Saiful's Paediatrics

Saiful's Paediatrics This page will inform you all aspects and updates about paediatrics.

টাইফয়েড জ্বর (Typhoid Fever) একটি প্রতিরোধযোগ্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অকালে মৃত্যুবরণ কর...
17/09/2025

টাইফয়েড জ্বর (Typhoid Fever) একটি প্রতিরোধযোগ্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অকালে মৃত্যুবরণ করেন। দূষিত পানি বা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার ঘটে এবং পরবর্তী সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু ১ ডোজ টিকা নিয়ে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে।

আপনার শিশুর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন 👉 https://vaxepi.gov.bd/

26/05/2025
সতর্ক থাকুন! সব বয়সে সব ফল নয়। বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আগেই সতর্ক হন। এই গরমে বাজারে যেসব ফল ভরপুর — কলা, আম, তরমুজ, মাল্টা,...
18/05/2025

সতর্ক থাকুন! সব বয়সে সব ফল নয়। বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আগেই সতর্ক হন।

এই গরমে বাজারে যেসব ফল ভরপুর — কলা, আম, তরমুজ, মাল্টা, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, আঙুর, লিচু — সবই দেখলে মন চায় বাচ্চাকে একটু একটু করে খাওয়াই। কিন্তু ১ বছরের নিচে অনেক ফলই শিশুর জন্য নিরাপদ না। নিচে বয়স অনুযায়ী কোন ফল দেবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন, সহজভাবে লিখে দিলাম।

✳️৬ মাসের পর (ফল শুরু):
পাকা কলা
পাকা পেঁপে
এই সময় ফল খুব নরম, সহজ হজম ও অ্যালার্জি কম এমনটাই দিন। চটকে বা পিউরি করে দিন।

🚫৬ মাসের শিশুকে যেসব ফল দেওয়া যাবে না:
আম (মিষ্টি হলেও এখনই নয়)
তরমুজ
আনারস
মাল্টা / কমলা
লিচু
কাঁঠাল
পেয়ারা
জাম
আঙুর
এসব ফলে চিনি বেশি, গ্যাসের সমস্যা করে, চোকার ঝুঁকি থাকে বা অ্যাসিডিক — যা ৬ মাসের হজম ক্ষমতার উপযোগী নয়।

✳️৭–৮ মাসে:
কলা, পেঁপে তো আছেই
চাইলে সামান্য চালতা দিতে পারেন
ধীরে ধীরে স্বাদ চেনানোর জন্য।

🚫৭–৮ মাসের শিশুকে যেসব ফল এখনো না দেওয়া ভালো:
লিচু (অ্যালার্জি ও হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি)
কাঁঠাল (গ্যাস ও পাতলা পায়খানার আশঙ্কা)
তরমুজ (বেশি পানি, হজমে ভারী)
আনারস, মাল্টা (অ্যাসিডিক)
জাম (চোকার ঝুঁকি)
পেয়ারা (শক্ত ও হজমে কঠিন)
আঙুর (চোকার ঝুঁকি ও বিচি)

✳️৯–১০ মাসে:
পাকা আম অল্প করে দেওয়া যায় (খুব মিষ্টি বা টক না হলে)
তরমুজ ২–৩ চামচ করে শুরু করতে পারেন
তবে খেয়াল রাখবেন, তরমুজে অনেক পানি থাকে, বেশি খেলে পাতলা পায়খানা হতে পারে।

🚫যা দেওয়া যাবেনা:
আনারস
লিচু
পেয়ারা
মাল্টা / কমলা
জাম
আঙুর (চটকে দিলে কিছুটা দেওয়া যেতে পারে, তবে এখনো ঝুঁকি থাকে)

✳️১১ মাসে:
কাঁঠাল খুব অল্প করে দেওয়া যায় (গ্যাস সমস্যা হলে এড়ান)
আঙুর দেওয়া যাবে, তবে অবশ্যই বিচি ফেলে, খোসা ছাড়িয়ে, চটকে।

✳️যা ১ বছরের আগে না দেবেন:
আনারস — খুব অ্যাসিডিক, গলা চুলকাতে পারে, র‍্যাশ হতে পারে
পেয়ারা — শক্ত, চোকার ঝুঁকি
কমলা/মাল্টা — এসিডিক, অনেক শিশুর র‍্যাশ ও গ্যাস হয়
লিচু — অ্যালার্জির ঝুঁকি ও কখনো হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে
জাম — খুব চোকার, এসিডিক, হজমে ভারী
আঙুর (পুরো ফল হিসেবে) — চোকার ঝুঁকি, তাই চটকে না দিলে নয়

✳️সবসময় মনে রাখবেন:
✔️নতুন ফল দিলেই ৩ দিনের নিয়ম মানুন
✔️খোসা ও বিচি অবশ্যই সরিয়ে দিন
✔️বাচ্চার পায়খানা, ত্বক ও আচরণে কোনো পরিবর্তন ✔️হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন
✔️সুস্থ খুদে মানেই শান্ত মা। খাবার হোক ভালোবাসা দিয়ে, বুঝে শুনে।

শেয়ার করে দিন যেন অন্য মা-বাবারাও সচেতন হতে পারেন। পোস্ট ভালো লাগলে পেইজে ফলো দিতে ভুলবেন না।
collected from MiniBub

বোতাম ব্যাটারির বিপদ : অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা
07/02/2025

বোতাম ব্যাটারির বিপদ : অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা

Neonatal Hypothermia.
19/10/2024

Neonatal Hypothermia.

🟢বিশ্ব অ্যাজমা দিবস ২০২৪ ও অ্যাজমা রোগ সস্পকে' সচেতনা এবং করণীয় বিশ্বে হাঁপানি রোগী র প্রায় 7-10 শতাংশ শিশু এবং প্রায় ...
07/05/2024

🟢বিশ্ব অ্যাজমা দিবস ২০২৪ ও অ্যাজমা রোগ সস্পকে' সচেতনা এবং করণীয়

বিশ্বে হাঁপানি রোগী র প্রায় 7-10 শতাংশ শিশু এবং প্রায় 7-9 শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে এবং তাই এটি বিশ্বব্যাপী দেশগুলিতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যাইহোক, এই ব্যাধি থেকে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে অনুন্নত দেশগুলিতে।
সারা বিশ্ব থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হাঁপানি নির্মূল করতে প্রতি বছর বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয় । এই দিনটি মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (GINA) দ্বারা এই দিনটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালিত হচ্ছে । এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতন করা ।বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথম পালিত হয় 1998 সালে ।

এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য- "অ্যাজমা শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যই চিকিৎসার মুল চাবিকাঠি। "

অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয়, তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়।

বর্তমানে বংশগত কারণের চেয়ে পরিবেশগত কারণেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মূলত শিশু ও বয়স্করাই অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

অ্যাজমা (Asthma) বা হাঁপানি রোগ বংশগত। এতদিন এমনটাই শোনা যেত। কিন্তু, বর্তমানে বংশগত কারণের চেয়ে পরিবেশগত কারণেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মূলত শিশু ও বয়স্করাই অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সি প্রায় ৫১ লক্ষ শিশু রয়েছে।

একটা সময় জন্মগত অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন পরিবেশদূষণ, বায়ুদূষণ, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের কারণে অ্যাজমা রোগী বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কেবল শহর নয়, গ্রামেও প্রচুর অ্যাজমা রোগী রয়েছে। ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ গ্রহণের হার বেড়েছে। তবে আশার কথা, আধুনিক চিকিৎসায় এই রোগে মৃত্যুর হার কমছে।

অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসনালির এক ধরনের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া। বংশানুক্রমিকভাবে এই রোগে আক্রান্ত সন্তান, যাদের শ্বাসনালি খুবই সেনসেটিভ, বিভিন্ন উত্তেজক বস্তু বা অ্যান্টিজেনের সংস্পর্শে এসে উত্তেজিত হয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে তাদের শ্বাসনালির মধ্যে কফের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শুরু হয় লাগাতার কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ ইত্যাদি।

✍️অ্যাজমা কেন হয় :

হাঁপানির কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, যেগুলো হাঁপানি রোগের উৎপত্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।
* এ রোগ জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। বংশে কারও এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
* পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
* বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
* বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে।
* মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
* সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের এ রোগ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ রোগ বেশি হয়।
* কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন—এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।

✍️কখন বাড়ে :

ঘরবাড়ির ধুলা, ময়লা, মাইটেপোড়া, ফুলের রেণু, পাখির পালক, জীব-জন্তুর পশম, ছত্রাক ইত্যাদি অ্যালার্জিজনিত পদার্থ থেকে হাঁপানি হতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা অন্যান্য ঠান্ডা পদার্থও হতে পারে হাঁপানি।

✍️উপসর্গ :

* শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট

* বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই শব্দ

* বুক ভার হয়ে থাকা

* দম বন্ধ ভাব

* ঘনঘন কাশি

✍️✍️কিভাবে অ্যাজমা রোগ নির্ণয় করা সম্ভব?

অ্যাজমা নির্ণয় মূলত চিকিৎসার ইতিহাস এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ শারীরিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে সম্ভব। যাদের এই রোগ রয়েছে তাদের সাধারণত অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং ব্যায়ামের সময় বা রাতে শুয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ইতিহাস থাকে। যখন এই অবস্থাগুলি ওষুধের দ্বারা উপশম হয়, তখন এটি বোঝা যায় যে ব্যক্তি উক্ত রোগে ভুগছেন।

কিছু পরীক্ষামূলক পদ্ধতি রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে:

—-স্পাইরোমেট্রি: এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয় যখন একজন ব্যক্তি একটি টিউবে শ্বাস নেয়। যদি অ্যালবুটেরলের মতো ব্রঙ্কোডাইলেটর ব্যবহার করার পরে ব্যক্তির ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয় তবে এটি হাঁপানির রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করে।
যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে স্বাভাবিক ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষা এই অবস্থার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয় না।

—-নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ত্যাগ করা নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাপ (FeNO): এটি একটি সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম দ্বারা সঞ্চালিত হয়। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় নাইট্রিক অক্সাইডের বর্ধিত মাত্রা “অ্যালার্জিক” প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়, যা অ্যাজমাতে দেখা যায়।
সাধারণ অ্যারোঅ্যালার্জেনের জন্য ত্বকের পরীক্ষা: পরিবেশগত অ্যালার্জির সংবেদনশীলতার উপস্থিতি অ্যাজমার সম্ভাবনা বাড়ায়। পরিবেশগত পদার্থের অ্যালার্জি শনাক্ত করতে ত্বকের পরীক্ষা কার্যকর।
—-মেথাকোলিন চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা: এই পরীক্ষাটি শ্বাসনালীর হাইপার- প্রতিক্রিয়াশীলতা শনাক্ত করে। অস্বস্তিকারক বস্তুর সংস্পর্শলাভের প্রতিক্রিয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের নালীগুলি সরু হয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে হাইপার-প্রতিক্রিয়া বলে।
—-স্পুটাম ইওসিনোফিলস: এটি অ্যাজমার মতো দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতিতে দেখা “অ্যালার্জিক” প্রদাহের আরেকটি চিহ্নিতকারী বস্তু।
—চেস্ট ইমেজিং: এই পরীক্ষায় উচ্চ প্রদাহ দেখা যেতে পারে এবং হৃৃদযন্ত্র পরীক্ষার মতো অন্যান্য অবস্থাকে বাদ দিতে সাহায্য করতে পারে, এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।
—রক্ত পরীক্ষা: এটি অ্যাজমার প্রকারভেদ করতে সাহায্য করে। রক্ত পরীক্ষা অ্যালার্জিজনিত অ্যান্টিবডি (IgE) বা ইওসিনোফিল নামক বিশেষায়িত শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা জানতে সাহায্য করে যা অ্যালার্জিজনিত বা বহিরাগত অ্যাজমার সঙ্গে যুক্ত।

✍️চিকিৎসা :

* হাঁপানির হাত থেকে সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা।

* স্টেরয়েড যেমন লোমেথাসন, বুডিসনহিড, গ্লুটিকাসন ইত্যাদি ওষুধগুলো সব সময় ব্যবহার করতে হয়।

* অ্যাজমা চিকিৎসার এগুলো হচ্ছে মূল ওষুধ। যেমন সালবিউটামল, টারবিউটালিন এগুলো তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু এগুলো শুধু শ্বাসকষ্ট, কাশি বা বুকে চাপ হলে ব্যবহার করতে হবে।

* শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হলে তাকে সাধারণত ওষুধ ইনহেলার বা স্প্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়। একজন ছোট শিশুর থেকে বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা হয়।

* গর্ভাবস্থায় হাঁপানি হলে উচ্চরক্তচাপ, প্রিটাম লেবার, প্রিএকলামাসিয়া এবং শিশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই মা ও সন্তানের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অ্যাজমা তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলা প্রয়োজন।

* হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস সংক্রমণ। এক্ষেত্রে হাঁপানি রোগীদের রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে করোনা হলে তাতে মারাÍক শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এজন্য হাঁপানি রোগীদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

✍️✍️হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার

আমাদের দেশে এখনো যে কয়েক ধরনের ইনহেলার পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে সুলভ ও বহুল ব্যবহৃত ইনহেলারটি হচ্ছে এমডিআই বা মিটার্ড ডোজ ইনহেলার। এখানে ওষুধের তরল ক্ষুদ্র কণা (১-৫ মাইক্রোমিটার) অ্যারোসল আকারে ফুসফুসে প্রয়োগ করা যায়।

★এমডিআই প্রয়োগের কৌশল
মিটার্ড ডোজ ইনহেলার প্রয়োগের ধাপগুলো নিচের মতো।
* ইনহেলারের মাউথপিসের ঢাকনা খুলুন।
* চিবুক উঠিয়ে সোজা সামনের দিকে তাকান।
* ধীরে শ্বাস ত্যাগ করুন এবং বুকের সব বাতাস বের করে দিন।
* এবার ইনহেলারের মাউথপিসটি দাঁতের ফাঁকে রেখে ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন, যেন ফাঁক না থাকে।
* এবার ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিতে থাকুন এবং ক্যানিস্টারে দৃঢ়ভাবে চাপ দিয়ে অ্যারোসল ফুসফুসে টেনে নিন।
* নিশ্বাসে বুক ভরে গেলে ইনহেলার মুখ থেকে সরিয়ে ফেলুন এবং ৫-১০ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ করে রাখুন, যেন ওষুধ ফুসফুসের শ্বাসনালিতে জমা হয়।
* এবার স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এভাবে রোগীর এক পাফ বা টান ওষুধ নেওয়া হয়।
* যদি ২ পাফ নিতে হয়, তবে অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর প্রক্রিয়াটি পুনরায় করুন। তারপর ইনহেলারের ঢাকনাটি দিয়ে মাউথপিসটি বন্ধ করে রাখুন।
* ★স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখে পানি নিয়ে কুলকুচা করে পানি ফেলে দিন। পানি গেলা যাবে না। এতে মুখে জমে থাকা ওষুধ পরিষ্কার হয়ে যাবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।

★ইনহেলারের মেয়াদ কত দিনের
* এমডিআই উৎপাদনের পর দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। ব্যবহার শুরু করে দিলে ছয় মাসের বেশি কার্যকর থাকে না। অতিরিক্ত ও সরাসরি সূর্যরশ্মি থেকে দূরে রাখতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে।
* এমডিআইয়ের ডোজ কাউন্ট ছাড়া ইনহেলার কখন খালি হয়, তা বোঝার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে ইনহেলারে কতটা ডোজ ছিল এবং কত দিন যাওয়া উচিত, এভাবে হিসাব রাখতে হবে।

ঔষধের মধ্যে মূলত দু'ধরণের ঔষধ অ্যাজমা তে কার্যকরী-উপশমকারী এবং প্রতিরোধক! উপশমকারী ঔষধ সাময়িক আরাম দেয়, প্রতিরোধক ঔষধ রোগের ধরণ বা প্রকৃতি কে নিয়ন্ত্রণে রাখে, ভবিষ্যৎ অ্যাজমা এটাকে প্রতিরোধ করে, ক্ষেত্রবিশেষে কমবয়স্ক রোগীদের অ্যাজমা নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে! মুখে খাওয়ার ঔষধ থাকলেও অ্যাজমাতে ইনহেলারই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে! উপশমকারী ইনহেলার গুলো সাধারণত নীল রংয়ের এবং প্রতিরোধকারী ইনহেলার গুলো সাধারণত গোলাপি বা বেগুনি রংয়ের হয়ে থাকে!এই কালার কোড অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মেডিসিন হিস্ট্রি নেয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সুবিধা দেয়

অ্যাজমা রোগিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যে ইনহেলার সেটি হচ্ছে উপশমকারী ইনহেলার বা ব্লু ইনহেলার যাতে আছে সালবিউটামল-দাম তুলনামূলক সবচেয়ে কম এবং খুব দ্রুত কাজ করে শ্বাসকষ্ট অনেক সময় মুহূর্তে কমিয়ে আনতে পারে এটি, একারণে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ বা ফলোআপ আর না করে মোবাইলের মতো ব্যাগে বা পকেটে এটিকে নিত্যসঙ্গী বানান-চিকিৎসা বন্ধ রেখে বা অনিয়ম করে শ্বাসকষ্ট বাড়ান এবং সেসময় ব্লু ইনহেলার ব্যবহার করে সাময়িক আরাম নিশ্চিত করেন।

গবেষণা বলছে, সঠিক চিকিৎসা অনুসরণ যদি কেউ না করে এবং এরজন্যে যদি কাউকে সালবিউটামল ইনহেলার (বা ব্লু ইনহেলার) গড়ে প্রতিদিন দুই চাপ করে মোট দুইশ চাপ(এক ক্যানিস্টার বা এক ইনহেলার=দুইশ চাপ) ইনহেলার ৩ মাসের মধ্যে নিতে হয়, তাহলে তার ভবিষ্যতে তীব্র অ্যাজমা এটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অনেক বেশিশুধু তাই নয়, কারো যদি সালবিউটামল ইনহেলার(বা ব্লু ইনহেলার) গড়ে প্রতিদিন ছয় চাপ করে মোট দুইশ চাপ (এক ক্যানিস্টার বা এক ইনহেলার=দুইশ চাপ) ইনহেলার ১ মাসের মধ্যে নিতে হয় এবং প্রতি মাসে যদি তাঁর একটি ইনহেলার হিসেবে সারাবছর মোট ১২টি ইনহেলার বা তার বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে তার মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।

✍️অ্যাজমা প্রতিরোধের উপায়

-অ্যাজমা থেকে সুস্থ থাকতে হলে অ্যালার্জি এড়িয়ে চলতে হবে।
-অ্যাজমার ওষুধ বা ইনহেলার সবসময় হাতের কাছে রাখুন।
-ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার, কলিজা, গাজরসহ শাক-সবজি ও মধু খাবেন।
-নিয়মিত চেকআপ করাবেন।
-নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
-ধূমপান ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন।
-বালিশ লেপ তোশক-পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
-ঘরে কার্পেট ব্যবহার না করা।
-ঠাণ্ডা খাবার আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া।
-বাড়িতে পোষা প্রাণী (কুকুর, বিড়াল) থাকলে নিয়মিত গোসল করাতে হবে বা পরিচ্ছন রাখতে হবে।
-মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা এড়িয়ে চলতে হবে।

✍️✍️প্রশ্ন : অ্যাজমা কি পুরোপুরি ভালো হয়?

আসলে শতভাগ ভালো হয়ে যাবে, এটি বলা যায় না। তবে দেখা গেছে, যাদের অ্যাজমা ছোট বয়সে হয় এবং তারা যদি সঠিক চিকিৎসা নেয়, তাহলে এটি একেবারে নির্মূল হয়ে যায়। বড়দের রোগ প্রতিকার করা যায় না, তবে চিকিৎসা করা যায়। নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saiful's Paediatrics posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Saiful's Paediatrics:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram