমায় ডাকতে আসলো না। আমার ২৫ বছর জীবনে এই প্রথম দাদী আমায় সকালে ডাকে নি। তারমানে দাদীর কিছু হয়েছে। শুয়ে থেকে আমি এইসব কি চিন্তা করছি। এক লাফে বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে দাদীর রুমে গেলাম। রুমে গিয়ে দেখি দাদী কান্না করছে। আমি দাদীর কাছে গিয়ে বললাম,
-- দাদী কি হয়েছে তোমার? তুমি কাঁদছো কেন?
আমার কথা শুনে দাদী বললো,
~ কার জন্য আবার, আমার জামাইয়ের জন্য কাঁদি। ঐ বুইড়া জীবিত থাকার সময় আমায় শান্তি দেয় নি আর ম*রে গিয়েও আমায় শান্তি দিচ্ছে না।
আমি অবাক হয়ে দাদীকে বললাম,
-- দাদা আবার তোমায় কি করলো?
দাদী কাঁদতে কাঁদতে বললো,
~মাঝরাতে হঠাৎ করে আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। মনে মনে ভাবলাম এইজীবনে তো কোনদিন তোর দাদার এই খাটে তে ঘুমালাম না। আজ না হয় একটু ঘুমায়। খাটে শুয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম জানি না। শেষ রাতের দিকে একটা স্বপ্ন দেখলাম। তোর দাদা এসে আমায় বলছে, "মা*গী ( আগের দিনে গ্রাম বাংলার মানুষ রেগে গিয়ে স্ত্রীকে এই নামে গা*লি দিতো) তোর এত বড় সাহস তুই আমার খাটে ঘুমিয়েছিস।" এই বলে তোর দাদা আমার পিছনে লা*থি মা*রে আর আমি সোজা খাট থেকে গড়িয়ে পড়ি। এখন আমার সারা শরীরে ব্যাথা...

আমি দাদীর কথা শুনে প্রচন্ড হাসতে লাগলাম আর দাদী বলতে লাগলো,
~আমি এই খাট আর আমার কাছে রাখবো না। তুই যেদিন বিয়ে করবি সেদিন তোকে এই খাট আমি উপহার হিসেবে দিয়ে দিবো..
|
|
তার বেশ কয়েকদিন পর আমার আর শ্রাবণীর বিয়ে হলো।
দাদীর ইচ্ছেতেই দাদার খাটের উপর আমাদের বাসর রাত হলো। শুনেছি বাসর রাত মানে মধুর রাত কিন্তু আমার বাসর রাত হয়েছিলো নিমপাতার চেয়েও তেতো।

খাটের উপর শ্রাবণী বসে ছিলো। আমি রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে খাটের উপর বসা মাত্র খাট ভেঙে নিচে পরে গেছি। অনেক পুরাতন খাট। গুনে খেয়ে সব শেষ করে দিয়েছে। এখন যদি সকালে লোকজন দেখে খাট ভাঙা তাহলে কি না কি ভাববে তাছাড়া দাদী কান্না করে পুরো এলাকার মানুষকে জানাবে।

সারারাত আমি আর শ্রাবণী খাট ঠিক করতে করতে কাটিয়ে দিলাম কিন্তু খাট আর ঠিক হলো না। খাট যখন ঠিক করছিলাম তখন শ্রাবণীর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হচ্ছিলো। ওর কপালে লেগে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখে আমি আবার ওর প্রেমে পড়ে গেলাম। খুব ইচ্ছে করছিলো ওর কপালে আমার আঙুল ছুঁয়ে দিতে। কিন্তু এখন যদি ওকে স্পর্শ করি তাহলে ও আমার মাথা ফাটিয়ে ফেলবে। এমনিতেই ও রাগে লাল হয়ে আছে।
|
|

৩০ মিনিট ধরে দাদী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ডাকছে কিন্তু আমি লজ্জায় দরজা খুলতে পারছি না। খুলবো কি করে খাট তো ভাঙা ঠিক করতে পারি নি।।

অবশেষে দরজা খুললাম। দাদী রুমে ঢুকে খাট দেখে যখনি চিৎকার দিবে তখনি দাদীর মুখ চেপে ধরে বললাম,
-- দাদী, খাট দাদা ভেঙেছে। স্বপ্নে দাদা এসেছিলো। দাদা এসে দেখে আমি আর তোমার নাত বউ খাটে শুয়ে আছি। তখন আমাদের খাট থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় আর রাগে নিজের খাট নিজে ভেঙে ফেলে।

দাদী আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বললো,
~ বলেছিলাম না এই বুইড়া ম*রার পরেও আমার পিছন ছাড়ে নি। তুই তো বিশ্বাস করতি না এখন দেখলি তার প্রমাণ...

দাদী মনে হয় আমার কথা বিশ্বাস করেছে। আমি কোন রকমে লজ্জার হাত থেকে বাচলাম তাকিয়ে দেখি শ্রাবণী মাথা নিচু করে মুচকি মুচকি হাসছে...

©️

বাবা মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করলাম।কাবিন রাখলাম চার হাজার টাকা।দুই বছরের সংসারে অভাব অনটনে পরিপূর্ণ।প্রথম ...
24/01/2024

বাবা মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করলাম।কাবিন রাখলাম চার হাজার টাকা।

দুই বছরের সংসারে অভাব অনটনে পরিপূর্ণ।প্রথম প্রথম বিষয়টা অতটা গায়ে লাগতো না।প্রিয় মানুষ সাথে আছে, এই তো অনেক।

কিন্তু যতদিন যেতে লাগলো ওর রাগ বাড়তে লাগলো।সামান্য বিষয় নিয়েই কুচকাওয়াজ লেগে যায়।অভাবের তাড়নায় ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালাবে নাকি দরজা দিয়ে পালাবে সেটার কূল পেলো না!

আজ সকালে কথা কা"টাকা"টির এক পর্যায়ে সে বললো

" তোমায় বিয়ে করা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল।তোমার দাম কাবিনের ওই চার হাজার"ই "

তার কথায় আমি এতোটাই ব্যথিত হলাম যে কখন গাল অশ্রু গা"ল গড়িয়ে পড়লো টেরই পেলাম না।এই কি সেই ছেলে? যাকে বিয়ে করার জন্য অ্যামেরিকার সিটিজেনশীপ পাওয়া ছেলেকে উপেক্ষা করেছি! এই কি সেই ছেলে? যার জন্য পরিবার ছেড়েছি?

ভেবেছিলাম যার কাছে আমি অমূল্য সেই আজকে বললো আমার দাম চার হাজার!

গল্প

19/01/2024

প্রথম বাসর রাত মিশা সওদাগরের

15/01/2024

[২:২৫৫] আল বাকারা

اللَّهُ لا إِلهَ إِلّا هُوَ الحَيُّ القَيّومُ لا تَأخُذُهُ سِنَةٌ وَلا نَومٌ لَهُ ما فِي السَّماواتِ وَما فِي الأَرضِ مَن ذَا الَّذي يَشفَعُ عِندَهُ إِلّا بِإِذنِهِ يَعلَمُ ما بَينَ أَيديهِم وَما خَلفَهُم وَلا يُحيطونَ بِشَيءٍ مِن عِلمِهِ إِلّا بِما شاءَ وَسِعَ كُرسِيُّهُ السَّماواتِ وَالأَرضَ وَلا يَئودُهُ حِفظُهُما وَهُوَ العَلِيُّ العَظيمُ

বায়ান ফাউন্ডেশন:
আল্লাহ! তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি স্বাধীন ও নিত্য নতুন ধারক, সব কিছুর ধারক। তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করেনা। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? সম্মুখের অথবা পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন। একমাত্র তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত, তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারেনা। তাঁর আসন আসমান ও যমীন ব্যাপী হয়ে আছে এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণে তাঁকে বিব্রত হতে হয়না। তিনিই সর্বোচ্চ, মহীয়ান। (আয়াতুল কুরসী)

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Basor Rat 18+ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Basor Rat 18+:

Share