Ruqyah Center Dhaka - রূকইয়াহ সেন্টার ঢাকা

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Ruqyah Center Dhaka - রূকইয়াহ সেন্টার ঢাকা

Ruqyah Center Dhaka - রূকইয়াহ সেন্টার ঢাকা Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ruqyah Center Dhaka - রূকইয়াহ সেন্টার ঢাকা, Medical and health, Dhaka.
(11)

Bangladesh ruqaiya rukyah rukiya rokeya rokiya rokia ruqyah healing
রুকিয়া
রুকইয়াহ
রোকিয়া Rokiyah রুকাহ Rukah
রুকিয়া চিকিৎসা Rukia chikitsa Ruqyah treatment ইসলামিক চিকিৎসা Islamic chikitsa Islamic treatment কোরআনী চিকিৎসা Korani chikitsa treatment রুকয়াহ সেন্টার ঢাকা-কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র, যেখানে যাদু, জ্বিন, হাসদ/নজর ও মানসিক সমস্যার আসল সমাধান মেলে পবিত্র কুরআনের আলোয়। ইসলামী উপায়ে আধ্যাত্মিক সুস্থতা ও শান্তির নিশ্চয়তা, একমাত্র আল্লাহর রহমতে।

15/07/2025

# # 🔥 جادو: সেহরুশ শাক্ক ফিল আকারিব

# # # **(سِحْرُ الشَّكِّ فِي الْأَقَارِبِ)**

# # # "আপনজনদের প্রতি সন্দেহ লাগানোর জাদু"

---

# # # 📌 এই জাদুর সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

এটি এমন এক কু-জাদু, যার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের খুব কাছের মানুষ যেমন মা, বাবা, ভাইবোন, স্বামী, স্ত্রী বা বন্ধুদের উপর **অহেতুক সন্দেহ** করতে থাকে। সে ভাবে – *“তারা আমাকে ভালোবাসে না”, “তারা আমার বিরুদ্ধে কিছু বলছে”, “তারা আমার ক্ষতি করতে চায়”*।

> এ জাদুর উদ্দেশ্য হলো: **পরিবারে ভাঙন সৃষ্টি করা, ঘনিষ্ঠ মানুষদের মাঝে দূরত্ব এনে একা করে ফেলা।**

---

# # # 🎯 **কে বা কারা এই জাদু করে?**

* **হিংসুক ব্যক্তি**, যারা দেখে আপনি পরিবারে শান্তিতে আছেন বা আপনজনদের ভালোবাসা পাচ্ছেন।
* **নষ্ট প্রেমিক/প্রেমিকা বা বন্ধুত্বের শত্রু**, যে চায় আপনি পরিবার থেকে দূরে থাকুন।
* **মেয়ের বিয়ে ঠেকাতে বা সম্পর্ক ভাঙতে কেউ এ কাজ করে থাকে।**
* **ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী,** যাতে আপনি পরিবারিক সাপোর্ট না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েন।

---

# # # 🎯 **তারা এটা করে কীভাবে?**

* **তাবিজ লিখে:** শরীর বা বাড়ির চারপাশে পুঁতে রাখে।
* **পানি, বাতাস বা খাবারে যাদুর স্পেল দিয়ে।**
* **তাবিজ পোড়ানো বা রক্ত ব্যবহার করে বদদোয়া/চুক্তি করে।**
* **আপনার ছবি বা জামাকাপড় দিয়ে জিনকে লাগিয়ে দেয়।**

> তারা এই জিন পাঠায় এমনভাবে, যাতে আপনার চিন্তা, বিশ্বাস, ও অনুভব নিয়ন্ত্রণ করে দিতে পারে।

---

# # # 🧠 **প্রধান লক্ষণসমূহ (সিমটম)**

> ⚠️ ২ বা ৩টি লক্ষণ একসাথে থাকলেই সতর্ক হতে হবে। এগুলোর সব না থাকলেও, বারবার হলে সিহরের সম্ভাবনা প্রমাণিত হয়।

# # # # 🧩 মানসিক ও আবেগজনিত লক্ষণ:

1. মা, বাবা বা স্বামীর কথা বিশ্বাস না করা।
2. মনে হয়, তারা মিথ্যা বলছে বা আড়ালে আমার বদনাম করছে।
3. হঠাৎ হঠাৎ রাগ উঠা, ছোট কথায় বিরক্ত হওয়া।
4. আগের মত পরিবারের কাছে শান্তি না পাওয়া।
5. মনে হয় কেউ আমার বিরুদ্ধে লাগাচ্ছে।
6. ঘনিষ্ঠ মানুষদের মুখে বা চোখে "বিদ্বেষ" খুঁজে পাওয়া, অথচ বাস্তবে কিছু নেই।
7. অকারণে মন খারাপ বা চোখে পানি চলে আসা।
8. সবসময় মনে হয় আমি একা, কেউ বুঝতে পারছে না।
9. মা-বাবা/স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গেও ঝগড়া, খারাপ ব্যবহার, মন কষাকষি।

# # # # 😴 ঘুম ও দেহ-সম্পর্কিত লক্ষণ:

1. ঘুমে দেখা যায় মা-বাবা বা স্বামী রাগ করছে, বিরক্ত করছে, ধাক্কা দিচ্ছে।
2. ঘুম থেকে উঠে কাঁদা বা আতঙ্ক নিয়ে জেগে ওঠা।
3. মাথা ভার লাগে, ঘনঘন রাগ হয়।
4. শরীরে ক্লান্তি, অলসতা, মন খারাপ।
5. বুক ধড়ফড় করে, দম বন্ধ ভাব।

---

# # # 💣 **এটা হালকাভাবে নিলে কী ক্ষতি হতে পারে?**

* পরিবার ভেঙে যেতে পারে।
* মা-বাবার দোয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া।
* ভালো সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে একাকীত্বে ভোগা।
* ভুল বোঝাবুঝি থেকে **আত্মহত্যা পর্যন্ত** হতে পারে (নাউজুবিল্লাহ)।
* মানুষিক বিকার, বিষণ্নতা, এমনকি **জিনে ধরার সুযোগ**।

---

# # # 🛡 **এর থেকে বাঁচার উপায় ও করণীয় আমল**

# # # # ✅ ১. নিয়মিত রুকিয়াহ পাঠ (সকাল ও সন্ধ্যায়):

> ৩ বা ৭ বার প্রতিদিন এইগুলো পড়ুন পানি/জল/জামার উপর ফুঁ দিয়ে পান করুন বা ব্যবহার করুন:

* **সূরা আল-ফাতিহা (٧ বার)**
* **আয়াতুল কুরসি (٢ বার)**
* **সূরা আল-ইখলাস, আল-ফালাক, আন-নাস (৩ বার করে)**
* **সূরা ত্বা-হা ৬৯ (وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ)**
* **সূরা ইউনুস ৮১–৮২ (فَلَمَّا أَلْقَوْا...)**
* **সূরা আরাফ ১১৭–১২০**

# # # # ✅ ২. এই দোয়াটি দিনে বারবার পড়ুন:

> **أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ**
> উচ্চারণ: আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক
> বাংলা অর্থ: “আমি আল্লাহর পূর্ণ কালিমাগুলোর আশ্রয় চাচ্ছি, তার সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে।”

# # # # ✅ ৩. দরূদ শরীফ বেশি করে পড়ুন:

* **দরূদ ইব্রাহীমি** (৭০ বার বা তার বেশি)

# # # # ✅ ৪. সন্দেহ এলে সাথে সাথে বলুন:

> **رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي، وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي**
> “হে আমার রব! আমার বক্ষ উন্মুক্ত করে দাও, আমার কাজ সহজ করে দাও।”

# # # # ✅ ৫. প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আত্মরক্ষার আমল:

* বিছানায় শোয়ার আগে **সূরা বাকারা’র শেষ দুই আয়াত (آمَنَ الرَّسُولُ)**
* বালিশের নিচে কাগজে লিখে রাখুন:
**بِسْمِ اللهِ عَلَى دِينِي وَنَفْسِي وَأَهْلِي وَمَالِي**

---

# # # 📣 সতর্কতামূলক পরামর্শ:

* নিজের অনুভূতির উপর অন্ধভাবে নির্ভর করবেন না।
* পরিবার বা ঘনিষ্ঠজনদের সাথে খোলাখুলি কথা বলুন।
* সন্দেহ আসলে তা নিশ্চিত না হয়ে কাজ করবেন না।
* দেরি না করে রুকিয়াহ চিকিৎসা নিন (বিশ্বস্ত রাকির মাধ্যমে)।
* কাউকে নিজের ব্যবহার করে ভাঙন ঘটানোর সুযোগ দেবেন না।

---

# # # 📌 শেষ কথা:

**যে ঘরে সন্দেহের বিষ ঢোকে, সে ঘর ভেঙে পড়ে।**
জাদুর মূল লক্ষ্যই হল "পরিবার ভেঙে একাকীত্বে ফেলে মানসিকভাবে দুর্বল করে রাখা।"
👉 তাই যদি এই পোস্টের অন্তত ২–৩টি লক্ষণ আপনার মধ্যে থাকে, **তাহলে অবিলম্বে রুকিয়াহ শুরু করুন।**

 # # 🎓 **"সব ঠিকঠাক হয়, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব ভেঙে পড়ে!"**তাওসিফ বরাবরই মেধাবী ছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট...
15/07/2025

# # 🎓 **"সব ঠিকঠাক হয়, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব ভেঙে পড়ে!"**

তাওসিফ বরাবরই মেধাবী ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, আইইএলটিএস-এ ভালো স্কোর, SOP দুর্দান্ত — তাই সে চাচ্ছিল স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপের এক নামকরা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যেতে।

সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাচ্ছিল।
স্কলারশিপের ই-মেইল এসেছে।
ফান্ডিং অ্যাপ্রুভ্ড।
ইভেন ভিসা পর্যন্ত প্রসেসিং-এর লাইনে।

কিন্তু হঠাৎ এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো —
সিস্টেমে এক ভুল এলো।
ইউনিভার্সিটি আর রেসপন্স দিল না।
সকল পেপার জমা থাকলেও — ফাইনাল কনফার্মেশন আটকে গেল।

এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ, ভিন্ন ইউনিভার্সিটি, আলাদা আলাদা সুযোগ — সব একই রকমভাবে শেষ মুহূর্তে থেমে গেছে।
অথচ যাদেরকে সে সহযোগিতা করে রিকমেন্ডেশন দিল, তারা এখন বিদেশে সফলভাবে পড়ছে।

তাওসিফ এখন হতাশ, ডিপ্রেশনে, রাতভর ঘুমাতে পারে না।
সে বলেছে —
👉 “আমি অনেক চেষ্টা করি... কিন্তু আমার ভাগ্যে যেন সফলতা লেখা নেই।”
👉 “সব ঠিকঠাক হয়... কিন্তু এক অদৃশ্য দেয়ালে আটকে যায়।”
👉 “মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ আটকে দিচ্ছে!”

---

# # 🔍 **এ ধরনের সমস্যার পেছনে কী থাকতে পারে?**

# # # ১. **سحر التعطيل** (সিহরুত তাঅতীল – সফলতা আটকে দেওয়ার জাদু)

এটা এমন এক যাদু, যা মানুষের কাজ, ফিউচার, রিজিক, ক্যারিয়ার বা উন্নতির দরজা বন্ধ করে দেয়।

# # # ২. **عين الحاسد – হিংসুকের চোখের বদনজর**

আপনি যখনই ভালো কিছু করতে যান, তাদের হিংসা আগুন ছুঁড়ে দেয়। ফলাফল: আপনি আটকে যান।

# # # ৩. **جنّ المانع – বাধা দেওয়ার জন্য নিযুক্ত জ্বীন**

জাদুকর বা শত্রুর দ্বারা নিযুক্ত জ্বীন, যারা কেবল আপনার উন্নতির রাস্তায় বাধা দেয়।

# # # ৪. **পারিবারিক জাদু বা পূর্বপুরুষদের কোনো চুক্তির প্রভাব**

অনেক সময় পরিবারের কেউ তাবিজ বা জাদুর চুক্তিতে জড়িত থাকলে, প্রভাব পড়ে সন্তানদের উপরেও।

---

# # ⚠️ **সতর্কতা: নিচের ৪-৫টি লক্ষণ মিললে রূহানী টেস্ট জরুরি**

1. কাজ শুরু ভালো হয়, কিন্তু শেষ মুহূর্তে থেমে যায়
2. কেউ সুযোগ দেয়, পরে নিজেই ছিনিয়ে নেয়
3. প্রচুর চেষ্টা করেও রেজাল্ট হয় না
4. অন্যকে সাহায্য করলে সে সফল, আপনি ব্যর্থ
5. মাঝেমধ্যে মাথায় গরম স্রোত, গলা শুকিয়ে যাওয়া
6. ভয়ের স্বপ্ন দেখা, অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুমহীনতা
7. অকারণে ঘুম ঘুম ভাব, অলসতা, মেজাজ খারাপ
8. ঘর থেকে বের হলে ভালো, বাসায় এলেই চিন্তা বাড়ে
9. কোনো কাজ করতে গেলেই বাধা আসে – ফাইল হারিয়ে যাওয়া, ইমেইল ডিলিট, ভুল তথ্য জমা
10. হঠাৎ শরীর ভারী মনে হয়, বা পিঠে অদ্ভুত চাপ

---

# # ✅ **সমাধান: সুন্নাহ ভিত্তিক রুকিয়াহ ও ঘরোয়া আমল**

# # # 🧪 **প্রথম ধাপ: রুকিয়াহ স্ক্যান ও টেস্ট (روحاني تشخيص)**

রুকিয়াহ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে — সমস্যার মূল কারণ কিসে?

---

# # # 📿 **দ্বিতীয় ধাপ: বাসায় করণীয় (রুকিয়াহ আমল)**

# # # # 🕛 সকাল/রাত:

**7 বার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করুন:**

> “رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ” (সূরা কাসাস: ২৪)

# # # # 🧠 সফলতা আনলক করার আয়াত (ভোরে ও সন্ধ্যায় ৭ বার):

> “وَفَتَحْنَا لَهُمْ أَبْوَابَ كُلِّ شَيْءٍ”
> "আর আমরা তাদের জন্য খুলে দিলাম সব কিছুর দরজা।" (সূরা আন’আম)

# # # # 🕊️ দোয়া:

> **اللهم افتح لي أبواب الخير والنجاح، واصرف عني عين الحاسد وسحر المعطلين.**

(১১ বার প্রতিদিন)

# # # # 📀 নিয়মিত সুরা বাকারা চালান (সকাল বা রাতে)

# # # # 🔁 রাতের ঘুমের সময় রুকিয়াহ অডিও (সিহর/ব্লকেজ বিষয়ে)

---

# # 🚫 **যা করবেন না:**

* তাবিজ/কবিরাজের কাছে যাওয়া
* সমস্যাকে গোপন করে রাখা
* হালাল রাস্তায় দোয়া ও ধৈর্য ত্যাগ করা

---

# # 📞 **যোগাযোগ (রুকিয়াহ চেকআপ ও ব্লকেজ টেস্টের জন্য):**

📲 **01344118012** ☎️ (হোয়াটসঅ্যাপ)
📲 **09638181348** ☎️ (ডাইরেক্ট কল)
📲 **01811009982** 📱 (হোয়াটসঅ্যাপ)
📲 **01983989360** ☎️ (হোয়াটসঅ্যাপ)
📲 **09638363934** ☎️ (ডাইরেক্ট কল)
📲 **01609209713** ☎️ (হোয়াটসঅ্যাপ)

---

# # # 🗺️ **ঠিকানা:**

**মুগদা পাড়া, মান্ডা হায়দার আলী স্কুল পার হয়ে মুড়িওয়ালী গলির মুখে এসে ফোন করুন।**
🌐 [Google Maps](https://maps.app.goo.gl/esZYPQTBq1XcH8i96)

---

**📌 পোস্টটি শেয়ার করুন — হয়তো কেউ আছেন, যিনি আজও জানেন না যে তার বারবার ব্যর্থতার পেছনে কেউ আছে, যাকে সে কখনো দেখেইনি।**
*তবুও সে আছে... তার দরজা আটকে রাখছে।*
**শিরক মুক্ত রুকিয়াহই হচ্ছে মুক্তির রাস্তা — ইনশাআল্লাহ।**

Find local businesses, view maps and get driving directions in Google Maps.

 # # 🕊️ **বিয়ের ৩ মাস পর, আচরণ এমন বদলে গেল — যেন চেনাই যায় না!**“বিয়ের আগে ছেলেটা ছিলো অন্যরকম। একদম বিনয়ী, প্রতিদিন কো...
15/07/2025

# # 🕊️ **বিয়ের ৩ মাস পর, আচরণ এমন বদলে গেল — যেন চেনাই যায় না!**

“বিয়ের আগে ছেলেটা ছিলো অন্যরকম। একদম বিনয়ী, প্রতিদিন কোরআন পড়ে, সালাত আদায় করতো নিয়মিত। মেয়েটিকে বলতো, *‘তুমি আমার জান্নাতের দরজা।’*
বিয়ের পর, প্রথম দুই সপ্তাহ ভালো গেল। কিন্তু হঠাৎ করে ছেলেটা বদলে গেল।

নামাজের কথা বললে রেগে যায়। সামান্য কথাতেই চিৎকার করে —
*‘তুমি আমার মাথা খাচ্ছো!’*
*‘আমাকে কি মুফতি বানাতে চাও?’*
ঘরের কথা ভুলে গিয়ে বাইরের মানুষের সামনে স্ত্রীকে অপমান করতে কুণ্ঠা করে না। কথা কাটাকাটির সময় কুরুচিপূর্ণ গালি দেয়, আর মাঝেমধ্যে *"তালাক দিয়ে দিবো"* এই শব্দটা যেন মন্ত্রের মতো বলে।

ঘরে অশান্তি, ঘুম নেই, মনে হচ্ছে — এক অদৃশ্য দেয়াল উঠে গেছে দু’জনের মাঝে।”

---

# # ❗ **এমন আচরণ কেন হয়?**

এ ধরনের হঠাৎ পরিবর্তন কেবল মানসিক অবসাদ বা দাম্পত্য দ্বন্দ্বের কারণে নয় — বরং এর পেছনে থাকতে পারে **রূহানী আঘাত বা জাদু/জিনজনিত** প্রভাব।

# # # 📌 **সম্ভব কারণগুলো:**

1. **বিবাহ-বিচ্ছেদের যাদু (سحر التفريق)** –
শয়তান বা জাদুকরদের তৈরি একধরনের যাদু, যা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।

2. **কারিণ বা সম্পর্ক নষ্টকারী জিন** –
যারা হালাল সম্পর্কেও হিংসা করে, পুরুষ বা নারীর আচরণ বদলে দেয়।

3. **বংশগত অভিশাপ বা পূর্বের তাবিজের প্রভাব** –
হয়তো শ্বশুরবাড়ি বা নিজের পরিবারের কেউ কোনোকালে তাবিজ ব্যবহার করেছিল, যার স্থায়ী প্রভাব এখন দেখাচ্ছে।

4. **প্রেমকালীন সম্পর্কের মাঝে ঈর্ষান্বিত কোনো পক্ষের নজর বা যাদু** –
অনেক সময় দেখা যায়, কারও অসন্তুষ্টি বা হিংসার কারণে দাম্পত্যে হঠাৎ করে শূন্যতা তৈরি হয়।

---

# # ⚠️ **লক্ষণসমূহ (৪-৫টি মিললে রূহানী টেস্ট জরুরি):**

1. হঠাৎ ভালোবাসা থেকে ঘৃণা
2. হালাল সম্পর্কেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
3. নামাজের প্রতি বিতৃষ্ণা
4. বৌ-এর প্রতি তুচ্ছ কথায় রাগান্বিত হয়ে যাওয়া
5. মাঝরাতে হঠাৎ জেগে ওঠা বা ঘুমে দুঃস্বপ্ন
6. ঘরবাড়িতে অস্বাভাবিক অশান্তি
7. মনে হয়, কেউ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে একে অপরকে
8. নিজের ওপর বিশ্বাস কমে যাওয়া
9. যৌন সম্পর্কের প্রতি বিতৃষ্ণা, অবসাদ
10. তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বারবার তালাক বা ছাড়ার কথা বলা

---

# # 💠 **সমাধান: হালাল পথে ভালোবাসা ফেরানোর জন্য কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক আমল**

# # # ✅ **প্রথম ধাপ: রূহানী স্ক্যান ও চেকআপ (রুকিয়াহ টেস্ট)**

*প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে — সমস্যার পেছনে যাদু/জিন/কারিণ জড়িত কিনা।* এজন্য রুকিয়াহ স্ক্যান করাতে হবে।

---

# # # 🧘‍♀️ **দ্বিতীয় ধাপ: বাসায় করণীয় আমলসমূহ**

(নিয়মিত এক সপ্তাহ আমল করলে ইনশাআল্লাহ পরিবর্তন আসতে শুরু করবে)

🔹 **আয়াত ও যিকির (প্রতি নামাজের পর):**

* **7 বার:**
❝وَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ❞ (সূরা আনফাল: ৬৩)
*“আর তিনি তাদের হৃদয়সমূহকে একতাবদ্ধ করে দিলেন।”*

* **11 বার:**
❝رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا...❞
*(সূরা ফুরকান: ৭৪ – সম্পর্ক মজবুত করার জন্য)*

🔹 **সন্ধ্যার পর:**

* ৭ বার সূরা ফাতিহা, ৭ বার আয়াতুল কুরসী, ৩ বার সূরা ফালাক ও নাস — পানিতে ফুঁ দিয়ে তা স্বামীকে পান করানো (মিষ্টি পানিতে দিলে উত্তম)
* প্রতিদিন রুকিয়াহ অডিও শুনে ঘুমানো (বিশেষ করে التفريق ও القرين সংক্রান্ত)

🔹 **দোয়া (দাম্পত্যে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনার জন্য):**

> **اللهم ألّف بيني وبين زوجي، وأصلح ذات بيننا، واجعلني قرة عينٍ له، وأعذه من همزات الشياطين.**

(একনিষ্ঠভাবে দিনে ৩বার পাঠ করুন)

---

# # # ❌ **যা করা যাবে না:**

* তাবিজ/কবিরাজ/মাজার – এসব শিরক ও জিনকে শক্তিশালী করে
* রাত ১২টার পরে একা জেগে থাকা – জিন সক্রিয় হয়
* সমস্যা অন্য কাউকে না জানিয়ে নিজের মধ্যেই রাখা

---

# # # 📞 **যোগাযোগ (রুকিয়াহ টেস্ট ও দাম্পত্য চিকিৎসা):**

📲 **01344118012** ☎️ (হোয়াটসঅ্যাপ)
📲 **09638181348** ☎️ (ডাইরেক্ট কল)
📲 **01811009982** 📱 (হোয়াটসঅ্যাপ)
📲 **01983989360** ☎️ (হোয়াটসঅ্যাপ)
📲 **09638363934** ☎️ (ডাইরেক্ট কল)
📲 **01609209713** ☎️ (হোয়াটসঅ্যাপ)

---

# # # 🗺️ **ঠিকানা:**

মুগদা পাড়া, মান্ডা হায়দার আলী স্কুলের পাশে মুড়িওয়ালী গলির মুখে এসে ফোন করুন
🌐 [Google Map লিংক](https://maps.app.goo.gl/esZYPQTBq1XcH8i96)

---

**💌 আপনার হালাল সম্পর্ক বাঁচানো সম্ভব – কেবল বুঝে, ধৈর্য ধরে এবং সুন্নাহর পথে থাকলে।**
*রুকিয়াহ করে দেখুন, হয়তো আল্লাহ আজই আপনার জন্য শান্তি ফিরিয়ে আনবেন ইনশাআল্লাহ।*

---

**যদি এই লেখাটি অন্য কারো উপকারে আসে মনে করেন, শেয়ার করুন।**
*কারণ অনেকেই ভেতরে কাঁদে — কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারে না।*

Find local businesses, view maps and get driving directions in Google Maps.

14/07/2025

৫০টি স্বপ্নজনিত রুকইয়ার লক্ষণ ও তার আলামত

১. বারবার সাপ দেখা: জাদু বা জিনের আসরের একটি শক্তিশালী আলামত।
২. কালো সাপ দেখা: এটি প্রায়শই শক্তিশালী জিনের উপস্থিতি বা জাদুর ইঙ্গিত দেয়।
৩. সাদা সাপ দেখা: তুলনামূলক দুর্বল জিন বা সাধারণ বদনজরের আলামত হতে পারে।
৪. সাপ কামড়ানো: এটি জিনের আক্রমণ বা জাদুর ক্ষতির তীব্রতার ইঙ্গিত।
৫. স্বপ্নে কুকুর দেখা: খারাপ জিন, বদনজর বা শত্রুর আলামত।
৬. কালো কুকুর দেখা: বিশেষত শক্তিশালী শয়তানি জিন বা ভয়ংকর জাদুর ইঙ্গিত।
৭. বিড়াল দেখা (বিশেষত কালো): জাদুর আলামত বা জিন দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ইঙ্গিত।
৮. স্বপ্নে নিজেকে তাড়া করা: জিন বা শয়তানের দ্বারা অনুসরণ করা বা আক্রান্ত হওয়ার অনুভূতি।
৯. উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়া: জিনের আসর বা মানসিক অস্থিরতার কারণে ভারসাম্য হারানোর আলামত।
১০. কবরস্থান বা মৃত মানুষ দেখা: জাদুর সাথে জড়িত জিন বা খারাপ আত্মাদের উপস্থিতি।
১১. নোংরা বা অপরিষ্কার স্থান দেখা: জাদুর নোংরা প্রভাব বা জিনের মন্দ প্রভাব।
১২. নিজের শরীরে পোকামাকড় দেখা: জাদুর কারণে সৃষ্ট ক্ষতি বা জিনের প্রভাবে শরীর আক্রান্ত হওয়া।
১৩. নিজের চুল বা নখ ঝরে যেতে দেখা: এটি জাদুর দ্বারা সৌন্দর্য বা স্বাস্থ্যের ক্ষতির আলামত।
১৪. নিজের পোশাক ছেঁড়া বা ময়লা দেখা: ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা, সম্মানহানি বা জাদুর নেতিবাচক প্রভাব।
১৫. মাছ দেখা (বিশেষত কালো): জাদুর প্রভাব বা জিনের উপস্থিতি।
১৬. কালো পানি বা কাদা দেখা: জাদুর গভীর প্রভাব বা কঠিন পরীক্ষার ইঙ্গিত।
১৭. স্বপ্নে অদৃশ্য শক্তি অনুভব করা: জিনের উপস্থিতি বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার লক্ষণ।
১৮. ঘুমানোর সময় বুক ভারি লাগা বা শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা: ঘুমের মধ্যে জিনের চাপ বা আসর।
১৯. স্বপ্নে নিজেকে আটকে থাকতে দেখা: জাদুর বাঁধন বা জিনের কারণে কর্মে বাধা।
২০. স্বপ্নে আগুন দেখা: জিনের আক্রমণ, জাদু বা গুনাহের আলামত।
২১. স্বপ্নে নিজেকে একা দেখা: জিনের প্রভাবে একাকীত্ব বা মানুষের থেকে দূরে থাকার প্রবণতা।
২২. স্বপ্নে বিষ্ঠা বা মলমূত্র দেখা: এটি জাদুর নোংরা প্রভাব বা অপবিত্রতার আলামত।
২৩. স্বপ্নে রক্ত দেখা: এটি জাদুর ক্ষতি বা শারীরিক ক্ষতির আলামত।
২৪. স্বপ্নে মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলা: জিনের মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়া বা জাদুগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক।
২৫. স্বপ্নে কাঁচি বা ধারালো বস্তু দেখা: জাদুর মাধ্যমে ক্ষতি করার চেষ্টা বা বিভেদের আলামত।
২৬. স্বপ্নে অন্ধকার বা কালো মেঘ দেখা: মানসিক অন্ধকার, হতাশা বা জাদুর নেতিবাচক প্রভাব।
২৭. স্বপ্নে নিজেকে অস্বাভাবিকভাবে হাসতে বা কাঁদতে দেখা: জিনের প্রভাবে অস্বাভাবিক আচরণ।
২৮. স্বপ্নে নিজের দাঁত পড়ে যেতে দেখা: পরিবারে সমস্যা, ক্ষতি বা মানসিক চাপের আলামত।
২৯. স্বপ্নে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকৃত দেখা: জাদুর প্রভাবে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতির ইঙ্গিত।
৩০. স্বপ্নে পাখি (বিশেষত কালো) দেখা: জিনের বার্তা বা খারাপ খবরের আলামত।
৩১. স্বপ্নে দুর্গন্ধ অনুভব করা: জাদুর নোংরা প্রভাব বা অশুভ শক্তির উপস্থিতি।
৩২. স্বপ্নে নিজেকে অসুস্থ দেখা, কিন্তু বাস্তব জীবনে সুস্থ থাকা: জিনের প্রভাবে অসুস্থতার অনুভূতি।
৩৩. স্বপ্নে নিজের বাড়িতে অশুভ ছায়া বা আকৃতি দেখা: ঘরে জিনের উপস্থিতি।
৩৪. স্বপ্নে শয়তান বা অদ্ভুত আকৃতির কিছু দেখা: সরাসরি শয়তানি জিনের আক্রমণ।
৩৫. স্বপ্নে গোশত বা কাঁচা মাংস দেখা: জাদুর নোংরা ব্যবহার বা অসুস্থতার আলামত।
৩৬. স্বপ্নে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ বা ডুবে যাওয়া: জীবনযাপনে তীব্র অস্থিরতা বা জাদুর গভীর প্রভাব।
৩৭. স্বপ্নে আয়নায় নিজেকে ভিন্ন রূপে দেখা: জিনের প্রভাবে নিজের পরিচয় বা চেহারার পরিবর্তন।
৩৮. স্বপ্নে নিজের কণ্ঠস্বর হারিয়ে যাওয়া: জাদুর কারণে বাকশক্তি বা আত্মবিশ্বাসের অভাব।
৩৯. স্বপ্নে পুরনো বা পরিত্যক্ত বাড়ি দেখা: অতীত থেকে আসা সমস্যা বা জিনের পুরনো আসর।
৪০. স্বপ্নে ফল বা গাছ শুকিয়ে যেতে দেখা: জীবনের প্রাচুর্য বা উন্নতির পথে বাধা।
৪১. স্বপ্নে পোকামাকড় কামড়ানো: জাদুর মাধ্যমে শারীরিক ক্ষতি বা রোগের আলামত।
৪২. স্বপ্নে নিজেকে বন্দি দেখতে পাওয়া: জাদুর বাঁধন বা জিনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারানো।
৪৩. স্বপ্নে কোনো অপরিচিত ব্যক্তি বারবার দেখা দেওয়া: জিনের আসর বা জাদুর পেছনে থাকা ব্যক্তি।
৪৪. স্বপ্নে স্বর্ণ বা অলংকার চুরি হতে দেখা: আর্থিক ক্ষতি বা জাদুর মাধ্যমে সম্পদ বিনষ্ট হওয়া।
৪৫. স্বপ্নে নিজেকে আগুনে জ্বলতে দেখা: কঠিন পরীক্ষা, শাস্তি বা জিনের কারণে মানসিক কষ্ট।
৪৬. স্বপ্নে অদ্ভূত প্রাণী বা জন্তু দেখা যা বাস্তবে নেই: জিনের বিভিন্ন রূপ বা তাদের উপস্থিতি।
৪৭. স্বপ্নে নিজেকে মৃত দেখতে পাওয়া: জীবনের এক অধ্যায়ের সমাপ্তি বা জাদুর গুরুতর প্রভাব।
৪৮. স্বপ্নে কাঁচ বা ভাঙা জিনিস দেখা: সম্পর্কের ভাঙ্গন বা ক্ষতির আলামত।
৪৯. স্বপ্নে নিজের প্রিয়জনের সাথে ঝগড়া করতে দেখা: জিনের প্রভাবে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি।
৫০. স্বপ্নে কাদা বা ময়লা পানিতে ডুবে যাওয়া: গুনাহে লিপ্ত হওয়া বা জাদুর কারণে বিপদে পড়া।
যদি এই ধরনের স্বপ্ন বারবার আসে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নিয়ে রুকইয়া করানো উচিত।

14/07/2025

কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার রুকইয়াহ করা উচিত?
রুকইয়াহ হচ্ছে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নির্দিষ্ট আয়াত ও দোয়া পাঠের মাধ্যমে চিকিৎসা। বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক সমস্যার পেছনে জাদু, বদনজর বা জিনের আসর থাকতে পারে। এই ধরনের সমস্যা নির্ণয় করা একটি সূক্ষ্ম বিষয়, যার জন্য অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। নিচে কিছু লক্ষণের বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো, যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার রুকইয়াহর প্রয়োজন হতে পারে।
শারীরিক লক্ষণসমূহ
১. ক্লান্তি ও দুর্বলতা:
* বিনা কারণে চরম ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভব করা।
* ঘুম থেকে ওঠার পরও শরীর দুর্বল লাগা।
* সামান্য পরিশ্রমেও দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
২. ব্যথা ও অস্বস্তি:
* শরীরের বিভিন্ন অংশে অজানা ব্যথা, বিশেষ করে পিঠ, কাঁধ, কোমর ও ঘাড়ে।
* ব্যথা স্থান পরিবর্তন করা।
* মাথাব্যথা যা সাধারণ ঔষধে কমে না বা হঠাৎ করে তীব্র হয়।
* বুকে চাপ বা ভারী অনুভব করা।
* শরীরের কোনো অংশে ঝিনঝিন করা বা অসাড়তা।
৩. ঘুমের সমস্যা:
* অনিদ্রা বা ঘুম না আসা।
* অতিরিক্ত ঘুম বা সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব।
* ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা দমবন্ধ লাগা।
* ঘুমের মধ্যে চিৎকার করা বা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করা।
* ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করা।
৪. হজমের সমস্যা:
* বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
* পেটে তীব্র ব্যথা বা অস্বস্তি।
* গ্যাস, বদহজম বা ডায়রিয়া যা চিকিৎসাতেও সারে না।
* অস্বাভাবিক ক্ষুধা বা ক্ষুধাহীনতা।
৫. ত্বক ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা:
* ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ যার কোনো কারণ নেই।
* শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক উষ্ণতা বা শীতলতা।
* মুখ বা জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া।
* অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বিশেষ করে রাতে।
* চোখের পলক অস্বাভাবিকভাবে বেশি পড়া।
* চোখের নিচে কালি পড়া।
* হাতের তালু বা পায়ের তলায় অস্বাভাবিক গরম বা ঠাণ্ডা অনুভব করা।
৬. অন্যান্য শারীরিক লক্ষণ:
* হঠাৎ করে শরীরের ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস।
* ঘন ঘন জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগা।
* শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কাঁপুনি।
* দুর্বল দৃষ্টিশক্তি বা চোখে ঝাপসা দেখা।
* প্রস্রাবের সমস্যা বা অস্বাভাবিক প্রস্রাব।
* শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া বা কানে অদ্ভুত শব্দ শোনা।
* কথা বলতে অসুবিধা হওয়া বা জড়তা আসা।
* দাঁত ক্ষয় হওয়া বা মাড়ির সমস্যা।
* শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বিশেষ করে রুকইয়ার আয়াত শুনলে।
* মুখ বা শরীরের কোনো অংশে পক্ষাঘাতের মতো অনুভূতি।
* গলা শুকিয়ে যাওয়া বা গলায় অস্বস্তি।
* শরীর থেকে দুর্গন্ধ আসা, যা পরিষ্কার করার পরও যায় না।
* নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
* চুল পড়া বা টাক হয়ে যাওয়া।
* শরীরের কোনো অংশে কালো বা নীল দাগ, যা আঘাতের কারণে নয়।
* রক্তের অস্বাভাবিক পরিবর্তন যা রিপোর্টে ধরা পড়ে না।
মানসিক ও আচরণগত লক্ষণসমূহ
৭. মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ:
* বিনা কারণে তীব্র অস্থিরতা বা উত্তেজনা।
* অকারণ দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক।
* ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত ভয়।
* মন খারাপ বা বিষণ্ণতা যা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৮. মেজাজ ও অনুভূতি:
* মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা অকারণ রাগ।
* অকারণে কান্না পাওয়া বা হতাশাবোধ।
* হাসি বা আনন্দ থেকে দূরে থাকা।
* নিজের প্রতি ঘৃণা বা আত্মবিশ্বাসের অভাব।
* অন্যের প্রতি বিদ্বেষ বা হিংসা অনুভব করা।
* সন্দেহপ্রবণতা, বিশেষ করে কাছের মানুষের প্রতি।
৯. চিন্তা ও স্মৃতিশক্তি:
* মনোযোগের অভাব বা কোনো কিছুতে মন বসাতে না পারা।
* স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বা ভুলে যাওয়া।
* অস্বাভাবিক চিন্তা বা বিভ্রম (Hallucination)।
* সিদ্ধান্তহীনতা বা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হওয়া।
* একই কথা বারবার বলা বা চিন্তা করা।
* আত্মহত্যার চিন্তা আসা বা জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা।
১০. সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন:
* একা থাকতে চাওয়া বা জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
* সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অনীহা।
* নিজের অজান্তেই অস্বাভাবিক আচরণ করা।
* মিথ্যা কথা বলার প্রবণতা।
* অন্যের ক্ষতি করার চিন্তা।
* হঠাৎ করে বদ অভ্যাস গড়ে ওঠা।
* অদ্ভুত বা অস্বাভাবিক হাসি বা কান্না।
* কথা বলার সময় অসংলগ্নতা।
* নিজের পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতা।
* অন্যের কথা শুনতে না চাওয়া।
* হঠাৎ করেই নিজেকে ঘৃণা করা বা নিজের চেহারার প্রতি বিতৃষ্ণা।
স্বপ্ন ও ঘুম সংক্রান্ত লক্ষণসমূহ
১১. দুঃস্বপ্ন ও ভয়ংকর স্বপ্ন:
* বারবার ভয়ংকর বা বীভৎস স্বপ্ন দেখা।
* স্বপ্নে সাপ, কুকুর, বিড়াল বা অন্য কোনো জন্তু দেখা যা আপনাকে তাড়া করছে বা আক্রমণ করছে।
* স্বপ্নে নিজেকে উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
* স্বপ্নে কবরস্থান, মৃত মানুষ বা নোংরা পরিবেশ দেখা।
* স্বপ্নে আগুন, ধোঁয়া বা পানি দেখা।
* স্বপ্নে অদৃশ্য কিছু বা কালো ছায়া দেখা।
* স্বপ্নে নিজেকে একা বা পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা।
১২. ঘুমের অন্যান্য সমস্যা:
* ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক নড়াচড়া বা ছটফট করা।
* ঘুম থেকে জেগে উঠলে অবসাদ বা ক্লান্তি অনুভব করা।
* স্বপ্নের মধ্যে কথা বলা বা চিৎকার করা।
* দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং আতঙ্কিত থাকা।
* ঘুমের মধ্যে মনে হওয়া যেন কেউ আপনার উপর ভর করে আছে বা গলা টিপে ধরছে (Sleep Paralysis)।
* স্বপ্নে নিজেকে অসুস্থ বা আহত অবস্থায় দেখা।
* স্বপ্নে নিজের প্রিয়জনের ক্ষতি হতে দেখা।
* স্বপ্নে মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলা।
* স্বপ্নে নিজেকে নোংরা বা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় দেখা।
ইবাদত ও দ্বীনী কাজে অনীহা
১৩. ইবাদতে বাধা:
* নামাজ পড়তে আলস্য বা অনীহা।
* কুরআন তেলাওয়াত করতে কষ্ট হওয়া বা মন না বসা।
* আযান শুনলে অস্বস্তি বা বিরক্ত লাগা।
* জিকির বা দোয়া করতে ইচ্ছা না করা।
* মসজিদে বা দ্বীনী মাহফিলে যেতে ভালো না লাগা।
১৪. দ্বীনের প্রতি অনীহা:
* দ্বীনের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়া।
* ফিতনা বা খারাপ কাজের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা।
* সহজেই গুনাহে লিপ্ত হওয়া।
* পর্দায় অনীহা বা অস্বস্তি বোধ করা।
* দ্বীনী জ্ঞান অর্জনে অনীহা।
* ভালো কাজে অংশ নিতে অনীহা।
১৫. অন্যান্য দ্বীনী লক্ষণ:
* রুকইয়ার আয়াত শুনলে শরীর অস্থির হয়ে ওঠা বা প্রতিক্রিয়া দেখানো।
* শরীয়াহ মোতাবেক চলতে কষ্ট হওয়া।
* ইবাদতের সময় মনোযোগ হারিয়ে ফেলা।
* দ্বীনী আলোচনায় বিরক্ত হওয়া।
* ওয়াজ বা খুতবা শুনলে অস্থির লাগা।
* নামাজে দাঁড়ানোর সময় বা ক্বিবলামুখী হলে অস্বস্তি বোধ করা।
* আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা কমে যাওয়া।
পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক লক্ষণসমূহ
১৬. পারিবারিক সমস্যা:
* স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অকারণ ঝগড়া বা বিচ্ছেদ।
* পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাস।
* সন্তানদের প্রতি অস্বাভাবিক রাগ বা বিদ্বেষ।
* সন্তান ধারণে সমস্যা বা বারবার গর্ভপাত।
* আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়া।
১৭. সামাজিক সমস্যা:
* বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়া বা ভুল বোঝাবুঝি।
* সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা।
* মানুষের সাথে মিশতে কষ্ট হওয়া।
* সবার কাছে অপছন্দের পাত্র হয়ে ওঠা।
১৮. আর্থিক ও পেশাগত সমস্যা:
* ব্যবসায় বারবার লোকসান বা অপ্রত্যাশিত আর্থিক ক্ষতি।
* কর্মক্ষেত্রে বাধা, পদোন্নতিতে সমস্যা বা চাকরি চলে যাওয়া।
* অর্থ উপার্জনে অনীহা বা সঞ্চয়ে অক্ষমতা।
* ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়া।
* কাজ করতে গেলে বারবার বাধা আসা।
১৯. অন্যান্য লক্ষণ:
* বিয়েতে বাধা আসা বা বারবার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া।
* ঘরে অদ্ভুত গন্ধ অনুভব করা, যার কোনো উৎস নেই।
* ঘরে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা বা জিনিসপত্র নড়াচড়ার শব্দ।
* বাড়িতে পোকামাকড় বা অদ্ভুত প্রাণীর উপদ্রব বৃদ্ধি।
* বাড়ির গাছপালা বা ফল-ফুলের দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া বা মরে যাওয়া।
* পোষা প্রাণীদের অস্বাভাবিক আচরণ।
* নিজের নাম বা পরিচয় ভুলে যাওয়া।
* অদ্ভুত বা অশরীরী কিছু দেখার বা অনুভব করার দাবি।
* ঘরে অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা বা গরম অনুভব করা।
* ঘরের দেয়ালে ফাটল বা ক্ষয় যা সাধারণ কারণে নয়।
* খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়া।
* ঘরে নেতিবাচক শক্তির উপস্থিতি অনুভব করা।
* কোনো কারণ ছাড়াই অসুস্থ হয়ে পড়া।
* চিকিৎসার পরও রোগের উপশম না হওয়া।
যদি উপরের কোনো লক্ষণ বা একাধিক লক্ষণ আপনার মধ্যে পরিলক্ষিত হয় এবং সাধারণ চিকিৎসা বা যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা না থাকে, তাহলে দ্রুত একজন নির্ভরযোগ্য এবং হক্কানী আলেম বা রুকইয়াহ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। মনে রাখবেন, এই ধরনের সমস্যা নিজে নিজে নির্ণয় না করে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

14/07/2025

রুকইয়া শরিয়াহ: আল্লাহর কালামের মাধ্যমে আত্মিক ও মানসিক নিরাময়

রুকইয়া (Ruqyah) হলো ইসলামিক পদ্ধতিতে রোগ নিরাময়, শয়তানের কুমন্ত্রণা দূরীকরণ, এবং বদনজর বা জাদুর কথিত প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়ার একটি শরিয়াহসম্মত উপায়। এটি মূলত আল্লাহর কালাম (কুরআন) তেলাওয়াত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়া পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার একটি প্রক্রিয়া। রুকইয়া কোনো জাদু বা মন্ত্র নয়, বরং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।

রুকইয়া কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
রুকইয়া হলো আত্মিক ও মানসিক চিকিৎসার একটি পদ্ধতি, যা কোরআন এবং সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। এর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নামের বরকতে এবং তাঁর রহমতে অসুস্থতা, দুশ্চিন্তা, ভয়, অথবা শয়তানের কথিত প্রভাব থেকে মুক্তি লাভ করা। রুকইয়াকে ইসলামে একটি বৈধ ও উপকারী আমল হিসেবে দেখা হয়, যা মানুষকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে আসে।

রুকইয়ার প্রকারভেদ:
ইসলামে দুই প্রকারের রুকইয়ার কথা বলা হয়েছে:
* শরিয়াহসম্মত রুকইয়া (রুকইয়া শরিয়াহ): এটি কোরআনের আয়াত এবং সহীহ হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠের মাধ্যমে করা হয়। এটি সম্পূর্ণ হালাল এবং এর মাধ্যমে কেবল আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে কোনো শিরক বা কুফরি বিষয় থাকে না।
* শরিয়াহ-বিরোধী রুকইয়া (রুকইয়া শিরকিয়া): এটি হলো সেই ধরনের রুকইয়া যেখানে শিরকপূর্ণ কথা, শয়তানের নাম, অপরিচিত শব্দ বা এমন সব মন্ত্র ব্যবহার করা হয় যা ইসলাম সমর্থন করে না। এটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এর মাধ্যমে শিরকের গুনাহ হয়। আমাদের অবশ্যই এই ধরনের রুকইয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
রুকইয়া শরিয়াহর জন্য ব্যবহৃত কিছু আয়াত ও দোয়া:
রুকইয়া শরিয়াহর জন্য কোরআনের নির্দিষ্ট কিছু আয়াত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত কিছু দোয়া পাঠ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
* সূরা আল-ফাতিহা: এটি কোরআনের প্রথম সূরা এবং এর মধ্যে নিরাময়ের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
* আয়াতুল কুরসি (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৫): এটি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করার জন্য খুবই শক্তিশালী আয়াত।
* সূরা আল-ইখলাস, সূরা আল-ফালাক, সূরা আন-নাস (কুল হুয়াল্লাহু আহাদ, কুল আ'উযু বিরাব্বিল ফালাক, কুল আ'উযু বিরাব্বিন নাস): এই তিনটি সূরাকে 'মুয়াওয়িযাত' বলা হয় এবং এগুলো সব ধরনের মন্দ প্রভাব, জাদু ও বদনজর থেকে সুরক্ষার জন্য খুবই কার্যকর।
* সূরা আল-বাকারা থেকে কিছু আয়াত: যেমন শেষ দুটি আয়াত (আমানার রাসুলু...)।
* রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়া: যেমন: "আ'উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিওঁ ওয়া হা-ম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি আইনিওঁ লা-ম্মাহ।" (আমি আল্লাহ্র পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক বদ নজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
কীভাবে রুকইয়া করা হয়?

রুকইয়া করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:
* নিজেই রুকইয়া করা: সবচেয়ে ভালো হয় যদি ব্যক্তি নিজেই নিজের জন্য রুকইয়া করে। পবিত্র অবস্থায় কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত ও দোয়াগুলো তেলাওয়াত করে নিজের হাতে ফুঁ দিয়ে শরীর মুছে নেওয়া অথবা পানিতে পড়ে সেই পানি পান করা ও গোসল করা যেতে পারে।
* অন্যের দ্বারা রুকইয়া করানো: একজন নেককার, ইলমওয়ালা এবং সুন্নাহ অনুসরণকারী ব্যক্তির দ্বারা রুকইয়া করানো যেতে পারে। তিনি আক্রান্ত ব্যক্তির উপর কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে ফুঁ দেবেন।
* পানির মাধ্যমে রুকইয়া: কোরআনের আয়াত পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে সেই পানি পান করা বা তা দিয়ে গোসল করা যেতে পারে। এটি আত্মিক পবিত্রতা ও নিরাময়ের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
* তেলের মাধ্যমে রুকইয়া: জলপাই তেলে কোরআনের আয়াত পড়ে সেই তেল আক্রান্ত স্থানে মালিশ করা যেতে পারে।
রুকইয়ার উপকারিতা ও সতর্কতা:
উপকারিতা:
* মানসিক ও আত্মিক শান্তি: রুকইয়া আল্লাহর উপর ভরসা বাড়ায় এবং মনকে শান্তি দেয়।
* শয়তানের প্রভাব দূরীকরণ: ইসলামিক বিশ্বাস অনুযায়ী, রুকইয়া শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং খারাপ প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে।
* বদ-নজর ও জাদুর কথিত প্রভাব থেকে সুরক্ষা: যারা বদনজর বা জাদুতে আক্রান্ত বলে মনে করে, তাদের জন্য রুকইয়া মানসিক সমর্থন ও সুরক্ষার উৎস হতে পারে।
* আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা: রুকইয়া মানুষকে কোরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরিয়ে আনে, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক।
সতর্কতা:

* শিরক পরিহার: রুকইয়া করার সময় বা করানোর সময় অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, কোনো শিরকপূর্ণ কথা, তন্ত্র-মন্ত্র বা অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে না।
* চিকিৎসকের পরামর্শ: রুকইয়া আত্মিক ও মানসিক নিরাময়ের একটি পদ্ধতি, তবে এটি কোনো শারীরিক রোগের চিকিৎসা নয়। যদি কোনো শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রুকইয়াকে চিকিৎসা পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে দেখা যাবে না।
* সঠিক ব্যক্তির নির্বাচন: রুকইয়া করানোর জন্য এমন ব্যক্তির কাছে যাওয়া উচিত যিনি কোরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এবং তাকওয়াবান। কোনো ভণ্ড বা প্রতারকের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন, যারা রুকইয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয় বা শিরকপূর্ণ কাজ করে।
* বিশ্বাস ও ধৈর্য: রুকইয়ার ফল পেতে পূর্ণ বিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণ করা জরুরি। ফলাফল দ্রুত না এলেও হতাশ হওয়া যাবে না।

রুকইয়া শরিয়াহ মুসলিমদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আশীর্বাদ। এটি আমাদের আত্মিক সুরক্ষা এবং মানসিক শান্তির একটি শক্তিশালী উৎস।

আপনার যদি রুকইয়া শরিয়াহ সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

14/07/2025

সিহরুল কতল: মৃত্যুর উদ্দেশ্যে যাদু!
আসসালামু আলাইকুম।
যাদুর বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য এবং ভয়ংকর একটি হলো 'সিহরুল কতল'। এই যাদুর মূল উদ্দেশ্যই হলো কোনো ব্যক্তিকে মেরে ফেলা বা তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। এটি এমন একটি কালো যাদু যা সরাসরি কারো জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োগ করা হয়, যা ইসলামে কঠোরভাবে হারাম এবং কবিরা গুনাহ।
সিহরুল কতলের উদ্দেশ্য ও লক্ষণসমূহ
সিহরুল কতল যাদু সাধারণত চরম হিংসা, বিদ্বেষ বা প্রতিশোধের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়। এর লক্ষণগুলো আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে:
১. হঠাৎ গুরুতর অসুস্থতা:
* অপ্রত্যাশিত রোগ: সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনকারী একজন ব্যক্তির হঠাৎ করে এমন কোনো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়া যার কোনো সুস্পষ্ট কারণ চিকিৎসকরা খুঁজে পান না।
* দ্রুত স্বাস্থ্য অবনতি: চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও বা সব ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করার পরও স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে থাকা।
* ভয়ংকর উপসর্গ: এমন সব অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেওয়া যা কোনো সাধারণ রোগের সাথে মেলে না, যেমন - শরীরের ভেতরে অস্বাভাবিক দহন, রক্তক্ষরণ, বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্রুত বিকল হওয়া।
২. মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন:
* তীব্র হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা: আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচণ্ড হতাশায় ভুগতে শুরু করে এবং বারবার আত্মহত্যার চিন্তা করে, এমনকি চেষ্টা করে।
* ভয় ও আতঙ্ক: সবসময় এক অজানা ভয় বা আতঙ্কে ভোগা।
* অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা: কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক যন্ত্রণা।
* ঘুমের চরম ব্যাঘাত: ঘুমাতে না পারা বা ঘুমিয়ে গেলে ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখা।
৩. অদ্ভুত ঘটনা:
* অশরীরী অনুভব: আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করতে পারে যে কেউ তার পিছু নিচ্ছে বা তাকে অনুসরণ করছে।
* অদ্ভুত শব্দ: একা থাকা অবস্থায় অস্বাভাবিক শব্দ, ফিসফিসানি বা অশরীরী উপস্থিতি অনুভব করা।
* নিজের ক্ষতি করা: নিজের অজান্তেই নিজেকে আঘাত করা বা এমন কাজ করা যা তার জীবনের জন্য হুমকি।
উদাহরণ ঘটনা: একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি যিনি কখনো গুরুতর অসুস্থ হননি, হঠাৎ করেই তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরও ডাক্তাররা কোনো নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করতে পারলেন না। রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে লাগলো এবং সে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল। এটি সিহরুল কতলের একটি লক্ষণ হতে পারে।
কে করে এবং কিভাবে করে?
সিহরুল কতল সাধারণত অত্যন্ত হিংসুক এবং শত্রুতাপরায়ণ ব্যক্তিরা করে থাকে। যারা কারো জীবন কেড়ে নিতে চায় বা চরম ক্ষতি করতে চায়, তারাই এই ধরনের জঘন্য যাদুর আশ্রয় নেয়।
সিহরুল কতল বিভিন্ন উপায়ে করা হতে পারে:
* খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে: যাদুকৃত কোনো বিষাক্ত উপাদান বা জিন্নের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাইয়ে দেওয়া।
* ব্যক্তিগত বস্তুর মাধ্যমে: আক্রান্ত ব্যক্তির চুল, নখ, পোশাক, বা রক্তের উপর যাদু করে সেগুলোকে কোনো গোপন স্থানে পুঁতে রাখা বা ফেলে দেওয়া।
* তাবিজ বা নকশা: যাদুকৃত তাবিজ বা নকশা তৈরি করে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি, কর্মস্থল বা যাতায়াতের পথে গোপন স্থানে রেখে আসা।
* দূরের মাধ্যমে: জিন্নের সাহায্যে দূর থেকেও এই যাদু প্রয়োগ করা সম্ভব, যেখানে সরাসরি সংস্পর্শের প্রয়োজন হয় না।
সিহরুল কতল থেকে বাঁচার উপায়
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ে থাকেন, তবে আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখুন। ইসলামিক উপায়ে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১. আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন: তিনিই একমাত্র জীবন ও মৃত্যুর মালিক। শয়তানের কোনো চক্রান্ত তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সফল হতে পারে না।
২. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন: নামাজ আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ককে মজবুত করে এবং শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
৩. কোরআন তেলাওয়াত করুন: প্রতিদিন সূরা বাক্বারা তেলাওয়াত করুন বা এর তেলাওয়াত শুনুন। বিশেষ করে আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস এবং সূরা ইখলাস নিয়মিত পাঠ করুন। সকাল-সন্ধ্যায় এই সূরাগুলো তিনবার করে পড়ুন।
৪. সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দোয়া ও জিকির: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শেখানো সকাল-সন্ধ্যার দোয়াগুলো পড়ুন। এগুলো আপনাকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে।
৫. হারাম বর্জন ও তাওবা: সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন এবং কৃত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে খাঁটি দিলে তাওবা করুন। পাপ মানুষকে দুর্বল করে এবং শয়তানের প্রভাব বিস্তার করতে সাহায্য করে।
৬. সদকা ও দান-খয়রাত: সাধ্য অনুযায়ী দান-খয়রাত করুন। সদকা বিপদ দূর করে এবং আল্লাহর রহমত আকর্ষণ করে।
কবিরাজ ধরলে কি ক্ষতি হবে?
সিহরুল কতল বা যেকোনো যাদুর চিকিৎসার জন্য কখনোই কোনো কবিরাজ, ভণ্ড পীর বা জ্যোতিষীর কাছে যাবেন না! এরা আল্লাহর সাহায্য না চেয়ে জিন বা শয়তানের সাহায্য নিয়ে থাকে, যা আপনাকে শিরক ও কুফরের দিকে ঠেলে দেবে। এদের কাছে গেলে আপনার ঈমান নষ্ট হবে এবং সাময়িক সমাধান মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে আপনি আরও বড় বিপদে পড়বেন। এরা আপনার দ্বীন ও দুনিয়া উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং আপনাকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।
রুকইয়ার পরামর্শ
যাদু থেকে মুক্তির জন্য শরয়ী রুকইয়া হলো সর্বোত্তম ও নিরাপদ পন্থা। রুকইয়া হলো কোরআন ও সহীহ হাদিসের দোয়া ও আয়াত দ্বারা চিকিৎসা।
* নিজেই রুকইয়া করুন: আপনি নিজেই কোরআনের আয়াত ও মাসনুন দোয়া পড়ে নিজের উপর ফুঁক দিতে পারেন। পানির উপর পড়ে সেই পানি পান করতে পারেন এবং গোসল করতে পারেন।
* নির্ভরযোগ্য রাকী: যদি আপনার পক্ষে নিজে রুকইয়া করা কঠিন মনে হয়, তবে কোনো নির্ভরযোগ্য, সুন্নাহপন্থী এবং অভিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হোন, যিনি শরীয়তসম্মতভাবে রুকইয়া করেন। এমন আলেম খুঁজে বের করুন যিনি কোনো প্রকার শিরকী কাজ করেন না এবং শুধুমাত্র কোরআন ও সুন্নাহর পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের সকলকে সকল প্রকার যাদু, অসুস্থতা এবং অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন। আমিন!

Address

Dhaka

Telephone

+8801811009982

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ruqyah Center Dhaka - রূকইয়াহ সেন্টার ঢাকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share